পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম ও সূরা
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ম ও সূরা পান।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কিত লেখায় আপনাকে স্বাগতম। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি রুকন অর্থাৎ পাঁচটি প্রধান জিনিস রয়েছে।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম
Islamic / By Juyel Ahmed Liton / 2023-01-07
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কিত লেখায় আপনাকে স্বাগতম। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি রুকন অর্থাৎ পাঁচটি প্রধান জিনিস রয়েছে। ঈমানের পর সর্ব শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে নামাজ। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা অনেকেই নামাজ পড়তে জানি না। নামাজ পড়লেও সঠিকভাবে কীভাবে নামাজ পড়তে হয় তা জানি না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে probangla আপনাদের জন্য নামাজ পড়ার নিয়ম সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করেছে।
নামাজ পড়ার পূর্বে কিছু আহকাম রয়েছে যা আপনাকে অবশ্যই পালন করতে হবে।
নামাজ পড়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে আপনাকে পাক-পবিত্র হতে হবে। হোক সেটা ওযু বা গোসল।
পাক-পবিত্র কাপড় পরিধান করতে হবে।
সত্তর ঢাকতে হবে।
পাক ও পরিষ্কার স্থানে নামাজ পড়তে হবে।
অবশ্যই কেবলা মুখে হতে হবে।
কোনো মাখরুহ্ ওয়াক্তে নামাজ পড়লে নামাজ হবে না।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম
মুসলিমদের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। যথা:
ফজর জোহর আসর মাগরিব এশা
ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম:
ফজরের নামাজের প্রথমে দুই রাকাআত সুন্নাত ও পরে দুই রাকাআত ফরজ।ফজরের দুই রাকাআত সুন্নত নামাজের নিয়ত: “নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তা’আলা মুতাও ইয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।”আরো পড়তে পারেন:
আজকের আরবি কত তারিখ ২০২৩ | আজ আরবি মাসের কত তারিখ
আজকের নামাজের সময়সূচী - ২১ জানুয়ারি ২০২৩
শবে বরাত ২০২৩ - শবে বরাত ২০২৩ কত তারিখে
শব ই মেরাজ ২০২৩ - শবে মেরাজ কত তারিখে
মরক্কো: অনন্য সুন্দর এক দেশ
ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম:
সর্বপ্রথম অজু করে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে এবং নিয়ত করতে হবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে তাকরিমে তাহরিমা অর্থাৎ হাত বাঁধতে হবে। এরপর মনে মনে ছানা পরতে হবে।
ছানা:- “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা, ওয়া লা ইলাহা গইরুক।”অর্থ : “হে আল্লাহ্! আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। তুমি প্রশংসাময়, তোমার নাম বরকতময়, তোমার মর্যাদা অতি উচ্চে, আর তুমি ব্যতীত সত্যিকার কোনো মাবুদ নাই।”এরপর আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন। এরপর আবার বিসমিল্লাহ বলে একটি ছোট সূরা পড়বেন। অবশ্যই এটা নিঃশব্দে পড়তে হবে।
এরপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যাবেন। রুকুতে গিয়ে পাঠ করবেন, “সুবহানাল্লাহ রাব্বিয়াল আযিম”
কমপক্ষে তিনবার পাঠ করবেন এবং বেশি পাঠ করলে বেজোড় সংখ্যক পাঠ করবেন।
এরপর “সামি আল্লাহু লিমান হামিদা” বলে সোজা দাঁড়াবেন। দাঁড়ানোর পর বলবেন “রাব্বানা লাকাল হামদ্”
এরপর আল্লাহু আকবার বলে সেজদাতে চলে যাবেন। খেয়াল রাখবেন সবার আগে হাঁটুর জমিনে লাগবে এরপর দুই হাত এবং পরে নাক ও কপাল।
সেজদায় গিয়ে বলবেন “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা”
সর্বনিম্ন তিনবার “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” পাঠ করে আল্লাহু আকবার বলে বসবেন। দুই তিন সেকেন্ড অপেক্ষা করে আবারো আল্লাহু আকবার বলে দ্বিতীয় সেজদা করবেন।
দ্বিতীয় সেজদায় তসবিহ্ পাঠ করে আল্লাহু আকবার বলে সোজা দাঁড়াবেন।
এবার প্রথম রাকাআতের মতো আবারও নিঃশব্দে সুরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পাঠ করবেন এবং রুকু ও সেজদা করবেন।
দ্বিতীয় রাকাতে দ্বিতীয় সিজদার পর আল্লাহু আকবার বলে বসবেন। এই বসাকে বলে “আখেরি বৈঠক”
এখন আপনি তাশাহুদ পাঠ করবেন।
তাশাহুদ:- “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত্ ত্বায়্যিবাতু, আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, আসসালামু আলাইনা ওয়া ‘আলা ইবাদিল্লাহিস সলিহিন, আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।”অর্থ : “সকল সম্মান, সকল উপাসনা ও সকল পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর সকল অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি নাযিল হোক। শান্তি বর্ষিত হোক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাদের উপরে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (স.) তাঁর বান্দা ও রাসূল।”তাশাহুদ পাঠের পর দুরুদে ইব্রাহিম পাঠ করবেন।
দুরুদ শরীফ:- আল্লাহুম্মা ছাল্লিআলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলাআলি মুহাম্মাঁদিন কামা বারকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহীম ইন্নাকা হামিদুম মাজীদ।
এরপর দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করবেন।
দোয়ায়ে মাসুরা:- আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফসি যুলমান কাসিরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয জুনূবা ইল্লা আন্তা, ফাগফির লি মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আন্তাল গফুরুর রহিম।দোয়ায়ে মাসুরা বাংলা অর্থ:- হে আল্লাহ্! আমি আমার নিজের আত্মার উপর বড্ড অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র আপনিই। অতঃএব আপনি নিজ থেকেই আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দিন এবং আমার প্রতি দয়া করুন। নিশ্চয়ই আপনি পরম ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ শেষ হলে, ডানদিকে সালাম ফিরাবেন আর বলবেন “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ”
অতঃপর বামদিকে একই বাক্য পাঠ করে সালাম ফিরাবেন।
আলহামদুলিল্লাহ, এভাবে আপনি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করবেন।ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম:
ফরজ দুই রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত : “নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকয়াতাই সালাতিল ফাজরি, ফারজুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।”
নিয়ত করার পর প্রথমে যেভাবে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়েছেন এটাও একই ভাবে পড়বেন কিন্তু কিছু পরিবর্তন আছে।
১. এই নামাজের নিয়ত হতে হবে ফজরের ফরজ নামাজ এর।
২. এই নামাজে তেলাওয়াত অর্থাৎ সূরা গুলো উচ্চ স্বরে পাঠ করবেন।
৩. যেভাবে সুন্নত নামাজে সবগুলো তসবিহ্ আদায় করেছেন এখানেও সেভাবেই তসবিহ্ আদায় করবেন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাআত সংখ্যা
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। ফরজের পাশাপাশি প্রত্যেক ওয়াক্তেই ওয়াজিব, সুন্নাত এবং নফল নামাজ রয়েছে। নামাজের রাকাআত নিয়ে...
ধর্ম
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাআত সংখ্যা
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২১ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। ফরজের পাশাপাশি প্রত্যেক ওয়াক্তেই ওয়াজিব, সুন্নাত এবং নফল নামাজ রয়েছে। নামাজের রাকাআত নিয়ে রয়েছে মতপার্থক্য। ন্যূনতম যা পড়া দরকার তার বিবরণ তুলে ধরা হলো-
সালাতুল ফজর
ফজরে প্রথমে দুই রাকাআত সুন্নাত এবং পরে দুই রাকাআত ফরজ।
সালাতুল জোহর
যুহরের নামাজ প্রথমে চার রাকাআত সুন্নাত। তারপর চার রাকাআত ফরজ এবং তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত। এ দশ রাকাআত পড়া উত্তম। কেউ কেউ সর্বশেষ দুই রাকআত নফল নামাজও পড়ে। এ হিসেবে জোহরের নামাজ ১২ রাকাআত আদায় করা হয়।
সালাতুল আসর
আসরের নামাজ চার রাকাআত পড়া ফরজ। কেউ কেউ ফরজের পূর্বে চার রাকাআত সুন্নাত নামাজ পড়ে থাকে।
সালাতুল মাগরিব
মাগরিবে প্রথম তিন রাকাআত ফরজ। তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত। কেউ কেউ সুন্নাতের পর দুই রাকাআত নফল পড়ে থাকে।
সালাতুল ইশা
ইশার নামাজে চার রাকাআত ফরজ। তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত। অতপর তিন রাকাআত বিতর। বিতর পড়া ওয়াজিব। অনেকে ফরজের পূর্বে চার রাকাআত সুন্নাত এবং বিতরের পর দুই রাকাআত নফলও নামাজ পড়ে থাকে।
পরিশেষে
সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ফজর ৪ রাকাআত; জোহর ১০ রাকাআত; আসর ৪ রাকাআত, মাগরিব ৫ রাকাআত এবং ইশার ৯ রাকাআত নামাজ যথাযথ আদায়ে যত্নবান হওয়া আবশ্যক। পাশাপাশি প্রত্যেক ওয়াক্তের আগে পরের সুন্নাত ও নফল আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন। দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম অবলম্বনে।
এমএমএস/পিআর নামাজ
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
আরও পড়ুন
নামাজ পরিত্যাগকারীর বিধান
নামাজে যে কাজগুলো মুস্তাহাব
বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত কাজ
বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজের মধ্যে ১৪টি কাজ ওয়াজিব
বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজের ভিতরে ৭টি কাজ ফরজ
বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজের পূর্বে ৭টি কাজ ফরজ
আহকামে ওজু তথা ওজুর ফরজসমূহ
ওজুর মাকরূহ ও ভঙ্গের কারণ
ওজুর তারতিব ও সুন্নাতসমূহ
তায়াম্মুমের বিধি-বিধান
নামাজে তাকবিরে তাহরিমার পরের দোয়া
বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজে তাকবিরে তাহরিমা ও হাত বাঁধা
বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজে বৈঠকে বসার দোয়া
বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজের রুকুতে পড়ার উত্তম দোয়া
রুকু হতে ওঠে যে দোয়া পড়তে হয়
নামাজের সিজদায় যে দোয়া পড়া উত্তম
দুই সিজদার মাঝের দোয়া
বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজে যে দরূদ পড়তে হয়
বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজে সালাম ফিরানোর পূর্বের দোয়া
বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজ পড়বেন যেভাবে বিশেষ-প্রতিবেদন
নামাজের নিয়মাবলী : পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম
প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ফরজ। নামাজের সঠিক নিয়ম জানা তাই আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফরজ (আরবিতে: فَرْضُ)
নামাজ এর নিয়ম ধর্ম ও জীবন
নামাজের নিয়মাবলী : পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম
July 3, 2021Chatrobarta
নামাজ বা নামায মূলত একটি ফার্সি শব্দ। এটি আরবি শব্দ সালাত বা সালাহ থেকে এসেছে।
আরবি- ٱلصَّلَوَات আস-সালাওয়াত এর অর্থ হলো- ‘দোয়া’, ‘প্রার্থনা’, ‘প্রশংসা’ বা ‘আশীর্বাদ’।
How to Write SEO Friendly Article o...
This is a modal window.
No compatible source was found for this media.
How to Write SEO Friendly Article on Wordpress in 2022
নামাজ বা সালাত হলো আমাদের ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। নামাজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।
প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ফরজ। নামাজের সঠিক নিয়ম জানা তাই আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফরজ (আরবিতে: فَرْضُ) সাধারণত দুই প্রকার। দুই প্রকার ফরজের মধ্যে নামাজ ফরজে আইনের অন্তর্ভুক্ত।
নামাজের সংক্ষিপ্ত নিয়মাবলী
আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ মুসলিমই হানাফি মাজহাবের অনুসারী। তাই হানাফি মাজহাব অনুসারেই নিচে নামাজ পড়ার সংক্ষিপ্ত নিয়ম উল্লেখ করা হলো। এখানে উল্লেখ্য, চার ইমামের যে কারো তরিকা গ্রহণ করলেও সমস্যা নেই।
প্রথমে ওজুসহকারে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
ওযুর নিয়ম
নামাজের নিয়ত করে উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠাতে হবে। এরপরে তাকবিরে তাহরিমা পড়ার পর বাম হাতের ওপর ডান হাত রেখে নাভির নিচে হাত বাঁধতে হবে। এরপর অনুচ্চৈঃস্বরে পড়তে হবে –
‘সুবহানাকাল্লাহুম্মা ওয়াবি হামদিকা ওয়া তাবারা কাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা তোমারই পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি, তোমার নামই বরকতপূর্ণ এবং তোমার গৌরবই সর্বোচ্চ, তুমি ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। (নাসায়ি, হাদিস নং : ৮৮৯)
এরপর অনুচ্চৈঃস্বরে আউজু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ুন। (তাহাবি : ১/৩৪৭)
এবার সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। নিচে সূরা ফাতিহা উচ্চারণ ও অর্থ সহকারে দেওয়া হলো –
সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ ও উচ্চারণ
সূরা আল ফাতিহা
بِسْمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
ٱلْحَمْدُ لِلَّٰهِ رَبِّ ٱلْعَالَمِينَ
ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
مَالِكِ يَوْمِ ٱلدِّينِ
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
ٱهْدِنَا ٱلصِّرَاطَ ٱلْمُسْتَقِيمَ
صِرَاطَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ
غَيۡرِ ٱلْمَغْضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا اَ۬لضَّآلِّينَ ص
সূরা আল ফাতিহা
সূরা ফাতিহার উচ্চারণ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আলহামদুলিল্লা-হি রাব্বিল আ-লামীন
আর রাহমা-নির রাহীম
মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন
ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাছতা’ঈন
ইহদিনাসসিরা-তাল মুছতাকীম
সিরা-তাল্লাযীনা আন’আম তা’আলাইহিম
গাইরিল মাগদূ বি’আলাইহীম ওয়ালাদ্দাল্লীন।
সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থ
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে
সমস্ত প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যে
অনন্ত দয়াময়, অতীব দয়ালু
প্রতিফল দিবসের মালিক
আমরা শুধু আপনারই দাসত্ব করি এবং শুধু আপনারই নিকট সাহায্য কামনা করি
আমাদের সরল পথনির্দেশ দান করুন
তাদের পথে, যাদের আপনি অনুগ্রহ করেছেন
এবং তাদের পথে নয় যারা আপনার ক্রোধের শিকার ও পথভ্রষ্ট।
শেষ হলে আমিন বলতে হবে। হানাফি মাজহাব মতে, আমিন আস্তে পড়া উত্তম। তবে জোরে আমিন বলার ব্যাপারেও ইমামদের মতামত পাওয়া যায়।
সূরা ফাতিহা পড়া শেষ হলে একটি সূরা অথবা তিনটি ছোট আয়াত, যা কমপক্ষে লম্বা একটি আয়াতের সমতুল্য হয়, তাই পড়তে হবে। (আবু দাউদ, হাদিস নং : ৬৯৫)
ইমামরা বলেন, এই পরিমাণ তিলাওয়াত সালাত বা নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যক। তবে নামাজে কোরআন তিলাওয়াতের সুন্নত পরিমাণের বিষয়ের বিবরণ ফিকহের কিতাবে উল্লেখ করা আছে।
অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে। রুকুতে মাথা নিতম্বের বরাবর করতে হবে। (আবু দাউদ, হাদিস নং : ৭২৯)
নামাজের আসন
রুকুতে আঙুলগুলো ছড়িয়ে দিয়ে হাঁটু আঁকড়ে ধরতে হবে। (মুজামে সাগির ২/৪৯৭)
রুকুতে তিনবার, পাঁচবার বা সাতবার; কমপক্ষে তিনবার ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম’ পড়তে হবে। (তিরমিজি, হাদিস নং : ২৪২)
এবার রুকু থেকে ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলে মাথা উঠান। মুক্তাদি হলে অনুচ্চৈঃস্বরে শুধু ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ বলতে হবে। এরপর তাকবির পড়ে অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেতে হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ৭৪৭)
সিজদায় যাওয়ার সময় প্রথমে হাঁটু, তারপর হাত, তারপর উভয় হাতের মধ্যে প্রথমে নাক এবং পরে কপাল মাটিতে রাখতে হবে। নিজের পেট রান থেকে এবং বাহুকে পার্শ্বদেশ থেকে পৃথক করে রাখুন। হাত ও পায়ের আঙুলকে কিবলামুখী করে রাখতে হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ৭৮৫)
সিজদায় তিনবার, পাঁচবার বা সাতবার; কমপক্ষে তিনবার ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আলা’ পড়তে হবে। (তিরমিজি, হাদিস নং : ২৪২)
এরপর সিজদা থেকে উঠার সময় সর্বপ্রথম মাথা উঠিয়ে উভয় হাত রানের ওপর রেখে স্থিরতার সঙ্গে বসে পড়তে হবে। এরপর তাকবির বলে দ্বিতীয় সিজদা করতে হবে। দ্বিতীয় সিজদায়ও এরপর কমপক্ষে তিনবার তাসবিহ পড়তে হবে। বিজোড় সংখ্যায় এর বেশিও তাসবিহ পড়া যাবে। এরপর জমিনে হাত দ্বারা ঠেক না দিয়ে এবং না বসে সরাসরি তাকবির বলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। এ পর্যন্ত আমাদের প্রথম রাকাত সম্পন্ন হয়েছে।
এবার দ্বিতীয় রাকাত আরম্ভ হলো। এতে হাত উঠাতে হবে না, ছানাও পড়বেন না, আউজুবিল্লাহও পড়তে হবে না। তবে আগের মতো সূরা ফাতিহা ও এর সাথে অন্য একটি সূরা পড়ে রুকু-সিজদা করতে হবে। দ্বিতীয় সিজদা শেষ করে ডান পা খাড়া করে বাম পা জায়নামাজে বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর বসে যেতে হবে। তখন হাত রাখতে হবে রানের ওপর এবং ডান পায়ের আঙুলগুলো থাকবে কিবলামুখী। (মুসলিম, হাদিস নং : ৯১২)
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?