জন্ডিস এর লক্ষণ কি
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে জন্ডিস এর লক্ষণ কি পান।
জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন
ডিএমপি নিউজঃ জন্ডিস (Jaundice) আসলে কোন রোগ নয়, এটি একটি রোগের লক্ষণ মাত্র। জন্ডিস হলে রক্তে বিলরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং ত্বক, চোখের সাদা অংশ এবং অন্যন্য মিউকাস ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায়। এ রোগের সু
জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন
এপ্রিল ২৪, ২০১৯ , ১২:০৩ অপরাহ্ণ
বিষয়বস্তু: নিউজ স্পেশাল, লাইফ স্টাইল
ডিএমপি নিউজঃ জন্ডিস (Jaundice) আসলে কোন রোগ নয়, এটি একটি রোগের লক্ষণ মাত্র। জন্ডিস হলে রক্তে বিলরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং ত্বক, চোখের সাদা অংশ এবং অন্যন্য মিউকাস ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায়। এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। প্রতিরোধই এ রোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়।
জন্ডিসের কারণরক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। সাধারণত লিভারের রোগই জন্ডিসের প্রধান কারণ। আমরা যা কিছু খাই তা লিভারেই প্রক্রিয়াজাত হয়। লিভার বিভিন্ন কারণে রোগাক্রান্ত হতে পারে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাসগুলো লিভারে প্রদাহ সৃষ্টি করে যাকে বলা হয় ভাইরাল হেপাটাইটিস। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই জন্ডিসের প্রধান কারণ এই হেপাটাইটিস ভাইরাসগুলো। উন্নত দেশগুলোতে অতিরিক্ত মধ্যপান জন্ডিসের একটি অন্যতম প্রধান কারণ।
এ ছাড়াও অটোইমিউন লিভার ডিজিজ, বংশগত কারণসহ আরও নানান ধরনের লিভার রোগেও জন্ডিস হতে পারে। ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও অনেক সময় জন্ডিস হয়। তা ছাড়া থ্যালাসিমিয়া ও হিমোগ্লোবিন ই-ডিজিজের মত যেসকল রোগে রক্ত ভেঙ্গে যায় কিংবা পিত্তনালীর পাথর অথবা টিউমার হলে জন্ডিস হতে পারে। আবার লিভার বা অন্য কোথাও ক্যান্সার হলেও জন্ডিস হতে পারে। জন্ডিস মানেই লিভারের রোগ এমনটি ভাবা তাই একেবারেই ঠিক নয়।
জন্ডিসের লক্ষণ ও উপসর্গসমূহজন্ডিসের প্রধান লক্ষণ হল চোখ ও প্রসাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া আবার সমস্যা বেশি হলে পুরো শরীর গাঢ় হলুদবর্ণ ধারণ করতে পারে।
শারীরিক দুর্বলতা। ক্ষুধামন্দা।
জ্বর জ্বর অনুভূতি কিংবা কাঁপানি দিয়ে জ্বর আসা।
বমি বমি ভাব অথবা বমি।
মৃদু বা তীব্র পেট ব্যথা।
অনেকসময় পায়খানা সাদা হয়ে যাওয়া।
চুলকানি।
যকৃত শক্ত হয়ে যাওয়া।
জন্ডিস প্রতিরোধে করণীয়ঃ
জন্ডিস থেকে বেঁচে থাকতে আমাদের কিছু করণীয় আছে। জন্ডিস প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্ক জেনে নিনঃ
হেপাটাইটিস এ ও ই খাদ্য ও পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আর হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি এবং হেপাটাইটিস ডি দূষিত
রক্ত, সিরিঞ্জ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সব সময় বিশুদ্ধ খাবার ও পানি খেতে হবে।
হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস বি হওয়ার আশংকা মুক্ত থাকতে হেপাটাইটিস এ এবং হেপাটাইটিস বি এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।
শরীরে রক্ত নেয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে নিতে হবে।
ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে।
মদ পান ও নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
নিরাপদ যৌন মিলন করুন।
কল কারখানার নির্গত রাসায়নিক পদার্থ থেকে দূরে থাকুন।
সেলুনে সেভ করার সময় অবশ্যই নতুন ব্লেড ব্যবহার করতে বলবেন।
জন্ডিস অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণও হতে পারে তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে সচেতন হতে হবে।
জন্ডিসেরচিকিৎসাঃভাইরাল হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হেপাটাইটিসের রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে। ভাইরাল হেপাটাইটিস সাধারণত ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণরুপে সেরে যায়। এ সময় ব্যথার ওষুধ যেমন, প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ঘুমের ওষুধসহ অন্য কোনো অপ্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। এ সময়ে মরফিন কিংবা ঘুমের ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। অ্যালকোহলে আসক্তরা অবশ্যই অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। জন্ডিস হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধই সেবন করা ঠিক হবে না।
শেয়ার করুন
Facebook Twitter Email WhatsApp Viber Telegram Share
What Are The Symotoms Of Jaundice, See In Pics
জন্ডিস (Jaundice)। এই অসুখের নামটির সঙ্গে সকলেই পরিচিত। নানা কারণে জন্ডিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
Jaundice Symptoms: কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে?
By : abp ananda | Updated: 20 May 2022 09:58 PM (IST)
FOLLOW US:
জন্ডিস (Jaundice)। এই অসুখের নামটির সঙ্গে সকলেই পরিচিত। নানা কারণে জন্ডিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জন্ডিস সারানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ নেই। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললেই এই অসুখ সারিয়ে ফেলা সম্ভব।
পাশাপাশি জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দিলে, দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করে ফেলে রাখলে হতে পারে বিপদ। প্রাণহানিও ঘটতে পারে। তাই আগে জেনে নেওয়া খুব জরুরি, কীভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে কিনা।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জন্ডিসের সাধারণ লক্ষণ হিসেবে ত্বকের রং হলুদ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার কথা জানেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে, এটাই একমাত্র লক্ষণ নয়।
তাঁদের মতে, আমাদের শরীরে যখন বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়,তখনই জন্ডিসের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও আরও নানা লক্ষণ দেখা দেয়।
আর জন্ডিস দেখা দিলে হতে পারে জ্বর, ঠান্ডা লাগা, তলপেটে প্রবল ব্যথা, সাধারণ ফ্লু-এর মতো উপসর্গ, ত্বকের রং বদলে যাওয়া, প্রস্রাবের রং বদলে যাওয়া এবং পায়খানার রং বদলে যাওয়া।
এই সমস্ত উপসর্গ বা লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন। এবং তাঁর কথা মতো চলা দরকার।
গবেষকদের মতে, জন্ডিসের চিকিৎসা চলাকালীন নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, বমি বমি ভাব, পাকস্থলীতে যন্ত্রণা, পেটে ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা, বমি, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিটা ক্ষেত্রেই নিজে থেকে চিকিৎসা করা একেবারেই উচিত নয়। বরং অল্প উপসর্গ দেখা দিলেই যোগাযোগ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের মত, জন্ডিস এমন একটা অসুখ, যা নিয়ম মেনে চললে যেমন সেরে যায় দ্রুত। তেমনই ফেলে রাখলে দ্রুত স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে এবং প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
Tags: lifestyle health tips jaundice jaundice Symptoms লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য হেলথ টিপস জন্ডিস জন্ডিসের লক্ষণ
লাইফস্টাইল (lifestyle) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।আপনার জন্য
লটারি থেকে আয়ের সম্ভাবনা কাদের ? কেমন যাবে আজকের দিন ?
ABP Live
Green Card çekilişine şimdi başvurun!
Global USA
Assembly Chaos: তুমুল বাগ্ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন বিরোধী দলনেতা ও রাজ্যের সেচমন্ত্রী! | Bangla News
ABP Live
Küçük İşletmeler İçin %50 Devlet Teşvikli Yemek Kartı
Ticket Restaurant Yemek Kartı
Green Card çekilişine şimdi başvurun!
Global USA | Sponsored
Küçük İşletmeler İçin %50 Devlet Teşvikli Yemek Kartı
Ticket Restaurant Yemek Kartı
| Sponsored
Kayıtlar 8 kasım’da sona eriyor. Şimdi kaydolun!
ABD Hükümeti her yıl 55,000 kadar Green Card'ı Çeşitlilik Göçmen Vize Programı (Green Card Çekilişi) aracılığı ile yeni göçmenlere vermektedir.
Usafis | Sponsored
Edenred Ticket Yemek Kartı ile Gelir Vergisi ve KDV'den Tasarruf edin
Ticket Restaurant Yemek Kartı
| Sponsored
ABD Green Card Çekilişine online katılım artık çok kolay!
Global USA | Sponsored
Yemek Kartına Sahip Olmak Artık Çok Kolay!
MultiNet | Sponsored
Yeşil Kart kazanma fırsatına sahip olmak için programa bugün katılın
Green Card DV Çekilişi'ne gönderim için başvurunuzu hazırlamanız için en iyi zaman.
কীভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে
কোনো কারণে খাওয়ায় অরুচি দেখা দিলেই মানুষ ধরে নেয় যে জন্ডিস হয়েছে। নানা ধরনের ঝাড়ফুঁক, তাবিজ–কবচ নেওয়া
সুস্থতা
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস কীভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে
লেখা:অধ্যাপক চঞ্চল কুমার ঘোষ
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২২, ০৭: ৫৩
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের রং, চোখের শ্বেতমণ্ডল বা স্ক্লেরা, ত্বক ও মুখের ভেতর হলুদ দেখায়। এই পরিস্থিতিকে আমরা জন্ডিস বলে জানি। যকৃৎ বা পিত্তনালির কোনো সমস্যা দেখা দিলেই জন্ডিস হয়ে থাকে সাধারণত। রক্তের বিলিরুবিনের মাত্রা এ সময় ৩ মিলিগ্রাম বা ডেসিলিটারের চেয়ে বেশি হয়ে যায়।
জন্ডিস কেন হয়
মূলত তিনটি কারণে জন্ডিস দেখা দেয়। এক. হেপাটাইটিস বা যকৃতের প্রদাহ। দুই. পিত্তনালির ব্লক বা পিত্তরসের পথে বাধা। তিন. হিমোলাইসিস বা সময়ের আগেই রক্তের লোহিত রক্তকণিকার ভেঙে যাওয়া।
হেপাটাইটিসের অন্যতম কারণ নানা রকম ভাইরাস। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি ও ই ভাইরাসের নাম আমরা কমবেশি জানি। হেপাটাইটিস এ এবং ই দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে। অন্যদিকে বি এবং সি সাধারণত রক্তের মাধ্যমে আর অনিরাপদ যৌনসংসর্গের মাধ্যমে ছড়ায়। এই ভাইরাসগুলো ছাড়াও বিপাকজনিত কিছু সমস্যায়, অ্যালকোহল সেবন বা অটোইমিউন কিছু রোগে যকৃতের প্রদাহ হতে পারে।
যেভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে
জন্ডিসের সাধারণ উপসর্গ হলো চোখ ও প্রস্রাবের রং হলদে হয়ে যাওয়া। ত্বক বা মুখের ভেতরও হলুদ দেখায়। এ ছাড়া অরুচি, ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব বা বমি, অবসাদ, জ্বর জ্বর ভাব, কখনো পেটব্যথাও হতে পারে। কখনো চুলকানি হতে পারে। এমনটা হলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা, লিভারের এনজাইমগুলো পরীক্ষা করলেই জন্ডিস হয়েছে বোঝা যায়। তবে এই জন্ডিসের কারণ কি, তা জানার জন্য ভাইরাস পরীক্ষা করা দরকার।
গ্রামগঞ্জে ‘মেটে জন্ডিস’ নামে একটা শব্দ চালু আছে। কোনো কারণে খাওয়ায় অরুচি দেখা দিলেই মানুষ ধরে নেয় যে জন্ডিস হয়েছে। নানা ধরনের ঝাড়ফুঁক, তাবিজ–কবচ নেওয়া শুরু হয়ে যায় তখন। আসলে মেটে জন্ডিস বলে কিছু নেই।
জন্ডিস হলে স্বাভাবিক মাত্রায় পানি পান করুনছবি: প্রথম আলো
কী করবেন
পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিন। বিশ্রাম না নিলে বিপাক বাড়বে, যকৃতের ওপর চাপ বাড়বে, বিলিরুবিন আরও বাড়বে। প্রয়োজনে মাত্রা বেশি হলে শয্যাশায়ী অবস্থায় থাকুন।
স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করুন। খাবার নিয়ে অতিরিক্ত বিধিনিষেধের দরকার নেই। পুষ্টিকর, রুচিকর, স্বাস্থ্যকর যেকোনো খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।
স্বাভাবিক মাত্রায় পানি পান করুন। অতিরিক্ত পানি পান, আখের রস, নানা রকমের জুস জন্ডিসে উপকার আনে বলে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
প্রতিদিন গোসল করুন। পরিচ্ছন্ন থাকুন।
জন্ডিস হলে যকৃতের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় যেকোনো ধরনের ওষুধ গ্রহণ না করাই উত্তম। পেটব্যথা বা বমির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে পারেন। যাঁরা আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খান, তাঁরা চালিয়ে যাবেন। ডায়াবেটিসের ওষুধ বন্ধ করে এ সময় ইনসুলিন নেওয়া ভালো।
কী করবেন না
কোনো রকম কবিরাজি, গাছের লতাপাতা, রস এগুলো খাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে। যেকোনো জিনিসই শরীরে প্রবেশ করার পর যকৃতে বিপাক হয়। এসব জিনিস যকৃতের প্রদাহ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
লিভার টনিক, সালসা সিরাপ, পড়া পানি, জন্ডিস সারানোর তরল হিসেবে যা বিক্রি হয়, তার কোনোটাই কাজে তো আসবেই না বরং লিভারের ক্ষতি করবে। বেশির ভাগ জন্ডিস বিশ্রামেই সেরে যায়। তাই এসব অপচিকিৎসা থেকে বিরত থাকুন।
অনেকের ধারণা জন্ডিস হলে হলুদ বা মসলা খাওয়া নিষেধ। এ ধারণা ভুল। খাবারে রুচি বাড়াতে স্বাভাবিক যেটুকু তেল-মসলা ব্যবহার করা হয়, তা ব্যবহার করবেন। তবে বেশি ভারী বা ভাজাপোড়া খাবার না খাওয়া ভালো।
অনেকে জন্ডিস হলে সব খাবার বাদ দিয়ে কেবল তরল, আখের রস, চিনির শরবত ইত্যাদি খেয়ে থাকেন। মাছ মাংস ও আমিষ বাদ দিয়ে দেন। এতে পুষ্টিহীনতার ঝুঁকি থাকে। শুধু শর্করা খেলে হবে না, সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে।
জন্ডিস হলে দিনে কয়েকবার গোসল করলে শরীরের হলুদ বেরিয়ে যাবে বলেও উদ্ভট ধারণা প্রচলিত আছে। এর কোনো প্রয়োজন নেই। এতে উল্টো ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি আছে।
কখন হাসপাতালে যাবেন
অধিকাংশ জন্ডিসের রোগী বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবারেই সেরে যাবেন। তবে সময় লাগবে। কিন্তু কিছু কিছু জটিলতা দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার পড়তে পারে। যদি রোগীর বিলিরুবিনের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায়, রোগী মুখে কিছুই খেতে না পারে বা অতিরিক্ত বমি হতে থাকে, রোগীর আনুষঙ্গিক অন্যান্য সমস্যা যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগ ইত্যাদি থাকে, যদি জন্ডিস আক্রান্ত রোগী গর্ভবতী থাকেন বা রোগী অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করেন।
লেখক: অধ্যাপক, পরিপাকতন্ত্র বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
সুস্থতা থেকে আরও পড়ুন
ভালো থাকুনদিবসস্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
ভালো থাকুন নিয়ে আরও পড়ুন
দুর্যোগে কিডনি রোগীর ঝুঁকি
এই ৭ নিয়ম মেনে চললে আপনার কিডনি ভালো থাকবে
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নারীদের এই করণীয়গুলো মেনে চলা উচিত
নারীর হরমোনজনিত সমস্যা
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?