if you want to remove an article from website contact us from top.

    বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পান।

    এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘে গৃহীত

    স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অনুমোদন পেয়েছে।

    ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী; ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন

    বাংলাদেশের উন্নত দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিদেশিদের বিনিয়োগ করতে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মানববন্ধনের পর ১৮ মার্চ প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি বিএনপির

    সীতাকুণ্ডে আগুনে পুড়ল একটি তুলার গুদাম

    সিদ্দিক বাজারে অগ্নিদগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩

    রংপুরে উল্টে গেল বাস, নিহত ২

    কক্সবাজারে কভার্ডভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে নারী নিহত

    ভারতের বিহারে গরুর মাংস বহনের সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

    মূলধন সংকটে বন্ধ হয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক

    তৃতীয় মেয়াদে চীনের প্রেসিডেন্ট শি প্রধানমন্ত্রী পদে বেছে নিলেন লি ছিয়াংকে

    অর্থনীতি

    এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘে গৃহীত

    স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অনুমোদন পেয়েছে।

    নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

    Published : 25 Nov 2021, 03:23 AM

    Updated : 25 Nov 2021, 03:58 AM

    মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। আর এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে পরবর্তী ধাপে উত্তরণের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করল।

    বাংলাদেশের পাশাপাশি লাও ও নেপালও উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই তিন দেশ উত্তরণের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর প্রস্তুতির সময় পাবে। অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গণ্য হবে।

    সাধারণত প্রস্তুতির জন্য তিন বছর সময় দেওয়া হলেও মহামারীর অভিঘাতে অর্থনৈতিক ক্ষতি সামলে উঠতে এই বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে।

    জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, কোন দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়।

    সেই শর্ত পূরণ হওয়ায় চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা ইউএন-সিডিপির ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায় বাংলাদেশ।

    তখনই সিডিপি বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্রস্তুতিকালীন সময় দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এখন সেই প্রস্তাব গৃহীত হল।

    এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেল বাংলাদেশ

    স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও ঋণে যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছিল, প্রস্তুতিমূলক সময়েও তা অব্যাহত থাকবে।

    ১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সিডিপির সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে।

    সিডিপি তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে।

    উন্নয়নশীল দেশ হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৮২৭ ডলার।

    মানবসম্পদ সূচকে উন্নয়নশীল দেশ হতে ৬৬ পয়েন্টের প্রয়োজন; বাংলাদেশের পয়েন্ট ২০২০ সালে ছিল ৭৫.৩।

    অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে কোনো দেশের পয়েন্ট ৩৬ এর বেশি হলে সেই দেশকে এলডিসিভুক্ত রাখা হয়, ৩২ এ আসার পর উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন হয়। সেখানে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২৫ দশমিক ২।

    এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশল প্রণয়নের কাজ শুরু

    উত্তরণের নেতিবাচক প্রভাব পোশাক ও ওষুধে পড়ার আশঙ্কা সংসদীয় কমিটির

    যা হারাব, তার চেয়ে বহুগুণ পাব: অর্থমন্ত্রী

    পণ্য বহুমুখীকরণ ও সক্ষমতায় দিতে হবে জোর: কে এ এস মুরশিদ

    এখন বাড়াতে হবে সক্ষমতা: আহসান এইচ মনসুর

    সাধারণ পরিষদে তিন দেশের উত্তরণের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখেছেন। কোভিড-১৯ মহামারীর ভয়াবহতম সময়েও সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তিনি বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার ফলে আজ রূপকল্প-২০২১ পূর্ণতা পেল।”

    এলডিসি থেকে উত্তরণ পাওয়া এবং উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য প্রণোদনা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সহায়তা কাঠামো নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্ব দেন রাবাব ফাতিমা।

    উত্তরণ চ্যালেঞ্জের প্রতিটি দিক, বিশেষ করে উত্তরণ পরবর্তী আন্তর্জাতিক সহায়তা, বাধাহীন উত্তরণ এবং এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়নের মত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরিরও আহ্বান জানান তিনি।

    জাতিসংঘ ১৯৭১ সালে কিছু নির্ণায়কের উপর ভিত্তি করে বিশ্বের সবচেয়ে কম উন্নত দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি হিসেবে পৃথকভাবে শ্রেণিবদ্ধ করে।

    ১৯৭১ সালে স্বল্পোন্নত দেশের সংখ্যা ছিল ২৫, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ। এর আগে বতসোয়ানা, কেপভার্দে, মালদ্বীপ, সামোয়া, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি ও ভানুয়াতু স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিজেদের উত্তরণ ঘটাতে পেরেছে।

    এলডিসি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেল বাংলাদেশ

    এ সম্পর্কিত খবর

    রোজায় ১০০ টাকায় খেজুর, ৫০ টাকায় ছোলা বেচবে টিসিবি

    জ্বালানি সহায়তা বাড়ানোর আশ্বাস কাতারের আমিরের

    আইএমএফের শর্ত পূরণ ‘এত সহজ হবে না’: আহসান মনসুর

    গরিবের কথা বলে ভর্তুকি, সুবিধা পায় ধনী: আহসান মনসুর

    আরও পড়ুন

    পরমাণু গবেষণা ভবনের ছাদ ধসের ঘটনায় গাফিলতি পাওয়া গেছে: মন্ত্রী

    সিলেট শহীদ মিনার বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহার নয়: মেয়র

    এ সরকারের অধীনে যুগপৎ আন্দোলনের কেউ নির্বাচনে যাবে না: মান্না

    মাঠে সবার শতভাগ চান সাকিব

    মতামত

    জ্বলন্ত নগরী, নির্বাক মানবিকতা

    মুক্তিযুদ্ধে প্রশাসন সার্ভিস

    নারী দিবস ও গুম হয়ে যাওয়া নারী আন্দোলন

    হে প্রতিবন্ধী নারী, আমরাও পারি

    আরও

    সূত্র : bangla.bdnews24.com

    নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ছাদ ধসে ১৫ শ্রমিক আহত

    স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে পূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে এ উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সুপারিশ প্রাপ্ত হলো।

    শনিবার | মার্চ ১১, ২০২৩ | ২৭ ফাল্গুন ১৪২৯

    শেষ পাতা

    শেষ পাতা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতির সুপারিশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১

    স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে পূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে এ উত্তরণ ঘটবে বাংলাদেশের। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সুপারিশ প্রাপ্ত হলো।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে বাংলাদেশের উত্তরণ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সুপারিশ জানিয়েছে সিডিপি। এদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশের সুখবর জানাতে আজই সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    এলডিসি থেকে কোন দেশ বের হবে, সেই বিষয়ে সুপারিশ করে থাকে জাতিসংঘের সিডিপি। এজন্য প্রতি তিন বছর পরপর এলডিসিগুলোর ত্রিবার্ষিক মূল্যায়ন করা হয়। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এ তিনটি সূচক দিয়ে একটি দেশ উন্নয়নশীল দেশ হতে পারবে কিনা, সেই যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়। এ স্বীকৃতির জন্য যেকোনো দুটি সূচকে যোগ্যতা অর্জন করতে হয় কিংবা মাথাপিছু আয় নির্দিষ্ট সীমার দ্বিগুণ করতে হয়। সিডিপির পরপর দুই মূল্যায়নে এসব মান অর্জন করলেই এলডিসি থেকে বের হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। ২০১৮ সালের সিডিপির মূল্যায়নে তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ নির্দিষ্ট মান অর্জন করেছিল। এবার ২০২১ সালের মূল্যায়নেও তিনটি সূচকের তিনটিতেই মান অর্জন করেছে দেশ।

    উন্নয়নশীল দেশ থেকে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার,  ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে উন্নয়নশীল দেশ হতে হলে ৬৬ পয়েন্টের প্রয়োজন; বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৭৫ দশমিক ৩। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে কোনো দেশের পয়েন্ট ৩৬-এর বেশি হলে সেই দেশকে এলডিসিভুক্ত রাখা হয়, ৩২-এ আসার পর উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন হয়। সেখানে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২৫ দশমিক ২।

    সিডিপির বিধান অনুযায়ী, উত্তরণের সুপারিশ পাওয়ার পর একটি দেশ তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রস্তুতিকাল ভোগ করতে পারে। করোনাভাইরাস মহামারীর বাস্তবতায় উত্তরণ প্রক্রিয়াকে টেকসই ও মসৃণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে সিডিপির কাছে প্রস্তুতির জন্য পাঁচ বছর সময় চাওয়া হয়। এখন উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ায় পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকাল শেষে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। ওই বছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এর চূড়ান্ত স্বীকৃতি আসবে।

    উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলে সস্তা ঋণ পাওয়া এবং বিভিন্ন রফতানি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। ফলে সেই সুবিধাগুলো উত্তরণের প্রস্তুতি পর্বে চেয়েছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতির এ সময়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রাপ্ত সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে। তাছাড়া বর্তমান নিয়মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর আরো তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

    এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, প্রায় পাঁচ দশক এলডিসি থাকলাম। সেখান থেকে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে যাচ্ছি, এটা নিশ্চিত একটা বড় অর্জন। বাংলাদেশ আর্থসামাজিক বিভিন্ন সূচকে যে ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতি করেছে, এটা তারই স্বীকৃতি।

    তিনি বলেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ায় এর বেশকিছু অভিঘাত আমাদের অর্থনীতির ওপর পড়বে। এলডিসি হিসেবে আন্তর্জাতিক যেসব সহায়তা আমরা পেতাম, সেসব তখন আর থাকবে না। সেক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত বাজার প্রবেশ সুবিধা থাকবে না, ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে মেধাস্বত্ব আইনের যে শিথিল প্রয়োগ সেটা থাকবে না, অভ্যন্তরীণ বাজারে রফতানি প্রণোদনা বা ভর্তুকিসহ বিভিন্ন মেধাস্বত্ব আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে যেসব নীতিসহায়তা দেয়া আছে, সেগুলো থাকবে না। সেজন্য আমরা যে পাঁচ বছর সময় পাব, এ সময়টিকে প্রস্তুতিকাল হিসেবে বিবেচনা করে এর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে হবে।

    এ অভিঘাত মোকাবেলায় এ অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরণ, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় মুক্তবাণিজ্য অঞ্চলের দিকে যেতে হবে। ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইইউর বাজারে এলডিসির সুবিধা পাওয়া যাবে। একইভাবে অন্য দেশে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও এ সুবিধা বিদ্যমান থাকে, সে বিষয়ও সরকারকে কাজ করতে হবে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ষাটের দশকে স্বল্পোন্নত দেশের ধারণাটি আসে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে উন্নয়নশীল ও উন্নত এ দুই শ্রেণীতে সব দেশকে ভাগ করে থাকে জাতিসংঘ। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যে দেশগুলো তুলনামূলক বেশি পিছিয়ে আছে, তাদের নিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে জাতিসংঘ। ১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়। বর্তমানে ৪৭টি স্বল্পোন্নত দেশ আছে। এ পর্যন্ত মালদ্বীপসহ মোট পাঁচটি দেশ এলডিসি থেকে বের হয়েছে। ওই পাঁচটি দেশের মধ্যে বতসোয়ানা ও ইকোইটোরিয়াল গিনি শুধু মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ করে এলডিসি থেকে বের হয়েছে। অন্য দুটি সূচকে কখনই নির্ধারিত মান অর্জন করতে পারেনি। আবার মালদ্বীপ, সামোয়া ও কেইপ ভার্দে—এ তিনটি দেশ অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে মান অর্জন করতে পারেনি।

    এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বণিক বার্তাকে বলেন, এ অর্জনটা আগেই হয়ে গেছে, আজ স্বীকৃতিটা এলো। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই বড় অর্জন। এখন উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে, সেগুলো মোকাবেলা করার জন্য জোরালো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এ প্রস্তুতিটা আরো আগে থেকেই গ্রহণ করলে ভালো হতো।

    এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) এলডিসি গ্রুপের ৩৬ দেশ একসঙ্গে হয়ে দাবি জানিয়েছে, যে দেশই এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েট করুক না কেন তাদের অতিরিক্ত ট্রানজিশন পিরিয়ড দিতে হবে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে তিন বছর এলডিসির সুবিধা পাওয়া যায়, অন্য দেশে পাওয়া যায় না। ডব্লিউটিওর মাধ্যমে এলডিসি দেশগুলো বিভিন্ন দেশে ২৬ ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকে। এ ২৬ ধরনের সুবিধা যেন গ্র্যাজুয়েশনের পরও পৃথিবীর সব দেশ ১২ বছর পায়, সে দাবি জানিয়ে ডব্লিউটিওতে এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

    সূত্র : bonikbarta.net

    ‘স্বল্পোন্নত থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দ...

    সম্পূর্ণ নিউজ সময় মহানগর সময়

    ৩ টা ৪১ মিনিট, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

    ‘স্বল্পোন্নত থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে’

    কাজী ইফতেখার শুভ

    স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরের দিকে জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির ৫ দিনব্যাপী বৈঠকের সমাপনী দিনে এলডিসি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণের সুপারিশ করা হয়। এর ফলে ২০২৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির বৈঠকের সমাপনী দিন ছিল গতকাল শুক্রবার। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠক স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বর্তমান অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুপারিশ করা হয়।

    জানানো হয়, মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এ তিনটি সূচকে শর্ত অনুযায়ী উন্নতি করায় জাতিসংঘের সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ। যদিও চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেতে কয়েক বছর সময় লাগতে পরে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বর্তমানে বিশ্বের ৪৬টি দেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় রয়েছে। ১৯৭৫ সাল থেকে এ তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে প্রথম এবং শুক্রবার কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ কার্যত উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করলো বলে মত সংশ্লিষ্টদের।

    জন্মের ৫০ বছরের মধ্যেই দুর্বার গতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত দুই দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা সামাজিক উন্নয়ন- যে কোনো সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি অভূতপূর্ব। সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্যতা হ্রাস, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি সব ক্ষেত্রই বিশ্বে বাংলাদেশ এক বিস্ময়ের নাম।

    বাস্তবায়ন হচ্ছে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো।

    আশির দশকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পৌঁছে গেল উন্নয়নশীলের কাতারে। এ জন্য পেরুতে হয়েছে বন্ধুর পথ।

    ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৮২৭ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৭৫ দশমিক ৩ কিন্তু উন্নয়নশীল হতে প্রয়োজন ছিল আরো কম-৬৬। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের বাংলাদেশের অর্জন ২৫ দশমিক ২ পয়েন্ট। বলা যায় সব মানদণ্ডে গতিশীল বাংলাদেশ। আর এসব পর্যালোচনা শেষে ইউএন-সিডিপির সভায় বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ আসে।

    উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বের হতে দ্বিতীয় দফায় জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ২২-২৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এলডিসিগুলোর জন্য ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা বৈঠক করে। সিডিপি দ্বিতীয় দফায় এলডিসি থেকে বের হওয়ার প্রয়োজনীয় মানদণ্ড বাংলাদেশ পূরণ করতে পেরেছে কিনা তা নিয়ে পর্যালোচনা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন।

    প্রথম দফায় ২০১৮ সালের মার্চে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার যোগ্য হিসেবে সিডিপির সুপারিশ লাভ করে। নিয়ম হচ্ছে এলডিসি থেকে বের হতে সিডিপির পরপর দুটি পর্যালোচনায় উত্তরণের স্বীকৃতি পেতে হয়। এ স্বীকৃতি পাওয়ার পর আরো তিন বছর এলডিসি হিসেবে থাকে একটি দেশ। তারপর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। এ তিন বছরকে এলডিসি থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতির সময় ধরা হয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ সম্পর্কিত এক্সপার্ট গ্রুপের সভায় সিডিপির কাছে এ উত্তরণকাল তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করার আহ্বান জানিয়েছে।

    00:00 -02:30

    সূত্র : www.somoynews.tv

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 20 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন