if you want to remove an article from website contact us from top.

    বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা পান।

    নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ

    নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ

    উপ-সম্পাদকীয়

    নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ

    প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০

    নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ

    সৈয়দ আবুল হোসেন

    notdefined

    আমাদের দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের প্রধান নারী। প্রধানমন্ত্রীও নারী। বিরোধী দলের নেতাও নারী। অন্য একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধানও নারী। তিনিও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। স্পিকারও নারী। বাকি আছে একজন নারী রাষ্ট্রপতি করার। সেটাও হয়তো যেকোনো সময় হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ে নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এখন সচিব, বিচারপতিও নারী আছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সেক্টরে নারীরা ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশেও নারীরা ভালো করছে। একটা সময় এ অবস্থা ছিল না। অনেক কষ্ট করেই আমাদের এখানে আসতে হয়েছে। আমাদের সমাজের নারীর ক্ষমতায়নের ব্যাপারে অনেকেই বিস্মিত হয়। এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি কৌতূহলী জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হতে হয় বিদেশে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে এবং নারীর যথাযথ মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন। অতীতের কোনো সরকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিক ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর মূল্যায়নে এমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। শেখ হাসিনা যতবার ক্ষমতায় এসেছেন নারীর ক্ষমতায়নে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়িয়েছেন। এর পরেরবার ক্যাবিনেট এবং একসময় স্পিকার হিসেবে নারীর যোগ্যতার প্রমাণ তুলে ধরলেন। নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘গ্ল্যামার’-এর বিচারে বর্ষসেরা নারী মনোনীত হয়েছেন শেখ হাসিনা।

    ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর শেখ হাসিনার সরকার নারী উন্নয়নের জন্য নানাবিধ কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ শুরু করে। বাংলাদেশ সরকারের ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-১৫), যেখানে জাতীয় ও মাঝারি পর্যায়ের উন্নয়ন পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে ২০২১ সাল (ভিশন-২০২১ নামেও পরিচিত) নাগাদ একটি মধ্যম আয়ের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলায় অঙ্গীকারবদ্ধ, নারীকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করাকে নারীর ক্ষমতায়নের প্রধানতম চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনায় আনা হয়েছে। শেখ হাসিনা নারীর কার্যকর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উদ্যোগ, মাতৃত্ব ও স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১, নারীর প্রতি সহিংসতা দমন, অকাল ও বাল্যবিবাহের সমাপ্তি, রাজনীতি, প্রশাসন, নিরাপত্তা প্রভৃতিতে নারীরা উল্লেখযোগ্য।

    লিঙ্গ-সমতা স্থাপনের অন্যতম নিয়ামক রাজনৈতিক ক্ষমতায় নারী-পুরুষের আনুপাতিক অবস্থান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে সৃষ্টি করেছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বিশ্ব আর্থনীতিক ফোরাম প্রকাশিত গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০১৩ অনুযায়ী ১৩৬টি দেশের মধ্যে লিঙ্গবৈষম্য নিরসনে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম, যা ১০ বছরে এগিয়েছে ১১ ধাপ। অন্যদিকে শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীর অংশগ্রহণের বিষয় বিবেচনায় বাংলাদেশের স্থান পৃথিবীর মধ্যে অষ্টম, যা ১৯৯১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে দুই নেত্রীর রাজনৈতিক ক্ষমতায় থাকা এবং সংসদে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০ শতাংশে পৌঁছানোর কারণে সম্ভব হয়েছে।

    অবশ্যই সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে, নারীরা তাদের নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের দেশ গঠন করছে এবং বলিষ্ঠ ও শিক্ষিত এক ভবিষ্যত্ প্রজন্ম গড়ে তুলছে, যারা দেশকে ভালোবাসে, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে জানে, উন্নয়নপ্রক্রিয়া ও নির্মাণকাজ চালিয়ে নিতে পারে, সর্বোপরি সহায়তা দিচ্ছে একটি শিক্ষিত প্রজন্ম গঠনে।

    আমি আগেও বলেছি, নারীরা হচ্ছে দেশের আত্মা ও শক্তি। এর অর্থ হচ্ছে, একজন নারীর রয়েছে আবেগময় বোধশক্তি, দয়ালু হূদয়, উদার মন, প্রবল উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং দূরদর্শী মূল্যবোধ। বাংলাদেশের নারীরা দেশের জীবনযাপন পদ্ধতিতে অভ্যস্ত এবং তারা আমাদের সমাজে মূল সংস্কৃতিকে ধারণ করে, যা অনেক মানুষ চিন্তাও করতে পারে না। মা-বোন ছাড়া কোনো ব্যক্তি কি বাঁচতে পারে? মেয়ে অথবা স্ত্রীর স্নেহ-মমতা ছাড়া কোনো ঘর কি চিন্তা করা যায়? নারী ছাড়া কোনো সমাজ কি এগিয়ে যেতে পারে? সম্ভব নয়।

    বাংলাদেশের অগ্রগতিতে নারীদের কী ভূমিকা তা অনুধাবনের জন্য অমর্ত্য সেনের একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য। অমর্ত্য সেনের মতে, নানা আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের পক্ষে অভাবনীয় আর্থিক সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে মূলত নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতির জন্য। ‘অ্যান আনসার্টেন গ্লোরি, ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইটস কন্ট্রাডিশন্স’ (২০১৩) প্রবন্ধে অমর্ত্য সেন বলেছেন, বাংলাদেশের বেগবান নারী আন্দোলন, সক্রিয় এনজিও কার্যক্রম ও পেইচিং-পরবর্তী বিশ্ব নারী উন্নয়ন এজেন্ডার প্রভাবে নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলাদেশ সরকার নারী উন্নয়ন নীতি ও তা বাস্তবায়নের কার্যকর কৌশলের লক্ষ্যে যে ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করেছে, তার মাধ্যমে বাংলার নারীজীবনে এক নীরব বিপ্লবের সূচনা ঘটে, যাকে বিশ্বব্যাংক আখ্যা দিয়েছে ‘হুইসপার টু ভয়েসেস’ (২০০৮)।

    সুতরাং এটি সহজে অনুমেয় যে নারীরা আমাদের সমাজের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে নিজেদের আসন এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে। আজ আমরা যে অবস্থানে আছি, এ অবস্থানে কখনো আসতে পারতাম না, যদি না থাকত নারীদের অবদান। আমাদের আত্মবিশ্বাসী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও বিশ্বাসী মা-বোনদের অনেক অবদান রয়েছে বাংলাদেশের এ অবস্থানে আসার পেছনে। আমাদের বোনেরা দৃঢ়চেতা, কাজের প্রতি নিষ্ঠাবতী, উন্নয়নের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং চ্যালেঞ্জ নিতে অভ্যস্ত। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধেও আমাদের নারীদের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়।

    আমরা আধুনিক ও প্রাচীন ইতিহাসের দিকে লক্ষ করলে দেখতে পাব, মায়ের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন বহু মানুষ এবং বহু নারীর নামও  ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে তাঁদের নিজেদের কৃতিত্বে। নারীদের বহু অবদান আছে বদান্যতায়, মহত্ত্বে এবং দানশীলতায়। মনে পড়ে বেগম রোকেয়ার কথা। ১৯৪৭-পরবর্তী সময়ে বাংলার নারী জাগরণের সূচনায় যাঁদের অনবদ্য অবদান সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করতে হয় তাঁদের মধ্যে সুফিয়া কামাল, নূরজাহান বেগম প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। তাঁরা সম-অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমে এনজিওভিত্তিক নারী আন্দোলনের বিশাল ক্ষেত্র উন্মোচিত করে দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব নেত্রীবর্গের মধ্যে ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা, রানি ভিক্টোরিয়া, জোয়ান অব আর্ক, অ্যান ফ্রাংক, মার্গারেট থ্যাচারসহ আরো অনেকের কথা বলা যায়।

    সূত্র : www.kalerkantho.com

    নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্রঋণ

    নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্রঋণ

    মোঃ শফিকুল ইসলাম

    নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্রঋণ

    নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্রঋণ

    প্রকাশিত: ২০:৩৩, ২৫ এপ্রিল ২০২২

    AddThis Sharing Buttons

    Share to Facebook Share to Twitter Share to WhatsApp Share to LinkedIn Share to Print Share to More

    উন্নয়ন অর্থনীতি অনুসারে ক্ষমতায়ন হলো নারীদের কৌশলগত জীবনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। যা তারা আগে তাদের লিঙ্গের কারণে করতে পারেনি। পৃথক পছন্দ অনুশীলন করার ক্ষমতা তিনটি আন্তঃসম্পর্কিত উপাদানের ওপর ভিত্তি করে যেমন- সম্পদ, সংস্থা এবং কৃতিত্ব/অর্জন ইত্যাদি। ‘সম্পদ’ শব্দটি শারীরিক, মানবিক ও সামাজিক সম্পদের প্রত্যাশা এবং বরাদ্দকে বোঝায়। যখন একজনের লক্ষ্য ক্রিয়া ও ফলাফলের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে, তখন তাদের সংস্থার অংশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। নারীর অর্জনগুলো নারীর ক্ষমতায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়নের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন অপরিহার্য। ক্ষুদ্রঋণ সেবা নারী ও তাদের পরিবারকে ক্ষমতায়ন করতে সাহায্য করার এক গুরুত্বপূর্ণ উপায়। নারীর ক্ষমতায়নের ত্রিমাত্রিক মডেল অনুযায়ী নারীর ক্ষমতায়ন তিনভাবে ঘটতে পারে। (১) মাইক্রো-লেভেলে, একজন ব্যক্তির চিন্তাভাবনা এবং কর্মকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। (২) মেসো-লেভেলে- অন্যদের সম্পর্কে বিশ্বাস এবং কর্মের সঙ্গে সম্পর্কীয় ক্ষমতায়নকে বোঝায়। (৩) ম্যাক্রো লেভেলে-যেখানে সামাজিক ক্ষমতায়ন একটি বৃহত্তর সামাজিক প্রেক্ষাপটে ফলাফল বা ফলাফলের মতো প্রত্যক্ষ ও সমস্যাগুলো উপলব্ধি করা হয়। নারীর ক্ষমতায়ন ব্যক্তিগত, যুক্তিবাদী এবং সামাজিক রূপ নিতে পারে। ব্যক্তিগত ক্ষমতায়ন স্ব-মূল্য, আত্ম-বিশ্বাস ও স্বকার্যকারিতার মতো ধারণাগুলোর একটি পরিসরকে অন্তর্ভুক্ত করে। যৌক্তিক ক্ষমতায়নের বেশ কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গৃহে নারীর দর কষাকষির ক্ষমতা, ক্ষুদ্রঋণের এ্যাক্সেস, সামাজিক গোষ্ঠীতে অংশগ্রহণ এবং সম্মিলিত পদক্ষেপে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি। ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারীর মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণ অনেক ভাল এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারীদের হারও অনেক বেশি। নারীদের গতিশীলতা, কেনাকাটা করার ক্ষমতা এবং গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক সিদ্ধান্ত আইনী ও প্রশাসনিক সচেতনতা এবং জনগণের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে অংশগ্রহণ, সবই বেগবান হয় যখন নারীরা গ্রামীণ অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করে। গ্রামীণ ব্যাংকের অন্য একটি সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, মহিলারা ক্রেডিট প্রোগ্রামে অংশ নেন তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে আরও সচেতন, দ্বন্দ্ব মোকাবেলা করতে ভাল এবং পারিবারিক এবং সামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দায়িত্ব সম্পর্কে বেশি সচেতন হয়। এটি লক্ষ্য করাও গুরুত্বপূর্ণ যে, ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন করা গেলেও সমাজ এখনও নারীর দায়িত্ব সম্পর্কে পুরনো ধারণা পোষণ করে। ক্ষুদ্রঋণ নিম্ন আয়ের পরিবারের মহিলাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। তা একচেটিয়াভাবে তাদের গতিশীলতা এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে। বিশ্বের দরিদ্রদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, বিশ্বজুড়ে দেশ, পরিবার এবং সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক মঙ্গলের জন্য কর্মশক্তিতে নারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও নারীরা গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। মাইক্রোক্রেডিট হলো এক ধরনের ক্রেডিট ডেলিভারি সিস্টেম, যা রাজস্ব তৈরির ক্রিয়াকলাপকে উৎসাহিত করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ পাওয়া যায়। যা পরিমিত আয়ের লোকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে। দরিদ্রতম মানুষের জন্য বিশেষ করে মহিলাদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ সবচেয়ে দর্শনীয় দারিদ্র্য কমানোর হাতিয়ার। এছাড়াও ক্ষুদ্রঋণ রাজস্ব উৎপন্ন, খাদ্য সরবরাহ সংরক্ষণ, মানব পুঁজির উন্নয়ন এবং বিশ্বব্যাপী নারীর ক্ষমতায়নের জন্য একটি কার্যকরী হাতিয়ার। এমনকি ধনী দেশেও দারিদ্র্যহীন সমাজ আবিষ্কার করা কঠিন। দরিদ্রদের জন্য একটি ঋণ সুবিধা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং দারিদ্র্য হ্রাস করার জন্য একটি মূল্যবান উপায় হতে পারে। প্রথাগত আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন- ব্যাংক দরিদ্র এবং মহিলাদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে না। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো দারিদ্র্য হ্রাস করে। স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা হলো একটি মৌলিক স্তরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো পুনর্গঠনের একটি উপায়। মহিলা ঋণগ্রহীতাদের পুরুষদের তুলনায় ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারীর ভাল গ্রাহক বলে বিশ্বাস করা হয়। কারণ, ক্ষুদ্রঋণে মহিলাদের এ্যাক্সেসের আরও গ্রহণযোগ্য উন্নতির প্রভাব রয়েছে। মহিলারা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মৌলিক চাহিদার জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী ঋণ প্রত্যাখ্যান করেছেন বা ঋণের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের মধ্যে গার্হস্থ্য সহিংসতা বেড়েছে। গ্রামীণ বাংলাদেশী ক্ষুদ্র-উদ্যোক্তাদের কর্মক্ষম সংস্থান, কর্পোরেট অর্থায়ন ও প্রশাসনিক সহায়তার অভাব রয়েছে, সরকারী অর্থায়ন সংস্থাগুলো প্রায়ই মাঝারি এবং বিশাল উদ্যোগগুলোকে অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেগুলো ব্যাংকিং খাত দ্বারা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ক্ষুদ্রঋণ সেবার জন্য বাংলাদেশের চাহিদা বেড়েছে। গ্রামীণ ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক চ্যালেঞ্জ এবং শিল্প, উদ্ভাবন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিবরণ সম্পর্কে ব্যবসায়িক জ্ঞান এবং দক্ষতার অভাব রয়েছে। উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণে মৌলিক কর্পোরেট প্রতিভা, সুযোগের স্বীকৃতি, নতুন পণ্য উৎপাদনে এবং বাজারের বৈচিত্র্য অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। নানামুখী গুণাবলীসহ লোকদের যারা কাজকে গতিশীল ও কর্মক্ষম করতে পারে, তাদের স্বতন্ত্র মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ অর্থায়নকে লক্ষ্য করা উচিত। দেশের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা এবং পণ্য উৎপাদন ও ক্রিয়াকলাপের বিপণনযোগ্যতাসহ অনেক কারণ অপর্যাপ্ত অর্থায়নের ফলকে প্রভাবিত করে। যদিও কিছু পরিবার অর্থায়ন থেকে সামান্য লাভবান হতে পারে। তবু অসম্পূর্ণ শ্রম এবং সংশ্লিষ্ট সামাজিক ব্যয়ের প্রশ্ন রয়েছে। তাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতাও পরীক্ষা করা হচ্ছে। ঋণ পরিশোধ কম হওয়া নীতিনির্ধারকদের কাছে বিস্ময়কর নয়। ঋণ পরিশোধ নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ অর্থ। তদুপরি আর্থিকভাবে সুস্থ থাকা বঞ্চনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিধিনিষেধ কমিয়ে বা হ্রাস করে গ্রামীণ অর্থায়ন একজন নারী উদ্যোক্তার কার্যকারিতাকে সহায়তা করতে পারে। ক্ষুদ্রঋণ নারী উদ্যোক্তাদের উন্নতি ও বিকাশে সহায়তা করার জন্য একটি মূল্যবান হাতিয়ার হতে পারে। দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং কর্মসংস্থান এবং উপার্জন বৃদ্ধির পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ প্রবৃদ্ধি। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের প্রায়ই বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়। গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের এই বাধাগুলো কাটিয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকার প্রয়োজন, উদাহরণস্বরূপ, গ্রামীণ মহিলাদের জন্য সরকারী আর্থিক সহায়তা। একজন নারী উদ্যোক্তাকে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে নারী বা নারীদের একটি দল, যারা স্বতন্ত্রভাবে বা সহযোগিতায় একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু করে, সংগঠিত করে এবং পরিচালনা করে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সম্পদ, বাজার, প্রকৃত মালিকানা এবং সক্রিয় নিয়ন্ত্রণে তার এ্যাক্সেস সহজ করে সামাজিক, পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত জীবনে। মানব উন্নয়ন সূচক অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী নারীদের এইচডিআই মান পুরুষের তুলনায় গড়ে প্রায় ৮% কম। উচ্চমানব উন্নয়নের দেশগুলোতে এই ব্যবধানটি ছোট, যা ৩ শতাংশের সমান। তবে নিম্ন মানব উন্নয়নের দেশগুলোতে প্রায় ১৭% (টঘউচ, ২০০৮)। শিক্ষার ক্ষেত্রে নারীরা নিরক্ষর জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ। যদিও দেশগুলো মেয়েদের শিক্ষায় উন্নতি করেছে। অনেক স্বল্পোন্নত দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়েও লিঙ্গ ব্যবধান বজায় রয়েছে। নারীরা ধীরে ধীরে ঐতিহাসিকভাবে পুরুষশাসিত বিভিন্ন পেশায় প্রবেশ করেছে। গবেষণা অনুযায়ী, ক্ষুদ্রঋণ সেবায় অংশগ্রহণকারী নারীদের জীবনে একটি অনুকূল প্রভাব পড়ে। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীতে তাদের অংশগ্রহণের কারণে গ্রাহকদের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ক্ষুদ্রঋণের সুবিধা হিসেবে দেখা হয়। ক্ষুদ্রঋণে অংশগ্রহণকারী নারীরা অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষমতায়িত হয়েছে। এক গবেষণা অনুসারে, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণের ফলে প্রতিটি স্বতন্ত্র শ্রেণীর রাজস্ব উৎস থেকে বিনিয়োগ, প্রাপ্ত আয় এবং সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবর্তন এসেছে। দরিদ্র মহিলা ও তাদের পরিবারগুলো তাদের দৈনন্দিন চাহিদাগুলো আরও ভালভাবে পূরণ করতে পারে। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারী মহিলারা তাদের সন্তানদের শিক্ষার সুবিধা প্রদান করে। কারণ, বাস্তবায়নকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান সরবরাহ করে। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে অংশগ্রহণকারী নারীদের শিক্ষা অর্জনে সহায়তা করে। ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ দরিদ্র নারীদের সম্পদে প্রবেশাধিকার উন্নত করে। যাতে তারা মালিক হতে পারে এবং তাদের পুরুষ প্রতিপক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ব্যবহার করতে পারে। লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

    সূত্র : www.dailyjanakantha.com

    গ্রামীণ ব্যাংক

    নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলে কাজ শুরু করা ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক কিংবা এ ধরনের দেশীয় ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থাগুলো আসলে কতটা নারীর

    মুক্তমত

    গ্রামীণ ব্যাংক-ব্র্যাক কতটা নারীর ক্ষমতায়ন বান্ধব?

    | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

    আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৩

    AddThis Sharing Buttons

    Share to Twitter Share to LinkedIn Share to WhatsApp Share to Messenger Share to Facebook Share to Copy Link

    নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলে কাজ শুরু করা ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক কিংবা এ ধরনের দেশীয় ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থাগুলো আসলে কতটা নারীর ক্ষমতায়ন বান্ধব?  এ প্রশ্নটা তোলার এখনই উপযুক্ত সময়।

    ক্ষমতায়ন মানে কি? নারী তার পরিবারে সব ব্যাপারে মতামত দেবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে- মোটা দাগে এই হলো ক্ষমতায়নের মূল কথা।

    আরো অনেকগুলো বিবেচ্য বিষয়তো আছেই। সেদিকে যাচ্ছি না, সীমাবদ্ধ থাকছি মতামত দেওয়া ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা- এই দুই জায়গাতেই।

    স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিধ্বস্ত বাংলাদেশে কাজ করার মহৎ উদ্যোগ নিলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গোড়ার দিকে নারীদের ক্ষমতায়ন করতে চাইলেন তারা। ভাবলেন, কাজ করতে হবে পরিবার নিয়ে। তাও নারী নিয়ে। মেয়েরা যদি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়, তাহলে সংসারে তার কদর বাড়বে, মর্যাদা বাড়বে, বাড়বে গুরুত্ব। সে কারণেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদের হাতে অর্থ পৌঁছে দেওয়া দরকার বলে মনে করলেন তারা। আর এ অর্থই নারীদের স্বাবলম্বী করবে, হবে নারীর যথাযথ মূল্যায়ন, ক্ষমতায়ন।

    এই চিন্তা থেকেই এলাকা র্নিধারণ, পরিবার নির্ধারণ ও তাদের প্রয়োজনও নির্ধারণ করলো প্রতিষ্ঠানগুলি। টাকা দরকার এমন কিছু নারীকে চিহ্নিত করলেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। গেলেন তাদের কাছে, বোঝালেন নারীর ক্ষমতায়নের অর্থ কি। কত অবহেলিত তারা। কেবল টাকাই পারে তাদের এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে। সংসারে নারীর মূল্য বাড়াতে ‘টাকা’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠলো বাধ্যতামূলকভাবে।

    কিন্তু নারী কেন পছন্দ করলেন প্রতিষ্ঠানগুলো। এরও কারণ আছে, যা তারা কোনো সমিতির মিটিংয়ে বলেন না, কিন্তু বলেন কর্মী সভায়। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বলেন, পুরুষের নামে টাকা দিলে সেটা আদায় করা কঠিন। যে বাইরে, বাইরে থাকবে। কিন্তু নারীদের বাড়িতেই পাওয়া যাবে। তাই টার্গেটেড গ্রুপ হলো নারী।

    ব্যবসায়িক এই হিসাব তো আর নারীদের বলা ঠিক হবে না, তাই বলতে হবে ক্ষমতায়নের কথা। বোঝাতে হবে নারীর গুরুত্বের কথা। পরিবেশনটাই আসল। আর এ পরিবেশনের দায়িত্ব দিলেন নারীদেরকেই। নারীদের মুখেই নারীদের উন্নয়ন, ক্ষমতায়নের কথাটা বেশ পরিবেশন যোগ্য। যদিও ক্ষমতায়নের পুথি পরিবেশনকারী সেসব নারীদের শোষণকাব্য ভিন্ন। এ প্রসঙ্গে আলোচনা হবে অন্যদিন।

    যা বলছিলাম, একইভাবে গ্রামের মহাজনরাও টাকা দিতো। অবশ্য মহাজনরা তখনও নারীকে কেন্দ্র করে তাদের মহাজনী ব্যবসা করার কথা চিন্তাও করেননি। বলা চলে নারীকে লেনদেনের যোগ্যই মনে করতেন না মহাজনরা। বরং লেনদেনে কখনও কখনও নারীকেই পণ্য করে তুলতেন মহাজনরা। আরও একটা বড় পার্থক্য মহাজনী ব্যবসা আর ঋণদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে। সেটা হলো, কখনই মহাজনরা জোর করে টাকা ধার দিতেন না। কেউ প্রয়োজনে পড়ে তাদের কাছে গেলে তবেই তারা সুদের কথা বলে টাকা দিত।

    পক্ষান্তরে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলে ঋণদানকারী বেসরকারি সংস্থাগুলো নিজেরাই এলাকা বাছাই, প্রয়োজনীয়তা বাছাই এবং সুদের হার বাছাই করেন। কোনো নারীকে প্রথম পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ঋণ শুরু করলে সে আরও বেশি ঋণী হয়ে যান। পরিস্থিতি এই পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ঘরের টিন, লোটা, বাটি-ঘটি বিক্রি করেও শোধ হয় না সে ঋণ। আত্মমর্যাদা কিংবা সামাজিক মর্যাদা তো দ‍ূরের কথা। কখনও কখনও মৃত্যুই হয় তাদের করুণ পরিণতি।

    অথচ যাদের উন্নয়নের কথা বলে, যাদের ক্ষমতায়নের কথা বলে উৎপত্তি, তাদের অবস্থার কোনো উন্নতি না হলেও সেসব সংস্থা আজ মহীরুহ। ঢাকার বুকে গড়ে ওঠা ছোট একটি কার্যালয় এখন বিরাট ভবন। বুক ঠুকে জানান দেয়, আমি নারীর ক্ষমতায়নের রক্তে মাংসে গড়া ইট-পাথরের দেয়াল। চিৎকার করে বলে, তোমাদের ক্ষমতায়নের জন্যই আমি আজ বিশাল অট্টালিকা। সেসব দালানের গেটেও এখন প্রবেশ করতে পারেনা প্রান্তিকের সেইসব তথাকথিত ‘ক্ষমতায়িত’ নারীরা।

    কার লাভ কার ক্ষতি সে বিবেচনার ভার তো আমজনতার। এটা সবাই জানেন, বোঝেন কিন্তু কেউ কথা বলেন না। কারণ একটাই- কিছু মানুষের কর্মসংস্থান তো হয়েছে, তাতেই তৃপ্ত তারা।

    প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়নে আসলে কি টাকাটাই মুখ্য, নাকি অন্য কিছু। কিংবা অর্থই সব অনর্থের মূল, বিতর্কিত সে প্রশ্নেও যাব না। কিন্তু নারীর ক্ষমতায়নের নাম করে শুরু হওয়া ছোট ছোট সংগঠনের আজকের এই উত্থান কতটা নারীর ক্ষমতায়ন বান্ধব সে বিবেচনার ভারও রাখছি আমজনতার উপরই।

    সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংকের কাঠামো পরিবর্তনে সরকারের কোনো ইচ্ছা নেই জানিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে পদত্যাগের পর গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্যারান্টি নিয়ে বিদেশি ঋণে সামাজিক বিনিয়োগ ইস্যুতে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এর মধ্যে গ্রামীণফোন অন্যতম। এ থেকে ড. ইউনূস এ পর্যন্ত কয়েক হাজার কোটি টাকা ‘ডিভিডেন্ট’ পেয়েছেন। অথচ এ টাকা গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকদের পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এক টাকাও তারা পায়নি বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী।

    ব্যাংকের একজন পরিচালকের উদ্ধৃতি দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই লভ্যাংশ যদি গ্রাহকদের দেওয়া হতো, তাহলে বাংলাদেশে দারিদ্র্য থাকত না। এ বিষয়গুলোর তদন্ত চলবে বলেও সংসদে জানান অর্থমন্ত্রী।

    এটাই আশার কথা। দেরিতে হলেও যদি নারী তার প্রাপ্য অধিকার পান তা হলেও সান্ত্বনা। একজন থেকে শুরু হওয়া নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পে যখন যোগ দেয় ৮৪ লাখ নারী, তখন তার অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার সংকট তো দেখা দেওয়ার কথা না। তারপরও কেন এত সংকট, কেন এত বিড়ম্বনা, কেন এত নির্যাতন-লাঞ্ছনা-বঞ্চনা?

    স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ অবধি দেশে কাজ করা দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোর ভূমিকাই বা কি! কি করলেন এতদিন তারা? তারা কি বলতে পারবেন দেশের নারীরা কতটা ক্ষমতায়িত! কিংবা আদৌ নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে কি না?

    লেখক: সাজেদা হকসহকারী বার্তা সম্পাদকবৈশাখী মিডিয়া লিমিটেড।

    বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৩

    সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

    ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

    বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

    মুক্তমত বিভাগের সর্বোচ্চ পঠিত

    মুক্তমত এর সর্বশেষ

    চোরের মার বড় গলা

    সূত্র : www.banglanews24.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 23 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন