আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন পান।
নবম
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
Leave a Comment / By শিশুক / February 15, 2022
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
লেখক পরিচিতি :
নাম মোতাহের হোসেন চৌধুরী।
জন্ম পরিচয় জন্ম তারিখ : ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ।
জন্মস্থান : কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার কাঞ্চনপুর গ্রাম।
শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ পাস করেন।
পেশা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন।
সাহিত্যিক পরিচয় ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘শিখা’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর লেখায় মননশীলতা ও চিন্তার স্বচ্ছন্দ প্রকাশ ঘটেছে। গদ্যে প্রমথ চৌধুরীর প্রভাব লক্ষণীয়। মূলত গদ্যকার হলেও বেশ কিছু কবিতাও রচনা করেন।
উল্লেখযোগ্য রচনা প্রবন্ধগ্রন্থ : সংস্কৃতি কথা (লেখকের মৃত্যুর পর প্রকাশিত এ গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের মননশীল প্রবন্ধ ধারায় একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন)।
অনুবাদগ্রন্থ : সভ্যতা (ক্লাইভ বেল-এর সিভিলাইজেশন-এর অনুবাদ), সুখ (বার্ট্রান্ড রাসেল-এর কংকোয়েস্ট অব হ্যাপিনেস-এর অনুবাদ)।
মৃত্যু ১৯৫৬ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর
১. মানুষের অন্ন-বস্ত্রের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে কোন দিকে লক্ষ রেখে? ছ
ক. অর্থনৈতিক মুক্তির খ. আত্মিক মুক্তির
গ. চিন্তার স্বাধীনতা ঘ. বুদ্ধির স্বাধীনতা
২. আত্মিক মৃত্যু বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
র. স্বাভাবিক মৃত্যু রর. নৈতিক অধঃপতন
ররর. মূল্যবোধের অবক্ষয়
নিচের কোনটি সঠিক? ছ
ক. র ও রর খ. রর ও ররর
গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শুকুর মিয়া তার স্কুল-পড়–য়া ছেলেকে ব্যবসায়ের কাজে নিয়োজিত করেন। তিনি মনে করেন টাকাই জীবনের মূল। দুনিয়াতে যার যত টাকা সে তত বেশি সুখী।
৩. মোতাহের হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টিতে উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার মাঝে প্রাধান্য পেয়েছেÑ
র. ক্ষুৎপিপাসা রর. আত্মার অমৃত ররর. অর্থলিপ্সা
নিচের কোনটি সঠিক? জ
ক. র ও রর খ. রর ও ররর
গ. র ও ররর ঘ. র, রর ও ররর
৪. শুকুর মিয়ার মানসিকতা পরিবর্তন হতে পারে যদি তিনিÑ চ
ক. অর্থলিপ্সাকে জীবন-সাধনা মনে না করেন
খ. শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিককে গুরুত্ব দেন
গ. অর্থচিন্তার নিগড়ে সর্বদা বন্দি থাকেন
ঘ. অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়ে মুক্তিকে বড় করে না দেখেন
সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সুমন ও শ্যামল বাল্যবন্ধু। দুজনই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। পেশাগত জীবনে সুমন বড় ব্যবসায়ী। গাড়ি, বাড়ি, টাকা-কড়ি কোনো কিছুরই অভাব নেই তার। সবাই তাকে এক নামে চেনে। আর শ্যামল শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। গত সিডরে তাদের গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। অথচ সুমন ছুটে এসে সাহায্যের বদলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনে নেয়।
ক. মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী কয়টি উপায়ের কথা বলেছেন?
খ. আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন?
গ. উদ্দীপকের সুমনের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত’ ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশে−ষণ করো।
১ এর ক নং প্র. উ.
ক্ষ মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে দুইটি উপায়ের কথা বলেছেন।
১ এর খ নং প্র. উ.
ক্ষ প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ জীবসত্তা থেকে মুক্তি পায় না বলে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।
লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী তাঁর ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত’¡ প্রবন্ধে মানুষের মাঝে দুটি সত্তার কথা বলেছেন। একটি জীবসত্তা আরেকটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই জীবসত্তা থেকে একজন মানুষ মানবসত্তায় উপনীত হয়। মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি প্রয়োজন। তাই জীবসত্তা থেকে মুক্তি ছাড়া আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।
১ এর গ নং প্র. উ.
ক্ষ উদ্দীপকের সুমনের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের জীবসত্তা অর্জনের দিকটি প্রতিফলিত।
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধ অনুযায়ী জীবসত্তা থেকে মানবসত্তায় উত্তরণের মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষাই মানুষকে শেখায় কী করে জীবনকে উপভোগ করতে হয়। জীবনে অন্নচিন্তা বা অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি পেতে হবে এ কথা সত্য। কিন্তু অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়। জীবনের প্রকৃত মর্মার্থ বুঝতে না পারলে মানবজীবনে শিক্ষা কোনো বৃহত্তর কল্যাণ সাধন করতে পারে না। জীবনের প্রকৃত সাধনা হচ্ছে মনুষ্যত্ব অর্জন। জীবনে মুক্তি অর্জনের জন্য দুটি উপায় অবলম্বন করতে হয়। একটি অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি আরেকটি হচ্ছে শিক্ষাদীক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়ার সাধনা।
উদ্দীপকের সুমন উচ্চ শিক্ষিত। সে পেশায় ব্যবসায়ী ও প্রচুর বিত্ত-বৈভবের মালিক। কিন্তু সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত নিজ এলাকার মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সুমন তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি ক্রয় করে। এখানে সুমনের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই শিক্ষা তার মাঝে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে পারেনি। সে তার অর্থ সাধনাকেই জীবন সাধনা জ্ঞান করেছে। সে লোভী অর্থের মোহে অন্ধ। লোভের ফলে তার আত্মিক মৃত্যু ঘটেছে। তার দ্বারা কোনো মানবিক কাজ করা সম্ভব নয়। মানুষের দুঃখ কষ্ট আর আহাজারিতেও তার হৃদয় বিগলিত হয়নি। তাই আমরা লক্ষ করি সুমন শিক্ষিত হলেও তার মাঝে শুধু জীবসত্তার বিকাশ ঘটেছে। মনুষ্যত্ব সে অর্জন করতে পারেনি।
১ এর ঘ নং প্র. উ.
ক্ষ শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত। আর এই অপ্রয়োজনের দিকই তার শ্রেষ্ঠ দিক।
‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, অর্থচিন্তার নিগড়ে মানুষ বন্দি। ধনী-দরিদ্র সকলের মাঝে কাজ করে তার অর্থলিপ্সা। শুধু চাই, আর চাই। মানুষের মধ্যে বিদ্যমান জীবসত্তা মানুষকে অন্নচিন্তা ও অর্থচিন্তার মধ্যেই ব্যাপৃত রাখে। যাকে লেখক শিক্ষার প্রয়োজনীয় দিক বলে উল্লেখ করেছেন। আর শিক্ষা অর্জনের মধ্য দিয়ে মনুষ্যত্ব অর্জনের দিকটিকে বলা হয়েছে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিক। যাকে লেখক জীবনের শ্রেষ্ঠ দিক বিবেচনা করেছেন। শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি অর্জনই শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য। কারণ অন্ন-বস্ত্রের সমস্যাকে বড় করে দেখলে সুফল পাওয়া যাবে না।
উদ্দীপকের শ্যামল উচ্চশিক্ষিত। শিক্ষাজীবন শেষে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে শিক্ষকতাকে। সিডরে তার গ্রামটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলে শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে দুর্গত ও অসহায় মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। শ্যামলের শিক্ষা-দীক্ষা তার মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করেছিল। ফলে শ্যামল এই মানবিক উদ্যোগটি গ্রহণ করে। কিন্তু একই গ্রামের শিক্ষিত ও বাল্যবন্ধু সুমন সহায়তার হাত না বাড়িয়ে তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নেয়।
নবম
আজ তোমাদের জন্য জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো কপোতাক্ষ নদ ৪৮. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার শেষ ছয় চরণের অন্ত্যমিল বিন্যাস...
আজকের পত্রিকা / শিক্ষা জগৎ
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র
আতাউর রহমান সায়েম সহকারী শিক্ষক, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
১০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
আজ তোমাদের জন্য জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো
কপোতাক্ষ নদ
৪৮. 'কপোতাক্ষ নদ' কবিতার শেষ ছয় চরণের অন্ত্যমিল বিন্যাস কোনটি?
উত্তর : গঘগঘগঘ।
৪৯. কপোতাক্ষ নদ সাগরকে কী দেয়?
উত্তর : জলরূপ কর।
৫০. 'নিশা'- অর্থ কী?
উত্তর : রাত্রি।
৫১. ্তুঝড়হহবঃ, শব্দটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?
উত্তর : ইতালি শব্দ ্তুঝড়হহবঃঃড়্থ.
৫৩. ্তুঝড়হহবঃঃড়্থ-এর অর্থ কী?
উত্তর : মৃদু ধ্বনি।
৫৪. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত তারিখে পরলোক গমন
করেন?
উত্তর : ১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জুন।
৫৫. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কার অনুসরণে চতুর্দশপদী কবিতাবলি/সনেট রচনা করেন?
উত্তর : ইতালির কবি পেত্রার্ক এবং ইংল্যান্ডের কবি উইলিয়াম শেক্সপিয়র।
৫৬. মাইকেল মধুসূদন রচিত ও প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: ঈধঢ়ঃরাব খধফু (১৮৪৯ সালে)।
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১। আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন?
উত্তর : প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ জীবসত্তা থেকে মুক্তি পায় না বলে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।
লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার 'শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব' প্রবন্ধে মানুষের মাঝে দুটি সত্তার কথা বলেছেন।
একটি জীবসত্তা, আরেকটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই জীবসত্তা থেকে একজন মানুষ মানবসত্তায় উপনীত হয়। মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি প্রয়োজন। তাই জীবসত্তা থেকে মুক্তি ছাড়া আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।
\হ
২। 'অর্থচিন্তার নিগড়ে সকলে বন্দি' বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর : 'অর্থচিন্তার নিগড়ে সকলে বন্দি' বলতে আমাদের জগৎ সংসারে সবাই জীবনটাকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পার করার চিন্তায় ব্যস্ততা বোঝানো হয়েছে।
পৃথিবীতে সবারই চাহিদা অসীম। তাই সহজেই কেউ তৃপ্ত হতে পারে না। এ জন্য সবাই অর্থের পেছনে ছোটে। জীবসত্তার প্রয়োজন মেটাতে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু শুধু অর্থের পেছনে না ছুটে আমাদের মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য মানবসত্তার চর্চাও করা প্রয়োজন। এ জন্য শিক্ষা অর্জনে আগ্রহী হতে হবে। কিন্তু জীবসত্তার প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে মানুষ অর্থচিন্তার শিকল থেকে মুক্ত হতে পারে না। এটি বোঝানোর জন্যই লেখক প্রশ্নোক্ত মন্তব্যের অবতারণা করেছেন।
৩। 'কারারুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষের মূল্য কতটুকু?' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিতে কারারুদ্ধ বলতে চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা, আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত থাকাকে বোঝানো হয়েছে। শিক্ষা মানুষকে মুক্তি দেয়। কারাগারে বসে প্রচুর অন্নবস্ত্র পেলেও মানুষ মুক্তির স্বাদ পেতে চায়। শিক্ষা তেমনি অন্নচিন্তার মধ্যে থেকেও মনের মুক্তি দেয়। শিক্ষার মাধ্যমে চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা ও আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা পাওয়া যায়। কিন্তু যারা ধন-সম্পদের মধ্যে থেকেও এই শিক্ষা থেকে দূরে থাকে তাদের অবস্থা কারারুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষের মতোই। প্রশ্নে কারারুদ্ধ বলতে এ দিকটিই বোঝানো হয়েছে।
৪। মানবজীবনে শিক্ষা সোনা ফলাতে পারে না কেন?
উত্তর : অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি না পেলে শিক্ষা মানবজীবনে সোনা ফলাতে পারে না।
শিক্ষা মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধের জাগরণ ঘটায়। কিন্তু জীবনসত্তার প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে মানুষ শিক্ষার প্রকৃত মর্মার্থ অনুধাবনে ব্যর্থ হয়। জীবসত্তার প্রয়োজনে মানুষ সবসময় অর্থচিন্তার নিগড়ে বন্দি থাকে। এই অর্থ সাধনাই যে জীবন সাধনা নয়, এ কথাটি অনুধাবনে ব্যর্থ হলে শিক্ষা মানবজীবনে সোনা ফলাতে পারে না।
৫। শিক্ষার আসল কাজ কী? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : শিক্ষার আসল কাজ হলো মূল্যবোধ সৃষ্টি। জ্ঞান পরিবেশন করা শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য নয়। শিক্ষার মূল কাজ হলো মানুষকে মনুষ্যত্বলোকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। অন্নবস্ত্রের সমস্যা সমাধান হলেই মানবজীবনের প্রকৃত উন্নয়ন হয় না। এ জন্য প্রয়োজন চিন্তা, বুদ্ধি ও আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা। শিক্ষার মাধ্যমেই আমরা এ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারি। মূল্যবোধের জাগরণ ঘটিয়ে শিক্ষা আমাদের সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। আর এটিই শিক্ষার আসল কাজ।
৬। 'অপ্রয়োজনের দিকই তার শ্রেষ্ঠ দিক'- বলতে প্রাবন্ধিক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর : 'অপ্রয়োজনের দিকই তার শ্রেষ্ঠ দিক' বলতে শিক্ষার মাহাত্ম্যের কথা বোঝানো হয়েছে।
মোতাহের হোসেন চৌধুরী 'শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব' প্রবন্ধে মানবজীবনের উন্নয়নে শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। অন্নবস্ত্রের সমস্যা সমাধানে শিক্ষার যেমন ভূমিকা আছে, তেমনি মানবিক মূল্যবোধ গঠনেও শিক্ষার ভূমিকা আবশ্যকীয়। প্রাবন্ধিক শিক্ষার প্রথম ভূমিকাটিকে বলেছেন প্রয়োজনের আর দ্বিতীয়টিকে অপ্রয়োজনের।
শিক্ষার অপ্রয়োজনের এই দিকটি মানুষকে জীবন উপভোগ করতে শেখায়, মনুষ্যত্বলোকের সাথে মানুষের মিলন ঘটিয়ে দেয়। এটি ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়ার কোনো উপায় নেই। লেখক তাই শিক্ষার অপ্রয়োজনের দিকটিকেই শ্রেষ্ঠ দিক বলেছেন।
৭। অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি কেন?
উত্তর : মানবজীবনে শিক্ষার সুফল লাভের জন্য অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি লাভ করা জরুরি।
'শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব' প্রবন্ধে মোতাহের হোসেন চৌধুরী মানবজীবনের উন্নয়নের নানান দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। তার মতে, অধিকাংশ মানুষই অর্থচিন্তা অর্থাৎ অন্নচিন্তায় নিমগ্ন। এর ফলে তাদের জীবনের উপরের তলা অর্থাৎ মনুষ্যত্বের ঘরটির দশা নিতান্তই শোচনীয়। কিন্তু অর্থ সাধনা জীবন সাধনা নয়, এটি মানুষকে বুঝতে হবে। তা না হলে শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান কোনো কাজেই আসবে না। মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর জন্য অর্থচিন্তা থেকে মানুষের মুক্তি অত্যন্ত জরুরি।
সর্বশেষ জনপ্রিয় ১
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও নারীর উন্নয়ন
২
সুলতানা রাজিয়া :ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর SSC Bangla 1st Paper Golpo Shikkha O Monusotto Srijonshil Question and Answer
Mar 6, 2023 Home About Privacy Contact
SSC Exam Routine 2023২০২৩ শিক্ষাবর্ষের সকল পাঠ্যপুস্তক
প্রাথমিক স্তরের সকল বই
মাধ্যমিক স্তরের সকল বই
মাদ্রাসা বোর্ডের সকল বই
এসএসসি গাইড এইচএসসি গাইড
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রস্তুতি
সাধারণ জ্ঞান ইংরেজি ২য় পত্র বাংলা ২য় পত্র
Latest:
English 2nd Paper
14+ Right form of Verbs Practice Exercises with Answers
English 2nd Paper
49+ Transformation of Sentences Practice Exercises with Answers
English 2nd Paper
50+ Narration Practice Exercises with Answers
English 2nd Paper
190+ WH Question Practice Exercises with Answers
English 2nd Paper
300+ Synonym And Antonym Practice Exercises with Answers
English 2nd Paper
155+ Suffix and Prefix Practice Exercises with Answers
English 2nd Paper
39+ Tag Questions Practice Exercises with Answers
English 2nd Paper
60+ Voice Change Practice Exercises with Answers
English 2nd Paper
33+ Punctuation and Capitalization Practice Exercises with Answer
Article Model Test Question
29+ Article Practice Exercises with Answers
২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচী
Thursday, July 7, 2022
Home SSC বাংলা ১ম পত্র গাইড শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর SSC Bangla 1st Paper Golpo Shikkha O Monusotto Srijonshil Question and Answer
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর SSC Bangla 1st Paper Golpo Shikkha O Monusotto Srijonshil Question and Answer
SSC বাংলা ১ম পত্র গাইড,
নবম-দশম শ্রেণি বাংলা ১ম পত্র গাইড গল্প/গদ্য
শিক্ষা ও মনুষ্যত্বমোতাহের হোসেন চৌধুরীSSC Bangla 1st Paper GolpoShikkha O Monusotto Srijonshil
Question and Answer৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা ১ম পত্র গাইড শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Shikkha O Monusotto Golpo Srijonshil Question-Answer
১নং সৃজনশীল প্রশ্নঃনিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃসুমন ও শ্যামল বাল্যবন্ধু। দুজনই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। পেশাগত জীবনে সুমন বড় ব্যবসায়ী। গাড়ি, বাড়ি, টাকা-কড়ি কোনো কিছুরই অভাব নেই তার। সবাই তাকে এক নামে চেনে। আর শ্যামল শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। গত সিডরে তাদের গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এ সময় শ্যামল তার ছাত্রদের নিয়ে ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়। তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। অথচ সুমন ছুটে এসে সাহায্যের বদলে অসহায় মানুষদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি কিনে নেয়।
ক. মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী কয়টি উপায়ের কথা বলেছেন?
খ. আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না কেন?
গ. উদ্দীপকের সুমনের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘শ্যামলের কাজে শিক্ষার অপ্রয়োজনীয় দিকটি উপস্থিত’ ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: কক্ষ মানবজীবনে মুক্তির জন্য মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধে দুইটি উপায়ের কথা বলেছেন।
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: খক্ষ প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ জীবসত্তা থেকে মুক্তি পায় না বলে আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।
✍ লেখক মোতাহের হোসেন চৌধুরী তাঁর ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব' প্রবন্ধে মানুষের মাঝে দুটি সত্তার কথা বলেছেন। একটি জীবসত্তা আরেকটি মানবসত্তা বা মনুষ্যত্ব। একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই জীবসত্তা থেকে একজন মানুষ মানবসত্তায় উপনীত হয়। মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি প্রয়োজন। তাই জীবসত্তা থেকে মুক্তি ছাড়া আত্মার অমৃত উপলব্ধি করা যায় না।
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: গক্ষ উদ্দীপকের সুমনের মাঝে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের জীবসত্তা অর্জনের দিকটি প্রতিফলিত।
✍ শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব প্রবন্ধ অনুযায়ী জীবসত্তা থেকে মানবসত্তায় উত্তরণের মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষাই মানুষকে শেখায় কী করে জীবনকে উপভোগ করতে হয়। জীবনে অন্নচিন্তা বা অর্থচিন্তা থেকে মুক্তি পেতে হবে এ কথা সত্য। কিন্তু অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়। জীবনের প্রকৃত মর্মার্থ বুঝতে না পারলে মানবজীবনে শিক্ষা কোনো বৃহত্তর কল্যাণ সাধন করতে পারে না। জীবনের প্রকৃত সাধনা হচ্ছে মনুষ্যত্ব অর্জন। জীবনে মুক্তি অর্জনের জন্য দুটি উপায় অবলম্বন করতে হয়। একটি অন্নবস্ত্রের চিন্তা থেকে মুক্তি আরেকটি হচ্ছে শিক্ষাদীক্ষার মাধ্যমে মনুষ্যত্বের স্বাদ পাওয়ার সাধনা।
✍ উদ্দীপকের সুমন উচ্চ শিক্ষিত। সে পেশায় ব্যবসায়ী ও প্রচুর বিত্ত-বৈভবের মালিক। কিন্তু সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত নিজ এলাকার মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সুমন তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে নামমাত্র মূল্যে বিঘার পর বিঘা জমি ক্রয় করে। এখানে সুমনের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই শিক্ষা তার মাঝে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে পারেনি। সে তার অর্থ সাধনাকেই জীবন সাধনা জ্ঞান করেছে। সে লোভী অর্থের মোহে অন্ধ। লোভের ফলে তার আত্মিক মৃত্যু ঘটেছে। তার দ্বারা কোনো মানবিক কাজ করা সম্ভব নয়। মানুষের দুঃখ কষ্ট আর আহাজারিতেও তার হৃদয় বিগলিত হয়নি। তাই আমরা লক্ষ করি সুমন শিক্ষিত হলেও তার মাঝে শুধু জীবসত্তার বিকাশ ঘটেছে। মনুষ্যত্ব সে অর্জন করতে পারেনি।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?