if you want to remove an article from website contact us from top.

    শবে বরাতের নফল রোজার নিয়ত

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে শবে বরাতের নফল রোজার নিয়ত পান।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি

    শবে বরাতের রোজা কয়টি এবং শবে বরাতের রোজার নিয়ত সম্পর্কে এই পোস্টের বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

    Home islam shobe borat

    শবে বরাতের রোজা কয়টি-শবে বরাতের রোজার নিয়ত । Shobe Borat Roja Koity

    শবে বরাতের রোজা কয়টি এবং শবে বরাতের রোজার নিয়ত সম্পর্কে এই পোস্টের বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি অথবা শবে বরাতের রোজার নিয়ত সম্পর্কে যারা ইন্টারনেটে সার্চ দিচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্ট। নিচে আমরা শবে বরাতের রোজা কয়টি এবং শবে বরাতের রোজার নিয়ত সেই সাথে ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আরো জানিয়ে রাখছি যে শবেবরাত সম্পর্কে যদি আপনার আরো প্রশ্ন থাকে ইনশাল্লাহ এই পোস্টের মাধ্যমে সেগুলোর সমাধান পাবেন।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি

    শবে বরাতের রোজা কয়টি এ সম্পর্কে আমাদের মনে অনেক কৌতুহল রয়েছে। তাই আপনাকে সর্বপ্রথম আমি জানিয়ে রাখছি যে শবে বরাত উপলক্ষে কোন রোজা নেই। বড় বড় ইসলামিক চিন্তাবিদ একমত প্রকাশ করেছেন যে শবে বরাত উপলক্ষে আসলে কোন রোজা নেই। তাই আমরা বলতে পারি যেহেতু শবে বরাত উপলক্ষে কোন রোজা নেই তাই শবে বরাতের রোজা কয়টি সেই প্রশ্ন তোলাটাই অবান্তর। শবে বরাতের রোজা কয়টি এই মর্মে কয়েকটি হাদিস পাওয়া গেলেও ইসলাম িক স্কলারগণ মনে করেন বা বলেন যে এগুলো সব জাল হাদিস। তাই বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলারদের রহস্যমতে যেহেতু শবে বরাত উপলক্ষে কোন রোজা নেই তাই আমরা বলতে পারি আশা করছি শবে বরাতের রোজা কয়টি সে সম্পর্কে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।

    শাবান মাসে কয়টি রোজা রাখতে হয়

    শাবান মাসে শবে বরাত উপলক্ষে যদিও কোনো রোজা নেই তবে আমাদের নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাঃ সাবান মাসে বেশি বেশি নফল এবাদত এবং নফল রোজা রাখতেন। এব্যাপারে রাসুল সাঃ বলেন যখন সাবানের মধ্য দিবস আসে তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করো ও দিনের রোজা পালন কর সুনানে ইবনে মাজাহ। তবে শাবান মাসের ১৩-১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বীজের নফল রোজা রয়েছে উল্লেখযোগ্য যে এই রোজা আমাদের আদি পিতা হযরত আদম আলাই সাল্লাম এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ পালন করতেন যা মূলত একটি সুন্নত ইবাদত।

    শবে বরাতের রোজার নিয়ত- শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলা

    যেহেতু আমরা ইতিমধ্যে বলেছি যে শবে বরাত উপলক্ষে কোন রোজা নেই তাই শবে বরাতের রোজার নিয়ত সম্পর্কে কিছু বলার প্রশ্নই আসে না। তবে যাই হোক শবে বরাতের রোজার নিয়ত সম্পর্কে বলার পূর্বে শুধুমাত্র নিয়ত সম্পর্কে কিছু কথা বলা জরুরী।

    দেখুন আমরা জানি যে নিয়ত এর বাংলা অর্থ হচ্ছে সংকল্প, ইচ্ছা, মত পোষণ, সমর্থন ইত্যাদি। সহজ ভাষায় বললে নিয়ত হচ্ছে মনের ইচ্ছা। তাই আমরা যখন কোন কাজ করব বলে সিদ্ধান্ত নেই তখন কিন্তু মনে মনে নিয়ত করি এবং তারপর এই কাজটি করি। ঠিক একইভাবে যদি আমরা কখনো কোন এবাদত করতে চাই তার আগে মনে মনে সিদ্ধান্ত নেই। মনে মনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এই পদ্ধতিটিকেই আসলে নিয়ত বলা চলে। তাই যেকোনো ফরজ অথবা নফল কিংবা সুন্নত এবাদতের সময় আলাদা করে নিয়ত করার নিয়মের অস্তিত্ব নেই।

    আশা করছি আপনারা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন যে যেহেতু কোন এবাদত করার পূর্বে আলাদা করে নিয়ত করার নিয়ম নেই তাই শবে বরাতের রোজার আলাদা নিয়ত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।

    শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম

    ইতিমধ্যে আমরা বুঝতে পেরেছি যে শবে বরাতের কোন রোজা নেই। যেহেতু শবে বরাতের আলাদা নির্দেশিত রোজা নেই তাই শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে যেহেতু শাবান মাসে নফল রোজা রাখা যায় সেই হিসেবে আমরা চাইলে নফল রোজা যেভাবে রাখে সেই নিয়ম মাফিক রোজা রাখতে পারব। উল্লেখ্য যে নফল রোজা রাখার জন্য আলাদাভাবে কোন নিয়ম নেই। সেহেরী করার সময় মনে মনে নকল রোজার নিয়ত করলেই হবে এবং সময়মতো ইফতার করলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ পাক আমাদের রোজা গ্রহণ করবেন। আশা করছি আপনারা শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। নিচে শবে বরাতের রোজা ২০২৩ কবে সে সম্পর্কে আলোচনা করব।

    শবে বরাতের রোজা কবে ২০২৩ বাংলাদেশ সময় অনুসারে

    যদিও শবে বরাতের রোজা কবে সেটা জানতে হলে আরবি মাসের চাঁদ দেখার সময় এর উপর নির্ভরশীল হতে হয় তবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ক্যালেন্ডার গুলো থেকে পর্যালোচনার পরে আমরা জানতে পারি যে শবে বরাতের রোজা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে । ২০২৩ সালের শবে বরাত হবে মার্চ মাসের ৮ তারিখ।

    শবে বরাতের ফজিলত

    শবে বরাত সম্পর্কে আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। নবীজি (সা.) বললেন, ‘এটা হলো অর্ধ শাবানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন, ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন’

    তাই আমাদের উচিত এই রাত্রিতে আল্লাহ পাকের দরবারে বেশি বেশি করে ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং আমাদের মনে যে সৎ উদ্দেশ্য বা বাসনা রয়েছে সেগুলো আল্লাহর কাছে জানানো।

    শবে বরাত সম্পর্কে আরো একটি প্রসিদ্ধ হাদিস রয়েছে যেমন- হাদিস শরিফে আছে, ‘হজরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধশাবানের রাতে মাখলুকাতের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫, ইবনে মাজাহ: ১৩৯০, রাজিন: ২০৪৮; ইবনে খুজাইমা, কিতাবুত তাওহিদ, পৃষ্ঠা: ১৩৬, মুসনাদে আহমদ, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৭৬)।

    শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে লিখতে গেলে আমাদেরকে আলাদা করে একটি পোস্ট লিখতে হবে তাই এই পোস্টে আমরা ফজিলত সম্পর্কে এত কিছু না বলছি।

    সূত্র : www.sorolmanus.com

    শবে মেরাজ, শবে বরাত ইত্যাদি নফল রোজার নিয়ত কিভাবে করবো?

    উত্তর (3টির 1): "আল্লাহ আমি তোমার জন্য নফল রোজা রাখার নিয়ত করলাম"। রমজানের রোজার বাইরে যেই রোজাই রাখেন এই দোয়াই যথেষ্ট। আল্লাহ আপনার মনের খবর জানেন। আপনি নিয়ত করলেন যে রোজা রাখবেন, এটাই যথেষ্ট।

    শবে মেরাজ, শবে বরাত ইত্যাদি নফল রোজার নিয়ত কিভাবে করবো?

    সাজান Asik Arno

    শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ/তে পড়াশোনা করেছেন (2012)1 বছর

    এটির আসল উত্তর ছিল: আসসালামু আলাইকুম,শবে মেরাজ,শবে বরাত ইত্যাদি নফল রোজার নিয়ত কিভাবে করবো?

    ওয়া'আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

    প্রথমত শবে মেরাজ বা শবে বরাতের আলাদা নির্দিষ্ট কোনো নফল রোজা নেই।

    আর দ্বিতীয়ত যেকোনো কাজের পূর্বে কোন কাজটি করছেন তা সঠিকভাবে মন থেকে নির্ধারণ করে নিলেই নিয়তের কাজ হয়ে যায়। স্পেসিফিক ভাবে কিছু পড়া বা বলার প্রয়োজনীয়তা নেই। আপনি নফল রোজা রাখবেন এটা যেহেতু আপনার কাছে নির্দিষ্ট তাই আপনার রোজার নিয়ত এখানেই হয়ে গেছে নিয়তের জন্য আলাদাভাবে আর কিছু করতে হবে না।

    বিস্তারিত পড়তে পারেন এই লিংক থেকেঃ একটি ভুল মাসআলা : রোযার নিয়ত কি মুখে করা জরুরী?

    সম্পর্কিত প্রশ্ন

    কিভাবে ধনী হওয়া যায়?

    পাওয়ার বাটন নষ্ট, পাওয়ার অন করবো কিভাবে?

    ফেসবুকে বাংলা পোস্টগুলিকে কিভাবে ইংরেজিতে অনুবাদ করবো (Facebook lite)?

    হাজতের নামাজ কিভাবে পড়বো?

    শবে মেরাজে কী কী আমল করতে হবে?

    ফজল মাহমুদ সজীব

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এ লোক প্রশাসন বিষয়ে এম এস (1994)লেখকের 2.7 হাটি উত্তর রয়েছে ও 11.9 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে1 বছর

    "আল্লাহ আমি তোমার জন্য নফল রোজা রাখার নিয়ত করলাম"।

    রমজানের রোজার বাইরে যেই রোজাই রাখেন এই দোয়াই যথেষ্ট। আল্লাহ আপনার মনের খবর জানেন। আপনি নিয়ত করলেন যে রোজা রাখবেন, এটাই যথেষ্ট।

    রিয়াজুল ইসলাম

    বাংলা জানেনলেখকের 804টি উত্তর রয়েছে ও 7 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে1 বছর

    এটির আসল উত্তর ছিল: আসসালামু আলাইকুম,শবে মেরাজ,শবে বরাত ইত্যাদি নফল রোজার নিয়ত কিভাবে করবো?

    আমি আল্লাহর জন্য কিবলামুখি হয়ে দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার

    Md Shahriar Amit

    মার্কেটিং নিয়ে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্নাতক নিয়ে পড়াশুনা করেছেন1 বছর

    সম্পর্কিত

    রমজানের শেষ দশটি রাতের কিভাবে পুরোটা সময় ইবাদত করে কাটিয়ে দিতে পারবো? কিভাবে শবে কদরের রাতকে কাজে লাগাবো?

    Mahmud Husain

    লেখকের 896টি উত্তর রয়েছে ও 85.1 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে10 মাস আপডেট হয়েছে

    সম্পর্কিত

    নামাজের নিয়ত মুখে পড়া কি বেদাত?

    এটির আসল উত্তর ছিল: নামাজের নিয়ত মুখে পডা কি বেদাত?

    এই গল্পটা পড়ে দেখুন, কিছু বোঝেন কিনা।

    রফিক খুব ভালো ছেলে। সে একটি অফিসে কাজ পড়ে। কাজ পড়তে পড়তে যখন ক্লান্ত হয়, তখন ফোন পড়ে। সে তার মা-বাবা কে খুব শ্রদ্ধা পড়ে। রফিক অফিসে যাবার আগে, সকালে বাজার পড়ে। সবাই তাকে খুব পছন্দ পড়ে।

    গল্পটা কি বুঝতে পেরেছেন? আচ্ছা, গল্পটি অন্যভাবে সাজিয়ে দিচ্ছি।

    রফিক খুব ভালো ছেলে। সে একটি অফিসে কাজ করে। কাজ করেতে করেতে যখন ক্লান্ত হয়, তখন ফোন করে। সে তার মা-বাবা কে খুব শ্রদ্ধা করে। রফিক অফিসে যাবার আগে, সকালে বাজার করে। সবাই তাকে খুব পছন্দ করে।

    এবার নিশ্চয়ই গল্পটি বুঝতে পেরেছেন। একই গল্প, আগে বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল কেন? কারণ, আগের বারের গল্পে "পড়া" শব্দটি দেওয়া ছিল। ওটা আসলে

    ফারহান তানভীর

    ইসলাম শান্তির ধর্ম। ❤️লেখকের 272টি উত্তর রয়েছে ও 17.9 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে6 মাস

    সম্পর্কিত

    মানত করলে কি মুখে নিয়ত করতে হবে?

    রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মানত করতে নিষেধ করেছেন।

    স্বাধীন হক বিজয়

    সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স (এমএসএস)লেখকের 1.5 হাটি উত্তর রয়েছে ও 1.4 কো বার সেগুলি দেখা হয়েছে7 নভেম্বর

    সম্পর্কিত

    কেউ আমার কুটনামি করলে করনীয় কী?

    তার সাথে কোন ধরনের সংবেদনশীল ইনফরমেশন শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

    তার কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।

    তাকে কৌশলগতভাবে এড়িয়ে চলুন।

    তাকে বুঝতে দিবেন না যে আপনি জানেন সে কুটনামি করে।

    যে আপনার কুটনামি করে সে কখনোই আপনার বন্ধু নয়।

    Utpal Barman

    ভূগোল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স10 মাস আপডেট হয়েছে

    সম্পর্কিত

    অরবিন্দ কেজরিওয়াল সম্বন্ধে কী বলতে চান?

    1. অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার বা তার স্ত্রী বা সন্তানদের জন্মদিন উদযাপন করেন না, হয়তো এতে তার কোনো ব্যক্তিগত মতামত আছে।

    2. ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর 'লাল বাট্টি গাড়ি' (লাল-বাতি গাড়ি) এবং তার নিরাপত্তার সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

    3.তিনি একটি গাড়ি, একটি বিস্তীর্ণ বাংলো প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং আম আদমির সাথে অনুরণিত হওয়ার জন্য তার নিজস্ব ওয়াগন নিজে চালানোয় বেছে নিয়েছিলেন।

    4.তিনি তার প্রথম প্রচেষ্টায় IIT-JEE এবং ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস এর IRS পরীক্ষা পাস করেন।

    5.অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার উদীয়মান নেতৃত্বের ক্ষমতার জন্য 2006 সালে রমণ ম্যাগসেসে পুরস্কার

    আবু জামিল

    লেখকের 294টি উত্তর রয়েছে ও 7.3 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে2 বছর

    সম্পর্কিত

    শবে-বরাত পালন প্রসঙ্গে ইসলাম কী বলে?

    আলহামদুলিল্লাহ,

    শবে বরাতের কোনো অস্তিত্ব কুরআন হাদিসে নেই এটি পালন করা বিদ'আত।

    হ্যা, মধ্য শাবান বা ১৫ই শাবানের ব্যাপারটি তবে কী?

    উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত,

    ‘একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনাকে শাবান মাসে যত সিয়াম রাখতে দেখি তত অন্য কোন মাসে তো রাখতে দেখি না, (এর রহস্য কী)?’

    উত্তরে তিনি বললেন,

    “এটা তো সেই মাস, যে মাস সম্বন্ধে মানুষ উদাসীন, যা হল রজব ও রমযানের মাঝে। আর এটা তো সেই মাস; যাতে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের নিকট আমলসমূহ পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, সিয়াম রাখা অবস্থায় আমার আমল (আল্লাহর নিকট) পেশ করা হোক।

    . [আহমাদ ২১৭৫৩, নাসাঈ ২৩৫৭, সহীহ তারগীব ১০০৮,

    তামামুল মিন্নাহ ৪১২পৃঃ]

    হাদিসের মা Sayantan Basu

    Google-সঙ্ক্রান্ত কিছু জিনিস জানি।লেখকের 107টি উত্তর রয়েছে ও 6.1 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে1 বছর

    সম্পর্কিত

    সূত্র : bn.quora.com

    শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে ও নিয়ত সম্পর্কে জানুন

    পবিত্র শবে উপলক্ষে অনেকেই নফল রোজা রাখেন। এখান থেকে শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে রাখতে হবে ও রোজার নিয়ত সম্পর্কে জানুন।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি

    শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে ও নিয়ত সম্পর্কে জানুন

    SUJONMARCH 5, 2023দিবস1 COMMENT

    Rate this post

    ৭ই মার্চ রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। আরবি শাওয়াল মাসের মধ্যরাতকেই পবিত্র শবে বরাতের রাত বলা হয়ে থাকে। এই রাতে এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল নামাজ আদায় করে থাকে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখতেন। তিনি বলেছেন শাবান মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে এবং নফল রোজা রাখতে।

    Table of Contents

    যেহেতু পবিত্র শবে বরাত চলে এসেছে তাই অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ শবে বরাতের রোজা রাখতে চায়। ইতিমধ্যে তারা ইন্টারনেটে শবেবরাত রোজা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমি লক্ষ্য করেছি যে অনেকেই জানতে চেয়েছে যে শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কত তারিখে রোজা রাখতে হবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে পবিত্র শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে রোজা রাখতে হবে ও কিভাবে নিয়ত করতে হয় তা বিস্তারিতভাবে জানাবো।

    শবে বরাত রোজা ২০২৩

    আমাদের প্রান প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রতি আরবি মাসেই নফল রোজা রাখতেন। মহান আল্লাহ্‌ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ও সওয়াব লাভের জন্য নফল রোজা রাখা প্রত্যেক মুমিনের উচিৎ। রোজা রাখার বিষয়ে একটি হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত উম্মে সালমা ও হযরত আয়েশা (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ শাবান মাসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) অধিকহারে রোজা রাখতেন। যেন তিনি গোটা শাবান মাসেই রোজা রাখতেন। (তিরমিজি – ১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)। সে হিসেবে শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা অধিক সওয়াবের কাজ। কারণে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ পবিত্র শবে বরাতের দিনে নফল রোজা রেখে থাকেন।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি

    পবিত্র শবে বরাত এর এই ফজিলত ময় দিবস উপলক্ষে অনেক ধর্ম প্রান মুসুল্লিগণ শবে বরাতের বিশেষ রোজা রাখতে চান। তাই তারা ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজা কয়টি তা খুজে থাকেন। সত্যি বলতে শবে বরাতের মোট কয়টি রোজা রাখতে হবে তা নির্দিষ্ট নয়। আপনি আপনার সাধ্য অনুযায়ী যে কয়টি ইচ্ছা নফল রোজা রাখতে পারেন।

    পবিত্র হাদিস শরীফে শবে বরাতের রোজার বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায়। রাসূল (সঃ) বলেনঃ ১৫ শাবানের রাতে তোমরা নফল ইবাদাত করো এবং পরদিন রোজা রাখো। এই হাদিস দিয়ে শবে বরাতের একটি নফল রোজা রাখা প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন হাদিস থেকে যানা যায় আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখে তিন দিন তিনটি রোজা রাখতেন। এছাড়াও তিনি মহান আল্লাহ্‌ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সে হিসেবে শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে। আপনি চাইলে শাবান মাসের ১৩,১৫ ও ১৫ দিনে নফল রোজা রাখতে পারেন।

    শবে বরাতের রোজা কবে থেকে

    শবে বরাতে অনেক মুসলমানগন বিশেষ রোজা রেখে থাকেন। কারণ পবিত্র শবে বরাতের এবাদত একটি নফল ইবাদত। নফল ইবাদতের সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে নফল নামাজ আদায় করা এবং এর সাথে নফল রোজা রাখা। ইন্টারনেটে অনেক মুসলমানগণ শবে বরাতের রোজা কবে থেকে তা জানতে চেয়েছে। শবে বরাতের এই বিশেষ রোজা রাখার নির্দিষ্ট কোন দিন বা তারিখ নেই।

    তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ প্রতি আরবি মাসেই তিনটি করে রোজা রাখবেন। তিনি আরবি মাসের মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ আরবি ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ এই তিন দিন রোজা রেখে থাকতেন। সুতরাং আপনিও চাইলে পবিত্র সামান মাসে শবে বরাত উপলক্ষে তিনটি রোজা রাখতে পারেন। সাবান মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ অর্থাৎ ইংরেজি মার্চ মাসের ৬, ৭ ও ৮ তারিখ এই তিন দিন রোজা রাখা যেতে পারে।

    শবে বরাতের রোজার নিয়ত

    পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে যে সকল মুসুল্লিগণ রোজা রাখতে চান তারা ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত খুঁজে বেড়ায়। অনেকেই আবার ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় খুঁজতেছে। রোজার নিয়ত করার পূর্বে প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে মূলত নিয়ত কি। নিয়ত হচ্ছে অন্তরের সিদ্ধান্ত, এর মানে হলো আপনি যে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সেটি নিয়ত। সুতরাং আপনি যখন কোন কাজ করা সংকল্প গ্রহণ করবেন তখনই আপনার নিয়ত হয়ে যাবে।

    পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে নির্দিষ্ট নিয়মে রোজা রাখার কোন বিধান নেই। তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পবিত্র শাবান মাসে তিনটি করে রোজা রাখতেন। আপনিও চাইলে শবে বরাত উপলক্ষে তিনটে রোজা রাখতে পারেন। তবে নফল এই রোজা রাখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন নিয়ত নেই। সুতরাং আপনি যদি ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত খুঁজে থাকেন তাহলে তা খুঁজে পাবেন না।

    শবে বরাত রোজার ফজিলত

    শাবান মাস হচ্ছে অত্যন্ত বরকতময় ও মহামান্বিত রাত। মহান আল্লাহ তা’আলা শাওয়াল মাসের মাঝামাঝি সময়ে তার বান্দাদেরকে বিশেষ ক্ষমা করে থাকেন। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে মুসলমানদের মাঝে নফল নামাজ ও নফল রোজা রাখার বিধান রয়েছে। যদিও এই ধারণাটি সঠিক নয়। তবে নফল নামাজ ও নফল রোজা রাখা অবশ্যই সওয়াবের কাজ। আপনি চাইলে নফল নামাজ ও রোজা রাখতে পারেন। এতে আপনি মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন।

    পবিত্র শবে বরাতের রাতে যত ইবাদত করবেন তত আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে। এবং মহান আল্লাহর নিকট অতীতের কাজের জন্য ক্ষমা এবং ভবিষ্যতে পাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আবেদন করতে হবে। তবেই না আমরা এই রাতকে তাৎপর্যময় করে তুলতে পারব। সুতরাং এই রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত এবং জিকির করা উচিত, এছাড়াও পরের দিন নফল রোজা রাখা উচিত।

    শবে বরাতের রোজার সেহরির শেষ সময়

    আরবি শাবান মাসে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে অনেক মুসল্লীগণ নফল রোজা রেখে থাকেন। যেহেতু বর্তমানে আরবি সামান মাস চলিতেছে তাই অনেকেই এই মাসে নফল রোজা রেখে থাকে। ইন্টারনেটে অনেকেই শবে বরাতের রোজার সেহেরীর শেষ সময় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই আপনাদেরকে জানাতে চাই যে ফজরের ওয়াক্তের আগে অবশ্যই আপনার সেহরি শেষ করতে হবে। মার্চ মাসে ভোর পাঁচটার সময় ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়। সুতরাং আপনি ভোর ৪ টা ৩০ মিনিট এর আগেই আপনারা শবে বরাতের রোজার সেহেরী শেষ করতে পারেন।

    সর্বশেষ কথা

    মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবং আমাদের গুনাহ মাপের জন্য শবে বরাতের রাতে আমরা নফল নামাজ আদায় করতে পারি। এছাড়াও পরের দিন নফল রোজা রাখতে পারি। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কবে রাখতে হবে তা জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি ইতিমধ্যেই আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনি শবে বরাত রোজা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

    সূত্র : infohelpbd.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 24 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন