if you want to remove an article from website contact us from top.

    রাসায়নিক পরিবর্তনের ৫ টি উদাহরণ

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে রাসায়নিক পরিবর্তনের ৫ টি উদাহরণ পান।

    রাসায়নিক পরিবর্তনের সাহায্যে পদার্থের শনাক্তকরণ – JUMP Magazine

    শ্রেণিঃ অষ্টম | বিষয়: বিজ্ঞান । অধ্যায় – পদার্থের প্রকৃতি (দ্বিতীয় পর্ব) আগের পর্বে আমরা পদার্থের ভৌত ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেছি। এই পর্বে আমরা পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। …

    WB-Class-8

    রাসায়নিক পরিবর্তনের সাহায্যে পদার্থের শনাক্তকরণ

    Posted on August 2, 2021 Author

    JUMP Magazine Comments Off

    on রাসায়নিক পরিবর্তনের সাহায্যে পদার্থের শনাক্তকরণ

    শ্রেণিঃ অষ্টম | বিষয়: বিজ্ঞান । অধ্যায় – পদার্থের প্রকৃতি (দ্বিতীয় পর্ব)

    Follow JUMP Magazine

    আগের পর্বে আমরা পদার্থের ভৌত ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেছি। এই পর্বে আমরা পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

    কোন পদার্থকে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করতে অনেক ক্ষেত্রে রাসায়নিক ধর্মের সাহায্যে প্রয়োজন হয়। আমরা জানি যে পদার্থ কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করলে শুধুমাত্র তখনই পদার্থটির রাসায়নিক ধর্ম পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়। ভৌত ধর্মের মতন কোন পদার্থের রাসায়নিক ধর্মের প্রভাবে সৃষ্ট পরিবর্তন সাময়িক বা অস্থায়ী হয়না। এর প্রভাবে পদার্থের অণুর গঠনগত পরিবর্তন ঘটে এবং সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয়।

    পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্যসমূহ

    পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। সেগুলি হলঃ-

    1) সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এক বা একাধিক পদার্থের সৃষ্টি হয়।

    2) রাসায়নিক পরিবর্তন স্থায়ী।

    3) এই পরিবর্তনে বস্তুর ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম পরিবর্তিত হয়।

    4) বস্তুর অণুর গঠনগত পরিবর্তন হয়ে সম্পূর্ণ নতুন অণু সৃষ্টি হয়।

    5) রাসায়নিক পরিবর্তন একমুখী। পদার্থকে সহজে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়না।

    6) রাসায়নিক পরিবর্তনে তাপশক্তির উদ্ভব বা শোষণ ঘটে।

    বিভিন্ন পদার্থের বিভিন্ন রকম রাসায়নিক ধর্ম দেখা যায়। যেমন জল, বায়ু, অ্যাসিড বা ক্ষারের সাথে কোন পদার্থের বিক্রিয়া হল একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। একইভাবে কোন বস্তুর দাহ্যতা, দহন তাপ, ক্ষারত্ব বা অম্লত্ব, তেজস্কিয়তা, অর্ধায়ু প্রভৃতি পদার্থের রাসায়নিক ধর্মের উদাহরণ। এই রাসায়নিক ধর্মগুলির সাহায্য আমরা বিভিন্ন পদার্থকে শনাক্ত করতে পারি।

    এই ধরনের রাসায়নিক পরিবর্তন যে শুধুমাত্র রসায়নগারে পরীক্ষার দ্বারা সম্পন্ন করা যায় তা নয়, প্রাকৃতিকভাবেও এই পরিবর্তন ঘটতে পারে। যেমন- কাঠের দহন। কাঠের টুকরোয় আগুন দিলে কার্বন ডাই অক্সাইড, ছাই এবং অঙ্গার উৎপন্ন হয়। এটি কাঠের রাসায়নিক পরিবর্তন, কারণ এখানে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট একাধিক পদার্থ উৎপন্ন হচ্ছে। এই ঘটনা কিন্তু প্রাকৃতিকভাবেও ঘটে থাকে দাবানলের ক্ষেত্রে। এই দাবানল হল প্রাকৃতিক ভাবে রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ।

    দাবানল

    রাসায়নিক পরিবর্তনের সাহায্যে পদার্থের শনাক্তকরণ

    একইভাবে দহনের মাধ্যমে ঘটা রাসায়নিক পরিবর্তনের সাহায্যে আমরা বিভিন্ন পদার্থ শনাক্ত করতে পারি।

    ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইডের শনাক্তকরণ

    ম্যাগনেশিয়াম (Mg) ধাতুকে বাতাসের উপস্থিতিতে দহন করলে এক প্রকার সাদা পাউডার উৎপন্ন হয়। এই সাদা পাউডার হল ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড, যা বাতাসের অক্সিজেনের সাথে ম্যাগনেসিয়ামের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়। এটি একটি তাপমোচী বিক্রিয়া, অর্থাৎ এর ফলে তাপের উদ্ভব হয়

    চিনিতে কার্বনের উপস্থিতির পর্যবেক্ষণ

    কিছুটা চিনি কোন পাত্রে নিয়ে গরম করলে দেখা যায় চিনির বর্ণ পরিবর্তিত হয়ে প্রথমে বাদামী ও আরও পরে কালো হয়ে যায়। এর কারণ হল চিনিতে উপস্থিত কার্বন। চিনি হল হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও কার্বন দিয়ে তৈরী একটি যৌগ (C12H22O11)। তাপের প্রভাবে চিনির অণুতে বর্তমান জল বাষ্পীভূত হয়ে যায়, আর অবশেষ হিসাবে পাওয়া যায় চিনিতে বর্তমান কার্বন।

    কিউপ্রিক অক্সাইডের শনাক্তকরণ

    কিউপ্রিক নাইট্রেট [Cu(NO3)2] হল নিল বর্ণের কেলাসাকার পদার্থ। এই কেলাসে তিন অণু জল বর্তমান থাকে। একে উত্তপ্ত করলে প্রথমে এর কেলাসের মধ্যে বর্তমান জল বাষ্পীভূত হয়ে যায়। আরও গরম করলে এর অণুর রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে কিউপ্রিক অক্সাইড, লালচে বাদামী বর্ণের নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাস ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়।

    নাইট্রিক অক্সাইডের শনাক্তকরণ

    নাইট্রিক অক্সাইড (NO) একটি বর্ণহীন গ্যাস। এই গ্যাস বাতাসের সংস্পর্শে এলে বাদামী বর্ণের গ্যাস উৎপন্ন হয়। এর কারণ, নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে বাদামী বর্ণের নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO2) গ্যাস উৎপন্ন করে।

    ক্যালশিয়াম হাইড্রক্সাইডের শনাক্তকরণ

    একটি পাত্রে কিছু ক্যালশিয়াম অক্সাইড (CaO) অর্থাৎ পাথুরে চুন নিয়ে তাতে কিছু জল দেওয়া হলে দেখা যায় যে জল শব্দ করে ফুটতে শুরু করে এবং তাপ উৎপন্ন হয়। ক্যালশিয়াম অক্সাইড ও জলের মধ্যে বিক্রিয়া ঘটে ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড উৎপন্ন হয়। এটি একটি তাপমোচী বিক্রিয়া।

    সোডিয়াম (Na) ধাতুর শনাক্তকরণ

    সোডিয়াম (Na) ধাতু জলের সংস্পর্শে এলে তীব্র বিক্রিয়া ঘটে বর্ণহীন সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH) দ্রবণ ও হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। এটি একটি তাপমোচী বিক্রিয়া। এই বিক্রিয়ার প্রভাবে সোডিয়াম ধাতু অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সোডিয়ামে আগুন ধরে যাবার সম্ভবনা থাকে।

    সূত্র : jumpmagazine.in

    রাসায়নিক পরিবর্তন কি? সংজ্ঞা ও উদাহরণ

    রাসায়নিক পরিবর্তনে পদার্থের আণবিক গঠন সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়ে একটি নতুন পদার্থ তৈরি হয়। যেমন, লোহার সাথে অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্প বিক্রিয়া করে

    রাসায়নিক পরিবর্তন কি? সংজ্ঞা ও উদাহরণ

    by Azhar Bd Academy - নভেম্বর ০৫, ২০২২ 0

    রাসায়নিক পরিবর্তন কি?

    যে পরিবর্তনে কোন বস্তু বা পদার্থের আণবিক গঠন সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হয়ে একটি নতুন পদার্থ তৈরি হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। অর্থাৎ রাসায়নিক পরিবর্তন এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে এক বা একাধিক পদার্থ এক বা একাধিক নতুন এবং ভিন্ন পদার্থে পরিবর্তিত হয়।

    রাসায়নিক পরিবর্তন একটি অপরিবর্তনীয় এবং স্থায়ী প্রক্রিয়া। পরিবর্তনের সময় পদার্থের ভর পরিবর্তিত হয়, হয় ভর যোগ করা হয় বা সরানো হয়। এছাড়া রাসায়নিক পরিবর্তনে শক্তিরও পরিবর্তন ঘটে। রাসায়নিক পরিবর্তনে তাপ শোষণ বা উৎপন্ন হতে পারে। এতে পরমাণুর সংখ্যা এবং ধরন স্থির থাকলেও তাদের বিন্যাস পরিবর্তিত হয়।

    রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ

    যেকোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ। নিম্মে রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণসমূহ দেওয়া হল,

    লোহায় মরিচা ধরা। গাঁজন প্রক্রিয়া।

    সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া।

    বেকিং সোডা এবং ভিনেগার একত্রিত করা।

    খাদ্য হজম। কাগজ পোড়ানো। ফল পাকা। ফল পচা।

    অ্যাসিড-ক্ষার বিক্রিয়া

    পাতার রং পরিবর্তন। টক দুধ। বর্জ্যের পচন। শ্বসন। মোমের দহন আতশবাজি বিস্ফোরণ। ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রি

    জিংক ও লঘু সালফিউরিক এসিডের বিক্রিয়া

    সাবান বা ডিটারজেন্ট পানির সাথে বিক্রিয়া

    রাসায়নিক পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্য

    রাসায়নিক পরিবর্তনগুলো নিম্মোক্ত বৈশিষ্ট্য দ্বারা চিহ্নিত করা যেতে পারে:

    তাপমাত্রা পরিবর্তন: যেহেতু রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শক্তির পরিবর্তন হয়, তাই প্রায়ই পরিমাপযোগ্য তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়। তাপ শোষণ বা উৎপন্ন হতে পারে।আলো তৈরি: কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া আলো তৈরি করে।বুদবুদ: কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন গ্যাস উৎপন্ন করে যা তরল দ্রবণে বুদবুদ হিসেবে দেখা যায়।রঙ পরিবর্তন: রাসায়নিক পরিবর্তনে রঙ পরিবর্তন হয়ে ভিন্ন কালার সৃষ্টি হয়।গন্ধ পরিবর্তন: রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় উদ্বায়ী রাসায়নিক নির্গত করতে পারে যা গন্ধ তৈরি করে।অপরিবর্তনীয়: রাসায়নিক পরিবর্তনগুলো প্রায়শই অপরিবর্তনীয় এবং এটিকে পূর্বাস্থায় ফেরানো অসম্ভব।গঠনে পরিবর্তন: যখন কাঠ জ্বালানো হয়, তখন এটি ছাই এ পরিণত হয়। যখন খাদ্য পচে যায়, তখন এর গঠন দৃশ্যমানভাবে পরিবর্তিত হয়। এসব গঠন পূর্বাস্থায় আনা অসম্ভব।

    রাসায়নিক পরিবর্তনের ৫ টি উদাহরণ

    ১. এক টুকরো লোহাকে দীর্ঘদিন বাতাসে রেখে দিলে, এটির ওপর মরিচার (ফেরিক অক্সাইড) আবরণ তৈরি হয়। লোহার সাথে বাতাসে বিদ্যমান অক্সিজেন ও জলীয়বাষ্প বিক্রিয়া করে পানিযুক্ত ফেরিক অক্সাইড (Fe2O3) উৎপন্ন করে যা মরিচা নামে পরিচিত। মরিচা লোহা হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সুতরাং এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। মরিচার রাসায়নিক বিক্রিয়া হল,

    4Fe(s) + 3O2(g) + 6H2O(l)→ 4Fe (OH)3(s)

    ২. সূর্যালোকের উপস্থিতিতে, উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি করতে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং পানি বিক্রিয়া করে খাদ্য (গ্লুকোজ) এবং অক্সিজেন উতপন্ন করে যা সালোকসংশ্লেষণ নামে পরিচিত। এটি দৈনন্দিন রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এইভাবে গাছপালা নিজেদের এবং প্রাণীদের জন্য খাদ্য তৈরি করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করে। বিক্রিয়ার সমীকরণ হল:

    6 CO2 + 6 H2O + আলো → C​6H12O6 + 6 O2

    ৩. খাদ্য হজমের সময় রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। মুখের মধ্যে খাবার দেওয়ার সাথে সাথে লালার মধ্যে থাকা অ্যামাইলেজ নামক একটি এনজাইম শর্করা এবং অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটগুলিকে আপনার শরীর শোষণ করতে পারে এমন সহজ আকারে ভেঙে দিতে শুরু করে।

    আপনার পাকস্থলীতে থাকা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড খাবারের সাথে বিক্রিয়া করে এটিকে আরও ভেঙে দেয়। সবশেষে, এনজাইমগুলো প্রোটিন এবং চর্বি বিচ্ছিন্ন করে এবং রক্তের মাধ্যমে শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে।

    ৪. অ্যাসিড (যেমন, ভিনেগার, লেবুর রস, সালফিউরিক অ্যাসিড) এবং ক্ষারক (যেমন, বেকিং সোডা, সাবান, অ্যামোনিয়া বা অ্যাসিটোন) একত্রিত করলে, একটি অ্যাসিড-ক্ষার বিক্রিয়া শুরু হয়। অ্যাসিড-ক্ষারকের বিক্রিয়ায় লবণ (KCl) ও পানি (H2O) উৎপাদন হয়। তাই এটি একটি রাসয়নিক পরিবর্তন। অ্যাসিড-ক্ষারকের বিক্রিয়ার সমীকরণটি হল,

    HCl + KOH → KCl + H2O

    ৫. মোমবাতির দহন একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। কারণ মোমবাতি জ্বলার সময় তাপে কিছু মোম গলে যায়, এটি ভৌত পরিবর্তন। কিন্তু অধিকাংশ মোম বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2) ও জলীয় বাষ্প (H2O) উৎপন্ন করে। কার্বন ডাই অক্সাইড ও জলীয় বাষ্পের ধর্ম মোমের ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সুতরাং মোমবাতির দহন একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।

    সূত্র : www.azharbdacademy.com

    রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ: বিস্তারিত বিশ্লেষণ

    রাসায়নিক পরিবর্তন সাধারণত ঘটে যখন দুটি পদার্থ একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে বা একত্রিত হয়ে একটি ভিন্ন পদার্থ তৈরি করে।

    রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ: বিস্তারিত বিশ্লেষণ

    By দূর্বা ডেভ

    রাসায়নিক পরিবর্তন সাধারণত ঘটে যখন দুটি পদার্থ একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে বা একত্রিত হয়ে একটি ভিন্ন পদার্থ তৈরি করে।

    যখন পদার্থের যেকোনো দুই বা ততোধিক পদার্থ একে অপরের সাথে প্রতিক্রিয়া দেখায়, তখন দুটি ধরণের পরিবর্তন ঘটে: শারীরিক পরিবর্তন যা সাধারণত বিপরীত হয় এবং রাসায়নিক পরিবর্তন যা সাধারণত অপরিবর্তনীয়। এই বিভাগে, আমরা পদার্থে ঘটছে রাসায়নিক পরিবর্তন এবং রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণগুলি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বোঝার চেষ্টা করব।

    অপরিবর্তনীয় প্রক্রিয়া হল এমন প্রক্রিয়া যেখানে বস্তুর আণবিক গঠন আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হওয়ার কারণে বিষয়টিকে তার প্রাথমিক আকারে ফিরিয়ে আনা যায় না।

    রাসায়নিক পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্য

    আমরা নির্ণয় করতে পারি যে বিষয়টি একটি মাধ্যমে গেছে কিনা রাসায়নিক পরিবর্তন বা নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলির সাহায্যে নয়:

    যদি বস্তু/পদার্থের আণবিক গঠন পরিবর্তিত হয়।

    আলো উৎপন্ন হলে।

    যদি পদার্থের তাপমাত্রায় পরিবর্তন হয় কারণ আণবিক গঠনে পরিবর্তন ঘটলে শক্তি হয় মুক্তি বা শোষিত হয়।

    যখন শক্তি নির্গত হয়, তখন এটি একটি হিসাবে পরিচিত হয় বহির্মুখী প্রতিক্রিয়া.

    যখন শক্তি শোষিত হয়, এটি একটি হিসাবে পরিচিত হয় এন্ডোথার্মিক প্রতিক্রিয়া.

    যদি শব্দ উৎপন্ন হয়।

    যদি পদার্থে উপস্থিত বিক্রিয়কগুলির ভরের পরিবর্তন হয়।

    যদি কম্পোজিশনের পরিবর্তন হয়।

    যদি গ্যাস উৎপন্ন হয়।

    যদি পদার্থের রঙ পরিবর্তন হয়।

    যদি একটি বর্ষণ গঠিত হয়।

    তরলের ক্ষেত্রে বুদবুদ তৈরি হতে পারে।

    যদি গন্ধ বের হয়।

    যদি পরিবর্তনটি বিপরীত করা কঠিন বা বিপরীত করা অসম্ভব।

    একটি রাসায়নিক পরিবর্তন সমস্ত লক্ষণগুলি প্রদর্শন নাও করতে পারে, তবে কয়েকটি ঘটতে পারে।

    রাসায়নিক পরিবর্তনের ধরন

    সার্জারির রাসায়নিক পরিবর্তনের প্রকার তিনটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত:

    জৈব পরিবর্তন অজৈব পরিবর্তন

    জৈব রাসায়নিক পরিবর্তন

    আরও, আমাদের এই তিনটি পরিবর্তন ঘনিষ্ঠভাবে দেখা যাক:

    1. জৈব পরিবর্তন

    'কার্বন' - জৈব রসায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির মধ্যে একটি এবং তাই জৈব পরিবর্তন।

    কার্বন এবং উপাদান বা যৌগ যার সাথে এটি বিক্রিয়া করে তার রসায়নের সাথে সম্পর্কিত পরিবর্তনগুলি জৈব রসায়ন নামে পরিচিত।

    এইভাবে, যখন একটি পদার্থ কার্বন এবং এর যৌগগুলির সাথে জড়িত একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, তখন এটি জৈব রাসায়নিক পরিবর্তন বা সহজভাবে জৈব পরিবর্তন হিসাবে পরিচিত।

    জৈব পরিবর্তনের কিছু সাধারণ উদাহরণ জড়িত:

    হাইড্রোকার্বন ক্র্যাকিং তেল শোধনাগারে পেট্রল তৈরির জন্য অপরিশোধিত তেল থেকে।হ্যালোজেনেশন, যার অর্থ ফ্লোরিন (F), ক্লোরিন (Cl), আয়োডিন (I), ব্রোমিন (Br) ইত্যাদির মতো মৌলিক হ্যালোজেনগুলির সাথে কাজ করে এমন প্রতিক্রিয়া।ঘনীভবন প্রতিক্রিয়া যেখানে দুটি বা ততোধিক অণুর সংমিশ্রণ থেকে একটি একক অণু গঠিত হয়। সাধারণত, এই ধরনের প্রতিক্রিয়া ঘটলে জলের ক্ষতি হয়; এটি ঘনীভবন প্রতিক্রিয়া হিসাবে পরিচিত।Methylation, যার মানে একটি সাবস্ট্রেটে একটি মিথাইল গ্রুপ যোগ করা।পলিমারাইজেসন, যা 3-মাত্রিক নেটওয়ার্কগুলিতে একটি পলিমার চেইন গঠনের জন্য মনোমার অণুর প্রতিক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করে।

    2. অজৈব পরিবর্তন

    যে বিক্রিয়াগুলি 'কার্বন'কে জড়িত করে না সেগুলিকে অজৈব বিক্রিয়া বলা হয় এবং তাই অজৈব রাসায়নিক পরিবর্তন বা কেবল অজৈব পরিবর্তন।

    অজৈব পরিবর্তনের সাথে জড়িত প্রতিক্রিয়াগুলির সাধারণ প্রকারগুলি হল:

    একটি বেস সঙ্গে অ্যাসিড মিশ্রণ, সাধারণত হিসাবে পরিচিত নিরপেক্ষতা.

    রেডক্স প্রতিক্রিয়া যেখানে অক্সিডেশন বা হ্রাসের কারণে পরমাণুর জারণ অবস্থার পরিবর্তন হয়।পচন প্রতিক্রিয়া যেখানে একটি যৌগ দুই বা ততোধিক পদার্থে বিভক্ত হয়।স্থানচ্যুতি প্রতিক্রিয়া যেখানে একটি যৌগের একটি পরমাণু বা আয়ন অন্য যৌগের একটি পরমাণু বা আয়ন প্রতিস্থাপন করে।

    3. জৈব রাসায়নিক পরিবর্তন

    এটি এমন একটি রসায়ন যা জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে ঘটে যেমন উদ্ভিদ, প্রাণী, মানুষ, অণুজীব ইত্যাদি, যেখানে এনজাইম এবং প্রোটিন বেশিরভাগ প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। জৈব রাসায়নিক পরিবর্তন অত্যন্ত জটিল, এবং এটি এখনও সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায় না।

    সাধারণ ধরনের জৈব রাসায়নিক পরিবর্তন জড়িত:

    সালোকসংশ্লেষ উদ্ভিদ, শেওলা এবং সায়ানোব্যাকটেরিয়া (ব্যাকটেরিয়াগুলির একটি গ্রুপ) দ্বারা ব্যবহৃত একটি প্রক্রিয়া যা সাধারণত সূর্যালোক থেকে প্রাপ্ত আলোক শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে যাতে এটি পরে জীবের কার্যকলাপে জ্বালানি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।প্রোটিন সংশ্লেষণ, যা অণুতে প্রোটিন তৈরি করে যা জীবের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।ক্রেবস চক্র, যা একটি প্রক্রিয়া যা মুক্তি দেয় সঞ্চিত শক্তি অক্সিডেশনের মাধ্যমে প্রোটিন, চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট থেকে প্রাপ্ত।হজম একটি প্রক্রিয়া যেখানে বড় খাদ্য অণুগুলি ছোট খাদ্য অণুতে ভেঙে যায় যাতে তারা রক্তের প্লাজমাতে শোষিত হতে পারে যা শরীরকে নড়াচড়া করতে এবং বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে।

    আরও পড়ুন স্থির বলের উদাহরণ

    রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ

    1. লোহা মরিচা

    মরিচা ধরা একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া যা ঘটে যখন লোহা বা এর মিশ্রণগুলি আর্দ্রতার উপস্থিতিতে অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে এবং তাই এটি এক ধরনের রেডক্স প্রতিক্রিয়া যা অক্সিডেশন নামে পরিচিত।

    আয়রন(Fe)+অক্সিজেন(O)+জল(H2O) = হাইড্রেটেড আয়রন(III) অক্সাইড

    ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমুদ্রের জলে লবণের উপস্থিতির কারণে সমুদ্রে নিমজ্জিত বস্তুগুলি দ্রুত মরিচা ধরে।

    মরিচা যেমন এক প্রকার অপরিবর্তনীয় রাসায়নিক পরিবর্তন, লোহাকে তার আসল আকারে ফিরিয়ে আনা যায় না, তবে এটি নিশ্চিতভাবে মরিচা আটকানো থেকে প্রতিরোধ করা যেতে পারে অ-মরিচাযুক্ত উপকরণ ব্যবহার করে বা ধীর মরিচা ধরা উপকরণগুলিকে ক্ষয়প্রাপ্ত সামগ্রীতে একটি প্রতিরক্ষামূলক আবরণ হিসাবে, উপাদানটিকে গ্যালভানাইজ করে বা পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে উপাদানটিকে আবরণ করে, মোম টেপ, বার্নিশ, এবং বার্ণিশ.

    সূত্র : bn.lambdageeks.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 14 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন