মেট্রোরেল কবে চালু হবে
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে মেট্রোরেল কবে চালু হবে পান।
ঢাকা মেট্রোরেল
ঢাকা মেট্রোরেল
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঢাকা মেট্রো সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অবস্থান ঢাকা, বাংলাদেশ
পরিবহনের ধরন দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
লাইনের (চক্রপথের)
সংখ্যা ১ (নির্মাণাধীন)
৫ (পরিকল্পিত)
বিরতিস্থলের (স্টেশন)
সংখ্যা ১৬ (নির্মাণাধীন)
১০৪ (পরিকল্পিত) (পাতাল ৫৩টি এবং উড়াল ৫১টি) [১]
দৈনিক যাত্রীসংখ্যা ৬০,০০০ (প্রতি ঘণ্টায়)[২] (এমআরটি লাইন ৬)
প্রধান কার্যালয় ঢাকা, বাংলাদেশ
ওয়েবসাইট www.dmtcl.gov.bd
চলাচল
চালুর তারিখ ২৮ ডিসেম্বর,২০২২
পরিচালক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড
কারিগরি তথ্য
মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য ২১.২৬ কিমি (নির্মাণাধীন)[৩]
১২৮.৭৪১ (পরিকল্পিত)
রেলপথের গেজ আদর্শ গজ
ঢাকা মেট্রো এমআরটি-৬ - এর কাজ চলছে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, পরীবাগে (আগষ্ট ২০২০)
ঢাকা মেট্রোরেল হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা। ২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয় যার অধীনে প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। ২০১৬ সালে প্রণীত অনুসারে ঢাকায় নির্মিতব্য মেট্রো রেলের লাইনের সংখ্যা ৩টি থেকে বাড়িয়ে ৫টি করা হয়। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন ৬-কে নির্বাচন করা হয়। ২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমআরটি লাইন-৬ এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।[৪]
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ সালে এমআরটি লাইন ৬-এর দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকায় মেট্রোরেল আংশিক চালু হয় এবং তিনি মেট্রোরেলের প্রথম আনুষ্ঠানিক যাত্রার অংশ ছিলেন,[৫][৬][৭] যা ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয়।[৮][৯] শুরুতে শুধু উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি) এবং আগারগাঁও এই দুইটি স্টেশনে ট্রেন থামত, এরপর ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ পল্লবী স্টেশন খুলে দেওয়া হয়।[১০][১১] মার্চ মাসের শেষের দিকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সব স্টেশন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।[১২]
প্রকল্প বর্ণনা[সম্পাদনা]
২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট তথা মেট্রো রেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন লাভ করে।
এমআরটি লাইন ১ (বিমানবন্দর যাত্রাপথ)[সম্পাদনা]
২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর নামক লাইনটির নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়। এমআরটি-১ প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর ও নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত মোট ৩১.২৪ কিলোমিটার পথে মেট্রোরেল নির্মিত হবে। এ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান সরকার দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা আসবে সরকারি তহবিল থেকে। এমআরটি-১ প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩.৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন লাইনসহ ৩১.২৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এই মেট্রোরেলের ১২টি স্টেশন থাকবে মাটির নিচে এবং ৭টি থাকবে উড়াল সেতুর ওপর।[১৩] এমআরটি লাইন-১ হবে দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল।[১৪][১৫]
এমআরটি লাইন ১ (পূর্বাচল যাত্রাপথ)[সম্পাদনা]
নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত[১৬] ১১.৩৭ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে যার কাজ ২০২৮ সাল নাগাদ শেষ হতে পারে। এর ফলে খুব দ্রুত সময়ে প্রায় ২০ মিনিটে নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ যাওয়া যাবে [১৫]
এমআরটি লাইন ২[সম্পাদনা]
২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ জি২জি ভিত্তিতে পিপিপি পদ্ধতিতে এমআরটি লাইন-২ নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে জাপান ও বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।[১৪]
এমআরটি লাইন ৪[সম্পাদনা]
পিপিপি পদ্ধতিতে কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে ট্রাকের পাশ দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল মেট্রোরেল হিসেবে এমআরটি লাইন-৪ নির্মাণের উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন, যা শেষ করা হবে ২০৩০ সালের মধ্যে ।[১৪]
এমআরটি লাইন ৫ (উত্তর)[সম্পাদনা]
এমআরটি-৫ নির্মাণ প্রকল্পে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হবে। এই প্রকল্পের ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ২৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকা দেবে জাপান আর বাকি ১২ হাজার ১২১ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের মোট ২০ কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার হবে পাতাল পথে আর বাকি সাড়ে ৬ কিলোমিটার হবে উড়াল পথে। এ রুটে মোট ১৪টি স্টেশন হবে, যার মধ্যে ৯টি হবে পাতাল আর ৫টি হবে উড়ালপথে।[১৩]
এমআরটি লাইন ৫ (দক্ষিণ)[সম্পাদনা]
২০৩০ সালের মধ্যে গাবতলী থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ১৭.৪০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। তার মধ্যে পাতাল ১২ দশমিক ৮০ কিলোমিটার এবং উড়াল ৪ দশমিক ৬০ কিলোমিটার।[১৪]
এমআরটি লাইন ৬[সম্পাদনা]
প্রথম পর্যায়[সম্পাদনা]
কবে চালু হবে মেট্রোরেল, জানালেন মন্ত্রী
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের চাকা ঘুরবে আগামী বিজয় দিবসের আগেই। পূর্ণতা পাবে রাজধানী ঢাকায় স্বপ্নের যোগাযোগ ব্যবস্থার বাস্তবরূপ। প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
মহানগর সময়
১৪ টা ৩১ মিনিট, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
কবে চালু হবে মেট্রোরেল, জানালেন মন্ত্রী
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের চাকা ঘুরবে আগামী বিজয় দিবসের আগেই। পূর্ণতা পাবে রাজধানী ঢাকায় স্বপ্নের যোগাযোগ ব্যবস্থার বাস্তবরূপ। প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
মহানগর সময় ডেস্ক
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা দিয়া বাড়ী মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে স্বপ্নের মেট্রোরেলে ৮ মিনিট ভ্রমণ করে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। দুপুরে নগরীর উত্তরা মেট্রোরেল প্রকল্পের ডিপো এলাকায় যান মন্ত্রী। প্রথমে মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারে প্রবেশ করেন। এক্সিবিশন সেন্টারে রয়েছে মেট্রোরেলের এসি কোচ। দুপুর ২টায় মেট্রোরেলের কোচে প্রবেশ করেন মন্ত্রী। স্বপ্নের মেট্রোরেলে ৮ মিনিট অবস্থান করেন মন্ত্রী। মেট্রোরেল কোচের মধ্যে কখনো বসে, কখনো দাঁড়িয়ে যাত্রীরা কীভাবে চড়বেন সেই অভিজ্ঞতা নেন।
কোচে পরীক্ষামূলক এ ভ্রমণ শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশ বর্তমান সরকার প্রধানের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা উন্নত দেশে মেট্রোরেলে চড়েছি। বাংলাদেশে চড়তে পারবো এটা ছিল স্বপ্নের মতো। মেট্রোরেল প্রকল্প যারা বাস্তবায়ন করছে আমরা সত্যিই সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মেট্রোরেলের কর্মযজ্ঞ দেখে মুগ্ধ। মেট্রোরেল কোচে উঠে আমি ব্যক্তিগতভাবে উচ্ছ্বসিত। এখন একটাই আশা, এটা যেন ভালোভাবে চালু হয়। নগরবাসী যেন দ্রুত এর সেবা পায়। নতুন প্রজন্মের কাছে এটা স্বপ্নের প্রকল্প। ঢাকাবাসীকে মেট্রোরেল স্বস্তি দেবে। আশা করছি চলতি বছরের বিজয় দিবসে আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার উন্মুক্ত হবে। এটা তরুণ প্রজন্মের কাছে স্বপ্নের প্রকল্প।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শেষ করে এমআরটি-৬ নামের মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও ১১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন বর্ষ ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে এবং এমআরটি-৬ নামের মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও ১১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে প্রকল্পের কাজ।
ডিসেম্বরে কি চালু হবে মেট্রোরেল
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র মানুষের মন-মানসিকতা আরও উন্নত করতে পারে। একটি চলচ্চিত্র ব্যক্তির জীবন যেমন পরিবর্তন করতে পারে, তেমনি একটি সমাজকেও বদলে দিতে পারে।’
শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
২৭ ফাল্গুন ১৪২৯
বাংলাদেশ
Metrorail will be launched in December
AddThis Sharing Buttons
Share to Facebook Share to Twitter Share to WhatsApp Share to LinkedIn Share to আরও...
ডিসেম্বরে কি চালু হবে মেট্রোরেল
আবু সাইম, ঢাকা ১৫ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:৪৬
কর্মকর্তারা বলছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেল চালু করার লক্ষ্য নিয়েই তারা কাজ করছেন। তবে হিসাব বলছে, ট্রেনগুলোর ট্রায়াল ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হতে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে এটি চালু নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আগারগাঁও মোড় থেকে উত্তরে তাকালেই চোখে পড়ে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনের অবকাঠামো। ওপরের ছাউনি বসানো শেষ। এখন স্টেশনের ভেতরে বিভিন্ন ধাপের কাজ চলেছে। নিচ থেকে কিছু নির্মাণসামগ্রী সরানোয় রাস্তাও কিছুটা চওড়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে এ স্টেশন পর্যন্ত চলার কথা দেশের প্রথম মেট্রারেলের।
তবে স্টেশনে ওঠানামার সিঁড়ি, চলন্ত সিঁড়ি বা এস্কেলেটর এবং লিফট বসানোর কাজ এখনও শুরু হয়নি। বেশির ভাগ স্টেশনেরই এ অবস্থা।
এ রুটের ৯ শতাংশ কাজ এখনও বাকি। মাত্র মাস দুই আগে দেশে আসা ট্রেনগুলোর নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি প্রায় ছয় মাসের মানুষবিহীন ট্রায়াল রান বাকি।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন পিছিয়ে যাওয়ার পর মেট্রোরেলও পিছিয়ে যাবে কি না সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ডিসেম্বর ঘিরেই তাদের সব ধরনের কর্মযজ্ঞ চলছে।
মেট্রোরেলের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বলছে, ২০ কিলোমিটারের মেট্রোরেল বা এমআরটি-৬ রুটের মোট কাজ হয়েছে ৭৭ শতাংশের মতো। আর প্রথম পর্যায়ে চালুর জন্য নির্ধারিত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশের কাজ ৯১ শতাংশ হয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রীবাহী মেট্রোরেল আগামী ডিসেম্বরেমতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট বসানোর মধ্য দিয়ে এক সুতায় গাঁথা হয়েছে মেট্রোরেলের পুরো রুট। এর মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের বেশির ভাগ কাজ শেষ পর্যায়ে। এ পথের স্টেশন এলাকা ছাড়া রাস্তায় থাকা নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এতে রাস্তা আগের মতো প্রশস্ত হয়েছে। আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে স্বাভাবিক সময়ের মতো চলছে যানবাহন।
আগারগাঁও স্টেশনের নির্মাণকর্মী নজরুল বলেন, ‘স্টেশনের ওপরের কাজ প্রায় শেষ। এখন ঘষামাজার কাজ চলছে। খুব বেশি কাজ বাকি নেই। হেঁটে ওঠা সিঁড়ির কাজ শুরু হচ্ছে। এরপরেই লিফট বসানোর কাজও শুরু হবে। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য আমাদের তাগাদা দেয়া হয়েছে।’
আগারগাঁও স্টেশেনের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেলেও শেওড়াপাড়া স্টেশনের কাজ বেশ কিছুটা বাকি। স্টেশনটির কাজে এখনও ভারি মেশিন ব্যবহার হচ্ছে। স্টেশনের নিচের পুরোটাজুড়ে ইট, পাথর ও সিমেন্টের কাজ চলছে। একই অবস্থা কাজীপাড়া স্টেশনেরও।
শেওড়াপাড়া স্টেশনের দায়িত্বরত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ফাহাদ আহমেদ বলেন, ‘এ স্টেশনের চলন্ত সিঁড়ির কাজ শুরু হয়েছে। দুই মাসের মধ্যেই এ কাজ শেষ করতে আমাদের তাগিদ দেয়া হয়েছে। তবে তিন মাসও লাগতে পারে। কিন্তু তার বেশি লাগবে না। শিগগিরই লিফটের কাজ শুরু হবে।’
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেলপথে ৯টি স্টেশন নির্মাণ হবে। ২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হওয়া দুই প্যাকেজের কাজের অগ্রগতি ৯১ শতাংশ। এরই মধ্যে মাটির নিচে পরিষেবা স্থানান্তর থেকে শুরু করে ভায়াডাক্টের ওপর প্যারাপেট ওয়াল স্থাপন শেষ হয়েছে।
পাশাপাশি সবগুলো স্টেশনের ছাদ, প্ল্যাটফর্মের ছাদ এবং স্টিল অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে। তিনটি আইকনিক স্টেশনসহ সব স্টেশনের রুফশিট স্থাপন শেষ। উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশনের বিদ্যুতের কাজ, প্লামবিং, স্থাপত্যকাজ চলমান। এ ছাড়া স্টেশনগুলোয় প্রবেশ ও বহির্গমন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ ও পল্লবী স্টেশনের প্রবেশ ও বহির্গমন অবকাঠামো নির্মাণ চলছে। এই অংশের বাস্তব অগ্রগতি ৯০ শতাংশ।
মোট ২৪ সেট ট্রেনের মধ্যে ১২ সেট ট্রেন দেশে এসেছে। প্রথম দফায় ৯টি স্টেশনে মেট্রোরেল চালু হবে ১০ সেট ট্রেন দিয়ে। গত ১২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো পারফরমেন্স টেস্ট হিসেবে আগারগাঁও স্টেশনে আসে এক সেট ট্রেন। গত সেপ্টেম্বরে শুরু হয় এ টেস্ট। ক্রমান্বয়ে সবগুলো ট্রেন আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষা করা হবে।
বিভিন্ন টেস্টের হিসাবডিএমটিসিএল বলছে, প্রতি সেট ট্রেনের প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা, ফাংশনাল টেস্ট, পারফরমেন্স টেস্ট করা হবে। এতে ছয় মাস সময় লাগবে। এরই মধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত তিন সেট ট্রেনের পারফরমেন্স টেস্ট হয়েছে। এরপর তিন মাসের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট হবে। সব শেষে বাণিজ্যিক চলাচলের আগে কমপক্ষে ৫ মাসের যাত্রীবিহীন ট্রায়াল রান হবে। শিগগিরই সেই ট্রায়াল রান শুরু হওয়ার কথা। ট্রায়াল রান সফল হলেও মাস খানেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চালু হবে মূল বাণিজ্যিক যাত্রা।
এসব হিসাবে নিলে ডিসেম্বরে মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব কি না সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
গত বছরের ২৩ এপ্রিল মেট্রোরেলের প্রথম সেট ট্রেন ঢাকায় আসে। এরই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম সেট ঢাকায় আসে গত বছরের অক্টোবরে। ডিসেম্বরে অষ্টম সেট ট্রেন এবং জানুয়ারিতে ৯ম ও ১০ম সেট ট্রেন ঢাকায় ডিপোতে এসেছে। সে হিসেবে অষ্টম সেট ট্রেনের পারফরমেন্স টেস্ট করতে সময় লাগবে জুন পর্যন্ত। তারপর তিন মাস ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট করতে সময় গড়াবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৫ মাসের যাত্রীবিহীন ট্রায়াল রান করতে লাগার কথা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম সেটের ক্ষেত্রে সময় লাগার কথা ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৯ম ও ১০ম ট্রেনের লাগার কথা ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত। সে হিসাবে অক্টোবর বা পরে আসা ট্রেন সেটগুলো ডিসেম্বরে চলাচলের সুযোগ একেবারেই কম।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ডিএমটিসিএলের এমডি এম এ এন সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইলে বারবার কল দিয়ে, এমনকি বার্তা পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেননি।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?