শবে বরাতের নামাজ কয় নিয়ত কয় রাকাত
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে শবে বরাতের নামাজ কয় নিয়ত কয় রাকাত পান।
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত এবং যেভাবে পড়বেন...
আজ বৃহস্পতিবার আরবি হিজরি সনের ১৪ শাবানের দিবাগত...
ধর্ম
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত এবং যেভাবে পড়বেন...
সাদিকা আক্তার
প্রকাশিত: ১৫:১৪, ৯ এপ্রিল ২০২০
আপডেট: ১৯:৪৬, ৯ এপ্রিল ২০২০
শবে বরাতের আমল ও ফজিলত এবং আমাদের করণীয়...
আজ বৃহস্পতিবার আরবি হিজরি সনের ১৪ শাবানের দিবাগত রাত পবিত্র শবে বরাত। দিন শেষের রাতটিই হচ্ছে নিসফে শাবান বা লাইলাতুল বরাত।
হাদিস শাস্ত্রে ‘শবে বরাত’ বলতে যে পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা হলো ‘নিসফ শাবান’ বা ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা ‘শাবান মাসের মধ্য রজনী’।
শবে বরাত কথাটি ফারসি থেকে এসেছে। ‘শবে’ মানে হচ্ছে রাত আর ‘বরাত’ মুক্তি। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। যেহেতু এই রাতে আল্লাহর অগণিত মাখলুককে ক্ষমা করে থাকেন। হাদিস শরিফে আছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) তাকে বলেছেন, এ রাতে বণিক কাল্পনিক ভেড়ার পশমের সংখ্যার পরিমাণের চেয়েও বেশি সংখ্যক গুনাহগারকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন (সুবহানাল্লাহ!)। এটি তিরমিজি শরিফের ৭৩৯ নম্বর হাদিস।
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত এবং যেভাবে পড়বেন...শবে বরাতের নির্দিষ্ট কোনো নামাজ কোরআনে বা হাদিসে উল্লেখ নেই। তবে হাদিসে আছে, রাসূল (সা.)বলেন, যখন শাবান মাসের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল নামাজ পড়বে এবং দিনে রোজা পালন করবে। ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো নামাজ। সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যেও শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। এটি ইবনে মাজাহ শরিফের ১৩৮৪ নম্বর হাদিস।
আরো পড়ুন>>> করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে জরুরি ৪ আমলআর তাই দুই রাকাত করে যত খুশি তত বার নামাজ পড়তে পারেন। আর তার নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। এখন নিয়ত করবেন কিভাবে? বলবেন, আমি দুই রাকাত নফল নামাজ পরছি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহু আকবার। এভাবে সংকল্প করলেই আপনার নামাজ হয়ে যাবে। তবে এখানে সূরা ফাতিহা একবার আর সূরা ইখলাস তিনবার পড়তে হবে বা সূরা ওয়াকিয়া পড়তে হবে এমন কোনো কথা হাদিসে নেই। এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাই সূরা ফাতিহার পরে যে কোনো সূরা দিয়ে নামাজ পড়লেই নামাজ হয়ে যাবে (ইনশাল্লাহ!)।
শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কীভাবে রাখতে হয়? এবং রোজা রাখা যাবে কি না?হজরত মোহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন, ১৫ শাবান রাতে তোমরা জেগে থেকে ইবাদত করো এবং পরদিন রোজা রাখো। এ হাদিস দিয়ে শবে বরাতের একটি নফল রোজা প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন হাদিসে হজরত মোহাম্মদ (সা.) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ তিনদিন তিনটি নফল রোজা (আইয়াম বীজ) রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সে হিসেবে শাবান মাসেও এ তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে। আবার অন্য আর একটি হাদিসে রয়েছে, হজরত উম্মে সালমা ও হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, শাবান মাসে হজরত মোহাম্মাদ (সা.) অধিকহারে রোজা রাখতেন। যেন তিনি গোটা শাবান মাসই রোজা রাখতেন। সে হিসেবে শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা অবশ্যই সওয়াবের কাজ। (তিরমিযি ১/১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)।
শবে বরাতের আমল ও ফজিলত এবং আমাদের করণীয় কি?আমল: শবে বরাতের রাতে এশার নামাজ পরার পরে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পরবেন। এরপরে গভীর রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করবেন। এখানে কত রাকাত পড়লেন এটি বড় কথা নয়! নামাজ কত দীর্ঘ করলেন এবং কত মনোযোগ দিয়ে পড়লেন এটিই বড় কথা। হাদিস শরিফে আছে, হজরত আয়েশা সিদ্দিক (রা.) বলেন, একবার রাসূল (সা.) নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সিজদা করলেন যে, আমার ধারণা হলো তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে নাড়া দিলাম আর তার বৃদ্ধাঙ্গুল নড়লো। তখন তিনি সিজদা থেকে উঠলেন এবং তিনি নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা! তোমার কি আশঙ্কা হয়েছে? আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সা.) আপনার দীর্ঘ সিজদা দেখে আমার আশঙ্কা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কী না।নবী (সা.) বললেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলই ভালো জানেন। তখন নবী রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, এটা হলো অর্ধ শাবান রাত। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন, ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদেরকে তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। হাদিসটি নেয়া হয়েছে শুআবুল ঈমান তৃতীয় খণ্ডের ৩৮২ নম্বর পৃষ্ঠা থেকে। অর্থাৎ এ হাদিস থেকে আমরা বলতে পারি যে, নামাজে অত্যন্ত মনোযোগী হতে হবে এবং এটিও বুঝতে হবে যে, এদিন আল্লাহ তায়ালা দুজন ব্যক্তিকে ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। তাদের মধ্যে প্রথম হচ্ছে যে ব্যক্তি শিরক করল এবং দ্বিতীয় হচ্ছে যে ব্যক্তি হিংসা করল। আর আমাদের চেষ্টা করতে হবে যেনম এই দুই ধরনের মধ্যে আমরা না পরে যাই।
ফজিলত: ফজিলত সম্পর্কে একটি হাদিস না বললেই নয়, হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করিম (সা.) বলেছেন, ১৪ই শাবান দিবাগত রাত যখন আসে, তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত বন্দেগীতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো। কেননা এ দিন সূর্যাস্তের পরে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন, কোনো ক্ষমা প্রার্থী আছো কি? আমি ক্ষমা করবো। কোনো রিজিক প্রার্থী আছো কি? আমি রিজিক দেবো। আছো কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করবো। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন (সুবহানাল্লাহ!)। এটি ইবনে মাজাহায় বর্ণিত হয়েছে।করণীয়: আমাদের আবশ্যকীয় করণীয় হলো এই রাতে আমরা বেশি বেশি ইস্তেকফার করবো। যাতে করে আল্লাহ তায়ালা আমাদের ক্ষমা করে দেন এবং বেশি বেশি নফল ইবাদতে মশগুল থাকবো। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন (আমিন)।ডেইলি-বাংলাদেশ/আরএজে
সূত্র : www.daily-bangladesh.com
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া
আগামী ০৭ মার্চ পুরো বাংলাদেশ পালিত হবে শবে বরাত। তাই যারা লাইলাতুল বরাত কে সামনে রেখে শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট টা তুলে ধরা হয়েছে শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত। বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ০৭ মার্চ ঘোষণা করেছে ২০২৩ সালের শবে বরাত …
আগামী ০৭ মার্চ পুরো বাংলাদেশ পালিত হবে শবে বরাত। তাই যারা লাইলাতুল বরাত কে সামনে রেখে শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট টা তুলে ধরা হয়েছে শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত। বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয় চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ০৭ মার্চ ঘোষণা করেছে ২০২৩ সালের শবে বরাত হবে মার্চ রাতে।
অন্যদিকে সরকারি ছুটি হবে ০৮ মার্চ। বাংলাদেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম রা শবেবরাত উপলক্ষে নামাজ আদায় করে থাকে। আবার অনেকে নামাজের সাথে দোয়া ও জিকির করে থাকে। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া সম্পর্কে জানেন না। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট এ শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত পড়তে হবে ও কোন সূরা দিয়ে পড়তে হবে সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
Contents
1 Shobe borat namajer niyom
2 শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত
3 শবে বরাতের নামাজ ২০২৩
4 শবে বরাতের নামাজ 5 শবে বরাতের সূরা
6 শবে বরাতের নামাজের নিয়ম
7 শবে বরাত নামাজের নিয়ম
8 শবে বরাতের নামাজের নিয়ত
9 শবে বরাতের রোজা কয়টি
10 শবে বরাতের পর দিনের রোজা
11 শবে বরাতের নামাজের দোয়া
Shobe borat namajer niyom
শবে বরাতের নামাজ পড়তে হলে আপনাকে অবশ্যই সঠিক নিয়ম জানতে হবে। শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়বেন ও কোন সূরা দিয়ে পড়বেন তার বিস্তারিত তথ্য আজকের পোষ্টে তুলে ধরা হয়েছে। শবে বরাত উপলক্ষে অনেকেই সূরা ফাতিহার সাথে আয়াতুল কুরসী সূরা এখলাছ মিলিয়ে পড়ে থাকে। আজকের পোস্টে আমরা সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছি।
শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত
অনেকেই আছেন যারা শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত পড়তে হবে জানতে চান। তাদের জন্য ইসলামিক হাদিসের আলোকে শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। সাধারণত শবে বরাতের নামাজ হচ্ছে নফল নামাজ। তাই এই নামাজ আর অন্য নামাজের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। আপনি দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি যতটুকু পারেন পড়তে পারেন সে ক্ষেত্রে ৮/১০/১২/১৪/১৬ বা আরো বেশি হতে পারে।
শবে বরাতের নামাজ ২০২৩
প্রতিবছর শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতে শবে বরাতের নামাজ পালিত হয়। সকল মুসলমানের কাছে শবে বরাতের নামাজ একটি বিশেষ ইবাদত। সবাই শবে বরাতের নামাজ কে নফল নামাজ হিসেবে পালন করে থাকে। এবছর শবে বরাতের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে ০৭ মার্চ রোজ মঙ্গলবার এশার ফরজ নামাজের পরে। তাই আপনি যদি শবে বরাতের নামাজ পড়তে চান। তাহলে ইসলামিক হাদিস ও নামাজের সূরা সম্পর্কে জেনে নিন।
শবে বরাতের নামাজ
শবে বরাতের নামাজ পড়তে হলে আপনাকে জানতে হবে কোন সুরার মাধ্যমে শবে বরাতের নামাজ পড়তে হয়। অন্যদিকে শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ত বাংলা বা আরবি আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। তাই আপনারা যাতে লাইলাতুল বরাতের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। তার জন্য ইসলামিক হাদিস অনুসারে শবে বরাতের নামাজ সম্পর্কিত সকল তথ্য তুলে ধরেছি আমরা। তাই আজ শবে বরাতের নামাজের আগে ভালো করে দেখে নিন শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়।Related Articles
শবে বরাতের ফজিলত, আমল ও গুরুত্ব | ৫ বিশেষ আমল জানুন
March 7, 2023
আজকে কি শবে বরাত – শবে বরাত কত তারিখ ২০২৩
March 7, 2023
শবে বরাতের শুভেচ্ছা ছবি, পিকচার, ফটো ও পিক ২০২৩
March 7, 2023
১০০+ শবে বরাতের শুভেচ্ছা, স্ট্যাটাস, উক্তি, পোস্ট, ক্যাপশন ও বাণী
March 7, 2023
শবে বরাতের নামাজ কবে ২০২৩ – দেখে নিন শবে বরাতের নামাজ কত তারিখ
March 7, 2023
শবে বরাত কবে ২০২৩ বাংলাদেশে | দেখুন ২০২৩ সালের শবে কদর কবে | শবে মেরাজ কবে
March 7, 2023
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত বাংলা ও আরবি | লাইলাতুল বরাত ২০২৩শবে বরাতের সূরা
শবে বরাতের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়বেন তা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে। আজ পবিত্র শবে বরাত তাই সকল মুসলমান শবে বরাতের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়বে তা জানার জন্য গুগলে অনুসন্ধান করে। তাদের জন্য এখানে আমরা তুলে ধরেছি কোন সূরা দিয়ে শবে বরাতের নামাজ পড়া যায়।
আপনি শবে বরাতের নফল নামাজ পড়ার জন্য সূরা ফাতিহার সাথে যে কোন সূরা মিলিয়ে শবে বরাতের নামাজ পড়তে পারেন। তবে সমাজে কিছু প্রচলিত নির্দিষ্ট সুযোগ রয়েছে যেমন সূরা ইখলাস সূরা কদর। তবে লাইলাতুল বরাত একটি নফল নামাজ। তাই সূরা ফাতিহার সাথে কোরআন শরীফ থেকে যে কোন সূরার ৩ আয়াত মিলিয়ে আপনি নামাজ পড়তে পারেন।
শবে বরাত কত তারিখে 2023 | শবে বরাত কবে ২০২৩ – প্রকাশ করলো ধর্ম মন্ত্রণালয়শবে বরাতের নামাজের নিয়ম
অনেককেই জিজ্ঞেস করতে দেখি “শবে বরাতের নামাজের নিয়ম কী?” আসলে এই রাত্রির নামাজ আর দশটা রাত্রিতে পড়া নফল নামাজের মতই। ভিন্ন কোন পদ্ধতি রাসূল (সাঃ) অবলম্বন করেন নি। তাই নিজেদের মনগড়া সিসটেমে প্রতি রাকাতে ৭ বার বা ১১ বার সূরা ইখলাসের মাধ্যমে ‘শবে বরাতের নামাজ’ না পড়ে স্বাভাবিক নিয়মে ২ রাকাত করে যতটুকু পারা যায় পড়া উচিত।
শবে বরাত নামাজের নিয়ম
বিভিন্ন নামাজ শিক্ষা বই ও মোকসেদুল মোমিনের মত বানোয়াট মিথ্যা ও জাল বইগুলোতে শবে বরাতের নামাজের নিয়ম, শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম, শবে ক্বদরের নামাজের নিয়ম ইত্যাদি দেয়া হয়ে থাকে। এগুলো সবই তাদের মনগড়া বক্তব্য। কোনো নফল নামাজের ক্ষেত্রেই এরকম বিশেষ কোনো নিয়ম নাই।
তাহাজ্জুদ বা কিয়ামুল লাইলের ক্ষেত্রে আমাদের উচিত দীর্ঘ সময় কুরআন তিলাওয়াত করা। লম্বা সূরা জানা না থাকলে যেই ১০ টা সূরা সবাই জানি সেগুলোই ২ রাকাতে ৫ টা, ৫ টা করে পড়তে পারি। তাতেও কিরআত দীর্ঘ করা হবে। আমাদের উচিত অর্থ বুঝে নামাজ পড়া। দীর্ঘ রুকু করা। সিজদাকে দীর্ঘ করা। দুয়া-ইস্তিগফার করা। ঘুমাবার দরকার হলে ঘুমানো। এমন যেন না হয় সারা রাতের নফল ইবাদতের ক্লান্তিতে ফজরের ফরজ নামাজ ছুটে যায়।
সারা বছরই রাতের শেষ ভাবে উঠে তাহাজ্জুদ পড়া আল্লাহর রাসূলের (সা) সারা জীবনের সুন্নত। অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা তাহাজ্জুদের নামাজের ফজিলত প্রমাণিত। ফরজ নামাজের পর শ্রেষ্ঠতম নামাজ হচ্ছে তাহাজ্জুদের নামাজ। এরপর দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ নামাজ হচ্ছে সালাতুল দুহা বা চাশতের নামাজ।
শবে বরাত নামাজের নিয়মাবলী ২০২৩
শবে বরাত নামাজের নিয়মাবলী
2.5/5 - (35 votes)
আজকে পবিত্র শবে বরাত। সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য অনেক তাৎপর্যময় একটি রাত হচ্ছে শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাতের রাত। এই রাতে মহান আল্লাহতালা তার বান্দাদেরকে বিশেষ ক্ষমা করে থাকেন। কিন্তু মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে শবেবরাতের নামাজ আদায় করতে হবে। আমরা নফল নামাজের মাধ্যমে পবিত্র শবে বরাতের নামাজ পড়তে পারি।
Table of Contents
অনেকেই ইন্টারনেটে শবে বরাত নামাজের নিয়মাবলী সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। তাই আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত পড়তে হবে তা জানাবো। তাহলে চলুন পবিত্র শবে বরাতের নামাজের নিয়ত সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক।
শবে বরাত নামাজের নিয়মাবলী ২০২৩
আজকে ৭ ই মার্চ, রোজ সোমবার। হিজরী শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তম তারিখের মধ্যবর্তী রাত আজকে। এই রাতকে মুসলিম দেশগুলোতে পবিত্র শবে বরাতের রাত বলা হয়ে থাকে। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই রাতে মুসল্লীগণ নফল নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করে থাকে। মহান আল্লাহতালা ও তার বান্দাদেরকে বিশেষ রাতে ক্ষমা করে থাকেন।
নফল নামাজ আদায় করার মাধ্যমে মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জন করা যেতে পারে। তাই আজকে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর লোকজন শবে বরাত নামাজ পড়বে। এজন্য শুরুতেই শবে বরাত নামাজের নিয়মাবলী জেনে নিতে হবে। তাহলে চলুন এখন আমরা শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় ও কত রাকাত পড়তে হয় তা জানবো।
শবে বরাতের নির্দিষ্ট কোন নামাজ পড়ার হাদিস নেই। তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পবিত্র এই রজব মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ ও নফল রোজা রাখতেন। এজন্য আমরাও চাইলে নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে শবে বরাতের নামাজ পড়তে পারি। দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করা যেতে পারে। প্রতি রাকাত নামাজ আদায় করার জন্য সূরা ফাতিহার সাথে আমরা আমাদের ইচ্ছামত যে কোন সূরা পাঠ করতে পারি।
তবে চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করার পর আপনি চাইলে মোনাজাত করে দোয়া করতে পারেন। আপনার মনের সকল নিয়ে আসা গুলো মহান আল্লাহতালার নিকট জানাতে পারেন। এছাড়াও আপনার কৃতকর্মের জন্য আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন।
নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, নফল নামাজ আদায় করতে করতে যেন আপনার ফজরের নামাজ বাদ না পড়ে যায়। অবশ্যই নফল নামাজ পড়া শেষ হলে আপনার এশার নামাজের বিতর নামাজ পড়তে হবে।
দেখুনঃ পবিত্র লাইলাতুল বরাত নামাজের নিয়ত জানুন
শবে বরাত কয় রাকাত নামাজ
পবিত্র শবে বরাতের নির্দিষ্ট কোন রাকাত নামাজ নেই। শবে বরাতের এবাদত হচ্ছে একটি নফল ইবাদত। নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে নফল নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম। এ কারণে শবে বরাতের জন্য আমরা দুই রাকাত করে করে নফল নামাজ আদায় করতে পারি। আপনার সাধ্য অনুযায়ী আপনি যে রাকাত নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে সর্বনিম্ন ১২ রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম।
প্রতি চার রাকাত নামাজ পড়ার পর আপনি মোনাজাত করতে পারেন এবং আপনার মনের আশাগুলো মহান আল্লাহর কাছে জানাতে পারেন।
শবে বরাত নফল নামাজের নিয়ত
শবে বরাতের নামাজ পড়ার আগে অবশ্যই আপনাকে নামাজের নিয়ত করতে হবে। শবে বরাতের নামাজ পড়ার জন্য বাংলা অথবা আরবি ভাষাতেই নিয়ত করা যায়। আপনি যদি আরবি ভাষা জানেন ও বুঝেন তাহলে আরবি ভাষাতে নিয়ত করতে পারেন। আর যদি আরবি ভাষা না জেনে থাকেন তাহলে বাংলা ভাষাতেই শবে বরাত নফল নামাজের নিয়ত করতে পারবেন। নিচের অংশ থেকে উভয় ভাষার জেনে নিন।
বাংলাঃ ‘শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবর’।আরবিঃ নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।দেখুনঃ শবে বরাত পালনের নিয়ম ২০২৩ – করণীয় ও বর্জনীয় কাজ
সর্বশেষ কথা
অবশ্যই সঠিক নিয়মে আপনাকে শবে বরাতের নামাজ পড়তে হবে। তা না হলে আপনার নামাজ কবুল হবে না। আজকের এই পোস্টে আমি আপনার সাথে শবে বরাত নামাজের নিয়মাবলী ও কয় রাকাত নামাজ জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে ইতোমধ্যে আপনি শবে বরাতের নামাজের নিয়ত সহ আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?