if you want to remove an article from website contact us from top.

    দাসপ্রথা গ্রিক সভ্যতা বিকাশের জন্য দায়ী আলোচনা কর

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে দাসপ্রথা গ্রিক সভ্যতা বিকাশের জন্য দায়ী আলোচনা কর পান।

    দাসত্বের ইতিহাস

    দাসত্বের ইতিহাস

    উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

    17 এবং 18 শতকে সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশ থেকে লোকেদের অপহরণ করা হয়েছিল, আমেরিকান উপনিবেশগুলিতে দাসত্বে বাধ্য করা হয়েছিল এবং তামাক এবং তুলার মতো ফসলের উৎপাদনে আবদ্ধ সেবক এবং শ্রম হিসাবে কাজ করার জন্য শোষণ করা হয়েছিল।

    দাসত্বের ইতিহাস অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্কৃতি, জাতি এবং ধর্মজুড়ে বিস্তৃত। অবশ্য দাসদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং বৈধ অবস্থান বিভিন্ন সমাজে এবং বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন ছিল। আদিম সমাজে দাসপ্রথার প্রচলন বিরল ছিল কারণ এই প্রথা সামাজিক শ্রেণীবিভাগের কারণে তৈরি হয়। দাসপ্রথার অস্তিত্ব মেসোপটেমিয়াতে প্রায় ৩৫০০ খৃস্টপূর্বে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। অন্ধকার যুগ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপে অধিকাংশ এলাকাতেই দাসপ্রথার প্রচলন ছিল। ইউরোপে বাইজেন্টাইন-উসমানিদের যুদ্ধ এবং উসমানিদের যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে অনেক খৃস্টান কৃতদাসে পরিণত হয়। ওলন্দাজ, ফরাসি, স্পেনিশ, পর্তুগিজ, ব্রিটিশ, আরব এবং কিছু পশ্চিম আফ্রিকান রাজ্যের লোকেরা আটলান্টিক দাস বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। ডেভিড ফোর্সথি লেখেন, "ঊনিশ শতকের শুরুর দিকে আনুমানিক প্রায় তিন চতুর্থাংশ লোকেরাই দাসপ্রথার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল।" ইউরোপের মধ্যে সর্বপ্রথম ১৪১৬ সালে রাগুসা নামক দেশ দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করে। আধুনিক যুগে নরওয়ে এবং ডেনমার্ক সর্বপ্রথম ১৮০২ সালে দাসদের বাণিজ্য বন্ধ করে।[১]

    বিবরণ[সম্পাদনা]

    দাসপ্রথা একটি অনুমোদিত সামাজিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় বাজারে মানুষের আনুষ্ঠানিক বেচা-কেনা চলত এবং ক্রীত ব্যক্তি ক্রেতার ব্যক্তিগত সম্পত্তি রূপে কাজ করতে বাধ্য থাকত। প্রাচীন ও মধ্যযুগের প্রায় সব শাসন ব্যবস্থাতেই দাস প্রথার প্রচলন ছিল। গবাদিপশুর ন্যায় মানুষেরও কেনা বেচা চলত। অন্যান্য প্রায় সকল দেশের মতো বাংলায়ও প্রাচীনকাল হতেই দাস প্রথা প্রচলিত হয়ে আসছিল। শুধু আইন পুস্তক ও প্রশাসনিক গ্রন্থেই নয়, এ প্রথা সব ধর্মেও স্বীকৃতি ছিল। মেগাস্থিনিস উল্লেখ করেন যে, পাটলিপুত্রের রাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব ক্রীতদাসীদের ওপর ন্যস্ত ছিল। সব ধর্মীয় পুস্তকেই ক্রীত দাসদাসীদের সাথে সদ্ব্যবহারের উপদেশ দেওয়া আছে।

    ইতিহাস[সম্পাদনা]

    দাস প্রথার ওপর প্রাপ্ত নথিপত্রে প্রমাণ মেলে যে, বনেদি সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো ও গ্রামীণ উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে এ প্রথা সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিল। বাজারে মুক্ত শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর থাকায় সমাজের শক্তিশালী শ্রেণি তাদের উৎপাদন ও প্রাধান্য অব্যাহত রাখতে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলতর শ্রেণির লোককে দাসে রূপান্তর করত। অভিজাত শাসকশ্রেণি, তাদের পারিবারিক ও অন্যান্য সামাজিক-রাজনৈতিক পদমর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার তাগিদে, সুবৃহৎ কর্মীবাহিনীর প্রয়োজন অনুভব করে। গণপূর্ত কাজ, যেমন সরকারি ভবন, বাঁধ, সেতু, সড়ক ও প্রধান পথের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাষ্ট্রের এক বিশাল শ্রমশক্তির প্রয়োজন ছিল। সৈন্য চলাচল ও তাদের রসদ সরবরাহের জন্যও শ্রমশক্তির প্রয়োজন ছিল। দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও শ্রেণিভেদ প্রথা যাদেরকে গুরুত্বহীন করে তুলেছিল প্রধানত তারাই দাস প্রথার বলি হতো। অভাবগ্রস্ত, নিঃস্ব ও বিধবাদের অনেকেরই শেষ গন্তব্য ছিল ক্রীতদাস বাজার। দাস বাজারের অনেক ঠগ ও অপরাধী বিক্রি করার জন্য শিশুদের অপহরণ করত। আইনত ও প্রথাগতভাবে, ক্রীতদাস-দাসীরা ও তাদের সন্তান-সন্ততিরা তাদের মালিকের সম্পত্তি রূপে পরিগণিত হতো। ক্রীতদাস-দাসী হস্তান্তরযোগ্য পণ্য ছিল। তাই, অনেক মালিক তাদের উদ্বৃত্ত বা অপ্রয়োজনীয় দাস-দাসীদের বাজারে বিক্রি করে দিত। দাস-দাসীদের আমদানি ও রপ্তানি দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ খাত ছিল। বাংলার সুলতানগণ আফ্রিকা, তুরস্ক, পারস্য ও চীনদেশ হতে দাস-দাসী আমদানি করতেন বলে জানা যায়। এ ধরনের কিছু ক্রীতদাসকে মুক্তি দেওয়ার পর মন্ত্রী, প্রশাসক, এমন কি সেনাপতির পদেও উন্নীত করা হয়েছিল। পনেরো শতকের শেষদিকে আবিসিনীয় বংশোদ্ভূত দাসগণ স্বল্প কালের জন্য বাংলায় তাদের নিজস্ব শাসন ব্যবস্থাও কায়েম করেছিল। বাংলার বাজারে ১৮৩০ সাল পর্যন্তও হাবশী ও কাফ্রী নামে পরিচিত আফ্রিকান ক্রীতদাস-দাসী আমদানি করা হতো। বাংলায় সাধারণত ধনী সম্ভ্রান্ত ব্যাক্তিগণ, এবং মুসলিম ও ইউরোপীয় বণিকগণ কঠোর পরিশ্রমী ও কর্তব্যনিষ্ঠ বলে খ্যাত হাবশীদেরকে দাস হিসেবে রাখত। ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য পরিবহন ও কারখানা প্রহরার জন্য নিয়মিত শ্রমিকের বিকল্প হিসেবে ক্রীতদাসদের নিয়োগ করত। ইউরোপীয় অধিবাসীদের মধ্যে ক্রীতদাস রাখার এমনই রেওয়াজ হয়ে গিয়েছিল যে, স্যার উইলিয়ম জোনস এর ন্যয় একজন মানবতাবাদী, আইনজ্ঞ ও পণ্ডিত ব্যক্তিরও চারজন ক্রীতদাস ছিল। ক্রীতদাসদের মধ্যে সবচেয়ে দামি হাবশী দাসগণ খানসামা, পাচক (বাবুর্চি), গায়ক, নাপিত, গৃহ প্রহরী ইত্যাদি হিসেবে তাদের প্রভুদের সেবায় নিয়োজিত হতো। দাসদের মধ্যে তাদের মর্যাদা এত উচুঁ ছিল যে, তাদের মালিকগণ তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত ও গৃহ পরিচালনা বিষয়ে এবং রাজনৈতিক ব্যাপারেও তাদের সাথে পরামর্শ করতেন। অভিজাত সম্প্রদায়ের হারেমে নিয়োজিত খোজাদের মধ্যে হাবশী দাসদের সংখ্যাই সর্বাধিক ছিল। আঠারো ও ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলার বাজারের জন্য কেবল আফ্রিকাই নয়, বরং আরব, চীন, মালয়, আরাকান ও আসাম হতেও ক্রীতদাস আমদানি করা হতো। আরব দেশ থেকে আনীত দাসদের অধিকাংশই হতো খোজা। বাংলার বাজার হতে ক্রীতদাস রপ্তানিও হতো। ইউরোপীয় বৈদেশিক উপনিবেশগুলির জন্য বাগান শ্রমিক হিসেবে বঙ্গীয় বংশোদ্ভূত দাসদের চাহিদা ছিল। দাস মুখ্যত দু’ধরনের ছিল, গার্হস্থ্য ও কৃষিকার্যাধীন। একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে গুটি কয়েক দাস থাকবে সেটাই ছিল সামাজিক প্রত্যাশা। তারা পদ ও মর্যাদার প্রতীক ছিল এবং তা কেবল সম্ভ্রান্ত জমিদারের ক্ষেত্রেই নয়, মধ্যবিত্ত ও ধনী কৃষকদের বেলায়ও ছিল। হিন্দু মালিকগণ দাস গ্রহণের সময় তাদের গোত্রের বাছবিচার করতেন। ঐ বিবেচনায় কায়স্থ , গোয়ালা, চাষা, বৈদ্য প্রভৃতি গোত্রের দাসদের শুদ্ধ (পবিত্র) এবং শূদ্র, তাঁতি, তেলি, ডোম, বাগ্দি, কৈবর্ত, জোলা, চন্ডাল প্রভৃতিদের অশুদ্ধ (অপবিত্র) বলে মনে করা হতো। কোনো ব্রাহ্মণকে দাসে পরিণত করা ধর্মে নিষিদ্ধ ছিল। শুদ্ধ গোত্রের দাসদের ঘরের ভেতরের কাজে এবং অশুদ্ধদের বাইরের কাজে লাগানো হতো। হিন্দু সমাজে দাসদের ক্রীতদাস বা শুধু দাস এবং যারা স্ত্রীলোক তাদেরকে দাসী বলা হতো। মুসলমান সমাজে পুরুষ দাসদের বলা হতো গোলাম বা নফর এবং স্ত্রীলোকদের বান্দি বা লৌন্ডি। লৌন্ডিরা সুদর্শনা হতো এবং তাদেরকে বাজার থেকে কেনা হতো। তাদের প্রয়োজন ছিল গার্হস্থ্য শ্রমিক রূপে নয়, বরং প্রধানত উপ-পত্নী রূপে। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় আইন মোতাবেক, যৌন পরিতৃপ্তির জন্য ক্রীতদাসীরা ব্যবহূত হতে পারত। তাদের সন্তান সন্ততিগণও দাস-দাসী হতো, তবে হিন্দু ও মুসলিম আইন অনুযায়ী, তারা মালিকের জমিজমায় নামমাত্র কিছু অধিকার অর্জন করত। কৃষি কার্যাধীন দাসের সংখ্যাই ছিল সর্বাধিক। বাজার হতে মুক্তশ্রমিক প্রাপ্তি সম্ভবপর না হওয়ায় সম্ভ্রান্ত স্তরের ও ধনী কৃষক শ্রেণির কৃষিকাজে ক্রীতদাস ব্যবহারের কোনো বিকল্প ছিল না। অতীতকাল থেকে উনিশ শতকের শেষ পর্যন্ত বাংলায় কৃষি কর্মোপযোগী দাস বা দাসখত লেখা শ্রমিক ব্যবহারের ব্যাপক রেওয়াজ ছিল। কেউ সম্পদবিহীন হয়ে স্বাধীন জীবন ধারণে অক্ষম হলে, ইচ্ছুক সম্পদশালী কোনো পরিবারের নিকট নিজেকে বিক্রি করত। এসব পরিবার এ ধরনের অভাগাদের কিনে তাদের ক্ষেতের কাজে লাগাত। তারা সব ধরনের কৃষিকাজ করত যথা, মাটি খনন, পানি সেচ, গো-চারণ, মাছ ধরা, নির্মাণ কাজ ইত্যাদি। শ্রমের বিনিময়ে তারা তাদের প্রভুদের কাছ থেকে খাদ্য, বাসস্থান, বস্ত্র এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে বৃদ্ধ বয়সের ভরণপোষণও পেত। অনেক ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি মহাজনদের কাছে তাদেরকে বিক্রি করে দিয়ে তাদের দেনার দায় পরিশোধ করত। দেনার কারণে দাসত্ব, আজীবন অথবা জীবনের খানিক অংশের জন্য, হতে পারত। যেসব জেলায় বিশেষভাবে কৃষিনির্ভর দাস প্রথার প্রচলন ছিল সেগুলি হচ্ছে সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা। আইন কমিশনের (১৮৩৯) প্রতিবেদনে দেখা যায়, এসব জেলায় প্রতি পাঁচ জনের একজনই ছিল দাস। সাধারণ দাস বাজার থেকে ক্রয় না করে সরাসরি সামাজিক উৎস হতে কৃষিনির্ভর দাস সংগ্রহের রেওয়াজ ছিল। অভাব, দুর্ভিক্ষ, নদী ভাঙন, পরিবারের উপার্জনকারী সদস্যের মৃত্যু প্রভৃতি দুর্যোগ কবলিত ব্যক্তিদের বেঁচে থাকার তাগিদে স্বেচ্ছায় দাসত্ব গ্রহণ করতে হতো। তাদের বেলায় বংশপরম্পরায় গার্হস্থ্য শ্রমিক হিসেবে থেকে যাওয়াই অবধারিত ছিল। তাদের বয়স, শারীরিক গঠন, লিঙ্গ, গোত্র, জাতি, এবং সর্বোপরি দেশের চলতি অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় তাদের মূল্য নির্ধারিত হতো। উনিশ শতকের প্রথম দিকে শিশু ও বৃদ্ধদের বাজার দর ছিল পাঁচ থেকে সাত টাকা। স্বাস্থ্যবান তরুণ দাসদের মূল্য হতো কুড়ি থেকে পঞ্চাশ টাকা। অভাব ও দুর্ভিক্ষ হলে বাজার দাসে ছেয়ে যেত এবং তখন দাম পড়ে যেত। আঠারো শতকের শেষের দিকে ইউরোপে প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাস প্রথার অবলুপ্তি ঘটে। দাস প্রথাধীন শ্রমিক ব্যবস্থা শিল্পায়ন ও শিল্প-বিপ্লবোদ্ভূত মানবিক নব মূল্যবোধের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ প্রতীয়মান হয়। দাস শ্রমের চেয়েও মুক্ত শ্রম অবশ্যই অধিকতর উৎপাদনমূখী ছিল। শিল্পবিপ্লবহীন বাংলার অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা তখনও দাস শ্রম ও দাস শোষণ প্রথা অাঁকড়ে ছিল। তাই, সহজে দাস শ্রমের বদলে মুক্ত শ্রমের প্রবর্তন সম্ভবপর হয় নি। দাস প্রথার সমর্থনে উপনিবেশিক শাসকগণের আর একটি যুক্তি ছিল যে, হিন্দু ও মুসলিম উভয় ধর্মে এর সমর্থন রয়েছে। কিন্তু, ইউরোপে মানবতাবাদী আন্দোলনের প্রভাবে, উনিশ শতকের গোড়া থেকে, এবং গুরুতর ভাবে ১৮২০ সাল হতে, ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন সরকার দাসপ্রথা নিরুৎসাহিত করে। ১৮৩৩ সালের চার্টার অ্যাক্ট দ্বারা যথাসম্ভব দ্রুত সব ধরনের দাস প্রথা অবলুপ্ত করার সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে কলকাতার সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে দাস প্রথার অবলুপ্তির জন্য ১৮৪৩ এর ‘অ্যাক্ট ফাইভ’ প্রণীত হয়। এ আইনের আওতায় দাস রাখা অপরাধমূলক ছিল না, এতে কেবল মুক্ত ব্যক্তি ও দাসের মধ্যে আইনগত পার্থক্যের অবসান ঘটানো হয়েছিল। আইনে বিধান রাখা হলো যে, কোনো আদালত কোনো দাসের ওপর কারও দাবি গ্রাহ্য করবে না। এ আইন সব দাসদের মুক্ত বলে ঘোষণা করে নি। বরং আইনে বলা হলো যে, কোনো দাস ইচ্ছে করলে তার মালিককে পরিত্যাগ করে স্বাধীনভাবে বাস করতে পারবে। দাস আমদানি ও রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে, বাস্তবক্ষেত্রে দাসপ্রথা হঠাৎ করে থেমে যায় নি। দাসপ্রথা সামাজিকভাবে ঘৃণ্য ও পরিত্যাজ্য বিবেচিত হতে আরও কয়েক দশক লেগে যায়। মুক্ত শ্রমের ব্যবহার বৃদ্ধি, শিল্পায়নে ক্রমিক অগ্রগতি, এবং উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ হতে মানবতাবাদী আন্দোলনসমূহ দাস প্রথাকে ধীরে ধীরে জনগণের নিকট অপ্রিয় ও সমাজে অগ্রহণযোগ্য করে তোলে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলা দাস প্রথা হতে মুক্ত হয়।[২]

    সূত্র : bn.wikipedia.org

    দাস প্রথার উদ্ভব ও কারণ আলােচনা কর

    ভূমিকাঃ মানব সমাজের ক্রমবিকাশের সাথে সাথে সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে ও ব্যাপক পরিবর্তন হলাে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হল আইন, প্রভুত্ব ও দাসত্বের ব্যবস্থা । মূ

    দাস প্রথার উদ্ভব ও কারণ আলােচনা কর

    মে ২৩, ২০২২

    প্রশ্নঃ দাস প্রথার উদ্ভব ও কারণ আলােচনা কর।

    অথবা, দাস প্রথার উদ্ভব ও কারণগুলাে বর্ণনা কর।ভূমিকাঃ মানব সমাজের ক্রমবিকাশের সাথে সাথে সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে ও ব্যাপক পরিবর্তন হলাে। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হল আইন, প্রভুত্ব ও দাসত্বের ব্যবস্থা । মূলত সামন্ত সমাজ থেকেই দাস প্রথার উৎপত্তি। সমাজের গরিব ও দুর্বল লােকদের তারা দাস হিসেবে ব্যবহার করত। গরিব ও দূর্বলকে শক্তিমান ব্যক্তির আদেশের পাত্র হিসিবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকতে হত।দাসপ্রথাঃ দাসপ্রথা বলতে আমরা বুঝি, সমাজে কোন সম্পদশালী পুরুষের কাছে গরীব ও দূর্বল পক্ষ তার স্বাধীনতা, সন্ত্রম, বিবেক, মানুষ্যত্ব হিতাহিত জ্ঞান বিকিয়ে দেয়া। প্রাচীনকালে এর অর্থ ছিল আট্ট ও কাঠিল। দাস বলতে প্রকৃত অর্থে নিজের জীবনকে অন্যের কাছে বিক্রি করা। সেখানে নিজের ব্যক্তি স্বাধীনতা ছিল না।

    দাসপ্রথার উদ্ভবঃ সমাজে দাস প্রথার প্রচলন কে বা কারা করেছিল তার ইতিহাস খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য। তবে খ্রীষ্টপূর্ব সপ্তম শতকের এথেনীয় সভ্যতার বিকাশ ঘটে, এখন থেকেই দাসপ্রথা চরম রূপ নেয়।

    (১) গ্রীক সভ্যতাঃ মূলত গ্রীক সভ্যতার বিকাশ ঘটে খ্রীষ্টপূর্ব সপ্তম শতকে আর তখন থেকেই দাসপ্রথার সূচনা হয়। তারা সমাজের নিম্ন শ্রেণীর লােকদের দিয়ে গৃহকর্ম, পশুচারণ, কৃষি কাজ করাত।(২) সামন্ত সমাজঃ সামন্ত সমাজে যখন জমিদারদের মাঝে যুদ্ধ বিগ্রহ হতাে তখন জমিদারগণ দাসদের দিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করতাে। এমনকি সমাজের অপরাধী ব্যক্তিদের দাস হিসেবে বিক্রি করতাে।

    (৩) আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকাঃ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকা ছিল দাস প্রথার কেন্দ্রস্থল। দাসদের দিয়ে তারা পাথর ব্যবহার করিয়ে নগর পত্তন করত। সমাজের একশ্রেণীর লােক দাস ব্যবসা করত।

    (৪) রোম সমাজঃ খ্রীষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে রােমানরা গ্রীস সাম্রাজ্য দখল করে, তখন থেকেই রােমান সমাজে দাস প্রথার উদ্ভব ঘটে। তারাও গ্রীকদের মত দাস বেচাকেনা করত।ভারতবর্ষে দাস প্রথাঃ ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতবর্ষেও দাসপ্রথার উদ্ভব ঘটে। সমাজে নীচু স্তরের মানুষ এই দাসত্বের শৃঙ্খলে বাধা পড়ল। জমিদারগণ দাসদের দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করাতাে। তাদের দিয়ে এক স্থান হতে অন্য স্থানে বােঝা বহন করাতাে।

    দাসপ্রথার কারণঃ নিম্নে দাসপ্রথার কারণ আলােচনা করা হলাে-

    (১) অর্থনৈতিক অসচ্ছলতাঃ প্রাচীন গ্রীক ও রােম সমাজে এমন এক শ্রেণীর মানুষ ছিল তারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ছিল অসচ্ছল। মূলত তাদের এই অর্থনৈতিক দূর্বলতার সুযােগেই সমাজের উচ্চশ্রেণীর লােকেরা তাদেরকে দাস হিসেবে ব্যবহার করত।(২) প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠাঃ প্রাচীন গ্রীক সমাজে এক শ্রেণীর লােকেরা তাদের প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠায় দাসপ্রথার উদ্ভব ঘটায়।(৩) অসচেতনতাঃ সামাজিক অসচেতনতা ও দাসপ্রথার অন্যতম কারণ। প্রাচীন সমাজের অধিকাংশ মানুষই ছিল অসচেতন, তাদের এ অসচেতনাতার সুযােগে সমাজের উচ্চ শ্রেণীর লােক তাদের ওপর প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করে।

    (৪) শিক্ষার অভাবঃ প্রয়ােজনীয় শিক্ষার অভাবেই প্রাচীন গ্রীকে দাস প্রথার উদ্ভব ঘটে। সমাজের উচ্চবর্ণের লােকেরা শিক্ষা বঞ্চিত লােকদের দাস হিসেবে ব্যবহার করত।

    (৫) দারিদ্রতাঃ দারিদ্রতাই দাস প্রথার মূল কারণ। সমাজের দরিদ্র মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য নিজের শ্রমকে অন্যের কাছে বিক্রি করত আর এভাবেই প্রাচীন সমাজে দাসপ্রথার উদ্ভব ঘটে।পরিশেষঃ উপরিউক্ত আলােচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়,প্রাচীন গ্রীসের ইতিহাসে দাসপ্রথা ছিল একটি কলঙ্কজন অধ্যায়। সে সময়ে দাসদের কোনাে সামাজিক মূল্যায়ন ছিল না। তারা প্রভুদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করত। তাদের কোনাে। ব্যক্তি স্বাধীনতা ছিল না। প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার বিকাশে এই দাসপ্রথার বিকাশ ঘটে।

    Tags: সমাজবিজ্ঞান নবীনতর

    উহুদ যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর

    পূর্বতন

    রােম সাম্রাজ্যের ওপর বর্বরদের আক্রমণ ও সভ্যতার ওপর-এর প্রভাব আলােচনা কর

    সূত্র : www.banglalecturesheet.xyz

    প্রাচীন গ্রিস ও রোমের এক কলঙ্কিত অধ্যায় দাসপ্রথা

    নির্মম এক প্রথা। যেখানে মানুষই মানুষকে বিক্রি করে। অতীতে দাসপ্রথা একটি অনুমোদিত সামাজিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃত ছিল। এ ব্যবস্থায় বাজারে মানুষের আনুষ্ঠানিক বেচা-কেনা চলত। ক্রয়কৃত ব্যক্তি বনে যেত ক্রেতার দাস ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি। দাস প্রথার ইতিহাস অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্কৃতি, জাতি এবং ধর্মজুড়ে বিস্তৃত। অবশ্য দাসদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং বৈধতায় সমাজভেদে পার্থক্য ছিল।

    সাতরং

    প্রাচীন গ্রিস ও রোমের এক কলঙ্কিত অধ্যায় দাসপ্রথা

    সাতরঙ ডেস্ক

    প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২৩ আগস্ট ২০২১

    আপডেট: ১৪:৩১, ২৩ আগস্ট ২০২১

    প্রাচীন গ্রিসের কলঙ্কিত এক অধ্যায় দাসপ্রথা

    নির্মম এক প্রথা। যেখানে মানুষই মানুষকে বিক্রি করে। অতীতে দাসপ্রথা একটি অনুমোদিত সামাজিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃত ছিল। এ ব্যবস্থায় বাজারে মানুষের আনুষ্ঠানিক বেচা-কেনা চলত। ক্রয়কৃত ব্যক্তি বনে যেত ক্রেতার দাস ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি। দাস প্রথার ইতিহাস অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্কৃতি, জাতি এবং ধর্মজুড়ে বিস্তৃত। অবশ্য দাসদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং বৈধতায় সমাজভেদে পার্থক্য ছিল।

    আদিম সমাজে দাসপ্রথার প্রচলন বিরল ছিল কারণ এই প্রথা সামাজিক শ্রেণীবিভাগের কারণে তৈরি হয়। দাসপ্রথার অস্তিত্ত্ব মেসোপটেমিয়াতে প্রায় ৩৫০০ খৃস্টপূর্বে প্রথম পাওয়া যায়। অন্ধকার যুগ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপে অধিকাংশ এলাকাতেই দাসপ্রথা পাওয়া যেত। ইউরোপে বাইজেন্টাইন-উসমানিদের যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে অনেক খ্রিষ্টান দাসে পরিণত হয়। ইউরোপে সর্বপ্রথম ১৪১৬ সালে রাগুসা নামক দেশ দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করে। আধুনিক যুগে নরওয়ে এবং ডেনমার্ক সর্বপ্রথম ১৮০২ সালে দাস বাণিজ্য বন্ধ করে।

    ইউরোপে সর্বপ্রথম ১৪১৬ সালে রাগুসা নামক দেশ দাসপ্রথা নিষিদ্ধ করে

    তবে প্রাচীন পৃথিবীতে কৃষিভিত্তিক বহু সমাজেই ক্রীতদাস প্রথার চল ছিল। ওলন্দাজ, ফরাসি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, ব্রিটিশ, আরব এবং কিছু পশ্চিম আফ্রিকান রাজ্যের লোকেরা আটলান্টিক দাস বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। ডেভিড ফোর্সথি লেখেন, উনিশ শতকের শুরুর দিকে আনুমানিক প্রায় তিন চতুর্থাংশ লোকেরাই দাসপ্রথার বন্ধনে আবদ্ধ ছিল। তবে এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল গ্রীস এবং রোম। পশ্চিমি পন্ডিতদের চোখে গ্রীস হল ইউরোপের বিশুদ্ধ শৈশব। রোম তার উত্তরাধিকারী। প্রাচীন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের এই দুই সভ্যতা (গ্রীক ও রোমান) নানা কারণে উত্তরকালের কাছে মস্ত বড় অনুপ্রেরণা। সাহিত্য, সংস্কৃতি, দর্শন, রাজনৈতিক ভাবনা, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি জীবনের নানা ক্ষেত্রে এদের অতি উজ্জ্বল উত্তরাধিকার। যারা মনে করেন সব মিলিয়ে এই দুই ধ্রুপদী সভ্যতার উৎকর্ষ অতুলনীয় তারা একটি জায়গায় এসে হোঁচট খান – গ্রীস ও রোমের ক্রীতদাসপ্রথা।

    বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রাচীন গ্রীস এবং রোমে দাসপ্রথা অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছেছিল। দুই সভ্যতাই ছিল ভীষণভাবে দাস-নির্ভর। অন্য কোনো প্রাকশিল্প সভ্যতার এতখানি দাস-নির্ভরতা ছিল না। তাই সে কালের গ্রীক এবং রোমান সাহিত্যে ক্রীতদাসের প্রভূত উল্লেখ পাওয়া যায়। ধ্রুপদী যুগের গুণগ্রাহীদের কাছে বিষয়টি অস্বস্তিকর। কেননা দাস ব্যবস্থার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে অন্তহীন শোষণ আর অত্যাচারের কাহিনী। একদিকে মুষ্টিমেয় ধনবান মানুষের প্রভুত্ব, অন্যদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠের অসহায় বশ্যতা। সামাজিক পরিচয়ে এই ধনবান শ্রেণি হল স্বাধীন নাগরিক। অন্যান্যদের মধ্যে একটি বড় অংশ হয় ক্রীতদাস নইলে ভূমিদাস। উভয়ের মধ্যে অবশ্য যথেষ্ট পার্থক্য ছিল। সে কথা প্রসঙ্গক্রমে বলব। এখানে যেটা বলার, এমন এক অমানবিক প্রতিষ্ঠানের উপর যে সভ্যতা দাঁড়িয়ে ছিল সেই সভ্যতার নান্দনিক উৎকর্ষে একটু কালির ছিটে লাগে বই কি! মার্কসবাদী পন্ডিতরা বলে থাকেন, প্রাচীন গ্রীকদের অসামান্য সব কীর্তি যে সম্ভব হয়েছিল তার একটা কারণ হল, গ্রীকদের সভ্যতা গড়ে উঠেছিল অনেকটাই দাস ভিত্তির উপর।

    ক্রীতদাসরা ছিল জীবনের যাবতীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক মানুষ, অ্যারিস্টটলের ভাষায়, জীবন্ত যন্ত্র

    গ্রীক সভ্যতার সূচনা যিশুর জন্মের আনুমানিক দুহাজার বছর আগে মাইনোয়ান যুগে। প্রায় ৬০০ বছরের মাইনোয়ান সভ্যতার পর চলে আনুমানিক ২০০ বছরের মাইসিনিয় সভ্যতা। মাইনোয়ান এবং মাইসিনিয় গ্রীসে সম্ভবত ক্রীতদাস ছিল। তবে তখন ক্রীতদাস বলতে কি বোঝাত তা জানার মত তথ্যপ্রমাণ ঐতিহাসিকদের হাতে নেই। হোমারের দুই মহাকাব্য ইলিয়াড এবং ওডিসি-র রচনাকাল আনুমানিক ৭৫০-৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। এই দুই মহাকাব্যে দাসত্ব এবং দাসপ্রথার তথ্য পাওয়া যায়। হোমার বা হেসিয়ডের রচনা পড়লে বোঝা যায় গ্রীকরা কি অনিবার্যভাবে এবং নির্দ্বিধায় দাসপ্রথাকে মানুষের জীবনের একটি স্বাভাবিক ঘটনা বলে ধরে নিত। রোমান সভ্যতারও অনুষঙ্গ ছিল দাসব্যবস্থা।

    হোমারের যুগে গ্রীকরা ক্রীতদাস বোঝানোর জন্য যে সব শব্দ ব্যবহার করতেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল অ্যানড্রোপোডন। অ্যানড্রোপোডন কথাটির মানে মনুষ্যপদবিশিষ্ট জীব, অর্থাৎ মানুষ। শব্দটি এসেছিল টেট্রাপোডা শব্দের উপমা হিসেবে। টেট্রাপোডার অর্থ চতুষ্পদী গবাদি প্রাণী। গ্রীসে ক্রীতদাস হল সেই মানুষ যে আইন ও সমাজের চোখে অন্য একজন মানুষের একটি অধিকার। বাস্তবিক ক্রীতদাসরা ছিল জীবনের যাবতীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক মানুষ, অ্যারিস্টটলের ভাষায়, জীবন্ত যন্ত্র।

    প্রাচীন গ্রীস এবং রোমে দাসপ্রথা অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছেছিল, দুই সভ্যতাই ছিল ভীষণভাবে দাস-নির্ভর

    বিশিষ্ট ইংরেজ মার্কসবাদী জিওফ্রে সাঁ ক্রোয়া প্রাচীন গ্রীস এর পরাধীন শ্রম কে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। প্রথমটি দাসপ্রথা। দ্বিতীয়টি ভূমিদাস প্রথা এবং তৃতীয়টি ঋণজনিত দাসত্ব বন্ধন, এথেন্স রাষ্ট্রে রাষ্ট্রনায়ক সোলোনের আমলে যে প্রথাটির অবসান ঘটানো হয়েছিল। সাঁ ক্রোয়ার মতে, গ্রীক এবং রোমান ইতিহাসের সেরা সময়গুলোতে ক্রীতদাসপ্রথাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরাধীন শ্রম। সে সময় ভূমিদাস প্রথা আদৌ ক্রীতদাসপ্রথার মত এতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।

    স্বভাবতই প্রাচীন গ্রীস এবং রোমের সমাজ ও অর্থনীতিতে ক্রীতদাসরা ঠিক কি। ভূমিকা পালন করত সেই প্রশ্নে ঐতিহাসিক ও সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে ভয়ঙ্কর বিতর্ক আছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে পশ্চিমী দুনিয়ায় শুরু হয় দাসপ্রথা বিরোধী আন্দোলন। স্বভাবতই প্রাচীন গ্রীস ও রোমের, বিশেষ করে গ্রীসের দাসব্যবস্থা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য শোনা যায়। অনেকে বলেন, দাসপ্রথা-বিরোধী ভাবনা সর্বপ্রথম প্রাচীন পৃথিবীতেই গড়ে উঠেছিল। এদের মতে, কিছু কিছু গ্রীক সফিস্ট এবং রোমান জুরিস্ট যখন বলেন যে, দাসপ্রথা কোনো স্বাভাবিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান, তখন তারা আসলে দাসপ্রথার নিন্দা করার জন্যই বলেন। অন্য অনেকের বক্তব্য হল, প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে থেকে উঠে আসা দুই মহান নৈতিক শক্তি — স্টোইক দর্শন (দার্শনিক জেনাে প্রবর্তিত বৈরাগ্যদর্শন) এবং খ্রিস্টধর্ম – দাসপ্রথাকে পরিমার্জিত করে এর মানবিকীকরণ ঘটিয়েছিল।

    সূত্র : www.daily-bangladesh.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 24 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন