নিউক্লিয়াস কাকে বলে
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে নিউক্লিয়াস কাকে বলে পান।
নিউক্লিয়াস কাকে বলে ? নিউক্লিয়াসের অবস্থান, গঠন এবং কাজ
নিউক্লিয়াস কাকে বলে ? নিউক্লিয়াসের গঠন, অবস্থান এবং বৈশিষ্ট্য
নিউক্লিয়াস কাকে বলে ? নিউক্লিয়াসের অবস্থান, গঠন এবং কাজ
October 31, 2022 by drmonojog
টেলিগ্ৰামে জয়েন করুন
Table of Contents
নিউক্লিয়াস কাকে বলে :
ইউক্যারিওটিক কোশের প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে সবচেয়ে ঘন , গোলাকার , পর্দাবেষ্টিত , ক্রোমোজোম সমন্বিত যে অংশ কোশের সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে , তাকে নিউক্লিয়াস বলে।
নিউক্লিয়াসের অবস্থান :
সকল প্রকার ইউক্যারিওটিক কোশের প্রোটোপ্লাজমে প্রকৃত নিউক্লিয়াস পাওয়া যায় । উদ্ভিদকোশের কোশপ্রাচীরের কাছাকাছি এবং প্রাণীকোশে সাধারণত কোশের কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস অবস্থিত । প্রোক্যারিওটিক কোশে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না।
নিউক্লিয়াসের গঠন :
নিউক্লিয়াস সাধারণত গোলাকার বা উপবৃত্তাকার হয় । এটি প্রধানত চারটি অংশ নিয়ে গঠিত যথা- 1. নিউক্লীয় পর্দা , 2. নিউক্লীওপ্লাজম , 3. নিউক্লিওলাস ও 4. নিউক্লীয় জালিকা।
1. নিউক্লীও পর্দা কাকে বলে :
নিউক্লিয়াসকে ঘিরে যে সজীব দ্বিস্তরীয় আবরণী থাকে , তাকে নিউক্লীও পর্দা বলে । এই পর্দা প্রোটিন ও স্নেহপদার্থ দিয়ে তৈরি । দ্বিস্তরীয় পর্দার দুটি স্তরের অন্তবর্তী স্থানকে পেরিনিউক্লিয়ার সিস্টারনি বলে । নিউক্লীয় পর্দার গায়ে অসংখ্য ছিদ্র থাকে । এদের নিউক্লীয় ছিদ্র বলে।
2. নিউক্লীওপ্লাজম কাকে বলে :
নিউক্লিয়াসের অর্ধতরল , স্বচ্ছ পদার্থকেই নিউক্লীয় রস বা নিউক্লিওপ্লাজম বলে । নিউক্লিওপ্লাজম , সাইটোপ্লাজমের তুলনায় অনেক বেশি দানাদার এবং ঘন জেলির মতো হয়।
3. নিউক্লিওলাস কাকে বলে :
নিউক্লিয়াসের অপেক্ষাকৃত ঘন , গোলাকার অংশকে নিউক্লিওলাস বলে । সাধারণত একটি নিউক্লিয়াসে একটিমাত্র নিউক্লিওলাস থাকে । নিউক্লিওলাসের গুরুত্বপূর্ণ চারটি অংশ হল – 1. দানাদার অংশ , 2. সূত্রাকার অংশ , 3. অনিয়তাকার অংশ এবং 4. ক্রোমাটিন অংশ।
4. নিউক্লীও জালিকা কাকে বলে :
নিউক্লীয় রসের মধ্যে যে সূক্ষ্ম সুতোর মতো অংশ অস্পষ্টভাবে জালকাকারে অবস্থান করে , তাদের নিউক্লীয় জালিকা বা ক্রোমাটিন জালিকা বলে । কোশ বিভাজনকালে জল বিয়োজনের ফলে নিউক্লীয় জালিকাগুলি স্পষ্ট ও মোটা হয় । তখন তাদের ক্রোমোজোম বলে । ক্রোমোজোমে জিন থাকে।
নিউক্লিয়াসের কাজ বা বৈশিষ্ট্য :
1. কোশের মস্তিষ্ক হিসেবে নিউক্লিয়াস সমস্ত শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
2. কোশ বিভাজনের সময়ে ক্রোমোজোম গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে । ক্রোমোজোমে অবস্থিত জিন বংশগত বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে।
3. নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ক্রোমোজোম DNA সংশ্লেষে অংশগ্রহণ করে।
4. নিউক্লিয়াস প্রোটিন সংশ্লেষ ও RNA গঠনে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন :সাইটোপ্লাজম কাকে বলে ? গঠন ও কাজ
কোষপর্দা কাকে বলে ? গঠন ও কাজ
কোষ নিউক্লিয়াস
কোষ নিউক্লিয়াস
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নীল প্রতিপ্রভা হোচেস্ট ডাই দিয়ে দেখা নিউক্লিয়ার ডিএনএর দাগযুক্ত হেলা কোষগুলি। কেন্দ্রীয় এবং ডানদিকের কোষগুলি ইন্টারফেজে থাকে। এইভাবে তাদের সম্পূর্ণ নিউক্লিয়াস লেবেলযুক্ত। বাম দিকে একটি কোষ মাইটোসিসের বিভাজনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এর ডিএনএ ঘনীভূত হয়েছে।
কোষ জীববিদ্যা প্রাণীকোষ
একটি আদর্শ প্রাণীকোষের অংশমূহ:
নিউক্লিওলাস নিউক্লিয়াস
রাইবোজোম (বিন্দুগুলো ৫ এর অংশ)
ভেসিকল
অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম
গলজি বস্তু (অথবা, গলজি বডি)
কোষকঙ্কাল
মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম
মাইটোকন্ড্রিয়া কোষ গহ্বর
সাইটোসল (যে তরলটিতে অঙ্গাণু আছে; যার সাথে রয়েছে সাইটোপ্লাজম)
লাইসোসোম সেন্ট্রোজোম কোষ ঝিল্লি
নিউক্লিয়াস
নিউক্লিয়াস (ইংরেজি: Cell Nucleus) বা কেন্দ্রিকা হল প্রোটোপ্লাজমের সবচেয়ে ঘন, পর্দাঘেরা এবং প্রায় গোলাকার অংশ।যা কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তাকে বলা হয় নিউক্লিয়াস ৷ রবার্ট ব্রাউন(Robert Brown) সর্বপ্রথম ১৮৩১ সালে কোষে নিউক্লিয়াস দেখতে পান এবং এর নামকরণ করেন।তিনিই এটি আবিষ্কার করেন সর্বপ্রথম। এটি ৪ টি অংশে বিভক্ত।কোষ জীববিজ্ঞানে, নিউক্লিয়াস (নিউক্লিয়াস; ল্যাটিন নিউক্লিয়াস বা নিউকিউলিয়াস থেকে যার অর্থ বীজ) হল ইউক্যারিওটিক অর্থাৎ প্রকৃতকোষে পাওয়া একটি ঝিল্লি-আবদ্ধ অঙ্গাণু। প্রকৃতকোষে সাধারণত একটি একক নিউক্লিয়াস থাকে। তবে কোষের ধরন অনুসারে,যেমন স্তন্যপায়ীর লাল রক্তকণিকা(লোহিত রক্তকণিকা)-র কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না আবার অস্টিওক্লাস্ট সহ আরও কয়েক ধরনের কোষ বহুনিউক্লিয়াসবিশিষ্ট হয়ে থাকে।নিউক্লিয়াস তৈরির প্রধান কাঠামো হলো এর বহিঃপর্দা, এটি মুলত একটি দ্বিস্তরী মেমব্রেন বা পর্দা যা সমগ্র নিউক্লিয়াসটিকে ঘিরে রাখে এবং কোষীয় সাইটোপ্লাজম থেকে এর বিষয়বস্তুকে বিচ্ছিন্ন করে। এবং নিউক্লিয়ার ম্যাট্রিক্স অর্থাৎ মাতৃকা (যার মধ্যে নিউক্লিয়ার উপাদানসমূহ রয়েছে) ও সাইটোপ্লাজমের মধ্যে একটি নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করে। যা নিউক্লিয়াসকে যান্ত্রিক সমর্থনদেয়। নিউক্লিয়াসই সম্পূর্ণ কোষের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে,তাই একে বলা হয় কোষের মস্তিষ্ক। নিউক্লিয়াসের অন্যতম কাজ বংশগতীয় বস্তু বহন করা।
গঠন[সম্পাদনা]
এর আকৃতি গোলাকার, ডিম্বাকার, নলাকার, উপবৃত্তাকার, প্যাঁচানো থালার মত এবং শাখান্বিত হতে পারে ৷ রাসায়নিকভাবে নিউক্লিয়াস মূলত প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা গঠিত। এতে অন্যান্য উপাদানও থাকে। যেমনঃ প্রোটিন (Protein), আরএনএ(RNA), ডিএনএ(DNA) । সিভকোষ বা লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না৷[১] নিউক্লিয়াসে বংশগতির বৈশিষ্ট্য নিহিত ৷ এটি কোষে সংঘটিত বিপাকীয় কার্যাবলিসহ সব ক্রিয়া-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে ৷ সুগঠিত নিউক্লিয়াসে নিচের অংশগুলো দেখা যায়:
নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বা নিউক্লিও পর্দা[সম্পাদনা]
উচ্চমানসম্পন্ন মাইক্রোস্কোপ এ দৃশ্যমান নিউক্লিয়াস
নিউক্লিয়াস কে ঘিরে রাখে যে ঝিল্লি তাকে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বলে ৷ এটি দ্বিস্তরবিশিষ্ট ঝিল্লি ৷ এ ঝিল্লি লিপিড ও প্রোটিন এর সমন্বয়ে গঠিত ৷ এ ঝিল্লীতে মাঝে মাঝে কিছু ছিদ্র থাকে, একে নিউক্লিয়ার রন্ধ্র / parinuclias pace বলে ৷ এই ছিদ্রের মাধ্যমে কেন্দ্রিকা ও সাইটোপ্লাজম এর মধ্যে কিছু বস্তু চলাচল করে ৷ এই ঝিল্লী সাইটোপ্লাজম থেকে কেন্দ্রিকার অন্যান্য বস্তুকে পৃথক করে ও বিভিন্ন বস্তুর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ৷[২]
নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বা নিউক্লিও পর্দা এর কাজ[সম্পাদনা]
নিউক্লিয়াসকে রক্ষণাবক্ষেণ করা এর প্রধান কাজ। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ অঙ্গাণুগুলোকে সাইটোপ্লাজম থেকে পৃথক করে রাখে।
নিউক্লিওপ্লাজম[সম্পাদনা]
কেন্দ্রিকা ঝিল্লির অভ্যন্তরে জেলির ন্যায় বস্তু বা রসকে কেন্দ্রিকারস বা নিউক্লিওপ্লাজম বলে ৷ কেন্দ্রিকা রসে নিউক্লিক অ্যাসিড , প্রোটিন , উৎসেচক, আরএনএ,বিভিন্ন এনজাইম, (ডিএনএ পলিমারেজ, আরএনএ পলিমারেজ, নিউক্লিওটাইড ট্রাইফসফাটেজ, নিউক্লিওসাইড ফসফোরাইলেজ, কাইS নেজ, ডিহাইড্রোজিনেজ, এন্ডোনিউক্লয়েজ), আরএনপি দানা, অল্প পরিমাণে লিপিড ও কতিপয় খনিজ লবণ থাকে ৷
নিউক্লিওপ্লাজম এর কাজ[সম্পাদনা]
এখানে নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন তন্তু অবস্থান করে। নিউক্লিয়াসের রসস্ফীতি অবস্থা বজায় রাখা ও নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা।
নিউক্লিওলাস[সম্পাদনা]
নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকার মধ্যে ক্রোমোজম এর সাথে লাগানো গোলাকার বস্তুকে নিউক্লিওলাস বা কেন্দ্রিকাণু বলে ৷১৭৮১ সালে বিজ্ঞানী ফনটানা(Fontana) সর্বপ্রথম নিউক্লিওলাস আবিষ্কার করেন। ক্রোমোজোমের রঙঅগ্রাহী অংশের সাথে এরা লেগে থাকে ৷ এরা RNA ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত ৷ এরা নিউক্লিক অ্যাসিড মজুত করে ও প্রোটিন সংশ্লেষণ করে ৷ ক্রোমোজোমের যে স্থানে নিউক্লিওলাস সংযুক্ত থাকে তাকে বলা হয় SAT বা স্যাটেলাইট।
ক্রোমাটিন জালিকা বা নিউক্লিও জালিকা[সম্পাদনা]
কোষের বিশ্রামকালে কেন্দ্রিকায় কুন্ডলী পাকানো সূক্ষ্ম সুতার ন্যায় অংশই হল ক্রোমাটিন জালিকা ৷ কোষ বিভাজনের সময় এরা মোটা ও খাটো হয় তাই তখন তাদের আলাদা ক্রোমোজোম দেখা যায় ৷ ক্রোমোজোম এর দুইটি অংশ রয়েছে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
↑ আজমল, গাজী; আসমত, গাজী। "কোষ"। (2 সংস্করণ)। গাজী পাবলিসার্স।
↑ রীপা, রাহাত পারভীন (২০১১-১০-০১)। "নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোজোম"। BdFISH Bangla।
বিষয়শ্রেণীসমূহ: জীববিজ্ঞানপ্রাণিবিজ্ঞানউদ্ভিদবিজ্ঞানঅঙ্গাণু
(1) New Message!
জীব কোষের প্রোটোপ্লাজম এ নির্দিষ্ট পর্দাঘেরা ক্রোমোজোম বহনকারী সুস্পষ্ট যে বস্তুটি দেখা যায় তাকে নিউক্লিয়াস বলে। অর্থাৎ কোষের প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে পর্দা
পড়াশোনা
নিউক্লিয়াস কাকে বলে? নিউক্লিয়াসের গঠন ও কাজ
adminSeptember 3, 20220 19 2 minutes read
নিউক্লিয়াস কাকে বলে?
জীব কোষের প্রোটোপ্লাজম এ নির্দিষ্ট পর্দাঘেরা ক্রোমোজোম বহনকারী সুস্পষ্ট যে বস্তুটি দেখা যায় তাকে নিউক্লিয়াস বলে। অর্থাৎ কোষের প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে পর্দা দিয়ে ঘেরা কেন্দ্রীয় গঠনটিকে নিউক্লিয়াস বলা হয়। এর আকৃতি গোলাকার ,ডিম্বাকার, বা নলাকার। একে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।
কোন কোষের নিউক্লিয়াস বাদ দিলে কোষ বিভাজিত হতে পারে না। যেমন- মানুষের পরিণত লোহিত কণিকায় নিউক্লিয়াস না থাকার কারণে ওই কোষ বিভাজিত হয় না। সাইটোপ্লাজমীয় বস্তু থেকে পর্দা দিয়ে আলাদা থাকার কারণেই নিউক্লিয়াসের একটি নিজস্ব জগৎ থাকে। যে সমস্ত জীব দেহের কোষে পর্দাঘেরা নিউক্লিয়াস থাকে তাদেরকে ইউক্যারিওটা বলা হয়।আর যে সকল জীব দেহের কোষে পর্দাঘেরা নিউক্লিয়াস থাকে না তাদেরকে প্রোক্যারিওটিক বলা হয়।কোষ বিভাজনের বিভিন্ন অবস্থায় নিউক্লিয়াসের পরিবর্তন হয়।
আবার বলা যায়, প্রকৃত কোষের সাইটোপ্লাজমে দ্বিস্তরী আবরণ দ্বারা আবৃত যে গোলাকার অঙ্গাণু ক্রোমাটিন জালিকা ধারণ করে এবং সুস্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে নিউক্লিয়াস বলে। এটি কোষের অপরিহার্য অংশ এবং কোষের যাবতীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে কে কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়। রবার্ট ব্রাউন সর্বপ্রথম ১৮৩১ সালে অর্কিড পাতার কোষে নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন ও নামকরণ করেন।
নিউক্লিয়াসের গঠন
একটি সুগঠিত নিউক্লিয়াস সর্বমোট চারটি অংশ নিয়ে গঠিত ।এগুলো হলো-
নিউক্লিয়ার ঝিল্লি / পর্দা / এনভেলপ
নিউক্লিওপ্লাজম নিউক্লিওলাস
নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম / ক্রোমাটিন জালিকা /ক্রোমোজোম
নিউক্লিয়ার ঝিল্লি / পর্দা / এনভেলপ
নিউক্লিয়াসকে ঘিরে যে দ্বিস্তরী আবরণ থাকে তাকে নিউক্লিয়ার ঝিল্লি বা কেন্দ্রিকা ঝিল্লি বলে। এটি দুটি স্তর বিশিষ্ট। এই ঝিল্লি লিপিড ও প্রোটিন এর সমন্বয়ে তৈরি হয়। এই ঝিল্লিতে মাঝে মাঝে কিছু ছিদ্র থাকে যেগুলোকে নিউক্লিয়ার রন্ধ্র বলা হয়।
নিউক্লিয়ার ঝিল্লির কাজ
সাইটোপ্লাজম থেকে নিউক্লিয় বস্তুসমূহকে আলাদা করে সংরক্ষণ করা।
নিউক্লিয়ার বন্ধ্রের মাধ্যমে নিউক্লিওপ্লাজম ও সাইটোপ্লাজম এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা।
এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম এর সাথে যুক্ত হয়ে নিউক্লিয়াসের অবস্থানকে দৃঢ় করা।
নিউক্লিওপ্লাজম
নিউক্লিয়ার ঝিল্লির ভেতরে জেলির মত বস্তু বা রস থাকে। একে কেন্দ্রিকারস বা নিউক্লিওপ্লাজম বলে। নিউক্লিওপ্লাজমকে ক্যারিওলিম্ফও বলে। এতে নিউক্লিক অ্যাসিড ,প্রোটিন ,উৎসেচক ও কতিপয় খনিজ লবণ থাকে।
নিউক্লিওপ্লাজমের কাজ
নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন জৈবনিক কাজে সাহায্য করে।
নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন জালিকা ধারণ করে।
নিউক্লিয়াস বিভাজন এর সময় ব্যবহারযোগ্য খাদ্য সঞ্চয় করে।
নিউক্লিওলাস
নিউক্লিয়াসে যে ছোট ও অধিকতর ঘন গোলাকার বস্তু দেখা যায় তাকে নিউক্লিওলাস বলে। অর্থাৎ, নিউক্লিওপ্লাজমের মধ্যে ক্রোমোজোমের সাথে সংলগ্ন গোলাকার বস্তুকে নিউক্লিওলাস বা বলে। এদেরকে ৩ টি অংশে ভাগ করা যায়। যথাঃ
তন্তুময় দানাদার ম্যাট্রিক্স
নিউক্লিওলাসের কাজ
বিভিন্ন প্রকার RNA সংশ্লেষণ করে।
প্রোটিন সংশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করে।
রাইবোজোম সংশ্লেষণ করে।
নিউক্লিক এসিড ভান্ডার হিসেবে কাজ করে।
নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম / ক্রোমাটিন জালিকা /ক্রোমোজোম
কোষের বিশ্রামকালে অর্থাৎ যখন কোষ বিভাজন চলে না , তখন নিউক্লিয়াসে কুন্ডলী পাকানো সূক্ষ্ম সূতার মতো অংশই হচ্ছে ক্রোমাটিন জালিকা বা নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম।কোষ বিভাজনের সময় এরা মোটা এবং খাটো হয় তাই তখন তাদের আলাদা আলাদা ক্রোমোজোম হিসেবে দেখা যায়।
নিউক্লিয়ার রেটিকুলামের কাজ
বংশগতি ও বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে।
মিউটেশন, প্রকরণ সৃষ্টি ইত্যাদি কাজেও মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
RNA সংশ্লেষণ এর মাধ্যমে প্রোটিনে বার্তা প্রেরণ করে।
নিউক্লিয়াসের কাজ
নিউক্লিয়াসকে কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়। কোষের সব ধরনের কাজ নিউক্লিয়াস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
নিউক্লিক এসিডের ভান্ডার হিসেবে কাজ করে।
রাইবোজোম সৃষ্টি করে।
RNA সংশ্লেষণ করে।
আমাদের দেহের প্রোটিন সংশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করে।
ক্রোমাটিন জালিকা, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ধারণ করে।
কোষের সব ধরনের জৈবিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।
বংশগতি ও বৈশিষ্ট্যসমূহ ধারণ ও বহন করে।
নিউক্লিয়াসের বিভাজনের সময় সময় ব্যবহারযোগ্য খাদ্য সঞ্চয় করে।
নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন অংশ সমূহ ধারণ করে ইত্যাদি।
Facebook Twitter Messenger WhatsApp Telegram Share via Email Print
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?