আমার জন্য আমার আল্লাহই যথেষ্ট
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে আমার জন্য আমার আল্লাহই যথেষ্ট পান।
[9] At
১২৯. অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে আপনি বলুন, 'আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই(১)। আমি তারই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহাআরশের(২) রব।
কোন ভুল থাকলে সেটি রিপোর্ট করার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন।
লগইন করুন
৯ সূরাঃ আত-তাওবা | At-Tawba | سورة التوبة - আয়াত নং - ১২৯ মাদানী
৯ : ১২৯ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَقُلۡ حَسۡبِیَ اللّٰهُ ۫٭ۖ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ؕ عَلَیۡهِ تَوَکَّلۡتُ وَ هُوَ رَبُّ الۡعَرۡشِ الۡعَظِیۡمِ ﴿۱۲۹﴾
অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব’। আল-বায়ান
এ সত্ত্বেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে বলে দাও- আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তাঁর উপরই আমি ভরসা করি, তিনি হলেন মহান আরশের মালিক। তাইসিরুল
অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে তুমি বলে দাওঃ আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া অন্য কেহ মা‘বূদ নেই, আমি তাঁরই উপর নির্ভর করছি, আর তিনি হচ্ছেন অতি বড় আরশের মালিক। মুজিবুর রহমান
But if they turn away, [O Muhammad], say, "Sufficient for me is Allah; there is no deity except Him. On Him I have relied, and He is the Lord of the Great Throne." Sahih International
১২৯. অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে আপনি বলুন, 'আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ নেই(১)। আমি তারই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহাআরশের(২) রব।
(১) অর্থাৎ আপনার যাবতীয় চেষ্টা-তদবীরের পরও যদি কিছু লোক ঈমান গ্রহণে বিরত থাকে, তবে ধৈর্য ধরুন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। কারণ নবীগনের সমস্ত কাজ হল স্নেহ-মমতা ও হামদর্দির সাথে আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকা, তাদের পক্ষ থেকে অবজ্ঞা ও যাতনার সম্মুখীন হলে, তা আল্লাহর প্রতি সোপর্দ করা এবং তাঁরই উপর ভরসা রাখা।
(২) আরশ সম্পর্কে আলোচনা সূরা আল-আ’রাফের ৫৪ নং আয়াতে চলে গেছে।
তাফসীরে জাকারিয়া
(১২৯) অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়,[1] তবে তুমি বলে দাও, ‘আমার জন্য তো আল্লাহই যথেষ্ট।[2] তিনি ছাড়া অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই। আমি তাঁরই উপর নির্ভর করেছি, আর তিনি হচ্ছেন অতি বড় আরশের মালিক।’ [3]
[1] অর্থাৎ, তোমার নিয়ে আসা শরীয়ত ও রহমতের দ্বীন থেকে।
[2] যিনি আমাকে কাফের ও অস্বীকারকারীদের চক্রান্ত থেকে বাঁচিয়ে নেবেন।
[3] প্রকাশ থাকে যে, এই আয়াত পড়লে আল্লাহ সকল দুশ্চিন্তা ও সমস্যার জন্য যথেষ্ট হন-- এ হাদীসটি জাল।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান
আল্লাহতায়ালার রহমতে আশ্রয় লাভের দোয়া
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ উচ্চারণ: ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল।’ অর্থ: ‘আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই উত্তম
আল্লাহতায়ালার রহমতে আশ্রয় লাভের দোয়া
ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৬
AddThis Sharing Buttons
Share to Twitter Share to LinkedIn Share to WhatsApp Share to Messenger Share to Facebook Share to Copy Link
’ -সূরা আল ইমরান : ১৭৩
উত্তম সাহায্যকারী কে: বর্ণিত আয়াতে আল্লাহতায়ালার ওপর ভরসা করার বিষয়ে বলা হয়েছে। আল্লাহর ওপর ভরসা করার নানা পর্যায় রয়েছে। কেউ মুখে মুখে ভরসার কথা বলে, কেউ সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের ভরসা করে, কেউ-বা সর্বদাই সব কাজে আল্লাহর ওপর ভরসা করে। এটি তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ পর্যায়।আল্লাহর ওপর যার আস্থা যত বেশি, তার সফলতার পরিপূর্ণতা তত বেশি। তাওয়াক্কুল একটি গুণ, একটি ইবাদত। এটি অর্জন ছাড়া ঈমান অসম্পূর্ণ থাকে। সে কারণে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ওপর তাওয়াক্কুল করা যায় না। মৃত বা জীবিত কোনো ওলি-আল্লাহ, পীর-বুজুর্গ, নবী-রাসূলের ওপর ভরসা করা শিরক। আর শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় জুলুম।
আমল: বর্ণিত আয়াতাংশটি বেশি বেশি পাঠে আল্লাহর ওপর ভরসা দৃঢ় হয়। প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর এ আয়াত কয়েকবার পাঠ করার ফজিলত অনেক বেশি। আর এ কথা প্রমাণিত যে, আল্লাহর ওপর ভরসাকারীই প্রকৃত মুমিন ও সঠিক পথপ্রাপ্ত সফল ব্যক্তি।আল্লাহর ওপর ভরসা করার কারণে কঠিন বিপদও মোকাবেলা সহজ হয়। ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) হলো- ঈমানের অর্ধেক। আর দ্বিতীয় অর্ধেক হলো- আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া।
কোরআনে কারিমে তাওয়াক্কুল ৯ বার, বহুবচনে মুতাওয়াক্কিল ৪ বার, বিভিন্ন ক্রিয়াপদে ৩৩ বার এবং ওয়াকিল ২৪ বার ব্যবহৃত হয়েছে।
ইসলামি শরিয়তে তাকদিরে বিশ্বাস রাখা ওয়াজিব। তাই তাকদিরে বিশ্বাস রাখার পাশাপাশি চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সফল হলে যে কোনো ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা আদায় করতে হবে। আর সফল না হলে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
প্রচেষ্টা ও তাওয়াক্কুল উভয়টাই থাকতে হবে। তাকদিরের দোহাই দিয়ে রোগ হলে চিকিৎসা না করা, শত্রুর হাত থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা না করা ইসলামসম্মত নয়।
আয়াতের শিক্ষা : বর্ণিত আয়াতের শিক্ষা হলো, সর্বাবস্থায় আল্লাহর ওপর ভরসা করা এবং আল্লাহকে নিজেদের জন্য যথেষ্ট মনে, আল্লাহকে সব শক্তির উৎস মনে করা। এ ছাড়া এই আয়াতের আরও শিক্ষণীয় বিষয় হলো, শত্রুপক্ষের অনুপ্রবেশ এবং আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তাদের ছড়িয়ে দেওয়া প্রচারণা সম্পর্কে সাবধান থাকা, শত্রুরা যত বেশিসংখ্যক কিংবা শক্তিশালী হোক না কেন- আল্লাহর ক্ষমতা তার চেয়েও বেশি- এমন বিশ্বাস মনে দৃঢ় রাখা।আসলে, দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি নিতান্ত অনিচ্ছায় এবং প্রস্তুতি বা আগ্রহ ছাড়া কোনো কাজ সম্পন্ন করে, তবে সে কাজের কোনো মূল্য নেই। তদ্রুপ যার মধ্যে খোদাভীরুতা নেই এবং সৎকাজের ইচ্ছাও নেই- সে যুদ্ধে অংশ নিলেও তা হবে মূল্যহীন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৬
এমএ/
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুনবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ইসলাম বিভাগের সর্বোচ্চ পঠিত
বসুন্ধরার সহযোগিতায় ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন ২৪ মুসল্লি
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল পড়ার ফজিলত
মানুষের অবস্থা সব সময় অনুকূলে যায় না। কখনো ভালো যায়, কখনো খারাপ সময় ধেয়ে আসে। তাই যেকোনো বিপদে মুক্তির জন্য...
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল পড়ার ফজিলত
ধর্ম ডেস্ক
১৯ মে ২০২২, ১০:০২ এএম
113 Shares
প্রতীকী ছবি
মানুষের অবস্থা সব সময় অনুকূলে যায় না। কখনো ভালো যায়, কখনো খারাপ সময় ধেয়ে আসে। তাই যেকোনো বিপদে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা চাই। তাহলে আল্লাহ তাআলা বিপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং শান্তিতে রাখবেন।
যেকোনো বিপদের সম্মুখীন হলে উল্লিখিত দোয়া বেশি বেশি পড়তে পারেন। এটি আলে ইমরানের ১৭৩ নম্বর আয়াত এবং সুরা আনফালের ৪০ নম্বর আয়াতের (আবার সুরা হজের ৭৮ নম্বর আয়াত) অংশের মিলিত রূপ।
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ، نِعْمَ الْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ النَّصِيرُ
উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান-নাসির’অর্থ : আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক; আল্লাহ তাআলাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।আশা করা যায়, আয়াতগুলো পড়ে দোয়া করলে অবশ্যই সেই দোয়া কবুল হবে। যেকোনো অন্যায়-অত্যাচার-অবিচারের শিকার হলে অথবা অন্যায়ভাবে কারাবন্দি থাকলে নিচে উল্লিখিত আয়াতটি বেশি বেশি পড়বে। সঙ্গে আল্লাহ তায়ালার দরবারে আন্তরিকভাবে মুক্তির জন্য দোয়া করবে, তাতে ইনশা আল্লাহ মুক্তি মিলবে।
যেভাবে এই দোয়াটি মিল পেয়েছে...
‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল’-অংশটি কোরআনের আয়াত। এটি পড়ার কথা পবিত্র সহিহ হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হলো এবং রাসুল (সা.) (মুশরিকদের হামলা হবে এমন খবর শুনে হামরাউল আসাদে) উক্ত দোয়াটি পাঠ করেন (বুখারি, হাদিস : ৪৫৬৩; আলে ইমরান, আয়াত : ১৭৩)
এছাড়াও আল্লাহর রাসুল (সা.) এই বিশেষ দোয়াটি পাঠ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৩; আল-আহাদিস আস-সাহিহা : ১০৭৯)
আর ‘নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান নাসির’ অংশটিও কোরআনের আয়াত; আল্লাহর প্রশংসাসূচক। (সুরা আনফাল, আয়াত : ৪০; সুরা হজ, আয়াত : ৭৮)
আরও পড়ুন : আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম কখন পড়তে হয়?
এটি যেকোনো দোয়ার সঙ্গে যুক্ত করে পাঠ করা যায়, এতে কোনো বাধা নেই। যেকোন দুঃখ, কষ্ট, বিপদ, দুশ্চিন্তায় আল্লাহর উপরে পূর্ণ তাওয়াক্কুল প্রকাশের জন্য এখানে উল্লেখিত উপরোক্ত ইসলামিক দোয়া পাঠ করা যায়। আর এর ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে।
বিপদে আল্লাহর সাহায্য লাভের দোয়া
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, কিয়ামতের বর্ণনা শুনে সাহাবারা ভীত হলে রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তে বলেন। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৪৩১)
আরবি :حسبُنا اللَّهُ ونعمَ الوَكيلُ على اللَّهِ توَكَّلنا
উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল— আলাল্লাহি তাওয়াক্কালনা।অর্থ : মহান আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধানকারী। আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম।দোয়া ফজিলত
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?