if you want to remove an article from website contact us from top.

    শবে বরাতের রোজা কবে থেকে

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে শবে বরাতের রোজা কবে থেকে পান।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে ও নিয়ত সম্পর্কে জানুন

    পবিত্র শবে উপলক্ষে অনেকেই নফল রোজা রাখেন। এখান থেকে শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে রাখতে হবে ও রোজার নিয়ত সম্পর্কে জানুন।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি

    শবে বরাতের রোজা কয়টি, কবে ও নিয়ত সম্পর্কে জানুন

    SUJONMARCH 6, 2023দিবস3 COMMENTS

    5/5 - (1 vote)

    ৭ই মার্চ রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। আরবি শাওয়াল মাসের মধ্যরাতকেই পবিত্র শবে বরাতের রাত বলা হয়ে থাকে। এই রাতে এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল নামাজ আদায় করে থাকে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখতেন। তিনি বলেছেন শাবান মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে এবং নফল রোজা রাখতে।

    Table of Contents

    যেহেতু পবিত্র শবে বরাত চলে এসেছে তাই অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ শবে বরাতের রোজা রাখতে চায়। ইতিমধ্যে তারা ইন্টারনেটে শবেবরাত রোজা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমি লক্ষ্য করেছি যে অনেকেই জানতে চেয়েছে যে শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কত তারিখে রোজা রাখতে হবে। তাই আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে পবিত্র শবে বরাতের রোজা কয়টি, শবে বরাতের রোজা কবে ও কিভাবে এই রোজার নিয়ত করতে হয় তা বিস্তারিতভাবে জানাবো।

    শবে বরাত রোজা ২০২৩

    আমাদের প্রান প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রতি আরবি মাসেই নফল রোজা রাখতেন। মহান আল্লাহ্‌ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ও সওয়াব লাভের জন্য নফল রোজা রাখা প্রত্যেক মুমিনের উচিৎ। রোজা রাখার বিষয়ে একটি হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত উম্মে সালমা ও হযরত আয়েশা (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ শাবান মাসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) অধিকহারে রোজা রাখতেন। যেন তিনি গোটা শাবান মাসেই রোজা রাখতেন। (তিরমিজি – ১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)। সে হিসেবে শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা অধিক সওয়াবের কাজ। কারণে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ পবিত্র শবে বরাতের দিনে নফল রোজা রেখে থাকেন।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি

    পবিত্র শবে বরাত এর এই ফজিলত ময় দিবস উপলক্ষে অনেক ধর্ম প্রান মুসুল্লিগণ শবে বরাতের বিশেষ রোজা রাখতে চান। তাই তারা ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজা কয়টি তা খুজে থাকেন। সত্যি বলতে শবে বরাতের মোট কয়টি রোজা রাখতে হবে তা নির্দিষ্ট নয়। আপনি আপনার সাধ্য অনুযায়ী যে কয়টি ইচ্ছা নফল রোজা রাখতে পারেন।

    পবিত্র হাদিস শরীফে শবে বরাতের রোজার বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায়। রাসূল (সঃ) বলেনঃ ১৫ শাবানের রাতে তোমরা নফল ইবাদাত করো এবং পরদিন রোজা রাখো। এই হাদিস দিয়ে শবে বরাতের একটি নফল রোজা রাখা প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন হাদিস থেকে যানা যায় আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখে তিন দিন তিনটি রোজা রাখতেন। এছাড়াও তিনি মহান আল্লাহ্‌ তালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সে হিসেবে শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে। আপনি চাইলে শাবান মাসের ১৩,১৫ ও ১৫ দিনে নফল রোজা রাখতে পারেন।

    শবে বরাতের রোজা কবে থেকে

    শবে বরাতে অনেক মুসলমানগন বিশেষ রোজা রেখে থাকেন। কারণ পবিত্র শবে বরাতের এবাদত একটি নফল ইবাদত। নফল ইবাদতের সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে নফল নামাজ আদায় করা এবং এর সাথে নফল রোজা রাখা। ইন্টারনেটে অনেক মুসলমানগণ শবে বরাতের রোজা কবে থেকে তা জানতে চেয়েছে। শবে বরাতের এই বিশেষ রোজা রাখার নির্দিষ্ট কোন দিন বা তারিখ নেই।

    তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ প্রতি আরবি মাসেই তিনটি করে রোজা রাখবেন। তিনি আরবি মাসের মাঝামাঝি সময় অর্থাৎ আরবি ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ এই তিন দিন রোজা রেখে থাকতেন। সুতরাং আপনিও চাইলে পবিত্র সামান মাসে শবে বরাত উপলক্ষে তিনটি রোজা রাখতে পারেন। সাবান মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ অর্থাৎ ইংরেজি মার্চ মাসের ৬, ৭ ও ৮ তারিখ এই তিন দিন রোজা রাখা যেতে পারে।

    শবে বরাতের রোজার নিয়ত

    পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে যে সকল মুসুল্লিগণ রোজা রাখতে চান তারা ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত খুঁজে বেড়ায়। অনেকেই আবার ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত বাংলায় খুঁজতেছে। রোজার নিয়ত করার পূর্বে প্রথমে আপনাকে জেনে নিতে হবে মূলত নিয়ত কি। নিয়ত হচ্ছে অন্তরের সিদ্ধান্ত, এর মানে হলো আপনি যে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন সেটি নিয়ত। সুতরাং আপনি যখন কোন কাজ করা সংকল্প গ্রহণ করবেন তখনই আপনার নিয়ত হয়ে যাবে।

    পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে নির্দিষ্ট নিয়মে রোজা রাখার কোন বিধান নেই। তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পবিত্র শাবান মাসে তিনটি করে রোজা রাখতেন। আপনিও চাইলে শবে বরাত উপলক্ষে তিনটে রোজা রাখতে পারেন। তবে নফল এই রোজা রাখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন নিয়ত নেই। সুতরাং আপনি যদি ইন্টারনেটে শবে বরাতের রোজার নিয়ত খুঁজে থাকেন তাহলে তা খুঁজে পাবেন না।

    শবে বরাত রোজার ফজিলত

    শাবান মাস হচ্ছে অত্যন্ত বরকতময় ও মহামান্বিত রাত। মহান আল্লাহ তা’আলা শাওয়াল মাসের মাঝামাঝি সময়ে তার বান্দাদেরকে বিশেষ ক্ষমা করে থাকেন। পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে মুসলমানদের মাঝে নফল নামাজ ও নফল রোজা রাখার বিধান রয়েছে। যদিও এই ধারণাটি সঠিক নয়। তবে নফল নামাজ ও নফল রোজা রাখা অবশ্যই সওয়াবের কাজ। আপনি চাইলে নফল নামাজ ও রোজা রাখতে পারেন। এতে আপনি মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন।

    পবিত্র শবে বরাতের রাতে যত ইবাদত করবেন তত আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে। এবং মহান আল্লাহর নিকট অতীতের কাজের জন্য ক্ষমা এবং ভবিষ্যতে পাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আবেদন করতে হবে। তবেই না আমরা এই রাতকে তাৎপর্যময় করে তুলতে পারব। সুতরাং এই রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত এবং জিকির করা উচিত, এছাড়াও পরের দিন নফল রোজা রাখা উচিত।

    শবে বরাতের রোজার সেহরির শেষ সময়

    আরবি শাবান মাসে পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে অনেক মুসল্লীগণ নফল রোজা রেখে থাকেন। যেহেতু বর্তমানে আরবি সামান মাস চলিতেছে তাই অনেকেই এই মাসে নফল রোজা রেখে থাকে। ইন্টারনেটে অনেকেই শবে বরাতের রোজার সেহেরীর শেষ সময় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই আপনাদেরকে জানাতে চাই যে ফজরের ওয়াক্তের আগে অবশ্যই আপনার সেহরি শেষ করতে হবে। মার্চ মাসে ভোর পাঁচটার সময় ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়। সুতরাং আপনি ভোর ৪ টা ৩০ মিনিট এর আগেই আপনারা শবে বরাতের রোজার সেহেরী শেষ করতে পারেন।

    সর্বশেষ কথা

    মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবং আমাদের গুনাহ মাপের জন্য শবে বরাতের রাতে আমরা নফল নামাজ আদায় করতে পারি। এছাড়াও পরের দিন নফল রোজা রাখতে পারি। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কবে রাখতে হবে তা জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি ইতিমধ্যেই আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনি শবে বরাত রোজা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

    সূত্র : infohelpbd.com

    শবে বরাতের রোজা ২০২৩ কত তারিখে? শবে বরাতের রোজা কয়টি

    বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন মোতাবেক শবে বরাত কবে হবে তার সময়সূচী প্রকাশ করেছে। ধারাবাহিকতায় আমি আজকে আপনাদের জানাব। শাবান মাসের মধ্য রজনী হলো শবে বরাত। শাবান

    শবে বরাতের রোজা ২০২৩ কত তারিখে? শবে বরাতের রোজা কয়টি

    শবে বরাতের রোজা ২০২৩ কত তারিখে? শবে বরাতের রোজা কয়টি রোজার নিয়ত ও ইফতারীর দোয়া শিখে নিন

    শাহরিয়ার হোসেন2 days ago0

    বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন মোতাবেক শবে বরাত কবে হবে তার সময়সূচী প্রকাশ করেছে। ধারাবাহিকতায় আমি আজকে আপনাদের জানাব। শাবান মাসের মধ্য রজনী হলো শবে বরাত। শাবান মাসের 15 , ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী 18 মার্চ 2023 দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    তবে আরবি মাসের 13, 14, 15 তারিখের 3 দিন তিনটি রোজা রাখতেন। তিনি নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সেই হিসেবে শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে। শবে বরাতের রোজা কয়টি সে সম্বন্ধে আপনার অনেকেই জানতে চাচ্ছিলেন।

    এ হাদিস দিয়ে শবেবরাতের একটি নফল রোজা প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন হাদিসে হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ তিনদিন তিনটি নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন।

    শবে বরাত কবে ২০২৩ শবে বরাতের রোজা কবে করতে হবে

    শবে বরাতের রোজা কয়টি রাখতে হয় এবং রোজা রাখার নিয়ম দেখুন

    শবে মেরাজের রোজার নিয়ত সম্বন্ধে আপনারা অনেকেই জানতে আগ্রহী। তাই আজকে আমরা এই নিবন্ধনের মাধ্যমে শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত তথ্য আপনাদের জানাবো। যারা শবে বরাতের নফল রোজার রাখার নিয়ত করেছে তাদের জানাই। আপনি যদি তিনটি রাখেন তাহলে আপনি ১২, ১৩, ১৪ তারিখ রোজ রৃহপতি শুক্র শনি বার রোজা রাখেন।যদি 2টা রোজ রাখেন তাহলে শুক্র ও শনিবার এবং ১টা রাখতে চাইলে শনিবার রোজা রাখেন।

    অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে অনলাইন টাকা ইনকাম করার প্রক্রিয়া বা কিভাবে টাকা আয় করবেনশবে বরাত কত তারিখে 2023শবে বরাতের রোজা ২০২২ কত তারিখে? শবে বরাতের রোজা কয়টি

    শবে বরাতের দোয়া সংক্রান্ত হাদীস

    পূর্বোক্ত দুপ্রকারের হাদীসে মধ্য শাবানের রজনীর ফযীলত বা মর্যাদা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় বলা হয়েছে। কিন্তু সেগুলিতে এ রাতে বিশেষ কোনো নেক আমলের নির্দেশ বা উৎসাহ প্রদান করা হয়নি। মধ্য শাবানের রজনীর ফযীলত বিষয়ে বর্ণিত তৃতীয় প্রকারের হাদীসগুলিতে এ রাত্রিতে সাধারণভাবে দোয়া করার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এ রাতে দোয়া করা, আল্লাহর কাছে নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আকুতি জানানো এবং জীবিত ও মৃতদের পাপরাশি ক্ষমালাভের জন্য প্রার্থনার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

    শবে বরাতের নামাজ সংক্রান্ত হাদীস নির্ধারিত পদ্ধতিতে

    শবে বরাতের ফযীলত বিষয়ে বর্ণিত অন্য কিছু হাদীসে এ রাত্রিতে বিশেষ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক রাকআত সালাত আদায়ের বিশেষ ফযীলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুহাদ্দিস ও আলিমগণের সর্বসম্মত মত অনুযায়ী এ অর্থে বর্ণিত সকল হাদীস বানোয়াট ও ভিত্তিহীন, যা হিজরী চতুর্থ শতকের পরে রাসুলুলাহ সঃ এর নামে রচনা করে বানোয়াট সনদ তৈরি করে প্রচার করা হয়েছে।

    মুহাদ্দিসগণ নিরীক্ষার মাধ্যমে জালিয়াতি নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা একমত যে, শবে বরাতের রাত্রিতে নির্দিষ্ট রাক’আত নির্দিষ্ট সূরা দিয়ে পাঠ করার অর্থে বর্ণিত সকল হাদীসই বানোয়াট এবং গল্পকার ওয়ায়েযদের মস্তিস্কপ্রসূত কথা । নিম্নে হাদীসগুলো আলোচনা করা হল। যেহেতু এগুলি সবই রাসূলুল্লাহ সঃ এর নামে প্রচারিত বানোয়াট কথা যা তিনি কখনোই বলেন নি বলে মুহাদ্দিসগণ একমত।

    শবে বরাতের রোজা

    প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ সিয়াম পালন সুন্নাত নির্দেশিত গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদত । এছাড়া রাসূলুল্লাহ (%) শাবান মাসে বেশি বেশি সিয়াম পালন করতেন। সাধারণত তিনি শাবানের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত রোযা রাখতেন এবং অনেক সময় প্রায় পুরো শাবানই সিয়ামরত থাকতেন। এজন্য শাবানের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ অথবা অন্তত ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ সিয়াম পালন সুন্নাত সম্মত গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল। তবে শুধু ১৫ই শাবান সিয়াম পালনের বিষয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য হাদীস পাওয়া যায় না।

    তাহলে বন্ধুরা এ নিবন্ধনের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দিলাম। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আরও কোন তথ্য জানতে চাইলে আপনার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারেন।

    তবে আপনার অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, শবে বরাতের নফল নামাজ আদায় করতে গেলে আপনারা যেন, কোনো সময়ে ফরজ নামাজ আদায় করতে ভুলে না যান। আপনার অনেকে ফরজ নামাজের এবং শবে বরাতের নামাজের ফজিলত সম্বন্ধে জানতে চান। তাই আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে শবে বরাতের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আপনার উপস্থাপন করব।

    ইবাদতের মাধ্যমে সৃষ্টি হলে নামাজ সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হল নফল নামাজ। ইবাদতের মধ্যে প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য অজু করা মুস্তাহাব । বিশেষ ইবাদত গোসল করা মুস্তাহাব।

    Related Articles

    রমজানের সময় সূচি 2023 ডাউনলোড রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩

    2 days ago

    শবে বরাত 2023 শবে বরাত কত তারিখে ২০২৩ আপডেট

    2 days ago

    ইবাদতের জন্য দিন অপেক্ষা রাত শ্রেষ্ঠ। তাই আল্লাহ তায়ালার শবে বরাতের রাত সকল কিছু উপস্থাপন করলাম। তাহলে বন্ধুরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের শবে বরাতের নামাজের ফজিলত শবে বরাতের রোজার নিয়ত

    শবে বরাতের রোজা কয়টি সেই তথ্য জানিয়ে দিলাম। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আরও কোন তথ্য জানতে চাইলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারেন।

    Pinterest

    সূত্র : shahriar1.com

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা। শবে বরাত কত তারিখে?/শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত ও কিভাবে পড়বো?/শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কিভাবে রাখতে হয় ?/শবে বরাতের আমল ও ফজিলত

    ইসলাম ও জীবনফজিলত Trending

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত

    Rimon Follow on Twitter Send an email

    1 week agoLast Updated: March 2, 20232 24,504 3 minutes read

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত

    “শবে বরাত” মূলত ফার্সি শব্দ। তবে হাদিসের ভাষায় বলা হয় ‘লাইলাতু নিসফি মিন শাবান’ বা মধ্য শাবানের রজনী । তাফসিরের ভাষায় এটাকে ‘লাইলাতুস সাক’, ‘লাইলাতুর রাহমাহ’ ও ‘লাইলাতুল বারাআত’ বলা হয়।

    শবে মানে হচ্ছে রাত আর বরাত মানে হচ্ছে মুক্তি। অর্থাৎ শবে বরাত অর্থ হচ্ছে মুক্তির রাত। কারন এ রাতে আল্লাহ্‌ তার অগনিত বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন।

    হাদিসে এসেছে, হযরত আয়েশা (র) বলেন, রাসূল (সঃ) তাকে বলেছেন,

    এই রাতে আল্লাহ ভেড়া বকরীর পশমের সংখ্যার পরিমানের চেয়েও বেশি সংখ্যা পরিমাণ গুনাহ্গারকে ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি – ৭৩৯)

    আরও পড়ুন ঃ

    যেভাবে দোয়া করলে আল্লাহ্‌ অবশ্যই তা কবুল করবেন

    দোয়া কবুলের ২০ টি উত্তম সময়

    শাবান মাস আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলার নির্ধারিত ১২ মাসের একটি অন্যতম মাস। এ মাসের রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। এ মর্যাদার কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন।

    শবে বরাত কত তারিখে?

    শাবান মাসের ১৫ই রাত অর্থাৎ, ১৪ই শাবান দিবাগত রাতই হল শবে বরাত।

    শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত ও কিভাবে পড়বো?

    শবে বরাতে নির্দিষ্ট পরিমান নামাজের কথা কোনো হাদিস এবং কুরআনে উল্ল্যেখ নেই। তবে হাদিসে পাওয়া যায়, রাসূল (সঃ) বলেন,

    যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদাত করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে। ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ট ইবাদাত হল নামাজ। সুতরাং নফল ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদাত হল নফল নামাজ। (ইবনে মাজাহ – ১৩৮৪)

    তাই দুই রাকাত করে যত খুশি নামাজ পড়তে পারেন। নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। এখন নিয়ত করবেন কিভাবে? বলবেন আমি কিবলামুখী হয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি, আল্লাহু আকবার। এইভাবে নিয়ত করলে আপনার নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে আপনি চাইলে আরবিতে এইভাবেও করতে পারেন।

    নাওয়াইতু আন্‌ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা-আলা- রাকা’আতাই ছলা-তি লাইলাতিল বারায়াতিন্‌ নাফ্‌লি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্‌ কা’বাতিশ্‌ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।

    নামাজে   সূরাতুল ফাতিহা পড়ার পর তিন বার সূরা ইখলাস বা সূরা ওয়াকিয়াহ পড়তে হবে এমন কোন কথা হাদিসে নেই। রাসূল (সঃ) সুস্পষ্টভাবে এ ব্যাপারে কিছু বলেন নি। আপনি পবিত্র কুরআনের যেকোনো সূরাই পড়তে পারেন।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কিভাবে রাখতে হয় ?

    হাদিস শরীফে শবে বরাতের রোজার বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায়।  রাসূল (সঃ) বলেনঃ  ১৫ শাবানের রাতে তোমরা নফল ইবাদাত করো এবং পরদিন রোজা রাখো। এই হাদিস দিয়ে শবে বরাতের একটি নফল রোজা রাখা প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখে তিন দিন তিনটি রোজা রাখতেন এবং তিনি নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সে হিসেবে শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে।

    এ বিষয়ে অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত উম্মে সালমা ও হযরত আয়েশা (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ

    শাবান মাসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) অধিকহারে রোজা রাখতেন। যেন তিনি গোটা শাবান মাসেই রোজা রাখতেন। (তিরমিজি – ১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)

    সে হিসেবে শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা অধিক সওয়াবের কাজ।

    শবে বরাতের আমল ও ফজিলত

    শবে বরাতের আমল অনেক ফজিলতপূর্ণ। আসুন জেনে নেই শবে বরাতে কি কি আমল করা যেতে পারে। এশার নামাজের পর নির্জনে (বাসায় নফল নামাজ পড়া উত্তম) দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়তে থাকবেন। কত রাকাত পড়লেন তা মুখ্য নয় বরং কতটা মনোযোগ ও দীর্ঘ্য করলেন সেটাই মুখ্য বিষয়।

    হাদিস শরীফে আছে, হজরত  আয়েশা (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ একবার রাসূল (সঃ) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এতো দীর্ঘ্য সিজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুল নাড়া দিলাম। এরপর তিনি সিজদা থেকে উঠে নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ্য করে বললেন:

    হে আয়েশা তুমি কি আশঙ্খা হয়েছে? আমি বললাম ইয়া রাসূল (সঃ) আপনার দীর্ঘ্য সিজদা দেখে আমার আশঙ্খা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবী (সঃ) বললেনঃ তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম  আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ) ভালো জানেন।

    তখন রাসূল (সঃ) বলেনঃ এটা হলো মধ্য শাবানের রাত।  এ রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন। ক্ষমা পার্থনকারীদের ক্ষমা করে দেন। অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন, আর বিদ্বেষ পোষণকারীদেরকে তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।  (শুআবুল ঈমান তৃতীয় খন্ড পৃষ্ঠা ৩৮২)

    এই হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে নামাজে অত্যন্ত মনোযুগী হতে হবে। এবং বেশি করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।  তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে আল্লাহ দুই ধরণের ব্যক্তি ছাড়া বাকিদের ক্ষমা করে দেন।  তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি শিরক করে এবং অন্ন ব্যক্তি হলো যে হিংসা করে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন এই দুই ব্যক্তিদের মধ্যে পরে না যাই।

    হযরত আলী (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী করিম (সঃ) বলেছেনঃ  ১৪ই শাবান দিবাগত রাত যখন আসে তোমরা এই রাতটি ইবাদাত-বন্দেগীতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো। কেননা এই দিনে আল্লাহ সূর্যাস্তের পর প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছো কি যাদের আমি ক্ষমা করবো? কোনো রিযিক প্রার্থী আছো কি যাদের আমি রিযিক দিবো? আছো কি কোনো বিপদগ্রস্ত যাদের  আমি উদ্ধার করবো? এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ আহ্বান করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ (হাদীসটি ইবনে মাজাহ তে বর্ণিত আছে)

    এ রাতে কাজা হয়ে যাওয়া নামায পড়তে পারেন। তবে শুধুমাত্র ফরজ ও বিতির নামাজের কাজা পড়বেন।

    শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে পারেন। যা দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হয়।

    বেশি করে তাওবা ও ইস্তেগফার করা।

    বেশি করে দুরূদশরীফ পাঠ করা।

    বেশি করে তসবিহ পাঠ করা (সুবহানাল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ , আল্লাহুআকবার)

    বেশি করে দান-সদকা করা।  গরীব-মিসকিনদের সাহায্য করা।

    ফজর নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা।

    প্রতিবছরই শবে বরাত আসে। আসে মুক্তি ও ক্ষমার বার্তা নিয়ে। আল্লাহর ভয়ে কম্পমান হৃদয়ে এ রাতে তাওবার উদ্রেক হয়। তাওবাকারীর জন্য ক্ষমার সওগাত নিয়ে আসে শবেবরাত। পাপ আক্রান্ত মন এ রাতে পরিশুদ্ধ জীবনে ফেরার তাগিদ অনুভব করে।

    সূত্র : www.hazabarolo.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 25 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন