পেট খারাপ হলে কি খাওয়া উচিত
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে পেট খারাপ হলে কি খাওয়া উচিত পান।
পেটের গণ্ডগোল হলে যা খাবেন – সহায় হেলথ
খাওয়াদাওয়া করলে পেট আরও খারাপ হবে—এমন ধারণা থেকে অনেকেই ঠিকমতো খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে এই সময়ে শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টির যোগান দেওয়া জরুরি।
পেটের গণ্ডগোল হলে যা খাবেন
পেট খারাপ থাকা অবস্থায় যখনই মনে হবে যে খেতে পারবেন, তখনই কিছু খেয়ে নিবেন। যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ও পুষ্টিকর খাবার তালিকা মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
লিখেছেন ডা. ইমা ইসলাম
শেয়ার করুন: Facebook WhatsApp Messenger Copy Link
পেট ব্যথা, পেট কামড়ানো, বমি বমি ভাব ও ডায়রিয়া—এসব হলে আমরা ‘পেট খারাপ হয়েছে’ বলে থাকি। খাওয়াদাওয়া করলে পেট আরও খারাপ হবে—এমন ধারণা থেকে অনেকেই ঠিকমতো খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে এই সময়ে শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টির যোগান দেওয়া জরুরি।[১]
পেটের গণ্ডগোলে যেসব খাবার খেলে পেটে স্বস্তি পাওয়ার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখা যাবে সেটি এই আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি পেট ব্যথা, পেটে জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটি উপশমে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
সুচিপত্র
যা খাবেন যা এড়িয়ে চলবেন জরুরি অবস্থা পেট সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ
যা যা খাবেন
পেটের গণ্ডগোল হলেও যতটা সম্ভব স্বাভাবিক ও পুষ্টিকর খাবার তালিকা মেনে চলার চেষ্টা করবেন। পেট খারাপ থাকা অবস্থায় যখনই মনে হবে যে খেতে পারবেন, তখনই কিছু খেয়ে নিবেন। এক্ষেত্রে একেবারে অনেকখানি খাবার অথবা পানি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
কোনো নির্দিষ্ট খাবার একেবারেই খেতে ইচ্ছা না করলে পেট খারাপ থাকা অবস্থায় কয়েকদিন সেটি এড়িয়ে চলতে পারেন। নিচের খাবারগুলো পেটের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে—
পানি ও তরল খাবার
যদি মনে হয় শক্ত খাবার খেলে বমি হয়ে যাবে, তাহলে পানি ও বিভিন্ন তরল পানীয় পান করতে পারেন। এগুলো ছোটো ছোটো চুমুকে বার বার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।[২] পানীয়টি ঠান্ডা হলে পেটে বেশি আরাম লাগতে পারে। বমি বমি ভাব এড়াতে খাওয়ার সময়ে বেশি বেশি পানি কিংবা পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
পেটের বিভিন্ন সমস্যায় প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন, ডায়রিয়া ও বমি হলে শরীর থেকে অনেকখানি পানি ও লবণ বেরিয়ে যেতে পারে। তাই পানিশূন্যতা ঠেকাতে ওরস্যালাইনের পাশাপাশি প্রচুর তরল খাবার খাওয়া উচিত।
তরল খাবার ও পানীয়ের মধ্যে সেগুলোই বেছে নেওয়া উচিত যেগুলো পেটকে আরাম দেওয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানি ও বিভিন্ন মিনারেল বা লবণ এর চাহিদা পূরণ করে। এসব মিনারেলের মধ্যে অন্যতম হলো পটাশিয়াম ও সোডিয়াম।
অন্যদিকে কিছু পানীয় আছে যেগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে মিনারেল থাকে না, কিন্তু প্রচুর চিনি থাকে। যেমন: কোক ও জুস। এগুলো ডায়রিয়া, পেটের অস্বস্তি ও পেটব্যথাসহ হজমের বিভিন্ন সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এই জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।[৩]
তরল খাবারের মধ্যে কোনটি খাবেন আর কোনটি থেকে দূরে থাকবেন তার একটি তালিকা নিচে তুলে ধরা হয়েছে[৪]—
যা খাবেন যা খাবেন নাপানি ফলের রস
খাবার স্যালাইন (ওরস্যালাইন ও চালের স্যালাইন) বুদবুদ ওঠা কোমল পানীয় (যেমন: কোক)
ডাবের পানি কৃত্রিম চিনি (আর্টিফিশিয়াল সুইটনার) মেশানো পানীয় (যেমন: ডায়েট কোক)
চিড়ার পানি চা
ভাতের মাড় (লবণ মেশানো) কফি
পাতলা স্যুপ অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় (যেমন: মদ)
পানি মিশিয়ে পাতলা করা জুস
চা পাতা ছাড়া বানানো আদা চা
কাঁচকলা
পেট খারাপ হলে অনেকে খাবারের তালিকায় কেবল সাদা ভাত কিংবা জাউ ভাত রাখে। এর পরিবর্তে ভাতের সাথে সিদ্ধ অথবা রান্না করা কাঁচকলা মিশিয়ে খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কাঁচকলা পাতলা পায়খানা ও বমি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।[৫]
কাঁচকলায় উচ্চ মাত্রায় ‘রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ’ থাকে।[৬] রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ এক ধরনের শ্বেতসার। এটি পায়খানার সাথে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে, ফলে মল ভারী হয়।[৭] তাই পেট খারাপ হলে কাঁচকলা রান্না করে ভর্তা, তরকারি কিংবা ভাতের সাথে খেতে পারেন।
উল্লেখ্য, কাঁচকলা পাকতে থাকলে তাতে থাকা রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ চিনিতে পরিণত হয়। তাই পেট খারাপ হলে কাঁচকলা খাওয়া ভালো।
ডায়রিয়া অথবা বমি হলে শরীর থেকে পানি ও অন্যান্য লবণের সাথে পটাশিয়ামও বেরিয়ে যায়। পাকা কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, এটি হজম করাও সহজ। একারণে পটাশিয়াম এর অভাব পূরণ করতে পাকা কলা খেতে পারেন।
কলা ছাড়াও কমলা, মালটা ও জাম্বুরার মতো পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল বেছে নিতে পারেন। এগুলোতে কলার তুলনায় ফ্রুক্টোজ বা চিনির পরিমাণ কম থাকে।
আদা
আদা বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া উপশমে সাহায্য করতে পারে।[৮] এটি গাড়িতে যাতায়াতের সময়ে বমি বমি ভাব বা ‘মোশন সিকনেস’ কমাতেও কার্যকর হতে পারে।[৯] এ ছাড়া আদা পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, বায়ু ও হজমের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।[১০]
তাই পেটের গণ্ডগোলে আদা খেতে পারেন। পানিতে আদা জ্বাল দিয়ে চায়ের মতো বানিয়ে কিংবা কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়া যায়।
সহজপাচ্য খাবার
পেটের গণ্ডগোল হলে অনেকে সহজে হজম হয় এমন শর্করাজাতীয় খাবার বেছে নেন।[১১] যেমন: সাদা চালের জাউভাত ও সাধারণ পাউরুটি। অন্যান্য খাবারের তুলনায় এসব খাবার পেটে সহ্য করা সহজ বলে ধারণা করা হয়। এই ধারণার পক্ষে তেমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে আপনার কাছে সাধারণ খাবারের পরিবর্তে এসব খাবার খেয়ে পেটে আরাম লাগছে মনে হলে এগুলো সাময়িকভাবে খেতে পারেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে শুধু এসব খাবার খেলে শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে।[১২]
সাদা ভাত: সাদা ভাত মূলত একটি শ্বেতসার জাতীয় খাবার। এতে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে। তাই এটি তুলনামূলকভাবে দ্রুত ও সহজে হজম হয়। সাদা ভাত রান্না করার পরে ঠান্ডা করে নিলে তা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ পাওয়া যায়।[১৩][১৪] রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ পায়খানার সাথে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। ফলে মল ভারী হয়।[১৫][১৬] গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্যালাইনের পাশাপাশি পাতলা করে রান্না করা জাউভাত সামান্য লবণ মিশিয়ে খেলে সেটি পেট খারাপ সারাতে বেশি ভালো কাজ করে।[১৭]উল্লেখ্য, লাল চাল সাদা চালের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টিকর। এতে অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা স্বাভাবিক অবস্থায় স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু লাল চাল হজম করতে পরিপাক নালীকে তুলনামূলকভাবে বেশি কাজ করতে হয়। অদ্রবণীয় ফাইবার পায়খানাকে আরও পাতলা করে ফেলতে পারে। তাই পেট খারাপ হলে সাময়িকভাবে সাদা ভাত অথবা জাউভাত বেছে নিতে পারেন।
পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
নিম্নে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলি ব্যবহার করে আপনি পাতলা পায়খানা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। বহু মানুষের মধ্যে পাতলা পায়খানা বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছ...
Last Updated: Dec 19, 2022
পাতলা পায়খানা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
Planning for a Surgery? Book FREE Consultation with highly qualified and experienced doctors at Pristyn Care.
Written and reviewed by
Dr. Amarjit Singh Jassi
88% (256 ratings)
Bachelor of Ayurveda, Medicine and Surgery (BAMS)
Ayurvedic Doctor, Delhi • 8 years experience
নিম্নে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলি ব্যবহার করে আপনি পাতলা পায়খানা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। বহু মানুষের মধ্যে পাতলা পায়খানা বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই প্রবন্ধে, আমরা পাতলা পায়খানা থেকে রেহাই পাওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব ।
সরিষা বীজ
সরিষা বীজে কিছু এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা পাতলা পায়খানা বন্ধ করার জন্য খুব উপকারি ঘরোয়া উপায়।
এক চামচ জলে ১/৪ চা চামচ সরষের বীজ মেশান এবং সেটিকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন।
এবার এই জল পান করুন যেমন আপনি নিয়মিত জল পান করুন।
পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি পেতে দিনে দুই থেকে তিনবার করে এই প্রতিকারটি ব্যবহার করুন।
লেবুর জল
লেবুর রসে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা সহজে পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি বহু দশক ধরে পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে ব্যবহার করা হয়।
একটি পূর্ণ লেবু থেকে রস নিষ্কাশন করুন, এতে ১ চা-চামচ লবণ ও এক চামচ চিনিযোগ করুন । ভাল করে মেশান ।
এখন প্রতি ঘন্টায় এই সরবৎ পান করুন যতক্ষণ না আপনার পাতলা পায়খানার সমস্যা বন্ধ হচ্ছে।
আপনার পেট পরিষ্কার করার জন্য তিন দিন ধরে এই প্রতিকার ব্যবহার করুন ভাল ফল পাবেন ।
নিয়মিত রুটিনে ফেরার আগে চেষ্টা করুন স্যুপ বা তরল জাতীয় খাবার খেতে।
ডালিম
ডালিম এমন একটি ফল যা কার্যকরভাবে আপনার পাতলা পায়খানার সমস্যাকে কমিয়ে দিতে পারে।
পাতলা পায়খানার সময় ডালিমের বীজ খাওয়া উচিৎ এতে আপনার কষ্ট সাহায্য করবে। দিনে দুটি করে ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন কারণ এটা পাতলা পায়খানা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য একটি ভাল ঘরোয়া উপায়।
আপনি একটি মিক্সারে ডালিম বীজ ব্লেন্ড করে তার জুস বের করে নিতে পারেন । কার্যকর ফলাফল পাওয়ার জন্য দিনে অন্তত তিনবার করে এক গ্লাস এই রস পান করুন ।
ডালিম পাতা দিয়ে ফুটিয়ে ভিজিয়ে রাখা জলও খেতে পারেন।
মেথি বা মেথি বীজ
মেথির মধ্যে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং পাতলা পায়খানার সাথে লড়াই করার জন্য একটি চমৎকার ঘরোয়া প্রতিকার।
এক থেকে দুই চা চামচ শুকনো মেথি বীজকে গুঁড়ো করে নিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলে এই গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনি পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
মধু
মধু একটি প্রাকৃতিক ঔষধ যা স্বাস্থ্যের অনেক সমস্যা নিরাময় করতে পারে এবং পাতলা পায়খানা বন্ধ করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার ।
এক চা চামচ ফ্রেশ ও খাঁটি মধু নিন । জৈব মধু হলে আরও ভাল হবে ।
এক গ্লাস উষ্ণ জলে 1/2 এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো ও খাঁটি মধু ভাল করে মেশান।
সকালে খালি পেটে এই জল পান করুন । পাতলা পায়খানার সমস্যাকে নির্মূল করতে দিনে দুবার করে এই প্রতিকার ব্যবহার করুন।
ঘোল
ঘোল ভারতে একটি স্বাস্থ্য পানীয় বলে মনে করা হয় এবং পাচনতন্ত্র শীতল এবং সুস্থ করতে খুবই কার্যকরী। ঘোলে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যাসিড রোগ প্রতিরোধ করে এবং আপনার পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখে।
এক চা চামচ নুন ও এক চিমটে বা কালো গোলমরিচের গুঁড়ো বা জিরা গুঁড়ো বা হলুদ গুঁড়ো যোগ করে ভাল করে মেশান ।
পাতলা পায়খানার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার এই ঘোল পান করুন ।
সাবু
সাবু পেটের ব্যথা কমাতে এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
সাবু দানাকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত পর্যাপ্ত জলে ডুবিয়ে রাখুন ।
সাবু যেহেতু অনেক জল গ্রাস করে তাই নিশ্চিত করতে হবে যে তা যথেষ্ট পরিমাণে জলে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে কিনা ।
আপনি পেট ব্যথা থেকে ত্রাণ পেতে সাবু ভিজানো জল পান করতে পারেন এবং এটি পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে ।
ভাল প্রভাব দেখার জন্য দিনে বেশ কয়েকবার এই জল পান করতে হবে ।
একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় প্রস্তুত করুন
আপনার মনে যদি এখনও প্রশ্ন থাকে যে আপনি কিভাবে পাতলা পায়খানার সমস্যাকে আটকাবেন তাহলে হলুদ গুঁড়ো, কারি পাতা এবং লবণ দিয়ে একটি পানীয় তৈরি করুন। দইয়ের মধ্যে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং হলুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে।কারি পাতাটিও খুব স্বাস্থ্যকর একটি উপাদান যা ভারতীয় খাবারে অনেক বেশি ব্যবহার হয় ।
দুই টেবিল চামচ দই, 1/4 চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক চিমটে হিং, কারি পাতা এবং নুন দিয়ে ফুটন্ত জলে সেদ্ধ করে নিন।
জলটিকে খুব ভাল করে ফোঁটাবেন। ফোঁটানো হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।
আলগা মোশন সমস্যা সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করার জন্য তিন দিন পরপর দুবার এই পানীয়টি পান করুন ।
তরল পান করুন
যখন আপনি পাতলা পায়খানার সমস্যায় ভোগেন তখন আপনার শরীর থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায় এবং শরীর জলশূন্য হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই বেশি পরিমাণে জল খাওয়া উচিৎ যাতে শরীর ডিহাইড্রেট না হয়ে যায়।
পাতলা পায়খানার সমস্যাকে আটকাতে ৮ থেকে ১২ গ্লাস জল পান করুন।
আস্বাস্থ্যকর স্যুপ বা ফলের রসও পান করতে পারেন।
জলের মধ্যে ইলেক্ট্রোলাইট পাউডার মিশিয়ে পান করতে পারেন এতে আপনি পেটের ব্যথা থেকেও আরাম পাবেন।
ডাবের জলও খেতে পারেন যা শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
পুদিনা ও মধু
পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রাচীন কাল থেকে পুদিনা পাতার ব্যবহার করা হয়। কারণ পুদিনা পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা দ্রুত হজমে সাহায্য করে। যেহেতু এটি হজমে সাহায্য কএ তাই প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পড়ে ১-২টি পুদিনা পাতা চিবিয়া খাওয়া উচিৎ। এটি আপনাকে পাতলা পায়খানা থেকে রেহাই পেতেও সাহায্য করবে।
তাজা পুদিনা পাতাকে বেটে পুদিনা রস নিঃসৃত করে নিন।
পুদিনা পাতার রসের সাথে এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস যোগ করুন । এগুলো ভাল করে মিশিয়ে এই মিশ্রণটি খান ।
আলগা গতি থেকে মুক্তি এই মিশ্রণটি প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার খান।
পেট খারাপ হলে যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত
ডায়রিয়া হলে অনেকেই খাবারদাবার একেবারে বন্ধ করে দেন। আবার কেউ কেউ তখন শুকনো খাবার খাওয়াটা উচিত বলে মনে করেন। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার জন্য দায়ী কিছু জীবাণু রয়েছে। মূলত দূষিত পানি ও খাবারের সঙ্গে এসব জীবাণু পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে পেটের স্বাভাবিক নিয়মে গোলযোগ ঘটায়। এতে ঘন ঘন পায়খানা হয়। শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পানি, ইলেকট্রলাইট। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
পেট খারাপ হলে যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৭, ২৮ আগস্ট ২০১৯
আপডেট: ১১:২৩, ২৮ আগস্ট ২০১৯
ছবি: সংগৃহীত
ডায়রিয়া হলে অনেকেই খাবারদাবার একেবারে বন্ধ করে দেন। আবার কেউ কেউ তখন শুকনো খাবার খাওয়াটা উচিত বলে মনে করেন। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার জন্য দায়ী কিছু জীবাণু রয়েছে। মূলত দূষিত পানি ও খাবারের সঙ্গে এসব জীবাণু পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে পেটের স্বাভাবিক নিয়মে গোলযোগ ঘটায়। এতে ঘন ঘন পায়খানা হয়। শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পানি, ইলেকট্রলাইট। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়।
তাই ডায়রিয়া হলে প্রথমেই একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে, সেটি হচ্ছে শরীর যেন প্রয়োজনীয় পানি ও ইলেকট্রলাইট পায়। এ জন্য ডায়রিয়া রোগীকে শুকনো খাবারের পরিবর্তে জলীয় খাবার, শুধু পানি, ডাবের পানি, শরবত, বিশেষ করে ওরাল স্যালাইন পানের ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে।
১. আপেল: একেবারে ঠিক শুনেছেন! লুজ মোশানের মতো রোগের চিকিৎসায় বাস্তবিকই আপেলের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে পেকটিন নামক উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর টয়লেটে যাওয়ার প্রবণতা কমতে সময় লাগে না।২. সেদ্ধ আলু: একটা সেদ্ধ আলুতে অল্প পরিমাণ লবণ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে পেট খারাপের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই এবার থেকে পেট ছাড়লে সকাল-বিকেল সেদ্ধ আলু খেতে ভুলবেন না যেন!৩. দই: পেট খারাপ হলেই এক বাটি তাজা টক দই খেয়ে নেবেন। তাহলেই বারে বারে আর বাথরুম ছুটতে হবে না। আসলে টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্য়াতটেরিয়াম নামে দু’ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডায়ারিয়া কমাতে দারুন উপকারে লাগে। প্রসঙ্গত, যতদিন না পেটের ব্যথা কমবে, ততদিন দৈনিক ২ থেকে ৩ কাপ টক দই খেয়ে যেতে হবে।৪. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার: পেট খারাপের প্রকোপ কমাতে এই উপাদানটি দারুণ কাজে আসে। আসলে এতে থাকা প্যাকটিন নামে একটি উপাদান পেটের যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি পেটকে একেবারে চাঙ্গা করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল সরাসরি তো অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যাবে না, তাহলে? কোনো চিন্তা নেই! ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরে ১ গ্লাস করে এই পানীয় খেলে দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, ইচ্ছা হলে এই মিশ্রণে অল্প করে মধুও মিশিয়ে দিতে পারেন। তাতে স্বাদ ভাল হয়ে যাবে।৫. লেবুর পানি: একেবারে ঠিক শুনেছেন! পেটের রোগের চিকিৎসায় বাস্তবিকই লেবুর পানির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে! আসলে লেবুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ পেটের অন্দরে প্রদাহ কমায়, সেই সঙ্গে এই ফলটিতে থাকা নানাবিধ খনিজ, বিশেষত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।৬. কলা: শুধু পেট খারাপ নয়, যেকোনো ধরনের পেটের রোগ সারাতেই এই ফলটি দারুণ কাজে আসে। আসলে কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্যাকটিন, যা পটিকে শক্তি করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া বা পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে এক গ্লাস বাটার মিল্কে একটি কলা চটকে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি দিনে ২ থেকে ৩ বার করে খান। তাহলেই আরাম মিলতে শুরু করবে।৭. ডাবের পানি: পেট খারাপের সময় দেহের অন্দরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য দূর করতে এবং জলের চাহিদা মেটাতে ডাবের পানির বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি দূর করে পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, পেট খারাপের মোকাবিলা করতে দিনে কম করে ২ গ্লাস ডাবের পানি খেতেই হবে। তবেই কিন্তু সুফল মিলবে!৮. দারুচিনি: এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা চোখের নিমেষে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে দিনে ৪ বার দারুচিনি পাউডার দিয়ে তৈরি চা খেলেই উপকার মিলতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, এক কাপ গরম পানিতে এক চামচ দারুচিনি পাউডার মিশিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে চা পান করুন। দেখবেন পেটের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।ডেইলি বাংলাদেশ/জেএমএস
ডেইলি-বাংলাদেশ/
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?