রমজানের প্রস্তুতি আল কাউসার
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে রমজানের প্রস্তুতি আল কাউসার পান।
রমযান প্রসঙ্গ
রমযান প্রসঙ্গ শাবান-রমযান ১৪৪৪ শিক্ষার্থীদের পাতা
তারাবীতে তিলাওয়াতে কুরআন এবং হাফেয ছাত্রদের করণীয়
بسم الله الرحمن الرحيم نحمده ونصلي على رسوله الكريم. তারাবীর নামাযে তিলাওয়াতে কুরআন সম্পর্কে কিছু কথা বলার ইচ্ছা আছে, যেগুলো খেয়াল রাখলে ফায়দা হবে ইনশাআল্লাহ। এর মাধ্যমে আশা করি…
মাওলানা গিয়াসুদ্দীন আহমদ
শাবান-রমযান ১৪৪৪
হাদীস ও আছারের আলোকে রোযার মাসায়েল
بسم الله الرحمن الرحيم রোযার গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল আলকাউসারে একাধিকবার লেখা হয়েছে। প্রথমবার লেখা হয়েছিল ফিকহ ও ফতোয়ার নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহের উদ্ধৃতিতে। একবার হাদীস ও আছারের কিতাবা…
সুবহে সাদিক কখন শুরু?যিলকদ ১৪৪৩
প্রসঙ্গ : আহসানুল ফাতাওয়ার উদ্ধৃতিগুলোর পর্যালোচনা-৫
বিগত কয়েক সংখ্যায় আহসানুল ফাতাওয়ার حوالجات : تحقیقات قدیمہ শিরোনামের সকল উদ্ধৃতির পর্যালোচনা মুহতারাম পাঠকের খেদমতে পেশ করা হয়েছে। এতে আমরা দেখেছি, ১৫°-এ সুবহে সাদিক হওয়ার দাবিট…
মাওলানা মুহাম্মাদ ফয়যুল্লাহ
মাহে রমযানের পরশাওয়াল ১৪৪৩ সম্পাদকীয়
সওম ও রমযানের শিক্ষা অক্ষয় হোক আমাদের জীবনে
মাহে রমযান আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নিআমত ছিল। এ মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে। সওম ও তারাবীর বিশেষ বিধানের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাঁর নৈকট্য অর্জনের উপায় নির্দেশ করেছেন। …
শাবান-রমযান ১৪৪৩
ঈদ উদযাপন : সালাফের কিছু অবস্থা ও অনুভূতি
মেহেরবান আল্লাহ আমাদের দুটি ঈদ দান করেছেন। ঈদ হল খুশির দিন, আনন্দের মৌসুম। ঈদে আমরা খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করব এবং দরিদ্র ও অসহায়দের সুখ ও আনন্দদানের চেষ্টা করব। তবে স্মরণ রাখতে হবে, মু…
মাওলানা মুহাম্মাদ ইমরান হুসাইন
মাহে রমযানুল মুবারকশাবান-রমযান ১৪৪৩
তাকওয়ার দীপ্তিতে উজ্জিবীত হোক মুমিনের জীবন
মাহে রমযানুল মুবারক। শ্রেষ্ঠত্ব মহিমা ও অফুরন্ত ফযীলতে উদ্ভাসিত একটি মাস। মুমিনের বহুল প্রতীক্ষিত এই পবিত্র রমযানুল মুবারক আগমন করে রহমত বরকত ও মাগফিরাতের সওগাত নিয়ে। বার্তা দিয়ে যায় …
মুহাম্মাদ আশিক বিল্লাহ তানভীর
শাওয়াল ১৪৪২
রোযার কথা মনে থাকুক বছরজুড়ে
রমযানুল মোবারক শেষ হয়ে গেল। আল্লাহর মুর্কারাব ও নেককার বান্দারা রমযান আসার আগেই তার আপেক্ষায় থাকেন। প্রস্তুতি নিতে থাকেন। রমযান যখন শেষ হয়ে যায়, খুব স্বাভাবিক কারণেই তাদের কষ্ট হতে থ…
মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ
মাহে রমযানের পরশাওয়াল ১৪৪২ সম্পাদকীয়
আমাদের জীবনে আসুক আল্লাহর ভয়
এবারের মাহে রমযান বিভিন্ন দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এবং তজ্জনিত নানা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। আমাদের দেশেও সর্বত্র এখনো একটি ভীতির আবহ ব…
শাবান-রমযান ১৪৪২
বিশ রাকাত তারাবী কি বিদআত!
(পূর্ব প্রকাশিতের পর) প্রজন্ম পরম্পরায় চলে আসা হারামাইন শরীফাইনের আমল তারাবীর বিষয়ে প্রজন্ম পরম্পরায় চলে আসা মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীর আমল অনুসরণীয় বাস্তবতা। এ দুই মসজিদের মাকাম ও…
শায়েখ মুহাম্মাদ আলী আসসাবুনী
শাবান-রমযান ১৪৪২
শাবান রমযান ঈদ : কিছু নিবেদন
আল্লাহ তাআলার অপার মেহেরবানী, তিনি আমাদেরকে ১৪৪২ হিজরীর শাবান-রমযানে উপনীত করেছেনÑ আলহামদু লিল্লাহ। আল্লাহর দরবারে প্রত্যাশা রাখি পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তি-নিরাপত্তা ও আনন্দের সাথে ঈদ…
মুহাম্মাদ আশিক বিল্লাহ তানভীর
রমযানুল মুবারকের তোহফাশাবান-রমযান ১৪৪২
গ্রহণ করি ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে
আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেনÑ يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা…
সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.
শাবান-রমযান ১৪৪২ সম্পাদকীয়
খোশ আমদেদ মাহে রমযান!
বর্তমান সংখ্যাটি শাবান-রমযান সংখ্যা। শাবান মাসের নাম উচ্চারণ করলে রমযান মাসের নামও মনে পড়ে যায়। শাবান যেন মাহে রমযানের ভ‚মিকা। তাই শাবান মাস থেকেই মুমিনের মন-মননে মাহে রমযানের আগ…
শাওয়াল ১৪৪০
কেমন হবে রমযান পরবর্তী জীবন?
রমযান হল ঈমান-আমলের উন্নতি ও তাকওয়া হাসিলের এক মোক্ষম সময়। এটি পুরো বছর গুনাহ বর্জন, ইবাদতের শক্তি সঞ্চয় ও আত্মিক পাথেয় সংগ্রহের এক মহা সুযোগ। ঐ ব্যক্তিই রমযান হতে কাক্সিক্ষত সুফল ও উপক…
মাওলানা ইমদাদুল্লাহ বিন আশরাফ আলী
শাবান-রমযান ১৪৪০ শিশু-কিশোর
ছোট্ট সা‘দের রোযা
বছর ঘুরে আবারো রমযানুল মুবারকের আগমন ঘনিয়ে এসেছে। সা‘দের আব্বু বলেন, রমযান হচ্ছে এক বছর পর পর আসা সম্মানিত অতিথি। এই অতিথি শুধু একমাস থাকে, তারপর চলে যায়। এই এক মাসে অতিথির যদি …
বিনতে ইসমাঈল শাবান-রমযান ১৪৪০
মাহে রমযান : ফযীলত ও করণীয়
মাহে রমযান বছরের বাকি এগার মাস অপেক্ষা অধিক মর্যাদাশীল ও বরকতপূর্ণ মাস। এ মাসের বিশেষত্ব অনেক। ১. এ মাসেই মানুষ ও জিন জাতির মুক্তির সনদ পুরো কুরআন মাজীদ একত্রে লাওহে মাহফূয থেকে প্…
মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া
১ ২
সাম্প্রতিক সংখ্যা »
কপিরাইট © ২০২৩ মাসিক আলকাউসার । সম্পাদক ও প্রকাশক: আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ।
সার্কুলেশন: ৩০/১২, পল্লবী, মিরপুর-১২, ঢাকা-১২১৬, মোবাইল: ০১৯৮৪ ৯৯ ৮৮ ২২, ইমেইল: info@alkawsar.com
রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে আমরা কিভাবে প্রস্তুতি নিব
রমজান মাসের আগমন উপলক্ষে আমরা কিভাবে প্রস্তুতি নিব
92748
প্রশ্ন
আমরা কিভাবে রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিব? এই মহান মাসে কোন আমলগুলো অধিক উত্তম?
উত্তর
সংশ্লিষ্ট আলহামদু লিল্লাহ।. এক :
প্রিয় ভাই, আপনি একটি ভাল প্রশ্ন করেছেন। আপনি রমজান মাসের প্রস্তুতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন। এমন একটি সময়ে আপনি প্রশ্নটি করেছেন যখন সিয়াম সম্পর্কে বহু মানুষের ধ্যান ধারণা পাল্টে গেছে। তারা এই মাসকে খাবার-দাবার, পান-পানীয়, মিষ্টি-মিষ্টান্ন, রাত জাগা ও স্যাটেলাইট চ্যানেল উপভোগ করার মৌসুম বানিয়ে ফেলেছে। এর জন্য তারা রমজান মাসের আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে; এই আশংকায় যে- কিছু খাদ্যদ্রব্য কেনা বাদ পড়ে যেতে পারে অথবা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এভাবে তারা খাদ্যদ্রব্য কেনা, হরেক রকম পানীয় প্রস্তুত করা এবং কী অনুষ্ঠান দেখবে, আর কী দেখবে না সেটা জানার জন্য স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর প্রোগ্রামসূচী অনুসন্ধান করার মাধ্যমে এর জন্য প্রস্তুতি নেয়। অথচ রমজান মাসের তাৎপর্য সম্পর্কে সত্যিকার অর্থেই তারা অজ্ঞ। তারা এ মাসকে ইবাদত ও তাকওয়ার পরিবর্তে উদরপূর্তি ও চক্ষুবিলাসের মৌসুমে পরিণত করে।
দুই :অপরদিকে কিছু মানুষ রমজান মাসের তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতন। তারা শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে থাকে। এমনকি তাদের কেউ কেউ শাবান মাসের আগ থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
রমজানের জন্য প্রস্তুতির কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ হল:
১. একনিষ্ঠভাবে তওবা করা :
তওবা করা সবসময় ওয়াজিব। তবে ব্যক্তি যেহেতু এক মহান মাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাই অনতিবিলম্বে নিজের মাঝে ও স্বীয় রবের মাঝে যে গুনাহগুলো রয়েছে এবং নিজের মাঝে ও অন্য মানুষের মাঝে অধিকার ক্ষুণ্ণের যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো থেকে দ্রুত তওবা করে নেয়া উচিত। যাতে করে সে পূত-পবিত্র মন ও প্রশান্ত হৃদয় নিয়ে এ মুবারক মাসে প্রবেশ করতে পারে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতে মশগুল হতে পারে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন: “আর হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহ্র কাছে তওবা কর; যাতে করে সফলকাম হতে পার।”[২৪ আন-নূর : ৩১]
আল-আগার্র ইবনে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلَى اللَّهِ فَإِنِّي أَتُوبُ فِي الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرَّةٍ رواه مسلم ( 2702 )
“হে লোকেরা, আপনারা আল্লাহ্র কাছে তওবা করুন। আমি প্রতিদিন তাঁর কাছে ১০০ বার তওবা করি।” [হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম (২৭০২)]২. দোআ করা:
কিছু কিছু সলফে সালেহীন হতে বর্ণিত আছে যে, তারা ৬ মাস আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন যেন আল্লাহ তাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছান। রমজানের পর পাঁচ মাস দোয়া করতেন যেন আল্লাহ তাঁদের আমলগুলো কবুল করে নেন।
তাই একজন মুসলিম তার রবের কাছে বিনয়াবনতভাবে দোয়া করবে যেন আল্লাহ তাআলা তাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রেখে, উত্তম দ্বীনদারির সাথে রমজান পর্যন্ত হায়াত দেন। সে আরো দোয়া করবে আল্লাহ যেন তাকে নেক আমলের ক্ষেত্রে সাহায্য করেন। আরো দোয়া করবে আল্লাহ যেন তার আমলগুলো কবুল করে নেন।
৩. এই মহান মাসের আসন্ন আগমনে খুশি হওয়া :
রমজান মাস পাওয়াটা একজন মুসলিমের প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ নেয়ামত। যেহেতু রমজান কল্যাণের মৌসুম। যে সময় জান্নাতের দরজাগুলো উন্মুক্ত রাখা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ রাখা হয়। রমজান হচ্ছে- কুরআনের মাস, সত্যমিথ্যার মধ্যে পার্থক্য রচনাকারী জিহাদি অভিযানগুলোর মাস। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ [10 يونس : 58]
“বলুন, এটি আল্লাহ্র অনুগ্রহে ও তাঁর দয়ায়। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক । এটি তারা যা সঞ্চয় করে রাখে তা থেকে উত্তম।” [১০ ইঊনুস : ৫৮]৪. কোন ওয়াজিব রোজা নিজ দায়িত্বে থেকে থাকলে তা হতে মুক্ত হওয়া :
আবু সালামাহ্ হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন:
كَانَ يَكُونُ عَلَيَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَهُ إِلا فِي شَعْبَانَ رواه البخاري ( 1849 ) ومسلم ( 1146 )
“আমার উপর বিগত রমজানের রোজা বাকি থাকলে শা‘বান মাসে ছাড়া আমি তা আদায় করতে পারতাম না।”[হাদিসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী (১৮৪৯) ও ইমাম মুসলিম (১১৪৬)]
হাফেয ইবনে হাজার রাহিমাহুল্লাহ বলেন: “আয়েশা (রাঃ) এর শাবান মাসে কাযা রোজা আদায় পালনে সচেষ্ট হওয়া থেকে বিধান গ্রহণ করা যায় যে, রমজানের কাযা রোজা পরবর্তী রমজান আসার আগেই আদায় করে নিতে হবে।” [ফাতহুল বারী (৪/১৯১)]
৫. রোজার মাসয়ালা-মাসায়েল জেনে নেয়া এবং রমজানের ফজিলত অবগত হওয়া।
৬. যে কাজগুলো রমজান মাসে একজন মুসলমানের ইবাদত বন্দেগীতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে সেগুলো দ্রুত সমাপ্ত করার চেষ্টা করা।
৭. স্ত্রী-পুত্রসহ পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে বসে রমজানের মাসয়ালা-মাসায়েল আলোচনা করা এবং ছোটদেরকেও রোজা পালনে উদ্বুদ্ধ করা।
৮. যে বইগুলো ঘরে পড়া যায় এমন কিছু বই সংগ্রহ করা অথবা মসজিদের ইমামকে হাদিয়া দেয়া যেন তিনি মানুষকে পড়ে শুনাতে পারেন।
৯. রমজানের রোজার প্রস্তুতিস্বরূপ শাবান মাসে কিছু রোজা রাখা:
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لا يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لا يَصُومُ ، فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلا رَمَضَانَ ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ . رواه البخاري ( 1868 ) ومسلم ( 1156 )
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনভাবে সিয়াম পালন করতেন যে, আমরা বলতাম – তিনি আর সিয়াম ভঙ্গ করবেন না এবং এমনভাবে সিয়াম ভঙ্গ করতেন যে আমরা বলতাম – তিনি আর সিয়াম পালন করবেন না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে রমজান ছাড়া অন্য কোন মাসের গোটা অংশ রোজা পালন করতে দেখিনি এবং শাবান ছাড়া অন্য কোন মাসে অধিক সিয়াম পালন করতে দেখিনি।” [এটি বর্ণনা করেছেন আল-বুখারী (১৮৬৮) ও মুসলিম (১১৫৬)]
our Islam » রজব মাস থেকেই শুরু হোক রমজানের প্রস্তুতি
রজব মাস থেকেই শুরু হোক রমজানের প্রস্তুতি
জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ ৪:১৯ অপরাহ্ণ
3 Shares ShareTweet
আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রজব মুমিনের দরজায় পরম পুণ্যের মাস রমজানের অগ্রিম আগমনী বার্তা পৌঁছায়। ইসলামে রজব মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। বছরের যে চারটি মাসকে আল্লাহ তাআলা শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম্য দিয়েছেন, সেগুলোকে ‘আশহুরুল হুরুম’ বা সম্মানিত মাস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রজবও এই চার মাসের অন্যতম।ইসলামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে রজব মাসের যোগসূত্র ও সম্পৃক্ততা রয়েছে। প্রিয় মহানবী সা. রজব মাসে বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে আকাশপথে মেরাজে গমন করেছিলেন।
মহানবী সা. এর নবুয়ত লাভ-পরবর্তী ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বিস্ময়কর ও অভাবনীয় ঘটনা।
রজব মাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
মহানবী সা. এর কাছে সর্বপ্রথম রজব মাসেই ওহি অবতীর্ণ হয়। হিজরি পঞ্চম বর্ষের রজব মাসেই মুসলমানরা ‘হাবশা’র (বর্তমান ইরিত্রিয়া) উদ্দেশ্যে প্রথম হিজরত করেন। (উয়ুনুল আছর, ১/১৫২)
নবম হিজরির রজব মাসে ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তাবুক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল; যাতে মুসলমানরা ত্যাগ-নিষ্ঠা ও কোরবানির পরাকাষ্ঠা উপস্থাপন করেছিলেন। (সিরাতে ইবনে হিশাম, ৫/১৯৫)
মহানবী সা. হাবশার নীতিবান বাদশাহ ও মুসলমানদের সহযোগী নাজ্জাসির মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা করেছিলেন এবং সেদিন ইসলামের ইতিহাসের একমাত্র গায়েবি জানাজা পড়েছিলেন। (আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৫/৩৯)
১৪ হিজরির এ মাসে সিরিয়ার রাজধানী বিজয় মুসলমানদের হাতে এবং ১৫ হিজরির রজব মাসে ইয়ারমুকের মর্মান্তিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। (আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৪/০৭)
এছাড়াও ছোটখাটো অনেক যুদ্ধ-বিগ্রহ সংঘটিত হয়েছিল এই পবিত্র মাসে। তাফসিরে তাবারি ও বাগভিতে রয়েছে, আল্লাহর নবী নূহ আ. মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় রজব মাসের ১০ তারিখে কিস্তিতে আরোহণ করেছিলেন। (মাআরেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা- ৬৩২)
রজব মাসের মর্যাদা ও তাৎপর্যহিজরি বর্ষের অন্যান্য মাসের মধ্যে রজব মাস অতীব সম্মানিত ও মর্যাদাবান। তাৎপর্যবহ ও বরকতময়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই মহান আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাসের সংখ্যা বারোটি। এর মধ্যে চারটি হচ্ছে (যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্য নিষিদ্ধ) সম্মানিত। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। ’ (সুরা তাওবা-৩৬)
রজব মাস সম্বন্ধে মহানবী সা. থেকে হজরত আবু বকর রা. বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, ‘বছর হচ্ছে বারো মাস। এর মধ্যে চার মাস হারাম। চারটির মধ্যে তিনটি ধারাবাহিক :জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও (মুদার গোত্রের) রজব মাস; যে মাসটি জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী। ’ (বুখারি-৪৬৬২ ও মুসলিম-১৬৭৯)
‘আশহুরুল হুরুম’ বা সম্মানিত এ চারটি মাসের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে।
রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতিপবিত্র সিয়াম সাধনার বিশেষ গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে দুই মাস আগে রজব থেকেই এর মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রিয় মহানবী সা. প্রতিবছর রজব মাস এলেই রমজানুল মোবারকের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। তার ইবাদত-বন্দেগি সব কিছুতেই একটি পরিবর্তন সূচিত হতো।
রজব সংক্রান্ত একটি হাদিসে আছে, রজব মাস আগমন করলে মহানবী সা. এই দোয়া করতেন- ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান। ’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন আর রমজান পর্যন্ত আমাদের জীবিত রাখুন। ’ (বায়হাকি ফি শুয়াবিল ইমান, হাদিস নং: ৩৫৩৪, তাবরানি ফিল আওসাত, হাদিস নং: ৩৯৩৯, মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং: ২৩৪৬)
প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ মোল্লা আলী কারি রহ. এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘অর্থাৎ হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের ইবাদত-বন্দেগিতে বরকত দান করুন এবং রমজানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সিয়াম-কিয়াম তথা রোজা ও তারাবিহর তাওফিক দান করুন। ’ (মেরকাত-৩/৪৬৩)
আসুন, রজব মাস থেকে পবিত্র রমজানের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি। ইসলাম যেসব ইবাদত-বন্দেগিকে সমর্থন দিয়েছে, সেগুলো মান্য করি এবং শরিয়ত-বহির্ভূত অন্য কাজকর্ম থেকে সর্বদা বিরত থাকি।
টিএ/Google Ads 3 8 2 3 11
সর্বশেষ সব সংবাদ
মুসলমানের দুশ্চিন্তা দূর করার ফজিলত: মুফতি রফি উসমানি রহ.
আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হাদিসের দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে-‘কোনো মুসলমান কারও দুশ্চিন্তা… ...
নেপালের নতুন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল
জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো আদানির ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ
মিথ্যা কথা বলে টাকা রোজগার বিষয়ে দেওবন্দের ফতোয়া
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
যাকাত একটি ফরজ ও আর্থিক ইবাদত
মানুষের অধিকার রক্ষায় ইসলামী শাসনের বিকল্প নেই: ইসলামী আন্দোলন
সঠিক সময়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস সম্ভব: রাষ্ট্রপতি
ডিপ্রেশনে ভোগছেন? ৮টি আমল হতে পারে চিরস্থায়ী সমাধান
শাবান মাসের ফযিলত ও আমল
সম্পর্কিত
রমজানে ওমরায় যেতে সহযোগিতা নিন ‘আল আমিন হজ কাফেলা’র
খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতির খবর গুজব: আইনমন্ত্রী
রোজা উপলক্ষে রংপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
কয়েক সেকেন্ডে দিল্লিতে ধসে পড়ল ৪ তলা ভবন
আগামী তিন দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?