বাংলাদেশ কখন স্বাধীনতা অর্জন করে
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে বাংলাদেশ কখন স্বাধীনতা অর্জন করে পান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্বাধীনতা দিবস
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা
আনুষ্ঠানিক নাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস
পালনকারী বাংলাদেশ ধরন জাতীয় দিবস
উদযাপন পতাকা উত্তোলন, প্যারেড, পুরস্কার অনুষ্ঠান, দেশাত্মবোধক গান এবং জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।
তারিখ ২৬ মার্চ
পরবর্তী আয়োজন ২৬ মার্চ ২০২৩
সংঘটন বার্ষিক
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ পালিত বাংলাদেশের জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে (কাল রাত) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এক তার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে এম এ হান্নান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান একই কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন।১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]
পতাকা একেঁ স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের উদ্যাপন শুরু হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালায়। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করা হয়, অনেক স্থানে নারীদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। এমতাবস্থায় বাঙালিদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং অনেক স্থানেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা না করেই অনেকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পরবর্তিতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাবার পর আপামর বাঙালি জনতা পশ্চিম পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং ভারতের অবিস্মরণীয় সমর্থনের ফলস্বরূপ দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়।
অপারেশন সার্চলাইট[সম্পাদনা]
মূল নিবন্ধ: অপারেশন সার্চলাইট
অপারেশন সার্চলাইট ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত পরিকল্পিত গণহত্যা, যার মধ্যমে তারা ১৯৭১ এর মার্চ ও এর পূর্ববর্তী সময়ে সংঘটিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিল।[১] এই গণহত্যা ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাষকদের আদেশে পরিচালিত,যা ১৯৭০ এর নভেম্বরে সংঘটিত অপারেশন ব্লিটজ্ এর পরবর্তি অনুষঙ্গ। অপারেশনটির আসল উদ্দেশ্য ছিল ২৬ মার্চ এর মধ্যে সব বড় বড় শহর দখল করে নেয়া এবং রাজনৈতিক ও সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।[২]
স্বাধীনতার ঘোষণা[সম্পাদনা]
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার হবার একটু আগে ২৫শে মার্চ রাত ১২টার পর (২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে করে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়।[৩][৪][৫][৬] ঘোষণাটি নিম্নরুপ:
অনুবাদ: এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।[৭]
২৬শে মার্চ বেলাল মোহাম্মদ, আবুল কাসেম সহ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কয়েক'জন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম. এ. হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন। পরে ২৭শে মার্চ [৮] তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার[৯] মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঘোষণাপত্রটির ভাষ্য নিম্নরুপ:
অনুবাদ: আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।
আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।[৭][১০]
১৯৭১ সালে ২৭ মার্চের এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে যা নয় মাস স্থায়ী হয়।
স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন[সম্পাদনা]
কত সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে?
উত্তর (12টির 1): গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। এটি জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের তৃতীয় মুসলিম দেশ। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সমাপ্তির পর ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি দেশের সৃস্টি হয়। পাকিস্তানের জন্ম হয় দুটি আলাদা আলাদা ভূখন্ড নিয়ে। একটি পশ...
কত সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে?
সাজান
Mohaiminul Islam Bicky
3D modelerলেখকের 63টি উত্তর রয়েছে ও 3.9 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে3 বছর
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। এটি জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বের তৃতীয় মুসলিম দেশ। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সমাপ্তির পর ১৯৪৭ সালে ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি দেশের সৃস্টি হয়। পাকিস্তানের জন্ম হয় দুটি আলাদা আলাদা ভূখন্ড নিয়ে। একটি পশ্চিম পাকিস্তান এবং অপরটি পূর্ব পাকিস্তান নামে অভিহীত হয়। কিন্তু পাকিস্তান সরকারের শোষণ, নিপীড়নের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মাঝে ক্ষোভ পুঞ্জিভ’ত হতে থাকে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মাঝে দূরত্ব আরো বেড়ে যায়। স্বাধীকারের বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আসে সত্তরের নি
সম্পর্কিত প্রশ্ন
বাংলাদেশ কত তারিখে স্বাধীন হয়েছিলো?
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কত তারিখে?
বাংলাদেশে স্বাধীনতা কত সালে হয়?
বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল "জুম্মাল্যান্ড" কোন বিভাগে আর কোন জেলায়?
যুক্তফ্রন্ট কত সালে গঠিত হয়?
মোঃ আলী আকবর
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়-এ বাংলা (বিষয়) বিষয়ে B.A2 বছর
সম্পর্কিত
বাংলাদেশ কত সালে স্বাধীনতা লাভ করে?
এটির আসল উত্তর ছিল: বাংলাদেশ কতো সালে স্বাধীনতা লাভ করে?
২৬ শে মার্চ, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
Omar Ali Shohag
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর, বাংলাদেশ-এ বাংলা (ভাষা) বিষয়ে বি.এস.এস (2013)লেখকের 157টি উত্তর রয়েছে ও 1.8 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে2 বছর
দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ভাষণে বলেন,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম" চুড়ান্ত ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অনেক প্রাণ ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে একই সালের ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমার্পণ করে।এই দিনেই বাংলাদেশের জনগণের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা অধিষ্ঠিত হয়।
Amol Chandro 3 বছর ১৯৭১ সালে সম্পর্কিত প্রশ্ন
বাংলাদেশ কত তারিখে স্বাধীন হয়েছিলো?
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে কত তারিখে?
বাংলাদেশে স্বাধীনতা কত সালে হয়?
বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল "জুম্মাল্যান্ড" কোন বিভাগে আর কোন জেলায়?
যুক্তফ্রন্ট কত সালে গঠিত হয়?
বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রয়েছে?
২০১৯ পর্যন্ত সর্বশেষ স্বাধীনতা লাভ করে কোন দেশ?
স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের বিরোধিতা করে কোন কোন দেশ?
বাংলাদেশে কাঁঠালকে কত সালে জাতীয়করণ করা হয়েছে? অর্থাৎ কত সালে জাতীয় ফল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?
সমাজ বিজ্ঞান কত সালে জন্মলাভ করে?
ভারত কবে সত্যি কারের স্বাধীনতা লাভ করবে?
সর্বপ্রথম কোন দেশ স্বাধীনতা লাভ করে?
থাইল্যান্ড কত সালে স্বাধীনতা লাভ করে?
স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশ। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে। তবে আপনার কাছে স্বাধীনতা মানে কী? কিভাবে দেখেন?
বাংলাদেশ কত সালে স্বাধীন হয়?
স্বাধীনতা যুদ্ধ: বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জন করেছে
বাংলাদেশের মতো খুব কম দেশই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছে। আরো যেসব দেশ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, এখানে সেসব দেশের বর্ণনা তুলে ধরা হলো।
স্বাধীনতা যুদ্ধ: বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জন করেছে
সায়েদুল ইসলাম বিবিসি বাংলা, ঢাকা ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯
ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সামরিক বাহিনী এবং গেরিলাদের ভূমিকা সমান ছিল।
স্বাধীন দেশ হিসাবে জাতিসংঘের সদস্য হিসাবে রয়েছে ১৯৩টি দেশ। আরো দুইটি দেশ রয়েছে পর্যবেক্ষক সদস্য হিসাবে।এসব সদস্য দেশের অনেক দেশ বরাবরই স্বাধীন দেশ হিসাবে থেকেছে। আবার অনেক দেশ পরাধীনতা থেকে বা কলোনি থেকে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কোন কোন দেশ আলোচনাার মাধ্যমে, আবার কোন কোন দেশ বিপক্ষ শক্তিকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে।
তবে বাংলাদেশের মতো খুব কম দেশই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছে। আরো যেসব দেশ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বিপক্ষ শক্তিকে পরাজিত করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, এখানে সেসব দেশের বর্ণনা তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশ
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পাকিস্তান থেকে স্বাধীন দেশ হিসাবে ঘোষণা করে বাংলাদেশ। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়।
২৫শে মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পুলিশ, সামরিক বাহিনী ও সাধারণ জনগণের ওপর হামলা শুরু করে পশ্চিম পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করে বাংলাদেশ। প্রবাসী মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়।
বাঙ্গালী জনতা ভারতের সহযোগিতায় মুক্তিবাহিনী গঠন করে তাদের প্রতিরোধ করতে শুরু করে। পরবর্তীতে ভারত এই যুদ্ধে অংশ নিলে দুই বাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী গঠিত হয়।
সেই মুক্তিযুদ্ধে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী প্রায় ৯৩ হাজার সৈন্য বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতের সামরিক বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কোন যুদ্ধে এতো বড় বাহিনী আত্মসমর্পণ করেনি।
আরো পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বেশিরভাগ সামরিক বাহিনীতে কেন?
'আমরা স্বাধীনতা হারালাম' - বারামুলার কাশ্মীরী বাসিন্দা
ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,
১৭৭৬ সাল থেকে ১৭৮৩ সাল ধরে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছিল, যাকে আমেরিকার বিপ্লবী যুদ্ধ বলেও বর্ণনা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র
১৭৭৬ সাল থেকে ১৭৮৩ সাল ধরে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছিল, যাকে আমেরিকার বিপ্লবী যুদ্ধ বলেও বর্ণনা করা হয়।
একসময় ব্রিটিশ কলোনি হিসাবে থাকলেও, ব্রিটেনের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া করারোপে বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হয়।
ব্রিটেনের বিরুদ্ধে উত্তর আমেরিকার ১৩টি কলোনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে ১৭৭৬ সালের জুলাই মাসে। যদিও উভয় উভয় পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছিল ১৭৭৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে।
টানা কয়েক বছর যুদ্ধের পর ফরাসি বাহিনী ও জর্জ ওয়াশিংটনের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা চার্লস কর্নওয়ালিস।
তবে আমেরিকার যুদ্ধ শেষ হলেও আমেরিকার যুদ্ধ সমর্থনকারী দেশ ফ্রান্স, স্পেন ও তৎকালীন ডাচ রিপাবলিকের সঙ্গে ব্রিটেনের যুদ্ধ চলতে থাকে।
অবশেষে ১৭৮৩ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর ট্রিটি অব প্যারিসের মাধ্যমে ব্রিটেন আমেরিকার সার্বভৌমত্ব এবং সীমানা স্বীকার করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ওই চুক্তিটি ১৭৮৪ সালের জানুয়ারি মাসে গ্রহণ করে।
সেই সঙ্গে পৃথক কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে ফ্রান্স, স্পেন ও ডাচ রিপাবলিকের সঙ্গে ব্রিটেনের যুদ্ধের অবসান হয়।
বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
নাগরিকত্ব আইন: দিল্লিতে শিক্ষার্থীদের রাতভর বিক্ষোভ
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বেশিরভাগ সামরিক বাহিনীতে কেন?
আফ্রিকান নারীদের যেভাবে ভারতে পাচার করা হচ্ছে
আত্মসমর্পণের আগে পাকিস্তানী সেনাদের মুহূর্তগুলো
ছবির উৎস, GETTY IMAGES ছবির ক্যাপশান,
ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া যুদ্ধের সময় একটি শিবিরে ইথিওপিয়ান বন্দীরা
ইরিত্রিয়া
ইথিওপিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হতে সেপ্টেম্বর ১৯৬১ সাল থেকে মে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত লড়াই করে ইরিত্রিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
ইটালির উপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পরে ১৯৪৭ সালে ইরিত্রিয়া স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ইথিওপিয়ার রাজা শাসন দাবি করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের হস্তক্ষেপে ইরিত্রিয়া ইথিওপিয়ার সঙ্গে প্রথমে একটি ফেডারেশন, পরবর্তীতে সাংবিধানিক স্টেট হিসাবে থাকে। তবে ইরিত্রিয়া স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ১৯৬১ সালে ফেডারেশন বাতিল করে ইরিত্রিয়াকে একীভূত করে নেয় ইথিওপিয়া।
এরপর থেকেই ইরিত্রিয়ার বিভিন্ন গোষ্ঠী স্বাধীনতার আন্দোলন চালাতে থাকে। সে সময় স্নায়ু যুদ্ধের বিভিন্ন পক্ষ ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়াকে সহায়তা করে।
অবশেষে ১৯৯১ সালের মে মাসে ইথিওপিয়ার বাহিনীকে পরাজিত করে ইরিত্রিয়ার ইপিএলএফ মুক্তিযোদ্ধারা।
একমাস পরেও ইপিএলএফ বাহিনীর সহায়তায় ইথিওপিয়ান পিপলস রেভ্যুলশনারি ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট আদ্দিস আবাবার দখল নেয়ার করে নেয়।
১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে একটি গণভোট হয়, যেখানে ইরিত্রিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে ভোট পড়ে। সেই বছরেই ইরিত্রিয়া স্বাধীন হয়।
ভিডিওর ক্যাপশান,
স্বাধীনতা - কার কাছে কী অর্থ?
আলজেরিয়া
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রায় আট বছর ধরে স্বাধীনতা যুদ্ধ করার পর স্বাধীনতা লাভ করে আলজেরিয়া।
ফ্রান্সের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার সংগ্রাম শুরু ১৯৫৪ সালের ১ লা নভেম্বর। ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (এফএলএন) অনেকটা গেরিলা ধরণের এই সংগ্রাম শুরু করে, যা ফ্রান্সের রাজনীতিকে কাঁপিয়ে দেয়। পাল্টা জবাব হিসাবে দমন-পীড়ন আর নির্যাতনের পথ বেছে নেয় ফ্রান্স।
১৯৬০ সালে আলজেরিস এবং বেশ কয়েকটি শহরে স্বাধীনতার পক্ষে সমাবেশের পর স্বাধীনতার অধিকারের পক্ষে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ফলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট চার্লস দ্য গল এফএলএনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেন।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?