জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ পান।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ
একটি স্বাধীন জাতির মর্যাদা ও স্বকীয়তার প্রতীক জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকাই প্রমাণ করে দেশটি স্বাধীন ও সার্বভৌম। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা
written by Curiosityn December 29, 2020 6 comments
Table of Contents
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে বাংলা অনুচ্ছেদ লিখ ।
উত্তরঃ
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ ১
একটি স্বাধীন জাতির মর্যাদা ও স্বকীয়তার প্রতীক জাতীয় পতাকা। জাতীয় পতাকাই প্রমাণ করে দেশটি স্বাধীন ও সার্বভৌম। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে বাংলাদেশেরও নিজস্ব জাতীয় পতাকা রয়েছে লাখাে শহিদের আত্মত্যাগ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এ পতাকা অর্জন করেছি । বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। সবুজ আয়তক্ষেত্র নির্দেশ করে বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি আর লাল বৃত্ত নির্দেশ করে আমাদের বিপ্লবী চেতনা। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধি প্রণীত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধের অনুপাত ৫: ৩:১ । জাতীয় পতাকার বিভিন্ন মাপ রয়েছে। ভবনে ব্যবহারের জন্য পতাকার বিভিন্ন মাপ হলাে ১০ ফুট x ৬ ফুট, ৫ ফুট X ৩ ফুট, ২.৫ ফুট x ১.৫ ফুট। আন্তর্জাতিক ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য টেবিল পতাকার মাপ হলাে ১০ ইঞ্চি x ৬ ইঞি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বর্তমান রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ই জানুয়ারি সরকারিভাবে গৃহীত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার পটুয়া কামরুল হাসান। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পতাকার ওপর ভিত্তি করে এই পতাকা নির্ধারণ করা হয়; তখন মাঝের লাল বৃত্তে বাংলাদেশের মানচিত্র ছিল । মানচিত্রখচিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার ছিলেন শিবনারায়ণ দাশ। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলিত হয় ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের বটতলার এক জনসভায় প্রথমবারের মতাে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তঙ্কালীন ছাত্রনেতা, ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব। এ কারণেই স্বাধীনতার পর থেকে ২রা মার্চকে ‘জাতীয় পতাকা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলিত হয় কলকাতায়। কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে ১৯৭১ সালের ১৮ই এপ্রিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এম. হােসেন আলী। এটিই কোনাে বিদেশি মিশনে সর্বপ্রথম বাংলাদেশি পতাকা উত্তোলন। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে জাপান ও পালাউ এই দুটি দেশের পতাকার মিল আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি/ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সম্মানের সঙ্গে প্রতি কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নিয়ম রয়েছে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য জাতীয় প্তাকাকে যথাযথ সম্মান দেখানো ও এর মর্যাদা রক্ষা করা।
জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ
জাতীয় পতাকা একটি স্বাধীন জাতির পবিত্র সমপদ। এটি স্বাধীন জাতির নিদর্শন। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন।দেশ। প্রত্যেক স্বাধীন জাতির একটি নিজস্ব পতাকা রয়েছে। আমাদেরও একটি নিজস্ব জাতীয় পতাকা রয়েছে। আমাদের পতাকার আকার আয়তাকার। পতাকার আকারের অনুপাত ১০ ঃ ৬। মাঝে লাল বৃত্তসহ পতাকাটি সবুজ বর্ণের। প্রতিটি স্বাধীন জাতিরই একটি পতাকা আছে। আমাদের একটি নিজস্ব জাতীয় পতাকা আছে। লাল বৃত্তটি এ দেশের বীর সন্তানদের পবিত্র রক্তের সাক্ষ্য বহন করে। পতাকার সবুজ অংশটি সবুজ গাছপালা, সবুজ ফসল এবং সবুজ মাঠের সাক্ষ্য বহন করে। এটি আমাদেরকে এদেশের মুক্তিযােদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের জাতীয় পতাকা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এবং যে কোনাে চ্যালেঞ সাহসিকতার সঙ্গে মােকাবেলা করতে প্রেরণা দেয়। যখন আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের মাথার ওপর পত পত করে উড়তে থাকে তখন মন আনন্দে নেচে উঠে। আমরা হৃদয় দিয়ে আমাদের পতাকাকে ভালােবাসি এবং শ্রদ্ধা করি। আমরা যেকোনাে মূল্যে এর মর্যাদা রাখব। প্রতিদিনই সরকারি ভবনের উপরে, কোর্ট এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করা হয়। আমাদের জাতীয় শােক দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। কিন্তু ভাষা দিবসে,স্বাধীনতা দিবসে এবং বিজয় দিবসে এটি সব জায়গায় উত্তোলন করা হয়।
আমাদের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদ ৩
জাতীয় পতাকা একটি দেশের প্রতীক। বিশ্বের প্রতিটি দেশের একটি নিজস্ব জাতীয় পতাকা রয়েছে। এটি দেশভেদে ভিন্ন হয়। একটি দেশের জাতীয় পতাকা দেখে ঐ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশেরও একটি জাতীয় পতাকা রয়েছে। আমাদের এ জাতীয় পতাকা ১৯৭০ সালে প্রথম অঙ্কন করেছিলেন বুয়েটের ছাত্র শিব নারায়ণ। তাঁর অঙ্কিত জাতীয় পতাকায় সবুজ জমিনের আয়তক্ষেত্রের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কিত ছিল। তৎকালীন ছাত্র নেতাদের উদ্যোগে অঙ্কিত এ পতাকা প্রথম উত্তোলিত হয় ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ পল্টন ময়দানে। তবে বর্তমানে প্রচলিত জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হলেন চারুশিল্পী পটুয়া কামরুল হাসান। তার ডিজাইনকৃত পতাকার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাত ১০ : ৬। মাঝখানে একটি লাল বৃত্তসহ আমাদের জাতীয় পতাকার রং সবুজ। আমাদের জাতীয় পতাকার সবুজ পটভূমি আমাদের মনােমুদ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে নির্দেশ করে। পতাকার লাল বৃত্ত আমাদের জাতীয় বীরদের রক্তদানকে নির্দেশ করে। তাঁরা ১৯৭১ সালে দেশের জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সর্বোপরি, আমাদের জাতীয় পতাকা বিশ্বের অন্যান্য জাতিগােষ্ঠীকে এ বার্তা পৌছে দেয় যে, এক সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা এ পতাকা অর্জন করেছি। আমরা আমাদের এ জাতীয় পতাকাকে খুব ভালােবাসি ও শ্রদ্ধা করি। আমরা এটির জন্য গর্বিত। আমরা জীবন দিয়ে হলেও এ পতাকার মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখব।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনুচ্ছেদটি কেমন হয়েছে ? নতুন কিছু সংযোজন করা যায় বা বাদ দেওয়া প্রয়োজন? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।3.9/5 - (20 votes)
SHARE 7 FacebookTwitterPinterestEmail
CURIOSITYN
previous post
গ্রাম্যমেলা অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা
next post
জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র অনুচ্ছেদ রচনা
YOU MAY ALSO LIKE
প্রিয় ঋতু: বর্ষাকাল অনুচ্ছেদ | তৃতীয় ও চতুর্থ...
January 27, 2023
অনুচ্ছেদ: মেট্রোরেল |UPDATE: ২০২৩ |
December 29, 2022
6 COMMENTS
ANAB
November 1, 2021 - 8:46 pm
Arektu sort korle valo hoito
REPLY SABBIR8986
November 1, 2021 - 9:34 pm
Short korle long korar jnno apnader alada kosto hote pare. Jehetu sobar kotha mathay rakhte hoy. Apni proyojon moto ektu choto kore nite paren. Sathe thakar jnno dhonnobad.
অনুচ্ছেদঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ SSC HSC JSC জাতীয় পতাকা হল কোনাে জাতির মর্যাদার প্রতীক বা নিশান বা চিহ্ন। পৃথিবীর প্রত্যেকটি স্বাধীন দেশ বা জাতির একটি নির্দিষ্ট ডিজাইনের জাতীয় পতাকা থাকে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় ঘন সবুজ রঙের ওপর একটি লাল বৃত্ত থাকে। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। …
অনুচ্ছেদ
অনুচ্ছেদঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
Rimon Follow on Twitter Send an email
September 19, 2020Last Updated: September 19, 20202 1 minute read
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাAdvertisements বিষয়ঃ অনুচ্ছেদ
শ্রেণিঃ ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ SSC HSC JSC
জাতীয় পতাকা হল কোনাে জাতির মর্যাদার প্রতীক বা নিশান বা চিহ্ন। পৃথিবীর প্রত্যেকটি স্বাধীন দেশ বা জাতির একটি নির্দিষ্ট ডিজাইনের জাতীয় পতাকা থাকে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় ঘন সবুজ রঙের ওপর একটি লাল বৃত্ত থাকে। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। অর্থাৎ দৈর্ঘ্য যদি ৩০৫ সেমি (১০ ফুট) হয়, তবে প্রস্থ ১৮৩ সেমি (৬ ফুট) হবে। লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘ্যের পাঁচ ভাগের এক ভাগ। পতাকার দৈর্ঘ্যের ২০ ভাগের ৯ ভাগে একটি লম্ব (খাড়া সরলরেখা) টানতে হবে। তারপর প্রস্থের ঠিক অর্ধেক ভাগে দৈর্ঘ্যের সঙ্গে সমান্তরাল করে আর একটি রেখা টানতে হবে। এই দুটি রেখার ছেদ বিন্দুই হবে বৃত্তটির কেন্দ্রবিন্দু। ভবনে ব্যবহারের জন্য জাতীয় পতাকার আকার ও আয়তন হল ৩০৫ সেমি x ১৮৩ সেমি (১০’ x ৬’)।
পতাকার রঙে তাৎপর্যময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পতাকার সবুজ বর্ণ বাংলাদেশের শ্যামল প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য। এ দেশের তারুণ্য, সজীবতা ও সমৃদ্ধির ইঙ্গিত বহন করে। আর লােহিত বর্ণ সূর্য নবজাগরণ ও সাম্যের ইঙ্গিত বহন করে। সূর্যেল কিরণ যেমন সব মানুষ সমানভাবে লাভ করে, সেরূপ সুবর্ণ সূর্যখচিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাও সব শ্রেণির বাংলাদেশির মধ্যে সমতা বিধান করছে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোনাে প্রভেদ নেই। ধনী দরিদ্র বলেও এখানে কোনাে বিশেষ শ্রেণির অস্তিত্ব নেই। দেশের সম্পদে সবারই সমান অধিকার। এ পতাকা বহন করে চলছে এক স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অস্তিত্বকে। এটি আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আশা-আকাঙ্ক্ষার দ্যোতনা দিয়ে থাকে, দিয়ে থাকে সাম্য ও প্রীতির আদর্শ। জাতীয় পতাকা আমাদের গর্ব। স্কুল, কলেজ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও একে অভিবাদন করতে শিক্ষা দেওয়া হয়।
এছাড়া স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদে মিলাদুন্নবী এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য দিবসসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দিবসে অর্ধনমিত রাখা হয়। জাতীয় অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীতেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সম্মান দেখানো হয়। আমাদের জাতীয় পতাকা আমাদের কাছে অতি প্রিয় ও গৌরবের বস্তু। বুকের রক্তবিন্দু দিয়েও এর মর্যাদা রক্ষা করা উচিত।
Related Articles
বিজয় মেলা || অনুচ্ছেদ
October 23, 2022
জাতীয় শোক দিবস অনুচ্ছেদ
August 12, 2022 Advertisements
এই রকম আরও তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকুন। এর পাশাপাশি গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন।
Share LinkedIn Pinterest Reddit Messenger WhatsApp Telegram Share via Email Print
Rimon
This is RIMON Proud owner of this blog. An employee by profession but proud to introduce myself as a blogger. I like to write on the blog. Moreover, I've a lot of interest in web design. I want to see myself as a successful blogger and SEO expert.
Website Facebook Twitter Pinterest Instagram
বিত্রের সালাত থেকে সালাম ফিরানোর পরের যিকির
অনুচ্ছেদঃ স্বাধীনতা দিবস
Leave Comment
2 Comments
Reply
৫০০ শব্দের একটি রচনা দিলে ভালো হয় ভায়া
Reply
Leave a Reply
Related Articles
প্রাকৃতিক দুর্যোগ । অনুচ্ছেদ । বাংলা ২য়
June 22, 2022
চরিত্র (অনুচ্ছেদ) || বাংলা ২য়
May 7, 2022
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব : অনুচ্ছেদ
April 24, 2022
ইভটিজিং । অনুচ্ছেদ । বাংলা ২য়
March 30, 2022
অনুচ্ছেদ : জাতীয় পতাকা
National flag, bangla, onucched, anuchchhed, anuscched, rachana, rochona, rachona, রচনা, for class eight, nine, ten, 8, 9, 10, JSC, SSC, HSC
অনুচ্ছেদ : জাতীয় পতাকা
জাতীয় পতাকা
জাতীয় পতাকা যেকোনো দেশের স্বাধীনতা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ঐতিহ্যের প্রতীক। আমাদের জাতীয় পতাকাও অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত। এ পতাকা স্বাধীনতা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। আমাদের কাছে এ পতাকা অত্যন্ত প্রিয় ও পবিত্র। আমাদের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। পতাকার মাঝখানের লাল বৃত্তটির পরিমাপ দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। আমাদের জাতীয় পতাকার রং গাঢ় সবুজ এবং মাঝখানে লাল বৃত্ত। সবুজ হচ্ছে সজীবতা ও প্রাচুর্যের প্রতীক, আর উদীয়মান লাল সূর্য রক্তাক্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতিবাহী। সবুজ অর্থ শস্যের প্রাচুর্য, জীবনের উচ্ছলতা ও তারুণ্যের অফুরন্ত আনন্দ। আর সূর্যের লাল রং শহীদদের বুকের তাজা রক্তের চিহ্ন। আমাদের পতাকা বহন করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্রের মহাবাণী। হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই মিলেমিশে এ পতাকাতলে সমবেত হয়, দেশকে ভালোবাসার ব্রত গ্রহণ করে। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ সরকারের নির্দেশে যেকোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রত্যেক কর্মদিবসে সরকারি ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা ও এর মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের সব নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব। এ পতাকার সম্মান ও গৌরব আমরা জীবন দিয়ে সমুন্নত রাখব।
জাতীয় পতাকা একটি স্বাধীন জাতির মর্যাদা ও স্বকীয়তার প্রতীক। প্রতিটি স্বাধীন জাতির নিজস্ব জাতীয় পতাকা রয়েছে। জাতীয় পতাকাই প্রমাণ করে দেশটি স্বাধীন ও সর্বময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী। তাই জাতীয় পতাকার মূল্য অপরিসীম। এ পতাকা দুর্বলচিত্তের প্রাণে বল সঞ্চার করে, ভীরুকে সাহস দেয়, অকর্মণ্যকে করে কর্মঠ ও হতাশাগ্রস্তদের শোনায় আশার বাণী। দেশকে গড়ে তোলার জন্য জাতীয় পতাকা সকল মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। আমরা বাংলাদেশি- আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। বহু সংগ্রাম ও রক্তদানের বিনিময়ে পরাধীনতার গ্লানি মুছে পৃথিবীর বুকে আমরা স্বাধীন জাতির মর্যাদা অর্জন করেছি। আমাদের মতো এত রক্তের বিনিময়ে জাতীয় পতাকা অর্জন পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের ইতিহাসে নেই। আমাদের দেশের জাতীয় পতাকায় আয়তাকার সবুজ রঙের মাঝখানে লাল বৃত্ত চিত্রিত। দৈর্ঘ্য প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। অর্থাৎ যদি দৈর্ঘ্য ৩০৫ সে.মি. (১০ ফুট) হয় প্রস্থ ১৮৩ সে.মি. (৬ ফুট) হবে। বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকা বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। জাতীয় পতাকা দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। এজন্য জাতীয় পতাকার প্রতি সকলে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। জাতীয় পতাকা আমাদের দেশপ্রেমের শিক্ষা দেয়। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিত জাতীয় পতাকাকে যথাযথ সম্মান করা। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও পতাকার মর্যাদা রক্ষা করা উচিত।
Tags: অনুচ্ছেদ Facebook
4 Comments
Anonymous
December 24, 2021 at 12:38 PM
add a point saying "the designer of this flag was kamrul hassan and it contained the map of bangladesh before"... sounds even better... overall... nice job author!
Reply ,💓
April 2, 2022 at 9:47 PM
You are right Anonymous
September 24, 2022 at 1:56 PM
Me too ,💓
April 2, 2022 at 9:47 PM
Yes you are right (unknown) but it's not bad keep going author
Reply Post a Comment Previous Post Next Post
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?