if you want to remove an article from website contact us from top.

    শবে বরাত সম্পর্কে সহিহ হাদিস

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে শবে বরাত সম্পর্কে সহিহ হাদিস পান।

    সহিহ হাদিসের আলোকে শবে বরাত

    মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম : আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যাকে ইচ্ছা, যখন ইচ্ছা, মর্তবা ও মাহাত্ম দান করেন, ফজিলত-শ্রেষ্ঠত্ব তারই হাতে।

    ভ্রমণ

    সহিহ হাদিসের আলোকে শবে বরাত

    মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম : আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যাকে ইচ্ছা, যখন ইচ্ছা, মর্তবা ও মাহাত্ম দান করেন, ফজিলত-শ্রেষ্ঠত্ব তারই হাতে। এ চিরন্তন বিধান অনুযায়ী এক ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তির ওপর, এক জনপদকে আরেক জনপদের ওপর, এক মাসকে অপর মাসের ওপর, এক দিবসকে অপর দিবসের ওপর, এক রজনীকে অন্য রজনীর ওপর তিনি শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।

    শবে বরাত : শবে বরাত বা ভাগ্য রজনী অত্যন্ত বরকতপূর্ণ। শাবান মাসের ১৪ তারিখ সূর্যাস্তের পর এ রজনী শুরু হয় এবং সুবেহ সাদিক পর্যন্ত তা বিদ্যমান থাকে।

    শবে বরাতের নামকরণ : হাদিস শরীফে এ রাতের বিশেষ কোন নাম বর্ণিত হয়নি। বরং ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান’ অর্থাৎ ‘শাবানের ১৫তম রজনী’- শব্দে উল্লেখিত হয়ে এ রাতের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। শবে বরাত ফারসি শব্দ, যা ‘শব’ এবং ‘বারাআত’ দুটি শব্দে মিলে গঠিত হয়েছে। শব শব্দের অর্থ হলো রাত এবং বারাআত শব্দের অর্থ হলো নাজাত, মুক্তি, রক্ষা, রেহাই ইত্যাদি। এ রাতে যেহেতু গোনাহ মাফ হয় এবং অসংখ্য অপরাধীর অপরাধ ক্ষমা করা হয়, সেহেতু এ রাত মুসলমানদের মাঝে ‘শবে বরাত’ বলে প্রসিদ্ধ হয়েছে।

    শবে বরাতের ফজিলত : হাদিস শরীফে এ রাতের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এর কিছু অংশ সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করা হলো।

    হাদিস শরিফে আছে, হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন, এই রাতে মহান আল্লাহ তার সকল সৃষ্টির প্রতি বিশেষভাবে মুতাওয়াজুহ হন এবং সমস্ত মাখলুককে ক্ষমা করে দেন কিন্তু মুশরিক এবং বিদ্বেষীদেরকে মাফ করেন না। (সহীহ ইবনে হিব্বান ১৩/৩৮১ হাদীস নং ৫৬৬৫, শুআবুল ঈমান ৩/৩৮২ হাদীস নং ৩৮৩৩, কিতাবুল সুন্নাহ, মাওয়ারেদুয্ যম্য়ান,  মু’জামূল কাবীর, মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৮/৬৫, আত তারগীব ওয়াত তারহীব ২/১১৮  ইত্যাদি)।

    অন্য এক হাদিসে আছে, হযরত আবু ছা’লাবাহ (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (স.) ইরশাদ করেন- শাবান মাসের এই রাতে আল্লাহ পাক স্বীয় বান্দাদের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ হয়ে মুমিনদেরকে মাফ করে দেন এবং বিদ্বেষীদেরকে স্বীয় বিদ্বেষের মধ্যে ছেড়ে দেন। অর্থাৎ তাদেরকে মাফ করেন না। যতক্ষণ না তারা স্বীয় বিদ্বেষ ত্যাগ করে দোয়া করে। (কিতাবুস সুন্নাহ, বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, দুররুল মানছুর)।

    উপরে বর্ণীত হাদিসে উল্লেখিত দুটি গোনাহসহ কোন কবিরা গোনাহ মাফ হওয়ার জন্য তওবা শর্ত। শবে বরাত যেহেতু ক্ষমার রাত তাই বেশি থেকে বেশি তওবা, এস্তেগফার, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ শরিফ পাঠ ও নিম্নে উল্লেখিত আমল একাগ্রতার সঙ্গে করা প্রয়োজন।শবে বরাতে আমল বা করণীয় :রাতে ইবাদত করা আর দিনে রোজা রাখা : হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (স.) বলেছেন, ‘শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত যখন আসে তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখ। কেননা, এ রাতে মহান আল্লাহ প্রথম আসমানে আসেন এবং বলেন, কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোন রিজিক প্রার্থী? আমি তাকে রিজিক দিব। আছে কোন অসুস্থ বা বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি? যাকে আমি সুস্থতা দান করব ও বালা মুসিবত থেকে মুক্তি দেব। এভাবে সুবেহ সাদিক পর্যন্ত মহান আল্লাহ মানুষের প্রয়োজনের কথা বলে তাদের ডাকতে থাকেন।’ (সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস ১৩৮৪)।

    রাতে কবরস্থানে যাওয়া : হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন, এক রাতে আমি মহানবী (সা.)-কে কাছে না পেয়ে তাঁর খোঁজে বের হলাম এবং জান্নাতুল বাকীতে তাঁকে পেলাম। তিনি বললেন- হে আয়েশা! তুমি কি আশঙ্কা করছ যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল তোমার প্রতি কোন অত্যাচার করবেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার এ ধারণা হয়েছিল যে, আপনি হয়তো অন্য কোন স্ত্রীর কাছে গমন করেছেন। এরপর মহানবী (স.) ইরশাদ করেন- এই রাতে মহান আল্লাহ দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বনু কালব গোত্রের লোকদের ছাগল পালের পশমের সংখ্যার চেয়েও অধিক সংখ্যক লোককে ক্ষমা করে দেন। (তিরমিযী, ইববে মাজাহ, জামেউল উসূল)।

    রাতে খুব দোয়া করা : হাদিস শরিফে আছে, হযরত ওসমান ইবনে আবিল আস (রা.) বর্ণনা করেন- রাসুলে করিম (সা.) ইরশাদ করেন, এই রাতে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করেন- আছে কি কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী? যাকে আমি ক্ষমা করে দেব। আছে কি কোন প্রার্থনাকারী ? যার মনোবাসনা আমি পূর্ণ করে দেব। (সুতরাং এই রাতে সকল প্রার্থনাকারীর মনোবাসনা পূর্ণ করা হয়। কিন্তু ব্যাভিচারি ও মুশরিকের দোয়া কবুল করা হয় না। (দূররুল মানছুর, শুআবুল ঈমান, লাতায়েফ, কুনুয)।

    শবে বরাতে বর্জনীয় বিষয় : করণীয় আমলের সঙ্গে কিছু বর্জনীয় বিষয়ও জড়িত থাকে। সেই সব বিষয় বর্জন না করলে শবে বরাতের বরকত থেকে বঞ্চিত হতে হয়। সফলতার পরিবর্তে ব্যর্থতা; রহমতের পরিবর্তে গজব, সওয়াবের পরিবর্তে আযাব নসীব হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, আমরা ওইসব বিষয়ে উদাসীন থাকি। ওই কাজ বর্জনের প্রতি যতটুকু গুরুত্ব আরোপের প্রয়োজন, ততটুকু গুরুত্ব আরোপ করা হয় না। বর্জনীয় কাজগুলো হচ্ছে- হালুয়া রুটির বিশেষ আয়োজন, আতশবাজি, পটকা ইত্যাদি ফুটানো; মসজিদ, কবরস্থান ও অন্যান্য ইমারতে আলোকসজ্জা, গোরস্থানে মেলা ও উৎসব, মসজিদ কমিটি বা মহল্লার যুবক ছেলেদের উদ্যোগে চাঁদা আদায় পূর্বক তবারক বিতরণ, ইবাদতে একাগ্রতার প্রতি নজর না দিয়ে বাহ্যিক জাঁকজমক।

    উপসংহার : শবে বরাত হলো ইবাদত বন্দেগির রাত। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা একে উৎসবের রাত বানিয়ে ফেলেছি। অনেকে শবে বরাতে কমবেশি নামাজ পড়েন। কিন্তু ফজরের নামাজ জামায়াতে পড়েন না। এর চেয়ে কঠিন আত্মপ্রবঞ্চনা আর কিছুই হতে পারে না। সারা জীবনের সকল নফল এবাদতও একটি ফরজ এবাদতের সমান হতে পারে না। তাই ফরজ ও নফলের সীমারেখা অনুধাবন করা প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত জরুরী। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে শরীয়তের সীমারেখা মেনে চলার তওফিক দান করুন। ( আমীন )লেখক: আরবি প্রভাষক, মেহেরপুর আলীয়া মাদ্রাসা।             রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জুন ২০১৪/মহাসিন আলী/শাহনেওয়াজ

    সূত্র : www.risingbd.com

    (গ) শবে বরাত বিষয়ক সহীহ, যয়ীফ ও জাল হাদীস

    (গ) শবে বরাত বিষয়ক সহীহ, যয়ীফ ও জাল হাদীস | হাদীসের নামে জালিয়াতি | ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)

    ‘মধ্য শাবানের রজনী’ বা ‘শবে বারাত’ বিষয়ক সকল সহীহ, যয়ীফ ও জাল হাদীস সনদ-সহ বিস্তারিত আলোচনা করেছি ‘‘কুরআন-সুন্নাহর আলোকে শবে বরাত: ফযীলত ও আমল’’ নামক গ্রন্থে। এখানে আমি এ বিষয়ক জাল হাদীসগুলো আলোচনা করতে চাই। প্রসঙ্গত এ বিষয়ক সহীহ ও যয়ীফ হাদীসগুলোর বিষয়েও কিছু কথা আসবে।

    ১. মধ্য শাবানের রাত্রির বিশেষ মাগফিরাত

    এ বিষয়টি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে:

    إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ

    ‘‘মহান আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দৃকপাত করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।’’

    এ অর্থের হাদীস কাছাকাছি শব্দে ৮ জন সাহাবী: আবূ মূসা আশআরী, আউফ ইবনু মালিক, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর, মুয়ায ইবনু জাবাল, আবু সা’লাবা আল-খুশানী, আবূ হুরাইরা, আয়েশা ও আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে।[1] এ সকল হাদীসের সনদ বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা উপর্যুক্ত গ্রন্থে করেছি। এগুলোর মধ্যে কিছু সনদ দুর্বল ও কিছু সনদ ‘হাসান’ পর্যায়ের। সামগ্রিক বিচারে হাদীসটি সহীহ। শাইখ আলবানী বলেন, ‘‘হাদীসটি সহীহ। তা অনেক সাহাবী থেকে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে, যা একটি অন্যটিকে শক্তিশালী হতে সহায়তা করে।...[2]

    এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, এ রাত্রিটি একটি বরকতময় রাত এবং এ রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন। কিন্তু এ ক্ষমা অর্জনের জন্য শিরক ও বিদ্বেষ বর্জন ব্যতীত অন্য কোনো আমল করার প্রয়োজন আছে কি না তা এই হাদীসে উল্লেখ নেই।

    ২. মধ্য শাবানের রাত্রিতে ভাগ্য লিখন

    কিছু কিছু হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ রাত্রিতে ভাগ্য অনুলিপি করা হয় বা পরবর্তী বছরের জন্য হায়াত-মউত ও রিযক ইত্যাদির অনুলিপি করা হয়। হাদীসগুলোর সনদ বিস্তারিত আলোচনা করেছি উপর্যুক্ত পুস্তকটিতে। এখানে সংক্ষেপে বলা যায় যে, এ অর্থে বর্ণিত হাদীসগুলো অত্যন্ত দুর্বল অথবা বানোয়াট। এ অর্থে কোনো সহীহ বা গ্রহণযোগ্য হাদীস বর্ণিত হয় নি।

    এখানে উল্লেখ্য যে, কুরআন কারীমে মহান আল্লাহ বলেন:

    إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ

    ‘‘আমি তো তা অবতীর্ণ করেছি এক মুবারক রজনীতে এবং আমি তো সতর্ককারী। এ রজনীতে প্রত্যক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।’’[3]

    এ বাণীর ব্যাখ্যায় তাবিয়ী ইকরিমাহ, বলেন, এখানে ‘মুবারক রজনী’ বলতে ‘মধ্য শাবানের রাতকে’ বুঝানো হয়েছে। ইকরিমাহ বলেন, এ রাতে গোটা বছরের সকল বিষয়ে ফয়সালা করা হয়।[4]

    মুফাস্সিরগণ ইকরিমার এ মত গ্রহণ করেন নি। ইমাম তাবারী বিভিন্ন সনদে ইকরিমার এ ব্যাখ্যা উদ্ধৃত করার পরে তার প্রতিবাদ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ইকরিমার এ মত ভিত্তিহীন। তিনি বলেন যে, সঠিক মত হলো, এখানে ‘মুবারক রজনী’ বলতে ‘লাইলাতুল কদর’-কে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ যে রাত্রিতে কুরআন অবতীর্ণ করেছেন সে রাত্রিকে এক স্থানে লাইলাতুল কদর: ‘তাকদীরের রাত’ বা ‘মর্যাদার রাত’ বলে অভিহিত করেছেন[5]। অন্যত্র এ রাত্রিকেই ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ বা ‘বরকতময় রজনী’ বলে অভিহিত করেছেন। এবং এ রাত্রিটি নিঃসন্দেহে রামাদান মাসের মধ্যে; কারণ অন্যত্র আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, তিনি রামাদান মাসে কুরআন নাযিল করেছেন।[6] এথেকে প্রমাণিত হয় যে, মুবারক রজনী রামাদান মাসে, শাবান মাসে নয়।[7]

    পরবর্তী মুফাস্সিরগণ ইমাম তাবারীর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তাঁরা বলেছেন যে, ‘মুবারক রজনী’ বলতে এখানে ‘মহিমান্বিত রজনী’ বা ‘লাইলাতুল কদর’ বুঝানো হয়েছে। তাঁদের মতে ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ এবং ‘লাইলাতুল কদর’ একই রাতের দুটি উপাধি। দুটি কারণে মুফাস্সিরগণ ইকরিমার তাফসীরকে বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছেন:

    (ক) ইকরিমার মতটি কুরআনের সুস্পষ্ট বাণীর সাথে সাংঘর্ষিক। কুরআনে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ রামাদান মাসে কুরআন নাযিল করেছেন। অন্যত্র বলেছেন যে, একটি মুবারক রাত্রিতে ও একটি মহিমান্বিত রাত্রিতে তিনি কুরআন নাযিল করেছেন। এ সকল আয়াতের সমন্বিত সুস্পষ্ট অর্থ হলো, আল্লাহ রামাদান মাসের এক রাত্রিতে কুরআন নাযিল করেছেন এবং সে রাতটি বরকতময় ও মহিমান্বিত। মুবারক রজনীকে শবে বরাত বলে দাবী করলে এ আয়াতগুলোর স্পষ্ট অর্থ বিভিন্ন অপব্যাখ্যার মাধ্যমে বাতিল করতে হয়।

    (খ) বিভিন্ন সাহাবী ও তাবিয়ী থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা ‘মুবারক রজনী’-র ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, এ রাতটি হলো ‘লাইলাতুল কদর’ বা ‘মহিমান্বিত রজনী’। সাহাবীগণের মধ্য থেকে ইবনু আববাস (রা) ও ইবনু উমার (রা) থেকে অনুরূপ ব্যাখ্যা বর্ণিত হয়েছে। তাবিয়ীগণের মধ্যে থেকে আবু আব্দুর রহমান আল-সুলামী (৭৪ হি), মুজাহিদ বিন জাবর (১০২ হি), হাসান বসরী (১১০ হি), ক্বাতাদা ইবনু দি‘আমা (১১৭ হি) ও আব্দুর রহমান বিন যায়েদ বিন আসলাম মাদানী (১৮২ হি) বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁরা সকলেই বলেছেন যে, লাইলাতুম মুবারাকাহ অর্থ লাইলাতুল কদর।[8]

    ৩. মধ্য-শাবানের রাত্রিতে দোয়া-মুনাজাত

    মধ্য শাবানের রজনীর ফযীলত বিষয়ে বর্ণিত তৃতীয় প্রকারের হাদীসগুলোতে এ রাত্রিতে সাধারণভাবে দোয়া করার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এ রাতে দোয়া করা, আল্লাহর কাছে নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আকুতি জানানো এবং জীবিত ও মৃতদের পাপরাশি ক্ষমালাভের জন্য প্রার্থনার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এ অর্থে কোনো সহীহ বা গ্রহণযোগ্য হাদীস নেই। এ অর্থে বর্ণিত হাদীসগুলোর মধ্যে কিছু হাদীস দুর্বল এবং কিছু হাদীস জাল।

    ৪. অনির্ধারিত সালাত ও দোয়া

    মধ্য শাবানের রাত্রি সম্পর্কে বর্ণিত কিছু হাদীসে এ রাত্রিতে সালাত আদায় ও দোয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ সকল হাদীস এ রাত্রির সালাতের জন্য কোনো নির্ধারিত রাক‘আত, নির্ধারিত সূরা বা নির্ধারিত পদ্ধতি উল্লেখ করা হয় নি। শুধু সাধারণভাবে এ রাত্রিতে তাহাজ্জুদ আদায় ও দোয়া করার বিষয়টি এ সকল হাদীস থেকে জানা যায়। এ অর্থে বর্ণিত হাদীসগুলো প্রায় সবই বানোয়াট। দু-একটি হাদীস দুর্বল হলেও বানোয়াট নয়।

    ৫. নির্ধারিত রাক‘আত, সূরা ও পদ্ধতিতে সালাত

    শবে বরাত বিষয়ক অন্য কিছু হাদীসে এ রাত্রিতে বিশেষ পদ্ধতিতে, বিশেষ সুরা পাঠের মাধ্যমে, নির্দ্দিষ্ট সংখ্যক রাকআত সালাত আদায়ের বিশেষ ফযীলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুহাদ্দিসগণের সর্বসম্মত মত অনুযায়ী এই অর্থে বর্ণিত সকল হাদীস বানোয়াট। হিজরী চতুর্থ শতকের পরে রাসুলুলাহ (ﷺ) -এর নামে বানিয়ে এগুলো প্রচার করা হয়েছে। এখানে এ জাতীয় কয়েকটি জাল ও বানোয়াট হাদীস উল্লেখ করছি।

    ৬. ৩০০ রাক‘আত, প্রতি রাক‘আতে ৩০ বার সূরা ইখলাস

    সূত্র : www.hadithbd.com

    ইসলামে শবেবরাত আছে কি শবেবরাত সম্পর্কে সহীহ হাদিস কী বলে

    উত্তর: শবেবরাত এবং এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করা নির্ভরযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই রাসুল সা. ও সাহাবা-তাবেয়ীনের যুগ থেকে অদ্যাবধি এ রাতে বিশেষভাবে নফল ইবাদত ধারাবাহিকতার সাথে চলে আসছে। আরবিতে যেমন

    মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০২৩, ২২ ফাল্গুন ১৪২৯, ১৪ শাবান ১৪৪৪ হিজিরী

    মোবাইল সাইট ই-পেপার আর্কাইভ ভিডিও ফটো গ্যালারি

    শিরোনাম

    বিশ্বসেরা ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানকে টপকে গেল বাংলাদেশ চট্টগ্রামে মিনিবাস উল্টে রেল কর্মীসহ নিহত ৩ ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করতে ১৪ দলের প্রস্তুতি সভায় নেতৃবৃন্দ কুষ্টিয়ায় ইজিবাইকে পিষ্ট হয়ে এক শিশুর মৃত্যু! খুলনা দাদা ম্যাচে ভয়াবহ আগুন, সালফারের ধোঁয়ায় আচ্ছন নগরী মদিনায় জামাল ভূঁইয়াদের প্রথম অনুশীলন মাটিরাঙ্গায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন রাজশাহী নগরীতে মোবাইলফোনসহ তিন ছিনতাইকারী আটক ৭ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি এক লাখ ৪৩ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা ফুটবল কোচ জিলানী হাসপাতালে

    প্রচ্ছদ ইসলামী প্রশ্নোত্তর

    ইসলামে শবেবরাত আছে কি? শবেবরাত সম্পর্কে সহীহ হাদিস কী বলে?

    প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৩২ পিএম

    54 Shares 373

    উত্তর: শবেবরাত এবং এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করা নির্ভরযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই রাসুল সা. ও সাহাবা-তাবেয়ীনের যুগ থেকে অদ্যাবধি এ রাতে বিশেষভাবে নফল ইবাদত ধারাবাহিকতার সাথে চলে আসছে। আরবিতে যেমন নামায রোজা নেই, এ শব্দগুলি ফার্সি হওয়ায় কুরআন হাদিসেও নেই। কিন্তু বিষয়গুলি ইসলামের ফরজ বিধান। তেমনই শবেবরাত কুরআন হাদিসে নেই। আরবি ভাষায় নেই। তবে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান বা শাবানের মধ্যরাত আরবিতে হাদিসে বর্ণিত আছে। যার অর্থ শবেবরাত।

    ইদানীং এক শ্রেণির লোক বাংলায় হাদিস পড়া ছাড়া যাদের কুরআন-হাদিসের আবশ্যিক কোনো জ্ঞান নেই। তারা নিজেদের অতি গবেষণার মাধ্যমে ইসলামের সুপ্রমাণিত বিষয়গুলোকে জনসাধারণের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।

    তারা বলছে শবেবরাতের হাদিসগুলো সহীহ নয়, এ রাতে ইবাদত করা বিদআত, ইত্যাদি। অথচ শবেবরাত সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হওয়ার পরও বিদআত বলাটা হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচায়ক। আর জেনে এমনটি বলে থাকলে রাসূল সা. এর হাদিস অস্বীকারের মতো মারাত্মক অপরাধে অপরাধী সে ব্যক্তি। রাসূল সা. এর হাদিসের প্রতি বিদ্বেষী হওয়া ছাড়া হাদিস দ্বারা প্রমাণিত এ ফযীলতপূর্ণ রাতকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না।

    নিম্নে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হল: হযরত আলী বিন আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, যখন শাবান মাসের অর্ধেকের রজনী আসে [শবে বরাত] তখন তোমরা রাতে নামায পড়, আর দিনের বেলা রোযা রাখ। নিশ্চয় আল্লাহ এ রাতে সূর্য ডুবার সাথে সাথে পৃথিবীর আসমানে এসে বলেন, কোনো গোনাহ ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি আমার কাছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোনো রিজিকপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দিব। কোন বিপদগ্রস্থ মুক্তি পেতে চায় কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দিব। আছে কি এমন, আছে কি তেমন? এমন বলতে থাকেন ফযর পর্যন্ত। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-১৩৮৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং-৩৮২২, }

    হযরত আয়শা রা. বলেন, এক রাতে রাসূল সা.-কে না পেয়ে খুঁজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে [মদীনারত কবরস্থান] গিয়ে আমি তাঁকে দেখতে পেলাম। তিনি বললেন, কী ব্যাপার আয়শা? [তুমি যে তালাশে বের হলে?] তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল তোমার উপর কোন অবিচার করবেন? [তোমার পাওনা রাতে অন্য কোনো বিবির ঘরে গিয়ে রাত্রিযাপন করবেন?] হযরত আয়শা রা. বললেন, আমার ধারণা হয়েছিল আপনি অন্য কোনো বিবির ঘরে গিয়েছেন। রাসূল সা. তখন বললেন, যখন শাবান মাসের ১৫ই রাত আসে অর্থাৎ যখন শবেবরাত হয়, তখন আল্লাহ পাক এ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসেন। তারপর বনু কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়ে বেশি সংখ্যক বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। {সুনানে তিরমিযী, হাদিস নং-৭৩৯, মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-২৬০২৮, মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদিস নং-১৫০৯}

    হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, অর্ধ শাবানের রাতে [শবে বরাতে] আল্লাহ তাআলা তাঁর সমস্ত মাখলুকের প্রতি মনযোগ আরোপ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। {সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-৫৬৬৫, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস নং-২৭৫৪, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহওয়াই, হাদিস নং-১৭০২, আল মুজামুল আওসাত, হাদিস নং-৬৭৭৬, আল মুজামুল কাবীর, হাদিস নং-২১৫, সুনানে ইবনে মাজা, হাদিস নং-১৩৯০,

    মুসনাদুশ শামীন, হাদিস নং-২০৩, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদিস নং-৩০৪৭৯, শুয়াবুল ঈমান, হাদিস নং-৬২০৪}

    বিষয়টি তাদের ঘরানার একজন আলেমের বক্তব্য দিয়ে প্রমাণ করছি।

    গায়রে মুকাল্লিদদের ইমাম শায়েখ আলবানী রহ. তার সিলসিলাতুস সাহিহাহর ৩ নং খন্ডের ১৩৫ নং পৃষ্ঠায় বলেন, ‘এই হাদিসটি সহীহ’ এটি সাহাবাদের এক জামাত বর্ণনা করেছেন বিভিন্ন সূত্রে যার একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করেছে। তাদের মাঝে রয়েছেন, মুয়াজ বিন জাবাল রা., আবু সা’লাবা রা., আব্দুল্লাহ বিন আমর রা., আবু মুসা আশয়ারী রা., আবু হুরায়রা রা., আবু বকর সিদ্দীক রা., আউফ বিন মালিক রা., আয়েশা রা. প্রমুখ সাহাবাগণ।

    উপরে বর্ণিত সবক’টি বর্ণনাকারীর হাদিস তিনি তার কিতাবে আনার মাধ্যমে সুদীর্ঘ আলোচনার পর শেষে তিনি বলেন, সারকথা হলো, এই যে, নিশ্চয় এই হাদিসটি এই সকল সূত্র পরম্পরা দ্বারা সহীহ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর সহীহ হওয়া এর থেকে কম সংখ্যক বর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়ে যায়, যতক্ষণ না মারাত্মক কোনো দুর্বলতামুক্ত থাকে, যেমন এই হাদিসটি হয়েছে। ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. তাঁর কিতাবে লিখেছেন, অতিতযুগের বড় আলেম ও শায়েখরা শবেবরাতে বেশি ইবাদত বন্দেগি করতেন।

    সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।

    উত্তর দিয়েছেন: মুফতি আল্লামা উবায়দুর রহমান খান নদভী

    ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা

    inqilabqna@gmail.com

    1 4 0 0 0 0 Show all comments

    আব্দুল জাব্বার ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৮:০০ পিএম says :

    0 37

    মক্কা ও মদিনার ইমাম তারা আরবি ভালো জানে অন্তত আমাদের ছেয়ে, তবে তারাও ভালো করে জানেনা সবেবরাত নামে ছহি কিছু আছে কিনা, শুদু জানে বাংলাদেশ পাকিস্তান ও ইন্ডিয়ার মাওলানারা!

    Total Reply(0) Reply

    Md. Abdur Rohim ৮ এপ্রিল, ২০২০, ৮:০২ পিএম says :

    0 0

    মুফতী সাহেব হাদীসগুলো তাহকীক না করেই সহীহ বলেছেন। অথচ কোনটি যঈফ কোনটি জালা حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا عبد الرزاق أنبأنا ابن أبي سبرة عن إبراهيم بن محمد عن معاوية بن عبد الله بن جعفر عن أبيه عن علي بن أبي طالب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلها وصوموا نهارها فإن الله ينزل فيها لغروب الشمس إلى سماء الدنيا فيقول ألا من مستغفر لي فأغفر له ألا مسترزق فأرزقه ألا مبتلى فأعافيه ألا كذا ألا كذا حتى يطلع الفجر . تحقيق الألباني : ضعيف جدا أو موضوع ، المشكاة ( 1308 ) ، التعليق الرغيب ( 2 / 81 ) ، الضعيفة ( 2132 ) 2- حدثنا أحمد بن منيع حدثنا يزيد بن هارون أخبرنا الحجاج بن أرطاة عن يحيى بن أبي كثير عن عروة عن عائشة قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله قلت يا رسول الله إني ظننت أنك أتيت بعض نسائك فقال إن الله عز وجل ينزل ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا فيغفر لأكثر من عدد شعر غنم كلب وفي الباب عن أبي بكر الصديق قال أبو عيسى حديث عائشة لا نعرفه إلا من هذا الوجه من حديث الحجاج و سمعت محمدا يضعف هذا الحديث و قال يحيى بن أبي كثير لم يسمع من عروة والحجاج بن أرطاة لم يسمع من يحيى بن أبي كثير . تحقيق الألباني : ضعيف ، ابن ماجة ( 1389 ) // ضعيف سنن ابن ماجة برقم ( 295 ) ، المشكاة ( 1299 ) الصفحة ( 406 ) ، ضعيف الجامع الصغير ( 1761 ) // 3. শেষের হাদীসটি সহীহ হওয়া কোন ইবাদত প্রমাণ করেনা। কারণ আল্লাহ সোমবার ও বৃহঃস্পতিবারও বান্দাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। নিম্নের আলোচনা দেখুন। যে দিনগুলোতে আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দাদের ক্ষমা করে দেন : আল্লাহ পরম দয়ালু ও অতি ক্ষমাশীল। তিনি যেকোন সময় তাঁর মুমিন বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। সেজন্য কোন বিশেষ আমল করা লাগে না। কেবল শিরকের মত মহাপাপ ও সম্পর্ক ছিন্ন থেকে বিরত থাকতে হবে। আর সাধারণ ইবাদতগুলো পালন করতে হবে। প্রতি সোম ও বৃহঃস্পতিবার আল্লাহর মুমিন বান্দাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। যেমন হাদীছে এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, تُفْتَحُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ يَوْمَ الاِثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ فَيُغْفَرُ لِكُلِّ عَبْدٍ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا إِلاَّ رَجُلاً كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَخِيهِ شَحْنَاءُ فَيُقَالُ أَنْظِرُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا أَنْظِرُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا أَنْظِرُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَصْطَلِحَا ` প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করা হয়। এরপর এমন সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যারা আল্লাহর সঙ্গে শরীক স্থাপন করে না। তবে সে ব্যক্তিকে নয়, যার ভাই ও তার মধ্যে শক্রতা বিদ্যমান। এরপর বলা হবে, এই দুজনকে আপোষ রফা করার জন্য অবকাশ দাও, এই দুজনকে আপোষ রফা করার জন্য অবকাশ দাও, এই দু-জনকে আপোষ রফার জন্য অবকাশ দাও (মুসলিম হা/2565; মিশকাত হা/5029)। প্রতি বছরের মধ্য শা‘বানের রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন, যেমন হাদীছে এসেছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِنَّ اللَّهَ لَيَطَّلِعُ فِى لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلاَّ لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ ‘“শা’বান মাসের মধ্যবর্তী রাত্রে (১৪ই শা’বানের দিবাগত রাত্রে) আল্লাহ তাঁর বান্দাগণের দিকে দৃষ্টিপাত করেন এবং তাঁর সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, শুধুমাত্র শিরকে লিপ্ত ব্যক্তি এবং যে ব্যক্তির সাথে অন্য ভাইয়ের বিদ্বেষ (hatred) রয়েছে তাদেরকে বাদে (ইবনু মাজাহ হা/1390; ছহীহাহ হা/1144, 1563; ছহীহুত তারগীব হা/1026,2767; ছহীহুল জামে‘ হা/1819)। এ হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, এ রাত্রিটি একটি বরকতময় রাত এবং এ রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন। কিন্তু এ ক্ষমা অর্জনের জন্য শিরক ও বিদ্বেষ বর্জন ব্যতীত অন্য কোনো আমল করার প্রয়োজন আছে কি না তা এই হাদীছে উল্লেখ নেই। যেমন সোমবার ও বৃহঃস্পতিবার আল্লাহ বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। এজন্য কোন আমল করার কথা বলা হয়নি। যদিও সোম ও বৃহঃস্পতিবারে ছিয়াম পালনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নিছফে শা‘বান বা শবে বরাত পালন করার প্রয়োজন নেই। বরং শিরক ও হিংসা-বিদ্বেষ পরিত্যাগ করবে। বরং ঘরে বসেই এই বিশেষ ক্ষমার আওতাভুক্ত হবে। আল্লাহ আমাদের সকলকে এই সাধারণ ক্ষমার আওতাভুক্ত হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।

    সূত্র : www.dailyinqilab.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 19 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন