if you want to remove an article from website contact us from top.

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে সাহিত্যের উদ্দেশ্য কি

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে সাহিত্যের উদ্দেশ্য কি পান।

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস ও তার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস ও তার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    Home অন্যান্য বায়োগ্রাফি

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ও মৃত্যু: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ২৬ জুন ১৮৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে। চট্টোপাধ্যায়দের আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে। বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত উপন্যাস রচনার কৃতিত্ব তারঁই। শেষ জীবনে তার স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ছিল না। ১৮৯৪ সালের মার্চ মাসে তার বহুমূত্র রোগ বেশ বেড়ে যায়। এই রোগেই অবশেষে তার মৃত্যু হয়। ১৮৯৪ সালের ৮ এপ্রিল মাসে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান (বাংলা ২৬ চৈত্র ১৩০০ সাল)।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছদ্মনাম ও উপাধি: ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একসময় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে চাকরি করেন। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কর্তৃপক্ষ তাঁকে ১৮৯১ সালে ‘রায়বাহাদুর’ এবং ১৮৯৪ সালে ‘Companion of the Most Eminent Order of the Indian Empire’ (CMEOIE) উপাধি প্রদান করে। তাকে বাংলা উপন‍্যাসের জনক বলা হয়। এছাড়াও তিনি বাংলা সাহিত্যের সাহিত্য সম্রাট হিসেবে পরিচিত।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মোট কতটি উপন্যাস লিখেছিলেন ও কি কি : বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস হলো দুর্গেশনন্দিনী। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মোট ১৫টি উপন্যাস লিখেছিলেন এবং এরমধ্যে একটি ইংরেজি ভাষার উপন্যাস ছিলো। বঙ্কিমই বাংলা ভাষাকে প্রথম সত্যিকারের মর্যাদা দিয়েছিলেন। তার রচনা ‘বঙ্কিমী শৈলী’ বা ‘বঙ্কিমী রীতি’ নামে পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হলো- দুর্গেশনন্দিনী, কপালকুণ্ডলা, মৃণালিনী, বিষবৃক্ষ, ইন্দিরা, যুগলাঙ্গুরীয়, চন্দ্রশেখর, রাধারানী, রজনী, কৃষ্ণকান্তের উইল, রাজসিংহ, আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম, rajmohan’s wife (রাজমোহনস ওয়াইফ). এরমধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক উপন্যাস হলো-রাজসিংহ।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাসগুলো মনে রাখার কৌশল: দুর্গেশনন্দিনী দেবী চৌধুরানী কপালকুণ্ডলা সীতারাম ইন্দিরা যুগলাঙ্গুরীয় এই তিন বোনের ভ্রাতা রাজসিংহের পরামর্শে রজনী অন্ধকারে কৃষ্ণকান্তের উইল চুরি করলে চন্দ্রশেখর আনন্দমঠে রাজমোহনস ওয়াইফের হাতে ধরা খেল।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ রচনা: প্রবন্ধ গ্রন্থ, কমলাকান্তের দপ্তর, লোকরহস্য, কৃষ্ণ চরিত্র, বিজ্ঞানরহস্য, বিবিধ সমালোচনা, প্রবন্ধ-পুস্তক, সাম্য, কৃষ্ণ চরিত্র, বিবিধ প্রবন্ধ, মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিত (ব্যাঙ্গ)।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাব্যগ্রন্থ: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ললিতা তথা মানস নামে একটি কাব্য গ্রন্থ রচনা করেন। বঙ্কিমই বাংলা ভাষাকে প্রথম সত্যিকারের মর্যাদা দিয়েছিলেন। তার রচনা ‘বঙ্কিমী শৈলী’ বা ‘বঙ্কিমী রীতি’ নামে পরিচিত।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গদ্যগন্থ: লোকরহস্য, বিজ্ঞানরহস্য, কমলাকান্তের দপ্তর, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র, বিবিধ প্রবন্ধ ইত্যাদি তার গদ্যগ্রন্থ।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত পত্রিকার নাম কি: বাংলা উপন্যাস ও বাংলা গদ্য সাহিত্যের উৎকর্ষ সাধনে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। চরিত্র চিত্রণ, শিল্পসৃজন, বর্ণনা, নান্দনিকতা এবং সর্বোপরি বাংলা গদ্যের উৎকর্ষ সাধনে বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর পূর্বসূরিদের থেকে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছিলেন। তাঁর সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার মাধ্যমে একটি নতুন লেখকগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পেশাগত জীবনে ছিলেন মেজিস্ট্রেট। চাকরিসুত্রে খুলনার মেজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করে তিনি নীলকরদের অত্যাচার দমন করেছিলেন। বাংলা সাহিত্য চর্চায় তিনি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন। ১৮৫২ খ্রিষ্টাব্দে ‌সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে তার সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে সাহিত্যের উদ্দেশ্য কি: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তার অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, “সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য “। খ্যাতি বা অর্থের উদ্দেশ্যে লেখা নয়; লিখতে হবে মানুষের কল্যাণ সাধন কিংবা সৌন্দর্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে।

    Facebook Twitter LinkedIn

    Related Posts

    বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি-নাটক-নাট্যতত্ত্ব নিয়ে ১৫০টি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান

    কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স মার্চ ২০২৩-১০০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    বঙ্গভঙ্গ ও তৎকালীন রাজনীতি নিয়ে ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান

    সরকার-রাজনীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৫০টি সাধারণ জ্ঞান

    ভূগোল ও পরিবেশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১৫০টি সাধারণ জ্ঞান

    সূত্র : dhakaacademy.com

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

    উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

    জন্ম ২৬ জুন ১৮৩৮ অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫[১]

    কাঁঠালপাড়া গ্রাম, নৈহাটি, কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত

    মৃত্যু ৮ এপ্রিল ১৮৯৪ (বয়স ৫৫)

    কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত

    পেশা

    সরকারি কর্মকর্তাঔপন্যাসিকপ্রাবন্ধিকসাংবাদিক

    সময়কাল ঊনবিংশ শতাব্দী

    উল্লেখযোগ্য রচনাবলি আনন্দমঠ, দুর্গেশনন্দিনী, রাজসিংহ

    দাম্পত্যসঙ্গী রাজলক্ষ্মী দেবী

    স্বাক্ষর ওয়েবসাইট

    এডুলিচার পরিচালিত বঙ্কিম রচনাবলী

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (২৬ জুন ১৮৩৮ – ৮ এপ্রিল ১৮৯৪)[২] ছিলেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তার অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে, সাহিত্য সমালোচক হিসাবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন। তাকে বাংলা উপন‍্যাসের জনক বলা হয়।[৩] এছাড়াও তিনি বাংলা সাহিত্যের সাহিত্য সম্রাট হিসেবে পরিচিত।[১]

    বঙ্কিমচন্দ্র রচিত (১৮৮২) উপন্যাসের কবিতা বন্দে মাতরম ১৯৩৭ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কর্তৃক ভারতের জাতীয় স্তোত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।[৪][৫]

    জীবনী[সম্পাদনা]

    জন্ম ও বংশপরিচয়[সম্পাদনা]

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে। তারিখ ২৬ জুন, ১৮৩৮ অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫। চট্টোপাধ্যায়দের আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে। বঙ্কিমচন্দ্রের পূর্বপুরুষ রামজীবন চট্টোপাধ্যায় কাঁঠালপাড়ার রঘুদেব ঘোষালের কন্যাকে বিবাহ করেন৷ রামজীবনের পুত্র তথা বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপিতামহ রামহরি চট্টোপাধ্যায় মাতামহের সম্পত্তি পেয়ে কাঁঠালপাড়ায় আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন।[৬] রামহরির পৌত্র যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র বঙ্কিমচন্দ্র,মাতা দুর্গাসুন্দরী দেবী,বঙ্কিমের পূর্বে তার আরও দুই পুত্রের জন্ম হয় – শ্যামাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমের জন্মকালে তিনি সদ্য অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি কালেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন।

    শিক্ষা[সম্পাদনা]

    জন্মের পর ছয় বছর বঙ্কিমচন্দ্র কাঁঠালপাড়াতেই অতিবাহিত করেন। পাঁচ বছর বয়সে কুল-পুরোহিত বিশ্বম্ভর ভট্টাচার্যের কাছে বঙ্কিমচন্দ্রের হাতেখড়ি হয়। শিশু বয়সেই তার অসামান্য মেধার পরিচয় পাওয়া যায়। বঙ্কিমের কনিষ্ঠ সহোদর পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “শুনিয়াছি বঙ্কিমচন্দ্র একদিনে বাংলা বর্ণমালা আয়ত্ত করিয়াছিলেন।”[৭][৮] যদিও গ্রামের পাঠশালায় বঙ্কিম কোনওদিনই যান নি। পাঠশালার গুরুমশাই রামপ্রাণ সরকার বাড়িতে তার গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হন। বঙ্কিমচন্দ্রের রচনা থেকে মনে হয় তিনি রামপ্রাণের শিক্ষা থেকে বিশেষ উপকৃত হন নি।[৯] তিনি লিখেছেন, “সৌভাগ্যক্রমে আমরা আট দশ মাসে এই মহাত্মার হস্ত হইতে মুক্তিলাভ করিয়া মেদিনীপুর গেলাম।” [১০]

    ১৮৪৪ সালে বঙ্কিমচন্দ্র পিতার কর্মস্থল মেদিনীপুরে আনীত হলে, সেখানেই তার প্রকৃত শিক্ষার সূচনা হয়। মেদিনীপুরের ইংরেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনৈক এফ টিডের পরামর্শে যাদবচন্দ্র শিশু বঙ্কিমকে তার স্কুলে ভর্তি করে দেন। এখানেও বঙ্কিম অল্পকালের মধ্যেই নিজ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন। পূর্ণচন্দ্রের রচনা থেকে জানা যায়, বার্ষিক পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট হয়ে টিড সাহেব বঙ্কিমকে ডবল প্রমোশন দিতে উদ্যত হলে যাদবচন্দ্রের হস্তক্ষেপে তিনি নিরস্ত হন।[৭][১১] ১৮৪৭ সালে টিড ঢাকায় বদলি হয়ে গেলে সিনক্লেয়ার তার স্থলাভিষিক্ত হন; তার কাছেও বঙ্কিম প্রায় দেড় বছর ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করেন।

    ১৮৪৯ সালে বঙ্কিমচন্দ্র পুনরায় কাঁঠালপাড়ায় ফিরে আসেন। এইসময় কাঁঠালপাড়ার শ্রীরাম ন্যায়বাগীশের কাছে বঙ্কিম বাংলা ও সংস্কৃতের পাঠ নেন। বঙ্কিমচন্দ্র খুব ভালো আবৃত্তিকারও ছিলেন। ও নামক সংবাদপত্রে প্রকাশিত বহু কবিতা তিনি এই বয়সেই কণ্ঠস্থ করে ফেলেন। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর বিরচিত কাব্য থেকে বিদ্যার রূপবর্ণন ও জয়দেব প্রণীত কাব্য থেকে কবিতাদুটি তিনি প্রায়শই আবৃত্তি করতেন। এছাড়াও পণ্ডিত হলধর তর্কচূড়ামণির কাছে এই সময় তিনি মহাভারত শ্রবণ করতেন। হলধরই তাকে শিক্ষা দেন - “শ্রীকৃষ্ণ আদর্শ পুরুষ ও আদর্শ চরিত্র”। এই শিক্ষা তার পরবর্তী জীবনে রচিত নানা রচনাতে প্রতিফলিত হয়েছিল।[১২]

    কিছুকাল পরে ১৮৪৯ সালে হুগলি কলেজে (অধুনা হুগলী মহসিন কলেজ) ভর্তি হন। এখানে তিনি সাত বছর পড়াশোনা করেন। হুগলি কলেজ পড়াকালীন ১৮৫৩ সালে জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে মাসিক আট টাকা বৃত্তি লাভ করেন। এই বছরেই সংবাদ প্রভাকরে কবিতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কুড়ি টাকা পুরস্কার লাভ করেন। হুগলি কলেজ অধ্যয়নকালেই বঙ্কিমচন্দ্র কবিবর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সংবাদ প্রভাকর ও সংবাদ সাধুরঞ্জনে গদ্য-পদ্য রচনা আরম্ভ করেন। পরবর্তীকালে তার বহু রচনা এই দুই কাগজে প্রকাশিত হয়। হুগলি কলেজ ১৮৫৬ সালে সিনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় সব বিষয়ে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করে তিনি দুই বছরের জন্য কুড়ি টাকা বৃত্তি লাভ করেন। এই বছরই তিনি হুগলি কলেজ ছেড়ে আইন পড়বার জন্য কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৮৫৭ সালে জানুয়ারী মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এন্ট্রান্স বা প্রবেশিকা পরীক্ষা প্রবর্তন করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের আইন বিভাগ থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরের বছর ১৮৫৯ সালে প্রথমবারের মতো বি.এ. পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট দশজন ছাত্র প্রথমবারে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। উত্তীর্ণ হয়েছিলেন কেবলমাত্র বঙ্কিমচন্দ্র ও যদুনাথ বসু।[১৩]

    সূত্র : bn.wikipedia.org

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, সাহিত্যের উদ্দেশ্য কী?

    উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, "সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য "। খ্যাতি বা অর্থের উদ্দেশ্যে লেখা নয়; লিখতে হবে মানুষের কল্যাণ সাধন কিংবা সৌন্দর্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে।

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, সাহিত্যের উদ্দেশ্য কী?

    সাজান Adita Islam

    ইংরেজি জানেনলেখকের 100টি উত্তর রয়েছে ও 2.1 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে1 বছর

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, "সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য "। খ্যাতি বা অর্থের উদ্দেশ্যে লেখা নয়; লিখতে হবে মানুষের কল্যাণ সাধন কিংবা সৌন্দর্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে।

    মাহাথির মুহাম্মদ

    কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ এ/তে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছেনলেখকের 459টি উত্তর রয়েছে ও 4.2 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে3 বছর

    সম্পর্কিত

    সাহিত্যের অন্ধযুগ বলা হয় কোন সময় কে?

    উত্তর: মধ্যযুগ

    ত্রয়োদশ শতাব্দী: বাংলা সাহিত্যের "অন্ধকার যুগ"

    বাংলা সাহিত্যের ১২০০

    -১৩৫০

    খ্রি. পর্যন্ত সময়কে “অন্ধকার যুগ” বা “বন্ধ্যা যুগ” বলে কেউ কেউ মনে করেন। ড. হুমায়ুন আজাদ

    তাঁর “লাল নীল দীপাবলী” গ্রন্থে (পৃ. ১৭) লিখেছেন- “১২০০

    থেকে ১৩৫০

    পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রচিত কোন সাহিত্য কর্মের পরিচয় পাওয়া যায়না বলে এ-সময়টাকে বলা হয় ‘অন্ধকার যুগ’। পণ্ডিতেরা এ-সময়টাকে নিয়ে অনেক ভেবেছেন, অনেক আলোচনা করেছেন, কিন্তু কেউ অন্ধকার সরিয়ে ফেলতে পারেন নি।এ- সময়টির দিকে তাকালে তাই চোখে কোন আলো আসেনা, কেবল আঁধার ঢাকা চারদিক।”

    বি.এম

    সাহিত্যপ্রেমীলেখকের 131টি উত্তর রয়েছে ও 3.6 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে2 বছর

    সম্পর্কিত

    সাহিত্যের রুপ বলতে আমরা কী বুঝি?

    গাছ বিভিন্ন রকম হয়, কিন্তু প্রত্যেকটা গাছের নাম আলাদা। যেমন সাল, সুন্দরী , বট ,জবা , সোনাঝুরি, আম লিচু ,মেহগনি বিভিন্ন রকমের গাছ পৃথিবীতে অবস্থান করছে। কিন্তু সর্বোপরি আমরা সেগুলো কে গাছ বলে থাকি।

    ঠিক তেমনি, সাহিত্যে পরিধি অনেক বড়। তারমধ্যে কবিতা ,মহাকাব্য ,নাটক, কাব্যনাট্য, উপন্যাস, ছোটগল্প , গদ্য-পদ্য , ভ্রমণকাহিনী, বিভিন্ন লেখকের চিঠি , আত্মজীবনী থেকে শুরু করে কবিতার বিভিন্ন ভাগ , নাটকের বিভিন্ন ভাগ ,উপন্যাসের বিভিন্ন ভাগ , বিভিন্ন রকম সমালোচনা পত্র, ইত্যাদি সবকিছু নিয়ে সাহিত্য। সাহিত্যের এই বিভিন্ন ভাগ গুলোকেই আমরা এক কথায় সাহিত্যের রূপ বলে থাকি।

    # ধন্যবাদ। নাইম ইসলাম নাইম

    Charfassion Govt College নিয়ে পড়াশুনা করেছেন (2019)লেখকের 174টি উত্তর রয়েছে ও 1.9 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে7 ফেব

    সম্পর্কিত

    সাহিত্য কী এবং কাকে বলে?

    সাহিত্য কী?

    সাহিত্য বলে লিখিত কোনো বস্তু সুন্দর ও সঠিক ভাবে বুঝানো। শিল্পকে সাহিত্য একটি বিশেষ অংশ বলে বিবেচিত অনেকে বিবেচনা করে থাকে।

    সাহিত্য কাকে বলে?

    সাহিত্য এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Literature. সাহিত্য শিল্পের একটি বড় অংশ হিসেবে পরিচিত। আর এই সাহিত্য নিয়ে যদি সহজ করে বলি, যেখানে শিল্পের ছোঁয়া দিয়ে একটি সাধারণ লেখনীকে যখন অন্যসব লেখনী থেকে আলাদা করে তোলা হয় তাকেই সাহিত্য বলে। সাহিত্য এর গোঁড়াপত্তন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে হয়েছে। আর এই গোড়পত্তনের জন্যই বাংলা ভাষায় যেনো আরো সৌন্দর্য ছুঁয়ে গেছে।

    MD Saymon Islam

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে BBA (2022)লেখকের 56টি উত্তর রয়েছে ও 11.8 হা বার সেগুলি দেখা হয়েছে21 অক্টোবর

    সম্পর্কিত

    সাহিত্য বলতে কী বুঝায়?

    সাহিত্য শিল্পের একটি অংশ বলে বিবেচিত হয়, অথবা এমন কোনো লেখনী, যেখানে শিল্পের বা বুদ্ধিমত্তার আঁচ পাওয়া যায়, অথবা যা বিশেষ কোনো প্রকারে সাধারণ লেখনী থেকে আলাদা৷ মোটকথা, ইন্দ্রিয় দ্বারা জাগতিক বা মহাজাগতিক চিন্তা চেতনা, অনুভূতি, সৌন্দর্য ও শিল্পের লিখিত বা লেখকের বাস্তব জীবনের অনুভূতি হচ্ছে সাহিত্য।

    সম্পর্কিত প্রশ্ন

    বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, সাহিত্যের উদ্দেশ্য কী?

    উপন্যাস এবং সাহিত্যের মধ্যে পার্থক্য কী?

    বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাসের নাম কী?

    বল্লাল সেন রচিত সাহিত্যকর্ম কী কী?

    সহজিয়া পুঁথি, সহজিয়া সাহিত্য বলতে কী বুঝানো হয়?

    পল্লি সাহিত্য কোন জাতীয় রচনা?

    আপনার মতে, বাংলা সাহিত্যের সেরা দশজন লেখক কারা?

    'ক্রীতদাসের হাসি' উপন্যাসের উদ্দেশ্য কী?

    মুসলিমের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য কী?

    সাহিত্যের অন্ধকার যুগ ছিল কখন এবং কেন?

    বাংলা সাহিত্যের ৫০টি অবশ্য পাঠ্য বই কী?

    সাহিত্য কী? সাহিত্য চর্চা বলতে কী বোঝায়? মানুষ কেন সাহিত্য পড়বে?

    বাংলা সাহিত্যের বড় উপন্যাস কী কী আছে?

    কোন সাহিত্যিক কে হুতম পেঁচা বলা হয়? কেনো?

    কালুগাজী ও চন্দ্রাবতী কোন ধরনের সাহিত্য?

    সূত্র : bn.quora.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 18 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন