if you want to remove an article from website contact us from top.

    কাকন বিবি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেন

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে কাকন বিবি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেন পান।

    কাঁকন বিবি

    কাঁকন বিবি

    উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

    কাঁকন বিবি

    কাঁকন বিবি

    মৃত্যু মার্চ ২১, ২০১৮

    এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট, বাংলাদেশ

    জাতীয়তা বাংলাদেশী

    অন্যান্য নাম কাঁকাত হেনিনচিতা

    নাগরিকত্ব  পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)

    বাংলাদেশ

    পরিচিতির কারণ বীরাঙ্গনা, মুক্তিযোদ্ধা

    পুরস্কার বীর প্রতীক

    কাঁকন বিবি (মৃত্যু: ২১ মার্চ, ২০১৮) ১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীরযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও গুপ্তচর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিপক্ষে মুক্তিবাহিনীর হয়ে ৫ নং সেক্টরের গুপ্তচরের কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।[১][২] যদিও এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোন গ্যাজেট প্রকাশিত হয়নি।[৩] তাই তিনি জীবদ্দশায় বীর প্রতীক হিসেবে কোনও সুযোগ-সুবিধা পাননি।[৪] তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে।[৫]

    ব্যক্তিজীবন[সম্পাদনা]

    কাঁকন বিবি, আসল নাম কাঁকাত হেনিনচিতা। তিনি মুক্তিবেটি নামে পরিচিত।উপজাতি খাসিয়া। খাসিয়া সম্প্রদায়ের এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার মূল বাড়ি ছিল ভারতের খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশের এক গ্রামে। ১৯৭০ সালে দিরাই উপজেলার শহীদ আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার নাম পরিবর্তিত হয় এবং তার নতুন নাম হয় নুরজাহান বেগম। ১৯৭১ সালের ১৬ মার্চ তিনি এক কন্যাসন্তানের (সখিনা) জন্ম দেন। কন্যাসন্তান জন্মদেবার ফলে স্বামীর সাথে তার মনোমালিন্য দেখা দেয় এবং এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মৌখিক ছাড়াছাড়ি হয়। পরবর্তীতে এপ্রিল মাসে তার সাথে ইপিআর সৈনিক মজিদ খানের বিয়ে হয়। মজিদ তখন কর্মসূত্রে সিলেট ইপিআর ক্যাম্পে থাকতেন। দুই মাস সিলেটে স্বামীর সাথে বসবাস করার পরে তিনি পূর্বের স্বামীর ঘর থেকে সখিনাকে আনতে যান। মেয়েকে নিয়ে ফিরে আসার পরে তিনি স্বামীকে না পেয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার স্বামী বদলি হয়ে দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকার কোন এক ক্যাম্পে আছেন।[১][৬]

    যুদ্ধকালীন জীবন[সম্পাদনা]

    স্বামীকে খুঁজতে বের হন তিনি। সীমান্তবর্তী ঝিরাগাঁও গ্রামে জনৈক শহীদ আলীর আশ্রয়ে শিশুকন্যাকে রেখে দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলা ক্যাম্পে যান তিনি। ১৯৭১ সালের জুন মাস তখন। পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন, তাদের বাঙ্কারে দিনের পর দিন অমানুষিকভাবে নির্যাতন করে তাকে ছেড়ে দেয় তারা। এরপরেই কাকন বিবি স্বামীকে পাবার আশা ত্যাগ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হবার তাড়না লাভ করেন। জুলাই মাসে তার সাথে দেখা হয় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দেখা করেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী তার সাথে সেক্টর কমাণ্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর শওকতের সাথে দেখা করিয়ে দেন। তার উপর দায়িত্ব পড়ে গুপ্তচর হিসেবে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করার। তিনি অসমসাহসিকতার সাথে বিভিন্ন রূপে পাকিস্তানিদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্যসংগ্রহ করেন। তার সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক সফল আক্রমণ চালান।[১]

    গুপ্তচরের কাজ করতে গিয়েই দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজারে পাক বাহিনীর হাতে পুনরায় ধরা পড়েন তিনি। এবারে একনাগাড়ে ৭ দিন পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারেরা তাকে বিবস্ত্র করে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। লোহার রড গরম করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেঁকা দেয়া হয়। মৃত ভেবে অজ্ঞান কাকন বিবিকে পাক বাহিনী ফেলে রেখে যায়। কয়েকদিন পরে জ্ঞান ফিরে আসলে তাকে উদ্ধার করে বালাট সাবসেক্টরে নিয়ে আসা হয়। সুস্থ হয়ে তিনি পুনরায় ফিরে আসেন বাংলাবাজারে। অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষিত হন মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কাছে। এর পরবর্তীকালে তিনি সম্মুখ যুদ্ধ আর গুপ্তচর উভয় কাজই শুরু করেন।[১] এরপরে প্রায় ২০টি যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি।[২] ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে টেংরাটিলায় পাক সেনাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। এই যুদ্ধে তার দেহে কয়েকটি গুলি বিদ্ধ হয়। শেষ জীবনেও উরুতে কয়েকটি গুলির চিহ্ন রয়ে গেয়েছিল।[১]

    পরবর্তী জীবন[সম্পাদনা]

    দেশ স্বাধীন হলে কাকন বিবি দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে এক ব্যক্তির কুঁড়েঘরের বারান্দায় মেয়ে সখিনাসহ আশ্রয় নেন। এর পরের প্রায় ২ যুগ তিনি ছিলেন সবার চোখের অন্তরালে। ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সাংবাদিক বিষয়টি সকলের গোচরে নিয়ে আসলে দেশব্যাপী এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এক একর খাস জমি প্রদান করেন। সিলেটের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান তাকে ঐ জায়গার ওপরে একটি ছোট কুঁড়েঘর নির্মাণ করে দেন। এরপরের কয়েক বছর মোটামুটি ভাল কাটলেও পরবর্তীকালে অর্থাভাবে নিয়মিত চিকিৎসা করাতেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তাকে।[১]

    ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী তাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করার ঘোষণা দেন।[১] কিন্তু আজও তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি।[৬]

    মৃত্যু[সম্পাদনা]

    ব্রেন স্ট্রোক করে ২০১৭ সালের ২১ জুলাই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কাঁকন বিবি। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ২০ মার্চ গুরুতর অসুস্থাবস্থায় তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।[৭] ২১ মার্চ বুধবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে এখানেই মৃত্যুবরণ করেন বীর এই মুক্তিযোদ্ধা।[৮]

    তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

    ↑ ঝাঁপ দিন:

    "গুপ্তচর কাকন বিবি"। । ২২ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।

    ↑ ঝাঁপ দিন:

    "Constitutional recognition of indigenous people demanded"। । সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০০৯।

    ↑ আনোয়ার কবির। "কাঁকন বিবির 'বীরপ্রতীক' খেতাব পাওয়া না পাওয়া প্রসঙ্গে"। । সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৫।

    ↑ "বীরপ্রতীক সুবিধা ভোগ করা হলো না কাকন বিবির"। । সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৫।

    ↑ "কাকন বিবির গল্প"। । ২০১৬-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১২।

    ↑ ঝাঁপ দিন:

    "বীরপ্রতীক উপাধির স্বীকৃতি চান কাকন বিবি"। । সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪।

    ↑ "মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি গুরুতর অসুস্থ"। । ২০ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৮।

    সূত্র : bn.wikipedia.org

    মুক্তিবেটি কাঁকন বিবির যুদ্ধকথা

    মুক্তিবেটি কাঁকন বিবির যুদ্ধকথা

    বায়ান্ন থেকে একাত্তর

    মুক্তিবেটি কাঁকন বিবির যুদ্ধকথা

    অনু সরকার | উইমেননিউজ২৪

    প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ২ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার

    AddThis Sharing Buttons

    Share to Facebook Share to Twitter Share to LinkedIn Share to More

    বীর মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি। ফাইল ছবি।

    খাসিয়াকন্যা কাঁকন বিবি। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীর সশস্ত্র যোদ্ধা ও গুপ্তচর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পাকবাহিনীকে হটাতে ৫ নম্বর সেক্টরের হয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নেন এবং গুপ্তচরের কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।

    এই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে।

    কাঁকন বিবির আসল নাম কাঁকাত হেনিনচিতা। তিনি এলাকার মানুষের কাছে মুক্তিবেটি নামে পরিচিত। সুনামগঞ্জ জেলার খাসিয়া সম্প্রদায়ের এক পরিবারে জন্ম তার। তার মূল বাড়ি ছিল ভারতের খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশের এক গ্রামে।

    ১৯৭০ সালে দিরাই উপজেলার শহীদ আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার নাম পরিবর্তিত করে রাখা হয় নুরজাহান বেগম। ১৯৭১ সালের ১৬ মার্চ তিনি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। মেয়ের নাম রাখা হয় সখিনা বিবি। কিন্তু মেয়ে জন্ম দেয়ায় স্বামীর সাথে তার মনোমালিন্য দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মৌখিক ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে এপ্রিলে ইপিআর সৈনিক মজিদ খানকে বিয়ে করেন তিনি। মজিদ খান তখন কর্মসূত্রে সিলেট ইপিআর ক্যাম্পে থাকতেন।

    দুই মাস সিলেটে স্বামীর সাথে বসবাস করার পর কাঁকন বিবি সখিনাকে আনতে আগের স্বামীর বাড়িতে যান। মেয়েকে নিয়ে ফিরে আসার পর দেখেন মজিদ খান বাড়িতে নেই। কয়েকদিন অপেক্ষার পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার স্বামী বদলি হয়েছেন। তিনি দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকার কোনো এক ক্যাম্পে আছেন।

    ১৯৭১ সালের জুন, পাকসেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে মুক্তিবাহিনীর। উত্তাল সারা বাংলা। আর অপেক্ষা না করে কাঁকন বিবি স্বামীকে খুঁজতে বের হন। সীমান্তের কাছে ঝিরাগাঁও গ্রামে শহীদ আলী নামে একজনের আশ্রয়ে মেয়ে সখিনাকে রেখে দোয়ারাবাজারের টেংরাটিলা ক্যাম্পের দিকে যান তিনি। এ সময় পাকবাহিনীর কাছে ধরা পড়েন কাঁকন বিবি। কয়েক দিন অমানুষিক নির্যাতনের পর তাকে ছেড়ে দেয় পাকসেনারা।

    এই অমানবিক ঘটনার পর কাঁকন বিবি স্বামীকে পাওয়ার আশা ত্যাগ করে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। জুলাই মাসে তার সাথে দেখা হয় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী তার সাথে সেক্টর কমাণ্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর শওকতের সাথে দেখা করিয়ে দেন। তার উপর দায়িত্ব পড়ে গুপ্তচর হিসেবে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করার। তিনি অসমসাহসিকতার সাথে বিভিন্ন রূপে পাকিস্তানীদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্যসংগ্রহ করতে থাকেন। তার সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক সফল আক্রমণ চালান।

    গুপ্তচরের কাজ করতে গিয়েই দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজারে পাক বাহিনীর হাতে আবারও ধরা পড়েন কাঁকন। এবারে একনাগাড়ে ৭ দিন পাকিস্তানী বাহিনী ও রাজাকারেরা তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। লোহার রড গরম করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছেঁকা দেয়া হয়। একদিন প্রচন্ড নির্যাতনের কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। এক পর্যায়ে মৃত ভেবে অজ্ঞান কাঁকন বিবিকে পাকবাহিনী ফেলে রেখে যায়। কয়েকদিন পরে জ্ঞান ফিরে আসলে তাকে উদ্ধার করে বালাট সাবসেক্টরে নিয়ে আসে মুক্তিযোদ্ধারা। সুস্থ হয়ে তিনি আবারও ফিরে আসেন বাংলাবাজারে। অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণ নেন মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কাছে। এরপর তিনি সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। একই সঙ্গে আবারও গুপ্তচরের কাজ শুরু করেন।

    এরপরে প্রায় ২০টি যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন অসীম সাহসী কাঁকন বিবি। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে টেংরাটিলায় পাকসেনাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। এই যুদ্ধে তার দেহে কয়েকটি গুলি লাগে। উড়ুতে কয়েকটি গুলির চিহ্ন তিনি আজীবন বহন করে গেছেন।

    দেশ স্বাধীন হলে কাঁকন বিবি দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে এক ব্যক্তির কুঁড়েঘরের বারান্দায় মেয়ে সখিনাসহ আশ্রয় নেন। এরপরের প্রায় ২ যুগ তিনি ছিলেন সবার চোখের অন্তরালে। স্বাধীনতার ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে সাংবাদিক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু তাকে ভিক্ষারত অবস্থায় খুঁজে পান। এরপর দেশব্যাপী এই বীর নারীকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এক একর খাস জমি দান করেন। সিলেটের সে সময়ের মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান তাকে ওই জায়গায় একটি ছোট কুঁড়েঘর নির্মাণ করে দেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ওই জমিতেই ছোট্ট কুড়ে ঘরে বসবাস করতেন তিনি। একমাত্র মেয়ে সখিনা বিবি ও মেয়ের জামাই রফিক মিয়াকে নিয়েই ছিলো তার সংসার। এরপরের কয়েক বছর মোটামুটি ভাল কাটলেও পরবর্তীতে অর্থাভাবে নিয়মিত চিকিৎসা করাতেও পারেননি তিনি।

    ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী তাকে বীরপ্রতীক উপাধীতে ভূষিত করার ঘোষণা দেন। কিন্তু আজও তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি।

    ব্রেন স্ট্রোক করে ২০১৭ সালের ২১ জুলাই ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কাঁকন বিবি। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ২০ মার্চ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তিনি আবারও ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ২১ মার্চ বুধবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন বীর এই মুক্তিযোদ্ধা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

    AddThis Sharing Buttons

    Share to Facebook Share to Twitter Share to LinkedIn Share to More আরো পড়তে পারেন...

    হুমায়ূন আহমেদের সেরা ১০ উপন্যাস

    www.womennews24.com

    কারবালার সেই মর্মান্তিক ইতিহাস

    www.womennews24.com

    নারী দিবসের পক্ষে-বিপক্ষে...

    www.womennews24.com

    সূত্র : www.womennews24.com

    কাঁকন বিবি কে?

    সঠিক উত্তর : মুক্তিযোদ্ধা অপশন ১ : রন্ধন শিল্পী অপশন ২ : মুক্তিযোদ্ধা অপশন ৩ : উদ্যোক্তা অপশন ৪ : প্টুয়া বর্ণনা :কাঁকন বিবি ১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীরযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও গুপ্তচর। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিপক্ষে মুক্তিবাহিনীর হয়ে ৫ নং সেক্টরের গুপ্তচরের কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোন গ্যাজেট প্রকাশিত হয়নি। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে।

    কাঁকন বিবি কে?

    Created: 4 years ago | Updated: 1 year ago

    রন্ধন শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা উদ্যোক্তা প্টুয়া

    Rajshahi Krishi Unnayan Bank Rajshahi Krishi Unnayan Bank - Supervisor (Evening) - 23.10.2015 সাধারণ জ্ঞান কাঁকন বিবি

    ব্যাখ্যা 0 612 best ans

    কাঁকন বিবি ১৯৭১ সালে সংঘটিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীরযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও গুপ্তচর।

    মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিপক্ষে মুক্তিবাহিনীর হয়ে ৫ নং সেক্টরের গুপ্তচরের কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

    তবে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোন গ্যাজেট প্রকাশিত হয়নি। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার লীপুর ইউনিয়নের ঝিরাগাঁও গ্রামে।

    4 years ago 0 Anonymous User

    কাঁকন বিবি

    কাঁকন বিবি

    পরিচয়- খেতাবহীন একজন নারী মুক্তিযোদ্ধা (মুক্তিবেটি নামে পরিচিত)।

    আসল নাম কাঁকাত হেনিনচিতা (খাসিয়া সম্প্রদায়)।

    মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা- মুক্তিবাহিন...

    মৃত্যু- ২১ মার্চ, ২০১৮ খ্রি.

    CONTENT ADDED BY Tamanna

    Related Question

    View More 1.

    বীর মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি কোন সম্প্রদায়ের?

    Created: 5 years ago | Updated: 1 year ago

    রাখাইন খাসিয়া সাঁওতাল গারো

    Agrani bank Ltd Agrani bank Ltd - Senior Officer (Freedom Fighter) - 03.07.2015 সাধারণ জ্ঞান s কাঁকন বিবি

    ব্যাখ্যা 0 257 2.

    বীর মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি কোন সম্প্রদায়ের?

    Created: 5 years ago | Updated: 1 year ago

    খাশিয়া রাখাইন সাঁওতাল গারো

    Agrani bank Ltd Agrani bank Ltd - Officer (Freedom Fighter)- 03.07.2015 সাধারণ জ্ঞান s কাঁকন বিবি

    ব্যাখ্যা 0 58

    সূত্র : www.sattacademy.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 16 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন