মেয়েদের দুধ কেন ব্যথা করে
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে মেয়েদের দুধ কেন ব্যথা করে পান।
স্তনে ব্যথা বা ব্রেস্ট পেইন
মেয়েদের স্তনে ব্যথা একটি কমন উপসর্গ। বয়ঃসন্ধিকাল হতে মৃত্যর পূর্ব পর্যন্ত মেয়েদের কখনো না কখনো স্তনে ব্যথা হয়নি এমন কাউকে...
ফিচার / সুস্বাস্থ্য
স্তনে ব্যথা বা ব্রেস্ট পেইন
স্তনে ব্যথা তুচ্ছ কারণে হতে পারে আবার মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সারের জন্যও হতে পারে। স্তনে ব্যথা হলে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে আরম্ভ করে দাম্পত্য জীবনেও বিগ্নতার সৃষ্টি করে। এমন কি কখনো কখনো মানসিক বিপর্যয়ও ঘটতে পারে।
যাযাদি হেলথ ডেস্ক
২৩ মার্চ ২০১৯, ০০:০০
মেয়েদের স্তনে ব্যথা একটি কমন উপসর্গ। বয়ঃসন্ধিকাল হতে মৃত্যর পূর্ব পর্যন্ত মেয়েদের কখনো না কখনো স্তনে ব্যথা হয়নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। স্তনে ব্যথা অতি তুচ্ছ কারণে যেমন হতে পারে আবার মরণব্যাধি স্তন ক্যান্সারের জন্যও হতে পারে। স্তনে ব্যথা হলে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে আরম্ভ করে দাম্পত্য জীবনেও বিগ্নতার সৃষ্টি করে। এমন কি কখনো কখনো মানসিক বিপর্যয়ও ঘটতে পারে। সে জন্য স্তনে ব্যথা হলে অবহেলা না করে কারণ অনুসন্ধান করে যথাযথ চিকিৎসা নেয়া উচিত।
স্তনে ব্যথা কেন হয়?
ফাইব্রোএডিনোসিস : এখানে হরমোনজনিত কারণে ব্রেস্ট পরিবর্তন ও পরিবর্ধন ঘটে এবং ছোট ছোট চাকা (নডিউল) ও সিস্টের সৃষ্টি হয় এবং ব্যথা হয়।
মেস্টাইটিস/স্তনের প্রদাহ : স্তনে প্রদাহ বা ইনফ্রেমশনকে মেস্টাইটিস বলে। এটা সাধারণত বাচ্চা বুকের দুধ খাওয়ার সময় হয়ে থাকে অর্থাৎ ব্রেস্ট ফিড মায়ের হয়ে থাকে। এখানে ব্যথার সঙ্গে জ্বর ও ক্ষুধামন্দা থাকে।
স্তনে এবসেস বা ফোরা : ব্রেস্টে প্রচন্ড ব্যথা হয় ও জ্বর হয় এবং স্তনের চামড়া লাল হয়ে যায়। অপারেশন এ ক্ষেত্রে জরুরি।
স্তনে ক্রনিক ইনফেকশন : যেমন টিভি, একটিনোমাইকোসিস ইত্যাদি অসুখ হলেও ব্যথা হতে পারে।
স্তন ছাড়া : চেস্ট ওয়ালের অসুখের জন্য স্তনে ব্যথা হতে পারে। স্তনে টিউমার বা ক্যান্সার হলেও ব্রেস্ট পেইন হতে পারে।
মানসিক অবসাদ : স্তন ও চেস্ট ওয়াল ছাড়া মানসিক অবসাদ গ্রস্ততার কারণেও স্তনে ব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় মানসিক সাহায্য বা সাপোর্ট জরুরি।
রোগ নির্ণয়:
ভালোভাবে ইতিহাস নেয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে স্তনের ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় সম্ভব।
রোগীর কাছে জানতে হবে
য় স্তন ব্যথা মাসিক চক্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বা মাসিক চক্র সম্পর্কহীন।
য় রোগীকে এ মর্মে আশ্বস্ত করা এটা ক্যান্সার নয় এবং সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়ে যাবে।
য় স্তনে সিস্ট হলে এসপিরেশন করতে হবে।
য় স্তনে চাকা হলে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে হবে।
য় ব্রেস্টে ফোরা হলে অপারেশন করতে হবে।
য় বেস্ট্রে কিছু না পাওয়া গেলে মানসিক সাপোর্ট অত্যন্ত জরুরি।
ব্রেস্টে ব্যথা হলে সঠিক রোগ নির্ণয় ও যথাযথ চিকিৎসার জন্য সার্জনকে দেখান।
সর্বশেষ জনপ্রিয় ১
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও নারীর উন্নয়ন
২
সুলতানা রাজিয়া :ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক
৩
নারীকে মানুষ ভাবতে হবে
৪ বিদেশে নারীর মৃতু্য
৫
জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার আইনি বলয়
৬
আদালতের ও আইনজীবী সমিতির সংরক্ষণে থাকা ঐতিহাসিক দলিলপত্রের তথ্য চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট
৭
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে লড়বেন মমতাজ-দুলালের নেতৃত্বে সাদা প্যানেল এবং খোকন-কাজলের নেতৃত্বে নীল প্যানেল
৮
ঐকমত্যের ভিত্তিতে পুনর্গঠন করা হলো সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনের উপ-কমিটি
৯
পরিবারের সদস্যদের হত্যার দায়ে শাস্তির দিন গুনছেন মার্কিন আইনজীবী
১০
বিচারপতিদের নিয়েও এখন মজা করা হয়: ভারতের প্রধান বিচারপতি
আরও খবর ১
সোনারগাঁওয়ে ফেসবুকে হাহা রিয়েক্ট দেয়ায় দুইজনকে কুপিয়ে জখম
২
নতুন চমক নিয়ে হাজির উরফি
৩
চীনা কোম্পানিগুলো রাশিয়ায় পশ্চিমা বাজার দখল করেছে
৪
পাল্টা কোনো জবাব দেননি চিত্রনায়িকা মাহি
৫
কে আছো ক্ষমা প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো
স্তনে ব্যথা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
নারীরা মাঝেমধ্যেই স্তনে ব্যথা অনুভব করেন। স্তনে ব্যথা করলে অনেক নারীই ভাবেন তার হয়তো স্তন ক্যান্সার হয়েছে। স্তন ব্যথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। স্তন ব্যথার সঠিক কারণ জানা থাকলে অহেতুক আতঙ্ক দূর হবে।
স্তনে ব্যথা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
যুগান্তর ডেস্ক
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:৫৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
376 Shares
ShareShareShareTweetSharePrint
স্তন ব্যথা। ফাইল ছবি
নারীরা মাঝেমধ্যেই স্তনে ব্যথা অনুভব করেন। স্তনে ব্যথা করলে অনেক নারীই ভাবেন তার হয়তো স্তন ক্যান্সার হয়েছে। স্তন ব্যথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। স্তন ব্যথার সঠিক কারণ জানা থাকলে অহেতুক আতঙ্ক দূর হবে।
স্তন ব্যথা হরমোনের পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আবার কিশোরীদের মাসিকের সময়ও এই ব্যথা হতে পারে। স্তন ব্যথার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আজিজুর রহমান।
স্তনে ব্যথা আঘাতের কারণে হতে পারে কিংবা অন্য কোনো কারণেও হতে পারে। দেহে হরমোনের পরিবর্তনে কিশোরী মেয়েদের যখন পিরিয়ড হয় প্রকৃতিগতভাবেই তারা তাদের স্তনে হালকা ব্যথা অনুভব করে থাকেন। অনেক সময় পিরিয়ড হওয়ার আগেও স্তনে ব্যথা হয়। পিরিয়ড হওয়ার আগে ও পরে দেহে হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই এ ব্যথা হয়ে থাকে। তাই ভয়ের কোনো কারণ নেই। পিরিয়ড শেষ হয়ে গেলে এ ব্যথা থাকে না।
গর্ভকালীন গর্ভধারণের সময় নারীরা স্তনে ব্যথা অনুভব করেন। সাধারণত গর্ভবতীর গর্ভাবস্থা তিন মাস চলাকালীন স্তনে ব্যথা হওয়া শুরু হয়। তখন স্তনের আকার বৃদ্ধি পায় এবং অনেক সময় স্তনের ওপর দিয়ে নীলশিরা দেখা যায়, এর কারণ তখন দেহে অনেক বেশি পরিমাণে রক্ত প্রবাহ হতে থাকে ও হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। অনেক সময় নারীদের স্তনে প্রদাহজনিত সমস্যা হয়। এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা ফাঙ্গাসের আক্রমণে হয়ে থাকে। এ সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং এ ব্যথা থেকে জ্বরও আসতে পারে। ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
Video Player is loading.
This is a modal window.
The media could not be loaded, either because the server or network failed or because the format is not supported.
স্তনের ভেতর এক ধরনের সিস্ট হতে পারে, এর ভেতর তরল জাতীয় পদার্থ থাকে এবং এর নাম ব্রিজসিস্ট। স্তনের গ্রন্থি যখন বৃদ্ধি পায় তখন অনেক সময় এ সিস্ট দেখা দেয়। সিস্টের কারণে স্তনে ব্যথা হয়। যখন সিস্টের আকার বৃদ্ধি পায় তখন আপনি নিজেও বুকে হাত দিয়ে এ সিস্ট অনুভব করতে পারবেন। সিস্ট অনুভব করতে পারলে অতি শিগগির স্তন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
মা হওয়ার পর সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ও অনেক নারী স্তনে ব্যথা পেয়ে থাকেন। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর আগে ও পরে সব সময় স্তন পরিষ্কার করে নেয়া ভালো। এতে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা ফাঙ্গাস হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। অনেক সময় স্তনে ঘা হয়ে থাকে যার কারণে স্তনে ব্যথা হয়। এ সমস্যাটি হয় যখন স্তনের নিপলে ব্যাকটেরিয়া দেখা দেয় এবং বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় যখন ভাইরাস আক্রমণ করে।
এ সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। বুকে ব্যথা হওয়ার মারাত্মক কারণ হল স্তন ক্যান্সার। স্তনে ব্যথা অবিরত তখন হবে যখন আপনি দীর্ঘদিন ধরে স্তন ক্যানসারে ভুগবেন।
কী করবেনজীবন চর্চায় কিছুটা পরিবর্তন এনে স্তনে ব্যথা হওয়ার প্রবণতা কমে আসতে পারে। যেমন-
* স্তনের মাপ অনুযায়ী ব্রা পরুন। ছোট মাপের ব্রা এড়িয়ে চলুন।
* স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন যাতে চর্বি কম ও পুষ্টি বেশি থাকে।
* দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন তাহলে আপনার দেহে হরমোন পরিবর্তনের সমস্যা দূর হবে।
* ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) এবং ভিটামিন ই এসব উপাদান দেহের জন্য দরকার। এ উপাদানসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
376 Shares Share
যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও খবর
দেশে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ফ্যাটিলিভারে আক্রান্ত
স্বল্প ও বিনামূল্যে যেসব চিকিৎসা দেবে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতাল
মৌসুমী ফল যেভাবে সর্দি, কাশির উপশম করে
কানে কি কম শুনছেন? কী চিকিৎসা
লিউকোরিয়া কাদের হয়, কেন হয়, কী প্রতিকার
হার্ট অ্যাটাক-স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় জিরো-ক্যালরির ‘চিনি’
দেশে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ফ্যাটিলিভারে আক্রান্ত
স্বল্প ও বিনামূল্যে যেসব চিকিৎসা দেবে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতাল
মৌসুমী ফল যেভাবে সর্দি, কাশির উপশম করে
কানে কি কম শুনছেন? কী চিকিৎসা
নারীর স্তনে ব্যথা
নারীরা বিভিন্ন সময় স্তনে ব্যথা অনুভব করেন। নানা কারণেই এ ব্যথা হতে পারে। তবে স্তনে ব্যথা হলে অনেক নারীই স্তন ক্যানসার নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্তনে ব্যথা স্তন ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
সুস্থতা
নারীর স্তনে ব্যথা
ডা. মো. আজিজুর রহমান, বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, লালবাগ, ঢাকা
আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ০৭: ২৩
নারীরা বিভিন্ন সময় স্তনে ব্যথা অনুভব করেন। নানা কারণেই এ ব্যথা হতে পারে। তবে স্তনে ব্যথা হলে অনেক নারীই স্তন ক্যানসার নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্তনে ব্যথা স্তন ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
শরীরে হরমোন পরিবর্তনের কারণে কিশোরীদের মাসিকের সময় স্বাভাবিকভাবেই স্তনে হালকা ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় মাসিকের আগেও ব্যথা হয়। এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
অন্তঃসত্ত্বা নারীরা গর্ভকালে স্তনে ব্যথা অনুভব করেন। সাধারণত গর্ভাবস্থার তিন মাস চলাকালে এ ব্যথা শুরু হয়। তখন স্তনের আকার বৃদ্ধি পায় এবং অনেক সময় স্তনের ওপর দিয়ে নীল শিরা দেখা যায়। এ সময় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ও হরমোনের হ্রাস–বৃদ্ধির কারণে এ ব্যথা হয়।
স্তনে ব্যথার একটি অন্যতম কারণ স্তনে প্রদাহ বা মাসটাইটিস। এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া অথবা ছত্রাকের সংক্রমণে হয়ে থাকে। এমনকি স্তনে যক্ষ্মার কারণেও ব্যথা হতে পারে। ব্যথার সঙ্গে জ্বর আসতে পারে। এ রকম হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
স্তনের ভেতর সিস্ট হতে পারে, যার ভেতর তরলজাতীয় পদার্থ থাকে। স্তনের গ্রন্থি যখন বৃদ্ধি পায়, তখন অনেক সময় সিস্ট হয়। সিস্টের কারণে ব্যথা হয়। বেশির ভাগ সিস্ট নিরীহ হলেও সন্দেহ হলেই দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
মা হওয়ার পর সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ও অনেক নারী স্তনে ব্যথা পান। শিশুকে বুকের দুধ দেওয়ার আগে ও পরে স্তন পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো। এতে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। অনেক সময় স্তনে ঘা বা ফোড়া হয়। জীবাণুর সংক্রমণে এমনটা হয় এবং স্তনে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।
কী করণীয়:স্তনের মাপ অনুযায়ী অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে। খুব ছোট বা আঁটসাঁট অন্তর্বাস এড়িয়ে চলতে হবে।
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে প্রতিবার দুধ দেওয়ার আগে ও পরে স্তন ও নিপল পরিষ্কার করতে হবে। সব সময় পরিষ্কার কাপড় পরতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, যাতে চর্বি কম ও পুষ্টি বেশি থাকে।
দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তাহলে হরমোন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ভিটামিন বি–৬, ভিটামিন বি–১ (থায়ামিন) এবং ভিটামিন–ই–সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
যেকোনো ব্যথা, ফোলা, রঙের পরিবর্তন লক্ষ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
আগামীকাল পড়ুন: পায়ুপথের যত সমস্যাসুস্থতা থেকে আরও পড়ুন
ভালো থাকুননারী স্বাস্থ্যস্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন সুস্থতা
ঘাড়ে ব্যথা? নিজেই করুন প্রতিকার
ঘাড় ও কাঁধে ব্যথা খুবই সাধারণ ঘটনা। এই ডিজিটাল যুগে ঘাড়ব্যথার রোগী অনেক বেড়েছে। এক সপ্তাহের বেশি ঘাড়ে ব্যথা থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
লেখা:ডা. জি এম জাহাঙ্গীর হোসেন
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৩, ০৭: ৫৫
কেন হয় ঘাড়ব্যথা
বয়স হলে ঘাড়ের টিস্যু ক্ষয় হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ল্যাপটপের সামনে বসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের এ সমস্যা বেশি হয়। এর কারণে ঘাড়ের মধ্যকার হাড়ে ফাঁক থেকে যায়। যাঁদের সারভাইকাল স্পন্ডেলাইটিস (ঘাড়ে মেরুদণ্ডের অংশে হাড়ক্ষয়) রয়েছে, তাঁদেরও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
কোনো কারণে স্পাইনাল কর্ডের কোনো টিস্যু ফুলে গেলে স্লিপ ডিস্ক হতে পারে। সেখান থেকেও ঘাড়ে ব্যথা হয়।
কোনো দুর্ঘটনায় ঘাড়ে আঘাত পেলে সেই ব্যথা বহুদিন স্থায়ী হয়। পেশিতে টান লাগলে মাঝেমধ্যেই তখন ব্যথা বাড়ে।
বসার ভঙ্গিতে ত্রুটি থাকলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। বাঁকাভাবে শুয়ে থাকলে ঘাড়ে চাপ পড়ে, সেখান থেকেও ঘাড়ব্যথা হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে অন্যদিকে ঘাড় ঘোরানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তা থেকেও ঘাড়ের ব্যথা হতে পারে।
অনেক সময় বিছানায় শুয়ে বই পড়া, টিভি দেখা বা উপুড় হয়ে ল্যাপটপে কাজ করা থেকেও ঘাড়ের পেশিতে টান লেগে ব্যথা হয়।
আরও পড়ুন
ঘাড়ে ব্যথার চিকিৎসা
ঘাড়ে ব্যথার চিকিৎসা কারা ঝুঁকিতে
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর থেকে স্পন্ডাইলোসিসের পরিবর্তন শুরু হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর আগেও হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। সামনে ঘাড় ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয়, এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগ বেশি দেখা যায়। শুধু চেয়ার–টেবিলে বসে কাজ করেন, যেমন ব্যাংকার, নির্বাহী; কম্পিউটারে একনাগাড়ে কাজ, ঘাড়ে ঝাঁকুনি লাগে, এমন পেশা, যেমন মোটরসাইকেল বা সাইকেলচালকদেরও এ রোগ হতে পারে।
লক্ষণ
ঘাড়ের ব্যথা অনেক সময় কাঁধ থেকে ওপরের পিঠ, বুক, মাথার পেছনে বা বাহু হয়ে হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঘাড় থেকে হাতে নেমে আসা স্নায়ু বা নার্ভের ওপর চাপ পড়লে পুরো হাতেই ব্যথা হতে পারে। সার্ভিক্যাল স্পন্ডোলাইসিসের সমস্যা সবচেয়ে গুরুতর হয়ে দেখা দেয় যখন স্পাইনাল কর্ডের ওপর চাপ পড়ে। হাত–পায়ে দুর্বলতা, হাঁটতে অসুবিধা হতে পারে। পায়খানা-প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থাও হতে পারে। ঘাড় নাড়াতে গেলে ব্যথা লাগে। ডানে–বাঁয়ে ঘাড় ঘোরাতে সমস্যা হয়। ঘাড়ে জ্যাম ধরে থাকে।
ব্যথার সঙ্গে হাতে, বাহুতে হতে পারে ঝিনঝিন, শিরশির, অবশ ভাব, সুচ ফোটানোর অনুভূতি। সেই সঙ্গে হাত দিয়ে কোনো কাজ করতে অসুবিধা হয়।
পেশিতে টান পড়ার কারণেও ঘাড়ে ব্যথা হয়। স্নায়ু সংকোচন, অর্থাৎ ঘাড়ের ভার্টিব্রায় হার্নিয়েটেড ডিস্ক বা হাড়ের উৎস মেরুদণ্ডের কর্ড থেকে বেরিয়ে আসা স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ার কারণেও ব্যথা হয়। বিভিন্ন সময় আঘাতের কারণে এমনটা হতে পারে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মেনিনজাইটিস বা ক্যানসারের মতো কয়েকটি রোগেও হতে পারে ঘাড়ব্যথা।
নিজেই করুন প্রতিকার
প্রতিদিনকার রুটিনে কিছু পরিবর্তন এনে সাধারণ ঘাড়ব্যথার প্রতিকার করা যায়।
শারীরিক ভঙ্গি স্বাস্থ্যকর করুন। বসে থাকার সময় আপনার মেরুদণ্ড যেন সরলরেখায় থাকে এবং কান সরাসরি আপনার কাঁধের ওপরে থাকে।
দীর্ঘ সময় একটানা বসে কাজ না করে এক ঘণ্টা পরপর ১০ মিনিট বিরতি নিন। যদি দীর্ঘ দূরত্বে ভ্রমণ করেন বা দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করেন, তবে উঠে পড়ুন, ঘুরে দেখুন এবং ঘাড় ও কাঁধ সামনে–পেছনে প্রসারিত করুন।
কাজের টেবিল–চেয়ার ও কম্পিউটার এমনভাবে সামঞ্জস্য করুন, যাতে মনিটর চোখের স্তরের সমান থাকে। দুই হাঁটু হিপের কিছুটা নিচে থাকবে। চেয়ারে আর্মরেস্ট বা হাতল ব্যবহার করা যেতে পারে। টেবিলে কুঁজো হয়ে বসবেন না।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?