শবে মেরাজের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে শবে মেরাজের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় পান।
শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম, নিয়ত,প্রয়োজনীয় সূরা সহ দিলে উপকৃত হতাম?
শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম, নিয়ত,প্রয়োজনীয় সূরা সহ দিলে উপকৃত হতাম?
live_khan
Asked on April 28, 2021
শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম নিয়ত,প্রয়োজনীয় সূরা সহ দিলে উপকৃত হতাম।
4 Answers ShohanIslam
Answered on April 13, 2018
শবে মেরাজ এর নামাজ পড়ার নিয়মঃCall
দুই, দুই রাকাত এর নিয়তে কমপক্ষে ১২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়। (তাছাড়া ও আপনি বিভিন্ন নফল ইবাদাত সহ আর বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করতে পারেন।) তবে মনে রাখবেন এশার নামাজ আদায় করার পরপরই তিন রাকাত বিতরের নামাজ আদায় করবেন না। এই তিন রাকাত নামাজ আদায় করবেন সকল নফল নামাজ এর পর।
শবে মেরাজ এর নিয়তঃ
অন্যান্য নফল নামাজের মতই এই নামাজের নিয়ত করবেন।
উচ্চারনঃ নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহে তা’আলা রাক’আতায় ছালাতি লাইলাতিল মে’রাজ মুতাওইয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আক্বার।
যদি আপনি মনে করেন এটি মুখস্ত করতে সমস্যা বা মনে থাকে না। তাহলে এই নিয়ত আপনি বাংলায় ও করতে পারেন আপনার মনের ইচ্ছে মত।
যেমনঃ আমি কেবলা মুখি হয়ে মে’রাজ এর দুই রাক’আত নফল নামাজ আল্লাহ্ কে রাজি ও খুসির জন্য আদায় করিতেছি। আল্লাহু আক্বার।
উপরক্ত নিয়তে দুই রাকাত করে চার রাকাত পর পর মুনাজাত করতে পারেন। আর প্রয়োজনীয় সূরা বলতে সূরা ফাতিহা 'র সাথে যেকোনো সূরা পড়তে পারবেন।
এই ভাবে ১২ রাকাত এর অধিক যত রাকাত খুশি আদায় করতে পারেন।
Answer 6458 Views মোমহিউদ্দীন
Answered on April 13, 2018
Call
কোনো দিবসকে কেন্দ্র করে কোনো কিছু করা যেমন: সালাত,সাওম পালন করা শরীয়ত সম্মত নয়। তাই এইসব থেকে বিরত থাকাই উত্তম। আল্লাহ সবাইকে বুঝার এবং মানার তৌফিক দান করুক। আমিন।
Answer 6458 Views Tanvir Ahmed
Answered on April 13, 2018
Call
শবে মে'রাজের নামে কোনো নির্ধারিত নামায নেই।এটাই সহীহ।
এমনকি শবে বরাত ও শবে কদর নামেও কোনো নামায নেই।
এসব রাত্রে অন্যান্য দিনের মত আপনি শুধু নফল নামাযের নিয়ত করে, যত রাকা'য়াত ইচ্ছা নামায পড়তে পারেন। তবে, হ্যা এসব রাতের বিশেষ ফযিলত আছে, যা অন্যান্য দিনের মত নয়।
আর, দো'য়া-যিকির ও এসব দিন উপলক্ষে নির্দিষ্ট করা নেই। আপনি যেকোনো যিকির-আযকার করতে পারেন।
Answer 6458 Views আব্দুলবাসিত
Answered on April 4, 2019
Call
শবে মেরাজের কোনো নামায নেই। এমনকি এ দিনের নামে রোযা রাখাও প্রমাণিত নয়।
আপনি এখানে দেখুন Answer 6458 Views
শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম
শবে মেরাজ মহানবী (স.) এর জীবনে অন্যতম দিন। শবে মেরাজের নামাজ কত রাকাত এবং পড়ার নিয়ম অনেকে জানে না। শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম জেনে নিন।
শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম | শবে মেরাজের বিবারণ
প্রিয় পাঠক বিন্দু সবাইকে আসসালামু আলাইকুম। আশা করি তোমরা ভালো আছো, আমি ও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিকেল নিয়ে আসলাম। আর সেই আর্টিকলেটি হলো, শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন। তাহলে জেনে নিন শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম ।
অনেক মুসলিম ভাই বোনেরা শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম কানুন জানে না। তাই তারা গুগলে সার্য করে থাকে, শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম কানুন জানার জন্য। আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলিম ভাই বোনেরা শবে মেরাজ কি জানে না।
মেরাজের নামাজের নিয়ম
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম
শবে মেরাজের নামাজ কত রাকাত, অনেক মুসলিম ভাই বোনেরা জানে না। তাই তারা গুগল বা ইউটুবে সার্য করতে থাকে। অনেকে সার্য করে ও সঠিক নিয়ম খুজে পায় না। চিন্তার কোনো কারণ নেই, আপনি আমার আর্টিকেলটি ধর্য্য সহকারে পড়ুন।
আশা করি আপনি খুব সহজে শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন জানতে পারবেন। এছাড়া ও শবে মেরাজের দিন কত রাকাত নামাজ পড়তে হবে, এটা নিয়ে অনেকের মাঝে তর্কবির্তক হয়ে থাকে। আশা করি আমার আর্টিকেলে শবে মেরাজের নামাজ কত রাকাত, আপনি জানতে পারবেন।
শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম
রজব মাসে আইয়ামে বীজের রোজা ছাড়া অন্য কোনো রোজার কথা নবী করীম (স.) বলেননি। পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজ ছাড়া আর কোনো নফল নামাজের কথাও বলেননি। হাদিস শরীফে শবেবরাত ও শবে মেরাজের নামাজ বলে কোনো নামাজের কথা আসেনি।
রাসূলুল্লাহ (স.) শুধু বিশেষ কোনো রাত্রিতে নামাজ পড়তেন না, এবং বিশেষ কোন রাত্রিতে তা পড়ার জন্য তিনি কাউকে বলেননি। তবে রামাদান মাসে কিয়ামুললাইলের কথা এসেছে দুইভাবে।
প্রথমত সাধারণভাবে রামাদানে কিয়ামুল লাইলের কথা এসেছে। দ্বিতীয়ত লাইলাতুল কাদরে কিয়ামুল লাইলের কথা এসেছে।
কিন্তু অন্য কোনো বিশেষ রাত্রির বিশেষ কিয়ামের কথা কোনো হাদিসে আসেনি। এমনকি কদরের রাতে যে কিয়ামের কথা বলা হয়েছে. তার নামও কিন্তু কদরের রাতের নামাজ নয়। আর শবে মেরাজ ও শবে বরাতের নামাজের কথা তো বলাই বাহুল্য।
মেরাজ মানে কি?
মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বগমন, ঊর্ধে আরোহণ, আরোহণের সিঁড়ি। যেহেতু হজরত মুহাম্মদ (স.) তার এক মহাকাশ ভ্রমণ সম্পর্কে এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এজন্য তার এই ভ্রমণকে মেরাজ বলা হয়। এ ভ্রমণ যেহেতু রাতের পর রাত অব্যাহত ছিল, সেজন্য একে ইসরাও বলা হয়।
কুরআনুল কারীমে এই শব্দটিই ব্যবহূত হয়েছে। নবুয়তের একাদশ ও দ্বাদশ বছরের মধ্যবর্তী সময়ে, হিজরতের প্রায় বছর দেড়েক আগে। রজব মাসে রাসূল (স.)-এর মেরাজ সংঘটিত হয়। মহানবীর জীবনে সংঘটিত আশ্চর্যজনক বিষয়াবলির মধ্যে মেরাজ অন্যতম।
মহান আল্লাহ তার বন্ধুকে মক্কার মসজিদুল হারাম হতে মসজিদুল আকসা। এমনকি ঊর্ধ্বজগত্ পর্যন্ত স্বশরীরে, আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনাদি দেখাবার জন্য ভ্রমণ করিয়েছিলেন। এই বিস্ময়কর ঘটনাটি পবিত্র কুরআনের সূরা বনী ইসরাঈল ও সূরা নাজমে উল্লেখ রয়েছে এবং অসংখ্য হাদিসে মেরাজের ঘটনা বর্ণিত আছে।
কুরআন শরীফের সূরা বাণী ইসরাঈল এর প্রথম আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে:
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِنْ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّه هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
উচ্চারণ: সুবহানাল্লাজি আস্রা বিআবদিহি লাইলাম মিনাল মাসিজদিল হারামী ইলাল মাসিজদিল আকসা
অর্থ: পবিত্র সেই মহান সত্তা, যিনি তাহার এক বান্দা (মুহাম্মদ)-কে মসজিদে হারাম (কাবাঘর) হইতে মসজিদে আকসা (বাইতুল মোকাদ্দাস) পর্যন্ত পরিভ্রমণ করাইয়াছেন। ইহার মধ্যে তাহাকে অসংখ্য নিদর্শনাবলী দেখান হইয়াছে।
শবে মেরাজ কবে সংঘটিত হয়?
একজন মুমিনকে যেসব অদৃশ্য সত্যের প্রতি ঈমান আনতে হয়। মেরাজে নিয়ে হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে তা স্বচক্ষে দেখানো হয়েছে। তবে ঠিক কোন মাস বা তারিখে মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল তা কোনো হাদিসে বর্ণিত হয়নি।
রাসূলুল্লাহ (স.) একটি হাদিসেও মেরাজের তারিখ বর্ণনা করেননি। সাহাবীগণও (স.)কে মেরাজের তারিখ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেননি। এর প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেননি। পরবর্তী যুগের তাবেঈগণও মিরাজের তারিখ সম্পর্কে কোনো আলোচনা করেননি। মেরাজের রাতের শিক্ষাগুলো ছিল তাদের কাছে মুখ্য।
পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিসগণ ও ঐতিহাসিকগণ যখন এর তারিখ নিয়ে আলোচনা করে তারা এর তারিখের বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেননি। এ বিষয়ে প্রায় ২০টি মতো রয়েছে। তার কারণ হলো, এ রাতটি সাহাবীদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ রাত্রি হিসেবে পরিচিত ছিল না।
তবে রজব মাসের ২৭ তারিখের যে মতটি আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। সেটি তাবেঈ ও পরবর্তী যুগের মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণের অনেকগুলো মতের থেকে একটি প্রসিদ্ধ মত।
আরো পড়ুনঃশবে বরাতের নামাজের নিয়ম কানুন | এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়তারাবির নামাজের নিয়ম | রোজার নিয়ত সমূহ দোয়াআল্লাহ ২ ধরনের লোকদের ক্ষমা করবেন না | শবে বরাতের রাত্রেশবে মেরাজের রাত্রে মহানবী (স.) কি পেয়েছেন?
মহানবী (স.) মেরাজ থেকে ফেরার সময় আল্লাহতায়ালা তার একনিষ্ঠ ইবাদত ও আনুগত্য হিসেবে। মু’মিনদের মেরাজস্বরূপ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রদান করেন। আর পরবর্তী সময়ে তথা মদিনায় হিজরতের পর ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করতে গেলে, তা পরিচালনার জন্য যে নীতিমালা প্রয়োজন হবে। তার প্রতি নির্দেশ করত আল্লাহ নীতিমালা পেশ করেন। সেই মৌলিক নীতিগুলোর ওপর সমষ্টিগতভাবে মানবজীবনের মূলভিত্তি গড়ে তোলাই ইসলামের আসল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। (সূরা বনী ইসরাঈল : ২৩-২৭)।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়া মেরাজ উপলক্ষে আল্লাহর নিকট থেকে আরও দুটি উপহার পাওয়া গেল। একটি হচ্ছে সূরা বা কারার শেষ আয়াত সমষ্টি। যাতে ইসলামের মৌল আকিদাগুলো এবং ঈমানের পূর্ণতার বিষয় বিবৃত করার পর। এই মর্মে সুসংবাদ দেয়া হয়েছে যে, মুসিবতের দিন এখন সমাপ্ত-প্রায়।
দ্বিতীয় হচ্ছে এই সুসংবাদ যে, উম্মতে মুহাম্মদীর ভিতর যারা অন্তত শিরক থেকে বেঁচে থাকবে, তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে। (রাসূলুল্লাহর বিপ্লবী জীবন)।
শবে মেরাজের নামাজ কত রাকাত?
মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম
আমাদের দেশের কোনো, কোনো এলাকার মসজিদে শবে মেরাজের ১২ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। এমনকি এই নামাজ শেষে আবার রামাদানের মতো, বিতরের নামাজকে ও জামাতের সাথে আদায় করা হয়। রজব মাসের কোনো রাতের বিশেষ ফজিলতের কোনো বর্ণনা নেই। মেরাজের রাতের ফজিলত সম্পর্কে যে কয়টি হাদিস আমাদের সমাজে চালু আছে, তার প্রায় সবই মুহাদ্দিসগণের বিচারে জাল ও বানোয়াট।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?