if you want to remove an article from website contact us from top.

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিস কেন হয়

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস কেন হয় পান।

    ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা

    ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ কী, এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না! চলুন আজ এই রোগ সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নেই।

    Home সুস্থতা সুস্থতা

    লিখেছেন   মাহমুদা রোজী ,  মার্চ ৯, ২০২২

    2040 9 0

    ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা

    0 SHARES Share Tweet

    হঠাৎ করে কোনো এক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার মুখ একদিকে বেঁকে গেছে! কুলি করতে গেলে পানি ঠোঁট বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে, চোখ বন্ধ করতে পারছেন না! কী ভয়ংকর অনুভূতি হবে তখন, তাই না? ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ কী, এই সম্পর্কে অনেকেই জানেন না! চলুন আজ এই রোগ সম্পর্কিত কিছু তথ্য জেনে নেই ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট এন্ড জেরোন্টলজিস্ট এর কাছ থেকে।

    ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস

    এটা এক ধরনের প্যারালাইসিস। আমাদের সপ্তম ক্রেনিয়াল নার্ভটিকে ফেসিয়াল নার্ভ বলে। যখন এটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে যায়, তখন তাকে ফেসিয়াল পলসি বা ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বলে। জন বেল নামের এক ভদ্রলোক এই রোগটি প্রথম আবিষ্কার করেন, সেজন্য একে বেলস পলসিও বলা হয়।

    এটা কি পুরোপুরি ভালো হয়?

    এই ক্ষেত্রে মুখের পেশীগুলো দুর্বল হয়ে যায় বা একপাশে প্যারালাইজড হয়ে যায়। এটি মুখের মাংসপেশীর সঙ্গে যুক্ত স্নায়ুগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। তবে এই পেশীগুলো কিন্তু সাময়িকভাবে আক্রান্ত হয় এবং নিয়মিত চিকিৎসার ফলে এই রোগ সাধারণত পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। ফেসিয়াল পলসি সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ভালো হতে শুরু করে। নার্ভ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে।

    কাদের বেশি হয়?

    এটি যেকোনো বয়সের মহিলা ও পুরুষের হতে পারে, তবে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই রোগটি বেশি দেখা যায়। এছাড়াও প্রেগনেন্সির সময়, ফুসফুসের ইনফেকশন, ডায়াবেটিস এবং পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত হবার ইতিহাস থাকলে ফেসিয়াল পলসি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

    ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস এর কারণ

    ভাইরাল ইনফেকশন মধ্য কর্ণে ইনফেকশন ঠান্ডাজনিত কারণ

    আঘাতজনিত ও মস্তিষ্কের স্ট্রোকজনিত কারণ

    ফেসিয়াল টিউমার

    কানের অপারেশন পরবর্তী ফেসিয়াল নার্ভ ইনজুরি ইত্যাদি

    লক্ষণগুলো কী কী?

    এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মুখ সাধারণত একদিকে বাঁকা হয়ে যায়। তবে শতকরা এক ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে মুখের দুই পাশ আক্রান্ত হয়ে থাকে। রোগীর মুখের যে পাশ আক্রান্ত হয়েছে, সে পাশের চোখ বন্ধ হয় না এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ে। অনেক সময় চোখ পুরোপুরি খুলতেও কষ্ট হয়ে থাকে। রোগী কপাল ভাঁজ করতে পারে না। এছাড়াও কিছু লক্ষণ থাকে, জেনে নিন সেগুলো সম্পর্কে।

    চোখে জ্বালা-পোড়া করতে পারে

    অনেক সময় ‘ড্রাই আই’ সমস্যা দেখা দেয়

    কুলি করতে গেলে পানি গড়িয়ে পড়ে যায়

    গালের মাংসপেশি ঝুলে যেতে পারে

    খাবার চিবাতে ও গিলতে কষ্ট হয়

    মুখের হাসি বেঁকে যায়

    লালা ঝরতে থাকে জিভ শুকিয়ে যায়

    এছাড়াও জিভের সামনের অংশের স্বাদের অনুভূতি কমে যেতে পারে

    মুখের আক্রান্ত পাশে ব্যথা হয়

    বিশেষ করে চোয়াল এবং মাথায় ব্যথা হয়ে থাকে

    অনেক সময় কথা বলতে কষ্ট হয়

    রোগ নির্ণয়

    বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ও রোগীর ইতিহাস জেনে রোগ নির্ণয় করতে পারেন, তবে অনেক সময় কিছু প্যাথলজিক্যাল ও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে।

    চিকিৎসা

    এর চিকিৎসা রোগের কারণের উপর নির্ভর করে। কী কারণে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হয়েছে, তার উপর নির্ভর করে মেডিসিন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে সব ক্ষেত্রেই মেডিসিনেরর পাশাপাশি মূল চিকিৎসা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি। ফেসিয়াল পলসিতে আক্রান্ত হবার ৭২ ঘন্টার মধ্যে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শুরু হলে রোগীর দ্রুত ভালো হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত এই রোগের জন্য স্টেরয়েড মেডিসিন ব্যবহার করা হয়। ‘ড্রাই আই’ প্রতিরোধ করার জন্য আই ড্রপ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া চোখ একেবারে বন্ধ না হলে ঘুমানোর সময় সার্জিক্যাল টেপ দিয়ে চোখ বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

    ফিজিওথেরাপি

    ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান করে থাকেন। তার মধ্যে ফেসিয়াল মাসল এক্সারসাইজ, স্পিচ রি-এডুকেশন, বেলুনিং এক্সারসাইজ, ইলেক্ট্রো থেরাপি রয়েছে। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি থেকে দিনে ২-৩ বার ফিজিওথেরাপি নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়। যদি নার্ভ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, তাহলে রোগী সুস্থ হতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লেগে যায়।

    ঘরোয়া চিকিৎসা

    ১। ফেসিয়াল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।

    ২। চোখের জ্বালা-পোড়া এবং ব্যথা কমাতে নরম টাওয়াল উষ্ণ পানিতে ভিজিয়ে চোখে সেঁক দেওয়া যায়।

    ৩। একটা গ্লাসে অল্প পানি নিয়ে তার ভেতর স্ট্র দিয়ে বুদবুদ তুলবেন। এতে ঠোঁটের চারপাশের মাংসপেশী শক্তিশালী হবে, পানি পান করার সময় আর গাল বেয়ে পড়ে যাবে না।

    ৪। কথা বলুন, এতে করে কথা বলার জড়তা কমে আসবে। কোনো শব্দ উচ্চারণে সমস্যা হলে প্রথমে স্বরবর্ণগুলো জোরে জোরে উচ্চারণ করুন। তারপর ব্যঞ্জনবর্ণ অনুশীলন করবেন।

    ৫। রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করবেন। ব্রেথিং এক্সারসাইজ, ইয়োগা এগুলো আপনাকে রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করবে।

    ৬। নিয়মিত ফিজিওথেরাপিস্টের শেখানো এক্সারসাইজ করবেন।

    ৭। নিয়মিত ৮ ঘন্টার ঘুম, হেলদি ডায়েট এবং প্রচুর পানি পানি করবেন। এসব ক্ষেত্রে হেলদি লাইফস্টাইল আরোগ্য লাভে সহায়তা করে।

    ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা হঠাৎ মুখ বেঁকে যাওয়ার কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে আজ আমরা অনেক কিছুই জানলাম। আজ এই পর্যন্তই, আবারও চলে আসবো নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।

    SHOP AT SHAJGOJ

    সূত্র : www.shajgoj.com

    Facial Paralysis: ঠান্ডায় মুখের এক অংশ নাড়াতে সমস্যা হচ্ছে? জেনে নিন ফেসিয়াল প্যারালাইসিস সম্পর্কে

    এই শীতের মরসুমে ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। এটি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে মুখের একপাশের পেশীগুলি হঠাৎ শক্ত হয়ে যায় এবং অবশ হয়ে যায়।

    Bangla News » Health » Know all about Facial Paralysis or Bells Palsy: Causes and Symptoms

    Facial Paralysis: ঠান্ডায় মুখের এক অংশ নাড়াতে সমস্যা হচ্ছে? জেনে নিন ফেসিয়াল প্যারালাইসিস সম্পর্কে

    TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

    Updated on: Dec 31, 2021 | 12:45 PM

    এই শীতের মরসুমে ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। এটি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে মুখের একপাশের পেশীগুলি হঠাৎ শক্ত হয়ে যায় এবং অবশ হয়ে যায়।

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিস

    বেশিরভাগ লোকই বেলস পলসি সম্পর্কে জানেন না। একে চিকিৎসার ভাষায় বলা হয় ‘ফেসিয়াল প্যারালাইসিস’। এটি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে মুখের একপাশের পেশীগুলি হঠাৎ শক্ত হয়ে যায় এবং অবশ হয়ে যায়। এতে ব্যক্তি মুখের একটি অংশ নাড়াতে পারেন না। মুখের ওই অংশে হাসতে বা চোখ বন্ধ করতেও সমস্যা হয়।

    এই শীতের মরসুমে ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। মুখের পেশী নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুতে প্রদাহ বলে মনে করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডায় থাকলে ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এই মরসুমে নিজের যত্ন নেওয়া দরকার।

    চিকিৎসকদের মতে, বেশিরভাগ মানুষ ফেসিয়াল প্যারালাইসিসকে ব্রেন স্ট্রোক বলে মনে করলেও এই রোগটি তার থেকে আলাদা। ফেসিয়াল প্যারালাইসিসে শুধুমাত্র মুখই প্রভাবিত হয়। প্রতি বছর ৫০০০ জনের মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত হন। ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অস্থায়ী। এই রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উন্নত হতে শুরু করে, প্রায় ৬ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে ঠিক হয়ে যায়। ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের ক্ষেত্রে মৃত্যুর সম্ভাবনা খুবই কম। এই সমস্যাটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। যারা দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডায় থাকেন এবং মাথা না ঢেকে রাতে কোথাও যান তাদের ক্ষেত্রে এর ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মাফলার ব্যবহার করুন। এবং ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের কারণ-

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের তখনই হয় যখন সপ্তম ক্র্যানিয়াল নার্ভ স্ফীত হয়, এর ফলে মুখে দুর্বলতার অনুভূতি হয়। যদি মুখের শিরায় ফোলাভাব থাকে, তবে তা এসে গালের হাড়ের উপর চাপ পড়ে। এটি স্নায়ুর প্রতিরক্ষামূলক আবরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, মস্তিষ্ক থেকে মুখের পেশীতে সংকেত সঠিকভাবে প্রেরণ করা যায় না। যে কারণে মুখের পেশী অবশ হয়ে যায়।

    কেন এটি ঘটে তার সঠিক কারণ স্পষ্ট নয়, তবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারস অ্যান্ড স্ট্রোকের গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে এটি সাধারণত ঘটে, যখন একটি ভাইরাস একটি স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে। ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের সঙ্গে সম্পর্কিত ভাইরাসগুলির মধ্যে রয়েছে হারপিস, চিকেনপক্স এবং হারপিস ভাইরাস, জেনিটাল হারপিস ভাইরাস, এপস্টাইন বার ভাইরাস, সাইটোমেগালো ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি এবং কক্সস্যাকিভাইরাস ইত্যাদি।

    উপসর্গ-

    -চোখ জ্বালা -কানের পিছনে ব্যথা

    -মুখের একপাশে হঠাৎ তীব্র ব্যথা

    -মুখের একপাশ থেকে অবশ হয়ে যাওয়া

    -মাথার একপাশে ব্যথা

    এর মধ্যে একটি উপসর্গও দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

    আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠেই হাঁচি শুরু হয়ে যায়? কাজে আসতে পারে ঘরোয়া প্রতিকারআরও পড়ুন: ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন কেন হয় জানেন?

    Latest News Updates

    Latest News Updates Follow us on

    CausesHealthSymptoms

    Related Stories

    Child Death : রবিবার বিসি রায় হাসপাতালে আরও ৩ শিশুর মৃত্যু

    Holi 2023: হোলির পর থেকে নানা সমস্যায় জেরবার হবে এই ৩ রাশি, ভাল যাবে না স্বাস্থ্যও

    Influenza B Virus: ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসে আক্রান্ত দেবিনা, এই রোগ এড়াতে কোন কোন সতর্কতা মানতে হবে?

    Anemia: খিদে নেই, সারাদিন ধরে ঘুম পায়? আপনি রক্তাল্পতায় আক্রান্ত নন তো!

    Stories আরও পড়ুন >

    সুগারের রোগীরা কেন মেথির জল খাবেন?

    গলা খুশখুশ, গলা ব্যথা দূর হবে এই স্যুপের গুণেই

    কাশি কমছে না? আদার সাহায্য নিন

    যে কারণে রোজ কাঁচা লঙ্কা খাবেন

    Most Read Stories

    Child Death: ৭ দিনে ৪২, রাজ্যে আজ আরও ৩ শিশুর মৃত্যু অথচ শিশু সুরক্ষা কমিশন হাসপাতাল ঘুরে বলল, ‘ কমেছে শিশুভর্তি, মৃত্যুর সংখ্যা’

    Dhaka blast: বাবা কোথায়? বিস্ফোরণস্থলে খুঁজছে ছোট্ট সামির, নিহতের তালিকাতেও মিলছে না

    Trespassers at Shah Rukh Khan’s Mannat: শাহরুখের দেখা পেতে মেকআপ রুমে ৮ ঘণ্টা কাটিয়ে গ্রেফতার দুই যুবক

    ISL 2022-23: নিজামের শহরে বদলার ম্যাচে পয়েন্ট চুরি করতে মরিয়া মোহনবাগান

    সূত্র : tv9bangla.com

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিস (মুখ বেঁকে যাওয়া বা মুখের প্যারালাইসিস): উপসর্গ, কারণ, চিকিৎসা, ঔষধ, প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয়

    Facial Paralysis in Bengali - এই প্রবন্ধে, আপনি জানবেন ফেসিয়াল প্যারালাইসিস (মুখ বেঁকে যাওয়া বা মুখের প্যারালাইসিস) কি। তার সাথে এটি ফেসিয়াল প্যারালাইসিস (মুখ বেঁকে যাওয়া বা মুখের প্যারালাইসিস) রোগটি নির্ণয় এবং ফেসিয়াল প্যারালাইসিস (মুখ বেঁকে যাওয়া বা মুখের প্যারালাইসিস) রোগের চিকিৎসা সমেত ফেসিয়াল প্যারালাইসিস (মুখ বেঁকে যাওয়া বা মুখের প্যারালাইসিস) রোগের উপসর্গ এবং কারণ নিয়ে কথা বলে।

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিস (মুখ বেঁকে যাওয়া বা মুখের প্যারালাইসিস) - Facial Paralysis in Bengali

    Dr. Anurag Shahi (AIIMS)MBBS,MD

    December 01, 2018

    October 05, 2020

    শেয়ার করুন শেয়ার করুন Doctors Medicines Articles

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিস (মুখ বেঁকে যাওয়া বা মুখের প্যারালাইসিস) কি?

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিস হল একটি মেডিকাল অবস্থা যা মুখের স্নায়ুর ক্ষতির কারণে সৃষ্ট হয়, যার ফলে, রোগী মুখ নাড়াচাড়া করে খেতে পারে না বা কথা প্রকাশ করতে পারে না।

    এর প্রধান লক্ষণ উপসর্গগুলি কি কি?

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে:

    চোখের পাতা বন্ধ করতে বা পিট্ পিট্ করতে না পারা

    মুখ নাড়তে না পারা

    মুখ নিচের দিকে ঝুলে যাওয়া

    মুখের পরিকাঠামোর ভারসাম্য হারানো

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের ক্ষেত্রে, রোগী তার ভ্রু কোঁচকাতে পারেন না

    কথা বলতে ও খাবার খেতে অসুবিধা (আরও পড়ুন: কথা বলার অসুবিধার কারণ)

    পুরো মুখবায়বের নড়াচড়া করানোয় সমস্যা

    মুখ ব্যবহার করে অভিব্যক্তি প্রকাশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার কারণে, এটি সাধারণত রোগীকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। সেই কারণে, কার্যকর ফলাফল দেখতে চিকিৎসা অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    এর প্রধান কারণগুলি কি কি?

    ফেসিয়াল প্যারালাইসি হঠাৎ হতে পারে আবার ধীরে ধীরেও হতে পারে। ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

    মুখের স্নায়ুতে সংক্রমণ অথবা প্রদাহ

    মাথায় টিউমার

    ঘাড়ে বা গলায় টিউমার

    স্ট্রোক

    মানসিক আঘাত বা মানসিক চাপ

    বেলস পালসি (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের সমস্যা সচরাচর হয়ে থাকে)

    এটি অন্যান্য কারণেও ঘটতে পারে; যেমন;

    মুখে আঘাত লাগা

    লাইম রোগ সংক্রমণ (পোকার দ্বারা মানুষের মধ্যে ব্যাকটেরিয়াগত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে)

    ভাইরাসজনিত সংক্রমণ

    ভাস্কুলাইটিসের মতো অটোইমিউন রোগগুলি

    ভুলভাবে করা দাঁতের চিকিৎসা যা কিছু মুখের স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে

    বিরল ক্ষেত্রে, জন্মের সময় শিশুগুলিও মুখের প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হতে পারে (যা পরবর্তীকালে সেরে যায়)

    এটি কিভাবে নির্ণয় চিকিৎসা করা হয়?

    আপনি যদি উপরের উল্লিখিত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন তবে আপনাকে অবশ্যই অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্টটি (সাক্ষাৎ) বুক করতে হবে। মুখে অসাড় অবস্থা এবং দুর্বলতা ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক উপসর্গ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

    ডাক্তার আপনার মুখের উভয় দিকের শারীরিক পরীক্ষা করবেন। তিনি আপনাকে আপনার সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং আঘাতের বিষয়েও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এবং রোগনির্ণয়সংক্রান্ত পদ্ধতি করার জন্য বলতে পারেন। এইগুলি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

    রক্ত পরীক্ষা (রক্তে শর্করা বা সুগারের মাত্রা জানার জন্য)

    লাইম টেস্ট

    স্নায়ু ও পেশীর কাঠামো পরীক্ষা করার জন্য ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি (ইএমজি)

    মাথার সিটি স্ক্যান/এমআরআই

    রোগের কার্যকর নির্ণয়ের পরে, ডাক্তার বিভিন্ন পরামিতি (যেমন রোগীর বয়স, কারণ এবং রোগের তীব্রতা) বিবেচনা করার পরে আপনাকে প্রাসঙ্গিক চিকিৎসার বিকল্পগুলি উল্লেখ করবেন যা বিস্তৃতভাবে অন্তর্ভুক্ত:

    ফিজিক্যাল/স্পিচ থেরাপি

    মুখের পেশীর প্রশিক্ষণের থেরাপি

    মুখের পেশীর ওপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করতে বায়োফিডব্যাক প্রশিক্ষণ

    মুখে শারীরিক ক্ষতি এবং চোখ বন্ধে সাহায্য করার ক্ষেত্রে প্লাস্টিক সার্জারি

    উচ্চ রক্তচাপ মত অন্তর্নিহিত কারণের জন্য নির্দিষ্ট ওষুধগুলি খুব প্রয়োজনীয় হতে পারে।

    তথ্যসূত্র

    University of Minnesota Health. Facial Paralysis. University of Minnesota Physicians; University of Minnesota Medical Center. [internet].

    University of Texas Southwestern Medical Center. Facial Paralysis Causes. Southwestern Health Resources. [internet].

    University of California San Francisco [Internet]. San Francisco, CA: Department of medicine; Facial Paralysis

    MedlinePlus Medical Encyclopedia: US National Library of Medicine; Facial paralysis

    Clinical Trials. Facial Function Reanimation by Electrical Pacing in Unilateral Facial Paralysis. U.S. National Library of Medicine. [internet].

    ফেসিয়াল প্যারালাইসিস (মুখ বেঁকে যাওয়া বা মুখের প্যারালাইসিস) ৰ ডক্তৰ

    Dr. Sameer Arora Neurology

    10 Years of Experience

    Dr. Khursheed Kazmi Neurology

    10 Years of Experience

    Dr. Muthukani S Neurology

    সূত্র : www.myupchar.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 18 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন