if you want to remove an article from website contact us from top.

    শবে বরাতের রাতে সহবাস করা যাবে কি

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে শবে বরাতের রাতে সহবাস করা যাবে কি পান।

    ইসলামে কোন কোন দিন সহবস করা নিষেধ? ঈদের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি? শবে বরাতের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি? শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি? ~ নারীদের আমল ঘর

    নারীদের আমল ঘর সহিহ হাদিস ও কুরআনের আলোকে লিখিত

    নারীদের আমল ঘর

    "নারীদের আমল ঘর" সহিহ হাদিস ও কুরআনের আলোকে লিখিত। By SL Labonno

    Home » সহবাস » ইসলামে কোন কোন দিন সহবস করা নিষেধ? ঈদের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি? শবে বরাতের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি? শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি?

    ইসলামে কোন কোন দিন সহবস করা নিষেধ? ঈদের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি? শবে বরাতের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি? শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি?

    Narider Amol Ghor11/14/2019 No comments

    ঈদের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি?

    শবে বরাতের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি?

    শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি?

    ইসলামে কোন কোন দিন সহবস করা নিষেধ?

    শুনেছি অমবশ্যার রাত, ঈদের রাত, চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ, পূর্ণিমার রাত, শনিবার,  মঙ্গলবার ও দিনের বেলা সহবাস করতে হয় না। এ কথা গুলি কি সঠিক? কুরআন ও হাদিস কি বলে?

    সহবাসের নিসিদ্ধ সময়। ইসলামে সহবাসের নিসিদ্ধ সময় আছে কি ?

    আমাদের সমাজে কুরআন ও হাদিসের নামে অনেক কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা চালু আছে। আমরা মনে করে থাকি এই গুলি কুরআন ও হাদিসের কথা। অথছ এই কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা কুরআন হাদিসে এর কোন অস্তিত্ব নেই। যা কুরআন ও হাদিস বিরোধী। এমনকি এই কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা শিরকের পরজাইয়ে চলে গেছে। জার ফলাফল জাহান্নাম। মানুষ জান্নাতের আশাই ইসলাম ধর্ম পালন করতে গিয়ে জাহান্নামে চলে জাচ্ছে। আর মানুষকে সহবাসের আসল আনান্দ থেকে দূরে রেখেছে। যা কখনোই কাম্য নয়।

    সহবাস হল বিবাহিত জিবনের প্রথম সারির চাহিদা। অথছ সহবাসকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে অনেক কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা চালু আছে।

    শুনেছি অমবশ্যার রাত, ঈদের রাত,শবে কদরের রাত, চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ, পূর্ণিমার রাত,শনিবার, মঙ্গলবার ও দিনের বেলা সহবাস করতে হয় না। এ কথা গুলি কি সঠিক? কুরআন ও হাদিস কি বলে?

    সহবাসের(মিলনের) কোন নির্দিষ্ট নিষিদ্ধ সময় নেই, কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে। এই বিষয়ে যতো গুলি নিষিদ্ধ সময় আমরা শুনতে পাই তার অধিকাংশ কুসংস্কারের অন্তর্ভূক্ত। যা ভিত্তিহীন। ইসলামে এর কোন স্থান নেই।

    দিবারাত্রে স্বামী স্ত্রীর যখন সুযোগ হয়, তখনই সহবাস বৈধ। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাদের নিকট ঠিক সেইভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন।” (সূরা বাকারা আয়াত নং ২২২)

    \

    কুরআন ও হাদিশে যে সময়ে সহবাস বা মিলন করতে নিষেধ  ০১

    রমযানের দিনের বেলায় রোজা অবস্থায় সহবাস করা যাবে না।

    মহান আল্লাহ বলেছেন, “রোযার রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী সম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।” (সূরা বাকারাহ আয়াত নং ১৮৭)

    রমযানের রোযা অবস্থায় সঙ্গম করলে যথারীতি তার কাফফারা আছে। একটানা দুইমাস রোযা রাখতে হবে, নচেৎ অক্ষম হলে ষাট জন মিসকীন খাওয়াতে হবে।

    কুরআন ও হাদিশে যে সময়ে সহবাস বা মিলন করতে নিষেধ ০২

    হজ্জ বা উমরার ইহরাম অবস্থায় সহবাস নিষিদ্ধ।

    মহান আল্লাহ বলেন, “সুবিদিত মাসে (যথাঃ শাওয়াল, যিলক্বদ ও যিলহজ্জে) হজ্জ হয়। যে কেউ এই মাস গুলোতে হজ্জ করার সংকল্প করে, সে যেন হজ্জ এর সময় স্ত্রী সহবাস (কোন প্রকার যৌনাচার), পাপ কাজ এবং ঝগড়া বিবাদ না করে।” (সুরা সূরা বাকারাহ আয়াত নং ১৯৭) এ ছাড়া অন্য সময়ে দিবারাত্রির যে কোন অংশে সহবাস বৈধ। (মুহাম্মাদ স্বালেহ আল-মুনাজ্জিদ)

    কুরআন ও হাদিশে যে সময়ে সহবাস বা মিলন করতে নিষেধ ০৩

    পিরিয়ড/মাসিক/মেস্ন অবস্থায় সহবাস সম্পূর্ণ  হারাম।

    মহান আল্লাহ বলেছেন, “লোকেরা তোমাকে ঋতু বা মাসিক সম্পর্কে জিজ্ঞেসা করে। তুমি বোল, তা কষ্ট। সুতরাং তোমরা ঋতু বা মাসিক কালে স্ত্রী সঙ্গম বর্জন কর। এবং যতদিন না তারা পবিত্র হয়, (সহবাসের জন্য) তাঁদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাঁদের নিকট ঠিক সেই ভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন। (সূরা বাকারা আয়াত নং ২২২)

    কুরআন ও হাদিশে যে সময়ে সহবাস বা মিলন করতে নিষেধ ০৪

    বাচ্চা হবার পর নেফাস অবস্থায় সহবাস করা হারাম।

    নিফাস কাকে বলেঃ- সন্তান প্রসবের পর স্ত্রীলোকের জরায়ু থেকে যে রক্ত বের হয় তাকে ইসলামী শরীআতের পরিভাষায় নেফাস বলা হয়।

    কুরআন ও হাদিশে যে সময়ে সহবাস বা মিলন করতে নিষেধ ০৫

    ইতিকাফ অবস্থায় সহবাস  করা যাবে না।

    সব শেষে বলতে হয় যে......

    উপরের বর্ণিত তিনটি সময় ছাড়া যখন মন চাইবে তখনি সহবাস করতে পারবে। হতে পারে দিন অথবা রাত অথবা ঈদের রাত অথবা অমব্যার। আমাদের সমাজে এই রকমের একটি কথা চালু আছে জা স্পষ্ট শিরকের অন্তর্ভুক্ত। “দিনের বেলা সহবাস করলে স্বামীর আয়ু কমে যাই” আপনি যদি এই কথা বিশ্বাস করেন তাহলে স্পষ্ট শিরক হবে। যার পরিণাম জাহান্নাম।

    আমাদের সমাজে প্রছালিত কিছু কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা। যা ভিত্তিহীন। বিশ্বাস করলে শিরক হতে পারে।

    স্বপ্নদোষের পর গোসল না করে স্ত্রী সহবাস করা যাবেনা।

    বিদেশে বা সফরে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবেনা।

    জোহরের নামাজের পরে স্ত্রী সহবাস (মিলন) করা যাবেনা।

    চন্দ্র মাসের প্রথম এবং পনের তারিখ রাতে সহবাস করা যাবেনা।

    দিনের বেলা সহবাস করা যাবেনা।

    অমবশ্যার রাতে সহবাস করা যাবেনা।

    ঈদের রাতে সহবাস করা যাবেনা।

    পূর্ণিমার রাতে সহবাস করা যাবেনা।

    মঙ্গলবার সহবাস করা যাবেনা।

    শনিবার সহবাস করা যাবেনা।

    সম্পূর্ণ উলঙ্গ হওয়া যাবেনা।

    ---এটি পড়ুন! এই পোস্টের সাথে সম্পৃক্ত----

    হায়েজ বা মাসিক অবস্থায় কি কি আমল করা যাবে আর কি কি আমল করা যাবে না।

    কুরআন ও শাহিহ হাদিসের আলোকে নামাজ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।

    রুমে আলো জ্বেলে সহবাস করা যাবে কি?

    সহবাসের (মিলনের) সময় সম্পূর্ণ উলঙ্গ হাওয়া যাবে কি?

    সহবাসের সময়ে নিজেদের লজ্জাস্থান দেখলে (দেখে দেখে সহবাস করলে) কোন ক্ষতি আছে কি?

    সূত্র : narideramolghor.blogspot.com

    শবে বরাতের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি Archives

    Home / Tag Archives: শবে বরাতের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি

    Tag Archives: শবে বরাতের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি

    Tag Archives: শবে বরাতের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি রমজানে সহবাস সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?

    20/04/2021 সেক্স লাইফ 0

    প্রশ্ন : এক লোক রমজান মাসে দিনের বেলায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছে, কিন্তু বীর্যপাত(Ejaculation) হয়নি। এর হুকুম কী? আর সে স্ত্রীরই বা করণীয় কী- যিনি এ ব্যাপারে অজ্ঞ ছিলেন? রমজানে সহবাস সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? উত্তর : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। রমজান মাসে দিনের বেলায় যে ব্যক্তি যৌনমিলন(Sex) করে তিনি ...

    Read More »

    You may like

    A Teaspoon On An Empty Stomach Burns 12 Lbs Of Fat A Week Safely!

    Keto Keto

    66 yaşında bebek yüzlü bir kadın. Yatmadan önce yaptığı şey bu

    Kollagen Intensiv Kollagen Intensiv

    Recent Posts

    শীতে নাভির যত্ন নিতে যা করবেন

    21/11/2022

    শরীরের বিশেষ কিছু অঙ্গ স্পর্শ না করাই ভালো

    20/11/2022

    স্তনের আকার নষ্ট হয় যে ৩টি ভুলের কারণে

    16/11/2022

    ঈদ স্পেশাল কাচ্চি বিরিয়ানি রেসিপি

    16/07/2022

    পেট ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

    18/06/2022

    গরমে ত্বকের এই ৫টি সমস্যায় কী করবেন

    16/06/2022

    প্রাকৃতিক ভাবে দাঁত সাদা করার ১০টি উপায় জেনে নিন

    15/06/2022

    নখ খেলে শরীরের কি ক্ষতি হয় জানেন কী?

    11/06/2022

    চোয়াল ব্যথা হলে পেছনে থাকতে পারে যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা

    10/06/2022

    গরমে শিশুর পুষ্টিকর খাবার সম্পর্কে জেনে নিন

    05/06/2022

    সূত্র : sustothaki.com

    শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কিনা জেনে নিন

    আপনারা অনেকেই শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে এসব বিষয়ে জানতে চান। যারা এ বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য আমাদের

    শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কিনা জেনে নিন

    আপনারা অনেকেই শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে এসব বিষয়ে জানতে চান। যারা এ বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি। আজকে আমরা আলোচনা করব শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে এসব বিষয়ে।

    তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নিই, শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি বা শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে এসব বিষয়ে।

    সূচিপত্রঃ শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি - শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে

    শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি

    শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে

    শবে কদর শবে কদরের ইতিহাস

    শেষ কথাঃ শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি -শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে

    শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি

    ইসলামের শুরুর দিকে ইফতারের পর থেকে শুরু করে এশার নামাজ পর্যন্ত সকল ধরনের পানাহার এবং স্ত্রী সহবাস বৈধ ছিল। যদি এর আগেই কেউ শুয়ে পরতো। তবে ঘুম আসলে স্ত্রী সম্ভগ এবং খাওয়া সব কিছু হারাম হয়ে যেত। যার কারণে সাহাবাগণ খুব পেয়েছিলেন। তারপর থেকে আল্লাহ তাআলা নাযিল করেছিলেন মাগরিব থেকে সুবহে সাদিক অর্থাৎ ইফতারের পর থেকে সেহরীর আগ পর্যন্ত এবং স্ত্রীর সম্ভোগের আদেশ প্রদান করেছিলেন।

    আরো পড়ুনঃ রোজা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে গোসলের নিয়ম

    সে ক্ষেত্রে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন তোমরা তাড়াতাড়ি ইফতার করো এবং দেরি করে সেহরি করো। অর্থাৎ স্ত্রী সহবাসে কোন বাধা নেয়। শুধু নিয়মমাফিক চললেই হবে। সে ক্ষেত্রে শবে কদরের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি না এ বিষয়ে আর কোন সংশয় নেয়। স্ত্রী সহবাসে কোন নির্দিষ্ট নিষিদ্ধ সময় সীমা নেয়, সহীহ ও কুরআন সুন্নাহর আলোকে তা বলা হয়েছে। এর মধ্যে যে বিষয় গুলো আমরা শুনতে পায়, তার মধ্যে বেশিরভাগই কুসংস্কারে অন্তর্ভুক্ত।

    যা ভিত্তিহীন অর্থাৎ ইসলামের যার কোন স্থান নায়। এমনকি দিনরাত স্বামী-স্ত্রীর সুযোগ যখনই হবে তখনই তাদের মধ্যে সহবাস বৈধ হবে। তারপর তারা যখন পবিত্র হয়ে যায়, তখন তাদের সাথে ঠিক সেই ভাবেই গমন করো, যেভাবে মহান আল্লাহ তায়ালা আদেশ দিয়েছিলেন তোমাদেরকে। আল্লাহ নিশ্চয়ই ক্ষমাপ্রার্থী দেরকে এবং যারা সবসময়ই পবিত্র থাকে, তাদেরকেই পছন্দ করেন।

    শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে

    রমজান মাসের রোজা সবার মনে প্রশ্ন আসে, রমজান মাসে শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে কিনা। কোরআন ও হাদিসের আলোকে আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের ভ্রান্ত ধারণা এবং কুসংস্কার চালু রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা মনে করে থাকি যে এসবগুলো কোরআন এবং হাদিসের কথা। অথচ কুরআন-হাদিসে এসব ভ্রান্ত ধারণা এবং কুসংস্কার কোনো অস্তিত্বই নেই। কিন্তু এই সব কোরআন এবং হাদিসের বিপক্ষে।

    আরো পড়ুনঃ রোজা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে করণীয়

    এমনকি এধরণের ভ্রান্ত ধারণা এবং কুসংস্কার শিরকের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। জাহান্নাম যার ফলস্বরূপ। মানুষ জান্নাত পাবার আশায় ইসলাম ধর্ম পালন করতে চাই জাহান্নামের দিকে চলে যাচ্ছে। আর মানুষকে স্বামী স্ত্রীর সহবাসের আসল আনন্দ থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। যা কখনোই উচিত নয়। বিবাহিত জীবনের প্রথম সারির চাহিদা হচ্ছে সহবাস।

    অথচ এইসব আমাদের সমাজে বহুৎ ধারণা এবং কুসংস্কার লিপ্ত আছে। অথচ কোন বাঁধা ধরা নিয়ম নেয়। সহবাসের জন্য কোন দিন কেই নিষিদ্ধ করা হয়নি। শবে কদরের রাতে সহবাস করা যাবে। তবে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এই আর কি। সহবাসের পর ফরজ গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। তারপর স্বাভাবিক ভাবেই আপনি নামাজ রোজা সকল ইবাদত বন্দেগী করতে পারবেন। এতে কোন প্রকার গুনহা হবে না।

    শবে কদর

    শবে-কদর হল ফারসী এবং লাইলাতুল কদর আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে অতিশয় সম্মানিত এবং মহিমান্বিত রাত পবিত্র রজনী। ফার্সি ভাষায় শাব এবং আরবি ভাষায় লাইলাতুল যার অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী। আরেক দিকে কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে মর্যাদা, সম্মান, মহাসম্মান। তাছাড়া কদর এর অন্য অর্থ হলো পরিমাণ, ভাগ্য অধির নির্ধারণ করা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী এই রাতে ইসলাম ধর্মের প্রচারক হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর অনুসারীদেরকে সম্মান বানানো হয় এবং সমস্ত মানব জাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল।

    আরো পড়ুনঃ রোজা থাকা অবস্থায় ফরজ গোসলের নিয়ম জেনে নিন

    সেজন্য সকল মুসলমানদের কাছে শবে কদরের রাত অত্যান্ত মর্যাদা, পূণ্যময় এবং হিসেবে জনপ্রিয়। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুসারে এই রাতকে অন্যান্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদত এর চাইতেও অধিক সওয়াব অর্জন করার কথা বলেছিলেন। প্রতি রমজান মাসে এই সকল মুসলমানদের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলে সবাই বিশ্বাস করেন। শবে কদরের রাত প্রতিটা মুসলমানের কাছে গুনাহ মাফের একটা বিশেষ দিন, নেকী অর্জন এর রাত। তাই এই রাতের ইবাদত বন্দেগী করতে কেউ কুণ্ঠিত হয় না।

    শবে কদরের ইতিহাস

    শবে কদরের রাতে মক্কার নুর পর্বতের গুহায় ৬১০ সালে ধ্যানরত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু এর কাছে সর্বপ্রথম কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছিল। রমজান মাসের শেষের দশ দিনের যে কোন বিজোড় দিনে শবে কদরের রাত হিসেবে ধরা হয়। তবে আমরা সচরাচর রমজান মাসের ২৭ তারিখে শবে কদরের রাত হিসেবে ধরে থাকি। এই দিনে সবাই রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকে। সর্বপ্রথম সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচ আয়াত তার উপর নাযিল হয়েছিল। ফেরেশতা জিব্রাইল (আঃ) এর কাছে শবে কদরের রাতে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

    সূত্র : www.ordinaryit.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 24 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন