শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায়
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় পান।
রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া (উচ্চারণ সহ বাংলা অর্থ)
রোজার নিয়ত, রোজা রাখার দোয়া, রোজা রাখার নিয়ত, রোজা রাখার দোয়া, রোজার নিয়ত বাংলা, রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা, ইফতারের দোয়া,
ইসলাম
রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া (উচ্চারণ সহ বাংলা অর্থ)
02/02/2023 / By Shaikh Mainul Islam
1 Minute read
আরবি প্রতি বছরের সাওয়াম বা রমজান মাসে গোটা মুসলিম বিশ্ব দীর্ঘ একমাস রোজা আদায় করেন। দীর্ঘ ৩০ দিন মুসলিম জাতি রোজা রাখেন একমাত্র আল্লাহর সন্তস্টি এবং আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য। আর আজকে আমরা রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া উচ্চারণ সহ বাংলা অর্থ জানবো।
মুসলিম বিশ্বের জন্য রমজান মাস একটি অন্যতম মাস। কারণ এই মাসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার অনেক বেশি সুযোগ থাকে। রোজার এই মাসে বাঙ্গালী মুসলমান সহ গোটা বিশ্বের সকল মুসলমান তাদের অন্যান্য ১১ মাসের থেকে ব্যতিক্রম ভাবে দিন পার করে।
রোজার মাসে প্রত্যেক মুসলমানের নিয়ত থাকে অন্যান্য কাজের পরিমাণ কমিয়ে বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করা, আল্লাহর কাছে চাওয়া। আজকে আমরা জানবো আত্মশুদ্ধির মাস রমজান মাসে রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া, রোজা রাখার দোয়া, রোজার নিয়ত, রোজার নিয়ত বাংলায় এবং রোজার অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত।
রোজার ফজিলত । রোজা সম্পর্কে আল্লাহ এবং নবীর বানী
পবিত্র মাহে রমজানের মাস্কে আত্মশুদ্ধির মাস বলা হয়। এর অন্যতম কারণ, রাসুল (সাঃ) বলেন,
“যে মুসলমান ব্যক্তি সয়াবের আশায় নিজ ইমানের সাথে রমজানে সব রোজা রাখে এবং তারাবির নামাজ আদায় করে অই ব্যক্তির অতীতের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। (বুখারি হাদিস নং ১৯০১)
আরও পড়ুনঃ শবে বরাতের রোজা কয়টি । শবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিতঅন্যদিকে মহান আল্লাহ তায়ালা রোজার সম্বন্ধে সুরা বাকারার ১৮৩ নাম্বার আয়াতে বলেন,
হে আমার মুমিন বান্দারা, তোমাদের উপর রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমনটা ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী মানুষদের উপর। (সুরা বাকারার ১৮৩ নাম্বার আয়াত থেকে নেওয়া)
আরও পড়ুনঃ ঈদুল ফিতরে করণীয় বর্জনীয় সমূহএই কথা দ্বারা স্পষ্ট যে, ইমানের সাথে মনে আল্লাহকে বিশ্বাস রেখে সাওয়াবের এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় যে ব্যক্তি রমজানের সকল রোজা আদায় করেন এবং তারাবির নামাজ পরেন আল্লাহ তার পিছনের সকল গুনাহ মাফ করে দেন।
তাই রমজান মাসকে আত্মশুদ্ধির মাস বলা হয়। রমজান মাসে মুমিন মুসলিমরা যত বেশি আল্লাহর ইবাদত করবেন ততবেশি নেকি (সাওয়াব) অর্জন করবেন।
রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া ( বাংলা অর্থ ও উচ্চারণ সহ)
রমজানে রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া আদায় করতে হয়। মূলত রোজা রাখবো এবং ইফতারি করবো এটি অন্তরে থাকলেই রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়াটা করার সাথে সাথে হয়ে যায়।
তবে তারপরেও রোজার নিয়ত আছে যা পরলে ভালো হয়। তবে আলেমদের মতে, রোজা রাখবো ও ইফতার করবো আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং সাওয়াবের আশায় এতেই রোজার নিয়ত হয়ে যায়।
চলুন তাহলে নিচে রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া অর্থাৎ রোজা সম্পর্কিত দোয়াগুলি বাংলা -য় দেখে নেওয়া যাক।
তার আগে আপনাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, রোজার এই নিয়ত হোক তা বাংলায় বা আরবিতে এখান থেকে দেখে একটা কাগজে লিখে আপনার চোখের সামনে রেখে দিন। আমল করার সাথে সাথে কয়েকদিনের মধে মুখস্ত হয়ে যাবে।
অথবা এই পোস্টটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করে রেখে দিন। প্রতিদিন একবার পোস্টটি থেকে দেখে নিতে পারবেন।
তাহলে চলুন রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা এবং আরবিতে দেখে নেওয়া যাক।
রোজার নিয়ত । বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থ সহ
রোজার আরবি নিয়তঃ –
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمআরবি রোজার নিয়তের বাংল উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আং আছুম্মা গাদাম্ম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আংতাস সামিউল আলিম।
রোজার নিয়ত বাংলায়ঃ হে আল্লাহ, আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার জন্য মনের ইচ্ছা (নিয়ত) পোষণ করলাম।
অতএব, হে আল্লাহ তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা অর্থাৎ পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল করে নাও, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
আরও পড়ুনঃ রোজা ভঙ্গের কারণ, মাকরুহ, যখন রাখা লাগবে নারোজা রাখার দোয়া রমজানের সময় প্রতিদিন সুবহে সাদিকের পূর্বে মনে মনে পাঠ করবেন।
অর্থাৎ সেহরি খাওয়ার পরেই আপনি এই দোয়া পাঠ করবেন।
রমজানের দোয়া আপনি আরবিতে কিংবা বাংলায় যেকোনো ভাবেই পাঠ করতে পারেন।
আপনি যেভাবে সহজে মনে রাখতে পারেন সেই ভাবে পাঠ করবেন।
রোজার নিয়ত আদায়ের মধ্য দিয়ে রোজার পূর্ণতা অর্জন হয়। তবে রোজা রাখার মানসিকতা থাকাতা অনেক বড় দোয়া।
সকল রোজা পালনকারীকে আল্লাহ এই দোয়ার আমল করার তৌফিক দিন।
ইফতারের দোয়া । ইফতারের পূর্ব মুহূর্তের দোয়া
রোজা রাখার উদ্দেশ্যে যেমন রোজার দোয়া আছে তেমনই ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে ইফতারের দোয়া আছে।
এখন আরবিতে ইফতারের দোয়া বাংলা অর্থ সহ দেখবো। এর আগে বলে নেই, ইফতারের দোয়া ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে ইফতার সামনে নিয়ে পড়তে হয়।
এবং আই সময়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হয়। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হয়।
ইফতার সামনে নিয়ে বান্দা কোনও দোয়া করলে আল্লাহ সেই দোয়া কবুল করে নেন।
ইফতারের দোয়া আরবিতেঃ اَللهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِيْ وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِيْ. رواه ابن ماجه، وقال البوصيري في الزوائد : هذا هديث صحيح، ورجاله ثقات.
ইফতারের আরবি দোয়া বাংলায় উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা ওয়া তাওয়া ক্কালতু আ’লা রিয কিকা ওয়া আফতারতু বিরহ মাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।
আরও পড়ুনঃ রমজানে সাহরি ইফতারিতে যা থাকা উচিতবাংলা অর্থ ইফতারের দোয়ারঃ হে আল্লাহ, আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছিহ।
শবে বরাত রোজার নিয়ত । শবে বরাতের রোজা কয়টি
শবে বরাত রোজার নিয়ত এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে হুজুর (সা:) বলেছেন, “জিব্রাইল (আ:) আমাকে বলেছেন, আপনি আপনার উম্মতদের জানাইয়া দেন যে, তারা
2023-03-06
শবে বরাত রোজার নিয়ত । শবে বরাতের রোজা কয়টি
POST BY RUMSEN AJKER KHABAR BANGLADESH, নামাজের সময়সূচি নিয়ম ও দোয়া শবে বরাত রোজার নিয়ত, শবে বরাতের রোজা কয়টি
শবে বরাত রোজার নিয়ত , শবে বরাতের রোজা কয়টি মহান আল্লাহ তাআলা আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতদের জন্য ইবাদতের বিশেষ কিছু সুবিধা প্রদান করেছেন।
এর মধ্যে পাঁচটি রাত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইবাদতের এই বিশেষ পাঁচটি রাত হলো: শবে জুমা বা জুমার রাত, শবে ঈদাইন বা দুই ঈদের রাত্রিদ্বয়, শবে বরাত বা মুক্তির রাত তথা নিসফ শাবান বা শাবান মাসের মধ্য রাত, শবে কদর বা কদরের রাত অর্থাৎ মর্যাদাপূর্ণ রজনী। Gazivai.com এ ২ পিস প্যান্টের বেল্ট মেশিন ৫৫০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এক্ষুনি কিনুন
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ। সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য তাজা অজু বা নতুন অজু করা মোস্তাহাব।
এছাড়াও আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন তাহলে ভিজিট করতে পারেন আমাদের ই-কমার্স ওয়েবসাইট আমাদের ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর ঠিকানা হচ্ছে।
শবে বরাত রোজার নিয়ত
হযরত মোহাম্মদ (সা:) বলেন, এই রাত্রিতে এবাদত-কারিদের গুনাহরাশি আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবল আল্লাহর সাথে শিরককারী, সুদখোর,গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী, যিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে হুজুর (সা:) বলেছেন, “জিব্রাইল (আ:) আমাকে বলেছেন, আপনি আপনার উম্মতদের জানাইয়া দেন যে, তারা যেন শবে বরাতের রাতকে জিবীত রাখে।” অর্থাত্, সারারাত তারা যেন ইবাদতের মাঝে কাটাইয়া দেয় ।Gazivai.com এ ৫০০ টাকা চুল ও গোপন অঙ্গের পশম কাটার ট্রিমার কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন
শবে বরাতের রোজা কয়টি
শাবান মাসের মধ্য রজনী হলো শবে বরাত।
তবে আরবি মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখের ৩ দিন তিনটি রোজা রাখতেন। তিনি নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সেই হিসেবে শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন, ১৫ শাবান রাতে তোমরা জেগে থেকে ইবাদত কর এবং পরদিন রোজা রাখ।
এ হাদিস দিয়ে শবেবরাতের একটি নফল রোজা প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন হাদিসে হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ তিনদিন তিনটি নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন।
শবে বরাতের নামাযের নিয়ত বাংলায়
“নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা‘আ-লা- রাক‘আতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা‘বাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার”।
বাংলায় নিয়তঃ“ আমি ক্বেবলামূখী হয়ে আল্লাহ্ এর উদ্দেশ্যে শবে বরাতের দু‘রাক‘আত নফল নামায আদায়ের নিয়ত করলাম- আল্লাহু আকবার”।
শবে বরাতের নামায দু‘রাকাত করে যত বেশী পড়া যায় তত বেশী ছওয়াব। নামাযের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা ইখলাছ, সূরা ক্বদর, আয়াতুল কুরছী বা সূরা তাকাছুর ইত্যাদি মিলিয়ে পড়া অধিক ছওয়াবের কাজ।
আজকের আর্টিকেলটি ছিল শবে বরাত রোজার নিয়ত এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত উপস্থাপনা করেছে আশা করি আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি রমজানের নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা পেয়েছেন আর্টিকেল পড়ে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন
শবে বরাতের রোজা কয়টি
শবে বরাতের রোজা কয়টি, সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। শবে বরাতের রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আপনি শবে বরাতের রোজা রাখতে পারেন।
শবে বরাতের রোজা কয়টি - শবে বরাতের রোজার নিয়ত
শবে বরাতের রোজা কয়টি, সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। শবে বরাতের রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। তাই আপনি শবে বরাতের রোজা রাখতে পারেন। শবে বরাতের রোজা কয়টি এবং শবে বরাতের রোজার নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। শবে বরাতের রোজা কয়টি? তা নিচে তুলে ধরা হলো।
পেজ সূচিপত্র: শবে বরাতের রোজা কয়টি - শবে বরাতের রোজার নিয়ত
শবে বরাতের রোজা কয়টি
শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায়
শবে বরাতের রোজার ফজিলত
শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম
শবে বরাতের রোজা ২০২৩ কবে
শবে বরাতের রোজার ফজিলত: শেষ কথা
শবে বরাতের রোজা কয়টি
শবে বরাতের রোজা কয়টি, সে বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে, আপনার জেনে রাখা উচিত হবে যে, শবে বরাতের জন্য নির্দিষ্ট কোন রোজা নেই। অর্থাৎ শবেবরাত উপলক্ষে রোজা রাখার পক্ষে স্পষ্ট কোন হাদিস নেই। যদিও একটি হাদিসে, শবে বরাতের রোজার বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে, তবে সে হাদিসটির গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে ওলামাদের ভিতরে মত পার্থক্য রয়েছে।
যেহেতু নির্দিষ্ট করে, স্পষ্ট ভাবে শবে বরাতের জন্য কোন রোজা নেই, তাই শবে বরাতের রোজা কয়টি, মূলত এটি একটি অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন। তবে প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখে রোজা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রোজা গুলোকে বলা হয় আইয়ামে বীজের রোজা। হাদিস সমূহে আইয়ামে বীজের ফজিলত সম্পর্কে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। তাই চাইলে আপনি আপনি শাবান মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখের রোজা রাখতে পারেন। আপনি যদি সাবান মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখে রোজা রাখেন, তাহলে অশেষ সাওয়াবের অধিকারী হতে পারবেন।
আরো পড়ুন: শাবান মাসের রোজা কয়টি - শাবান মাসের রোজা রাখার নিয়ম
তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি যে রোজা রাখছেন তা কিন্তু শাবান মাস উপলক্ষে নয়। বরং তা হল আইয়ামে বীজের রোজা। শবে বরাতের রোজা কয়টি, আশা করি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পেরেছেন। শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় এবং শবে বরাতের রোজার ফজিলত সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সেই সাথে নিচে, শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম, শবে বরাতের রোজার ফজিলত এবং শবে বরাতের রোজা ২০২৩ কবে? সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর তুলে ধরা হবে।
শবে বরাতের রোজার নিয়ত - শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায়
শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় পাঠ করা জরুরী কিনা? সে সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। শবে বরাতের রোজার নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে নিয়ত সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেয়া যাক। সর্বপ্রথম আপনাকে বুঝতে হবে যে নিয়ত কি? নিয়ত হচ্ছে মূলত অন্তরের সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ মনে মনে আপনি যে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন, সেটাই হলো নিয়ত।
অর্থাৎ আপনি যখন মনে মনে কোন কাজ করার সংকল্প গ্রহণ করেছেন তখনই আপনার সেই কাজটি করার নিয়ত করা হয়ে গিয়েছে। তাই আলাদাভাবে নির্দিষ্ট কোন নিয়মে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই।যেহেতু নিয়ত মনের সাথে সম্পর্কিত, তাই মুখে মুখে নিয়ত করার উচিত নয়। নামাজ, বা অন্য কোন ইবাদত করার সময় নির্দিষ্ট নিয়মে মোনাজাত করার বিধান নেই।
এখন আসা যাক শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় পাঠ করা সম্পর্কে। ওপর উল্লেখিত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, কোন ইবাদত করার পূর্বে নির্দিষ্টভাবে নিয়ত করার প্রয়োজন নেই। তাই শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় পাঠ করতে হবে না।
আরেকটি বিষয় হলো, শবে বরাত উপলক্ষে নির্দিষ্ট কোন রোজা রাখা যাবে না। শাবান মাসে কোন কোন তারিখে নফল রোজা রাখা যেতে পারে তা উপরে তুলে ধরা হয়েছে। শবে বরাতের রোজা কয়টি তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। নিচে শবে শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায়, শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম এবং বরাতের রোজার ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
শবে বরাতের রোজার ফজিলত
শবে বরাতের রোজার ফজিলত সম্পর্কে যে হাদিস রয়েছে সেই হাদিসের ব্যাপারে ওলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে প্রতি আরবি মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখে রোজা রাখার ব্যাপারে অর্থাৎ আইয়ামে বীজের রোজা সম্পর্কে যে সকল হাদিস রয়েছে সেগুলো গ্রহণযোগ্য। তাই আপনি যদি শাবান মাসেও, ১৩-১৪-১৫ তারিখে রোজা রাখেন তাহলে অধিক স্বভাবের অধিকারী হবেন।
আইয়ামে বীজের ফজিলত সম্পর্কে যে সকল হাদিস রয়েছে তার মধ্য থেকে কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হবে। আইয়ামে বীজের ফজিলত সম্পর্কে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তুমি যদি (প্রতি) মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে তেরো, চৌদ্দ এবং পনেরোতম দিনে রোজা রাখবে।’ - (তিরমিজি)
অপর আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা:) বর্ণনা করেছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেছেন, ‘তুমি প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। এটা তোমার জন্য ভালো। কেননা তোমার একটি সৎকাজ দশগুণ সমান; ফলে তুমি যেন পুরো বছরই রোজা রাখছো।’ (বুখারি)
আরো পড়ুন: রোজা থাকা অবস্থায় সহবাস - রোজা থাকা অবস্থায় মিলনের নিয়ম
উপরে উল্লেখিত হাদিস সমূহ থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, আইয়ামে বীজের ফজিলত অনেক বেশি। সেই সূত্রে শাবান মাসেও যদি আপনি রোজা রাখেন তাহলে অশেষ সাওয়াবের অধিকারী হতে পারবেন। শবে বরাতের রোজার ফজিলত সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত জেনেছেন। ইতোমধ্যেই ওপরে শবে বরাতের রোজা কয়টি এবং শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় তুলে ধরা হয়েছে।
শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম
শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম, সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি মনোযোগের সহিত পড়ুন আর্টিকেলের এই অংশটিতে শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে তো আসুন দেখে নেয়া যাক, শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম।
শবে বরাতের রোজা রাখা যাবে কিনা সেই ব্যাপারেই মতপার্থক্য রয়েছে তাই, শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম নেই। যেখানে শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়মই নেই সেখানে শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়মের প্রসঙ্গটি অবান্তর।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?