ঘাড়ের রগে টান লাগলে করণীয়
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে ঘাড়ের রগে টান লাগলে করণীয় পান।
ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয়
হঠাৎ করেই ঘাড় ব্যথা !এমতোবস্থায় ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয় কী? অথবা ঘাড়ের রগে টান লাগলে করণীয় কী? আপনার মনে যদি এসব প্রশ্ন জাগে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয় | ঘাড় ব্যথার ব্যায়াম
July 16, 2021
হঠাৎ করেই ঘাড় ব্যথা !এমতোবস্থায় ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয় কী? অথবা ঘাড়ের রগে টান লাগলে করণীয় কী? আপনার মনে যদি এসব প্রশ্ন জাগে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো মাথা। আর মাথার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক একাই শরীরের সব অংশের কার্যক্রম করতে পারে না। তবে প্লান করতে পারে। মস্তিষ্ক শরীরের আলাদা আলাদা অংশকে সংকেত প্রেরণ করে। সেই সংকেতে সাড়া দিয়ে শরীরের অন্য অংশুগলো কার্য সম্পাদন করে। কিন্তু মস্তিষ্ক কীভাবে এসব সংকেত শরীরের অন্য অংশতে প্রেরণ করে। তার মাধ্যমটা কী? আমাদের দেহের পেছনে আছে মেরুদন্ড। আর মেরুদন্ডের ভিতরে সংরক্ষিত আছে স্নায়ুরজ্জু। আর মস্তষ্ক থেকে প্রেরিত সকল তথ্য প্রেরণ করে এই স্নায়ুরজ্জুর মাধ্যমে। স্নায়ুরজ্জু হলো মস্তিষ্ক থেকে তথ্য প্রেরণের উত্তম মাধ্যম।
ঘাড়ে গঠিত মাংসপেশি, হাড়, রক্তনালি ইত্যাদি দ্ধারা। ঘাড়ের মাংসপেশি এবং হাড়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পরোক্ষভাবে আমাদের পুরো শরীরের সু-স্বাস্থ্যের বিষয়টি কিন্তু ঘাড়ের উপরেই নির্ভর করে।
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ব্যায়াম
ঘাড় ব্যথার কারণ কী?
ঘাড় ব্যথার নির্দিষ্ট কয়েকটি কারণ আছে। এরপরও আরো অনেক কারণ সংশ্লিষ্ট আছে, যেগুলোর কারণেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তবে ঘাড় ব্যথার কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা যায়। সেগুলো হলো-
ঘাড়ে ব্যথা ফেলে।
বাঁকা হয়ে দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকলে।
বসার ভঙ্গিতে কোনো রকম ক্রটি থাকলে এবং তা দীর্ঘদিন।
কাজে করতে গিয়ে ঘাড়ে ব্যথা ফেলে।
বার বার ঘাড় মটকানোর কারণে।
ঘাড়ে বা মাথায় কেউ আঘাত করলে।
ঘাড়ে কেউ টান মারলে।
প্রেসার কন্ট্রোলে না থাকলে।
উপরোক্ত এই সাতটি কারণ ছাড়াও আরো্ আছে অনেক কারণ। যে কারণে ঘাড়ে তীব্র ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মুখের দূর্গন্ধ দূর করুণ
ঘাড়ে ব্যথার লক্ষণ সমূহ-
সাধারণত আমাদের যখন ঘাড়ে ব্যথা অনুভব হয়, তখনই আমরা বুঝে যাই যে আমাদের ঘাড়ে কিছু একটা ঘটছে। তবে আরো অনেকগুলো লক্ষণ আছে, যেগুলোর মাধ্যমে আমরা বুঝতে সক্ষম হবো যে আমাদের ঘাড় ব্যথা । অনেকগুলো লক্ষণ থাকতে পাড়ে। তার মধ্যে থেকে কিছু ঘাড়ে ব্যথার লক্ষণ সমুহ হলো-
ঘাড় ঘুরালে প্রথমিকভাবে কিছুটা ব্যথা ব্যথা অনুভব করা।
দাঁড়ানো অবস্থায় হাঁটলে কিংবা কোনো রকম কাজ করলেই ব্যথা অনুভব এবং কোনো ক্ষেত্রে ব্যথা বেড়ে যায়।
ঘাড়ের মুভমেন্ট পরিবর্তনে ব্যথা হওয়া।
মনে হয় ঘাড় জমে আছে বা ধরে আছে।
হাতের বাহু, হাত, আঙ্গুল,, অসার হতে থাকা বা দূর্বল হতে থাকে।
মাঝে মাঝে হাত বা বহু অবশ অবশ অনুভব করা।
ঘাড় বা মাথা নিচু করলে ঘাড়ের রগে টান খাওয়ার অনুভব করা ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখ করা হলো মাত্র কয়েকটি ঘাড় ব্যথার লক্ষণ। এছাড়াও আছে আরো অনেকগুলো ঘাড় ব্যথার লক্ষণ সহ নমুনা। উক্ত বিষয়গুলোর মধ্যে একাধিক বিষয় যদি আপনার মধ্যে ঘটে থাকে তাহলে ধরে নিবেন আপনার ঘাড় ব্যথা তৈরি হয়েছে।
ফুসফুস ভালো রাখুন
ঘাড়ে ব্যথা হলে আমাদের করণীয় কী?
যেহেতু ঘাড় ব্যথা একটি যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা এবং বিরক্তকর একটি ব্যথা, তাই এর থেকে রেহাই পেতে আমাদের স্বল্প কিছু নিয়ম মানলেই খুব সহজেই রক্ষা পেতে পারি। এই ক্ষেত্রে ঘাড় ব্যথার কিছু করণীয় আছে। আজকের পর্বে এই ঘাড় ব্যথার এই করণীয়গুলোই ব্যাখ্যা করবো।
ডায়াবেটিস কমান
যেহেতেু এখন আমরা জানি কেন ঘাড় ব্যথা হয়, সেহেতু ঘাড় ব্যথা হলো এখন আমাদের কী করতে হবে, তা এখন জানতে হবে। সুতরাং ঘাড় ব্যথা হলে আমাদের করণীয় হলো-
ঘাড়ের ব্যায়াম করতে হবে।
স্পন্ডিলাইটিস এর ব্যায়াম।
প্রেসার কন্ট্রোল রাখতে হবে।
খাওয়া-দাওয়ায় কিছুটা পরির্বতন আনতে হবে।
প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে।
বেশি হলে ঘাড় ব্যথার ডাক্তার দেখাতে হবে।
ঘাড় ব্যথার ঔষধ খেতে হবে।
ঘাড়ের রগে টান
ঘাড়ের রগে টান বিষটি ঘাড় ব্যথার সাথেই সম্পর্কিত। নানা কারণে ঘাড়ের রগে টান লাগতে পারে। ঘাড়ের রগে টান লাগার উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ হলো-
হাঁটাহাঁটির সময় হঠাৎ করে খুব দ্রুত পিছনে তাকানো বা ঘাড় ঘোরানোর কারণে।
মাত্রাতিরিক্ত ওজন মাথায় নেওয়া।
ভারী কিছু উপরে উঠাতে গিয়ে সামনে ঝুকে পড়ার কারণে ঘাড়ে টান লাগতে পারে।
গাড়িতে চড়ার সময় হঠাৎ ব্রেক চাপলে ঘাড়ে রগে টান লাগতে পারে।
মাথার অনিয়ন্ত্রিত মুভমেন্ট এর কারণে।
উল্লেখিত কারণগুলো ছাড়াও আরো অনেক অজানা কারণ রয়েছে, যেগুলো দ্ধারা আমাদের ঘাড়ের রগে টান লাগতে পারে এবং প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হতে পারে।
ঘাড়ের রগে টান লাগলে করণীয়
এতক্ষণ ঘাড়ের রগে টান লাগার কারণগুলো জানলেন। এখন চলুন জানা যাক এর প্রতিকার করার নিয়মগুলো অর্থাৎ ঘাড়ের রগে টান লাগলে করণীয়গুলো-
রাতে শোবার সময় মাথার নিচে মাধ্যম সাইজের একটি বালিশ ব্যবহার করবেন।
বালিশের অর্ধেক মাথার নিচে আর অর্ধেক ঘাড়ের নিচে রাখবেন।
বালিশ বেশি শক্তও হতে পারবে না আবার বেশি নরমও হতে পারবে না।
ব্যথা কমলে ঘাড়ে বেশি চাপ দেওয়া যাবে না।
হাঁটার সময় হাঠাৎ খুব দ্রুত পিছনে তাকানো যাবে না।
মাত্রাতিরিক্ত কোনো কিছু নিচ থেকে উপরে উঠানো যাবে না।
গাড়ির ব্রেক হঠাৎ ধরা যাবে না।
প্রয়োজনে ব্যথা বেশি হলে ডাক্তারের শরাপন্ন হতে হবে।
উপরোক্ত এই বিষয়গুলোই হলো ঘাড়ে রগে টান লাগার পর করণীয়। এই বিষয়গুলো মান্য করার মাধ্যমে ঘাড়ের রগের টান লাগা দূর করা সম্ভব এবং ব্যথ্যও দুর করা সম্ভব ।
ঘাড়ের শিরায় ব্যথা
ঘাড়ের শিরায় ব্যথা আর ঘাড়ের রগের টানের ব্যথা প্রায় একই জিনিস। তবে কিছু কিছু নির্দিষ্ট কারণে ঘাড়ের শিরায় ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো-
ঘাড়ের মাংসপেশিতে টান লাগা।
ঘাড়ে অবস্থিত কশেরুকার স্নায়ু কোনো কারণে সংকুচিত হয়ে যাওয়া।
শিরদাড়ায় ব্যথা পাওয়া ইত্যাদি কারণে ঘাড়ের শিরায় ব্যথা হয়।
ঘাড়ের রগে টান খেলে কিভাবে এর থেকে মুক্তি পাব?
ঘাড়ের রগে টান খেলে কিভাবে এর থেকে মুক্তি পাব?
mdkhaled
Asked on April 28, 2021
3 Answers রিফাত৮৩০
Answered on May 28, 2016
Call
মালিশ বা এ ধরণের কিছু করার প্রয়োজন নেই। কাচের বোতলে হালকা কুসুম গরম পানিয়ে নিয়ে টান খাওয়া অংশে লাগান। সুতি কাপড়ের টাওয়েল বা অন্য কিছু হালকা করে গরম করে সেকা দিন।সাথে সাথে না কমলে বা না ছাড়লেও টেনশনের কিছু নেই। সময় দিন। ঠিক হয়ে যাবে।
Answer 12865 Views Md Ashif
Answered on May 28, 2016
Call
ভালভাবে মালিশ করেন ।
হালকা গরম সেক দিবেন।
এবং প্রয়োজন বোধে Tab . Beclo বা tab. sedil দিনে দুইটা খাবেন।
ভাল হয়ে যাবে। Answer 12865 Views জাহিদুল হাসান কিরন
Answered on May 28, 2016
Call
ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালভাবে মালিশ করেন । হালকা গরম সেক দিবেন। এবং প্রয়োজনবোধে Tab . Beclo বা tab. sedil দিনে দুইটা খাবেন। ভাল হয়ে যাবে।
Answer 12865 Views
হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয়
হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয়
হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথা হলে করণীয়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১৬:৪০, ৪ নভেম্বর ২০২০
AddThis Sharing Buttons
Share to Facebook Share to Twitter Share to LinkedIn Share to More
পেশি দুর্বল হলে- দীর্ঘক্ষণ একভাবে একজায়গায় বসে থাকলে পেশিতে খিল ধরে এবং ঘাড়ে ও কাঁধে ব্যথা হয়। এই একভাবে বসে থাকতে গিয়ে আচমকা টান লেগেও ব্যথা হতে পারে।
ঘাড়ের টিস্যুর ক্ষয়- বয়স হলে ঘাড়ের টিস্যুর ক্ষয় হয়। এছাড়াও যারা দীর্ঘদিন ধরে ল্যাপটপের সামনে বসে কাজ করছেন তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। এর ফলে ঘাড়ের মধ্যেকার হাড়ে ফাঁক থেকে যায়। যেখান থেকে ব্যথা হতে পারে।
স্লিপ ডিস্ক হলে- কোনও কারণে স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে কোনও টিস্যু ফুলে গেলে স্লিপ ডিস্ক হতে পারে। সেখান থেকেও ঘাড়ে ব্যথা হয়।
আঘাত পেলে- কোনও দুর্ঘটনায় ঘাড়ে আঘাত পেলে সেই ব্যথা বহুদিন স্থায়ী হয়। মাঝে মধ্যেই তখন পেশীতে টান গেলে ব্যথা হতে পারে।
বসায় ত্রুটি হলে- বসার ভঙ্গীতে ত্রুটি থাকলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও বাঁকাভাবে শুয়ে থাকলে ঘাড়ে চাপ পড়ে, সেখান থেকেও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। সেই ব্যথা হলে অন্যদিকে ঘাড় ঘোরানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এ সময়ে যা করণীয়
-দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ও সেলাই মেশিন ব্যবহারে সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করবেন না।
-মাথার ওপর কোনো ধরনের ওজন নেবেন না।
-শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।
-তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইস্টিং) এসব অভ্যাস করা যাবে না।
-সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।
-কাত হয়ে বা অস্বাভাবিক অবস্থানে থেকে দীর্ঘক্ষণ বই পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।
-কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।
-ঘাড়ের ব্যথা বেশি থাকলে গাড়ি চালানো, ভারী কাজ করবেন না। হিতে বিপরীত হবে।
-মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা থেকেও ঘাড়ের ব্যথা আসে। তাই চাপ বেশি থাকলে আগে তা কমানোর চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে ঘরের বাইরে বেশি সময় কাটিয়ে নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখুন।
একটানা ব্যথা থাকলে চিকিৎসকের কাছে যান। পরামর্শ মতো ওষুধ খান। খুব প্রয়োজন না হলে শিরদাঁড়ায় ইঞ্জেকশন নেবেন না।
এএইচ/এসি
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?