if you want to remove an article from website contact us from top.

    আসল হীরা চেনার উপায় কি

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে আসল হীরা চেনার উপায় কি পান।

    খাঁটি হীরা চেনার ৫ উপায়

    যে কোনও উজ্জ্বল-চকচকে পাথর মানেই কিন্তু হীরা নয়। কিন্তু কি করে চিনবেন আসল হীরা? এর সঠিক উত্তর দিতে পারেন কেবল মাত্র একজন রত্নবিশেষজ্ঞ বা জেমোলজিস্ট। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বিখ্যাত রত্নবিশেষজ্ঞ রেনি

    খাঁটি হীরা চেনার ৫ উপায়

    সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮ , ৮:৫৩ অপরাহ্ণ

    বিষয়বস্তু: লাইফ স্টাইল

    যে কোনও উজ্জ্বল-চকচকে পাথর মানেই কিন্তু হীরা নয়। কিন্তু কি করে চিনবেন আসল হীরা? এর সঠিক উত্তর দিতে পারেন কেবল মাত্র একজন রত্নবিশেষজ্ঞ বা জেমোলজিস্ট। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বিখ্যাত রত্নবিশেষজ্ঞ রেনি হির্চ জানিয়েছেন আসল হীরা চেনার কিছু কৌশল। অনেকেই হীরার গয়না কেনেন। সব সময় নামী ব্র্যান্ডের দোকান থেকে কেনা না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আসল হীরা চেনার এই কৌশলগুলি জানা থাকলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

    ১) শিরিষ কাজগ দিয়ে ঘষা: এটা খুব সহজ একটি পদ্ধতি। হীরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্ত বস্তু। কোনও কিছু দিয়েই একে ঘষে মসৃণ করা যাবে না। কিন্তু যদি কৃত্রিম হীরা হয় তাহলে এতে শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘষলেই তাতে দাগ পড়বে।

    ২) আলোর প্রতিফলন দেখা: আসল হীরা যে ভাবে আলোর প্রতিফলন ঘটায় তা সত্যিই অপূর্ব! হীরাতে আলো ফেললে এর ভেতরে ধূসর ও ছাই রংয়ের আলোর ছটা দেখা যাবে যাকে বলা হয় ‘ব্রিলিয়ান্স’। আর বাইরের দিকে প্রতিফলিত হবে রামধনুর রঙের, যাকে বলা হয় ‘ফায়ার’। কিন্তু নকল হীরার ক্ষেত্রে পাথরের ভেতরেই রামধনু রং দেখতে পাওয়া যাবে। মানুষের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, হীরা রামধনু রং প্রতিফলিত করে। কিন্তু খাঁটি হীরার প্রতিফলনে বেশির ভাগই ধূসর ভাব থাকে।

    ৩) এর প্রতিসরণের বৈশিষ্ট্য: হীরার এত চকচকে হওয়ার কারণ হল, এর প্রতিসরণের বৈশিষ্ট্য। এই পাথরটি যে পরিমাণ আলো ধরে রাখতে পারে, তা কাঁচ, কোয়ার্টজ বা ত্রিকোণাকৃতি জিরকোনিয়ামও করতে পারে না। একটি আসল হীরা যদি পত্রিকার ওপর রাখেন, তবে এর ভেতরে পত্রিকার কালো রংয়ের লিখার কোনো প্রতিসরণ ঘটবে না। কিন্তু হীরা যদি নকল হয়, সেক্ষেত্রে তার মধ্যে কালো লেখার কোনও অক্ষর দেখা যেতে পারে।

    ৪) নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: পাথরটিতে মুখের গরম বাতাস দিন। দেখবেন সেটি কুয়াশাচ্ছন্ন (ঝাপসা) হয়ে পড়েছে (বাথরুমের আয়নায় নাক-মুখের নিঃশ্বাস ফেললে আয়নার কাঁচ যেমন ঝাপসা হয়ে যায়)। হীরাটি যদি নকল হয়, তবে খুব দ্রুত ঝাপসা ভাবটি চলে যাবে। কিন্তু আসল হীরার ঝাপসা ভাব কাটতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। কারণ, আসল হীরা একেবারেই তাপ ধরে রাখে না, তাই বাষ্প খুব দ্রুত উবে যাবে।

    ৫) লোপের ভেতর দিয়ে দেখুন: লোপ হল বিশেষ এক ধরনের ম্যাগনিফায়িং গ্লাস (আতস কাঁচ)। এটি দিয়ে হীরা বা অন্যান্য পাথর পরীক্ষা করা হয়। লোপের মাধ্যমে যখন কয়েকটি হীরা দেখবেন, তখন কয়েক ধরনের চেহারা দেখতে পারেন। কিছু পাবেন যেগুলো মোটেও নিখুঁতভাবে মসৃণ করা নয়। এগুলো দেখলে মনে হবে যে, একেবারে প্রাকৃতিক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এগুলোই আসল হীরা। কিন্তু ভুয়া হীরা একেবারে নিখুঁত ও মসৃণ হবে। দ্বিতীয়ত, সূক্ষ্মভাবে হীরার ধারগুলো দেখুন। লোপের মাধ্যমে যখন দেখবেন, তখন এর ধারগুলো বেশ ধারালো বলেই মনে হবে। কিন্তু নকল হীরার ধারগুলো গোলাকার বা মসৃণ হয়।

    print

    শেয়ার করুন

    Facebook Twitter Email WhatsApp Viber Telegram Share

    সূত্র : dmpnews.org

    Dailyhunt

    এএনএম নিউজ ডেস্ক :অতি মূল্যবান এবং অতি প্রিয় একটি পাথর ডায়মন্ড। এর অলংকারের কোন...

    anm NEWS- সবার আগে

    নিমিষেই আসল হীরা চেনার উপায়

    1182d17 shares

    এএনএম নিউজ ডেস্ক :অতি মূল্যবান এবং অতি প্রিয় একটি পাথর ডায়মন্ড। এর অলংকারের কোনো তুলনাই নেই। তাই হীরা কেনার সময় বেশ দুশ্চিন্তায় ভোগের ক্রেতারা। তাদের মনে একটাই প্রশ্ন, এটা আসল হীরা তো? এটাকে ভালো করে উল্টে-পাল্টে দেখেন। আবার কেউ মাইক্রোস্কোপের নিচে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এক পলক দেখেই আসল হীরা চিনে নেওয়ার উপায় জানিয়েছেন গেমোলজিক্যাল ইন্সটিটিউট অব আমেরিকার বিশেষজ্ঞ রাসেল শোর।

    আলোক বিচ্ছুরণের বৈশিষ্ট্য দেখুন : হীরা থেকে আলো ঠিকরে পড়ে। আলোক রশ্মি এর বক্রতলে যেভাবে পড়ে এবং বিচ্ছুরিত হয়, সে কারণেই ঝলমলে হয়ে ওঠে হীরা। কাঁচ, কোয়ার্টাজ এবং ত্রিমাত্রিক জিরকোনিয়া কিছুটা হীরার মতো আলোর বিচ্ছুরণ সৃষ্টি করে।

    কিন্তু এগুলো হীরার চেয়ে অনেক নিচে অবস্থান করে।

    আপনার হীরাটি পত্রিকায় বা বইয়ের কালো কালিতে লেখা কোনো শব্দের ওপর রাখুন। কালো রং আসল হীরের মধ্যে এলোমেলো দেখাবে, কিন্তু এটা বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে যাবে না। আসল হীরা কালো প্রতিফলন প্রতিরোধ করবে। কিন্তু নকল হীরার মধ্য দিয়ে ওই লেখা অনেকটা বোঝা যাবে। যদি কোনোভাবে হীরার মধ্য দিয়ে একটি অক্ষরকেও চিহ্নিত করতে পারেন, বুঝবেন ওটা আসল হীরা নয়।

    আলোতে যেভাবে জ্বলজ্বলে হয়ে ওঠে : হীরায় আলোর প্রতিফলন এক অনন্য ঘটনা। উন্নতমানের হীরায় আলোক রশ্মি ধরলে ধূসর ও সাদা প্রতিফলন ঘটবে। এই প্রতিফলনকে বলা হয় 'ব্রিলিয়ান্স'। আর হীরে থেকে কয়েকটি রংয়ের হালকা বিচ্ছুরণ ঘটবে। একে বলা হয় 'ফায়ার'। একটি কিউবিক জিরকোনিয়াতে আলো ফেললে হীরার চেয়ে কিছুটা কম 'ব্রিলিয়ান্স' দেখাবে। তবে এর 'ফায়ার' হবে অনেক কম। হীরার 'ফায়ার' অনেক বেশি।

    'মোসেনাইট' নামের আরেকটি পাথর আছে যা হীরার চেয়ে বেশি জ্বলজ্বলে দেখায়। এর 'ফায়ার' হীরার চেয়েও বেশি। এটা অনেকটা ডিস্কো বলের আলোক প্রতিফলনের মতো। এটা আলোর সাতটি রং চারদিক থেকেই সমানভাবে প্রতিফলিত করে।

    এখনো নিশ্চিত নন? : এরপরও যদি মনে সন্দেহ থাকে, তবে এক্সপার্টের কাছে চলে যান। গবেষণাগারে যেসব ভুয়া হীরা তৈরি করা হয়, তা অনেকেই চিহ্নিত করতে পারেন না। তাই মনে দ্বিধা নিয়ে হীরা কেনা উচিত নয়। এক্সপার্টকে দেখিয়ে কেনা উচিত।

    Dailyhunt

    : This story is auto-aggregated by a computer program and has not been created or edited by Dailyhunt. Publisher: ANM News

    এই মুহূর্তে

    ৩৬২৩টি পদ পূরণের জন্য অত প্রার্থীই নেই SSC'র হাতে

    9hr136 shares

    নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় বাংলার বুকে শিক্ষা দফতরের মোট ৩৬২৩ জনের চাকরি গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) নির্দেশে। সেই সব চাকরি হারাদের মধ্যে যেমন রয়েছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা(Teachers), তেমনি রয়েছেন স্কুলে স্কুলে কাজ করা Group-C ও Group-D'র কর্মীরাও।

    আরও পড়ুন Asianet বাংলা

    দুর্নীতিতে কুন্তলের 'গুরু' ছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অথচ স্বামীর 'অ্যারেস্ট মেমো'-ই নিতে চাইলেন না তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা

    9hr95 shares

    'আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। জেল থেকে চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।' গ্রেফতার হওয়ার পর এভাবেই সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হয়েছিলেন হুগলীর যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। জেল থেকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অর্থে তিনি যে আগে থেকেই গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষ আর তাপস মণ্ডলের কথা বলতে চেয়েছেন, তা সন্দেহ করেছেন খোদ আইনজীবীরাই।

    আরও পড়ুন

    রাস্তা বানানোর প্রচারে কত খরচ করবে রাজ্য? বিজ্ঞাপনের নথি প্রকাশ করে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু

    8hr106 shares

    'রাস্তাশ্রী' প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, এই প্রকল্পে সরকারি বরাদ্দের অধিকাংশই ব্যয় করা হচ্ছে কেবল প্রচারের জন্য।

    অভিযোগের সপক্ষে রবিবার একটি টুইট করে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতরের একটি নথি তুলে ধরেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন TV9 Bangla

    Video: 'আমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করেছেন, আপনার শিক্ষা নেই', প্রধান শিক্ষককে শাসানি তৃণমূল নেত্রীর

    2hr423 shares

    বাগদা: টেবিল চাপড়ে, আঙুল উঁচিয়ে প্রধান শিক্ষককে তৃণমূল নেত্রী প্রশ্ন, 'কার কাছে অনুমতি নিয়ে স্কুল খুলেছেন? আমার সরকারের বেতন নিয়ে তাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন?' রবিবার সকালে কনিয়াড়া যাদবচন্দ্র হাইস্কুলে দেখা গেল এমনই ছবি। যেহেতু ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটের ফলে গত শুক্রবার বন্ধ ছিল স্কুল।

    আরও পড়ুন লেটেস্ট লি

    Silicon Valley Bank Collapse: সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ে কর্মহারা হতে পারেন ১ লক্ষ মানুষ, প্রভাব পড়বে ১ ০ হাজার স্টার্টআপ

    5hr501 shares

    নিউ ইয়র্ক, ১২ মার্চ: গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশঙ্কায় রেখে দেশের ১৬তম বড় সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক (Silicon Valley Bank) পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার মুখে। সিলিকন ভ্যালি ব্য়াঙ্ক বিপর্যয়ের জেরে ১ লক্ষ মানুষ কর্মহারা বা চাকরি যেতে পারে বলে আশঙ্কা। পাশাপাশি ১০ হাজার স্টার্টআপ ব্য়াপকভাবে আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার মুখে।

    আরও পড়ুন

    লটারিতে ১৬ হাজার কোটি জিতে রতন টাটাকে টপকে গেলেন! ২০০ কোটির বাড়িই কিনে ফেললেন যুবক

    5hr119 shares ০১১৫ আরও পড়ুন

    Satish Kaushik Death : "মরতে চাই না, বাঁচাও; বংশীকার জন্য বাঁচতে হবে", শেষ মুহূর্তে আর কী বলেছিলেন সতীশ কৌশিক

    4hr104 shares

    নয়াদিল্লি : বৃহস্পতিবার ৬৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সতীশ কৌশিক। দিল্লিতে ছিলেন অভিনেতা। সেই সময় অস্বস্তি বোধ করেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ রক্ষা হয়নি। সতীশের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও তাঁর ফ্যানরা।

    দিল্লিতে অভিশপ্ত সেই রাতে সতীশ কৌশিকের সঙ্গে ছিলেন তাঁর ম্যানেজার সন্তোষ রাই।

    আরও পড়ুন

    ইউক্রেনকে এবার যুদ্ধের ট্যাঙ্ক বিক্রি করবে কাঙাল পাকিস্তান! রেগে আগুন পুতিন

    5hr15 shares

    লাহোর:দেশের মানুষ দুবেলার জায়গায় একবেলা খেয়ে বেঁচে আছে। মহিলারা রাস্তায় ভিক্ষা করছে। কিন্তু পাকিস্তানের দালালির শেষ নেই। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ইউক্রেনকে যুদ্ধের ট্যাংক পাঠাবে। টি ইউ ডি ৮০ নামক এই ট্যাংক আটের দশকে কিনেছিল পাকিস্তানি সেনা।

    আরও পড়ুন

    Baazigar Actor Siddharth Ray: বাজিগর-এর ইনস্পেক্টর করণ, ছাপিয়ে যান শাহরুখকেও! সময়ের বহু আগেই চলে যান সিদ্ধার্থ

    সূত্র : m.dailyhunt.in

    হীরা চেনার উপায় ১০টি

    হীরা চেনার উপায়গুলো বেশ সহজ। আপনি বেশ কয়েকটি উপায়ে আসল হীরা চিনতে পারবেন। আজকের এই লেখায় এরকম ১০টি উপায় বলা হবে।

    হীরা চেনার উপায় ১০টি

    by Fahima Afreen Moon 11 months ago Reading Time: 3 mins read

    A A 169 SHARES 2.8k VIEWS Share on Facebook Share on Twitter

    ইংরেজি Diamonds শব্দের বাংলা অর্থ হীরা। পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান একটি পাথর। আর তাই এই হীরা চেনার উপায় নিয়েও রয়েছে বেশ মতভেদ। আমরা অনেকেই শখের বশে হীরার অলংকার পড়ে থাকি।

    তবে আপনি যে হীরার অলংকার পড়ছেন, সেই হীরা আসল না নকল তা জানা অত্যন্ত জরুরি। আজকাল অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে, যারা নকল হীরাকে আসল বলে চালিয়ে দেয় এবং সে অনুযায়ী উচ্চ দাম দিয়ে বিক্রি করে।

    বলতে পারেন, আরে ভাই নকল হীরা তো দেখলেই চেনা যায়! আপনি এটা ভেবে থাকলে, আপনার জন্য ১ মিনিট নীরবতা। বর্তমানে বাটপাররাও অনেক টেলেন্টেড। তার বেশ চাতুরতার সাথে হীরাকে নকল করে। তাই আপনি যে হীরা কিনছেন তা আসল না নকল, তা যাচাই করা জরুরী। আজকের এই লিখায় আসল হীরা চেনায় উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

    লেখার সূচিপত্র

    হীরা চেনার উপায়

    হীরা চেনার জন্য আপনার কাকাবাবু, কিংবা ব্যোমকেশ বকশি হওয়ার দরকার, আপনি সিম্পল কিছু পদ্ধতি ইউজ করে আসল হীরা চিনতে পারেন। হীরা চেনার সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক উপায় হলো রঞ্জন রশ্মি দিয়ে যাচাই করা। কেননা হীরার ভিতর দিয়ে রঞ্জন রশ্মি যেতে পারে না। তবে এটা ছাড়াও হীরা চেনার উপায় আরও অনেকগুলো আছে, সেই তালিকা নিচে দেয়া হলো।

    ১. ফগ টেস্ট

    হীরাটি আসল না নকল তা বোঝার জন্য আপনি ফগ টেস্ট করতে পারেন। ফগ টেস্ট খুবই সিম্পল। আমরা অনেক সময় দেখি আয়নার সামনে আমরা নিঃশ্বাস নিলে তা কাঁচের উপর ঘোলা করে দেয়, এই একই কাজটি আমরা হীরা পরীক্ষা করার জন্য করতে পারি।

    প্রথমে যে হীরাটি পরীক্ষা করতে হবে, তা সামনে নিয়ে তার উপর দম ফেলুন, যদি দেখেন হীরাটি কিছুক্ষণ ঘোলা হয়ে আছে, তাহলেই বুঝবেন তা নকল হীরা। কারণ আসল হীরা কখনও বেশিক্ষণ ঘোলা থাকেনা, নিমেষেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়।

    ২. হীরার সেটিং পরীক্ষা করা

    আসল হীরা চেনার আরেকটি উপায় হল হীরাটির সেটিং পরীক্ষা করা। মনে রাখবেন আসল কখন সস্তা ধাতুতে বসানো যায় না। হীরা সবসময় সোনা, প্লাটিনাম, এসব ধাতুর উপর বসানো হয়।

    আপনি যদি দেখেন আপনার অলংকারের ধাতুটি কম দামী, কম মানসম্পন্ন, তাহলেই বুঝে নিবেন, যে পাথরটি দেখছেন তা হীরা নয়। যদি তা ঝকঝকে পাথর হয় তাহলে বুঝে নিবেন সেটি হল নকল হীরার একটি চকচকে ভার্সন: কিউবি জিরকনিয়া বা সিনথেটিক হীরা।

    ৩. জুয়েলারি লুপ ব্যবহার করা

    জুয়েলারি লুপ ইউজ করে আপনি আপনার হীরার খাঁদ পরীক্ষা করতে পারেন। যদি হীরায় কিছুটা খাঁদ মেশানো থাকে, তাহলে তা বের হয়ে যাবে। হীরাটিতে যদি প্রাকৃতিক ভাবে অসম্পূর্ণতা তাহলে তা লুপের মাধ্যমে বের হয়ে যাবে। আপনার কাছে যদি লুপ না থাকে, তাহলে দোকান থেকে ধাঁর নিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন।

    আরওকিছু লেখা

    খারাপ মানুষ চেনার উপায়

    পুলিশ ভেরিফিকেশন কি? পুলিশ ভেরিফিকেশন করার নিয়ম?

    ৪. পাথরের রিফ্রাক্টিভি পরীক্ষা করা

    আসল হীরাতে আলো সুন্দরমত রিফ্রাক্ট হয়, কিন্তু নকল পাথরে আলো রিফ্রাক্ট হয় না, আর নকল পাথর আসল পাথরের মত অতটা চকচকে ও হয়না।

    হীরা চেনার উপায়

    এই রিফ্রাক্টিভিটি পরীক্ষা করার দুইটি পদ্ধতি রয়েছে, একটি হল আপনি খবরের কাগজের উপর আপনি হীরাটি রাখুন, যদি হীরার মধ্য দিয়ে খবরের কাগজের লিখা দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে হীরাটি আসল নয়, কারণ আসল হীরার মধ্য দিয়ে আলো এমনভাবে বিকিরিত হয় যে তার মধ্য দিয়ে অন্য কোন কিছু দেখা যাওয়া সম্ভব না।

    আরেকটি পদ্ধতি হল ডট পদ্ধতি, এর মানে হল আপনি সাদা কাগজে একটি ডট আঁকবেন, তার উপর আপনার পাথরটি রাখবেন, যদি পাথরের মধ্য ডট টি দেখা যায় তাহলে বুঝবেন হীরাটি নকল, যদি আসল হয় তাহলে আপনি ডটটি স্পষ্টভাবে দেখতে পারবেন না।

    ADVERTISEMENT

    ৫. পাথরের রিফ্লেকশন পরীক্ষা করা

    পাথরের রিফ্লেকশন পরীক্ষা করে আসল বা নকল হীরা যাচাই করা একটি অভিনব পদ্ধতি। আপনি যখন রিফ্লেকশন পরীক্ষা করবেন, যদি আসল হীরা হয় তাহলে আপনি রিফ্লেশনে ধূসর রঙ্গের বিভিন্ন শেডস দেখতে পাবেন, কিন্তু যদি নকল হীরা হয় তাহলে আপনি রংধনু টাইপের রিফ্লেকশন দেখতে পাবেন। আপনি এই রিফ্লেশন টি পরীক্ষা করতে মোবাইলের টর্চ বা কলমের যে টর্চ থাকে তা ইউজ করতে পারেন।

    ৬. পাথর গরম করে পরীক্ষা করা

    হীরা আসল না নকল তা বোঝার জন্য আপনি আপনার লাইটার দিয়ে পাথরটিকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য গরম করুন, তারপর এটিকে এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানিতে ছেঁড়ে দিন, যদি নকল হয় তাহলে তা সংকুচিত হয়ে যাবে বা ভেঙ্গে যাবে। যদি আসল হয় তাহলে কিছুই হবে না। আরেকটি বিষয় হল আসল হীরা কখনও এত সহজে গরম হবেনা।

    ৭. প্রফেশনাল হীরা বিশেষজ্ঞকে দেখানো

    যারা হীরা নিয়ে কাজ করে তাদের কাছে হীরা পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ডিভাইস থাকে, তাদের কাছে হীরা হিট করার ও আলাদা যন্ত্র থাকে, তাছাড়া তারা হীরার রিফেক্টিভিটি স্পেশাল লেজার লাইট দিয়ে পরীক্ষা করে, তাদের কাছে হীরা পরীক্ষা করার মাইক্রোস্কোপ ও থাকে যার মাধ্যমে তারা নিখুঁতভাবে হীরা পরীক্ষা করতে পারে।

    এছাড়া কম্বিনেশন টেস্টার নামে একটি ডিভাইস আছে, যা দিয়ে হীরা খুব ভালমত পরীক্ষা করা যায়, আপনি চাইলে এটি অনলাইনে অর্ডার দিতে পারেন ,এটি আপনি বাসায় রাখতে পারেন, আপনি যদি হীরা বাইরে গিয়ে পরীক্ষা না করাতে চান, তাহলে আপনি বাসায় একটি কম্বিনেশন টেস্টার কিনে রাখুন।

    ৮. ওজন করা

    আসল হীরা নকল হীরা ওজনের খুব নিখুঁত পার্থক্যের মাধ্যমে বোঝা যায়, হীরার ওজন মাপার জন্য একটি সেন্সিবল স্কেল ইউজ করা হয়। নকল হীরা মূলত আসল হীরা থেকে ভারি হয়, আমরা যে সিনথেটিক হীরার কথা জানি সে হীরা আসল হীরা থেকে প্রায় ৫৫% ভারী হয়।

    ৯. আলট্রাভায়োলেট রেতে পাথর পরীক্ষা করা

    আপনি হীরা আসল কি না নকল তা অনেক সময় আলট্রাভায়োলেট রেতে পরীক্ষা করে বোঝা যায়, যদি পাথর আসল হয় তাহলে তা রের নিচে নীলাভ বর্ণ ধারণ করবে, যদি নকল হয় তাহলে সে পাথর সহজে নীলাভ বর্ণ ধারণ করবেনা।

    আসল হীরা চেনার উপায়

    ১০. এক্সরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা

    নকল হীরা সহজেই এক্সরেতে ভিসিবল হয় কিন্তু আসল হীরা হয় না, আপনি যদি এক্সরে করে আপনার পাথরের অবয়ব দেখতে পান তাহলে বুঝবেন যে আপনার হীরাটি নকল।সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি সিনথেটিক হীরা আর প্রাকৃতিক হীরার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন্‌ তবে এর জন্য আপনাকে হীরা বিশারদ হতে হবে।

    সূত্র : projuktibidda.info

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 13 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন