শবে বরাতে যাদের দোয়া কবুল হয় না
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে শবে বরাতে যাদের দোয়া কবুল হয় না পান।
সাত ব্যক্তির দোয়া বরকতপূর্ণ রাত পবিএ শবে বরাতেও কবুল হয় না, যতক্ষন না খালিছ তওবা করে ~ ঢাকা আর্কাইভ
সাত ব্যক্তির দোয়া বরকতপূর্ণ রাত পবিএ শবে বরাতেও কবুল হয় না, যতক্ষন না খালিছ তওবা করে - ঢাকা আর্কাইভ
সাত ব্যক্তির দোয়া বরকতপূর্ণ রাত পবিএ শবে বরাতেও কবুল হয় না, যতক্ষন না খালিছ তওবা করে
শবে বরাত শরীফ
পবিএ শবে বরাত এ কি কি বিষয়ে ফায়সালা হয় , সে সম্পর্কে হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
এ বরাতের রাতে আগামী এক বৎসরে কতজন সন্তান জন্ম গ্রহন করবে এবং কতজন লোক মৃত্যুবরণ করবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়।আর এ রাতে বান্দার আমলসমূহ উপরে উঠানো হয় এবং এ রাতে বান্দার রিযিকের ফায়সালা করা হয়”।
(মিশকাত শরীফ)
লাইলাতুল বরাতের রাতে আল্লাহপাক অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দিয়ে থাকেন এবং অসংখ্য পাপীকে ক্ষমা করেন।
তবে সাত ব্যক্তির দোয়া আল্লাহপাক এ বরকতপূর্ণ রাতেও কবুল করেন না, যদি না তারা খালিস তওবা করে।
এরা হচ্ছে-
১) যাদুকর(গণক, জ্যেতিষ)
২) শরাবখোর ৩) যেনাখোর
৪) পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান
৫) চোগলখোর
৬) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী
৭) ঐ ব্যক্তি, যে শরয়ী ওজর ব্যতীত কোন মুসলমান ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশী কথা বন্ধ রাখে।
অন্য হাদীস শরীফে আরো দু’ব্যাক্তির কথা উল্লেখ আছে-
ক)মুশরিক অর্থ্যাৎ যারা আল্লাহপাক উনার সাথে শরীক করে
খ)যে শরীয়তের কারণ ব্যতীত কাউকে হত্যা করে।
(নাউযুবিল্লাহ্)
শবে বরাত হচ্ছে দোয়া কবুলের খাছ রাত।তাই বান্দার উচিত নেক আরজুগুলো দৃঢ়তার সাথে খালিছভাবে তা চাওয়া। কোন প্রকার সন্দেহ পোষণ না করা। ইয়াক্বীন রাখা ,আমার সব দোয়া এবং সব আরজুই আল্লাহপাক অবশ্যই কবুল করবেন।মূলতঃ বান্দার কোন দোয়াই আল্লাহপাক ফিরিয়ে দেননা।সবই কবুল করে থাকেন।
যেটা হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
“দোয়া তিনভাবে কবুল হয়-
১)বান্দা যা দোয়া করে আল্লাহপাক বান্দাকে তা দিয়ে দেন তখন বান্দা বুঝতে পারে যে, তার দোয়া কবুল হয়েছে।
২)বান্দা যা চায় আল্লাহপাক বাšদাকে তা না দিয়ে বান্দার জন্য যা বেশী মঙ্গল বা বেশী জরুরী তা তাকে দিয়ে দেন।তখন বান্দা বুঝতে পারেনা, তার দোয়া কবুল হয়েছে বা হয়নি।
বান্দার দোয়াগুলো পরকালের জন্যে জমা করে রাখা হয়।
এক্ষেএেও বান্দা বুঝতে পারে না যে, তার দোয়া কবুল হয়েছে।কারণ একমাএ আল্লাহপাকই জানেন পরকালে কে কি অবস্থার সম্মুখীন হবে।
(সুবহানআল্লাহ্) SHARE : ✚
আরও কিছু পোষ্টঃ
মহান রব্বুল আলামীন তিনি বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য সবসময় উসিলা খোঁজেন…এরকমই একটি মহান উসীলা পবিত্র শবে বরাত
পবিত্র শবে বরাত উনার মধ্যে রোজা রাখা এবং ইবাদত বন্দেগী করার ফজীলত
‘পবিত্র শবে বরাত শরীফ’ এর অন্যান্য নাম মুবারকসমূহ
শবে বরাতে হালুয়া রুটি অথবা অন্য কোনো বিশেষ খাবার তৈরি করা ও মানুষকে খাওয়ানো সুন্নত
ভাগ্য রজনী
মুসলমানদের জন্য কাফির-মুশরিক, বিধর্মী-বিজাতীয়দের প্রবর্তিত দিবসসমূহ পালন করা হারাম। যে পালন করবে, সে মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে যাবে
সূত্র : dhakaarchive.blogspot.com
our Islam » শবে বরাতে যাদের দোয়া কবুল হয়না
শবে বরাতে যাদের দোয়া কবুল হয়না
এপ্রিল ০৯, ২০২০ ৬:৫০ অপরাহ্ণ
1 Shares ShareTweet
মু: শাহাদাত হুসাইন ফরাজী।শবে বরাত বা মধ্য-শা’বান (আরবি: نصف شعبان, প্রতিবর্ণী. নিসফে শাবান) বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী শা’বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ রাত। উপমহাদেশে এই রাতকে শবে বরাত বলা হয়। ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান নফল ইবাদাতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করেন। অনেক অঞ্চলে, এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
১: মুশরিক, ২: হিংসুক , ৩:আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, ৪: টাখনুর নিছে পায়জামা বা লুঙ্গি পরিধানকারী, ৫: মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান-সন্ততি, ৬: মদ্যপায়ী, ৭: ব্যাভিচারকারি ও ব্যাভিচারীনি, ৮: অন্যায়ভাবে হত্যাকারী, ৯: অন্যায়ভাবে কর আদায়কারী, ১০:যাদু টোনার পেশা গ্রহনকারী, ১১: গণক তথা গায়েবী খবর বর্ণনাকারী, ১২:বাদ্য-বাজনায় অভ্যস্ত ব্যক্তি, ১৩:ফিতনাবাজ, ১৪: ফটো অঙ্কনকারী, ১৫: নিন্দুক।
রেফারেন্স:বায়হাকী: ৩/১৪০১(৩৮৩৭) শুআবুল ঈমান:৩/১৪০৬(৩৮৩১) আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব:৩/২৪২,মুসনাদে আহমদ:২/১৭৬(৬৬৪২)
মাযাহেরে হক:২/২০২, মুকাশাফাতুল কুলুব।
উল্লেখ্য, উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ যতক্ষণ না স্বীয় কৃতকর্ম থেকে খালেস নিয়তে তওবা করে অপরাধ থেকে মুক্ত হয়ে আসবে,ততক্ষন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে এ রাতেও ক্ষমা করবেন না।
-এ Google Ads 3 8 2 3 11
সর্বশেষ সব সংবাদ
বাড়ালো হজ্জ নিবন্ধনের সময়
আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: হজযাত্রার আশানুরূপ সাড়া না মেলায় আরেক দফা… ...
চরমোনাই মাহফিলের মুসল্লিদের জন্য নির্মিত হচ্ছে ১০ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল
৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ: তথ্যমন্ত্রী
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ফিলিপাইন
দেশের ১ম মোবাইল ব্রাউজার ‘তর্জনী’র উদ্বোধন
সড়ক দুর্ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষকসহ নিহত তিন
শবে বরাতের সুন্নত আমল
অর্থনৈতিক কূটনীতি শক্তিশালী করতে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রীদের নিবন্ধন লাগবে না ট্রেনে
যেসব রেওয়াজে পালিত হয় শবে বরাত
সম্পর্কিত
ব্রিজ ভাঙায় সাজেকে যান চলাচল বন্ধ
শিক্ষিকা-ছাত্রীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করল আজাদ কাশ্মির
২ ঘণ্টা পর সচল টুইটার
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৪২ জন
পবিত্র শবে বরাত আজ
শবে বরাতের রাতে যাদের দোয়া কবুল হবে না
কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন, ‘কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব।
/ ইসলাম
শবে বরাতের রাতে যাদের দোয়া কবুল হবে না
গো নিউজ২৪ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১০, ২০১৭, ০৪:২৩ পিএম আপডেট: মে ১০, ২০১৭, ১০:২৩ এএম
মাহে শাবান অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। আর ১৪ শাবান দিবাগত রাত (শবেবরাত) সবিশেষ ফজিলতপূর্ণ, বরকতময় মহিমা, স্বাতন্দ্র্যমণ্ডিত ও তাৎপর্যপূর্ণ। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এ রাতটিকে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান (অর্ধশাবান রাত) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু আমাদের সমাজে এই রাতটি শবে বরাত তথা মুক্তি, নিষ্কৃতি, পাপ মোচনের রাত নামেই সমধিক খ্যাত।
মাহে শাবানের সূচনা থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ব্যক্তি ও সমাজজীবনে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে। কিন্তু সমাজের প্রবল প্রথাগত, আড়ম্বরপূর্ণ উদযাপন ও রেওয়াজি সংস্কৃতিতে শবে বরাতের প্রকৃত মাহাত্ম্য, মর্যাদা ও পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে কি না এ নিয়ে আমাদের অবশ্যই ভাবতে হবে। আর এ জন্য শবে বরাতের প্রকৃত গুরুত্ব ও তাৎপর্য, ফজিলত, মাহাত্ম্য ও করণীয় এবং বর্জনীয় সম্পর্কে সবার সম্যক জানা থাকা একান্ত আবশ্যক।
শবে বরাতের ফজিলত
অসীম কল্যাণে ভরপুর এই শবে বরাতের রজনী বান্দার জন্য মহান আল্লাহর বিশেষ এক নিয়ামত।এ রাতে মহান রাব্বুল আলামীন মাখলুকাতের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন, দয়ার সাগরে ঢেউ উঠে, মাগফিরাতের দ্বার উম্মোচিত হয় পাপি-তাপি সব বান্দার জন্য।
নিম্নে শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো।
ইরশাদ হয়েছে-
عن حضرت على رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا يومها فان الله تعالى ينزل فيها لغروب الشمس الى السماء الدنيا فيقول الا من مستغفر فاغفرله الا مسترزق فارزقه الا مبتلى فاعافيه الا كذا الا كذا حتى يطلع الفجر
অর্থ: ‘হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত. মহা নবী (সা.) ইরশাদ করেন, যখন শা’বানের ১৫ তারিখ রাত্রি উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে নামায আদায় করবে এবং দিনে রোযা রাখবে।
কেননা নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উক্ত রাত্রিতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে আসেন অর্থাৎ রহমতে খাছ নাযিল করেন। অতঃপর ঘোষণা করেন, ‘কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব।’ ‘কোনো রিযিক প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করব।’ ‘কোনো মুছিবতগ্রস্ত ব্যক্তি আছো কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব।’ এভাবে ফজর পর্যন্ত ঘোষণা করতে থাকেন।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
যদি শবে বরাতের ফজিলতের ব্যাপারে দ্বিতীয় কোনো হাদিস নাও থাকতো, তবে এই হাদিসটিই এ রাতের ফজিলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত। অথচ হাদিসের কিতাবসমূহে এ বিষয়ক আরো একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
যেমন হাদিসে আরো এসেছে,
عن عائشة : قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه و سلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله ؟ قلت يا رسول الله إني ظننت أنك أتيت بعض نساءك فقال إن الله عز و جل ينزل ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا فيفغر لأكثر من عدد شعر غنم كلب
অর্থ – হযরত আয়েশা (রা.) বলেন- এক রাতে রাসূল (সা.) কে না পেয়ে খুঁজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে গিয়ে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম। মহানবী (সা.) বললেন- কি ব্যাপার আয়েশা, তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল তোমার ওপর কোনো অবিচার করবেন?
হযরত আয়েশা (রা.) বললেন- আমার ধারণা হয়েছিল আপনি অন্যকোনো বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসূল (সা.) তখন বললেন- যখন শাবান মাসের ১৫ই রাত আসে তখন আল্লাহ পাক এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়ে বেশি সংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। (সুনানে তিরমিযী)
মহানবী (সা.) আরো বলেন-
عن معاذ بن جبل, عن النبى, قال : يطلع الله الى خلقه فى ليلة النصف من شعبان, فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن ( رواه ابن حبان
মুআয ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা’আলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।
এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, এ রাতে আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাতের দ্বারা ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত হয়। কিন্তু শিরকি কাজকর্মে লিপ্ত ব্যক্তি এবং অন্যের ব্যাপারে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষ এই ব্যাপক রহমত ও সাধারণ ক্ষমা থেকেও বঞ্চিত থাকে।
যখন কোনো বিশেষ সময়ের ব্যাপারে আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাত ঘোষণা হয়, তখন তার অর্থ এই হয় যে, এই সময় এমন সব নেক আমলের ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে যার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও মাগফেরাতের উপযুক্ত হওয়া যায় এবং ওইসব গুণাহ থেকে বিরত থাকতে হবে, যার কারণে আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাত থেকে বঞ্চিত হয়।
মহানবী (সা.) আরো বলেন-
রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস, আর রমজান আল্লাহর সকল বান্দাদের মাস। (মা‘সাবাতা বিস সুন্নাহ)
রজব এবং রমযানের মধ্যবর্তী মাসের নাম শা’বান মাস। লোকেরা এই মাসের পূর্ণ মর্যাদা রক্ষা করে না। অথচ এই মাসটিতে বান্দার আমল আল্লাহর নিকট পেশ করা হয় এবং আমল সমুহের অধিক ছওয়াব দান করা হয়। আমি ভালোবাসি যে, আমার আমল আল্লাহর হুযুরে রোযা রাখা অবস্থায় পেশ করা হোক। (মা সাবাতা বিস সুন্নাহ)
মাসদ্বয়ের জন্য মহানবী (সা.) এভাবে দু’আ করতেন-اللهم بارك لنا في رجب وشعبان وبلغنا رمضان
‘আল্লাহ্ম্মুা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা ইলা রামাদান। অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ রজব ও শা’বান মাসে আমাদের জন্য রবকত নাযিল করুন, আর আমাদেরকে রমযান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।
দোয়া কবুলের রাত
যে পাঁচটি রাতে বিশেষভাবে দোয়া কবুল হওয়ার ওয়াদা করা হয়েছে তার মধ্যে শবে বরাতের রাত একটি, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন-
ان الدعاء يستجاب فى خمس ليال اول ليلة من رجب وليلة النصف من شعبان وليلة القدر المباركة وليلتى العيدين
অর্থ : ‘নিশ্চয়ই পাঁচ রাত্রিতে দোয়া নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে। (১) রজব মাসের প্রথম রাতে, (২) শবে বরাতের রাতে, (৩) ক্বদরের রাতে, (৪) ঈদুল ফিতরের রাতে, (৫) ঈদুল আযহার রাতে।’ (মা-ছাবাতা বিসসুন্নাহ)
শবে বরাতের রজনীতেও যাদের দোয়া কবুল হয় না
কিন্তু শবে বরাতের রাতেও নিম্নবর্ণিত লোকদের দোয়া ও আমল (খাটি অন্তরে তওবা না করা পর্যন্ত) কবুল হয় না।
(১) মুশরিক (২) মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান (৩) আত্মীয়দের সাথে ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া সম্পর্ক ছিন্নকারী (৪) জালিম শাসক ও তাহাদের সহযোগী, (৫) না হক হত্যাকারী (৬) পরনারীগামী (৭) মদ্যপানকারী (৮) ইর্ষাপরায়ণ (৯) নিন্দাকারী (১০) গনক ও রেখা টানিয়া অথবা ফালনামা দেখিয়া ভাগ্য ও ভবিষাৎ শুভাশুভ নির্ধারণকারী (১১) গায়ক ও বাদক (১২) মিথ্যা শপথের সাহায্যে পণ্য বিক্রয়কারী (১৩) পায়ের গিরার নিচে গর্ব সহকারে কাপড় পরিধানকারী (১৪) যাদুকর (১৫) পরস্পর শত্রুতা ভাব পোষণকারী (১৬) কৃপণ (১৭) অন্যায়ভাবে শুল্ক আদায়কারী (১৮) জুয়াড়ি (১৯) দাবা-পাশার খেলোয়াড় (২০) বিদআ’ত প্রচলনকারী (২১) মিথ্যা সাক্ষ্যদানকারী (২২) সুদ দাতা (২৩) সুদ গ্রহিতা (২৪) ঘুষ দাতা ও গ্রহিতা (২৫) সন্ত্রাস ও ফাসাদ সৃষ্টিকারী।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?