if you want to remove an article from website contact us from top.

    শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ পান।

    (গ) শবে বরাত বিষয়ক সহীহ, যয়ীফ ও জাল হাদীস

    (গ) শবে বরাত বিষয়ক সহীহ, যয়ীফ ও জাল হাদীস | হাদীসের নামে জালিয়াতি | ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)

    ‘মধ্য শাবানের রজনী’ বা ‘শবে বারাত’ বিষয়ক সকল সহীহ, যয়ীফ ও জাল হাদীস সনদ-সহ বিস্তারিত আলোচনা করেছি ‘‘কুরআন-সুন্নাহর আলোকে শবে বরাত: ফযীলত ও আমল’’ নামক গ্রন্থে। এখানে আমি এ বিষয়ক জাল হাদীসগুলো আলোচনা করতে চাই। প্রসঙ্গত এ বিষয়ক সহীহ ও যয়ীফ হাদীসগুলোর বিষয়েও কিছু কথা আসবে।

    ১. মধ্য শাবানের রাত্রির বিশেষ মাগফিরাত

    এ বিষয়টি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে:

    إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ

    ‘‘মহান আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দৃকপাত করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।’’

    এ অর্থের হাদীস কাছাকাছি শব্দে ৮ জন সাহাবী: আবূ মূসা আশআরী, আউফ ইবনু মালিক, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর, মুয়ায ইবনু জাবাল, আবু সা’লাবা আল-খুশানী, আবূ হুরাইরা, আয়েশা ও আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে।[1] এ সকল হাদীসের সনদ বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা উপর্যুক্ত গ্রন্থে করেছি। এগুলোর মধ্যে কিছু সনদ দুর্বল ও কিছু সনদ ‘হাসান’ পর্যায়ের। সামগ্রিক বিচারে হাদীসটি সহীহ। শাইখ আলবানী বলেন, ‘‘হাদীসটি সহীহ। তা অনেক সাহাবী থেকে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে, যা একটি অন্যটিকে শক্তিশালী হতে সহায়তা করে।...[2]

    এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, এ রাত্রিটি একটি বরকতময় রাত এবং এ রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন। কিন্তু এ ক্ষমা অর্জনের জন্য শিরক ও বিদ্বেষ বর্জন ব্যতীত অন্য কোনো আমল করার প্রয়োজন আছে কি না তা এই হাদীসে উল্লেখ নেই।

    ২. মধ্য শাবানের রাত্রিতে ভাগ্য লিখন

    কিছু কিছু হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ রাত্রিতে ভাগ্য অনুলিপি করা হয় বা পরবর্তী বছরের জন্য হায়াত-মউত ও রিযক ইত্যাদির অনুলিপি করা হয়। হাদীসগুলোর সনদ বিস্তারিত আলোচনা করেছি উপর্যুক্ত পুস্তকটিতে। এখানে সংক্ষেপে বলা যায় যে, এ অর্থে বর্ণিত হাদীসগুলো অত্যন্ত দুর্বল অথবা বানোয়াট। এ অর্থে কোনো সহীহ বা গ্রহণযোগ্য হাদীস বর্ণিত হয় নি।

    এখানে উল্লেখ্য যে, কুরআন কারীমে মহান আল্লাহ বলেন:

    إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ

    ‘‘আমি তো তা অবতীর্ণ করেছি এক মুবারক রজনীতে এবং আমি তো সতর্ককারী। এ রজনীতে প্রত্যক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।’’[3]

    এ বাণীর ব্যাখ্যায় তাবিয়ী ইকরিমাহ, বলেন, এখানে ‘মুবারক রজনী’ বলতে ‘মধ্য শাবানের রাতকে’ বুঝানো হয়েছে। ইকরিমাহ বলেন, এ রাতে গোটা বছরের সকল বিষয়ে ফয়সালা করা হয়।[4]

    মুফাস্সিরগণ ইকরিমার এ মত গ্রহণ করেন নি। ইমাম তাবারী বিভিন্ন সনদে ইকরিমার এ ব্যাখ্যা উদ্ধৃত করার পরে তার প্রতিবাদ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ইকরিমার এ মত ভিত্তিহীন। তিনি বলেন যে, সঠিক মত হলো, এখানে ‘মুবারক রজনী’ বলতে ‘লাইলাতুল কদর’-কে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ যে রাত্রিতে কুরআন অবতীর্ণ করেছেন সে রাত্রিকে এক স্থানে লাইলাতুল কদর: ‘তাকদীরের রাত’ বা ‘মর্যাদার রাত’ বলে অভিহিত করেছেন[5]। অন্যত্র এ রাত্রিকেই ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ বা ‘বরকতময় রজনী’ বলে অভিহিত করেছেন। এবং এ রাত্রিটি নিঃসন্দেহে রামাদান মাসের মধ্যে; কারণ অন্যত্র আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, তিনি রামাদান মাসে কুরআন নাযিল করেছেন।[6] এথেকে প্রমাণিত হয় যে, মুবারক রজনী রামাদান মাসে, শাবান মাসে নয়।[7]

    পরবর্তী মুফাস্সিরগণ ইমাম তাবারীর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তাঁরা বলেছেন যে, ‘মুবারক রজনী’ বলতে এখানে ‘মহিমান্বিত রজনী’ বা ‘লাইলাতুল কদর’ বুঝানো হয়েছে। তাঁদের মতে ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ এবং ‘লাইলাতুল কদর’ একই রাতের দুটি উপাধি। দুটি কারণে মুফাস্সিরগণ ইকরিমার তাফসীরকে বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছেন:

    (ক) ইকরিমার মতটি কুরআনের সুস্পষ্ট বাণীর সাথে সাংঘর্ষিক। কুরআনে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ রামাদান মাসে কুরআন নাযিল করেছেন। অন্যত্র বলেছেন যে, একটি মুবারক রাত্রিতে ও একটি মহিমান্বিত রাত্রিতে তিনি কুরআন নাযিল করেছেন। এ সকল আয়াতের সমন্বিত সুস্পষ্ট অর্থ হলো, আল্লাহ রামাদান মাসের এক রাত্রিতে কুরআন নাযিল করেছেন এবং সে রাতটি বরকতময় ও মহিমান্বিত। মুবারক রজনীকে শবে বরাত বলে দাবী করলে এ আয়াতগুলোর স্পষ্ট অর্থ বিভিন্ন অপব্যাখ্যার মাধ্যমে বাতিল করতে হয়।

    (খ) বিভিন্ন সাহাবী ও তাবিয়ী থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা ‘মুবারক রজনী’-র ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, এ রাতটি হলো ‘লাইলাতুল কদর’ বা ‘মহিমান্বিত রজনী’। সাহাবীগণের মধ্য থেকে ইবনু আববাস (রা) ও ইবনু উমার (রা) থেকে অনুরূপ ব্যাখ্যা বর্ণিত হয়েছে। তাবিয়ীগণের মধ্যে থেকে আবু আব্দুর রহমান আল-সুলামী (৭৪ হি), মুজাহিদ বিন জাবর (১০২ হি), হাসান বসরী (১১০ হি), ক্বাতাদা ইবনু দি‘আমা (১১৭ হি) ও আব্দুর রহমান বিন যায়েদ বিন আসলাম মাদানী (১৮২ হি) বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁরা সকলেই বলেছেন যে, লাইলাতুম মুবারাকাহ অর্থ লাইলাতুল কদর।[8]

    ৩. মধ্য-শাবানের রাত্রিতে দোয়া-মুনাজাত

    মধ্য শাবানের রজনীর ফযীলত বিষয়ে বর্ণিত তৃতীয় প্রকারের হাদীসগুলোতে এ রাত্রিতে সাধারণভাবে দোয়া করার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এ রাতে দোয়া করা, আল্লাহর কাছে নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আকুতি জানানো এবং জীবিত ও মৃতদের পাপরাশি ক্ষমালাভের জন্য প্রার্থনার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এ অর্থে কোনো সহীহ বা গ্রহণযোগ্য হাদীস নেই। এ অর্থে বর্ণিত হাদীসগুলোর মধ্যে কিছু হাদীস দুর্বল এবং কিছু হাদীস জাল।

    ৪. অনির্ধারিত সালাত ও দোয়া

    মধ্য শাবানের রাত্রি সম্পর্কে বর্ণিত কিছু হাদীসে এ রাত্রিতে সালাত আদায় ও দোয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ সকল হাদীস এ রাত্রির সালাতের জন্য কোনো নির্ধারিত রাক‘আত, নির্ধারিত সূরা বা নির্ধারিত পদ্ধতি উল্লেখ করা হয় নি। শুধু সাধারণভাবে এ রাত্রিতে তাহাজ্জুদ আদায় ও দোয়া করার বিষয়টি এ সকল হাদীস থেকে জানা যায়। এ অর্থে বর্ণিত হাদীসগুলো প্রায় সবই বানোয়াট। দু-একটি হাদীস দুর্বল হলেও বানোয়াট নয়।

    ৫. নির্ধারিত রাক‘আত, সূরা ও পদ্ধতিতে সালাত

    শবে বরাত বিষয়ক অন্য কিছু হাদীসে এ রাত্রিতে বিশেষ পদ্ধতিতে, বিশেষ সুরা পাঠের মাধ্যমে, নির্দ্দিষ্ট সংখ্যক রাকআত সালাত আদায়ের বিশেষ ফযীলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুহাদ্দিসগণের সর্বসম্মত মত অনুযায়ী এই অর্থে বর্ণিত সকল হাদীস বানোয়াট। হিজরী চতুর্থ শতকের পরে রাসুলুলাহ (ﷺ) -এর নামে বানিয়ে এগুলো প্রচার করা হয়েছে। এখানে এ জাতীয় কয়েকটি জাল ও বানোয়াট হাদীস উল্লেখ করছি।

    ৬. ৩০০ রাক‘আত, প্রতি রাক‘আতে ৩০ বার সূরা ইখলাস

    সূত্র : www.hadithbd.com

    শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ ? শবে বরাত পালনের নিয়ম জেনে নিন

    শবে বরাত পালনের দলিল ... শবে বরাত পালন করা কি বিদআত ... শবে বরাত পালন করা যাবে কি না ... শবে বরাত পালন করা বিদআত ... শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ

    ইসলাম

    শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ ? শবে বরাত পালনের নিয়ম জেনে নিন

    04/03/2023 / By Shaikh Mainul Islam

    1 Minute read

    প্রিয় পাঠক, স্বাগত শবে বরাত সম্পর্কিত আরও একটি পোষ্টে। আসন্ন শবে বরাতকে সামনে রেখে আপনারা অনেকেই শবে বরাত সম্পর্কে নানান বিষয়ে জানতে চান। তাই আজকে আমরা শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ এবং শবে বরাত পালনের সকল নিয়ম জানবো।

    শবে বরাত অর্থ হচ্ছে মুক্তির রাত। এই রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের গুনাহ মাফের এবং দোয়া কবুলের জন্য বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে থাকেন। শবে বরাতকে লাইলাতুল বরাতও বলা হয়।

    আজকের পোষ্টে আমরা জানবো, শবে বরাত কি কাকে বলে, শবে বরাত কেন পালন করা হয়, শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ কি না, শবে বরাত পালন করা বিদআত কখন হবে এবং শবে বরাত সম্পর্কিত সকল বিষয়ে জানার চেষ্টা করবো।

    শবে বরাত কাকে বলে । শবে বরাত কি

    আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতকে বলা হয় সবে বরাত। অর্থাৎ শাবান মাসের মধ্য রাতকে (১৪ এবং ১৫ তারিখের সম্মিলিত রাত) শবে বরাত বলে।

    শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। একে অনেকে ভাগ্য পরিবর্তনের রাতও বলে থাকেন। কারণ এ রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের করা দোয়া বিশেষ ভাবে কবুল করে থাকেন।

    এমনটা এসেছে যে, আল্লাহ পৃথিবীর আসমানে এসে তার বান্দাদের বলে, “তোমাদের কার কি দরকার, তোমরা ক্ষমা চাও, তোমরা আমার কাছে সাহায্য চাও”।

    আরও পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজের নিয়ম । শবে বরাতের ফজিলত । শবে বরাতের আমল

    মূলত আরবি রমজান মাসের পূর্ববর্তী মাস হচ্ছে শাবান মাস। শাবান মাসের মধ্য রাতে হয় শবে বরাত। শবে বরাতের ঠিক ১৫ দিন পড় শুরু হয় রোজা।

    শবে বরাত কেন পালন করা হয় ?

    শবে বরাত হচ্ছে আল্লাহর কাছে তার বান্দাদের ক্ষমা চাওয়ার রজনি বা রাত। আল্লাহর কাছে বেশী বেশী সাহায্য চাওয়ার রাত। এই রাতে আল্লাহ পৃথিবীর আসমানে নেমে আসেন। এবং বান্দাদের বলেন তোমরা যা চাবে তাই পাবে।

    এজন্য এই রাতকে ভাগ্য পরিবর্তনের রাতও বলা হয়।

    আল্লাহ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, এই রাতে আল্লাহ দুই ধরনের মানুষ ব্যতিত সবার নেক দোয়া কবুল করে নেন।

    শবে বরাতের ১৫ দিন পরে রোজা শুরু হয়। একমাস ব্যাপী এই ফরজ রোজা চলে।

    তাই শবে বরাতের রাতে আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হয় এই বলে যে,

    “হে আল্লাহ সামনে রমজান মাস। গত বছরের মতো এবছরেও সুস্থ থেকে ৩০ টি রোজা আদায় করার শক্তি দাও। রহমত করো।

    হে আল্লাহ, তুমি আমাদের হালাল রুজির ব্যবস্থা করে দাও। আমাদের চোখকে সংযত রাখো”।

    আরও পড়ুনঃ শবে বরাতের রোজা কয়টি । শবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত

    এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারার কথা যে, শবে বরাত কেন পালন করা হয়।

    শবে বরাতের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে জীবনের সকল গুনাহ মাফ চাওয়ার উদ্দেশ্যে আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়া।

    ভবিষ্যৎ এ সবকিছুর জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য চাওয়া।

    যেহেতু শবে বরাত গুনাহ মাফ এবং ভবিষ্যৎ জীবনের সবকিছু সুন্দর করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া, করুণা এবং সাহায্য চাওয়ার জন্য অন্যতম একটি রাত সেহেতু বলা যায় যে, শবে বরাত পালন করা হয় আল্লাহর কাছাকাছি আশার জন্য, আল্লাহর কাছে সকল মনের কথা বলার জন্য।

    কারণ আল্লাহ ই একমাত্র মহান সত্ত্বা যিনি চাওয়ার সাথে সাথেই সব হয়ে যায়।

    শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ কি না । শবে বরাত পালন করা বিদআত ?

    ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি যে , শবে বরাত পালন করা হয় আল্লাহর কাছে ক্ষমা, করুণা, সাহায্য চাওয়া এবং আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করার জন্য।

    কিন্তু যখন শবে বরাত পালনের কর্মকাণ্ড আল্লাহর ইবাদতের বাহিরে চলে যায়, তখন তা অবশ্যই না জায়েজ কিংবা বিদআত হয়ে যাবে।

    ইসলাম এবং নবীজি মুহাম্মদ (সা:) এর আদেশ অনুযায়ী শাবানের রাত বা শবে বরাত পালন করা জায়েজ।

    তবে আমাদের দেশে শবে বরাত উপলক্ষে অনেক খাওয়া দাওয়া বাজি পটকা এগুলো শুধু শবে বরাতেই নয় বরং কখনোই জায়েজ নাই।

    শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ কি না তা জানতে হলে আমাদের নবীজি মুহাম্মদ (সাঃ) এবং কোরআন হাদিস সম্পর্কে জানতে হবে।

    শবে বরাত উপলক্ষে নবীজি মুহাম্মদ (সাঃ) কি বলছেন কিংবা শবে বরাতে নবীজি কি করতেন এবং আমাদের কি করতে বলছেন।

    চলুন জেনে নেওয়া যাক।

    ইসলামে শবে বরাত পালনের নিয়ম । শবে বরাত সম্পর্কে নবীজি যা করতে বলছেন

    আরও সহজ ভাবে বললে, শবে বরাত পালন করা কি জায়েজ কি না যদি সঠিক উত্তর বুঝতে চান তাহলে আগে বুঝতে হবে যে,

    শবে বরাতের রাতে নবীজি তার ঘরে বসে নামাজ আদায় করছিলেন।

    তখন তিনি এত দীর্ঘ সময়ের জন্য সিজদারত রইলেন যে হজরত আয়েশা মনে করলেন নবীজি বধ হয় ইন্তেকাল করেছেন।

    এমতাবস্থায় হজরত আয়েশা নবিজির পায়ের একটি আঙ্গুল ধরে টান দিলেন। এরপর নবীজি সিজদা শেষ করে হজরত আয়েশাকে বললেন,

    “হে আয়েশা, এই রাত শাবানের রাত। এই বিশেষ রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি অধিক বেশী মনোযোগ দেন।

    ক্ষমা চাওয়া ব্যক্তিদের ক্ষমা করে দেন। তবে হুধু মাত্র হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের আগের অবস্থাতেই রেখে দেন”।

    -(শুয়াবুল ইমা, খণ্ড ৩- পৃষ্ঠাঃ ৩৮২)

    আরও পড়ুনঃ শবে বরাতের রোজা কয়টি । শবে বরাত সম্পর্কে বিস্তারিত

    হজরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, আমাদের শেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) শাবানের রাতে, অর্থাৎ শবে বরাতের রাতে মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে গিয়ে মৃতদের উদ্দেশ্যে দোয়া এবং ইস্তেগফার করতেন।

    এছাড়াও নবীজি বলেছেন,

    “শবে বরাতের রাতে এমন কোনও ব্যক্তিও যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান যার গুনাহের পরিমাণ ভেড়া- বক্রির পশমের থেকেও পরিমানে বেশী তবুও আল্লাহ তার ওই বান্দাকে ক্ষমা করে দেন”।

    সোর্সঃ  তিরমিজি ৭৩৯ থেকে।

    হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার উম্মতদের উদ্দেশ্যে বলে গিয়েছেন যে,

    “তোমরা শাবান মাসের মধ্য দিবস অর্থাৎ শবে বরাতের রাতে নফল ইবাদত করো। এবং ওই দিন নফল রোজা রাখোঃ।

    সূত্র : dainikkantha.com

    শবে বরাত একটি বিদআত, যারা বলে শবে বরাত আছে তারা মূলত যইফ ও জাল হাদিসের দিকেই মানুষকে ডাকে।

    somewhere in... blog, also called বাঁধ ভাঙার আওয়াজ, is the first and largest bangla blog community in the world. the main attraction is the phonetic keyboard that makes it too-easy to write bangla on web, even if you don't know how to type bangla. other attractions are the front page displaying all the incoming posts and the group blog service. since the simple start 16th december 2005, somewhere in... blog has grown to become the trend setter for bangla blogging.

    শবে বরাত একটি বিদআত, যারা বলে শবে বরাত আছে তারা মূলত যইফ ও জাল হাদিসের দিকেই মানুষকে ডাকে।

    শবে বরাত একটি বিদআত, যারা বলে শবে বরাত আছে তারা মূলত যইফ ও জাল হাদিসের দিকেই মানুষকে ডাকে। ০৫ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:০৬

    আলোচ্যসূচি ঃ ১। লেখকের কৈফিয়ত ২। কতিপয় মূলনীতি

    ৩। ‘শবে বরাত’ এর অর্থ

    ৪। আল-কুরআনে শবে বরাতের কোন উল্লেখ নেই

    ৫। শবে বরাত নামটি হাদীসের কোথাও উল্লেখ হয়নি

    ৬। ফিকহের কিতাবে শবে বরাত

    ৭। শবে বরাত সম্পর্কিত প্রচলিত আকীদাহ-বিশ্বাস ও ‘আমল

    ৮। শবে বরাতের সম্পর্ক শুধু ‘আমলের সাথে নয়

    ৯। শাবানের মধ্যরজনীর ফযীলত সম্পর্কিত হাদীসসমূহের পর্যালোচনা

    ১০। শাবানের মধ্যরজনীর সম্পর্কিত হাদীসসমূহ পর্যালোচনার সারকথা

    ১১। ভাগ্য লিপিবদ্ধ করা সম্পর্কিত একটি হাদীস ও উহার পর্যালোচনা

    ১২। সৌভাগ্য রজনী ধর্ম বিকৃতির শামিল

    ১৩। শবে বরাত সম্পর্কে উলামায়ে কিরামের বক্তব্য

    ১৪। শবে বরাত সম্পর্কে মুসলিম উম্মাহর অবস্থান

    ১৫। শবে বরাত সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার দায়িত্ব উলামায়ে কিরামের

    ১৬। একটি বিভ্রান্তির নিরসন

    ১৭। বিদ‘আত সম্পর্কে কিছু কথা

    ১৮। বিদ‘আতের কুফল

    ১৯। সন্দেহজনক নফল ‘আমল থেকে দূরে থাকা উত্তম

    ২০। সর্বশেষ আহ্বান ২১। প্রমাণপঞ্জী লেখকের কৈফিয়ত

    সকল প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি পরিপূর্ণ দ্বীন হিসাবে আমাদেরকে ইসলাম দান করেছেন, যে দ্বীনে মানুষের পক্ষ থেকে কোন সংযোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন হয় না। সালাত ও সালাম তাঁরই রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি, যিনি আল্লাহর দ্বীনের রিসালাতের দায়িত্ব পূর্ণাঙ্গভাবে আদায় করেছেন, কোথাও কোন কার্পণ্য করেননি। দ্বীন হিসাবে যা কিছু এসেছে তিনি তা উম্মতের কাছে পৌছে দিয়েছেন ও নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে গেছেন। তার সাহাবায়ে কিরামের প্রতি আল্লাহর রাহমাত বর্ষিত হোক, যারা ছিলেন উম্মতে মুহাম্মাদীর আদর্শ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ পালনে সকলের চেয়ে অগ্রগামী।

    শবে বরাতের মত একটি বিষয় নিয়ে কিছু লেখার কি প্রয়োজন ছিল? আমি এর কৈফিয়ত স্বরূপ কিছু কথা না বলে পারছিনা।

    (এক) গত ৪/১২/১৯৯৮ ইংরেজী তারিখে আমি গাজীপুরের একটি মাসজিদে জুমু‘আর খুতবাহ ও আলোচনায় শবে বরাত সম্পর্কে কিছু কথা বলেছিলাম। আলোচনা শেষে উপস্থিত মুসল্লীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অনেকে বলেছেন ঃ “শবে বরাত সম্পর্কে এমন স্পষ্ট কথা আগে কোথাও শুনিনি।” আবার অনেকে “যতসব নুতন নুতন মাসালা” আখ্যায়িত করে আমার আলোচনাকে প্রত্যাখ্যান করলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন, লেখক ও গবেষক আবুল বাশার মুহাম্মাদ ইকবাল (রহঃ)। তিনি আমাকে বললেন ঃ আপনার এ বক্তব্যটি একটি প্রবন্ধ আকারে লিখে ফেলুন। তিনি আমাকে বার বার অনুরোধ করছিলেন, আর আমি লিখব লিখব বলে ওয়াদা করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এর পরের বছর যখন ১৫ শাবান এলো তখন তিনি আবারো বললেন ঃ “আপনাকে এ বিষয়ে লেখার জন্য বলেছিলাম, আপনি কিন্তু এখনো লিখেননি। আগামী দশ দিনের মধ্যে লেখা জমা দিবেন। আমরা আমাদের মাসিক পত্রিকার শাবান সংখ্যায় আপনার শবে বরাত সম্পর্কিত লেখাটি প্রকাশ করতে চাই।” কিন্তু আমি তখনো তার অনুরোধ রক্ষা করতে পারিনি। তিনি প্রায়ই আক্ষেপ করে বলতেন ঃ “আপনি লিখলেন না!” কয়েক মাস পর তিনি ইন্তেকাল করেন। তার ইন্তেকালের পর থেকে আমি নিজেকে অপরাধী মনে করতে থাকি। তার জীবদ্দশায় তার একটি ইচ্ছা আমি পূরণ করতে পারিনি। এর প্রায়শ্চিত্ত করার অনুভূতি আমাকে তাড়া করতে থাকে।

    (দুই) প্রতি বছর যখন ১৫ শাবান আসে তখন দেখি আলেম-উলামাগণ, ওয়াজীনে কিরাম, আইয়েম্মায়ে মাসাজিদ বিভিন্ন মাসজিদে, পত্র-পত্রিকায়, রেডিও

    টিভিতে শবে বরাত সম্পর্কে লাগামহীন এবং মনগড়া আলোচনা করেন, যা শুনে একজন সাধারণ মানুষ ধারণা করে নেয় যে, শবে বরাত ইসলামের মূল পর্বগুলিার একটি। তাই তারা অত্যধিক গুরুত্ব দিয়ে তা পালন করেন। এ অবস্থা দেখে অত্যন্ত দুঃখ লাগে, ব্যথা পাই। সংকল্প করি দু একদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে লিখতে হবে এবং লিখব। কিন্তু শবে বরাতের ডামাডোল যখন শেষ হয়ে যায় তখন সংকল্পে ভাটা পড়ে। মনে করি আবার এক বছর পর ১৫ শাবান আসবে, অনেক সময় হাতে আছে। আর এ রকম অলসতা করতে গিয়ে চলে গেছে ছয় ছয়টি বছর। আমার মনে হল অনেক দেরী হয়ে গেছে, আরও দেরী করা অন্যায় হবে।

    (তিন) যখন ১৫ শাবান সমাগত হয় তখন সাধারণ মানুষ ও অনেক দা’য়ী ইলাল্লাহ, আলেম-উলামাগণ এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেন, জানতে চান। তাদের প্রশ্নের ভাষা এ রকম ঃ “অনেকে বলেন শবে বরাত বলতে কিছু নেই, এ সম্পর্কে কোন সহীহ হাদীস নেই। আবার অনেকে বলেন শবে বরাত, উহার ফাযীলাত ও ‘আমল রয়েছে, আছে তার বিশুদ্ধ প্রমাণ। আসলে বিষয়টির ব্যাপারে সঠিক অবস্থান কি হওয়া উচিত?” তাদের এ প্রশ্নের পূর্ণ জওয়াব দেয়া যেমন যরুরী তেমনি কঠিন। আর কিছু না বলে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এড়িয়ে গেলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তাই এ ব্যাপারে আমি যে সিদ্ধান্তে পৌছেছি তা না লিখে কোন উপায় ছিল না।

    এ বিষয়ে লিখতে গিয়ে আমি যে বড় ধরনের কোন গবেষণা করেছি তা কিন্তু দাবী করছি না। শবে বরাতের পক্ষে-বিপক্ষে লিখিত বিভিন্ন পুস্তিকাসহ অল্প কয়েকটি কিতাবের সাহায্য নিয়েছি মাত্র। এ বিষয়ে লেখার শুরুতে আমি একটি বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম যে, কোন শ্রেণীর লোকজনকে সম্বোধন করে লিখব। সাধারণ লোকদের না আলেম সমাজকে? অবশেষে উভয় প্রকারের লোকদের সম্বোধন করার চেষ্টা করেছি। এ কারণে যদি আমি বিষয়টিকে স্পষ্ট করে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হই তাহলে এটা আমার অযোগ্যতারই প্রমাণ।

    (চার) বিদ‘আত সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঃ

    শুরু থেকে আমি একজন কওমী মাদ্রাসার ছাত্র। কওমী মাদ্রাসায় পড়–য়া মানুষেরা ঐতিহ্যগতভাবেই অন্যের তুলনায় বিদ‘আত সম্পর্কে বেশী সচেতন হয়ে থাকে। আমি আমার আসাতিজায়ে কিরাম থেকে বিদ‘আত এর বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার ছবক লাভ করি। বিশেষ করে বাংলাদেশের বৃহত্তম ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র আল-জামেয়াতুল আহলিয়্যা দারুল উলূম হাটহাজারী চট্রগ্রামে যখন ইংরেজী ১৯৯২ সনে দাওরায়ে হাদীস জামাতে পড়ছিলাম। তখন আমার মুহসিন ও মুখলিস উস্তাদগণের কাছ থেকে বিদ‘আত ও উহার মূল নীতি সম্পর্কে যথেষ্ট ইস্তেফাদা অর্জন করেছিলাম। তারা ছিলেন এ দেশে প্রচলিত র্শিক ও বিদ‘আতের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠ। তবে তারা যে বিপদ আপদ দূর করার জন্য কিংবা বরকত লাভের উদ্দেশে কুরআন খতম ও খতমে বুখারীর অনুষ্ঠান করতেন, খতমে ইউনূস ও খতমে খাজেগান করতেন, তাবীজ-কবচ ব্যবহার করতে লোকজনকে উৎসাহ দিতেন, সেই কাজগুলো কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কিনা এ প্রশ্ন আমার মনে থেকেই যেত। উস্তাতগণের সামনে এ সকল প্রশ্ন করাকে ‘না জানি বেয়াদবী হয়ে যায়’ এমন একটা অনুভূতির কারণে চূপ হয়ে যেতাম। আবার কখনো কোন উস্তাতগণের সাথে একটু ঘনিষ্ট হলেই সওয়াল করে বসতাম। অনেকে জবাব দেয়া থেকে এড়িয়ে যেতেন। আবার অনেকে সাধ্যমত জবাব দিতেন। কিন্তু তাতে পরিতৃপ্ত হওয়া যেত না। আর এভাবে দাওরায়ে হাদীস শেষ করলাম।

    সূত্র : m.somewhereinblog.net

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 25 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন