if you want to remove an article from website contact us from top.

    খাদ্য উৎপাদন অর্থনীতি কি

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে খাদ্য উৎপাদন অর্থনীতি কি পান।

    খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং অভিবাসন রোধে সুগারক্রপ (কার্তিক ১৪২৪)

    খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং অভিবাসন রোধে সুগারক্রপ (কার্তিক ১৪২৪) কৃষি প্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এক কথায় আমরা বলি সোনার বাংলা। সত্য সত্যই এ বাংলা

    কনটেন্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

    Share to Facebook Share to Messenger Share to WhatsApp Share to Twitter Share to LinkedIn Share to Gmail Share to Print Share to More

    National Portal Bangladesh

    পোর্টাল সাবস্ক্রাইব করুন

    পোলিং মতামত দিন

    খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং অভিবাসন রোধে সুগারক্রপ (কার্তিক ১৪২৪)

    কৃষি প্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এক কথায় আমরা বলি সোনার বাংলা। সত্য সত্যই এ বাংলা সোনা ফলানো বাংলা। ফসলের সমারোহে পীতে-হরিতে, সবুজে-শ্যামলে এ দেশ ভরপুর। অন্ন সমস্যা যে দেশে প্রকট, সে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়বে অচিরেই। আজকের দিনে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমাদের যা আশু এবং অবশ্যম্ভাবী করণীয় তা হলো কৃষি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের খাদ্যশস্যের পর্যাপ্ত ফলনকে সুনিশ্চিত করা। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। এ দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। জিডিপির প্রায় ১৫.৩৩ শতাংশ (বিবিএস, ২০১৫)  অর্জিত হয় কৃষি খাত থেকে। কৃষি খাতে চলমান প্রবৃদ্ধির হার ৩.৩৫ (বিবিএস ২০১৬)। দেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান আসে কৃষি খাত থেকে। এ ছাড়াও প্রতি বছর প্রায় দুই মিলিয়ন নতুন মুখের জন্য ৩ লাখ টন অতিরিক্ত খাদ্যের জোগান দিতে হয় এ খাতকে।

    কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে খাদ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যেখানে জনগণ তাদের আয়ের বেশির ভাগ খাদ্যের জন্য ব্যয় করে থাকে। রাষ্ট্রের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হলো সব সময়ে সবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। কিন্তু ক্রমাগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খাদ্য উৎপাদন ও চাহিদার সমন্বয়হীনতার অভাবে ক্রমে প্রকট হয়ে উঠছে খাদ্য সংকট। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আবাদযোগ্য জমি কমার কারণে গত ১০ বছরে জমির পরিমাণ ও উৎপাদন ২০ থেকে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। কৃষি খাতকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ১৫.১৮ মিলিয়ন (বিবিএস, কৃষি শুমারি ২০০৮) কৃষি পরিবারের (যাদের মধ্যে ৮৪.৩৮ শতাংশ পরিবারে জমির পরিমাণ সর্বোচ্চ ১ হেক্টর) জীবিকা অর্জনে কখনও কখনও অসম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কর্মসংস্থানের জন্য বিপুলসংখ্যক গরিব ও ভূমিহীন পরিবারের কৃষি খাতের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে পরিস্থিতির জটিলতা আরও বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে কৃষি খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষি কাজে জমির ওপর ক্রমবর্ধিত জনসংখ্যার চাপ, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের সংখ্যাধিক্য, মাটির স্বাস্থ্যের ক্রমাবনতি, সেচ পানির অপ্রতুলতা ও অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, দানাদার ফসল উৎপাদনে অধিক গুরুত্ব প্রদান, মানসম্মত বীজের অপ্রতুলতা, কৃষকের চলতি মূলধনের অভাব, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ধীরগতি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং অন্যান্য সমস্যা কৃষি খাতে সাফল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ ছাড়াও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ যেমন- কৃষি জমির শিল্প দূষণ, কৃষি জমি অকৃষিতে রূপান্তর, পাহাড়ধস ইত্যাদি কারণে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ছে এবং অভিবাসন হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। জার্মানভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জার্মান ওয়াচ বলেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২০০৭ সালে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রায় প্রতি বছরই বাংলাদেশের জনসাধারণ বিশেষ করে চরাঞ্চল, নদী, পাহাড়, বরেন্দ্র, হাওর ও সমুদ্র উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠী বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন-বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, পাহাড়ধস ইত্যাদি কারণে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের শিকার হয়। বর্তমানে জনসংখ্যার ৪০% দরিদ্র। এর মধ্যে ২০% অতিদরিদ্র। চরাঞ্চলে ৮৮% দরিদ্র এবং ৪৪% অতিদরিদ্র এবং ৫% জনগোষ্ঠীর অরক্ষিত বসতি রয়েছে। ফলে খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ার সাথে সাথে অভিবাসন হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    সুগারক্রপ চাষাবাদের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং অভিবাসন রোধ

    খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং অভিবাসন রোধে সুগারক্রপের গুরুত্ব এদেশে অপরিসীম। ইক্ষুর ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ দেশের চিনি ও গুড় শিল্প, যা উত্তরাঞ্চলের একমাত্র ভারী শিল্প। তাই উত্তরাঞ্চলের তথা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে ইক্ষুর অবদান সবচেয়ে বেশি। চিনিকল এলাকায় প্রায় ৬ লাখ চাষি পরিবার সরাসরি ইক্ষু চাষের ওপর নির্ভরশীল। তা ছাড়া চিনিকল বহির্ভূত গুড় উৎপাদন এলাকায় এবং চিবিয়ে খাওয়া ইক্ষু উৎপাদনের জন্য সারা দেশে প্রায় ২০ লাখ চাষি পরিবার ইক্ষু ফসলের ওপর নির্ভরশীল। চিনিকলগুলো প্রতি বছর ইক্ষু চাষিদের মধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে, ২৫০-৩০০ কোটি টাকার ইক্ষু ক্রয় করে এবং নিজ নিজ এলাকার সড়ক, জনপথ, কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিদ্যুতায়ন, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি গড়ে ওঠায় চিনিকলগুলোই গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকা-ের মূল ভিত্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। প্রায় ২৫ হাজার পরিবারের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হচ্ছে চিনি শিল্পে। এ ছাড়া ৬০ মিলিয়ন কৃষি পরিবার, ব্যবসায়ী, শ্রমিক চিবিয়ে খাওয়া ইক্ষু এবং গুড় উৎপাদনের সাথে জড়িত। তা ছাড়া ইক্ষু রোপণ, আন্তঃপরিচর্যা, কর্তন, মাড়াই, পরিবহন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজে কর্মসংস্থান হচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষের।

    মিষ্টিজাতীয় দ্রব্য মানবদেহের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যোপাদান। বিশেষ করে মেধাশক্তি বিকাশে এর বিকল্প নেই। আমাদের দেশে সাধারণত  চিনি ও গুড় মিষ্টিজাতীয় খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার নির্ধারিত মান অনুযায়ী জনপ্রতি বার্ষিক ১৩ কেজি চিনি/গুড় খাওয়া প্রয়োজন। সেই হিসাবে দেশে ২০২১ সালে প্রাক্কলিত ১৭.২০ কোটি জনসংখ্যার জন্য দরকার হবে ২৩ লাখ  টন চিনি ও গুড়। বর্তমানে প্রতি বছর ১.৮০ লাখ হেক্টর জমিতে ইক্ষু আবাদের মাধ্যমে দেশে ১৫টি চিনিকলে ২.১০ লাখ টন চিনি উৎপাদন ক্ষমতার বিপরীতে প্রায় ১.০০-১.৫০ লাখ  টন চিনি এবং ৬.০০ লাখ  টন গুড় উৎপাদিত হচ্ছে। এতে করে চিনি/গুড়ের মোট দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭.৫০ লাখ টন। ফলে চিনি/গুড়ের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪.৮৬ লাখ টন। এ চাহিদা পূরণ করতে সরকারকে প্রতি বছর ১৪-১৬ লাখ টন চিনি বিদেশ থেকে  আমদানি করতে হয়। বর্তমানে ইক্ষু চাষাযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমির সদ্ব্যবহার, উপকূলীয় এলাকার ২০ লাখ হেক্টর জমির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, চরাঞ্চলের ২ লাখ হেক্টর এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অব্যবহৃত জমির একটা অংশ গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যে চাষের আওতায় নিয়ে এসে ঘাটতি পূরণের এ কাজটি সফলভাবে করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ইক্ষুর পাশাপাশি ট্রপিক্যাল সুগারবিট, খেজুর, তাল, গোলপাতা, স্টেভিয়া প্রভৃতি অপ্রচলিত মিষ্টি উৎপাদনকারী ফসল থেকেও চিনি, গুড়, সিরাপ, জুস উৎপাদনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

    সূত্র : www.ais.gov.bd

    খাদ্য

    পাতা খেদাপাড়া ইউনিয়নের  উৎপাদিত শস্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শস্য হচ্ছে ধান। ধানের পরেই পাটের স্থান। এরপরে যেসব কৃষিজাত দ্রব্যের নাম করতে হয় সেগুলো হচ্ছে মাসকলাই, ম

    Wellcome to National Portal

    বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

    Previous Next Previous Next খেদাপাড়া ইউনিয়ন মেনু নির্বাচন করুন

    কনটেন্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

    Share to Facebook Share to Messenger Share to WhatsApp Share to Twitter Share to LinkedIn Share to Gmail Share to Print

    National Portal Bangladesh

    পোর্টাল সাবস্ক্রাইব করুন

    পোলিং মতামত দিন পাতা

    খাদ্য উৎপাদন

    খেদাপাড়া ইউনিয়নের  উৎপাদিত শস্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শস্য হচ্ছে ধান। ধানের পরেই পাটের স্থান। এরপরে যেসব কৃষিজাত দ্রব্যের নাম করতে হয় সেগুলো হচ্ছে মাসকলাই, মটর, ছোলা ইত্যাদি ডাল জাতীয় শস্য। তৈল বীজের মধ্যে রয়েছে  সরিষা ও তিল।  কাউন, চিনা, ধুন্দা, গম, যব জাতীয় খাদ্য শস্য  উৎপন্ন হয়। এখানকার উল্লেখযোগ্য ফল হচ্ছে ফুটি (বাঙ্গি), তরমুজ, ক্ষীরা ইত্যাদি। এছাড়াও এ জেলায় আম, জাম,কাঁঠাল, পেয়ারা, নারিকেল, সুপারি, তাল, খেজুর, জাম্বুরা (বাতাবি লেবু), লেবু, তেঁতুল, কামরাঙ্গা, জলপাই, বেল, ডালিম, আতা ইত্যাদি ফলও প্রচুর পরিমানে উৎপন্ন হয়। মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন, ধনে, আদা ইত্যাদি মসলা জাতীয় শস্য, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, উচ্ছে, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা, ধুন্দুল, শিম, বরবটি, কাকরল, ঢেড়শ, গোল আলু, বেগুন, টমেটো ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি সবজি প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত হয়।

    “২০১৩-২০১৪ ইং সনের ফসলের উৎপাদন”ক্র:নংফসলের নামআবাদী জমি(হেক্টর)উৎপাদিত ফসল(প্রতি হেক্টরে)মোট উৎপাদিত ফসল(মেট্রিক টন)

    ১ ধান ৮৯০ হেক্টর ৭.২০০ মে.টন ৬৪০৮.০০০ মে.টন ২ কলা ১০ হেক্টর ২০.০০০ টন ২০০.০০০ মে.টন ৩ আম ৮ হেক্টর ৪০.০০০ টন ৩২০.০০০ মে.টন ৪ ঘাস(গোখাদ্য) ৮ হেক্টর ৬০.০০০ মে.টন ৪৮০.০০০ মে.টন

    এছাড়া সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে মর্মে বক্তব্য রেখে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করলেও বাস্তবতার সাথে তার মিল নেই। সরকারি ডকুমেন্টেই প্রমাণ রয়েছে যে সরকার চলতি ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট ২৮.৪৩ লাখ টন খাদ্যশস্য বিদেশ থেকে আমদানি করেছে। অর্থাৎ বছরের ৯ মাসেই এই পরিমাণ খাদ্য আমদানি করতে হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বের হওয়া ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৫’ বইয়েই এই তথ্য দেয়া হয়েছে।

    প্রতি বছর বাজেটের সময় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বইটিও প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সমীক্ষায় দেখা যায়, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই অর্থাৎ জুলাই ২০১৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৫ মাস পর্যন্ত মোট চাল আমদানি হয়েছে ৮.৬৯ লাখ টন। একই সময়ে গম আমদানি হয়েছে ১৯.৭৪ লাখ টন। সব মিলিয়ে এই ৯ মাসে মোট খাদ্য আমদানি হয়েছে ২৮.৪৩ লাখ টন। সমীক্ষায় বলা হয়, এর মধ্যে সরকারি খাতে ০.৭২ লাখ টন গম আমদানি হয়েছে বলে। বাকি ২৭.৭১ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি হয়েছে বেসরকারি খাতে। এর মধ্যে চাল ৮.৬৯ লাখ টন এবং গম ১৯.০২ লাখ টন। এতে বলা হয় চলতি বছর সরকারিভাবে কোনো চাল আমদানি করা হয়নি। উপরন্তু বাম্পার ফলন, বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং সন্তোষজনক মজুদ পরিস্থিতির কারণে উৎসাহিত হয়ে সরকার ২৫ হাজার টন মোটা চাল শ্রীলংকায় রফতানি করেছে। চাল রফতানির এই ঘটনা এটাই প্রথম বলেও সমীক্ষায় বলা হয়েছে।

    ২০১৫ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় আরো বলা হয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে খাদ্য শস্যের মোট উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে আউশ ২৩ লাখ ২৮ হাজার টন, আমন ১ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টন, বোরো ১ কোটি ৮৯ লাখ ৭৭ হাজার টন, গম ১৩ লাখ ৩৩ হাজার টন এবং ভুট্টা ২৫ লাখ ২১ হাজার টন। বিগত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে খাদ্য শস্যের মোট উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৮১ লাখ ৭৪ হাজার টন। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে অভ্যন্তরীণ খাদ্য শস্যের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টন।

    খাদ্য শস্যের আমদানি প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় আরো বলা হয়, বিগত ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলে মোট খাদ্য শস্যের আমদানির পরিমাণ ছিল ৩১ লাখ ২৪ হাজার টন। এর মধ্যে চাল ৩ লাখ ৭৪ হাজার টন এবং গম ২৭ লাখ ৫০ হাজার টন আমদানি করা হয়। এর মধ্যে সরকারিভাবে মোট ৯ লাখ ৮৮ হাজার টন খাদ্য শস্য আমদানি করা হয় বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। বাকী ২১ লাখ ৩৬ হাজার টন খাদ্য বেসরকারি খাতে আমদানি করা হয়। ঐ বছর বেসরকারি খাতে চাল আমদানি করা হয় ৩ লাখ ৭১ হাজার টন এবং গম আমদানি করা হয় ১৭ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন।

    ছবি

    সংযুক্তি

    ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের খাদ্য উৎপাদনে চুড়ান্ত প্রতিবেদন

    সংযুক্তি (একাধিক)

    বোরো (ধান) সংগ্রহ-২০১৭

    বোরো (আতপ) সংগ্রহ-২০১৭

    বোরো (সিদ্ধ) সংগ্রহ-২০১৭

    আমন (সিদ্ধ) সংগ্রহ-২০১৭-১৮

    কনটেন্টটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন

    Share to Facebook Share to Messenger Share to WhatsApp Share to Twitter Share to LinkedIn Share to Gmail Share to Print

    National Portal Bangladesh

    পোর্টাল সাবস্ক্রাইব করুন

    পোলিং মতামত দিন

    সরকারি অফিসের নতুন ওয়েবসাইটের আবেদন

    চাকুরি (১) টেন্ডার (০) বিজ্ঞাপন (০)

    কেন্দ্রীয় ই-সেবা

    জেলা ই-সেবা কেন্দ্র

    আভ্যন্তরীণ ই-সেবা

    ইমাম বাতায়ন

    জন্ম নিবন্ধন সকল নোটিশ

    স্থানীয় সরকার সনদপত্র ব্যবস্থাপনা সিস্টেম

    সকল ফরম- ওয়েজ আর্নাস কল্যান বোর্ড

    লাইসেন্স সংক্রান্ত নথি

    অনলাইন আর্থিক সহায়তা ব্যবস্থাপনা

    ই-ডিরেক্টরী ই-কৃষি

    মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা

    স্কুল কলেজের তালিকা ইউনিয়ন ই-ডিরেক্টরী মন্ত্রনালয় ও বিভাগ আপনার অভিযোগ

    অনলাইন জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধন

    আয়কর নিবন্ধন

    রেলওয়ে টিকেটিং সিস্টেম

    অনলাইন পাসপোর্টের আবেদন

    অনলাইন ভিজিডি কর্মসূচী

    ই-প্রাথমিক সিস্টেম ব্যবস্থাপনা

    হিট সংখ্যা

    গুরুত্বপুর্ণ লিংক

    সূত্র : khedaparaup.jessore.gov.bd

    খাদ্য উৎপাদনে কতটা এগিয়েছি

    মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্যের অবস্থান শীর্ষে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, খাদ্যসহ মানুষের জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণগুলো সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

    স্বদেশ ভাবনা

    খাদ্য উৎপাদনে কতটা এগিয়েছি

    আবদুল লতিফ মন্ডল

    ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

    38 Shares

    মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্যের অবস্থান শীর্ষে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, খাদ্যসহ মানুষের জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণগুলো সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

    খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে শর্করা (চাল, আটা, আলু), আমিষ (মাছ, মাংস, ডিম), স্নেহপদার্থ (ভোজ্যতেল, দুগ্ধজাতীয় খাবার), মিনারেলস (শাকসবজি, খাবার লবণ) এবং পানীয় (চা, কফি)। ক’দিন পর শুরু হতে যাওয়া ২০২১ সালে আমরা উদযাপন করতে যাচ্ছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। স্বাধীনতার পাঁচ দশকে খাদ্য উৎপাদনে আমরা কোন পর্যায়ে আছি তা পর্যালোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

    স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সব সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর করার ওপর জোর দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করা প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (১৯৭৩-৭৮) প্রধান লক্ষ্য হলেও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয় এ পরিকল্পনায়। দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (১৯৮০-৮৫) উদ্দেশ্যাবলিতে শুধু খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন নয়, বরং ‘সম্ভব হলে, খাদ্যশস্যের উদ্বৃত্ত সৃষ্টির প্রয়াস নেয়ার’ ওপর জোর দেয়া হয়।

    তৃতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (১৯৮০-৮৫) খাদ্যশস্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে উচ্চহারে অর্থাৎ বার্ষিক ৭ শতাংশের বেশি হারে খাদ্যশস্য উৎপাদনের ওপর জোর দেয়া হয়। পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাগুলো ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় (২০১০-২০) খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।

    This is a modal window.

    The media could not be loaded, either because the server or network failed or because the format is not supported.

    This is a modal window. This modal can be closed by pressing the Escape key or activating the close button.

    Reloading Source..

    কৃষি খাতে ১৯৭২ সালের ১০১ কোটি টাকার বাজেট পরবর্তী সব সরকারের আমলে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে চলতি অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৪২ কোটি টাকায়। সার্বিক কৃষি খাতের অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বন উপখাতের বরাদ্দসহ মোট বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৮৮১ কোটি টাকায় (অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা, জুন ২০২০)। খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহ প্রদানে কৃষকদের নানা রকম প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।

    দেশে প্রধান খাদ্য বলতে সাধারণত চাল বা চাল থেকে তৈরি ভাতকে বোঝায়। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রায় পাঁচ দশকে আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণের কিছুটা বেশি হলেও সব সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমে চাল উৎপাদনের পরিমাণ তিনগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে সাড়ে তিন কোটি টন ছাড়িয়ে গেছে। চাল উৎপাদনে স্বনির্ভরতার কাছাকাছি পৌঁছলেও এখনও আমরা পুরোপুরি স্বনির্ভর হতে পারিনি। দেশে প্রধান খাদ্য চাল উৎপাদনে বড় সমস্যা হল প্রবৃদ্ধি হারে ধারাবাহিকতার অভাব।

    এর মূল কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে সরকারিভাবে স্বল্প পরিমাণ ধান কেনায় কোনো কোনো মৌসুমে ধানচাষীরা বাধ্য হয়ে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের কাছে ধান বিক্রি করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং এতে তারা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

    গত পাঁচ অর্থবছরে দেশে চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হারের ধারাবাহিকতা পর্যালোচনা করলেই এর সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও অন্যান্য রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে চাল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৪৭ লাখ ১০ হাজার টন।

    এর আগের অর্থবছরে (২০১৪-১৫) একই পরিমাণ চাল উৎপাদিত হওয়ায় চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ছিল শূন্য। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চাল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৩৮ লাখ টন। অর্থাৎ এ বছর চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চালের উৎপাদন দাঁড়ায় ৩ কোটি ৬২ লাখ ৭৯ হাজার টন। এ অর্থবছর চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ছিল অতি উৎসাহব্যঞ্জক- ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩ কোটি ৬৪ লাখ টন পূরণ হয়।

    অর্থাৎ চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ইতিবাচক। ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষদিকে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, চালের উৎপাদন ৩ কোটি ৭০ লাখ টনে দাঁড়াবে। তবে ৮ নভেম্বর মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টন চাল উৎপাদিত হয়।

    অর্থাৎ প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় নেতিবাচক। এর ফলে স্বল্প পরিমাণে হলেও সরকারকে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। উপর্যুপরি বন্যা এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি মৌসুমে আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই বোরো ও আউশের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বছরে চাল উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।

    আমাদের খাদ্যশস্যের তালিকায় চালের পরই দ্বিতীয় স্থানে থাকা গমের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। এর চিহ্নিত কারণগুলো হল- এক. জনসংখ্যা বৃদ্ধি। স্বাধীনতার সময়ের সাড়ে ৭ কোটি জনসংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৭ কোটিতে। দুই. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য সচেতনতা। সময়, আয় ও জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তনের দোলা খাদ্যাভ্যাসেও লেগেছে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিুবিত্ত- সব শ্রেণির ভোক্তার খাদ্য তালিকায় গম তথা আটা-ময়দা গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আয়ের পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে স্বাস্থ্য সচেতনতা।

    সুতরাং গমের চাহিদা বাড়ছে বৈ কমছে না। তিন. খুচরা বাজারে মোটা চাল ও আটার দামে পার্থক্য সামান্য হলেও মাঝারি ও সরু চালের তুলনায় আটার দাম বেশ কম। ফলে গমের চাহিদা বাড়ছে। আর গমের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চললেও এর উৎপাদন নব্বইয়ের দশকের শেষদিকের তুলনায় বহুলাংশে কমে গেছে।

    সরকারি তথ্য মোতাবেক, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে দেশে গমের উৎপাদন হয়েছিল ১৯ লাখ ৮ হাজার টন, আর এখন তা ১২-১৩ লাখ টনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বর্তমানে দেশে গমের বার্ষিক চাহিদা দাঁড়িয়েছে কমবেশি ৭০ লাখ টনে। দেশে গমের চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের পরিমাণ পাঁচ ভাগের এক ভাগে নেমে আসায় দেশ গমে প্রায় পুরোপুরি আমদানিনির্ভর হয়ে পড়েছে।

    খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) দেশে গম আমদানি হয়েছে ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টন। তাই গমের উৎপাদন বাড়িয়ে কমপক্ষে ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরের পর্যায়ে পৌঁছতে হবে।

    সূত্র : www.jugantor.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 24 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন