অস্ট্রেলিয়ার দাঁত পড়লে রীতিনীতি
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে অস্ট্রেলিয়ার দাঁত পড়লে রীতিনীতি পান।
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কমনওয়েলথ অব অস্ট্রেলিয়া
পতাকা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় সঙ্গীত: অ্যাডভান্স অস্ট্রেলিয়া ফেয়ার[টীকা ১]0:55
কমনওয়েলথ অব অস্ট্রেলিয়া (অ্যান্টার্কটিকায় অস্ট্রেলিয়ার দাবীকৃত অঞ্চলসহ)
রাজধানী ক্যানবেরা
৩৫°১৮′২৯″ দক্ষিণ ১৪৯°০৭′২৮″ পূর্ব
বৃহত্তম নগরী সিডনি
সরকারি ভাষা যুক্তরাষ্ট্রীয় স্তরে নেই
দাপ্তরিক ভাষা ইংরেজি[টীকা ২]
ধর্ম (২০১৬)[২] ৫২.১% খ্রিষ্টান ৩০.১% কোন ধর্ম নেই ২.৬% ইসলাম ২.৪% বৌদ্ধ ১.৯% হিন্দু ০.৫% শিখ ০.৪% ইহুদি
০.৪% অন্যান্য[টীকা ৩]
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ অস্ট্রেলীয় অসি (প্রচলিত)[৩][৪]
সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদীয়
সাংবিধানিক রাজতন্ত্র
• রাজা তৃতীয় চার্লস • গভর্নর জেনারেল ডেভিড হারলি • প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ আইন-সভা সংসদ • উচ্চকক্ষ সিনেট • নিম্নকক্ষ
হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস
স্বাধীনতা যুক্তরাজ্য থেকে
• ফেডারেশন, সংবিধান ১ জানুয়ারি ১৯০১
• ওয়েস্টমিনস্টারের সংবিধি
৯ অক্টোবর ১৯৪২ (৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ থেকে কার্যকর) • অস্ট্রেলিয়া আইন ৩ মার্চ ১৯৮৬ আয়তন • মোট
৭৬,৯২,০২৪ কিমি২ (২৯,৬৯,৯০৭ মা২) (৬ষ্ঠ)
• পানি/জল (%)
১.৭৯ (২০১৫ অনুযায়ী)[৫]
জনসংখ্যা • ২০২২ আনুমানিক
২,৫৯,২৫,৬০০[৬] (৫৩তম)
• ২০১৬ আদমশুমারি ২,৩৪,০১,৮৯২[৭] • ঘনত্ব
৩.৪ /কিমি২ (৮.৮ /বর্গমাইল) (১৯২তম)
জিডিপি (পিপিপি) ২০২১ আনুমানিক
• মোট
$১,৪২,৭০০ কোটি[৮] (১৯তম)
• মাথাপিছু $৫৫,৪৯২[৮] (22nd)
জিডিপি (মনোনীত) ২০২১ আনুমানিক
• মোট
$১,৬১,১০০ কোটি[৮] (১৩তম)
• মাথাপিছু $৬২,৬১৯[৮] (৯ম)
জিনি (২০১৮) ৩২.৫[৯]
মাধ্যম · ১৬তম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৯) ০.৯৪৪[১০]
অতি উচ্চ · ৮ম
মুদ্রা অস্ট্রেলীয় ডলার ($) (AUD)
সময় অঞ্চল ইউটিসি+৮; +৯.৫; +১০ (বিভিন্ন[টীকা ৪])
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+৮; +৯.৫; +১০;
+১০.৫; +১১ (বিভিন্ন[টীকা ৪])
তারিখ বিন্যাস dd/mm/yyyy
yyyy-mm-dd[১১]
গাড়ী চালনার দিক বাম
কলিং কোড +৬১ আইএসও ৩১৬৬ কোড AU
ইন্টারনেট টিএলডি .au
কমনওয়েলথ অব অস্ট্রেলিয়া বা অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। এটি অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের মূল ভূখণ্ড, তাসমানিয়াসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত।[১২] দেশটির মোট আয়তন ৭৬,১৭,৯৩০ বর্গকিমি (২৯,৪৪,৩০০ বর্গমাইল)।[১৩] আয়তনের দিক থেকে এটি ওশেনিয়া অঞ্চলের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র এবং পৃথিবীর ৬ষ্ঠ বৃহত্তম রাষ্ট্র। দেশটির উত্তরে তিমুর সাগর, আরাফুরা সাগর, ও টরেস প্রণালী; পূর্বে প্রবাল সাগর এবং তাসমান সাগর; দক্ষিণে ব্যাস প্রণালী ও ভারত মহাসাগর; পশ্চিমে ভারত মহাসাগর। বৃহৎ আকৃতির কারণে অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু বেশ বিচিত্র। এর মধ্যবর্তী অঞ্চলে রয়েছে বৃহৎ মরুভূমি, উত্তর-পূর্বে রয়েছে বনাঞ্চল এবং দক্ষিন-পশ্চিমে রয়েছে পর্বতমালা। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী হলো ক্যানবেরা।অস্ট্রেলিয়ার প্রথম বসতিস্থাপক ছিল এখানকার আদিবাসী জাতিগুলি। তারা প্রায় ৬৫,০০০ বছর আগে এই মহাদেশে বসতি স্থাপন করেছিল।[১৪] ১৭শ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত বহির্বিশ্বের কাছে দ্বীপটি অজানা ছিল। ১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারি দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট জ্যাকসনে প্রথম স্থায়ী উপনিবেশ নিউ সাউথ ওয়েল্স সৃষ্টি করা হয়; এটি ছিল ব্রিটিশ কয়েদিদের উপনিবেশ। এটিই পরবর্তীকালে বড় হয়ে সিডনী শহরে পরিণত হয়। প্রথম উপনিবেশ স্থাপনের গুরুত্ব হিসেবে ২৬ জানুয়ারিকে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। পরবর্তী বেশ কয়েক যুগ ধরে অস্ট্রেলিয়ায় ইউরোপীয় জনসংখ্যা ধিরে ধিরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৮৫০-এর দশকে গোল্ড রাশের আগেই ইউরোপীয় বসতি স্থাপনকারীরা মহাদেশের অধিকাংশ স্থান আবিষ্কার করে ফেলেছিল এবং গ্রেট ব্রিটেন আরও পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। ১৯শ শতক জুড়ে অস্ট্রেলিয়া এক গুচ্ছ ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে কাজ করত। ১৯০১ সালের ১লা জানুয়ারি এই ছয়টি উপনিবেশ একত্রিত করে কমনওয়েলথ অব অস্ট্রেলিয়া গঠন করা হয়েছিল। সেই থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় অসাম্প্রদায়িক গনতন্ত্র এবং ধনী বাজার অর্থনীতি অব্যাহত রয়েছে।
রাজনৈতিক দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সংসদীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। এটি ছয়টি রাজ্য এবং দশটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গঠিত। অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ, যার অধিকাংশই পূর্ব উপকূলবর্তী শহরাঞ্চলে বসবাস করেন।[১৫] ক্যানবেরা এবং সিডনী হলো বৃহত্তম শহর। দুইটি শহরই দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত। এছাড়া অন্যান্য বৃহৎ শহরের মধ্যে রয়েছে মেলবোর্ন, ব্রিসবেন, পার্থ, অ্যাডিলেড। অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০% অভিবাসী;[১৬] এই অনুপাত বৃহৎ পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।[১৭] অস্ট্রেলিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদের এবং উন্নত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দেশটির অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার আয়ের প্রধান খাতসমূহ হলো পরিষেবা, খনিজ রপ্তানি, ব্যাংকিং, উত্পাদন, কৃষি এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও অন্যান্য।[১৮][১৯][২০]
অস্ট্রেলিয়া একটি উন্নত দেশ এবং উচ্চ আয়ের অর্থনীতি। এটি পৃথিবীর ১২তম বৃহত্তম অর্থনীতি, মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে দশম এবং মানব উন্নয়ন সূচকের মান অনুযায়ী অষ্টম।[১৭] অস্ট্রেলিয়া একটি আঞ্চলিক শক্তি, এবং সামরিক ব্যয়ের দিক থেকে বিশ্বের দ্বাদশ অবস্থানে রয়েছে।[২১]
শব্দের ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]
অস্ট্রেলিয়া (উচ্চারণ /əˈstreɪliə/) শব্দটি লাতিন থেকে উদ্ভুত, যার অর্থ "দক্ষিণ ভূমি"। প্রাচীনকাল থেকেই দক্ষিণ গোলার্ধের একটি অনুকল্পিত মহাদেশের নাম বুঝাতে ব্যবহার করা হতো।[২২] ১৭ শতকে যখন ইউরোপীয়রা প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া এবং এর মানচিত্র তৈরি করা শুরু করে, তখন এই নতুন আবিষ্কৃত ভুমির নাম হিসেবে টেরা অস্ট্রালিসই ব্যবহার করা হয়েছিল।
১৯ শতকের গোড়ার দিকে পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া নিউ হল্যান্ড নামেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিল। ওলন্দাজ অভিযাত্রী আবেল তাসমান ১৬৪৪ সালে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম নিউ-হল্যান্ড হিসাবে নামকরণ করেছিলেন। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গ্রন্থে টেরা অস্ট্রালিসের ব্যবহার তখনও অব্যাহত ছিল। অভিযাত্রী ম্যাথিউ ফ্লিন্ডার্স অস্ট্রেলিয়া নামটিকে জনপ্রিয় করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, "এটি অধিক শ্রুতিমধুর এবং পৃথিবীর অন্যান্য বৃহৎ অংশের নামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ"।[২৩] বেশ কিছু বিখ্যাত প্রারম্ভিক কার্টোগ্রাফাররাও তাদের মানচিত্রে অস্ট্রেলিয়া শব্দটি ব্যবহার করেছেন। জেরারডাস মারকেটর তার ১৫৩৮ সালে প্রকাশিত বিশ্বের ডাবল কর্ডিফর্ম মানচিত্রে ক্লাইমাটা অস্ট্রেলিয়া শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। মারকেটরের শিক্ষক এবং সহযোগী জেমা ফ্রিজিয়াস ১৫৪০ সালে তার নিজস্ব কর্ডিফর্ম মানচিত্রেও একই শব্দ ব্যবহার করেছিলেন।
অস্ট্রেলীয় শিষ্টাচারের রীতিনীতি: করণীয় ও বর্জনীয় আচরণগুলো কী কী?
একটি নির্দিষ্ট সমাজ বা সংস্কৃতি, অথবা একটি নির্দিষ্ট সামাজিক বা পেশাগত পরিমন্ডলের সদস্যদের মধ্যে নম্র ও ভদ্র আচরণ হিসাবে বিবেচিত হয় এরকম প্রথাগত আচরণকে শিষ্টাচার হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। তাহলে আসুন জানা যাক অস্ট্রেলীয় শিষ্টাচার অনুযায়ী করণীয় এবং বর্জনীয় আচরণগুলো কী কী।
অস্ট্রেলীয় শিষ্টাচারের রীতিনীতি: করণীয় ও বর্জনীয় আচরণগুলো কী কী?
এসবিএস বাংলা
Australia boasts a unique culture and rules of etiquette that merge the diverse nature of our population. Source: Getty / zoranm
একটি নির্দিষ্ট সমাজ বা সংস্কৃতি, অথবা একটি নির্দিষ্ট সামাজিক বা পেশাগত পরিমন্ডলের সদস্যদের মধ্যে নম্র ও ভদ্র আচরণ হিসাবে বিবেচিত হয় এরকম প্রথাগত আচরণকে শিষ্টাচার হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। তাহলে আসুন জানা যাক অস্ট্রেলীয় শিষ্টাচার অনুযায়ী করণীয় এবং বর্জনীয় আচরণগুলো কী কী।
Published 16 September 2022 at 12:28pm, updated 16 September 2022 at 12:32pm
By Claudianna Blanco
Presented by Tareq Nurul Hasan
Source: SBS
পৃথিবীর সর্বাধিক বহুসংস্কৃতির দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে একটি অনন্য সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করছে। এ দেশে এখন শিষ্টাচারের নিয়মগুলোও এরকম যা এ দেশের মানুষদের বৈচিত্র্যময় প্রকৃতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। যদিও অস্ট্রেলিয়ায় 'ভাল শিষ্টাচার' হিসাবে বিবেচিত কিছু আচরণ সহজেই চিহ্নিত করা যায়, তবে কোন আচরণ নম্র ও ভদ্র বা কোন আচরণটি অভদ্রতা বলে বিবেচিত হবে, তার জন্য কিছু অলিখিত নিয়মও রয়েছে।
অ্যামান্ডা কিং ‘অস্ট্রেলিয়ান ফিনিশিং স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সমস্ত সাংস্কৃতিক পটভূমির মানুষকে অস্ট্রেলিয়ান প্রেক্ষাপটে গ্রহণযোগ্য আচরণগুলো কী কী সেই সম্পর্কে শিক্ষাদান করেন।
মিজ কিং বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় শিষ্টাচার সাধারণত নির্দিষ্ট পরিবেশ এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
Advertisement
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অভিবাসীদের পেশাগত পরিমন্ডলে প্রবেশের চেষ্টা তাদের ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা এবং সাংস্কৃতিক ভিন্নতার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি বলেন, স্বীকৃত আচরণবিধি বোঝা এবং অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
যদিও অস্ট্রেলিয়ায় নতুন আগত অভিবাসীদের এখানকার শিষ্টাচারের আচরণবিধি শিখতে সময় লাগে এবং এর জন্যে অনুশীলনের প্রয়োজন পড়ে, তবে এই শিক্ষা খুব সহজেই শুরু করা যেতে পারে কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে। যেমন, কাউকে কোনও অপ্রয়োজনীয় বা অগ্রহণযোগ্য প্রশ্ন করা এড়িয়ে যাওয়া।
যেহেতু প্রতিটি সংস্কৃতিতেই কোন আচরণ গ্রহণযোগ্য অথবা বর্জনীয় তা নির্ধারণের ভিন্ন ভিন্ন মান রয়েছে, আমরা তাই দীর্ঘসময় ধরে এদেশে থাকা কয়েকজন অভিবাসীদের জিজ্ঞাসা করেছি তাদের অভিজ্ঞতার কথা।
উইনমাস ইউ হংকং থেকে এসেছেন এবং দশ বছর ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। তিনি বলেন, কেউ দেখতে মোটা অথবা কারও ওজন কম কিনা, এটা এ নিয়ে মন্তব্য করা এ দেশে গ্রহণযোগ্য নয়।
Asking prying questions could land people into uncomfortable territory. Credit: Getty Images/NicolasMcComber
সারাহ এসেছেন মরক্কো থেকে এবং অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন ১৫ বছর ধরে। তিনি জানান, তার অভিজ্ঞতায় বলে মরক্কোর সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে যে সব প্রসঙ্গ জিজ্ঞাসা করা গ্রহণযোগ্য সেরকম অনেক প্রশ্নই অস্ট্রেলিয়ায় খুব অভদ্র বলে মনে করা হয়।
সারার মতে, অনেক ব্যক্তিগত প্রশ্ন যেমন, কারও আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করাও অপ্রচলিত নয়।
কিছু কিছু আরব সংস্কৃতিতে সদ্যই দেখা হওয়া মানুষদেরকে তাদের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ফ্যাবিওলা ক্যাম্পবেল ১৮ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। তিনি এসেছেন ভেনিজুয়েলা থেকে, এবং এখানে ২০১৯ সালে ‘প্রফেশনাল মাইগ্রেন্ট উইমেন’ নামের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
এই নেটওয়ার্কটি অস্ট্রেলিয়ান চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে চাওয়া বিদেশী নারীদের দরকারী পরামর্শ দিয়ে থাকে।
মিজ ক্যাম্পবেল বিশ্বাস করেন যে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা কর্মক্ষেত্রে অভিবাসীদের জন্য একটি বাধা হয়ে উঠতে পারে, কারণ নেটওয়ার্কিং এবং শিষ্টাচারের মাধ্যমেই ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়।
Networking etiquette are crucial skills when job hunting or in the professional workplace. Getty Images/Kosamtu
তিনি বলেন যে নেটওয়ার্কিংয়ের সময় একটি ভাল কৌশল হল অন্য লোকেদের সাথে আকস্মিক বা অযাচিতভাবে পরিচিত হতে না চাওয়া। বরং পেশাদারি আচরণ দেখিয়ে আগে থেকে সম্মানের সাথে অনুমতি নিয়ে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করাই মঙ্গলজনক। এছাড়াও, দেখা করার পরে তাদেরকে আগে কথা বলতে দেয়া উচিত।
কাউকে অপ্রত্যাশিত আঘাত দেয়ার সম্ভাবনা এড়াতে মিজ ক্যাম্পবেলের পরামর্শগুলির মধ্যে রয়েছে ‘অনুগ্রহ করে' এবং 'ধন্যবাদ' এর মতো নমনীয় শব্দগুলি নিয়মিত ব্যবহার করা। তবে এই শব্দগুলি অনেক বেশি বলাও উচিত নয় কারণ তাহলে সেটি দরকারের চেয়ে অতিরিক্ত বলে শোনাতে পারে।
In some cultures, constantly apologising or saying 'thank you' are signs of polite behaviour. In Australia however, these phrases should be used frequently, but not repeatedly. Getty Images/RRice1981
মিজ ক্যাম্পবেল আরও যোগ করেন যে ইংরেজি ভাষার এই সব ভদ্রতা এবং অস্ট্রেলিয়ায় যোগাযোগের প্রচলিত শৈলী শেখার আরেকটি উপায় হচ্ছে মানুষের কাছ থেকে ফিডব্যাক বা প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া।
শিষ্টাচার প্রশিক্ষক অ্যামান্ডা কিং পরামর্শ দেন যে সামাজিক বা পেশাগত অনুষ্ঠানে সময়মতো উপস্থিত থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোনও সমাবেশ বা মিটিংয়ের জন্য দেরী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কমপক্ষে ১৫ বা ২০ মিনিট আগে জানানো জরুরি।
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে ১০ প্রশ্নের উত্তর
অস্ট্রেলিয়ায় নানা বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে, আছে নানা ধরনের বৃত্তি। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বহু শিক্ষার্থী। সেখানে পড়ালেখার সুযোগ বা চ্যালেঞ্জগুলো কী? অস্ট্রেলিয়ায় পাঠরত বা পাঠ শেষ করা কয়েক শিক্ষার্থী, গবেষক, শিক্ষক ও পেশাজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করল ‘স্বপ্ন নিয়ে’।
জীবনযাপন
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে ১০ প্রশ্নের উত্তর
অস্ট্রেলিয়ায় নানা বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে, আছে নানা ধরনের বৃত্তি। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বহু শিক্ষার্থী। সেখানে পড়ালেখার সুযোগ বা চ্যালেঞ্জগুলো কী? অস্ট্রেলিয়ায় পাঠরত বা পাঠ শেষ করা কয়েক শিক্ষার্থী, গবেষক, শিক্ষক ও পেশাজীবীর সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করল ‘স্বপ্ন নিয়ে’।
স্বপ্ন নিয়ে ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২২, ০৬: ৪০
বৃত্তি নিয়ে অনেক বাংলাদেশি পড়তে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়ছবি: সংগৃহীত
১. স্নাতকের জন্য কি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করা যায়?উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের জন্য আবেদন করা যায়। অস্ট্রেলিয়ার সব বিশ্ববিদ্যালয়েই স্নাতকের সুযোগ আছে, তবে সব বিষয়ে পড়ার সুযোগ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভর্তির সব তথ্য পাওয়া যাবে। উচ্চমাধ্যমিকে ৬৫ শতাংশ নম্বর, আইইএলটিএস স্কোর অন্তত ৬ দশমিক ৫ নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারছেন।
২. বৃত্তির সুযোগ কেমন আছে?অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে বৃত্তির নানা সুযোগ আছে। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে কীটতত্ত্বে পিএইচডি করছেন শোভন সরকার। তিনি বলেন, মাস্টার্স ও পিএইচডিতে বৃত্তির সুযোগ আছে অনেক। স্নাতক ও মাস্টার্সের ক্ষেত্রে টিউশন ফির ওপর ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়া যায়। ভর্তি ও বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর ও প্রাতিষ্ঠানিক ফল বিশেষ গুরুত্ব পায়। অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস বৃত্তিধারী জোবায়ের হোসাইন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পাবলিক পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স করছেন। তিনি জানান, স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস দেয় সে দেশের সরকার। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থী আসা-যাওয়ার বিমানভাড়া, পড়াশোনার যাবতীয় খরচ, থাকা-খাওয়ার খরচসহ গবেষণা এবং বইপত্রের জন্য অর্থ পান। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক তহবিল দেয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপসহ বিভিন্ন সরকারি বৃত্তির মাধ্যমেও পড়ার সুযোগ আছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় উচ্চতর শিক্ষায় ফেলোশিপ দেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করে। বিস্তারিত: pmfellowship.pmo.gov.bd
আরও পড়ুন
যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ১০ প্রশ্ন
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ১০ প্রশ্নের উত্তর
৩. সরকারি বৃত্তির জন্য কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন?অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডসের জন্য কাজের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রার্থীর সম্ভাব্য ভূমিকাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজের অভিজ্ঞতায় কিছুটা রকমফের হচ্ছে। জোবায়ের হোসাইন বলেন, প্রতিবছর অনলাইনে এই বৃত্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়। আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যাবে australiaawardsbangladesh.org ওয়েবসাইট থেকে। আইইএলটিএস স্কোরসহ সিভি, নিজের পড়াশোনা ও গবেষণার পরিকল্পনা ও সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে আবেদনের সময়।
৪. আর কী কী বৃত্তি আছে?পিএইচডি ডিগ্রির জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম (আরটিপি) নামে একটা ফুল ফান্ডেড বৃত্তি আছে। এই বৃত্তি নিয়ে মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল মেন্টাল হেলথে পিএইচডি করছেন তাসদীক হাসান। তিনি জানান, বৃত্তির মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অস্ট্রেলিয়ায় অনেক বেশি। জোবায়ের হোসাইন বলেন, আরটিপির বৃত্তি পেতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অ্যাকাডেমিক সিজিপিএ, গবেষণার অভিজ্ঞতা ও জার্নাল পেপার, আইইএলটিএস স্কোর, কাজের অভিজ্ঞতা গুরুত্ব পায়। এছাড়া আবেদন করার সময় স্টেটমেন্ট অব পারপাস, নিজের সম্পর্কে লেখা ও আবেদনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর যত ভালোভাবে লেখা যাবে, ততই বাড়বে বৃত্তি ও ভর্তির সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব তহবিল পেতেও এসব বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। পিএইচডি পর্যায়ে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে ফুল ফান্ডসহ ভর্তির সুযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ইমেইল করে এসব বৃত্তির খোঁজ নেওয়া যাবে।
৫. আইইএলটিএস স্কোর কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আইইএলটিএস স্কোর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাসদীক হাসান বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর অন্তত ৬ দশমিক ৫ প্রয়োজন। আইইএলটিএসের চারটি ভাগে এককভাবে ৬ দশমিক ৫ থেকে ৭ থাকলে বৃত্তি ও ভর্তির সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। জোবায়ের হোসাইন বলেন, আইইএলটিএস স্কোর যত বেশি হবে, ভর্তি ও বৃত্তির ক্ষেত্রে ততই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। কয়েক মাস প্রস্তুতি নিয়ে দেশে বসেই একটি ভালো স্কোর অর্জনের চেষ্টা করুন। অস্ট্রেলিয়ার সবাই ইংরেজিতে কথা বলে, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও চাকরির ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়।
৬. জীবনযাত্রার মান ও ব্যয় কেমন?তাসদীক হাসান জানান, যাঁরা বিদেশে পড়তে চান, তাঁদের জন্য অস্ট্রেলিয়া দারুণ এক গন্তব্য। অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসাসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা অনেক ভালো। বৈষম্যহীন পরিবেশ ও মেধাভিত্তিক কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। জোবায়ের হোসাইনের মতে, অস্ট্রেলিয়া উন্নত জীবন ও পড়াশোনার নিশ্চয়তা দেয়। সর্বশেষ টাইমস হায়ার এডুকেশন ও কিউএস র্যাঙ্কিং অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ এক শর মধ্যে আছে। উচ্চতর পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পরই তৃতীয় জনপ্রিয় গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া। উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে শুধু দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার্থীদের কাছেই নয়, ইউরোপের অনেক দেশের শিক্ষার্থীর কাছেও অস্ট্রেলিয়া জনপ্রিয়।
তবে জীবনযাত্রার মান অন্যান্য পশ্চিমা দেশের মতোই ব্যয়বহুল। বিশেষ করে বাসাভাড়া আর নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয় কম বলা যাবে না কোনোভাবেই। নিজ খরচে পড়তে এলে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হবে। উল্টো দিকে, বৃত্তিসহ পড়তে এলে আপনার তেমন কষ্ট হবে না। এখানে সব নাগরিক সুবিধা হাতের কাছেই পাবেন। জীবনযাপন সহজ, সুন্দর ও সাবলীল।
৭. বৃত্তি ছাড়া পড়তে চাইলে খরচ কেমন?
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?