if you want to remove an article from website contact us from top.

    শবে বরাতে হালুয়া রুটি খাওয়া

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে শবে বরাতে হালুয়া রুটি খাওয়া পান।

    হালুয়া রুটি হারাম হলে, কাওয়া(কাক) খাওয়া হালাল হল কেমন করে..?? তাবলিগী দেওবন্দী ওহাবীদের কাছে খোলা প্রশ্ন

    somewhere in... blog, also called বাঁধ ভাঙার আওয়াজ, is the first and largest bangla blog community in the world. the main attraction is the phonetic keyboard that makes it too-easy to write bangla on web, even if you don't know how to type bangla. other attractions are the front page displaying all the incoming posts and the group blog service. since the simple start 16th december 2005, somewhere in... blog has grown to become the trend setter for bangla blogging.

    হালুয়া রুটি হারাম হলে, কাওয়া(কাক) খাওয়া হালাল হল কেমন করে..?? তাবলিগী দেওবন্দী ওহাবীদের কাছে খোলা প্রশ্ন

    হালুয়া রুটি হারাম হলে, কাওয়া(কাক) খাওয়া হালাল হল কেমন করে..?? তাবলিগী দেওবন্দী ওহাবীদের কাছে খোলা প্রশ্ন ২১ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

    হালুয়া-রুটি হারাম হলে, কাউয়া আর হোলী, দিওয়ালীর প্রসাদ তাবলীগিরা হালাল করলো কেন?

    (তাবলীগ আবু জাহিল জামাত তথা গোলাপী ওহাবীদের অপপ্রচারের উচিত জবাব)

    *

    ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম, আমার দয়াল নবীজির এই শান্তির ইসলাম আজ কতিপয় ফতোয়াবাজদের দ্বারা কলংকিত হচ্ছে। যেমন এরা আজ হালুয়া রুটিকে বিদাত আর হারামের ফতোয়াবাজী শুরু করেছে অথচ এর মধ্যে কোন উপাদানটি হারাম সেটা আদৌ তারা বলতে পারতেছে না।

    আসুন আজ ছদ্দবেশী এসব নামকাওয়াস্তে মুসলমানদের আসল চেহরা সবার সামনে আনি।

    *

    আসছে পবিত্র শবে বরাত, মহাপবিত্র একটি দিন, নফল ইবাদতের এক মহা রজনীর নাম শবে বরাত।এই দিনের রহমত কুড়াতে আমারা মুসলমানরা নফল ইবাদতে মশগুল থাকি, ভাল, উন্নত খাবার তৈরি করে গরীব মিসকিন, পাড়া পড়শীদের মাঝে বিতরন করি।কিন্তু এখন বিশ্ব জানে যে পবিত্র দিন এর পালনকারী তথা পবিত্র মুসলমানদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে কিছু মহা ফতোয়াবাজ, যারা ৪০ দিনেই নিজেকেই মুফতীর আসনে নিজেই নিজেকে সিক্ত করে, বলতে গেলে “মুই কি হনু” ভাবতে শুরু করে।

    *

    শবে বরাতে অনেকে আমরা উন্নত খাবার পোলাও, কোরমা, হালুয়া-রুটি তৈরি করি, এবং এই পবিত্র দিনের উসিলায় আমাদের সমাজে গরীব মিসকিনরাও সেদিন ভাল খাবার পেয়ে থাকে- সুবহানাল্লাহ কিন্তু রিয়াল আর ডোলারে পালিত কিছু নামকা ওয়াস্তে মুসলমানদের চোখে সেটাও সহ্য হচ্ছে না, কেন তারা ভাল খাবার খাচ্ছে? কেন তরা গরীব মিসকিনদের ভাল খাবার দিচ্ছে? তারা বলে নাকি হালুয়া-রুটি বিদাত, হারাম ইত্যাদি।প্রথমে তো খুব হাসি পাই যে, কি খেয়ে এরা মুসলমান হয়েছ।

    তার আগে একটি হাদিস মনে পড়ছে হুজুর(সাঃ) বলেন মুমিন মিষ্টি স্বরুপ ‘ওয়াহিব্বুল হালাওয়া” এবং মিষ্টি পছন্দ করে”- সুবহানাল্লাহ

    আর আমাদের ৪০ দিনের মুফতি হুজুররা কই কি হালুয়া হারাম।

    > আচ্ছা প্রথম প্রশ্নঃ কোরআনের কোন আয়াতে কিংবা কোন হাদিসে একে হারাম বিদাত বলা হয়েছে..? পারবেন কি আপনারা দেখাতে? জনম জনম লেগে যাবে তারপরেও হালুয়া রুটিকে হারাম প্রমান করতে পারবেন না এটা আমার প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ।

    > যদি কোন আবু জাহিলকে প্রশ্ন করি আচ্ছা ভাই, হালুয়া রুটি কেন বিদাত বা হারাম হল? হালুয়া-রুটি যেসব উপাদান দিয়ে তৈরি সেইসব কি হারাম পন্য.?

    - হালুয়ার মধ্যে ডাল লাগে এই ডাল কি হারাম.? তারা বলবে না

    - এর মধ্যে কি চিনি হারাম.? না

    - এর মধ্যে কি ঘি হারাম? না

    - এর মধ্যে কি ময়দা হারাম? না

    - এর মধ্যে কি কিসমিস, বাদাম হারাম?..... না

    - তাহলে যিনি রান্না করেছেন, আপনার আমার মা-বোন তারাই হারাম হবে নিশ্চয়.?..... না না

    আচ্ছা ভাই যদি ডাল হারাম না, চিনি হারাম না, ঘি হারাম না, তেল হারাম না, ময়দা হারাম না, তাহলে এগুলো একসাথে যোগ করলে যখন হালুয়া হয় তখন হারাম হয়ে যাবে কেমনে.?

    আবু জাহিল তাবলিগীদের কাছে- তখন হে হে হে করা ছাড়া আর কোন উপাদান থাকবে না।

    আচ্চা সবচেয়ে মজার বিষয় এরা এসবকে হারাম বললেও একবার এদের সামনে রেখে দেকুন না হালুয়া-রুটি, প্লেট প্লেট সাবাড় করে দিবে।তখন এটা আর হারাম থাকে না।

    ৪০ দিনের মুফতিরা যখন এইসব প্রশ্নে আটকা পড়ে, তখন সাধারন মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে তাদের নতুন ফাদ-

    তাবলিগীঃ আরে না ভাই আমরা বলতেছি শুধু এইদিনকে সামনে রেখে হালুয়া কেন, তাই এটা বিদাত, হারাম

    আমাদের উত্তরঃ ভাল খাবারের কোন দিন হয় না, সেটা যেকোন দিন বা শবে বরাতের দিন হউক যদি সেই খাবারের মধ্যে কোন হারাম বস্তু না থাকে তাহলে সেটা হালাল হালাল হালাল, সেটা কোন মতেই হারাম হতে পারে না।

    আর যদি দিন ধার্য করে হালুয়া রটি হারাম হয়ে যায় তাহলে এবার আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিন।

    - দিন ধার্য করেই আপনার বাবা মায়ের বিবাহ হয়েছিল যার রেজাল্ট আপনি নিজেই, তাহলে আপনি কি হলেন?

    - মসলমানদের পবিত্র ঈদে যখন আজ ঘরে ঘরে সেমাই, লাচ্ছা, দিন ধার্য করে রান্না হচ্ছে- এর ব্যাপারে ফতোয়াবাজ ৪০ দিনের মুফতিরা কি বলবে?

    - রমজানের রোজা উপলক্ষে দিন ধার্য করে যেখানে ঘরে ঘরে চানা, পিয়াজু রান্না হচ্ছে, তখন ৪০ দিনের চিল্লার পার্টি কি উত্তর দিবে?

    *

    যদি শবে বরাত উপলক্ষে হালাল খাবার হালুয়া রুটি হালাল হয়েও দেউবন্দরদের চোখে হারাম হয়ে যায় শুধু এই অজুহাতে যে এর কোন ভিত্তি কোরআন হাদিসে নাই তাহলে সেই ফতোয়াবাজ আবু জাহিলদের কাছে লাচ্ছা,সেমাই,চানা,পিয়াজু কোন সূত্রে হালাল হয়ে গেল.??? এইসব জিনিসও তো কুরআন-হাদিসে নাই।

    *

    এই হচ্ছে রিয়াল আর ডোলারে পালিত নামকাওয়াস্তে মুসলমানদের আসল চেহরা, যারা রিয়াল আর ডোলারের লোভে আজও মুসলমানদের বিভক্ত করতে সদা তৎপর। এরা ইসলামকে নিজেদের উত্তরাধীকারে পাওয়া ইসলাম বানাতে চাই, যখন যাকে ইচ্ছা হারাম বলবে যখন যাকে ইচ্ছা হারাম বস্তুকে হালাল বলে নিজেদের জন্য বৈধ করবে যেমন দেখুন এরা হালাল হালুয়া রুটিকে হারাম বললেও আজ নিজেদের পুস্তক “ফতোয়া-এ-রশিদিয়া”র ২য় খন্ডের ১৩০ নং পৃষ্ঠায় ৪০ দিনের মুফতিরা ফতোয়া দিয়েছে যে,

    “কাক(কাউয়া)খাওয়া হালাল আছে এবং এর মধ্যে এক প্রকার সওয়াবো আছে”

    (“ফতোয়া-এ-রশিদিয়া”র ২য় খন্ডের ১৩০ নং পৃষ্ঠা),

    কি ধরনের সওয়াব আছে, সেটা ৪০ দিনের হুজুররাই বলতে পারবে, তবে আজ পর্যন্ত অনেককে প্রশ্ন করেও উত্তর পাইসি যে কি ধরনে সওয়াব আছে কাউয়ার মধ্যে

    আজ যারা হালুয়া রুটিকে হারাম বলছে তারাই নিজের পুস্তক “ফতোয়া-এ-রশিদিয়া”র ২য় খন্ডের ১৩২ নং পৃষ্ঠায় ফতোয়া দিয়েছে যে, “হিন্দুদের হোলী, দেওয়ালীর প্রসাদ খাওয়া জায়েজ” নাউজুবিল্লাহ

    দেখলেনতো মিস্টার ফতোয়াবাজদের আসল চেহরা হালাল হালুয়া এদের চোকে হারাম হলেও কাউয়া(কাক) খাওয়া, হিন্দুদের প্রসাদ খাওয়া ঠিকি হালাল বলছে এরা। নাউজুবিল্লাহ।

    বাংলায় একটি কথা আছে ‘অল্প বিদ্যা ভয়ংকর” ঠিক এই অবস্থা দেউবান্দরদের, জ্ঞান অর্জন করতে যেখানে মানুষরা বছর থেকে বছর ব্যয় করছে আর ফতোয়াবাজরা ৪০ দিনের চিল্লার পার্টি সেরে ফেললেই হয়ে যাচ্ছে মহা গ্রান্ড মুফতি আর ৪০ দিনের হুজুরদের কাছে কিবা আর আশা করা যায়। আসলে এরা ইসলামে একটি ভাইরাস স্বরুপ যারা রিয়াল আর ডোলারের বিনিময় আজও মুসলমানদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে তৎপর্। এজন্য হালাল খাবারকে এখন আজকের যুগে এরা হারাম ফতোয়া দিচ্ছে

    যাই হউক প্রসংগটা ছিল “হালুয়া-রুটি” আর আমি সুস্থ মস্তিষ্কে স্বজ্ঞানে সবার সামনে বলতেছি কিয়ামত পর্যন্ত কোন তাবলিগী দেউবান্দাররা হালুয়া-রুটিকে বিদাত, হারাম প্রমান করতে পারবে না না না এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।

    শেষে উর্দুতে একটি কবিতার মাধ্যমে ইতি টানতে চাই

    সূত্র : m.somewhereinblog.net

    এটি হাদীস নয় : শবে বরাতে হালুয়া

    শাওয়াল ১৪৩৫   ||   আগস্ট ২০১৪

    প্রচলিত ভুল

    এটি হাদীস নয় : শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বানালে আরশের নিচে ছায়া পাবে

    একটি গ্রামের মহিলাদের প্রায় সকলকেই বলতে শোনা গেছে, ‘শবে বরাতে হালুয়া-রুটি বানালে আরশের নিচে ছায়া পাওয়া যাবে।’ এটিকে রাসূলের হাদীস হিসেবেই বলা হয়েছে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের সাথে এর দূরতম সম্পর্কও নেই।

    এটি এমন একটি ভিত্তিহীন কথা যার জাল হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এমনকি জাল হাদীসের উপর লেখা কিতাবাদিতেও এর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না।

    কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায়, ওহুদ যুদ্ধে যখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দানদান মোবরক শহীদ হয়েছিল, তখন কিছুদিন কোনো প্রকার শক্ত খাবার খেতে পারতেন না। সেই ঘটনার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এই দিনে ঘটা করে হালুয়া রুটি খাওয়া হয়। কিন্তু ওহুদ যুদ্ধ তো শাবান মাসের ১৫ তারিখে হয়নি তা হয়েছে শাওয়ালের ৭ তারিখে। সুতরাং যদি সে কেন্দ্রিক কোনো বিষয় থাকত তাহলে তা শাওয়াল মাসের ৭ তারিখে থাকত শাবানের ১৫ তারিখে নয়।

    শাবানের পনের তারিখের রাতের ফযীলত সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। (এ রাতের ফযীলত বিষয়ে বিস্তারিত দেখুন, আলকাউসারের সেপ্টেম্বর ২০০৫ সংখ্যায় ‘‘বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শাবান শবে বরাত’’ শিরোনামে) হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষপোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৫৬৬৫; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৩৮৩৩) কিন্তু এই রাতের সাথে হালুয়া-রুটির কী সম্পর্ক?

    এ রাতের যতটুকু ফযীলত প্রমাণিত আছে শুধু ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। রসম-রেওয়াযের পিছে পড়ে এর মূল ফযীলত থেকে বঞ্চিত হওয়া ঠিক নয়।

    আর আলোচ্য বিষয়টি মূলত এই রাতের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন রসমের অন্যতম, যার কোনো ভিত্তি নেই। এ ধরণের কাজ এবং এ রাত কেন্দ্রিক আরো যত রসম-রেওয়ায আছে এগুলে থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

    আর এ ধরনের ভিত্তিহীন কথাকে রাসূলের হাদীস হিসেবে বলা অনেক মারাত্নক গুনাহের কাজ। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। দ্বীনের সকল বিষয়ে সহীহ কথা ও সহীহ কাজ করার তাওফিক দিন।

    প্রসঙ্গসমূহ: এটি হাদীস নয়

    প্রসঙ্গসমূহ »

    ঈমান-আকাইদ নামায-সালাত তাহারাত রমযান প্রসঙ্গ হজ্জ্ব যাকাত মুয়ামালাত-লেনদেন তাসাওউফ-আত্মশুদ্ধি ইসলামী অর্থনীতি দাওয়াত ও তাবলীগ শেয়ার ব্যবসা শবে বরাত শবে মিরাজ ঈদ নারী অধিকার বিদআত সীরাত সিয়াম সফরনামা পর্দা ও হিজাব আরও »

    সাম্প্রতিক সংখ্যা »

    সূত্র : www.alkawsar.com

    শবে বরাতে হালুয়া

    হাজার বছরের ইবাদতের চেয়ে এই রাতের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। মহিমান্বিত এক রাত এই শবে বরাত। পুরো বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ মশগুল থাকেন আল্লাহর ইবাদতে। এ-রাতে সেহরে খেয়ে পরদিন রোজা রেখেছেন রাসূল (সা.)।

    ধর্ম

    শবে বরাতে হালুয়া-রুটির প্রচলন যেভাবে

    ধর্ম ডেস্ক

    প্রকাশিত: ১৪:১৬, ২৮ মার্চ ২০২১

    আপডেট: ১৪:২২, ২৮ মার্চ ২০২১

    শবে বরাতে প্রত্যেক ঘরেই তৈরি হয় হালুয়া রুটি

    হাজার বছরের ইবাদতের চেয়ে এই রাতের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। মহিমান্বিত এক রাত এই শবে বরাত। পুরো বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ মশগুল থাকেন আল্লাহর ইবাদতে। এ-রাতে সেহরে খেয়ে পরদিন রোজা রেখেছেন রাসূল (সা.)। তবে শবে বরাতে আলোকসজ্জা করা কিংবা হালুয়া রুটি খেতেই হবে এমন কিছুর উল্লেখ পাওয়া যায়নি কোথাও। 

    গ্রামে-গঞ্জের নারীরা বলে থাকেন, এমনিক বহু শহুরে শিক্ষিত মেয়েদের মুখেও শোনা যায়, রাসূল (সা.) বলেছেন- শবে বরাতে রুটি বানিয়ে খেলে আল্লাহ তায়লা তার আরশের নীচে ছায়া দেবেন । কেউ কেউ বলেন, হাদিসে আছে, কেয়ামতের কঠিন দিনে রুটি বড় হয়ে বান্দার মাথার ছাতা হবে। অথচ রাসূল (সা.) এর অজস্র হাদীসের কোথাও এমন কোনো বাক্যের উল্লেখ নেই । হাদিসের বর্ণনার সঙ্গে এর দূরতম সম্পর্কও নেই।

    হালুয়া- রুটি খাওয়ার প্রচলন হলো যেভাবে

    ওহুদ যুদ্ধে রাসুলের (সা.) দাঁত মোবারক শহিদ হলে পরে কিছুদিন তিনি কোনো শক্ত খাবার খেতে পারতেন না। তখন তাকে চালের নরম রুটি ও হালুয়া করে খাওয়ানো হয়। আল্লাহ তায়ালা তা-ই শবে বরাতের এই দিনে হালুয়া রুটি খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    তবে এই নিয়ে রয়েছে যুক্তি তর্ক, ওহুদ যুদ্ধের সঙ্গে  শবে বরাতের সম্পর্ক কী? ওহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে শাওয়াল মাসের ৭ তারিখে, আর শবে বরাত হয় শাবান মাসের ১৫ তারিখে। তবে শাবানের পনের তারিখের রাতের ফজিলত ও এ রাতের ইবাদত-বন্দেগির সাওয়াবের কথা বহু বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে আপন রহমতের দৃষ্টি দান করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন । (সহীহ ইবনে হিববান ও বায়হাকি)

    অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে- কেউ যদি আরশের ছায়া জাতীয় কোনো ভুল ধারণা না রেখে বা নিজের ইবাদতে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে শবে বরাত উপলক্ষে এ ধরনের হালুয়া-রুটির ব্যবস্থা করে, তাহলে কি তা না জায়েজ হবে? উত্তর হলো- না, কিছুতেই নয়। উপরন্তু কেউ যদি ইবাদত গুজার বান্দাদের ইবাদত-বন্দেগি ও রোজা পালনের সুবিধার্থে হালুয়া-রুটি অথবা আমাদের দেশে প্রচলিত কোনো খাবারের ব্যবস্থা করে, তাহলে তা অবশ্যই অশেষ ফজিলত ও সাওয়াবের কারণ হবে।

    হাদিসে আছে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন,- হে লোক সকল, তোমরা সালামের প্রচলন করো, মানুষকে খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সর্ম্পক রক্ষা করো এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ পড় তাহলে শান্তির সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (তিরমিযি ও ইবনে মাজাহ)

    হালুয়া-রুটির সঠিক ইতিহাস

    আসলে এই রাতের সঙ্গে হালুয়া-রুটির বিষয়টি এলো কোথা থেকে- তার পেছনে এক ইতিহাস রয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্ববর্তী যুগে এখনকার মতো মুসাফির যাত্রীদের থাকার জন্যে আবাসিক হোটেল-মোটেলের ব্যবস্থা ছিল না। তখন পথচারীদের বিশ্রামের জন্যে ছিল সরাইখানা কিংবা মুসাফিরখানা। সফর অবস্থায় প্রয়োজনে মানুষ সেখানে রাত্রিযাপনও করতেন।

    আর এখানকার দায়িত্বশীল যারা ছিলেন, তারাই মুসাফিরদের খাবারের ব্যবস্থা করতেন। তাই কোনো মুসাফির পবিত্র শবে বরাতে এসব স্থানে রাত্রি যাপন করলে হয়তো তিনি সারারাত ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাতেন ও পরের দিন রোজা রাখতেন। যেহেতু স্বাভাবিকভাবে হালুয়া-রুটি ও গোশত-রুটি খাওয়া সুন্নাত, তাই তারা হালুয়া, রুটি, গোশত ব্যবস্থা করতেন সচরাচর। এ ছাড়াও আরব এলাকার লোকদের প্রধান খাদ্য রুটি-হালুয়া বা রুটি-গোশত। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া-রুটির প্রচলন আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। (আত্‌তাহযীব মিনাল বিদা)

    ইসলামের ইতিহাস যারা বিশ্লেষণ করেন, তাদের অনেকেই মনে করেন যে বাংলাদেশের সমাজ বৃহত্তর মুসলিম উম্মাহর অংশ। শবে বরাতের সময় হালুয়া-রুটি বানানো। বিতরণ করার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেয়ার একটি সম্পর্ক আছে। আনন্দের ভাগটা অন্যদের দেয়ার জন্যই বিতরণ করার রেওয়াজটা হয়েছে। এর সঙ্গে ধর্মীয় অনুভূতি এবং সামাজিকতা রক্ষা- দুটো বিষয় জড়িত আছে। আবার রাসূল (সা.) যেহেতু মিষ্টি খেতে পছন্দ করতেন। তাই তার উম্মতও মিষ্টি খাওয়াকে সুন্নত মনে করেন। আর এই পবিত্র দিনে মিষ্টি খাওয়া বাড়তি সুন্নত আদায় করা। এটি ভেবেই অনেকে মিষ্টির আয়োজন করে। মিষ্টি বা মিষ্টান্নর মধ্যে হালুয়া অন্যতম এক উপকরণ হতে পারে। এভাবেই বাংলাদেশ ভূখণ্ডে শবে বরাত পালনের ব্যাপক প্রচলন শুরু হয় ১৯শ’ শতকের শেষের দিকে।

    ডেইলি-বাংলাদেশ/কেএসকে

    সূত্র : www.daily-bangladesh.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 23 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন