if you want to remove an article from website contact us from top.

    শবে বরাত রোজার ফজিলত

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে শবে বরাত রোজার ফজিলত পান।

    শবে বরাত: মনগড়া মতে নয়, সুন্নাহর আলোকে

    শবে বরাত: মনগড়া মতে নয়, সুন্নাহর আলোকে

    Published by: BanglaTribune

    ago

    রমজানের আগের মাস শাবান। এ মাসের পনেরতম রাত, অর্থাৎ চৌদ্দ শাবান দিবাগত রাতটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ—ইবাদত ও রোজা দুটি কারণেই। তাই রমজানের আলোচনার সঙ্গে এই পবিত্র রজনীর আলোচনা জড়িয়ে আছে। হাদিসে এ রাতকে নির্দেশ করা হয়েছে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বলে। আমাদের সাধারণ পরিভাষায় বলি- ‘শবে বরাত’। ক্ষমা ও মাগফিরাতের জন্য এবং গুনাহের কালিমা থেকে পরিচ্ছন্ন হওয়ার জন্য এ রাত বিশেষ মহিমাপূর্ণ।

    বিশুদ্ধ হাদিসে শবে বরাতএ রাতের ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তবে রাতটি উদযাপনের বিশেষ কোনও পন্থা নির্ধারণ করা কিংবা সম্মিলিত উৎসব করা অনুচিত। বরং যথাসাধ্য ইবাদতে মশগুল থাকা কাম্য। এই রাতকে অন্যসব রাতের মতোই ভাবা এবং ফজিলত সংক্রান্ত হাদিসগুলোকে ‘মওজু’ (বানোয়াট) বা ‘জয়িফ’ (দুর্বল) আখ্যা দেওয়া যেমন ভুল, তেমনি একে শবে কদরের মতো ফজিলতপূর্ণ ভাবাও ভিত্তিহীন। হাদিসে রয়েছে—মুয়ায ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, নবীজি (স.) ইরশাদ করেছেন: আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং শিরককারী ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া অন্য সবাইকে ক্ষমা করেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান (১৩/৪৮১), হাদিস ৫৬৬৫)

    ইমাম মুনযিরি, ইবনে রজব, নুরুদ্দিন হাইসামি, কাসতাল্লানি, যুরকানি প্রমুখ হাদিস বিশারদ এ হাদিসটিকে আমলযোগ্য বলে রায় দিয়েছেন। (মাসিক আল-কাউসার, সেপ্টেম্বর ’০৫ সংখ্যা।)

    অন্য হাদিসে আয়েশা (রা.) বলেন,  এক রাতে আমি নবীজিকে (বিছানায়) না পেয়ে খোঁজে বের হলাম। দেখি তিনি জান্নাতুল বাকিতে মাথা আকাশের দিকে তুলে আছেন। আমাকে দেখে তিনি বললেন, আয়েশা, তুমি কী ভেবেছো আল্লাহ ও তার রাসুল তোমার প্রতি অবিচার করবেন? আয়েশা (রা.) বলেন, তা নয়, আমি ভাবলাম, আপনি হয়তো অন্য কোনও স্ত্রীর কাছে গেছেন। নবীজি বললেন, আল্লাহ তাআলা মধ্য-শাবানের রাতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চেয়ে অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ মাফ করেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৩৮৯)।

    শবে বরাতে রোজা রাখা

    অনেকেই ভাবেন, শবে বরাতের রোজা মোট তিনটি— ১৪, ১৫ ও ১৬ শাবান। এটা ঠিক নয়। হাদিসে রয়েছে- এই রাতে ইবাদত করো এবং দিনে রোজা রাখো। (ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৩৮৮)।

    সুতরাং রোজা কেবল একটি এবং তিনটি বিশুদ্ধ হাদিসে প্রমাণিত নয়। রসুলের (সা.) সুন্নাত হলো, শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা। আয়েশা (রা.) বলেন, রমজান মাস ব্যতীত পূর্ণ কোনও মাস নবীজিকে আমি রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবানের তুলনায় ভিন্ন কোনও মাসে এত রোজা পালন করতেও দেখিনি। (বুখারি, হাদিস ১৯৬৯)।

    তাই শেষের দুই দিন ছাড়া শাবানের মাসজুড়ে রোজা রাখা মুস্তাহাব। তা ছাড়া প্রতি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ রোজা রাখাও প্রমাণিত। সেভাবে তিনদিন রাখলে সমস্যা নেই। (ইসলাহি খুতবাত, মাওলানা তাকি উসমানি)।

    ‘কেন শাবান মাসে নবীজি অধিক রোজা রাখতেন’—এই প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তরে রসুল (সা.) বলেন- রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী মাস হওয়ার কারণে মানুষ এ মাসের ব্যপারে উদাসীন থাকে। অথচ এটা এমন মাস, যে মাসে রবের নিকট আমল তুলে ধরা হয়। আমি চাই যে, রোজা পালনরত অবস্থায় আমার আমল তার নিকট পেশ করা হোক। (ফাতহুল বারি (৪/২৫৩); নাসায়ি, হাদিস ২৩৫৭)।

    শবে বরাতে ইবাদত

    শবে বরাতে রাত জেগে ইবাদত করা মুস্তাহাব। [(আব্দুল হাই লক্ষ্মৌভি,আল-আসারুল মারফুআ ফিল আখবারিল মাওজুআ (৮০-৮৫)]।

    আলি ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন- পনের শাবানের রাতটি তোমরা ইবাদতে কাটাও এবং দিনে রোজা রাখো। কেননা, এ রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহতায়ালা প্রথম আকাশে আসেন এবং বলেন- কোনও ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি?—আমি ক্ষমা করবো। কোনও রিজিকপ্রার্থী আছে কি?—আমি রিজিক দেবো। এভাবে সুবহেসাদিক পর্যন্ত আল্লাহ মানুষের প্রয়োজনের কথা বলে বলে তাদের ডাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৩৮৪)।

    তাই যত রাকাত ইচ্ছা নামাজ পড়া যেতে পারে—বিশেষ কোনও নামাজ নেই এবং বিশেষ কোনও পদ্ধতিও নেই। যেসব বর্ণনা ‘বিশেষ এবাদতের কথা পাওয়া যায়—তা সঠিক নয়। (শাওকানি, আল ফাওয়াইদুল মাজমুআ (৫১)।

    বাইহাকি, শুআবুল ঈমান (৩/৩৮২-৩৮৩) হাদিসে আছে, আয়েশা (রা.) বলেন- একবার রাসুল (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদাহ করেন যে, ধারণা হলো তিনি মারা গেছেন। আমি ওঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম—আঙুলটি নড়লো। সুতরাং তিনি সেজদাহ থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে বললেন- তুমি কি জানো এটা কোন রাত? এ হলো মধ্য-শাবানের রাত। আল্লাহতায়ালা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনোযোগ দেন, প্রার্থনাকারীকে ক্ষমা করেন, অনুগ্রহপ্রার্থীকে অনুগ্রহ করেন এবং বিদ্বেষ পোষণকারীকে ছেড়ে দেন আপন অবস্থায়।

    বোঝা যায়, এ-রাতে দীর্ঘ নফল নামাজ পড়া—যাতে সেজদাহ দীর্ঘ হবে—শরিয়তের দৃষ্টিতে কাম্য। এটাও অনুমিত হয়, এ-রাতের নফল আমল সম্মিলিত নয়, ব্যক্তিগত। এভাবে নফল আমল উপলক্ষে দলে দলে মসজিদে সমবেত হওয়ার প্রমাণ হাদিসে নেই, সাহাবিদের যুগেও এর রেওয়াজ ছিল না। (ইক্তিযাউস সিরাতিল মুসতাকিম (২/৬৩১-৬৪১)।

    শবে বরাত সম্পর্কে মনীষীদের বক্তব্য

    সালফে সালেহিন থেকে নিয়ে পূর্বসূরি বিভিন্ন বুজুর্গ আলেম শবে বরাতের আমলে উৎসাহ দিয়েছেন এবং বিভ্রান্তি থেকে বেঁচে থাকতে বলেছেন।

    ইবনে তাইমিয়া (৭২৮ হি.):  তিনি বলেন, পনেরো শাবানের রাতের ফজিলত সম্পর্কে একাধিক ‘মারফু’ হাদিস ও ‘আসারে সাহাবা’ বর্ণিত রয়েছে। সালফে সালেহিনের অনেকেই তাই নফল এবাদতে যত্নবান হতেন বলে নির্ভরযোগ্য গ্রন্থাবলিতে রয়েছে। অবশ্য এই দিন বা রাতে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা এবং সাজসজ্জা করা বিদআত ও ভিত্তিহীন। (ইকতিযাউস সিরাতিল মুস্তাকিম (২/৬৩১-৬৩২)।ইমাম ইবনে রজব রহ. (৭৯৫ হি.): তিনি লিখেছেন, ‘শাবান মাসের পনেরো তারিখে রোজা নিষেধ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে সঠিক কথা হচ্ছে, এ রাতের ইবাদত ব্যক্তিগতভাবে করা উচিত। মসজিদে ভিড় করা বা মাহ্ফিল করা মাকরুহ। একজন মুমিন বান্দার উচিত, এ রাতে জিকির ও দোয়াও জন্য পুরোপুরি অবসর হওয়া। প্রথমে খাঁটি মনে তওবা করবে; এরপর মাগফেরাত ও ক্ষমা প্রার্থনা করবে; বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া করবে এবং নফল নামাজ পড়বে। সেসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবে, যা এ রাতের বিশেষ ফজিলত থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে। যেমন: শিরক, হত্যা, ব্যভিচার, হিংসা ইত্যাদি। (লাতায়িফুল মাআরিফ (১৫১-১৫৭)।ইবনুল হাজ্জ রহ. (৭৩৭ হি.): তিনি বলেন, এ রাত যদিও শবে কদরের মতো নয়; কিন্তু এর অনেক ফজিলত ও বরকত রয়েছে। আমাদের পূর্বসূরি পুণ্যাত্মারা এই রাতের যথেষ্ট মর্যাদা দিতেন এবং এর যথাযথ হক আদায় করতেন। কিন্তু আজ সাধারণ লোকেরা বিষয়টিকে সম্পূর্ণ উল্টো করে ফেলেছে। তারা রসম-রেওয়াজ ও কুসংস্কারের পেছনে পড়ে (মনের অজান্তেই) এর খায়ের বরকত ও কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। (আল-মাদখাল (১/২৯৯-৩১৩)।

    সূত্র : www.banginews.com

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা। শবে বরাত কত তারিখে?/শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত ও কিভাবে পড়বো?/শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কিভাবে রাখতে হয় ?/শবে বরাতের আমল ও ফজিলত

    ইসলাম ও জীবনফজিলত Trending

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত

    Rimon Follow on Twitter Send an email

    1 week agoLast Updated: March 2, 20232 24,463 3 minutes read

    শবে বরাতের নামাজ, রোজা, আমল ও ফজিলত

    4/5 - (49 votes)

    “শবে বরাত” মূলত ফার্সি শব্দ। তবে হাদিসের ভাষায় বলা হয় ‘লাইলাতু নিসফি মিন শাবান’ বা মধ্য শাবানের রজনী । তাফসিরের ভাষায় এটাকে ‘লাইলাতুস সাক’, ‘লাইলাতুর রাহমাহ’ ও ‘লাইলাতুল বারাআত’ বলা হয়।

    শবে মানে হচ্ছে রাত আর বরাত মানে হচ্ছে মুক্তি। অর্থাৎ শবে বরাত অর্থ হচ্ছে মুক্তির রাত। কারন এ রাতে আল্লাহ্‌ তার অগনিত বান্দাকে ক্ষমা করে থাকেন।

    হাদিসে এসেছে, হযরত আয়েশা (র) বলেন, রাসূল (সঃ) তাকে বলেছেন,

    এই রাতে আল্লাহ ভেড়া বকরীর পশমের সংখ্যার পরিমানের চেয়েও বেশি সংখ্যা পরিমাণ গুনাহ্গারকে ক্ষমা করে দেন। (তিরমিজি – ৭৩৯)

    আরও পড়ুন ঃ

    যেভাবে দোয়া করলে আল্লাহ্‌ অবশ্যই তা কবুল করবেন

    দোয়া কবুলের ২০ টি উত্তম সময়

    শাবান মাস আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলার নির্ধারিত ১২ মাসের একটি অন্যতম মাস। এ মাসের রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। এ মর্যাদার কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন।

    শবে বরাত কত তারিখে?

    শাবান মাসের ১৫ই রাত অর্থাৎ, ১৪ই শাবান দিবাগত রাতই হল শবে বরাত।

    শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত ও কিভাবে পড়বো?

    শবে বরাতে নির্দিষ্ট পরিমান নামাজের কথা কোনো হাদিস এবং কুরআনে উল্ল্যেখ নেই। তবে হাদিসে পাওয়া যায়, রাসূল (সঃ) বলেন,

    যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদাত করবে এবং দিনে রোজা পালন করবে। ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ট ইবাদাত হল নামাজ। সুতরাং নফল ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদাত হল নফল নামাজ। (ইবনে মাজাহ – ১৩৮৪)

    তাই দুই রাকাত করে যত খুশি নামাজ পড়তে পারেন। নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। এখন নিয়ত করবেন কিভাবে? বলবেন আমি কিবলামুখী হয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি, আল্লাহু আকবার। এইভাবে নিয়ত করলে আপনার নামাজ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে আপনি চাইলে আরবিতে এইভাবেও করতে পারেন।

    নাওয়াইতু আন্‌ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তা-আলা- রাকা’আতাই ছলা-তি লাইলাতিল বারায়াতিন্‌ নাফ্‌লি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্‌ কা’বাতিশ্‌ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।

    নামাজে   সূরাতুল ফাতিহা পড়ার পর তিন বার সূরা ইখলাস বা সূরা ওয়াকিয়াহ পড়তে হবে এমন কোন কথা হাদিসে নেই। রাসূল (সঃ) সুস্পষ্টভাবে এ ব্যাপারে কিছু বলেন নি। আপনি পবিত্র কুরআনের যেকোনো সূরাই পড়তে পারেন।

    শবে বরাতের রোজা কয়টি ও কিভাবে রাখতে হয় ?

    হাদিস শরীফে শবে বরাতের রোজার বিশেষ ফজিলত পাওয়া যায়।  রাসূল (সঃ) বলেনঃ  ১৫ শাবানের রাতে তোমরা নফল ইবাদাত করো এবং পরদিন রোজা রাখো। এই হাদিস দিয়ে শবে বরাতের একটি নফল রোজা রাখা প্রমাণিত হয়। তবে বিভিন্ন হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪, ও ১৫ তারিখে তিন দিন তিনটি রোজা রাখতেন এবং তিনি নফল রোজা রাখতে উৎসাহিত করেছেন। সে হিসেবে শাবান মাসে তিনটি রোজা রাখা যেতে পারে।

    এ বিষয়ে অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত উম্মে সালমা ও হযরত আয়েশা (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ

    শাবান মাসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) অধিকহারে রোজা রাখতেন। যেন তিনি গোটা শাবান মাসেই রোজা রাখতেন। (তিরমিজি – ১৫৫, ১৫৬, ১৫৯)

    সে হিসেবে শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা অধিক সওয়াবের কাজ।

    শবে বরাতের আমল ও ফজিলত

    শবে বরাতের আমল অনেক ফজিলতপূর্ণ। আসুন জেনে নেই শবে বরাতে কি কি আমল করা যেতে পারে। এশার নামাজের পর নির্জনে (বাসায় নফল নামাজ পড়া উত্তম) দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়তে থাকবেন। কত রাকাত পড়লেন তা মুখ্য নয় বরং কতটা মনোযোগ ও দীর্ঘ্য করলেন সেটাই মুখ্য বিষয়।

    হাদিস শরীফে আছে, হজরত  আয়েশা (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ একবার রাসূল (সঃ) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এতো দীর্ঘ্য সিজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুল নাড়া দিলাম। এরপর তিনি সিজদা থেকে উঠে নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ্য করে বললেন:

    হে আয়েশা তুমি কি আশঙ্খা হয়েছে? আমি বললাম ইয়া রাসূল (সঃ) আপনার দীর্ঘ্য সিজদা দেখে আমার আশঙ্খা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা। নবী (সঃ) বললেনঃ তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম  আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ) ভালো জানেন।

    তখন রাসূল (সঃ) বলেনঃ এটা হলো মধ্য শাবানের রাত।  এ রাতে আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন। ক্ষমা পার্থনকারীদের ক্ষমা করে দেন। অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন, আর বিদ্বেষ পোষণকারীদেরকে তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।  (শুআবুল ঈমান তৃতীয় খন্ড পৃষ্ঠা ৩৮২)

    এই হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে নামাজে অত্যন্ত মনোযুগী হতে হবে। এবং বেশি করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।  তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে আল্লাহ দুই ধরণের ব্যক্তি ছাড়া বাকিদের ক্ষমা করে দেন।  তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি শিরক করে এবং অন্ন ব্যক্তি হলো যে হিংসা করে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমরা যেন এই দুই ব্যক্তিদের মধ্যে পরে না যাই।

    হযরত আলী (র) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী করিম (সঃ) বলেছেনঃ  ১৪ই শাবান দিবাগত রাত যখন আসে তোমরা এই রাতটি ইবাদাত-বন্দেগীতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো। কেননা এই দিনে আল্লাহ সূর্যাস্তের পর প্রথম আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছো কি যাদের আমি ক্ষমা করবো? কোনো রিযিক প্রার্থী আছো কি যাদের আমি রিযিক দিবো? আছো কি কোনো বিপদগ্রস্ত যাদের  আমি উদ্ধার করবো? এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ আহ্বান করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ (হাদীসটি ইবনে মাজাহ তে বর্ণিত আছে)

    এ রাতে কাজা হয়ে যাওয়া নামায পড়তে পারেন। তবে শুধুমাত্র ফরজ ও বিতির নামাজের কাজা পড়বেন।

    শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে পারেন। যা দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হয়।

    বেশি করে তাওবা ও ইস্তেগফার করা।

    বেশি করে দুরূদশরীফ পাঠ করা।

    বেশি করে তসবিহ পাঠ করা (সুবহানাল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ , আল্লাহুআকবার)

    বেশি করে দান-সদকা করা।  গরীব-মিসকিনদের সাহায্য করা।

    ফজর নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা।

    প্রতিবছরই শবে বরাত আসে। আসে মুক্তি ও ক্ষমার বার্তা নিয়ে। আল্লাহর ভয়ে কম্পমান হৃদয়ে এ রাতে তাওবার উদ্রেক হয়। তাওবাকারীর জন্য ক্ষমার সওগাত নিয়ে আসে শবেবরাত। পাপ আক্রান্ত মন এ রাতে পরিশুদ্ধ জীবনে ফেরার তাগিদ অনুভব করে।

    সূত্র : www.hazabarolo.com

    শবেবরাতের রোজার ফজিলত

    আজ শাবান মাসের ১৩ তারিখ। আগামীকাল অর্ধ শাবানের (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) রাত মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে শবেবরাত নামে

    শবেবরাতের রোজার ফজিলত

    ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

    আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৫

    AddThis Sharing Buttons

    Share to Twitter Share to LinkedIn Share to WhatsApp Share to Messenger Share to Facebook Share to Copy Link

    আজ শাবান মাসের ১৩ তারিখ। আগামীকাল অর্ধ শাবানের (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) রাত মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে শবেবরাত নামে বিশেষভাবে পরিচিত।

    শাবানের এক তারিখ থেকে সাতাশ তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখার বিশেষ ফজিলতের কথা হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়া আইয়ামে বিজ তথা প্রতি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিস শরিফে উৎসাহিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দূর্বল সনদে বর্ণিত এক হাদিসে বিশেষভাবে পনেরো তারিখের রোজা রাখার নির্দেশনাও পাওয়া যায়।

    হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পনেরো শাবানের রাত (চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখ। -ইবনে মাজা, হাদিস- ১৩৮৪

    যেহেতু বিভিন্ন সহিহ হাদিসে শাবান মাসের রোজার সাধারণ ফজিলত এবং আইয়ামে বিজের রোজার ফজিলত উল্লেখিত হয়েছে- পাশাপাশি দূর্বল সনদে উপরোক্ত হাদিসটিও বিদ্যমান রয়েছে; তাই কেউ যদি এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে পনেরো শাবানের রোজা রাখেন- তাহলে তিনি সওয়াব পাবেন- ইনশাআল্লাহ।

    হাদিসে আছে, এ রাতে সূর্য অস্ত যাওয়ার পরই আল্লাহতায়ালা প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। মাগরিব থেকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রহমত নিয়ে বান্দাদের রহমত দান করার জন্য প্রথম আসমানে আসেন এবং প্রচুরসংখ্যক মানুষের গোনাহকে ক্ষমা করেন। হাদিসের ভাষ্যমতে এটা স্পষ্ট যে, এই রাত হচ্ছে আল্লাহর কাছে পাওয়ার রাত, চাওয়ার রাত। এই রাত হচ্ছে আল্লাহর দরবারে কাঁদার রাত। এ রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন গোনাহ মাফ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন।

    তাই যত বেশি সম্ভব ইবাদত-বন্দেগি বেশি বেশি করা। আলেমরা বলেন, শবেবরাতের মূল কাজই হলো- দিনে রোজা রাতে তাহাজ্জুদ।

    যারা অসুস্থ কিংবা দুর্বল, পুরো রাত ইবাদত করার শক্তি রাখেন না, তারা শবেবরাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে ভোররাতে উঠে যাবেন। যাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা যায়। কারণ তাহাজ্জুদের সময় দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়। ‍

    সেহরি খেয়ে ফজরের নামাজ মসজিদে এসে জামাতে আদায় করার চেষ্টা করতে হবে, কারণ হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি এশার নামাজ এবং ফজরের নামাজ মসজিদে এসে জামাতের সঙ্গে আদায় করবে, আল্লাহতায়ালা পুরো রাত ইবাদত করার সওয়াব তাকে দান করবেন। কাজেই এশা এবং ফজরের নামাজকে প্রথম তাকবিরের সঙ্গে আদায় করার চেষ্টা করতে হবে।

    আজ ঢাকায় সেহরির শেষ সময় রাত ৩টা ৪২ মিনিটে। ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৫টা ১০ মিনিটে।

    বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘন্টা, জুন ০১, ২০১৫

    এমএ/

    ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

    বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

    ইসলাম বিভাগের সর্বোচ্চ পঠিত

    শাবান মাসের আমল

    বনানী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নতুন ভবন উদ্বোধন

    সূত্র : www.banglanews24.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 26 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন