if you want to remove an article from website contact us from top.

    কার্বন ডাই অক্সাইড এর ব্যবহার

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড এর ব্যবহার পান।

    কার্বন ডাই অক্সাইড

    এই আলোচনা থেকে আমরা কার্বন-ডাই-অক্সাইড তার ধর্ম, ব্যবহার, শুষ্ক বরফ, সনাক্তকরণ এবং পরীক্ষাগারে প্রস্তুতি, জারণ ক্ষমতা সম্বন্ধে জানবো

    পদার্থ বিজ্ঞান

    কার্বন ডাই অক্সাইড | ধর্ম, ব্যবহার, সনাক্তকরণ | প্রস্তুতি

    1 2612

    এই আলোচনা থেকে আমরা কার্বন-ডাই-অক্সাইড কার্বন ডাই অক্সাইডের ধর্ম, কার্বন ডাই অক্সাইডের ব্যবহার, সনাক্তকরণ এবং প্রস্তুতি সম্বন্ধে জানবো

    সূচীপত্র দেখতে ক্লিক করুন show

    কার্বন ডাই অক্সাইডের ধর্ম

    কার্বন ডাই অক্সাইড কে আমরা মূলত দুটি বিশেষ ধর্মের ভাগ করতে পারি যথা

    ১. কার্বন ডাই অক্সাইড এর ভৌত ধর্ম২. কার্বন ডাই অক্সাইড এর রাসায়নিক ধর্ম

    ১. কার্বন ডাই অক্সাইডের ভৌত ধর্ম:

    ক) কার্বন-ডাই-অক্সাইড বর্ণহীন, গন্ধহীন, সামান্য অম্ল স্বাদযুক্ত গ্যাস।

    খ) এই গ্যাস বাতাসের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ ভারী।

    গ) CO2 জলে দ্রাব্য– তাপ প্রয়োগে দ্রাব্যতা বাড়ে।

    নোট পেতে টেলিগ্রাম জয়েন করুন

    ২. কার্বন ডাই অক্সাইডের রাসায়নিক ধর্ম:

    ক) দহন শীলতা:

    কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিজের দাহ্য নয় এবং দহনে সাহায্যও করে না।

    খ) অ্যাসিড ধর্ম:

    কার্বন ডাই অক্সাইড একটি আম্লিক অক্সাইড। তাই কার্বন-ডাই-অক্সাইড জলে দ্রবীভূত হয়ে এসিড উৎপন্ন করে। এবং ক্ষার বা ক্ষারকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উৎপন্ন করে।

    • জলের সঙ্গে বিক্রিয়া:

    জলীয় দ্রবণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কার্বনিক এসিড উৎপন্ন করে। সেই জন্য CO2 এর জলীয় দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে। CO2+H2O=H2CO3

    ক্ষারক বা ক্ষারের সঙ্গে:

    CO2 একটি আম্লিক অক্সাইড, সেই জন্য ক্ষার বা ক্ষারকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কার্বনেট লবণ উৎপন্ন করে। সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড দ্রবণের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করালে সোডিয়াম কার্বনেট লবণ উৎপন্ন হয়। 2NaOH+CO2=NaCO3+H2O

    • চুন জলের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করালে প্রথমে অদ্রাব্য ক্যালসিয়াম কার্বনেট উৎপন্ন হয় ফলে স্বচ্ছ চুনজল ঘোলা হয়ে যায়। Ca(OH)2+CO2=Na2CO3+H2O

    অক্সিজেনের ব্যবহার ও ধর্ম

    অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড অতিক্রম করালে, অদ্রাব্য ক্যালসিয়াম কার্বনেট, দ্রাব্য ক্যালসিয়াম বাই কার্বনেটে পরিণত হয়। সেই জন্য ঘোলা চুনজল আবার স্বচ্ছ হয়ে যায়। CaCO3+H2O+CO2=Ca(HCO3)2

    ঘ) জারণ ক্ষমতা:

    •লোহিত তপ্ত কার্বন,আয়রন বা জিংক এর উপর দিয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড চালনা করলে,ওই গুলি জারিত হয় এবং CO2 নিজে বিজারিত হয় কার্বন-মনোক্সাইডে পরিণত হয়। C+CO2=2CO , Zn+CO2=ZnO+CO

    • জ্বলন্ত ম্যাগনেসিয়ামকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড পূর্ণ গ্যাসজারের মধ্যে প্রবেশ করালে CO2 বিজারিত হয়ে কার্বন উৎপন্ন করে।

    এই বিক্রিয়া প্রমাণ করে যে, কার্বন-ডাই-অক্সাইডে কার্বন আছে। 2Mg+CO2=2MgO+C

    •কার্বন-ডাই-অক্সাইড অপরকে জারিত করে নিজে বিজারিত হয় বলে এর বিজারণ ক্ষমতা নেই।

    ঙ) শুষ্ক বরফ:

    কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস 0 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এবং 40 বায়ুমণ্ডল চাপে তরলে পরিণত হয়। তরল CO2 কে বাষ্পীভূত করলে আরো ঠান্ডা হয়ে কঠিন CO2 উৎপন্ন হয়। কঠিন CO2 কেই শুষ্ক বরফ বলে।

    চ) গাছের পাতার ক্লোরোফিল,জল এবং CO2 সূর্যের কিরণে পরস্পর বিক্রিয়া করে গাছের খাবার কার্বোহাইড্রেট উৎপন্ন করে। এই প্রক্রিয়াকে সালোকসংশ্লেষ বলে।

    নোট পেতে টেলিগ্রাম জয়েন করুন

    কার্বন ডাই অক্সাইডের সনাক্তকরণ

    স্বচ্ছ চুন জলের উপর দিয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস চালনা করলে প্রথমে ঘোলা হয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড চালনা করলে আবার স্বচ্ছ হয়ে যায়। কিন্তু আম্লিক KMnO4 দ্রবণের মধ্যে দিয়ে চালনা করলে বেগুনি বর্ণ বর্ণহীন হয় না।

    কার্বন ডাই অক্সাইডের ব্যবহার

    কার্বন ডাই অক্সাইড উষ্ণায়নের সাথে সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকারেও ব্যবহৃত হয়। যেমন

    ক) উদ্ভিদজগতের বৃদ্ধি ও স্থিতি কার্বন ডাই অক্সাইডের উপর নির্ভর করে

    খ) মাছ, মাংস, সবজি প্রভৃতি অনেকদিন ধরে সতেজ রাখার জন্য হিমায়ক রূপে ব্যবহার করা হয়।

    গ) বাতান্বিত জল প্রস্তুতিতে এবং আগুন নেভানোর কাজে এই গ্যাসের প্রয়োজন হয়।

    ঘ) খাবার সোডা, কাপড় কাচার সোডা, ইউরিয়া প্রভৃতি প্রস্তুতিতে প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহৃত হয়।

    এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড এর ব্যবহার হিসেবে বলা যায়।

    অ্যামোনিয়ার ব্যবহার ও ধর্ম

    পরীক্ষাগারে কার্বন ডাই অক্সাইডএর প্রস্তুতি

    প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য:১ মার্বেল বা ক্যালসিয়াম কার্বনেট২. লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড

    পরীক্ষাগারে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরির নীতি:

    সাধারণ তাপমাত্রায় মার্বেল অর্থাৎ ক্যালসিয়াম কার্বনেট এর সঙ্গে লঘু সালফিউরিক এসিডে মিশিয়ে পরীক্ষাগারে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করা হয়। CaCO3+2HCl=CaCl2+H2O+CO2

    পরীক্ষাগারে CO2 তৈরির পদ্ধতি:

    ক) দীর্ঘ নল ফানেল এবং নির্গম নল যুক্ত একটি উলফ বোতলের মধ্যে কিছু মার্বেলের টুকরো নিয়ে জল ঢেলে ডুবিয়ে রাখা হলো।

    খ) দীর্ঘ নাল ফানেলের শেষপ্রান্তটি যেন জলের মধ্যে ডুবে থাকে।

    গ) নির্গম নল এর শেষ প্রান্তটি একটি খাড়াভাবে রাখা শুষ্ক গ্যাস জারের মধ্যে প্রবেশ করানো থাকে।

    ঘ) এইবার দীর্ঘ নল ফানেলের মধ্যে দিয়ে 1:1 লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড ঢালা হলো। অ্যাসিড মার্বেলের সংস্পর্শে এলে বুদবুদ আকারে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত হতে শুরু করে। এই গ্যাস নির্গমন অল দিয়ে বেরিয়ে আসে।

    CO2 সংগ্রহ:

    কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস বাতাসের চেয়ে দেড় গুণ ভারী, তাই বাতাস এর উর্দ্ধ অপসারণ দ্বারা গ্যাস জারের মধ্যে জমা হয়।

    CO2 এর বিশুদ্ধিকরন:

    এইভাবে উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের মধ্যে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বাষ্প এবং জলীয় বাষ্প মেশানো থাকে।

    ক) সোডিয়াম বাই কার্বনেট দ্রবণের মধ্যে দিয়ে চালনা করে গ্যাসটিকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মুক্ত করা হয়।

    খ) গাঢ় সালফিউরিক এসিডের মধ্যে দিয়ে চালনা করে জলীয়বাষ্প মুক্ত করে শুষ্ক পারদ এর ওপর সংগ্রহ করা হয়।

    নোট পেতে টেলিগ্রাম জয়েন করুন

    সূত্র : completegyan.com

    কার্বন ডাই অক্সাইড

    কার্বন ডাই অক্সাইড

    উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

    কার্বন ডাই অক্সাইড

    নামসমূহ অন্যান্য নাম Carbonic acid gas Carbonic anhydride Carbonic oxide Carbon oxide Carbon(IV) oxide

    Dry ice (solid phase)

    শনাক্তকারী সিএএস নম্বর 124-38-9

    ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)

    আকর্ষনীয় চিত্র আকর্ষনীয় চিত্র থ্রিডিমেট B01131

    বেইলস্টেইন রেফারেন্স 1900390

    সিএইচইবিআই CHEBI:১৬৫২৬ সিএইচইএমবিএল ChEMBL১২৩১৮৭১ কেমস্পাইডার ২৭৪

    ইসিএইচএ ইনফোকার্ড ১০০.০০৪.২৭১

    ইসি-নম্বর

    ই নম্বর E২৯০ (সংরক্ষকদ্রব্য)

    মেলিন রেফারেন্স 989 কেইজিজি D00004

    এমইএসএইচ Carbon+dioxide

    পাবকেম CID ২৮০ আরটিইসিএস নম্বর FF6400000 ইউএনআইআই 142M471B3J ইউএন নম্বর 1013

    কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)

    DTXSID4027028 দেখান ইনকি দেখান এসএমআইএলইএস বৈশিষ্ট্য রাসায়নিক সূত্র CO2

    আণবিক ভর ৪৪.০১ g·mol−১

    বর্ণ Colorless gas গন্ধ Odorless

    ঘনত্ব 1562 kg/m3 (solid at 1 atm and −78.5 °C)

    770 kg/m3 (liquid at 56 atm and 20 °C)

    1.977 kg/m3 (gas at 1 atm and 0 °C)

    গলনাঙ্ক −৭৮.৫ °সে; −১০৯.২ °ফা; ১৯৪.৭ K

    স্ফুটনাঙ্ক −৫৬.৬ °সে; −৬৯.৮ °ফা; ২১৬.৬ K

    পানিতে দ্রাব্যতা

    1.45 g/L at 25 °C, 100 kPa

    বাষ্প চাপ 5.73 MPa (20 °C)

    অম্লতা (pa) 6.35, 10.33

    প্রতিসরাঙ্ক (D) 1.1120

    সান্দ্রতা 0.07 cP at −78.5 °C

    ডায়াপল মুহূর্ত 0 D গঠন স্ফটিক গঠন trigonal আণবিক আকৃতি linear তাপ রসায়নবিদ্যা

    তাপ ধারকত্ব, 37.135 J/K mol

    স্ট্যন্ডার্ড মোলার

    এন্ট্রোফি ০২৯৮ 214 J·mol−1·K−1

    গঠনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন Δfo২৯৮ −393.5 kJ·mol−1

    ঝুঁকি প্রবণতা এনএফপিএ ৭০৪ ২ ০ সম্পর্কিত যৌগ

    অন্যান্য অ্যানায়নসমূহ

    Carbon disulfide Carbon diselenide

    অন্যান্য ক্যাটায়নসমূহ

    Silicon dioxide Germanium dioxide Tin dioxide Lead dioxide

    সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে।

    যাচাই করুন (এটি কি  ?)

    তথ্যছক তথ্যসূত্র

    কার্বন ডাই অক্সাইড (রাসায়নিক সংকেত CO2) একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক যৌগ যা দুইটি অক্সিজেন পরমাণু ও একটি কার্বন পরমাণু দিয়ে গঠিত এবং প্রতিটি অক্সিজেন পরমাণু একটি কার্বন পরমাণুর সাথে দ্বি-বন্ধন দ্বারা যুক্ত থাকে।এটা আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসীয় অবস্থায় বিরাজ করে এবং এই অবস্থায় পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে বিদ্যমান যেখানে ট্রেস গ্যাস হিসাবে এর ঘনত্ব ০.০৩৯%।

    কার্বন চক্রে গাছপালা,জলজ উদ্ভিজ্জ এবং সায়ানোব্যাকটেরিয়া সৌরশক্তি দ্বারা সালোকসংশ্লেষনের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড ও পানি থেকে কার্বোহাইড্রেড উৎপন্ন করে যার সাথে সাথে বর্জ্য পদার্থ হিসাবে অক্সিজেনও উৎপন্ন করে।[১] কিন্তু,সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়া অন্ধকারে সংঘঠিত হয় না এবং রাতে কিছু পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় উদ্ভিদের শ্বসন ক্রিয়ার জন্য।[২] কার্বন ডাইঅক্সাইড কয়লা বা হাইড্রোকার্বন এর দহন দ্বারা উৎপাদিত হয়।এছাড়াও চিনি থেকে গাঁজন প্রক্রিয়ায় বিয়ার এবং ওয়াইন প্রস্তুতিতে এবং সব জীবন্ত প্রাণীর শ্বসন দ্বারা কার্বন ডাইঅক্সাইড উৎপন্ন হয়। এটা মানুষ এবং অন্যান্য জীবজন্তু শ্বাস নেওয়ার সময় ত্যাগ করে।এটা আগ্নেয়গিরি,উষ্ণপ্রসবণ এবং ঐসব জায়গা যেখানে ভূপৃষ্ট পাতলা কার্বোনেট শিলা ক্ষয়ের ফলে।কার্বন ডাই অক্সাইড এছাড়াও সমুদ্র তলদেশে,হ্রদে এবং তেল এবং গ্যাসের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে।[৩]

    কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিবেশগত প্রভাব উল্লেখযোগ্য বিষয়। কার্বন ডাই অক্সাইড একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রিনহাউজ গ্যাস যা ভূপৃষ্ঠের বিকৃর্ণ তাপ শোষণ করে।বায়ুমন্ডলীয় কার্বন ডাই অক্সাইড পৃথিবীতে জীবনের একটি প্রাথমিক উৎস এবং এর ঘনত্ব পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে সালোকসংশ্লেষন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।শিল্প বিপ্লবের পর থেকে কার্বন ভিত্তিক জ্বালানি দহনের ফলে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে জীব জগতের জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে।এটি সমুদ্রকে অম্লীয়করণের প্রধান উৎস যেহেতু এটি পানিতে কার্বনিক অ্যাসিড রুপে দ্রবীভূত হয় [৪] যা একটি দুর্বল এসিড এবং এটা পানিতে সম্পূর্ণরুপে আয়নিত হয় না।

    CO 2 + H 2O H 2CO 3

    তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

    ↑ Donald G. Kaufman; Cecilia M. Franz (১৯৯৬)। । Kendall/Hunt Pub. Co.। আইএসবিএন 978-0-7872-0460-0। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১১।

    ↑ Food Factories. www.legacyproject.org. Retrieved on 2011-10-10.

    ↑ "সাধারণ বৈশিষ্ট্য এবং কার্বন ডাই অক্সাইড এর ব্যবহার, ডাঙার দিকে কার্বন ক্যাপচার ইনস্টলেশন ও ডাঙার দিকে পাইপলাইন জন্য গুড প্ল্যান্ট ডিজাইন ও অপারেশন"। Energy Institute। ২০১২-০৬-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৩-১৪।

    ↑ ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল।"সারসংক্ষেপ।" মহাসমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি: মহাসাগরের পরিবর্তন পূরণের চ্যালেঞ্জ একটি জাতীয় কৌশল. ওয়াশিংটন,ডিসি: The National Academies Press, 2010. 1. Print.

    বিষয়শ্রেণীসমূহ: যৌগিক পদার্থকার্বন যৌগঅক্সাইডঅক্সিজেন যৌগ

    সূত্র : bn.wikipedia.org

    কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে কি বিছানার গদি, খাবারের পাত্র কিংবা কাটলারিতে রূপ দেয়া সম্ভব?

    গবেষকরা এমন কিছু উপায় খুঁজে পেয়েছেন, যার মাধ্যমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে দৈনন্দিন ব্যবহৃত নানা জিনিষপত্র তৈরি করা যায়। ভবিষ্যতে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে এই উপায় বের করা হয়েছে।

    কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে কি বিছানার গদি, খাবারের পাত্র কিংবা কাটলারিতে রূপ দেয়া সম্ভব?

    ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

    ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,

    জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগুলো আধুনিক জীবনের মূল উপাদান প্লাস্টিক উৎপাদন জন্য নতুন উপায় খুঁজতে বিজ্ঞানকে পরিচালিত করছে।

    প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য একটি বিশাল সমস্যা - প্রায় সাত লাখ ২৫ কোটি টন প্লাস্টিক আমাদের ভূমিতে ছেয়ে আছে এবং সমুদ্রকে ভরাট করে রেখেছে। এবং এই সমস্যা এখন সর্বত্র।

    তবে প্লাস্টিকের একটি ভালো দিকও রয়েছে - কেননা আমাদের প্লাস্টিকের প্রয়োজন এবং প্লাস্টিক যে বিংশ শতাব্দীতে মানুষের জীবনে বিপ্লব ঘটিয়েছে, তা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই।

    প্লাস্টিক ছাড়া সংগীত এবং সিনেমা রেকর্ড করা সম্ভব হত না।

    আধুনিক ওষুধপত্র সম্পূর্ণরূপে প্লাস্টিকের উপর নির্ভরশীল - ভেবে দেখুন রক্তের ব্যাগ, টিউবিং এবং সিরিঞ্জ, পাশাপাশি গাড়ি এবং বিমানের অংশ - সব কিছুই প্লাস্টিকের উপর নির্ভরশীল - যা আমাদের পৃথিবী জুড়ে দ্রুত ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছে।

    এবং অবশ্যই: কম্পিউটার, ফোন এবং সব ধরণের ইন্টারনেট প্রযুক্তি সম্ভব হয়েছে প্লাস্টিকের কারণে।

    ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,

    প্লাস্টিক দূষণ একটি বড় পরিবেশগত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে এর পেছনে কার্বন ডাই অক্সাইডের জড়িত থাকাকে অনেক সময় এড়িয়ে যাওয়া হয়।

    প্লাস্টিক তৈরির অর্থ হল জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ, যা কিনা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী।

    তবে আমরা যদি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত না করে প্লাস্টিকের গদি, ফোম ইনসিউলেশন, প্লাস্টিকের কাটলারি, বা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য খাবারের পাত্র তৈরি করার কোন উপায় খুঁজে পাই - বা এমন কিছু বের করা যায়, যেটা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন অক্সাইড সরিয়ে ফেলবে, তাহলে কেমন হয়?

    নতুন প্রযুক্তিগুলো, নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডকে প্লাস্টিকে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, যেন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ গ্যাস ছাড়া হয় সেটা কমানো যায়। কিন্তু এই রূপান্তর কিভাবে সম্ভব?

    এর পিছনে যে বিজ্ঞান কাজ করছে সেদিকে নজর দেয়া যাক।

    ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,

    প্লাস্টিক হল টেকসই, নমনীয়, জীবাণুমুক্ত এবং বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য উপাদান

    কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে নাইলন

    প্লাস্টিক হল সিনথেটিক পলিমার - এটি এক ধরণের লম্বা আকারের অণু। যা চেইনের মতো একটার সাথে একটা যুক্ত থাকে।

    ইউকে সেন্টার ফর কার্বন ডাই অক্সাইড ইউটিলাইজেশন (সিডিইউইউকে)-এর গবেষকরা, কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে কীভাবে নাইলন তৈরি করা যায় সেটার উপায় বের করেছেন।

    নাইলন হল অ্যাক্রিলামাইড নামক এক ধরণের পলিমার- যা কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে তৈরি।

    "আপনি কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে নাইলন তৈরি করতে পারবেন- এটা ভাবতে সত্যিই অদ্ভুত বলে মনে হতে পারে, তবে আমরা এটি করেছি," - সিডিইউইউকের পরিচালক এবং শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ পিটার স্টাইরিং এ কথা বলেছেন।

    "জীবাশ্ম জ্বালানীকে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার না করে আপনি এই শিল্পটি পুরো উল্টে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি রাসায়নিক উপায়ে কার্বন ডাই অক্সাইডের বর্জ্য ব্যবহার করতে পারেন। যা পেট্রোকেমিক্যাল খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাবে," তিনি বলেন।

    বর্তমানে, বেশিরভাগ কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ কার্বনের ব্যবহার থেকে আসে না - এর পরিবর্তে, এই গ্যাস উৎপন্ন হয় অনেক রাসায়নিকের বাই প্রোডাক্ট হিসেবে।

    তবে গবেষকদের লক্ষ্য হল কারখানা থেকে নিঃসরিত কার্বনকে ধরে রাখা।

    ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,

    বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরণের গদি তৈরি করেছেন যা আংশিকভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে তৈরি।

    গ্যাসের ওপর ঘুমাচ্ছে পৃথিবী

    কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে প্লাস্টিক তৈরি করতে হলে বিজ্ঞানীদের পরিশীলিত অনুঘটক ব্যবহার করতে হবে, অর্থাৎ এমন কিছু পদার্থ ব্যবহার করতে হবে যা রাসায়নিক বিক্রিয়ার হারকে ত্বরান্বিত করবে।

    জার্মানির পেট্রোকেমিক্যাল গ্রুপ কোভেস্ট্রোতে গবেষকরা কার্ডিয়ন ব্র্যান্ড নামে ২০% কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে তৈরি গদি তৈরি করেছেন।

    তারা একটি ক্যাটালিস্ট বা অনুঘটক আবিষ্কার করেছেন যা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য যৌগগুলোর মধ্যে একটি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, ফলস্বরূপ একাধিক রাসায়নিক উৎপন্ন হয়- যা থেকে তৈরি হয় পলিইউরেথেন। এই উপাদানটি গদি, কুশন এবং ফ্রিজ ইনসুলশেনে পাওয়া যায়।

    বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ১৫ কোটি টনেরও বেশি পলইউরেথেন তৈরি হয়।

    এর কাঁচামাল হিসাবে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হলে কার্বন নিঃসরণ কমানোয় বড় ধরণের প্রভাব ফেলা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়।

    ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,

    বিজ্ঞানীরা পলিইউরেথেন ইনসুলেশন জাতীয় প্লাস্টিকের পণ্য দিয়ে কাজ করে যা এই শিল্পে কার্বন নির্গমন ঠেকাতে পারে

    পরিষ্কার বাতাস

    বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের প্লাস্টিক তৈরি করছেন।

    কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে পলিইউরেথেন উৎপাদনকারী আরেক কোম্পানি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ইকোনিক আশা করে যে, তারা দুই বছরের মধ্যে ফোমের পণ্যগুলো বাজারে তুলতে পারবে।

    পাশাপাশি থাকবে, কোটিং, সিলেন্টস এবং ইলাস্টোমার জাতীয় পলিমার যা রাবারের মতো স্থিতিস্থাপকতা সম্পন্ন।

    কোম্পানির হেড অফ সেলস, লেই টেয়লর বলেছেন যে এই উপাদানগুলো প্রচলিত প্লাস্টিকের মানের সাথে মিলে যায়, কিছু ক্ষেত্রে সেই প্লাস্টিকের মানকেও ছাড়িয়ে যায়।

    সূত্র : www.bbc.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 16 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন