আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি পান।
প্রশ্ন: ১৪৫৫৯
আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি খুশী হন তখনই যখন কোন বান্দা ভুল করে গোনাহ করে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমার জন্য ফরিয়াদ করে ।গুনাহ করে ফেললে আল্লাহর কাছে ক্ষমা
প্রশ্নঃ ১৪৫৫৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়াতুবু ইলাহি কোন কোন নামাজের পরে পড়লে সাগরের ফেনার মত গুনাহ থাকলে মাপ হয়ে যায় এবং আর কোন সময় পড়তে হয়
calendar_month ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২location_on দোয়ারাবাজার
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি খুশী হন তখনই যখন কোন বান্দা ভুল করে গোনাহ করে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমার জন্য ফরিয়াদ করে ।
গুনাহ করে ফেললে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ক্ষমা প্রার্থনা নিয়ে বলেছেন, “এবং তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।” [সূরা মুযযাম্মিল ৭৩:২০]
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَٱسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۢبِكَ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۗ ١٩ ﴾ [محمد : ١٩]
অর্থাৎ তুমি ক্ষমা-প্রার্থনা কর তোমার এবং মুমিন নর-নারীদের ত্রুটির জন্য। (সূরা মুহাম্মাদ ১৯ আয়াত)
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, وَٱسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١٠٦ ﴾ [النساء : ١٠٦]
অর্থাৎ আল্লাহর কাছে তুমি ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা নিসা ১০৬ আয়াত)
আল্লাহ তাআলা সুরা নুহ-এ বলেন, ‘আর (নুহকে) বলছি, তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও; নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল। (সুরা নুহ : আয়াত ১০-১২)
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন :
مَنْ سَبَّحَ فِى دُبُرِ صَلَاةِ الْغَدَاةِ مِائَةَ تَسْبِيحَةٍ وَهَلَّلَ مِائَةَ تَهْلِيلَةٍ غُفِرَتْ لَه” ذُنُوبُه وَلَوْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ
‘‘যে ব্যক্তি সকালের (ফজরের) সলাতের পর একশত বার সুবহা-নাল্লা-হ এবং একশত বার লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ বলবে, তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে। যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমপরিমাণ হয়।[7]
(এটাই মূলত ইস্তিগফারের ফযিলত)
হাদীসে বর্ণিত এত বড় পুরস্কার পেতে হলে তাসবীহ, তাহলীলের শব্দ-বাক্যগুলো অর্থ না বুঝে বেখেয়ালে শুধু মুখে আওড়ালেই হবে না। বরং এগুলোর অর্থ বুঝে, পূর্ণ মনোযোগ সহকারে, যার নাম উচ্চারণ করা হচ্ছে তার প্রতি অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি যথাযথ ভক্তি-শ্রদ্ধা-সম্মান অন্তরে ধারণ করে উচ্চারণ করলে হাদীসে বর্ণিত পুরস্কার পাওয়ার দৃঢ় আশা করা যায়।[8]
প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে তিনবার ইস্তেগফার পড়বে।
[তাবারানী কাবীর-৮৫৪১]
استغفر الله الذي لا اله الا الا هو الحي القيوم واتوب اليه
উচ্চারণ:আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়াতুবি ইলাইহি।
অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ব্যতীত কোনো মাবুদ নাই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরন্তন; এবং আমি তাঁর কাছে ফিরে আসি। (তিরমিজি, আবু দাউদ)।
এবং এ দোয়াটি পড়লে ও ভালো হয়।
[বুখারী শরীফ-১/১১৭]
لا اله الا الله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير-اللهم لا مانع لما اعطيت ولا معطي لما منعت ولا ينفع ذا الجد منك الجد
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়াল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। আল্লাহুম্মা লা মা-নিয়া লিমা আতাইতো ওয়ালা মতিয়া লিমা মানাআতা ওয়ালা ইয়ান ফায়ু জাল যাদ্দি মেনকাল যাদ্দা।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সব প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আপনি দিলে কেউ বাঁধা দিতে পারে না। আপনি না দিলে কেউ দিতে পারে না, কেউ উপকার করতে পারে না।
আরো কিছু দোয়া কালাম আছে যা ফরজের পর সুন্নত ও নফল থাকলে সুন্নত ও নফলের পারে পড়বে। আর সুন্নত নফল না থাকলে ফরজের পরে পড়বে।
ক. আয়তুল কুরসী, একবার। (নাসাঈ-৯৮৪৮)
খ. সূরা ফালাক, সূরা নাস-তিনবার করে, এর সাথে সূরায়ে কাফিরুন ও ইখলাস মিলিয়ে নিলে ভালো। (তিরমিযী-২৯০৩)
গ. তাসবীহে ফাতেমী একবার। (অর্থাৎ ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার)।
(মুসলিম-৫৯৭)
এগুলো পাঁচ ওয়াক্তেই পড়বে। শুধু ফজর ও মাগরিবের তিনটির আগে নিচের দোয়াটি পড়বে।
ঘ. اللهم اجرني من النار সাতবার।
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার।
ঙ. সূরা আসরের শেষ তিন আয়াত একবার বিসমিল্লাহ সহ পড়বে।
(মুসনাদে আহমদ-২০৩০৬)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোঃ ইমদাদুল হক
শেয়ার / কপিপ্রসঙ্গসমূহ: বিশেষ আমলসমূহ - ওযীফা
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
১৪০৬৮
৪ রাকাআত নামাজে জামাতে আমি ২ রাকাআত পেয়েছি। বাকি ২ রাকাআতে কি সূরা মিলিয়ে ফেলি মাঝে মধ্যে এজন্য কি সাহু সেজদা দিতে হবে? ১ম বা শেষ বৈঠকে অনেক সময় দুরুদ ২ বার পড়ে ফেলি এ জন্য আমার কি করণীয়?
calendar_month ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২location_on ঢাকাউত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
১৪০৩১
হুজুর আমার জীবনে টাকার জন্য অনেক কষ্টে আছি, প্রতি পদে পদে শুধু টাকার জন্য অপমানিত হচ্ছি,,,,, এমন কোনো আমল আছে যেটা আমি নিয়মিত আমল করলে আল্লাহ তায়ালা আমাকে খুব তাডাতাডি ধনী বানিয়ে দিবেন?
calendar_month ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২location_on কক্সবাজারউত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
১৩৯৬৮
অামি একজন অবিবাহিত মেয়ে। বয়স ২৪।শহরে পড়াশোনা করেছি।যদিও অামি ওতো প্র্যাক্তিসিং মুসলিম পরিবারের না, তবে বাবা নিয়মিত নামাজ পড়েন,মাবোনও নামাজ পড়েন অালহামদুলিল্লাহ। তবে ইসলামের সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে চলাটা হয়না, বিশেষ করে পর্দাটা.. অামি ২০২০সালে দ্বীনের বুঝ পেয়েও হারায় এখন অালহামদুলিল্লাহ নিজেকে অাবার গুছিয়ে নিতে পারতেছি দ্বীনের পথে। অামার পূর্বের সমস্ত গুনাহের কথা মনে পড়ে এবং ভয় হয় অাল্লাহর শাস্তির। অামি না বুঝে অাল্লাহর জমিনে অনেক গুনাহ করে ফেলেছি এবং তওবা করার পরও বারবার একিই গুনাহে নিজেকে জড়িয়েছি। অামি এখন ক্ষমা চাই অাল্লাহর কাছে এবং নিজেকে বুঝতে পারি। দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী বলে দুনিয়ার মোহে না জড়ানোর স্বার্থ্যে একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী চাই। অাল্লাহ কি অামায় ক্ষমা করবেন অার এতো গুনাহ করা সত্ত্বেও উনি কি অামাকে দ্বীনদার জীবনসঙ্গী নসিব করবেন??জাজাকাল্লাহ
calendar_month ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২location_on ঢাকাউত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
১৩৫০৫
মানুষের বানানো ইস্তেগফার পাঠ করা অপেক্ষা সহীহ হাদিসে বর্ণিত ইস্তেগফার পাঠ করা উত্তম। সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার সহীহ হাদীস অনুযায়ী জানা আছে। কিন্তু নিন্মের কোনগুলো সহীহ হাদীস অনুযায়ী তাহা জানা নাই। যেগুলো সহীহ হাদীস অনুযায়ী নহে, সেই গুলো পাঠ করা উচিত হবে কি? (১) আস্তাগফিরুল্লাহ/ / আস্তাগফিরুল্লহ ( কোনটা সঠিক ? ) (২) আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবি ইলাহি (৩) আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলা ----- ওয়া আতুবি ইলাহি (৪) রাব্বিগফিরলী ওয়া আতুব ------ তাওয়াবুর রাহীম। (৫) আস্তাগফিরুল্লাহ ইন্নাহু কানা গাফ্ফারা। আশা করি, সঠিক ভাবে পরামর্শ / জবাব দিবেন।
ক্ষমা প্রার্থনার নিয়ম ও ৫ দোয়া
ক্ষমা প্রার্থনায় তাওবাহ বা ইসতেগফারের বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় কুরআন-সুন্নাহতে অনেক দোয়া ও ইসতেগফার রয়েছে...
ধর্ম
ক্ষমা প্রার্থনার নিয়ম ও ৫ দোয়া
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, ২২ জুন ২০২০
ক্ষমা প্রার্থনায় তাওবাহ বা ইসতেগফারের বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় কুরআন-সুন্নাহতে অনেক দোয়া ও ইসতেগফার রয়েছে। তবে পড়তে সহজ ও ব্যাপক প্রচলিত দোয়ার মাধ্যমেও ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। এমন ই ৫টি দোয়া তুলে ধরা হলো যার মাধ্যমে মুমিন মুসলমান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। আর তাহলো-
- أَستَغْفِرُ اللهَবিজ্ঞাপন
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
বিজ্ঞাপন
নিয়ম : প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।' (মিশকাত)
- أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِউচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘বিজ্ঞাপন
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।
নিয়ম : এ ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০/১০০ বার পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।' (বুখারি)- رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُবিজ্ঞাপন
উচ্চারণ : 'রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।'অর্থ : 'হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।'
নিয়ম : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।' (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)বিজ্ঞাপন
- أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِউচ্চারণ : 'আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।'অর্থ : 'আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।'
নিয়ম : দিনের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।' (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)- সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়াاللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَউচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।'অর্থ : 'হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।'
নিয়ম : সকালে ও সন্ধ্যায় এ ইসতেগফার করা। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ ইসতেগফার পড়তে ভুল না করা। কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি এ ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে।' (বুখারি)এ কারণেই কুরআন ও সুন্নাহতে বেশি বেশি তাওবাহ ইসতেগফার করার ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হয়েছে। কেননা গোনাহমুক্ত জীবনের অন্যতম উপায় হচ্ছে তাওবাহ ও ইসতেগফার করা। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-- وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّهَ يَجِدِ اللّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا'যে গোনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।' (সুরা নিসা : আয়াত ১১০)
- 'নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে অবস্থান করবে এবং তুমি কখনও তাদের জন্য সাহায্যকারী পাবে না। কিন্তু যারা তওবাহ করে ও সংশোধন হয় তারা ব্যতিত।' (সুরা নিসা : আয়াত ১৪৫-১৪৬)
- وَتُوْبُوْا إِلَى اللهِ جَمِيْعاً أَيُّهَا الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ'হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।' (সুরা নুর : আয়াত ৩১)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা নিয়মে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহ ঘোষিত নিয়মে ক্ষমা প্রার্থনায় বেশি বেশি তাওবাহ-ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম
তাওহিদ ইসলাম কুরআন হাদিস আমল দোয়া উপদেশ ইবাদত
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
আরও পড়ুন
জ্বর ও মাথাব্যাথায় যে দোয়া পড়বেন
ইসলাম
আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা (অর্থসহ)
শুক্রবার ফজরের আগে আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা উচ্চারণ যদি তিনবার বলে ‘আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হায়্যুল কায়্যুম ওয়া’
আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা (অর্থসহ)
প্রকাশক কোর্সটিকা in ধর্মকথা
A A ফেসবুকে শেয়ার করুন
পিন্টারেস্টে পিন করুন
লিংডইনে শেয়ার করুন
আসতাগফিরুল্লাহ শব্দের অর্থ কি? এর অর্থ আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। প্রতিদিন প্রতি মূহুর্তে আমরা অসংখ্য গুণাহ করি। তাই আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী ও বাংলা আমাদের জেনে রাখা জরুরি। কারণ এই দোয়ার মাধ্যমেই আমরা মহান আল্লাহ’র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারবো।
আমাদের নবিজী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে তওবা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও। আমি প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করি ও ক্ষমা চাই।’ সুতারাং বোঝাই যাচ্ছে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া কতটা জরুরি এবং আব্যশিক বিষয়। কারণ নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
গুণা মাফে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিকল্প নেই। কুরআন ও সুন্নাহ মতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার অনেক দোয়া আছে। তবে তবে পড়তে সহজ ও ব্যাপক প্রচলিত দোয়ার মাধ্যমেও ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। এমনই সর্বাধিক পঠিত একটি হচ্ছে আস্তাগফিরুল্লাহ। আজ আমরা এমনই ৫টি দোয়া তুলে ধরবো, যার মাধ্যমে আপনি একজন মুমিন মুসলমান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
আসতাগফিরুল্লাহ দোয়া আরবী বাংলা উচ্চারণ
আরবী – أَستَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’
অর্থ: আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
পড়ার নিয়ম: আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর এই দোয়াটি ৩ বার পড়তেন।আরবী – أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।’
অর্থ: ‘আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।’ (আয়াতুল কুরসি)
পড়ার নিয়ম: দিনের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ করতে পারেন। হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)আরবী – أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।
অর্থ: আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।
পড়ার নিয়ম: এ দোয়াটি প্রতিদিন ৭০/১০০ বার পড়া উচিত। নবীজী হযরত মোহাম্মদ (সা.) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।’ (বুখারি)আরবী- اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।’
পড়ার নিয়ম: সকালে ও সন্ধ্যায় এ দোয়া পাঠ করা উচিত। কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি এ ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, তবে সে জান্নাতে যাবে।’ (বুখারি)আরবী- رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।’
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।’
পড়ার নিয়ম: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)আসতাগফিরুল্লাহ এর ফজিলত
যেহেতু আল্লাহ অসীম ক্ষমাশীলতার অধিকারি, আসতাগফিরুল্লাহ দোয়ার তাই ফজিলত বা উপকারও অনেক। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘হে লোকেরা, তোমরা তোমাদের রবের কাছে তওবা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও। আমি প্রতিদিন ১০০ বার তওবা করি ও ক্ষমা চাই।’ (নাসাঈ)।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কেউ সবসময় এস্তেগফার আঁকড়ে ধরলে আল্লাহ তার প্রতিটি সংকটে পথ খুলে দেন, তাকে সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করেন এবং তাকে এমনভাবে জীবিকা দান করেন, সে ধারণাও করতে পারে না।’ (আবু দাউদ)
অপর একটি হাদীসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো বান্দা গোনাহ করে বলল, হে রব, আমি পাপ করে ফেলেছি, আমাকে ক্ষমা করো। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা জেনেছে, তার একজন রব আছে, যিনি পাপ ক্ষমা করেন এবং পাকড়াও করেন। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম।’ (বোখারি ও মুসলিম)।
হাদিসে আরও এসেছে, ‘কেউ শুক্রবার ফজরের আগে যদি তিনবার বলে ‘আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হায়্যুল কায়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি’ তবে তার গোনাহ সমুদ্রের ফেনা সমান হলেও তা ক্ষমা করে দেয়া হয়।’
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহ হাদিসে কুদসিতে বলেন, ‘হে আমার বান্দা, তোমরা দিনে- রাতে ভুল করে থাক, আর আমি সব পাপ ক্ষমা করি। তাই তোমরা আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করব।’ (মুসলিম)।
►► আরো দেখুন: আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থসহ পিকচার ডাউনলােড
তাই তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবার দিকে ধাবিত হও। তবেই আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ দেখতে পাবে; পাপ মোচন হবে; মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম! যদি তোমরা গোনাহ না করো তবে আল্লাহ তোমাদের বাদ দিয়ে এমন এক জাতি সৃষ্টি করবেন, যারা গোনাহ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, তিনি তাদের ক্ষমা করবেন।’ (মুসলিম)।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?