কোন শ্রেণি থেকে কোন শ্রেণি পর্যন্ত শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে?
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে কোন শ্রেণি থেকে কোন শ্রেণি পর্যন্ত শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে? পান।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ও ছক।
HOME ABOUT US: ABOUT BLOG CONTACT IMPORTANT LINKS BLOG-POLICY
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ও ছক।
Abu Bakar Siddique. ১১/০৫/২০২২ ০৭:৩২:০০ AM 1
জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা ২০২১ ও পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১ম শ্রেণির কোন প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। তবে প্রবর্তিত ধারাবাহিক মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে প্রতি প্রান্তিকের ফলাফল প্রদান করা হবে। এছাড়াও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২য় ও ৩য় শ্রেণিতে নতুন বই প্রবর্তন সাপেক্ষে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা এবং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে হতে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের সংমিশ্রণে মূল্যায়ন ব্যবস্থা থাকবে। ২০২৩ সালে ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রবর্তনের পূর্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রচলিত পরীক্ষা তথা মূল্যায়ন পদ্ধতি চলমান থাকবে। এ ক্ষেত্রে নিম্নেক্ত নির্দেশনাবলী অনুসরণযোগ্য-
(ক) বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে শোনা, বলা, পড়া এবং লেখা বিষয়গত নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার্থীর দক্ষতা পরিমাপ করতে হবে। পড়া ও লেখা শ্রেণি পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা পরিমাপ করতে হবে। শিক্ষক বিদ্যালয় খোলার তারিখ হতে যতগুলো শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
(খ) গণিত বিষয়ে গাণিতিক ধারণা, প্রক্রিয়াগত ধারণা এবং সমস্যা সমাধানের উপর লিখিত শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরণের পরিমাপ শিক্ষকগণ এতদিন করে এসেছেন। সুতরাং শিক্ষক বিদ্যালয় খোলার তারিখ হতে যতগুলোশ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
(গ) বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং অন্যান্য বিষয়সমূহে বিষয়গত জ্ঞান, বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ ও অনুশাসন প্রভৃতি পরিমাপের উপর বিদ্যালয় খোলার তারিখ হতে যতগুলো শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
(ঘ) প্রত্যেকটি বিষয়ের শ্রেণি পরীক্ষাসমূহের মোট নম্বরের (৫টি) ৪০% এবং বাকী ৬০ নম্বরের উপর ৩য় প্রান্তিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ শ্রেণি পরীক্ষাসমূহ ও ৩য় প্রান্তিকের পরীক্ষার নম্বর যোগ করে ২০২২ এর শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশের সকল বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা একটি সুনির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন- পুরাতন ও নব জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষকদের পারষ্পরিক সমন্বয় বদলীর নতুন নির্দেশনা(ঙ) শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করার পর প্রত্যেক বিদ্যালয় তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ফলাফল ঘোষণা করবেন এবং শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিকট এই ফলাফল তুলে দিবেন।
সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা ও ছক-এবার প্রাথমিকের মূল্যায়ন যেভাবে
এ বছর প্রাথমিক পর্যায় শেষে পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের কোনো পাবলিক পরীক্ষা হচ্ছে না। বিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে যে তৃতীয় প্রান্তিক বা চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবে, সেটার ভিত্তিতেই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মূল্যায়নের একটি অভিন্ন পদ্ধতি ঠিক করে দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
২৭ ফাল্গুন ১৪২৯
শিক্ষা
This time how to evaluate the primary
AddThis Sharing Buttons
Share to Facebook Share to Twitter Share to WhatsApp Share to LinkedIn Share to আরও...
এবার প্রাথমিকের মূল্যায়ন যেভাবে
সৌগত বসু, ঢাকা ৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৭:১২
এ বছর প্রাথমিক পর্যায় শেষে পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের কোনো পাবলিক পরীক্ষা হচ্ছে না। বিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে যে তৃতীয় প্রান্তিক বা চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবে, সেটার ভিত্তিতেই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মূল্যায়নের একটি অভিন্ন পদ্ধতি ঠিক করে দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত দুই বছরের ধারাবাহিকতায় পঞ্চম শ্রেণির পিইসিই ও অষ্টম শ্রেণির জেএসসি এবারও হচ্ছে না। এবারও এসব পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সেক্ষেত্রে এ বছর প্রাথমিক পর্যায় শেষে পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের কোনো পাবলিক পরীক্ষা হচ্ছে না। বিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে যে তৃতীয় প্রান্তিক বা চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবে, সেটার ভিত্তিতেই পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মূল্যায়নের একটি অভিন্ন পদ্ধতি ঠিক করে দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ বছর পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঁচটি মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে যার নম্বর ২০। এ পাঁচটি মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল যা আসবে তার ৪০ ভাগের সঙ্গে প্রথম তিনটি মূল্যায়ন পরীক্ষার নম্বর যোগ করে উত্তীর্ণদের মাপকাঠি নির্ধারণ হবে।
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শারীরিক শিক্ষা, চারু ও কারুকলা ও সঙ্গীত বিষয়ের কোনো মূল্যায়ন পরীক্ষা থাকবে না। তবে সব বিষয়ে মোট নম্বরের উপরে শিক্ষনের অর্জিত মাত্রা ও গুণাবলীর উপর ভিত্তি করে মন্তব্য করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১-এ প্রাথমিক স্তর থেকে এসএসসি বা মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে কোনো ধরণের পাবলিক পরীক্ষা অর্থাৎ পিইসিই, জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষা গ্রহণ না করার সুপারিশ করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ ও পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম শ্রেণির কোনো প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। তবে প্রবর্তিত ধারাবাহিক মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে প্রতি প্রান্তিকের ফলাফল প্রদান করা হবে।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে নতুন বই প্রবর্তন সাপেক্ষে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা এবং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের সংমিশ্রণে মূল্যায়ন ব্যবস্থা থাকবে। ২০২৩ সালে ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রবর্তনের আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রচলিত পরীক্ষা তথা মূল্যায়ন পদ্ধতি চলমান থাকবে।
২০২৩ সালের মূল্যায়নের জন্য যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে শোনা, বলা, পড়া এবং লেখার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর দক্ষতা পরিমাপ করতে হবে। পড়া ও লেখার ক্ষেত্রে শ্রেণি পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা পরিমাপ করতে হবে। শিক্ষক বিদ্যালয় খোলার তারিখ থেকে যতগুলো শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন, তার মধ্যে শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া পাঁচটি পরীক্ষার নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
গণিত বিষয়ে গাণিতিক ধারণা, প্রক্রিয়াগত ধারণা এবং সমস্যা সমাধানের উপর লিখিত শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরণের পরিমাপ শিক্ষকগণ এতদিন করে এসেছেন। শিক্ষক বিদ্যালয় খোলার তারিখ থেকে যতগুলো শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ক ৫টি পরীক্ষার নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
একইভাবে নম্বর গণনা করা হবে বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং অন্যান্য বিষয়সমূহে।
প্রত্যেকটি বিষয়ের শ্রেণি পরীক্ষাসমূহের পাঁচটি পরীক্ষার মোট নম্বরের ৪০ শতাংশ এবং বাকি ৬০ নম্বরের উপর তৃতীয় প্রান্তিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ শ্রেণি পরীক্ষাসমূহ ও তৃতীয় প্রান্তিকের পরীক্ষার নম্বর যোগ করে ২০২২ এর শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশের সকল বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা একটি সুনির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করার পর প্রত্যেক বিদ্যালয় তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ফলাফল ঘোষণা করবেন এবং শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিকট এই ফলাফল তুলে দেবেন।
শিক্ষার্থীর এই শিখন অগ্রগতির সমন্বিত রেকর্ড প্রত্যেক বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন:
শিশুদের পাঠ্যপুস্তক সহজ করার আহ্বান
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি, গ্রেপ্তার ৩
প্রাথমিকে আরও ৩০ হাজার নিয়োগ : প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির পাইলটিং শুরু বুধবার
প্রাথমিকে গ্রীষ্মকালীন-ঈদের ছুটি ১৯ দিন, শুরু মঙ্গলবার
ট্যাগ: প্রাথমিক
মন্তব্য
সর্বশেষ সংবাদ
খনন হচ্ছে গড়ের খাল, অবদান রাখবে অর্থনীতিতে
বিএনপির মাইকের তার ছেঁড়ার অভিযোগ আ. লীগের বিরুদ্ধে
সব মহানগরে ১৮ মার্চ সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির
দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক করার উপায় খুঁজুন: ব্যবসায়ী নেতাদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা, নেতা-কর্মীদের স্লোগানে মুখরিত ময়মনসিংহ
কোকাকোলা পান করার পর ৬ জন হাসপাতালে
গুলিস্তানের বিস্ফোরণে মৃত্যু বেড়ে ২৪
সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
কেয়া কসমেটিকসে চাকরি, বেতনের পাশাপাশি মিলবে প্রণোদনা
বিকাশে চাকরি, পদ পাবেন সিনিয়র অফিসার
মধুর উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কোকাকোলা পান করার পর ৬ জন হাসপাতালে
দক্ষিণী সিনেমায় কেন নিষিদ্ধ ইলিয়ানা
বিপর্যয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক, বন্ধ কার্যক্রম
উদ্ধার হয়নি বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের ফোন, মেলেনি সিসিটিভির ফুটেজও
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রেরণ প্রসঙ্গে চিঠি (০১/১১/২২)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রেরণ প্রসঙ্গে চিঠি (০১/১১/২২)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রেরণ প্রসঙ্গে চিঠি (০১/১১/২২)।
Lutfor Rahman November 03, 2022 0
Views
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রেরণ প্রসঙ্গে চিঠি (০১/১১/২২)।
বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতি-২০২২
১) প্রতিটি বিষয়ে ২০ নম্বরের সাপ্তাহিক শ্রেণি পরীক্ষা চলমান থাকবে এবং ফলাফল সংরক্ষণ করতে হবে।
২) বছরশেষে বার্ষিক পরীক্ষার ন্যায় প্রতি বিষয়ে ৬০ নম্বরের ৩য় প্রান্তিক পরীক্ষা নিতে হবে। বাংলাদেশের সকল বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঘোষিত একটি সুনির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
৩) প্রত্যেকটি বিষয়ের সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ৫টি শ্রেণি পরীক্ষার (৫ × ২০ = ১০০ এর) ৪০% নম্বরের সাথে ৩য় প্রান্তিকের প্রতি বিষয়ে ৬০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে ২০২২ এ শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করে ফলাফল ঘোষণা করে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিকট এই ফলাফল তুলে দিতে হবে। শিক্ষার্থীর এই শিখন অগ্রগতির সমন্বিত রেকর্ড প্রত্যেক বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত স্মারকের বরাতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড (এনসিটিবি) তাদের মতামতে জানিয়েছে যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা ২০২১ এ প্রাক-প্রাথমিক হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অনুমােদিত মূল্যায়ন নীতিমালায় প্রাথমিক স্তর থেকে এসএসসি বা মাধ্যমিক পরীক্ষার পূর্বে কোনাে ধরণের পাবলিক পরীক্ষা অর্থাৎ পিইসি, জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষা না গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
০২। জাতীয় শিক্ষাক্রম রুপরেখা ২০২১ ও পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলােকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১ম শ্রেণির কোন প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। তবে প্রবর্তিত ধারাবাহিক মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে প্রতি প্রান্তিকের ফলাফল প্রদান করা হবে। এছাড়াও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২য় ও ৩য় শ্রেণিতে নতুন বই প্রবর্তন সাপেক্ষে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা এবং ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে হতে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের সংমিশ্রণে মূল্যায়ন ব্যবস্থা থাকবে। ২০২৩ সালে ধারাবাহিক মূল্যায়ন প্রবর্তনের পূর্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রচলিত পরীক্ষা তথা মূল্যায়ন পদ্ধতি চলমান থাকবে। এ ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নির্দেশনাবলী অনুসরণযােগ্য:
(ক) বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে শােনা, বলা, পড়া এবং লেখা বিষয়গত নির্দেশনা মােতাবেক শিক্ষার্থীর দক্ষতা পরিমাপ করতে হবে। পড়া ও লেখা শ্রেণি পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা পরিমাপ করতে হবে। শিক্ষক বিদ্যালয় খােলার তারিখ হতে যতগুলাে শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
(খ) গণিত বিষয়ে গাণিতিক ধারণা, প্রক্রিয়াগত ধারণা এবং সমস্যা সমাধানের উপর লিখিত শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরণের পরিমাপ শিক্ষকগণ এতদিন করে এসেছেন। সুতরাং শিক্ষক বিদ্যালয় খােলার তারিখ হতে যতগুলাে শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
(গ) বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং অন্যান্য বিষয়সমূহে বিষয়গত জ্ঞান, বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার জ্ঞান, | দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবােধ, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবােধ ও অনুশাসন প্রভৃতি পরিমাপের উপর বিদ্যালয় খােলার তারিখ হতে যতগুলাে শ্রেণি পরীক্ষা গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে যে কয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন পরীক্ষার ৫টির নম্বর গণনা করবেন। প্রত্যেকটি শ্রেণি পরীক্ষায় ২০ নম্বরের উপর পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
(ঘ) প্রত্যেকটি বিষয়ের শ্রেণি পরীক্ষাসমূহের মােট নম্বরের (৫টি) ৪০% এবং বাকী ৬০ নম্বরের উপর ৩য়। প্রান্তিক পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এ শ্রেণি পরীক্ষাসমূহ ও ৩য় প্রান্তিকের পরীক্ষার নম্বর যােগ করে ২০২২ এর । শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে। বাংলাদেশের সকল বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা একটি সুনির্দিষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
(ঙ) শিক্ষার্থীর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রণয়ন করার পর প্রত্যেক বিদ্যালয় তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ফলাফল। ঘােষণা করবেন এবং শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিকট এই ফলাফল তুলে দিবেন।
(চ) শিক্ষার্থীর এই শিখন অগ্রগতির সমন্বিত রেকর্ড প্রত্যেক বিদ্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
০৩। এমতাবস্থায়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড এর উল্লিখিত মতামতের ভিত্তিতে চলতি ২০২২ সালে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণি হতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রচলিত পরীক্ষা তথা মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক প্রেরিত মূল্যায়ন ছক (মূল্যায়ন ছক) অনুযায়ী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা। হলাে।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?