শবে বরাতের রোজার নিয়ত কি
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে শবে বরাতের রোজার নিয়ত কি পান।
শবে বরাতের রোজা কয়টি
শবে বরাতের রোজা কয়টি, সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। শবে বরাতের রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আপনি শবে বরাতের রোজা রাখতে পারেন।
শবে বরাতের রোজা কয়টি - শবে বরাতের রোজার নিয়ত
শবে বরাতের রোজা কয়টি, সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। শবে বরাতের রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আপনি শবে বরাতের রোজা রাখতে পারেন। শবে বরাতের রোজা কয়টি এবং শবে বরাতের রোজার নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। শবে বরাতের রোজা কয়টি? তা নিচে তুলে ধরা হলো।
পেজ সূচিপত্র: শবে বরাতের রোজা কয়টি - শবে বরাতের রোজার নিয়ত
শবে বরাতের রোজা কয়টি
শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায়
শবে বরাতের রোজার ফজিলত
শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম
শবে বরাতের রোজা ২০২৩ কবে
শবে বরাতের রোজার ফজিলত: শেষ কথা
শবে বরাতের রোজা কয়টি
শবে বরাতের রোজা কয়টি, সে বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে, আপনার জেনে রাখা উচিত হবে যে, শবে বরাতের জন্য নির্দিষ্ট কোন রোজা নেই। অর্থাৎ শবেবরাত উপলক্ষে রোজা রাখার পক্ষে স্পষ্ট কোন হাদিস নেই। যদিও একটি হাদিসে, শবে বরাতের রোজার বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে, তবে সে হাদিসটির গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে ওলামাদের ভিতরে মত পার্থক্য রয়েছে।
যেহেতু নির্দিষ্ট করে, স্পষ্ট ভাবে শবে বরাতের জন্য কোন রোজা নেই, তাই শবে বরাতের রোজা কয়টি, মূলত এটি একটি অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন। তবে প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখে রোজা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রোজা গুলোকে বলা হয় আইয়ামে বীজের রোজা। হাদিস সমূহে আইয়ামে বীজের ফজিলত সম্পর্কে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। তাই চাইলে আপনি আপনি শাবান মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখের রোজা রাখতে পারেন। আপনি যদি সাবান মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখে রোজা রাখেন, তাহলে অশেষ সাওয়াবের অধিকারী হতে পারবেন।
আরো পড়ুন: শাবান মাসের রোজা কয়টি - শাবান মাসের রোজা রাখার নিয়ম
তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি যে রোজা রাখছেন তা কিন্তু শাবান মাস উপলক্ষে নয়। বরং তা হল আইয়ামে বীজের রোজা। শবে বরাতের রোজা কয়টি, আশা করি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পেরেছেন। শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় এবং শবে বরাতের রোজার ফজিলত সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সেই সাথে নিচে, শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম, শবে বরাতের রোজার ফজিলত এবং শবে বরাতের রোজা ২০২৩ কবে? সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুলে ধরা হবে।
শবে বরাতের রোজার নিয়ত - শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায়
শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় পাঠ করা জরুরী কিনা? সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। শবে বরাতের রোজার নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে নিয়ত সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেয়া যাক। সর্বপ্রথম আপনাকে বুঝতে হবে যে নিয়ত কি? নিয়ত হচ্ছে মূলত অন্তরের সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ মনে মনে আপনি যে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, সেটাই হলো নিয়ত।
অর্থাৎ আপনি যখন মনে মনে কোন কাজ করার সংকল্প গ্রহণ করেছেন তখনই আপনার সেই কাজটি করার নিয়ত করা হয়ে গিয়েছে। তাই আলাদাভাবে নির্দিষ্ট কোন নিয়মে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই।যেহেতু নিয়ত মনের সাথে সম্পর্কিত, তাই মুখে মুখে নিয়ত করার উচিত নয়। নামাজ, বা অন্য কোন ইবাদত করার সময় নির্দিষ্ট নিয়মে মোনাজাত করার বিধান নেই।
এখন আসা যাক শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় পাঠ করা সম্পর্কে। ওপর উল্লেখিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, কোন ইবাদত করার পূর্বে নির্দিষ্টভাবে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই। তাই শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় পাঠ করতে হবে না।
আরেকটি বিষয় হলো, শবে বরাত উপলক্ষে নির্দিষ্ট কোন রোজা রাখা যাবে না। শাবান মাসে কোন কোন তারিখে নফল রোজা রাখা যেতে পারে তা উপরে তুলে ধরা হয়েছে। শবে বরাতের রোজা কয়টি তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। নিচে শবে শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায়, শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম এবং বরাতের রোজার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
শবে বরাতের রোজার ফজিলত
শবে বরাতের রোজার ফজিলত সম্পর্কে যে হাদিস রয়েছে সেই হাদিসের ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে প্রতি আরবি মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখে রোজা রাখার ব্যাপারে অর্থাৎ আইয়ামে বীজের রোজা সম্পর্কে যে সকল হাদিস রয়েছে সেগুলো গ্রহণযোগ্য। তাই আপনি যদি শাবান মাসেও, ১৩-১৪-১৫ তারিখে রোজা রাখেন তাহলে অধিক স্বভাবের অধিকারী হবেন।
আইয়ামে বীজের ফজিলত সম্পর্কে যে সকল হাদিস রয়েছে তার মধ্য থেকে কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হবে। আইয়ামে বীজের ফজিলত সম্পর্কে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তুমি যদি (প্রতি) মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে তেরো, চৌদ্দ এবং পনেরোতম দিনে রোজা রাখবে।’ - (তিরমিজি)
অপর আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা:) বর্ণনা করেছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেছেন, ‘তুমি প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। এটা তোমার জন্য ভালো। কেননা তোমার একটি সৎকাজ দশগুণ সমান; ফলে তুমি যেন পুরো বছরই রোজা রাখছো।’ (বুখারি)
আরো পড়ুন: রোজা থাকা অবস্থায় সহবাস - রোজা থাকা অবস্থায় মিলনের নিয়ম
উপরে উল্লেখিত হাদিস সমূহ থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, আইয়ামে বীজের ফজিলত অনেক বেশি। সেই সূত্রে শাবান মাসেও যদি আপনি রোজা রাখেন তাহলে অশেষ সাওয়াবের অধিকারী হতে পারবেন। শবে বরাতের রোজার ফজিলত সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত জেনেছেন। ইতোমধ্যেই ওপরে শবে বরাতের রোজা কয়টি এবং শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় তুলে ধরা হয়েছে।
শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম
শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম, সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি মনোযোগের সহিত পড়ুন আর্টিকেলের এই অংশটিতে শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে তো আসুন দেখে নেয়া যাক, শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম।
শবে বরাতের রোজা রাখা যাবে কিনা সেই ব্যাপারেই মতপার্থক্য রয়েছে তাই, শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম নেই। যেখানে শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়মই নেই সেখানে শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়মের প্রসঙ্গটি অবান্তর।
শবে মেরাজ, শবে বরাত ইত্যাদি নফল রোজার নিয়ত কিভাবে করবো?
উত্তর (3টির 1): "আল্লাহ আমি তোমার জন্য নফল রোজা রাখার নিয়ত করলাম"। রমজানের রোজার বাইরে যেই রোজাই রাখেন এই দোয়াই যথেষ্ট। আল্লাহ আপনার মনের খবর জানেন। আপনি নিয়ত করলেন যে রোজা রাখবেন, এটাই যথেষ্ট।
শবে মেরাজ, শবে বরাত ইত্যাদি নফল রোজার নিয়ত কিভাবে করবো?
সাজান Asik Arno
শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এ/তে পড়াশোনা করেছেন (2012)1 বছর
এটির আসল উত্তর ছিল: আসসালামু আলাইকুম,শবে মেরাজ,শবে বরাত ইত্যাদি নফল রোজার নিয়ত কিভাবে করবো?
ওয়া'আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
প্রথমত শবে মেরাজ বা শবে বরাতের আলাদা নির্দিষ্ট কোনো নফল রোজা নেই।
আর দ্বিতীয়ত যেকোনো কাজের পূর্বে কোন কাজটি করছেন তা সঠিকভাবে মন থেকে নির্ধারণ করে নিলেই নিয়তের কাজ হয়ে যায়। স্পেসিফিক ভাবে কিছু পড়া বা বলার প্রয়োজনীয়তা নেই। আপনি নফল রোজা রাখবেন এটা যেহেতু আপনার কাছে নির্দিষ্ট তাই আপনার রোজার নিয়ত এখানেই হয়ে গেছে নিয়তের জন্য আলাদাভাবে আর কিছু করতে হবে না।
বিস্তারিত পড়তে পারেন এই লিংক থেকেঃ একটি ভুল মাসআলা : রোযার নিয়ত কি মুখে করা জরুরী?
সম্পর্কিত প্রশ্ন
কিভাবে ধনী হওয়া যায়?
পাওয়ার বাটন নষ্ট, পাওয়ার অন করবো কিভাবে?
ফেসবুকে বাংলা পোস্টগুলিকে কিভাবে ইংরেজিতে অনুবাদ করবো (Facebook lite)?
হাজতের নামাজ কিভাবে পড়বো?
শবে মেরাজে কী কী আমল করতে হবে?
ফজল মাহমুদ সজীব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এ লোক প্রশাসন বিষয়ে এম এস (1994)লেখকের 2.7 হাটি উত্তর রয়েছে ও 11.9 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে1 বছর
"আল্লাহ আমি তোমার জন্য নফল রোজা রাখার নিয়ত করলাম"।
রমজানের রোজার বাইরে যেই রোজাই রাখেন এই দোয়াই যথেষ্ট। আল্লাহ আপনার মনের খবর জানেন। আপনি নিয়ত করলেন যে রোজা রাখবেন, এটাই যথেষ্ট।
রিয়াজুল ইসলাম
বাংলা জানেনলেখকের 804টি উত্তর রয়েছে ও 7 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে1 বছর
এটির আসল উত্তর ছিল: আসসালামু আলাইকুম,শবে মেরাজ,শবে বরাত ইত্যাদি নফল রোজার নিয়ত কিভাবে করবো?
আমি আল্লাহর জন্য কিবলামুখি হয়ে দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবার
Md Shahriar Amit
মার্কেটিং নিয়ে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের স্নাতক নিয়ে পড়াশুনা করেছেন1 বছর
সম্পর্কিত
রমজানের শেষ দশটি রাতের কিভাবে পুরোটা সময় ইবাদত করে কাটিয়ে দিতে পারবো? কিভাবে শবে কদরের রাতকে কাজে লাগাবো?
Mahmud Husain
লেখকের 896টি উত্তর রয়েছে ও 85.1 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে10 মাস আপডেট হয়েছে
সম্পর্কিত
নামাজের নিয়ত মুখে পড়া কি বেদাত?
এটির আসল উত্তর ছিল: নামাজের নিয়ত মুখে পডা কি বেদাত?
এই গল্পটা পড়ে দেখুন, কিছু বোঝেন কিনা।
রফিক খুব ভালো ছেলে। সে একটি অফিসে কাজ পড়ে। কাজ পড়তে পড়তে যখন ক্লান্ত হয়, তখন ফোন পড়ে। সে তার মা-বাবা কে খুব শ্রদ্ধা পড়ে। রফিক অফিসে যাবার আগে, সকালে বাজার পড়ে। সবাই তাকে খুব পছন্দ পড়ে।
গল্পটা কি বুঝতে পেরেছেন? আচ্ছা, গল্পটি অন্যভাবে সাজিয়ে দিচ্ছি।
রফিক খুব ভালো ছেলে। সে একটি অফিসে কাজ করে। কাজ করেতে করেতে যখন ক্লান্ত হয়, তখন ফোন করে। সে তার মা-বাবা কে খুব শ্রদ্ধা করে। রফিক অফিসে যাবার আগে, সকালে বাজার করে। সবাই তাকে খুব পছন্দ করে।
এবার নিশ্চয়ই গল্পটি বুঝতে পেরেছেন। একই গল্প, আগে বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল কেন? কারণ, আগের বারের গল্পে "পড়া" শব্দটি দেওয়া ছিল। ওটা আসলে
ফারহান তানভীর
ইসলাম শান্তির ধর্ম। ❤️লেখকের 272টি উত্তর রয়েছে ও 17.9 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে6 মাস
সম্পর্কিত
মানত করলে কি মুখে নিয়ত করতে হবে?
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মানত করতে নিষেধ করেছেন।
স্বাধীন হক বিজয়
সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার্স (এমএসএস)লেখকের 1.5 হাটি উত্তর রয়েছে ও 1.4 কো বার সেগুলি দেখা হয়েছে7 নভেম্বর
সম্পর্কিত
কেউ আমার কুটনামি করলে করনীয় কী?
তার সাথে কোন ধরনের সংবেদনশীল ইনফরমেশন শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
তার কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
তাকে কৌশলগতভাবে এড়িয়ে চলুন।
তাকে বুঝতে দিবেন না যে আপনি জানেন সে কুটনামি করে।
যে আপনার কুটনামি করে সে কখনোই আপনার বন্ধু নয়।
Utpal Barman
ভূগোল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স10 মাস আপডেট হয়েছে
সম্পর্কিত
অরবিন্দ কেজরিওয়াল সম্বন্ধে কী বলতে চান?
1. অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার বা তার স্ত্রী বা সন্তানদের জন্মদিন উদযাপন করেন না, হয়তো এতে তার কোনো ব্যক্তিগত মতামত আছে।
2. ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর 'লাল বাট্টি গাড়ি' (লাল-বাতি গাড়ি) এবং তার নিরাপত্তার সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
3.তিনি একটি গাড়ি, একটি বিস্তীর্ণ বাংলো প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং আম আদমির সাথে অনুরণিত হওয়ার জন্য তার নিজস্ব ওয়াগন নিজে চালানোয় বেছে নিয়েছিলেন।
4.তিনি তার প্রথম প্রচেষ্টায় IIT-JEE এবং ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস এর IRS পরীক্ষা পাস করেন।
5.অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার উদীয়মান নেতৃত্বের ক্ষমতার জন্য 2006 সালে রমণ ম্যাগসেসে পুরস্কার
আবু জামিল
লেখকের 294টি উত্তর রয়েছে ও 7.3 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে2 বছর
সম্পর্কিত
শবে-বরাত পালন প্রসঙ্গে ইসলাম কী বলে?
আলহামদুলিল্লাহ,
শবে বরাতের কোনো অস্তিত্ব কুরআন হাদিসে নেই এটি পালন করা বিদ'আত।
হ্যা, মধ্য শাবান বা ১৫ই শাবানের ব্যাপারটি তবে কী?
উসামাহ বিন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
‘একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনাকে শাবান মাসে যত সিয়াম রাখতে দেখি তত অন্য কোন মাসে তো রাখতে দেখি না, (এর রহস্য কী)?’
উত্তরে তিনি বললেন,
“এটা তো সেই মাস, যে মাস সম্বন্ধে মানুষ উদাসীন, যা হল রজব ও রমযানের মাঝে। আর এটা তো সেই মাস; যাতে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের নিকট আমলসমূহ পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, সিয়াম রাখা অবস্থায় আমার আমল (আল্লাহর নিকট) পেশ করা হোক।
. [আহমাদ ২১৭৫৩, নাসাঈ ২৩৫৭, সহীহ তারগীব ১০০৮,
তামামুল মিন্নাহ ৪১২পৃঃ]
হাদিসের মা Sayantan Basu
Google-সঙ্ক্রান্ত কিছু জিনিস জানি।লেখকের 107টি উত্তর রয়েছে ও 6.1 লা বার সেগুলি দেখা হয়েছে1 বছর
সম্পর্কিত
শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে ও নিয়ত সম্পর্কে জানুন
পবিত্র শবে উপলক্ষে অনেকেই নফল রোজা রাখেন। এখান থেকে শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে রাখতে হবে ও রোজার নিয়ত সম্পর্কে জানুন।
শবে বরাতের রোজা কয়টি
শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে ও নিয়ত সম্পর্কে জানুন
SUJONMARCH 5, 2023দিবস1 COMMENT
Rate this post
৭ই মার্চ রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। আরবি শাওয়াল মাসের মধ্যরাতকেই পবিত্র শবে বরাতের রাত বলা হয়ে থাকে। এই রাতে এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল নামাজ আদায় করে থাকে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখতেন। তিনি বলেছেন শাবান মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে এবং নফল রোজা রাখতে।
Table of Contents
যেহেতু পবিত্র শবে বরাত চলে এসেছে তাই অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ শবে বরাতের রোজা রাখতে চায়। ইতিমধ্যে তারা ইন্টারনেটে শবেবরাত রোজা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমি লক্ষ্য করেছি যে অনেকেই জানতে চেয়েছে যে শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কত তারিখে রোজা রাখতে হবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে পবিত্র শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে রোজা রাখতে হবে ও কিভাবে নিয়ত করতে হয় তা বিস্তারিতভাবে জানাবো।
শবে বরাত রোজা ২০২৩
আমাদের প্রান প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রতি আরবি মাসেই নফল রোজা রাখতেন। মহান আল্লাহ্ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ও সওয়াব লাভের জন্য নফল রোজা রাখা প্রত্যেক মুমিনের উচিৎ। রোজা রাখার বিষয়ে একটি হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত উম্মে সালমা ও হযরত আয়েশা (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ শাবান মাসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) অধিকহারে রোজা রাখতেন। যেন তিনি গোটা শাবান মাসেই রোজা রাখতেন। (তিরমিজি – ১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)। সে হিসেবে শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা অধিক সওয়াবের কাজ। কারণে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ পবিত্র শবে বরাতের দিনে নফল রোজা রেখে থাকেন।
শবে বরাতের রোজা কয়টি
পবিত্র শবে বরাত এর এই ফজিলত ময় দিবস উপলক্ষে অনেক ধর্ম প্রান মুসুল্লিগণ শবে বরাতের বিশেষ রোজা রাখতে চান। তাই তারা ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজা কয়টি তা খুজে থাকেন। সত্যি বলতে শবে বরাতের মোট কয়টি রোজা রাখতে হবে তা নির্দিষ্ট নয়। আপনি আপনার সাধ্য অনুযায়ী যে কয়টি ইচ্ছা নফল রোজা রাখতে পারেন।
পবিত্র হাদিস শরীফে শবে বরাতের রোজার বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায়। রাসূল (সঃ) বলেনঃ ১৫ শাবানের রাতে তোমরা নফল ইবাদাত করো এবং পরদিন রোজা রাখো। এই হাদিস দিয়ে শবে বরাতের একটি নফল রোজা রাখা প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন হাদিস থেকে যানা যায় আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখে তিন দিন তিনটি রোজা রাখতেন। এছাড়াও তিনি মহান আল্লাহ্ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সে হিসেবে শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে। আপনি চাইলে শাবান মাসের ১৩,১৫ ও ১৫ দিনে নফল রোজা রাখতে পারেন।
শবে বরাতের রোজা কবে থেকে
শবে বরাতে অনেক মুসলমানগন বিশেষ রোজা রেখে থাকেন। কারণ পবিত্র শবে বরাতের এবাদত একটি নফল ইবাদত। নফল ইবাদতের সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে নফল নামাজ আদায় করা এবং এর সাথে নফল রোজা রাখা। ইন্টারনেটে অনেক মুসলমানগণ শবে বরাতের রোজা কবে থেকে তা জানতে চেয়েছে। শবে বরাতের এই বিশেষ রোজা রাখার নির্দিষ্ট কোন দিন বা তারিখ নেই।
তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ প্রতি আরবি মাসেই তিনটি করে রোজা রাখবেন। তিনি আরবি মাসের মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ আরবি ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ এই তিন দিন রোজা রেখে থাকতেন। সুতরাং আপনিও চাইলে পবিত্র সামান মাসে শবে বরাত উপলক্ষে তিনটি রোজা রাখতে পারেন। সাবান মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ অর্থাৎ ইংরেজি মার্চ মাসের ৬, ৭ ও ৮ তারিখ এই তিন দিন রোজা রাখা যেতে পারে।
শবে বরাতের রোজার নিয়ত
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে যে সকল মুসুল্লিগণ রোজা রাখতে চান তারা ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত খুঁজে বেড়ায়। অনেকেই আবার ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় খুঁজতেছে। রোজার নিয়ত করার পূর্বে প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে মূলত নিয়ত কি। নিয়ত হচ্ছে অন্তরের সিদ্ধান্ত, এর মানে হলো আপনি যে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সেটি নিয়ত। সুতরাং আপনি যখন কোন কাজ করা সংকল্প গ্রহণ করবেন তখনই আপনার নিয়ত হয়ে যাবে।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে নির্দিষ্ট নিয়মে রোজা রাখার কোন বিধান নেই। তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পবিত্র শাবান মাসে তিনটি করে রোজা রাখতেন। আপনিও চাইলে শবে বরাত উপলক্ষে তিনটে রোজা রাখতে পারেন। তবে নফল এই রোজা রাখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন নিয়ত নেই। সুতরাং আপনি যদি ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত খুঁজে থাকেন তাহলে তা খুঁজে পাবেন না।
শবে বরাত রোজার ফজিলত
শাবান মাস হচ্ছে অত্যন্ত বরকতময় ও মহামান্বিত রাত। মহান আল্লাহ তা’আলা শাওয়াল মাসের মাঝামাঝি সময়ে তার বান্দাদেরকে বিশেষ ক্ষমা করে থাকেন। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে মুসলমানদের মাঝে নফল নামাজ ও নফল রোজা রাখার বিধান রয়েছে। যদিও এই ধারণাটি সঠিক নয়। তবে নফল নামাজ ও নফল রোজা রাখা অবশ্যই সওয়াবের কাজ। আপনি চাইলে নফল নামাজ ও রোজা রাখতে পারেন। এতে আপনি মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন।
পবিত্র শবে বরাতের রাতে যত ইবাদত করবেন তত আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে। এবং মহান আল্লাহর নিকট অতীতের কাজের জন্য ক্ষমা এবং ভবিষ্যতে পাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আবেদন করতে হবে। তবেই না আমরা এই রাতকে তাৎপর্যময় করে তুলতে পারব। সুতরাং এই রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত এবং জিকির করা উচিত, এছাড়াও পরের দিন নফল রোজা রাখা উচিত।
শবে বরাতের রোজার সেহরির শেষ সময়
আরবি শাবান মাসে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে অনেক মুসল্লীগণ নফল রোজা রেখে থাকেন। যেহেতু বর্তমানে আরবি সামান মাস চলিতেছে তাই অনেকেই এই মাসে নফল রোজা রেখে থাকে। ইন্টারনেটে অনেকেই শবে বরাতের রোজার সেহেরীর শেষ সময় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই আপনাদেরকে জানাতে চাই যে ফজরের ওয়াক্তের আগে অবশ্যই আপনার সেহরি শেষ করতে হবে। মার্চ মাসে ভোর পাঁচটার সময় ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়। সুতরাং আপনি ভোর ৪ টা ৩০ মিনিট এর আগেই আপনারা শবে বরাতের রোজার সেহেরী শেষ করতে পারেন।
সর্বশেষ কথা
মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবং আমাদের গুনাহ মাপের জন্য শবে বরাতের রাতে আমরা নফল নামাজ আদায় করতে পারি। এছাড়াও পরের দিন নফল রোজা রাখতে পারি। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কবে রাখতে হবে তা জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি ইতিমধ্যেই আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনি শবে বরাত রোজা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?