শবে বরাত কেন পালন করা হয়
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে শবে বরাত কেন পালন করা হয় পান।
Shab
Shab-e-Barat 2023: কবে থেকে পালন করা হয় শবে বরাত? কেন এই দিনটিকে এত পবিত্র বলে মনে করা হয়?
Shab-e-Barat 2023: কেন পালন করা হয় শবে বরাত? জানেন কি এই পবিত্র দিনটির তাৎপর্য
2 মিনিটে পড়ুন .Updated: 06 Mar 2023, 12:54 PM IST Suman Roy
গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন
কেন পালন করা হয় শবে বরাত?
Shab-e-Barat 2023: কবে থেকে পালন করা হয় শবে বরাত? কেন এই দিনটিকে এত পবিত্র বলে মনে করা হয়?
হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সৌভাগ্যের রাত হিসাবে পালন করেন এটিকে। এই রাতে ধর্মপ্রাণদের জন্য কৃপার দরজা খুলে দেন মহান আল্লাহ। তাই এই রাতটি পবিত্র শবে বরাত হিসাবে পালিত হয়।
শবে বরাত শব্দের মানে:
ফারসি ভাষায় ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত। আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে একে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রাত। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আল্লাহ এই রাতে তাঁর বান্দাদের গুনহা (অপরাধ) মাফ (ক্ষমা) করে দেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।পবিত্র এই রাতে তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, কোরান তিলাওয়াত করেন এবং জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ–অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করার সময়ও এটি। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
অনেকেই এদিন রোজা রাখেন এবং গোপনে দান-খয়রাতের কাজ করে থাকেন। অনেকে, এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করেন। এই পবিত্র রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলীমরা আত্মীয়-প্রতিবেশী-দুঃস্থ মধ্যে হালুয়া, ফিরনি সহ নানারকমের খাবার বিতরণ করে থাকে। রাতে মসজিদ, কবরস্থান এবং মাজারে গিয়ে চলে প্রার্থনা।
শবে বরাতের ইতিহাস:
শবে বরাত পালনের প্রচলন হয় হিজরি ৪৪৮ সনে। ফিলিস্তাইনের নাবলুস শহরের ইবনে আবিল হামরা নামে একবায়তুল মুকাদ্দাস আসেন। তার তিলাওয়াত ছিল সুন্দর ও মধুর। তিনি শাবানের মধ্যরাত্রিতে নামাজে দাঁড়ালে, তাঁর পিছনে এক লোক এসে দাঁড়ান। তার পরে তাঁর সঙ্গে তৃতীয় জন এসে যোগ দেন। এর পরে চতুর্থ জন। তিনি নামাজ শেষ করার আগেই বিরাট একদল লোক এসে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। পরবর্তী বছর এলে, তাঁর সঙ্গে অনেকেই যোগ দেন ও নামাজ আদায় করেন। এতেই মাসজিদুল আক্সাতে এই নামাজের প্রথা চালু হয়। কালক্রমে অনেকেই একে সুন্নাত মনে করতে শুরু করেন।
কোথায় কোথায় শবে বরাত পালন করা হয়:
ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হয় গোটা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া জুড়ে। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আজারবাইজান, তুরস্ক, উজবেবিস্তান, তাজাকিস্তান, কাজাকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান, কিরগিজস্তান জুড়ে চলে শবে বরাতের উৎসব। আরব বিশ্বে কেবলমাত্র সুফি ঐতিহ্যের আরব ও শিয়া মুসলিমরা এই উৎসব পালন করেন। স্থানভেদে এই উৎসব ভিন্ন নামে পরিচিত। ইরান ও আফগানিস্তানে নিম শাবান, তুরস্কে বিরাত কান্দিলি, ভারতীয় উপমহাদেশে শবে বরাত বা নিফসু শাবান।
শবে বরাতের খাওয়াদাওয়া:
পবিত্র শবে বরাতকে কেন্দ্র করে বাড়িতে বাড়িতে নানা রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটি-সহ দারুণ খাবার তৈরির প্রচলন রয়েছে। এসব খাবার আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যার পর অনেকে কবরস্থানে যান। আপনজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন তাঁরা।
রমজানের শুরু:
পবিত্র শবে বরাত মুসলিমদের কাছে এককথায় রমজানের আগমনী বার্তা বয়ে আনে, কারণ আরবি ক্যালেন্ডার অনুসারে শাবান মাসের পরেই আসে রমজান মাস। তাই শবে বরাতের রাত থেকে আসন্ন রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায় পুরোদমে।
গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন
Topics
Special DayCelebrationSignificanceWhatsApp MessagesWishesHistoryBengali NewsShab-e-Barat
বন্ধ করুন
সূত্র : bangla.hindustantimes.com
শবে বরাত
শবে বরাত
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শবে বরাত
ইরনে শবে বরাত
আনুষ্ঠানিক নাম ফারসি: شب برات
অর্থ: মুক্তি রজনী পালনকারী মুসলিম
তাৎপর্য মুক্তির রাত (ক্ষমা প্রার্থনা বোঝানো হয়)
তারিখ ১৪ ও ১৫ শা'বানের মধ্যবর্তী রাতে
ইসলামি সংস্কৃতি ধারাবাহিকের অংশ স্থাপত্য
আজারবাইজানীয়ইন্দো-ইসলামীমুরীয়মরোক্কীমুঘলউসমানীয়পাকিস্তানিতাতারফার্সিসোমালিসুদানী-সহিলীয়
শিল্প
লিপিবিদ্যাক্ষুদ্র চিত্রকম্বলআরব কার্পেটপারস্য কার্পেটতুর্কি কার্পেট
পোশাক
আবায়াআগালবউবউবোরকাচাদরজেল্লাবিয়ানিকাবসালোয়ার-কামিজসংকক (পেকি)তাকিয়াহকুফিয়াহথাওবজিলবাবহিজাব
ছুটির দিন
আশুরাআরবাঈ'নআল-ঘাদিয়াচাঁদ রাতঈদুল ফিতরঈদুল আজহাইমামত দিননববর্ষলাইলাতুল মেরাজশবে কদরমাওলিদরমজানশবে বরাত
সাহিত্য
আরবিআজারবাইজানীয়বাংলাইন্দোনেশীয়জাভানিকাশ্মীরিকুর্দিমালয়পুশতুফার্সিপাঞ্জাবিসিন্ধিসোমালিদক্ষিণ এশীয়তুর্কিউর্দু
সঙ্গীত
দাস্তগাহগজলমদিহ নবাবীমাকামমুগামনাশেদকাওয়ালিসুফি
থিয়েটার
বাংসাওয়ানজেমকারাগোজ এবং হাচিভাতসামাতাযিহ
ইসলাম প্রবেশদ্বার দেস
শবে বরাত বা মধ্য-শা'বান (আরবি: نصف شعبان, প্রতিবর্ণী. ) বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে হিজরী শা'বান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ রাত।[১] উপমহাদেশে এই রাতকে শবে বরাত বলা হয়। ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদেরকে বিশেষভাবে ক্ষমা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অনেক মুসলমান নফল ইবাদাতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করেন। অনেক অঞ্চলে, এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।[২] বারো শিয়া মুসলিমরা, এই তারিখে মুহাম্মদ আল-মাহদির জন্মদিন উদ্যাপন করে।[৩][৪] তবে সালাফিরা এর বিরোধিতা করে থাকেন।[৫]শব্দতত্ত্ব[সম্পাদনা]
শাবান মাসের ১৫তম রাতকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামকরণ করা হয়। নামকরণগুলো দুটি বিষয়ের ভিত্তিতে হয়ে থাকে:
মধ্য শাবান বা অর্ধ শাবান, ইসলামী দিনপঞ্জির অষ্টম মাস শাবান মাসে দিনটির অবস্থান অনুসারে নামকরণ।
ইরান ও আফগানিস্তানে নিম শা'বান।
আরবী ভাষাভাষীগণ বলেন নিসফ্ শা'বান।
মালয় ভাষাভাষীগণ বলেন নিসফু শা'বান; ইত্যাদি।
বরাতের রাত, ফার্সিতে বরাত শব্দের অর্থ হল ভাগ্য, বণ্টন, নির্ধারিত।
লাইলাতুন নিফসি মিন শা'বান
লাইলাতুল দোয়া।
তুর্কি ভাষাভাষীগণ বলেন বিরাত কান্দিলি।
ভারতীয় উপমহাদেশে বলা হয় শবে বরাত, নিসফু শাবান ইত্যাদি।
উৎস[সম্পাদনা]
শবে বরাত একটি ফার্সি শব্দ যার কারণে এই শব্দের ব্যবহার আরবিতে নেই। তবে শাবান মাসের গুরুত্ব রয়েছে। শাবান মাসের মধ্য তারিখের গুরুত্ব রয়েছে।
হাদিস[সম্পাদনা]
সিহাহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিসগ্রন্থের কোনো কোনো হাদিসে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। হাদিসগুলোর সনদ বিভিন্ন মানের এবং এবিষয়ে মতভেদ বিদ্যমান। হাদিস শাস্ত্রে 'শবে বরাত' বলতে যে পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা হলো "নিসফ শাবান" বা "লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান" তথা "শা'বান মাসের মধ্য রজনী"। একটি হাদীসে বলা হয়েছে,
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।
— (ইবনু মাজাহ, আস- সুনান ১/৪৪৫; বাযযার, আল-মুসনাদ ১/১৫৭, ২০৭, ৭/১৮৬; আহমদ ইবনু হাম্বল, আল-মুসনাদ ২/১৭৬; ইবনু আবি আসিম, আস-সুন্নাহ,পৃ ২২৩-২২৪; ইবনু হিব্বান, আস-সহীহ ১২/৪৮১; তাবরানী, আল-মুজাম আল-কাবীর, ২০/১০৮, ২২/২২৩; আল-মুজাম আল-আওসাত, ৭/৬৮; বায়হাক্বী, শু’আবুল ঈমান, ৩/৩৮১; ইবনু খুযায়মা, কিতাবুত তাওহীদ ১/৩২৫-৩২৬।)[সনদ সহীহ][৬][৭][৮]
বিভিন্ন সহীহ হাদীসে বর্নিত আছে, মুহাম্মাদ (সঃ) এ মাসে বেশি বেশি নফল রোযা পালন করতেন। শাবান মাসের রোযা ছিল তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এমাসের প্রথম থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত এবং কখনো কখনো প্রায় পুরো শাবান মাসই তিনি নফল সিয়াম পালন করতেন। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
“এ মাসে রাব্বুল আলামীনের কাছে মানুষের কর্ম উঠানো হয়। আর আমি ভালবাসি যে, আমার রোযা রাখা অবস্থায় আমার আমল উঠানো হোক।”
— (নাসাঈ, আস-সুনান ৪/২০১; আলবানী, সহীহুত তারগীব ১/২৪৭।[সনদ হাসান][৬])
হাদিস অনুসারে এই রাত দোয়া কবুল, ক্ষমা প্রার্থনা সহ আল্লাহ'র কাছে চাওয়ার রাত। যথা:
عليه وسلم : إذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا نهارها فإن الله ينـزل فيها لغروب الشمس إلى سماء الدنيا فيقول : ألا من مستغفر فأغفر له ألا من مسترزق فأرزق له ألا من مبتلى فأعافيه ألا كذا ألا كذا حتى يطلع الفجر. (رواه ابن ماجه، والبيهقي في شعب الإيمان. وهذا حديث ضعيف لأن في سنده ابن أبي سبرة وهو معروف بوضع الحديث عند المحدثين. المرجع : تحفة الأحوذي بشرح جامع الترمذي وقال ناصر الدين الألباني في هذا الحديث: إنه واه جداً)
অর্থ : আলী ইবনে আবী তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাত জেগে সালাত আদায় করবে আর দিবসে সিয়াম পালন করবে। কেননা আল্লাহ তা’আলা সূর্যাস্তের পর দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন : আছে কি কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোন রিয্ক প্রার্থনাকারী আমি রিয্ক দান করব। আছে কি কোন বিপদে নিপতিত ব্যক্তি আমি তাকে সুস্থ্যতা দান করব। এভাবে ফজর পর্যন্ত বলা হয়ে থাকে। (ইবনে মাজাহ ও বাইহাকী)
আবূ হুরাইরা বর্ণিত বুখারী ও মুসলিমের হাদীসের বক্তব্য হল আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ অংশে দুনিয়ার আকাশে আসেন। আর প্রতি রাতের মধ্যে শাবান মাসের পনের তারিখের রাতও অন্তর্ভুক্ত। অতএব এ হাদীস মতে অন্যান্য রাতের মত শাবান মাসের পনের তারিখের রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ পৃথিবীর আকাশে আসেন।
শবে বরাত কেন পালন করা হয়, ইতিহাস ও হাদিস
শবে বরাত আসলেই অনেক মুসলমানের মনে শবে বরাত কেন পালন করা হয় সেই প্রশ্ন জাগে। শবে বরাত পালন করার পিছনে রয়েছে ইতিহাসও ইসলামিক হাদিস। অন্যদিকে শবে বরাত নিয়ে অনেক ধরনের মত রয়েছে যা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়ে থাকে। আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে শবে বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী। আজকের পোস্টে আমরা ইসলামিক হাদিসের আলোকে তুলে ধরবো শবে …
ধর্মশবে বরাত
শবে বরাত কেন পালন করা হয়, ইতিহাস ও হাদিস
নাজনীন নিশাত Send an email
March 7, 20230 5 minutes read
শবে বরাত আসলেই অনেক মুসলমানের মনে শবে বরাত কেন পালন করা হয় সেই প্রশ্ন জাগে। শবে বরাত পালন করার পিছনে রয়েছে ইতিহাসও ইসলামিক হাদিস। অন্যদিকে শবে বরাত নিয়ে অনেক ধরনের মত রয়েছে যা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়ে থাকে।
আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে শবে বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী। আজকের পোস্টে আমরা ইসলামিক হাদিসের আলোকে তুলে ধরবো শবে বরাত কেন পালন করা হয়। আরো বিস্তারিত আলোচনা করব শবে বরাত শব্দের অর্থ কি।
Contents
1 শবে বরাত শব্দের অর্থ কি
2 শবে বরাত কেন পালন করা হয়
3 শবে বরাতের ইতিহাস
4 শবে বরাত সম্পর্কিত হাদিস
5 শবে বরাত পালন করার নিয়ম
শবে বরাত শব্দের অর্থ কি
বর্তমানে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন স্কলার এর মাঝে শবে বরাত নিয়ে বিভিন্ন দ্বিমত রয়েছে। কিন্তু আবার অনেকেই আছে যারা শবে বরাতকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে বিভিন্ন নফল ইবাদত পালন করে থাকে। কোরআন হাদিসের আলোকে সরাসরি কোথাও শবে বরাতের কথা উল্লেখ নেই তবে লাইলাতুল বরাত নিয়ে কিছু শব্দ পাওয়া গিয়েছে।
শবে বরাত শব্দের বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় সৌভাগ্যের রাত। হরতাল শব্দটি ফারসি শব্দ থেকে এসেছে। ফারসি ভাষায় শবে কথাটির অর্থ হল রাত বা রজনী। অন্যদিকে বরাত শব্দটি আরবি শব্দ থেকে এসেছে।
কুরআন মাজীদে সূরাতে বারায়াত এর উল্লেখ পাওয়া যায় যাকে সূরা তাওবা নামেও জিকির করা হয়।
بَرَاءَةٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ (التوبة: ১) অর্থ হল : আল্লা ও তার রাসূলের পক্ষ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা। সূরা তাওবা ০১) এখানে বারায়াত শব্দের অর্থ হল সম্পর্ক ছিন্ন করা।
Related Articles
শবে বরাত কত তারিখে 2023 | শবে বরাত কবে ২০২৩ – প্রকাশ করলো ধর্ম মন্ত্রণালয়
March 7, 2023
শবে বরাতের নামাজ কবে ২০২৩ – দেখে নিন শবে বরাতের নামাজ কত তারিখ
March 7, 2023
১০০+ শবে বরাতের শুভেচ্ছা, স্ট্যাটাস, উক্তি, পোস্ট, ক্যাপশন ও বাণী
March 7, 2023
শবে বরাত ২০২৩ সৌদি আরব – জেনে নিন সৌদি আরবে শবে বরাত কবে
March 7, 2023
আজকে কি শবে বরাত – শবে বরাত কত তারিখ ২০২৩
March 7, 2023
শবে বরাতের শুভেচ্ছা ছবি, পিকচার, ফটো ও পিক ২০২৩
March 7, 2023
“বারায়াত” শব্দটি আল কুরআনে রয়েছে যেমন- أَكُفَّارُكُمْ خَيْرٌ مِنْ أُولَئِكُمْ أَمْ لَكُمْ بَرَاءَةٌ فِي الزُّبُرِ . (سورة القمر ৪৩) অর্থ হল : তোমাদের মধ্যেকার কাফিরবা কি তাদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ ? না কি তোমাদের মুক্তির সনদ রয়েছে কিতাব সমূহে ?
সূরা কামার, ৩৪) আবার “বারায়াত” শব্দটিকে যদি ফার্সি শব্দ ধরা হয় তাহলে ফার্সি শব্দ ভাণ্ডারে বারায়াত শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় সৌভাগ্য। সুতরাং আমরা যদি একসাথে “শবে বরাত” শব্দটির অর্থ খুঁজি
এবং “বরাত” শব্দটিকে যদি ফার্সি শব্দ ধরে বাংলাতে মানে খোঁজা হয় তাহলে শবে বরাত শব্দ দুটির অনেক গুলো অর্থ দাঁড়াবে যেমন- “মুক্তির রজনী” বা “সম্পর্ক ছিন্ন করার রজনী”, অথবা “সৌভাগ্যের রাত। “
আবার আপনি যদি “শবে বরাত” শব্দটির আরবি অর্থে মানে খুঁজতে যান তাহলে শবে বরাত এর অর্থ দাঁড়ায় “লাইলাতুল বারায়াত।” কিন্তু যারা আরবি এবং ফার্সি ভাষার চর্চা করেন তারা ভালোভাবেই জানেন।
আরও জানুনঃ শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া | শবে বরাতের রোজা কয়টি শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাতশবে বরাত কত তারিখে 2023 | শবে বরাত কবে ২০২৩ – প্রকাশ করলো ধর্ম মন্ত্রণালয়শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্ব [ ৫ বিশেষ আমল জানুন ]শবে বরাতের নামাজের নিয়ত বাংলা ও আরবি | লাইলাতুল বরাত ২০২৩শবে বরাত কেন পালন করা হয়
সকল মুসলমান শবে বরাত কেন পালন করে সে সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। প্রতিবছর হিজরী ক্যালেন্ডার এর শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতে শবে বরাত পালন করা হয়। এই বছর শবে বরাত পালন করা হবে ০৭ মার্চ রোজ মঙ্গলবার। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার শবে বরাত হিসেবে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে ০৮ মার্চ রোজ বুধবার।
সমাজে অনেক বিষয় প্রচলিত আছে যে মানুষ রাত্রে জেগে ইবাদত এর মাধ্যমে তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের পাপ মার্জনা করার জন্য প্রার্থনা করে থাকে। অন্যদিকে নিজেদের সামনের সময় যাতে ভালো যায় তার জন্য মানুষ আল্লাহর কাছে দোয়া ও মাগফেরাত করতে থাকে।
অন্যদিকে অনেকেই বলে থাকে শবেবরাত হচ্ছে এমন একটি রাত্রে যে রাত্রে মাধ্যমে আগামী এক বছরের জন্য নিজের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক এসব তথ্যের কোন ভিত্তি নেই। কারণ মানুষের ভাগ্যে কি হবে সেটা আল্লাহ জন্মের আগেই লিখে দিয়েছেন।
তবে পবিত্র রমজান কে ভাগ্য নির্ধারণের মাস বলা যেতে পারে। তাই শবে বরাতে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ভালো আলেম থেকে জেনে তারপর আমল করবেন।
শবে বরাতের ইতিহাস
এখানে আমরা কিছু শবে বরাত সম্পর্কিত তথ্য ভাণ্ডার উল্লেখ করেছি। তবে যে কোনো তথ্যই হোক ভালো ভাবে যাচাই-বাছাই করে তারপর আমল করবেন।
শবে বরাত উপলক্ষে রাসুলে আকরাম (সা:) হাদিস অনুযায়ী দুটি জিনিস করার জন্যে বলা হয়েছে – ০১) রাত জেগে আল্লার কাছে ইবাদত করা। যেমন- নফল নামাজ পড়া।
কুরান তিলাওয়াত করা, তাসবিহ জপ করা, দোয়া-দুরুদ, তৌবা-ইস্তেগর ইত্যাদি। ০২) রোজা রাখা, হজরত মহম্মদ (সা:) গোটা শাবান মাস রোজা রাখতেন, তাই বান্দারা যদি পুরো শাবান মাস রোজা রাখতে পারলে অতি উত্তম।
শবে বরাতের কি হয়েছিল ? এই ধরণের প্রশ্ন অনেকের মনে ঘোর পাক খায়। শবে বরাতের রাত্রে ইবাদত করার পিছনে ফজিলত হাদিস অনুযায়ী শবে বরাতের রাতটির তাৎপর্য হল-
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?