ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ত
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ত পান।
ইশরাকের নামাজ পড়ার সময় ও নিয়ম
নফল নামাজ ইশরাক। নফল এ নামাজ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে পড়তেন এবং অন্যদেরকেও পড়তে বলতেন। ইশরাকের নামাজের ফজিলত...
ধর্ম
ইশরাকের নামাজ পড়ার সময় ও নিয়ম
ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪০ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২২
নফল নামাজ ইশরাক। নফল এ নামাজ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে পড়তেন এবং অন্যদেরকেও পড়তে বলতেন। ইশরাকের নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা অন্য নফল নামাজের তুলনায় বেশি। কিন্তু ইশরাকের নামাজ পড়ার সময় কখন এবং তা পড়ার নিয়মই বা কী?
ইশরাক নামাজ পড়ার সময় হচ্ছে, সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে এক বর্শা পরিমাণ উদিত মধ্যাকাশে আসার আগ পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে আদায় করলে ইশরাকের নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্য উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই নামাজ আদায় করতেন না। তিনি এক বর্শা পরিমাণ সূর্য ওঠার অপেক্ষা করতেন।
বিজ্ঞাপন
নবিজি যখন ইশরাক পড়তেনএকদল ইসলামিক স্কলার বলেছেন, বর্শা মানে দেড় মিটারের মতো, আবার কেউ কেউ বলেছেন, এক মিটারের মতো। এটি সময়ের সঙ্গে পরিমাপ করলে দাঁড়ায়, সূর্য উদিত হওয়ার ১০ থেকে ১২ মিনিট পর শুরু হয়। ইশরাক নামাজ পড়া প্রসঙ্গে হাদিসের একাধিক বর্ণনা রয়েছে। তাহলো-
বিজ্ঞাপন
১. হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজর নামাজ জামাতে আদায় করার পর সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত ওখানে বসে বসেই আল্লাহর জিকির করে। তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে। তার জন্য পূর্ণাঙ্গ হজ ও ওমরার সমান সাওয়াব রয়েছে।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ পড়লো। এরপর সূর্য উঠা পর্যন্ত সেখানে বসে আল্লাহর জিকির করলো; অতপর দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়লো; সে একটি হজ ও ওমরাহ করার সওয়াব নিয়ে ফিরে গেল।’ (তাবারানি, আত-তারগিব)
৩. অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘সূর্য উঠার আগে আল্লাহর জিকির, তাকবির, তাহমিদ ও তাহলিল পাঠ করা আমার কাছে ইসমাঈল বংশের দুইজন গোলাম আজাদ করার চেয়েও অধিক প্রিয়।’ (মুসনাদে আহামদ)
বিজ্ঞাপন
হাদিসের দিকনির্দেশনা অনুসারে ফজর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সূর্য উঠার পর এ নামাজ আদায় করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ইসলামিক স্কলারদের কেউ কেউ বলেছেন সূর্য উঠার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর; আবার কেউ কেউ বলেছেন ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর এ নামাজ পড়তে হয়। আর সূর্য এক বর্শা পরিমাণ (দেড় মিটারের মতো) মধ্যাকাশের দিকে উঠা পর্যন্ত এ নামাজের ওয়াক্ত থাকে।
ইশরাক নামাজের নিয়মইশরাক অন্যান্য নামাজের মতোই দুই রাকাত করে আদায় করতে হয়। ইশরাকের নামাজের জন্য সুস্পষ্ট আলাদা কোনো নিয়ম ও নিয়ত নেই। শুধু ‘আল্লাহু আকবার’ বলে শুরু করা। আর দুই দুই রাকাত করে ৪ রাকাত নামাজ পড়া।
বিজ্ঞাপন
ইশরাকের নামাজের সুনির্দিষ্ট রাকাত সংখ্যারও উল্লেখ না থাকলেও কেউ কেউ দুই রাকাত থেকে শুরু করে আট রাকাত পর্যন্ত পড়ে থাকেন। আবার ইসলামিক স্কলারদের কেউ কেউ বলেছেন, ইশরাকের নামাজ দুই রাকাত করে ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়।
তবে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই দুই রাকাত করে ৪ রাকাত ইশরাক পড়তেন। এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল দ্বারা প্রমাণিত।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ফজরের নামাজের পর সূর্য উঠার ১৫ থেকে ২৫ মিনিট পর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে দুই দুই রাকাত করে ৪ রাকাত নামাজ আদায় করা। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণ করা।
বিজ্ঞাপন
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নির্ধারিত সময়ে সুন্নাত নিয়মে নিয়মিত ইশরাক নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম
নামাজ হাদিস বিশ্বনবি ইসলাম ইবাদত উপদেশ
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
আরও পড়ুন
যেসব নামাজ পড়লে জান্নাতে ঘর পাবেন মুমিন
নামাজ
যে সুন্নাত নামাজ সম্পর্কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন নবিজী (সা.)
নামাজ
নামাজ সময় মতো পড়তে না পারলে ‘কাজা’ আদায়ে করণীয়
নামাজ
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও নিয়ম
নামাজ
তাহাজ্জুদ নামাজে বিশ্বনবি যে দোয়া পড়তেন
ইসলাম
সালাতুত তাসবিহ পড়বেন যেভাবে
নামাজ
ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম
ইশরাক আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো আলোকিত হওয়া। সূর্য উঠার পর পৃথিবী আলোকিত হয়, তাই এই সময় হাদিসে যে নামাজের...
ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম
ধর্ম ডেস্ক
০৮ আগস্ট ২০২২, ১২:৪৬ পিএম
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় নিয়মিত ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করতেন। তাসবিহ-তাহলিল আদায় করতেন এবং সাহাবাদের নিয়ে দ্বীনি আলোচনা করতেন। এরপর সূর্য উদিত হওয়ার পর তিনি দু’রাকাত নামাজ পড়তেন।
ইশরাক নামাজের সময়তবে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এ নামাজ পড়তেন না রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বরং একটু সময় নিয়ে আদায় করতেন। হাদিসের আলোকে আলেমরা বলেন, সূর্য উঠার ১০-১২ মিনিট পর এই নামাজ আদায় করতে হয়। তবে ১৫ মিনিট পর পড়া ভালো। কেউ কেউ ২০ মিনিট পর পড়ার কথাও বলেছেন।
হজরত আবু দারদা ও আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তাঁরা বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে বানী আদম! তুমি আমার জন্য দিনের প্রথমে চার রাকাত নামাজ আদায় কর। আমি তোমার জন্যে যথেষ্ট হবো দিনের শেষ পর্যন্ত।ইশরাক নামাজের ফজিলতইশরাকের নামাজের ফজিলতের বিষয়ে আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করল এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর জিকিরে বসে থাকল; অতঃপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করল, সে একটি পরিপূর্ণ হজ ও ওমরাহর সওয়াব পাবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৫৮৬)
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দুই রাকাতের সাথে আরো দু’রাকাত নামাজ আদায় করতেন। এটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল দ্বারা প্রমাণিত। ইশরাকের নামাজের সাথে আরো দুই রাকাত নামাজ পড়লে এর ফলে বান্দার সব কাজের জিম্মাদার হয়ে যান আল্লাহ তায়ালা।
ইশরাকের নামাজের সাথে আরো দুই রাকাত নামাজের বিষয়ে হাদীসে কুদসিতে এসেছে- ‘আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন, বান্দা যদি সকালে চার রাকাত নামাজ পড়ে, সন্ধ্যা পর্যন্ত বান্দার যত কাজ আছে আমি আল্লাহ তার সকল কাজের জিম্মাদার হয়ে যাই। (জামে তিরমিযী ১/১০৮)
হজরত আবু দারদা ও আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তাঁরা বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে বানী আদম! তুমি আমার জন্য দিনের প্রথমে চার রাকাত নামাজ আদায় কর। আমি তোমার জন্যে যথেষ্ট হবো দিনের শেষ পর্যন্ত।-(তিরমিজি, ৪৭৫, আত-তারগীব, ৬৭২)
ইশরাক নামাজের নিয়মইশরাক নামাজের জন্য সুস্পষ্ট আলাদা কোনো নিয়ম ও নিয়ত নেই। অন্যান্য নামাজের মতোই দুই রাকাত করে আদায় করতে হয়। শুধু নফল অথবা ইশরাকের দুই রাকাত পড়ছি এমন নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে শুরু করলেই হবে। -(মাজমাউল ফাতাওয়া, ১১/৩৮৯)
এনটি/ নামাজ ইবাদত আমল
ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম, নিয়ত ও ফজিলত
আজ আমরা জানবো ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম, তার ফজীলত ও ইশরাকের নামাজ নিয়ে হাদিস। এটি একটি নফল নামাজ যা আদায়ের ফলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায় ও গুনাহ মাফ হয়।
ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম, নিয়ত ও ফজিলত
/ ইসলামিক, বিবাহিত জীবন / By Raunak Jahan
4.7/5 - (33 votes)
আসসালামুয়ালাইকুম পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আমরা জানবো ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম, তার ফজীলত ও ইশরাকের নামাজ নিয়ে হাদিস। এটি একটি নফল নামাজ যা আদায়ের ফলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায় ও গুনাহ মাফ হয়। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নফল নামাজও আদায় করা জরুরি। কারণ এতে অতিরিক্ত সওয়াব অর্জিত হয় ও বান্দার গুনাহ মাফ হয়ে যায়।তাই এ নামাজের ফজিলত অনেক। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি ইশরাকের নামাজ আদায় করে দুনিয়া ও আখেরাতে অধিক কল্যাণ অর্জন করা যায়।
ইশরাকের নামাজ
সালাতুত ইশরাক বা ইশরাকের নামাজ হলো একটি নফল নামাজ যা নবী করীম (সা) নিজে আদায় করতেন ও সকলকে আদায় করতে বলতেন। “ইশরাক” শব্দের অর্থ হলো আলোকিত হওয়া। সূর্য উদিত হওয়ার পর জগৎ আলোকিত হয়, তাই এ সময়ে যে নামাজ আদায় করতে হয় তাকে ইশরাকের নামাজ বলা হয়।
এ নামাজ ফজরের নামাজের পর সূর্য উঠার পর আদায় করতে হয়। অনেকের মতে সূর্য উঠার ১৫-২০ মিনিট পর এ নামাজ আদায় করতে হয় এবং সূর্য এক বর্শা বা দেড় মিটার পরিমাণ মধ্যাকাশের দিকে উঠা পর্যন্ত এর সময় থাকে। সূর্য উদিত হওয়ার পর পরই আদায় করলে সেটাকে ইশরাকের নামাজ বলে । আর আরেকটু পর আদায় করলে সেটাকে চাশতের নামাজ বলে। তাই এ দুটো একই নামাজ।
ইশরাকের নামাজ
নবী করীম (সা) ফজরের নামাজ আদায়ের পর কিছুক্ষণ দ্বীনি আলোচনা করতেন । এবং ইশরাকের নামাজের ওয়াক্ত হলে এ নামাজ আদায় করে নিতেন। এ নামাজ আদায় করতে তিনি সকলকে উৎসাহিত করতেন। ইশরাকের নামাজ সুন্নত নাকি নফল এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে বিভিন্ন হাদিসে জানা যায় এটি একটি নফল ইবাদত। ইশরাকের নামাজে কোনো কাযা নেই। এটি আদায় না করলে গুনাহ হবে না তবে এটি আদায় করলে অধিক সওয়াব পাওয়া যায়।
ইশরাকের নামাজ কত রাকাত?
হাদীসে ইশরাকের নামাজের সঠিক রাকাত সংখ্যার উল্লেখ না থাকলেও এটি দুই রাকাত থেকে আট রাকাত পর্যন্ত আদায় করা যায়। আবার কিছু ওলামায়ে কেরামগণ বলেছেন,এই নামাজ দুই রাকাত করে ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়।
তবে আমাদের রাসূল (সা) দুই রাকাত করে চার রাকাত ইশরাকের নামাজ আদায় করতেন। এজন্য সকল মুসলিম ভাই-বোনদের উচিত ফজরের নামাজের ১৫-২০ মিনিট পর দুই দুই রাকাত করে চার রাকাত ইশরাকের নামাজ আদায় করা।
ইশরাকের নামাজের নিয়ত
সালাতুল ইশরাক বা ইশরাকের নামাজের জন্য হাদিসে আলাদা কোনো নিয়ত বর্ণিত হয় নি। এজন্য এর নিয়ত আরবিতে বলা আবশ্যক নয়। তবে এ নামাজ শুরু করার আগে বাংলায় নিয়ত করে নেয়া যাবে ।
যেমন :”ইশরাকের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ক্বিবলামুখি হয়ে নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার।”
ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম
ইশরাকের নামাজ আদায় করতে হলে বিশেষ কোনো সূরা বা ক্বিরাত পড়তে হয় না। সাধারণভাবে আমরা যেমন দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ে থাকি ঠিক সেরকম ভাবেই ইশরাকের নামাজ আদায় করতে হয়।
সকলের সুবিধার্থে এই নামাজ আদায়ের ধাপগুলো বর্ণনা করা হলো:
✓ ফজরের নামাজ আদায় করার পর ওই স্থানেই বসে তাসবিহ তাহলীল পাঠ করতে হবে। চাইলে এ সময় আল্লাহর দরবারে যেকোনো দোয়া ও করা যেতে পারে।
✓ ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর নামাজ আদায় করার জন্য দাঁড়াতে হবে ও মুখে বাংলায় নিয়ত পড়ে নামাজ শুরু করতে হবে।
✓ এরপর দুই রাকাত সুন্নত নামাজের ন্যায় আদায় করতে হবে। এভাবে চার রাকাত বা এর বেশি ও পড়া যায়। অনেকে ১২ রাকাতও আদায় করে থাকেন।
উপরোক্ত নিয়মানুযায়ী সালাতুল ইশরাক আদায় করতে হয় যা অত্যন্ত কল্যাণকর।
ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম
ইশরাকের নামাজের ফজিলত
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি ইশরাকের নামাজ আদায় করা অনেক উত্তম। এ নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত বহু হাদিস রয়েছে। তাই কুরআন ও হাদীসের আলোকে এর ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
আমাদের রাসূল (সা) ফজরের নামাজ আদায়ের পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন এবং ইশরাকের নামাজ আদায় করতেন। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত।
আনাস ইবনে মালেক (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেন,” যে ব্যক্তি জামাতের সহিত ফজরের নামাজ আদায় করলো ও সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার জিকিরে মগ্ন থাকলো , অতঃপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করলো , সে একটি পরিপূর্ণ হজ্জ ঝ ও ওমরাহ পালন করার সওয়াব অর্জন করবে।” (তিরমিজি: ৫৮৬)
হজরত আবু উমামাহ (রা) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, এক নামাজের পর (ধারাবাহিক) আর এক নামাজ,যার মাঝখানে কোনো গোনাহ হয়নি, তা ইল্লিয়্যুন (উচ্চ মর্যাদায়) লেখা হয়। (আবু দাউদ)
অন্য একটি বর্ণণায় এসেছে, “সূর্য উঠার আগে আল্লাহর জিকির, তাকবির,তাহমিদ ও তাহলিল পাঠ করা আমার নিকট ইসমাইল বংশের দুজন গোলাম আজাদ করার চেয়েও অধিক প্রিয়।” (মুসনাদে আহমদ)
ইশরাকের নামাজ নিয়মিত আদায় করা উত্তম কারণ যেকোনো নফল ইবাদতই নিয়মিত পালন করা ভালো। আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক প্রিয় আমলটি হচ্ছে যে আমল নিয়মিত করা হয়ে থাকে। তাই কেউ যদি ইশরাকের নামাজ নিয়মিত আদায় করে তাহলে তা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় বলে গণ্য হবে।
কোনো নফল ইবাদত নিয়মিত আদায় করা সুন্নত। কারণ নবী করীম (সা) কোনো নফল ইবাদত করা শুরু করলে তা তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছেড়ে দেন নি। এতে প্রমাণিত হয় যে , তিনি নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেন। তাই এটি সকলের জেনে রাখা জরুরি।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?