if you want to remove an article from website contact us from top.

    তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি পান।

    তাওহীদ অর্থ কি, তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি?

    তাওহীদ অর্থ কি, তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি?

    তাওহীদ শব্দের আভিধানিক অর্থ- এক করা, একক ও অদ্বিতীয় সাব্যস্ত করা, একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা। শারী‘য়াতের পরিভাষায় তাওহীদের অর্থ হলো- আল্লাহ্‌কে (0) তাঁর সুমহান জাত (সত্তা) সর্বসুন্দর নাম ও সিফাতে (গুণরাজি-বৈশিষ্ট্যে) এবং তাঁর অধিকার, কর্ম ও কর্তৃত্বে এক, একক ও অদ্বিতীয় ষোষণা ও সাব্যস্ত করা, এবং এসব ক্ষেত্রে নিজের কথা, কাজ ও বিশ্বাসের দ্বারা আল্লাহ্‌র একত্ব অক্ষুন্ন রাখা।

    তাওহীদ তিন প্রকার যথা:-

    (১) তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ। আর তা হলো- নিজের কথা, কাজ ও বিশ্বাসের দ্বারা আল্লাহ্‌কে (8) তাঁর যাবতীয় কর্ম ও কর্তৃত্বে এক ও অদ্বিতীয় তথা লা-শরীক (অংশীদারহীন) সাব্যস্ত করা।

    (২) তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ। অর্থাৎ- ‘ইবাদাতে আল্লাহ্‌র (0) একত্ব অক্ষুন্ন রাখা। অন্য কথায়, ‘ইবাদাতে আল্লাহ্‌র একত্ব প্রতিষ্ঠা করা।

    (৩) তাওহীদুল আছমা ওয়াস্‌সিফাত। অর্থাৎ- আল্লাহ্‌কে (7) তাঁর নাম ও গুণাবলীতে এক ও অদ্বিতীয় সাব্যস্ত করা। অন্য কথায়, আল্লাহ্‌র সুমহান নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহ্‌র (0) একত্ব অক্ষুন্ন রাখা।

    “সাব্যস্ত করার’’ অর্থ হলো- নিজের ‘আক্বীদাহ-বিশ্বাসে, কথা-বার্তায় ও কাজে-কর্মে আল্লাহ্‌র একত্ববাদ প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত করা।

    সূত্র : eshodinshikhi.com

    প্রশ্ন: (১) তাওহীদ কাকে বলে? তা কত প্রকার ও কী কী?

    প্রশ্ন: (১) তাওহীদ কাকে বলে? তা কত প্রকার ও কী কী? | ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম | শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)

    উত্তর: তাওহীদ শব্দটি (وحد) ক্রিয়ামূল থেকে উৎপত্তি হয়েছে। এর আভিধানিক অর্থ কোনো জিনিসকে একক হিসেবে নির্ধারণ করা। ‘না’ বাচক ও ‘হ্যাঁ’ বাচক উক্তি ব্যতীত এটির বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ একককৃত বস্তু ব্যতীত অন্য বস্তু হতে কোনো বিধানকে অস্বীকার করে একককৃত বস্তুর জন্য তা সাব্যস্ত করা। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলব, “আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই” একথার সাক্ষ্য দেওয়া ব্যতীত কোনো ব্যক্তির তাওহীদ পূর্ণ হবে না। যে ব্যক্তি এ সাক্ষ্য প্রদান করবে, সে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য সকল বস্তু হতে উলুহিয়্যাতকে (ইবাদাত) অস্বীকার করে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য তা সাব্যস্ত করবে। কারণ, শুধুমাত্র নাফী বা ‘না’ বাচক বাক্যের মাধ্যমে কোনো বস্তুকে গুণাগুণ থেকে মুক্ত করা হয়। আর শুধুমাত্র ‘হ্যাঁ’ বাচক বাক্যের মাধ্যমে কোনো বস্তুর জন্য কোনো বিধান সাব্যস্ত করলে সেই বিধানে অন্যের অংশ গ্রহণকে বাধা প্রদান করে না। যেমন. উদাহরণস্বরূপ যদি আপনি বলেন, ‘অমুক ব্যক্তি দাঁড়ানো’। এ বাক্যে আপনি তার জন্য দণ্ডায়মান হওয়াকে সাব্যস্ত করলেন। তবে আপনি তাকে দণ্ডায়মান গুণের মাধ্যমে একক হিসাবে সাব্যস্ত করলেন না। হতে পারে এ গুণের মাঝে অন্যরাও শরীক আছে। অর্থাৎ অমুক ব্যক্তির সাথে অন্যান্য ব্যক্তিগণও দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। আর যদি বল, “যায়েদ ব্যতীত আর কেউ দাঁড়ানো নেই” তবে আপনি দণ্ডায়মান হওয়াকে শুধুমাত্র যায়েদের সাথে সীমিত করে দিলেন। এ বাক্যে আপনি দন্ডায়মানের মাধ্যমে যায়েদকে একক করে দিলেন এবং দাঁড়ানো গুণটিকে যায়েদ ব্যতীত অন্যের জন্য হওয়াকে অস্বীকার করলেন। এভাবেই তাওহীদের প্রকৃত রূপ বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। অর্থাৎ নাফী (না বোধক) ও ইসবাত (হ্যাঁ বোধক) বাক্যের সমন্বয় ব্যতীত তাওহীদ কখনো প্রকৃত তাওহীদ হিসেবে গণ্য হবে না। মুসলিম বিদ্বানগণ তাওহীদকে তিনভাগে বিভক্ত করেছেন:

    ১. তাওহীদুর রুবূবীয়্যাহ

    ২. তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ

    ৩. তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত

    কুরআন ও হাদীস গভীরভাবে গবেষণা করে আলিমগণ এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, তাওহীদ উপরোক্ত তিন প্রকারের মাঝে সীমিত।

    প্রথমত: তাওহীদে রুবূবীয়্যার বিস্তারিত পরিচয়

    সৃষ্টি, রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক হিসাবে বিশ্বাস করার নাম তাওহীদে রুবূবীয়্যাহ।

    ১- সৃষ্টিতে আল্লাহর একত্ব: আল্লাহ একাই সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা। তিনি ছাড়া অন্য কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

    ﴿هَلۡ مِنۡ خَٰلِقٍ غَيۡرُ ٱللَّهِ يَرۡزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِۚ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ فَأَنَّىٰ تُؤۡفَكُونَ﴾ [فاطر: ٣]

    “আল্লাহ ছাড়া কোনো স্রষ্টা আছে কী? যে তোমাদেরকে আকাশ ও জমিন হতে জীবিকা প্রদান করে। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মা‘বূদ নেই।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ৩]

    কাফিরদের অন্তসার শুন্য মা‘বূদদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

    ﴿أَفَمَن يَخۡلُقُ كَمَن لَّا يَخۡلُقُۚ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ ١٧﴾ [النحل: ١٧]

    “সুতরাং যিনি সৃষ্টি করেন, তিনি কি তারই মতো, যে সৃষ্টি করে না? তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না?” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ১৭]

    সুতরাং আল্লাহ তা‘আলাই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। তিনি সকল বস্তু সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলার কর্ম এবং মাখলুকাতের কর্ম সবই আল্লাহর সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত। তাই আল্লাহ তা‘আলা মানুষের কর্মসমূহও সৃষ্টি করেছেন- একথার ওপর ঈমান আনলেই তাকদীরের ওপর ঈমান আনা পূর্ণতা লাভ করবে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

    ﴿وَٱللَّهُ خَلَقَكُمۡ وَمَا تَعۡمَلُونَ ٩٦﴾ [الصافات: ٩٦]

    “আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমাদের কর্মসমূহকেও সৃষ্টি করেছেন।” [সূরা আস-সাফফাত, আয়াত: ৯৬]

    মানুষের কাজসমূহ মানুষের গুণের অন্তর্ভুক্ত। আর মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি। কোনো জিনিসের স্রষ্টা উক্ত জিনিসের গুণাবলীরও স্রষ্টা।

    যদি বলা হয় আল্লাহ ছাড়া অন্যের ক্ষেত্রেও তো সৃষ্টি কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

    ﴿فَتَبَارَكَ ٱللَّهُ أَحۡسَنُ ٱلۡخَٰلِقِينَ﴾ [المؤمنون: ١٤]

    “আল্লাহ সৃষ্টিকর্তাদের মধ্যে উত্তম সৃষ্টিকর্তা।” [সূরা আল-মুমিনূন আয়াত: ১৪]

    অনুরূপভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কিয়ামতের দিন ছবি অংকনকারীদেরকে বলা হবে, তোমরা দুনিয়াতে যা সৃষ্টি করেছিলে, তাতে রূহের সঞ্চার কর”।[1]

    উপরোক্ত প্রশ্নের উত্তর এই যে, আল্লাহর মতো করে কোনো মানুষ কিছু সৃষ্টি করতে অক্ষম। মানুষের পক্ষে কোনো অস্তিত্বহীনকে অস্তিত্ব দেওয়া সম্ভব নয়। কোনো মৃত প্রাণীকেও জীবন দান করা সম্ভব নয়। আল্লাহ ছাড়া অন্যের তৈরি করার অর্থ হলো, নিছক পরিবর্তন করা এবং এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত করা মাত্র। মূলতঃ তা আল্লাহরই সৃষ্টি। ফটোগ্রাফার যখন কোনো বস্তুর ছবি তুলে, তখন সে সেটাকে সৃষ্টি করে না; বরং বস্তুটিকে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তন করে মাত্র। যেমন, মানুষ মাটি দিয়ে পাখির আকৃতি তৈরি করে এবং অন্যান্য জীব-জন্তু বানায়। সাদা কাগজকে রঙ্গীন কাগজে পরিণত করে। এখানে মূল বস্তু তথা কালি, রং ও সাদা কাগজ সবই তো আল্লাহর সৃষ্টি। এখানেই আল্লাহর সৃষ্টি এবং মানুষের সৃষ্টির মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট হয়ে উঠে।

    ২- রাজত্বে আল্লাহর একত্ব:

    মহান রাজাধিরাজ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। বলেন,

    ﴿تَبَٰرَكَ ٱلَّذِي بِيَدِهِ ٱلۡمُلۡكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ ١﴾ [الملك: ١]

    “সেই মহান সত্বা অতীব বরকতময়, যার হাতে রয়েছে সকল রাজত্ব। আর তিনি প্রতিটি বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান।” [সূরা আল-মুলক, আয়াত: ১]

    আল্লাহ আরো বলেন,

    ﴿قُلۡ مَنۢ بِيَدِهِۦ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُوَ يُجِيرُ وَلَا يُجَارُ عَلَيۡهِ﴾ [المؤمنون: ٨٨]

    “হে নবী! আপনি জিজ্ঞাসা করুন, সব কিছুর কর্তৃত্ব কার হাতে? যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যার ওপর কোনো আশ্রয় দাতা নেই।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ৮৮]

    সুতরাং সর্ব সাধারণের বাদশাহ একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। কাউকে বাদশাহ বলা হলে তা সীমিত অর্থে বুঝতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা অন্যের জন্যেও রাজত্ব ও কর্তৃত্ব সাব্যস্ত করেছেন। তবে তা সীমিত অর্থে। যেমন, তিনি বলেন,

    ﴿أَوۡ مَا مَلَكۡتُم مَّفَاتِحَهُۥٓ﴾ [النور: ٦١]

    “অথবা তোমরা যার চাবি-কাঠির (নিয়ন্ত্রনের) মালিক হয়েছো।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৬১]

    আল্লাহ আরো বলেন,

    ﴿إِلَّا عَلَىٰٓ أَزۡوَٰجِهِمۡ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ ﴾ [المؤمنون: ٦]

    “তবে তোমাদের স্ত্রীগণ অথবা তোমাদের আয়ত্বধীন দাসীগণ ব্যতীত।” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ৬]

    আরো অনেক দলীলের মাধ্যমে জানা যায় যে, আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরও রাজত্ব রয়েছে। তবে এ রাজত্ব আল্লাহর রাজত্বের মতো নয়। সেটা অসম্পূর্ণ রাজত্ব। তা ব্যাপক রাজত্ব নয়; বরং তা একটা নির্দিষ্ট সীমারেখার ভেতরে। তাই উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, যায়েদের বাড়ীতে রয়েছে একমাত্র যায়েদেরই কর্তৃত্ব ও রাজত্ব। তাতে আমরের হস্তক্ষেপ করার কোনো ক্ষমতা নেই এবং বিপরীত পক্ষে আমরের বাড়ীতে যায়েদও কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তারপরও মানুষ আপন মালিকানাধীন বস্তুর ওপর আল্লাহ প্রদত্ত নির্ধারিত সীমারেখার ভিতরে থেকে তাঁর আইন-কানুন মেনেই রাজত্ব করে থাকে। এজন্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অকারণে সম্পদ বিনষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

    সূত্র : www.hadithbd.com

    তাওহীদ

    তাওহীদ

    উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

    আল্লাহ প্রবেশদ্বার ইসলাম প্রবেশদ্বার

    হাতের আঙ্গুলের এমন ইশারাকে সুন্নি মুসলিমগণ তাওহীদের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।

    তাওহিদ (আরবি: توحيد‎‎) ইসলাম ধর্মে এক আল্লাহর ধারণাকে বোঝায়।[১] তাওহিদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ৷[২] এটি শিরকের

    বিপরীত। ইসলামি পরিভাষায় তাওহিদ হল সৃষ্টি ও পরিচালনায় আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করা, সকল ইবাদাত-উপাসনা কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য করা, অন্য সবকিছুর উপাসনা ত্যাগ করা, আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ ও সুউচ্চ গুণাবলীকে তার জন্য সাব্যস্ত করা এবং দোষ ত্রুটি থেকে আল্লাহকে পবিত্র ও মুক্ত ঘোষণা করা।[৩][৪] কুরআনে বলা হয়েছে,[৫]

    "কোনো কিছুই তার সদৃশ নয়।"[কুরআন ৪২:১১]

    কুরআনের অন্য স্থানে বলা হয়েছে,

    "বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তার মুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। আর তার কোনো সমকক্ষও নেই।"[কুরআন ১১২:১–৪]

    তাওহীদের স্তর[সম্পাদনা]

    তাওহীদের স্তর[সম্পাদনা] তাওহীদের প্রকারভেদ[সম্পাদনা]

    - তাওহীদ তিন প্রকার আবার কারও কারও মতে চার প্রকার:

    প্রথম তিনটি প্রকার হলঃ

    তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ : একমাত্র স্রষ্টা, রিযিকদাতা, সবকিছুর একমাত্র নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে বিশ্বাস করা।

    তাওহীদুল ঊলূহিয়্যাহ : শুধুমাত্র আল্লাহর উপাসনা করা,[টীকা ১] তাগুতকে বর্জন করা।

    তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত: কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসে উল্লেখিত আল্লাহর নাম ও গুণাবলীগুলো বিকৃতি, ধরন নির্ধারণ, সাদৃশ্য প্রদান ছাড়াই বিশ্বাস করা।

    চতুর্থ প্রকার যা ইখওয়ানুল মুসলিমীনসহ অনেক রাজনৈতিক মতাদর্শীয় আলেমগণ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দাবি করে থাকে তা হলোঃ

    তাওহীদুল হাকিমিয়্যা: বিধান এবং সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে আল্লাহ এক ও একক। যেমন: চুরি করলে কি শাস্তি, যেনা করলে কি শাস্তি, চুরি ডাকাতি করলে কি শাস্তি, এসবকিছুর বিধান একমাত্র আল্লাহর বর্ণিত আদেশ অনুযায়ী গ্রহণ করা। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ এবং জাতীয়তাবাদকে তাওহীদের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া।

    কুরআনে উল্লেখ[সম্পাদনা]

    কুরআনের অনেক আয়াতে তাওহীদের ঘোষণা রয়েছে যার মধ্যে কয়েকটি হল:

    "তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই। তিনি প্রতিটি জিনিসের স্রষ্টা। সুতরাং তোমরা তার উপাসনা করো। আর তিনি প্রতিটি জিনিসের উপর তত্ত্বাবধায়ক।"[কুরআন 6:102]

    "আমি প্রত্যেক জাতির কাছে রসূল পাঠিয়েছি (এ নির্দেশ দিয়ে) যে, তোমরা আল্লাহর উপাসনা করো আর তাগুতকে বর্জন করো।..."[কুরআন 16:36]

    "আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) উপাস্য নেই; সুন্দর নামসমূহ তারই।"[কুরআন 20:8]

    "তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। সমস্ত কর্তৃত্ব তারই। আর তোমরা আল্লাহ্-র পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো (যাদের কাছে দুআ করো), তারা তো খেজুর আঁটির উপরে পাতলা আবরণেরও (অতি তুচ্ছ কিছুরও) মালিক নয়।"[কুরআন 35:13]

    শির্‌ক[সম্পাদনা]

    মূল নিবন্ধ: শির্‌ক

    তাওহীদের বিপরীত ধারণা হল শির্‌ক। ইসলামে শির্ক হল আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উপাসনা করা। সাধারণত বিভিন্ন মূর্তি, পাথর, গাছ, নক্ষত্র, ফেরেশতা, জ্বিন, বস্তু ও জীবের ইবাদত বা উপাসনা করা হয়। এসব উপাস্যকে ভয়-ভীতি, আশা-আকাঙ্খার সাথে ডাকা, বিপদে তাদের কাছে সাহায্য, আশ্রয়, উদ্ধার প্রার্থনা করা, তাদের নাম|যবাই]] করা ইত্যাদি কর্মকাণ্ড শির্কের অন্তর্ভুক্ত।

    তাওহিদের গুরুত্ব[সম্পাদনা]

    ইসলামে ঈমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান বিষয় হলো তাওহিদ৷[৬] অর্থাৎ মুমিন বা মুসলিম হতে হলে একজন মানুষকে সর্বপ্রথম আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাস আনতে হবে৷ ইসলামের সকল শিক্ষা ও আদর্শ তাওহিদের উপর প্রতিষ্ঠিত৷ দুনিয়াতে যত নবি-রাসূল এসেছেন সকলেই তাওহিদের দাওয়াত দিয়েছেন৷ তাওহিদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য নবি-রাসূলগণ আজীবন সংগ্রাম করেছেন৷

    আরও দেখুন[সম্পাদনা]

    আকীদা ঈমান আনুগত্যের আয়াত উলিল আমর

    টীকা[সম্পাদনা]

    ইলাহ্ (আরবি: ﺍﻻﻟﻪ‎‎) অর্থ হলো: সম্মান ও বড়ত্বের কারণে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় যার উপাসনা করা হয়। আর ইবাদত বা উপাসনা সেই সব কাজকে বলা হয়, যা কোনো ইলাহ্-র সন্তুষ্টি লাভের আশায় অথবা তার অসন্তুষ্টির ভয়ে করা হয়।

    তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

    ↑ "From the article on Tawhid in Oxford Islamic Studies Online" (ইংরেজি ভাষায়)। Oxfordislamicstudies.com। ২০০৮-০৫-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-২৪।

    ↑ "Allah"। (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-২৮।

    ↑ ড. সালিহ বিন ফাওযান আল ফাওযান। । শাইখ মুখলিসুর রহমান মানসুর কর্তৃক অনূদিত। মাকতাবাতুস সুন্নাহ।

    ↑ "The Fundamentals of Tawhid (Islamic Monotheism)" (ইংরেজি ভাষায়)। ICRS (Indonesian Consortium of Religious Studies। ২০১০-১০-৩০। ২০১৫-০৬-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-২৮।

    ↑ Vincent J. Cornell, Encyclopedia of Religion, Vol 5, pp.3561-3562 (ইংরেজি ভাষায়)

    ↑ D. Gimaret, , Encyclopedia of Islam (ইংরেজি ভাষায়)

    বিষয়শ্রেণীসমূহ: ইসলামি পরিভাষাইসলাম ধর্মে ঈশ্বর

    সূত্র : bn.wikipedia.org

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 25 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন