if you want to remove an article from website contact us from top.

    শবে বরাতের রোজা কয়টি আল কাউসার

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে শবে বরাতের রোজা কয়টি আল কাউসার পান।

    শবে বরাত : কিছু ভ্রান্তি নিরসন

    শাবান-রমযান ১৪২৯   ||   আগস্ট ২০০৮

    শবে বরাত : কিছু ভ্রান্তি নিরসন

    মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক

    আলকাউসারের শাবান ১৪২৬ হি. (সেপ্টেম্বর ’০৫ ঈ.) সংখ্যায় ‘বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শাবান ও শবে বরাত’ শিরোনামে, শাবান ১৪২৭ হি. (সেপ্টেম্বর ’০৬ ঈ.) সংখ্যায় ‘উলামায়ে সালাফের উক্তির আলোকে শাবান শবে বরাত’ শিরোনামে এবং রজব ১৪২৮ হি. (আগষ্ট ’০৭ ঈ.) সংখ্যায় ‘অজ্ঞতা ও রসম-রেওয়াজের কবলে শাবান-শবে বরাত : নববী নিদের্শনাই মুক্তির উপায়’ শিরোনামে শাবান ও শবে বরাত সম্পর্কে অনেকগুলো প্রয়োজনীয় কথা পাঠকের সামনে এসে গেছে। ওয়াল হামদু লিল্লাহি তাআলা আলা যালিকা হামদান কাছীরা।

    এ সংখ্যায় শুধু কিছু ভুল ধারণা চিহ্নিত করে দিতে চাই। কেননা এগুলো সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন এসে থাকে।

    প্রশ্ন ১ : আমি এক কিতাবে পড়েছি যে, শবে বরাত বিষয়ক সকল হাদীস ‘মওযু’। ইবনে দিহয়ার উদ্ধৃতিতে কথাটা ওই কিতাবে লেখা হয়েছে।

    উত্তর : এটা একটা ভুল কথা। ইবনে দিহয়া কখনো এমন কথা বলতে পারেন না। যিনি তার উদ্ধৃতিতে এ কথা লিখেছেন তিনি ভুল লিখেছেন। ইবনে দিহয়া শুধু এটুকু বলেছেন যে, শবে বরাতে বিশেষ নিয়মের নামায এবং  সে নামাযের বিশেষ ফযীলতের যে কথাগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত, তা মওযু। তাঁর মূল আরবী বক্তব্য তুলে দিচ্ছি :

    أحاديث صلاة البراءة موضوعة

    ‘শবে বরাতের বিশেষ নামায সংক্রান্ত বর্ণনাগুলো মওজু।’

    (তাযকিরাতুল মওজুআত, মুহাম্মাদ তাহের পাটনী পৃ. ৪৫)

    আল্লামা লাখনৌবী রাহ. ‘আল আছারুল মারফুআ ফিল আখবারিল মওজুআ’ (পৃ. ৮০-৮৫)তে পরিষ্কার লিখেছেন যে, ‘শবে বরাতে রাত্রি জেগে ইবাদত করা এবং যেকোনো নফল আমল যাতে আগ্রহ বোধ হয় তা আদায় করা মুস্তাহাব। এ বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। এ রাতে মানুষ যত রাকাআত ইচ্ছা নামায পড়তে পারে, তবে এ ধারণা ভুল যে, এ রাতের বিশেষ নামায রয়েছে এবং তার বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। যেসব বর্ণনায় এ ধরনের কথা পাওয়া যায় সেগুলো ‘মওযু।’ তবে এ রাত একটি ফযীলতপূর্ণ রজনী এবং এ রজনীতে ইবাদত-বন্দেগী করা মুস্তাহাব-এ বিষয়টি সহীহ হাদীস থেকেও প্রমাণিত। মোটকথা, এ রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করা যেমন ভুল তদ্রূপ মনগড়া কথাবার্তায় বিশ্বাসী হওয়াও ভুল।’

    আল্লামা শাওকানীও ‘আল ফাওয়াইদুল মাজমূআ’ পৃ. ৫১)তে এই ভুল ধারণা সংশোধন করেছেন।

    প্রশ্ন ২ : একজন আলিমের কাছে শুনেছি যে, শবে বরাতে কবরস্থানে যাওয়া ‘মাসনূন’ নয়। আর আজকাল যেভাবে এ রাতে কবরস্থানে মেলা বসানো হয় এবং মহিলারাও বেপর্দা হয়ে সেখানে গিয়ে ভিড় করে, তা তো একেবারেই নাজায়েয।

    প্রশ্ন এই যে, যতটুকু নাজায়েয তা তো অবশ্যই নাজায়েয, কিন্তু যদি মহিলারা বেপর্দা না হয় এবং কোনো গুনাহর কাজও সেখানে না হয় তবুও কি এ রাতে কবর যিয়ারত মাসনূন বলা যাবে না? হাকীমুল উম্মত ‘ইসলাহুর রুছূম’ কিতাবে একে ‘মাসনূন’ লিখেছেন।

    উত্তর : মহিলাদের জন্য যিয়ারতের উদ্দেশ্যে কবরস্থানে যাওয়া এমনিতেও নিষেধ। এরপর যদি পর্দাহীনতা ও অন্যান্য আপত্তিকর বিষয় এর সঙ্গে যুক্ত হয় তবে তা আরো কঠিন হয়ে যায়। আর কবরস্থান যদি নিকটবর্তী হয় এবং মাযার না হয় আর সেখানে শরীয়তের দৃষ্টিতে আপত্তিকর কাজকর্ম না হয় তাহলে পুরুষের জন্য এ রাতে সেখানে গিয়ে যিয়ারত করার বিধান কী? হাকীমুল উম্মত রাহ. প্রথমে একে মাসনূন লিখেছিলেন। পরে আরো  চিন্তা-ভাবনা ও উলামায়ে কেরামের সঙ্গে মত বিনিময় করার পর ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন এবং লেখেন যে, আমি কবরস্থানে যাওয়া থেকে বারণ করাকেই অধিক সতর্কতার বিষয় মনে করি। (ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/২৮) শরীয়তের নীতিমালার আলোকে হযরত থানভী রাহ-এর দ্বিতীয় মতই অগ্রগণ্য।

    প্রশ্ন ৩ : সুনানে ইবনে মাজাহ-তে (হাদীস নং : ১৩৮৮) পনেরো শা‘বান রাত সম্পর্কে এই হাদীসটি উল্লেখিত হয়েছে :

    قوموا ليلها وصوموا نهارها

    এই রাত জেগে ইবাদত কর এবং দিনে (অর্থাৎ পনেরো শা’বান) রোযা রাখ।

    এই হাদীসটি থানভী রাহ. ‘খুতবাতুল আহকাম’-এ উল্লেখ করেছেন এবং ‘ইসলাহুর রুসূম’-এ পনেরো শাবান-এর রোযাকে মাসনূন বলেছেন। কিন্তু এক ব্যক্তি আমাকে বলেছেন যে, শায়খ আলবানী এই হাদীসটিকে মওযু বলেছেন। এরপর হযরত মাওলানা মুহাম্মদ তকী উছমানী ছাহেব দামাত বারাকাতুহুম-এর ‘ইসলাহী খুতবাত’-এ দেখলাম যে, সেখানে এই হাদীসটিকে ‘জয়ীফ’ লেখা হয়েছে এবং এই রোযাকে ‘সুন্নত’ মনে করা ভুল বলা হয়েছে। প্রকৃত বিষয়টি বুঝে আসছে না। আশা করি সাহায্য করবেন।

    উত্তর : ইবনে মাজাহর উপরোক্ত হাদীসটি ‘মওজু’ তো কখনোই নয়। তবে সনদের দিক থেকে ‘জয়ীফ’। যেহেতু ফাযাইলের ক্ষেত্রে ‘জয়ীফ’ গ্রহণযোগ্য তাই আলিমগণ শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে এ হাদীস বয়ান করে থাকেন।

    শায়খ আলবানী ‘সিলসিলাতুয যয়ীফা’ (৫/১৫৪) তে এই বর্ণনাকে ‘মওজূউস সনদ’ লিখেছেন। অর্থাৎ এর ‘সনদ’ মওজূ। যেহেতু অন্যান্য ‘সহীহ’ বর্ণনা উপরোক্ত বর্ণনার বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্ভবত এজন্যই শায়খ আলবানী সরাসরি ‘মওজূ’ না বলে ‘মওজূউস সনদ’ বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। তথাপি শায়খ আলবানীর এই ধারণা ঠিক নয়। সঠিক কথা এই যে, এই বর্ণনা ‘মওজূ’ নয়, শুধু ‘জয়ীফ’। ইবনে রজব রাহ. প্রমুখ বিশেষজ্ঞদের এই মতই আলবানী সাহেব নিজেও বর্ণনা করেছেন।

    এ প্রসঙ্গে আলবানী সাহেব যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তা এই যে, এ বর্ণনার সনদে ‘ইবনে আবী ছাবুরা’ নামক একজন রাবী রয়েছেন। তার সম্পর্কে হাদীস জাল করার অভিযোগ রয়েছে। অতএব এই বর্ণনা ‘মওজু’ হওয়া উচিত। তবে এই ধারণা এ জন্য সঠিক নয় যে, ইবনে আবী সাবুরাহ সম্পর্কে উপরোক্ত অভিযোগ ঠিক নয়। তার সম্পর্কে খুব বেশি হলে এটুকু বলা যায় যে, জয়ীফ রাবীদের মতো তার স্মৃতিশক্তিতে দুর্বলতা ছিল। রিজাল শাস্ত্রের ইমাম আল্লামা যাহাবী রাহ. পরিষ্কার লিখেছেন যে, ‘স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণেই তাকে জয়ীফ বলা হয়েছে।’ দেখুন সিয়ারু আলামিন নুবালা ৭/২৫০

    সারকথা এই যে, উপরোক্ত বর্ণনা মওজু নয়, শুধু জয়ীফ।

    পনেরো শাবানের রোযা সম্পর্কে থানভী রাহ. যে ‘মাসনূন’ বলেছেন তার অর্থ হল মুস্তাহাব। আর ইসলাহী খুতবাতের আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পড়া হলে দেখা যায় যে, তা এ কথার বিপরীত নয়। ওই আলোচনায় ‘জয়ীফ’ হাদীসের ওপর আমল করার পন্থা বিষয়ে একটি ইলমী আলোচনা উপস্থাপিত হয়েছে। হযরত মাওলানা পনেরো তারিখের রোযা রাখতে নিষেধ করেননি। তিনি শুধু এটুকু বলেছেন যে, একে শবে বরাতের রোযা বলবে না। গোটা শাবান মাসেই শুধু শেষের দুই দিন ছাড়া, রোযা রাখা মুস্তাহাব। তাছাড়া প্রতিমাসের ‘আয়্যামে বীজ’ (চাঁদের ১৩,১৪,১৫ তারিখ) রোযা রাখা মুস্তাহাব। এ দৃষ্টিকোণ থেকে এ দিনের রোযা রাখা হলে ইনশাআল্লাহ ছওয়াব পাওয়া যাবে।

    সূত্র : www.alkawsar.com

    শবে বরাতের রোজা কয়টি?

    শবে বরাতের রোজা কয়টি: আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের আলোচনা পর্বে। দেখতে দেখতে আগমন ঘটতে চলেছে মাহে রমজানের

    শবে বরাতের রোজা কয়টি?

    Posted by Mitu | Mar 2, 2023 | সাধারণ জ্ঞান

    শবে বরাতের রোজা কয়টি: আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের আলোচনা পর্বে। দেখতে দেখতে আগমন ঘটতে চলেছে মাহে রমজানের পবিত্র মাসের। এরই পূর্বে সম্প্রতি আসতে চলেছে পবিত্র শবে বরাত, যা সকল মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুবই পবিত্র একটা দিন এবং সর্বোত্তম রাত। আরও দেখুনঃ পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত | শবে বরাতের ফজিলত ও আমল দলীলসহ

    শবে বরাতের রাত মূলত বিশেষ রাত হিসেবে ঈমানদার ব্যক্তিদের কাছে পরিগণিত। কেননা এই রাতে মুসলিমরা সারা রাত মহান আল্লাহতালার এবাদতে মশগুল থাকেন। পাশাপাশি এই দিনে রোজা রাখা অতি উত্তম। কিন্তু শবেবরাতে কতটি রোজা রাখতে হয়, শবে বরাতের রোজা কয়টি! অনেকেই এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।

    তাই যে বা যারা শবে বরাতের রোজা কয়টি এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তাদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজন। তাহলে আসুন জেনে নেই, শবে বরাতের রোজা কয়টি এবং শবে বরাতের ফজিলত ও তাৎপর্য সম্পর্কে। আশা করছি– আমাদের আজকের আলোচনা শবে বরাতের রাত সম্পর্কে আপনাদের অনেক কিছু জানতে সাহায্য করবে। সেইসাথে শবে বরাতে কয়টি রোজা রাখতে হয় তার সঠিক তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। তাহলে আসুন শুরু করি।

    আরও পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজের নিয়ম | শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া | শবে বরাতের নামাজের নিয়ম কানুন

    এক নজরে

    শবে বরাতের রোজা কয়টি?

    শবে বরাত শব্দটি ফারসি শব্দ। তবে কোরআন ও হাদিসের আলোকে একে বলা হয় “লাইলাতুল নিসফি মিন শাবান”। আর এজন্যই মূলত মানুষ গুগলে শাবান মাসে কয়টি রোজা রাখতে হয়, শাবান রোজা কয়টি,  এমন টাইটেল দেখেও সঠিক উত্তর জানার চেষ্টা করেন। মূলত শবে বরাত ফাঁসি শব্দ হলেও আরবিতে একে লাইলাতু নিসফি মিন শাবান বা মধ্য শাবানের রজনীর বলে সম্বোধন করা হয়। অপরদিকে তাফসীরের ভাষায় এটাকে লাইলাতুস সাক, লাইলাতুর রাহমাহ এবং লাইলাতুল বারাআতও বলা হয়।

    এই নির্দিষ্ট একটি বিশেষ রাতের জন্য মুসলিমদের রোজা রাখাটা অতি উত্তম। এতে মহান রাব্বুল আলামিন সন্তুষ্ট অর্জন করেন এবং তিনি তার বান্দাদের ওপর রহমত বর্ষণ করেন। শবে বরাতের রোজা কয়টি এটা সকলের জেনে রাখাটা খুবই জরুরী এবং শবে বরাতের জন্য রোজা রাখাটাও অতীব জরুরী।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি রাখা উত্তম

    শবে বরাতের রোজার বিশেষ ফজিলত রয়েছে হাদীস শরীফে। আর তাই শবে বরাতের একটি নফল রোজা রাখা সুন্নত। মহান আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে প্রিয় নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনুল কারীমে বলেছেন, ১৫ সাবানের রাতে তোমরা নফল ইবাদত কর এবং পরদিন রোজা রাখ। সুবহানাল্লাহ।

    তাই শবে বরাতের মূলত একটি রোজা রাখা সর্বোত্তম। তবে হ্যাঁ, বিভিন্ন হাদিসে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে তিন দিন তিনটি রোজা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তিনি নফল রোজা রাখতে অধিক বেশি উৎসাহিত করেছেন। তাই সে অনুযায়ী আপনি চাইলে শাবান মাসে অর্থাৎ শবে বরাতের জন্য তিনটি রোজা রাখতেই পারেন।

    অর্থাৎ শবে বরাতের রোজা মূলত সর্বোচ্চ তিনটি রাখা যায়। তবে শবে বরাতের রাতের নামাজ আদায়ের পরবর্তী দিনে একটি রোজা রাখা অবশ্যই জরুরী।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি ২০২৩

    শবে বরাতের রোজা কয়টি ২০২৩ সালে? এ প্রশ্নের উত্তরে বলব, শবে বরাতের যেকোনো সালে আপনি মূলত তিন দিন রোজা রাখতে পারেন। কেননা এমনটাই আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরআন ও হাদিসে এরশাদ করেছেন। তাই ২০২৩ সালে শবে বরাতে আপনি তিনটি রোজা রাখতে পারবেন এবং তিনটি না করলেও অবশ্যই আপনাকে শবে বরাতের ফজিলত ও আমল সম্পূর্ণভাবে উপভোগের জন্য একটি রোজা রাখাটা অতীব জরুরী।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি রাখতে হয়?

    শবেবরাতে কয়টি রোজা রাখবেন? যেহেতু হাদিস শরীফে শবে বরাতের রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায় তাই এটা আমাদের জানতেই হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা এবং আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যাপারে এরশাদ করেছেন– তোমরা রাতে এবাদত করো এবং দিনে রোজা রাখ। আরও পরুনঃ শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

    তাই এ কথার উপর ভিত্তি করে শবে বরাতের শুধুমাত্র একটি রোজা রাখাটাই শ্রেয়। আপনি মূলত রাতে মহান আল্লাহ তায়ালার এবাদত করার পরবর্তীতে পরদিন রোজা রাখতে পারবেন। তবে বিভিন্ন হাদিসে এটাও এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক আরবি মাসের তিনটা দিন রোজা রাখতেন। তাই এই হিসেবে শবেবরাতের তিনটি রোজা রাখাও সুন্নত।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি আল কাউসার

    শবে বরাতের রোজা একটি তবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি রাখতে উৎসাহিত করেছেন এ সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে অন্য একটি হাদিসে এটা এসেছে যে– হযরত উম্মে সালমা ও হযরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত শাবান মাসের প্রায় পুরোটা সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজা রাখতেন। তাই সে অনুযায়ী যদি আপনি শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখেন তাহলে অধিক সওয়াবের কাজ করা হবে, সুবহানাল্লাহ।

    শবে বরাতের রোজা ২০২৩ কবে

    শবে বরাতের রোজা মূলত চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। আর চাদের ওপর ভিত্তি করে ই এটা নির্ধারণ করা হয়েছে যে শাবান মাসের ১৫ ই রাত অর্থাৎ ১৪ শাবান দিবাগত রাতই হচ্ছে শবে বরাত। সুতরাং শবে বরাতের রোজা ২০২৩ সালে আপনি ১৫ই দিনে রাখতে পারবেন এবং চাইলে শবে বরাতের আগের দিন, মধ্যদিন এবং পরের দিন এই তিনটা দিনও রোজা রাখতে পারবেন আপনি। তবে রোজা রাখার থেকে সর্বোত্তম হচ্ছে শবে বরাতের নামাজ আদায় করা এবং মহান আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করা।

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত

    ইতিমধ্যে আমরা শবে বরাতের রোজা কয়টি এ সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু শবে বরাতের আমল ও ফজিলত অনেক এ ব্যাপারে কিছু বিস্তারিত আলোচনা করব। কেননা কোরআন ও হাদিসে শবে বরাতের আমল অনেক ফজিলতপূর্ণ এমনটাই উল্লেখ রয়েছে।

    সূত্র : totthadi.com

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা। শবে বরাত কত তারিখে?/শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত ও কিভাবে পড়বো?/শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কিভাবে রাখতে হয় ?/শবে বরাতের আমল ও ফজিলত

    ইসলাম ও জীবনফজিলত Trending

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত

    Rimon Follow on Twitter Send an email

    1 week agoLast Updated: March 7, 20232 24,583 3 minutes read

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত

    “শবে বরাত” মূলত ফার্সি শব্দ। তবে হাদিসের ভাষায় বলা হয় ‘লাইলাতু নিসফি মিন শাবান’ বা মধ্য শাবানের রজনী । তাফসিরের ভাষায় এটাকে ‘লাইলাতুস সাক’, ‘লাইলাতুর রাহমাহ’ ও ‘লাইলাতুল বারাআত’ বলা হয়।

    শবে মানে হচ্ছে রাত আর বরাত মানে হচ্ছে মুক্তি। অর্থাৎ শবে বরাত অর্থ হচ্ছে মুক্তির রাত। কারন এ রাতে আল্লাহ্‌ তার অগনিত বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন।

    হাদিসে এসেছে, হযরত আয়েশা (র) বলেন, রাসূল (সঃ) তাকে বলেছেন,

    এই রাতে আল্লাহ ভেড়া বকরীর পশমের সংখ্যার পরিমানের চেয়েও বেশি সংখ্যা পরিমাণ গুনাহ্গারকে ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি – ৭৩৯)

    আরও পড়ুন ঃ

    যেভাবে দোয়া করলে আল্লাহ্‌ অবশ্যই তা কবুল করবেন

    দোয়া কবুলের ২০ টি উত্তম সময়

    শাবান মাস আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলার নির্ধারিত ১২ মাসের একটি অন্যতম মাস। এ মাসের রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। এ মর্যাদার কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন।

    শবে বরাত কত তারিখে?

    শাবান মাসের ১৫ই রাত অর্থাৎ, ১৪ই শাবান দিবাগত রাতই হল শবে বরাত।

    শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত ও কিভাবে পড়বো?

    শবে বরাতে নির্দিষ্ট পরিমান নামাজের কথা কোনো হাদিস এবং কুরআনে উল্ল্যেখ নেই। তবে হাদিসে পাওয়া যায়, রাসূল (সঃ) বলেন,

    যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদাত করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে। ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ট ইবাদাত হল নামাজ। সুতরাং নফল ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদাত হল নফল নামাজ। (ইবনে মাজাহ – ১৩৮৪)

    তাই দুই রাকাত করে যত খুশি নামাজ পড়তে পারেন। নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। এখন নিয়ত করবেন কিভাবে? বলবেন আমি কিবলামুখী হয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি, আল্লাহু আকবার। এইভাবে নিয়ত করলে আপনার নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে আপনি চাইলে আরবিতে এইভাবেও করতে পারেন।

    নাওয়াইতু আন্‌ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা-আলা- রাকা’আতাই ছলা-তি লাইলাতিল বারায়াতিন্‌ নাফ্‌লি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্‌ কা’বাতিশ্‌ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।

    নামাজে   সূরাতুল ফাতিহা পড়ার পর তিন বার সূরা ইখলাস বা সূরা ওয়াকিয়াহ পড়তে হবে এমন কোন কথা হাদিসে নেই। রাসূল (সঃ) সুস্পষ্টভাবে এ ব্যাপারে কিছু বলেন নি। আপনি পবিত্র কুরআনের যেকোনো সূরাই পড়তে পারেন।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কিভাবে রাখতে হয় ?

    হাদিস শরীফে শবে বরাতের রোজার বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায়।  রাসূল (সঃ) বলেনঃ  ১৫ শাবানের রাতে তোমরা নফল ইবাদাত করো এবং পরদিন রোজা রাখো। এই হাদিস দিয়ে শবে বরাতের একটি নফল রোজা রাখা প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখে তিন দিন তিনটি রোজা রাখতেন এবং তিনি নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সে হিসেবে শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে।

    এ বিষয়ে অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত উম্মে সালমা ও হযরত আয়েশা (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ

    শাবান মাসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) অধিকহারে রোজা রাখতেন। যেন তিনি গোটা শাবান মাসেই রোজা রাখতেন। (তিরমিজি – ১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)

    সে হিসেবে শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা অধিক সওয়াবের কাজ।

    শবে বরাতের আমল ও ফজিলত

    শবে বরাতের আমল অনেক ফজিলতপূর্ণ। আসুন জেনে নেই শবে বরাতে কি কি আমল করা যেতে পারে। এশার নামাজের পর নির্জনে (বাসায় নফল নামাজ পড়া উত্তম) দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়তে থাকবেন। কত রাকাত পড়লেন তা মুখ্য নয় বরং কতটা মনোযোগ ও দীর্ঘ্য করলেন সেটাই মুখ্য বিষয়।

    হাদিস শরীফে আছে, হজরত  আয়েশা (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ একবার রাসূল (সঃ) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এতো দীর্ঘ্য সিজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুল নাড়া দিলাম। এরপর তিনি সিজদা থেকে উঠে নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ্য করে বললেন:

    হে আয়েশা তুমি কি আশঙ্খা হয়েছে? আমি বললাম ইয়া রাসূল (সঃ) আপনার দীর্ঘ্য সিজদা দেখে আমার আশঙ্খা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবী (সঃ) বললেনঃ তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম  আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ) ভালো জানেন।

    তখন রাসূল (সঃ) বলেনঃ এটা হলো মধ্য শাবানের রাত।  এ রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন। ক্ষমা পার্থনকারীদের ক্ষমা করে দেন। অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন, আর বিদ্বেষ পোষণকারীদেরকে তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।  (শুআবুল ঈমান তৃতীয় খন্ড পৃষ্ঠা ৩৮২)

    এই হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে নামাজে অত্যন্ত মনোযুগী হতে হবে। এবং বেশি করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।  তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে আল্লাহ দুই ধরণের ব্যক্তি ছাড়া বাকিদের ক্ষমা করে দেন।  তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি শিরক করে এবং অন্ন ব্যক্তি হলো যে হিংসা করে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন এই দুই ব্যক্তিদের মধ্যে পরে না যাই।

    হযরত আলী (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী করিম (সঃ) বলেছেনঃ  ১৪ই শাবান দিবাগত রাত যখন আসে তোমরা এই রাতটি ইবাদাত-বন্দেগীতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো। কেননা এই দিনে আল্লাহ সূর্যাস্তের পর প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছো কি যাদের আমি ক্ষমা করবো? কোনো রিযিক প্রার্থী আছো কি যাদের আমি রিযিক দিবো? আছো কি কোনো বিপদগ্রস্ত যাদের  আমি উদ্ধার করবো? এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ আহ্বান করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ (হাদীসটি ইবনে মাজাহ তে বর্ণিত আছে)

    এ রাতে কাজা হয়ে যাওয়া নামায পড়তে পারেন। তবে শুধুমাত্র ফরজ ও বিতির নামাজের কাজা পড়বেন।

    শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে পারেন। যা দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হয়।

    বেশি করে তাওবা ও ইস্তেগফার করা।

    বেশি করে দুরূদশরীফ পাঠ করা।

    বেশি করে তসবিহ পাঠ করা (সুবহানাল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ , আল্লাহুআকবার)

    বেশি করে দান-সদকা করা।  গরীব-মিসকিনদের সাহায্য করা।

    ফজর নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা।

    প্রতিবছরই শবে বরাত আসে। আসে মুক্তি ও ক্ষমার বার্তা নিয়ে। আল্লাহর ভয়ে কম্পমান হৃদয়ে এ রাতে তাওবার উদ্রেক হয়। তাওবাকারীর জন্য ক্ষমার সওগাত নিয়ে আসে শবেবরাত। পাপ আক্রান্ত মন এ রাতে পরিশুদ্ধ জীবনে ফেরার তাগিদ অনুভব করে।

    সূত্র : www.hazabarolo.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 22 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন