if you want to remove an article from website contact us from top.

    শাবান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে শাবান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত পান।

    ফজিলত ও বরকতময় শাবান মাসের করণীয় আমল

    যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সমগ্র জগতের মালিক ও রব। আর সালাত ও সালাম নাজিল হোক আমাদের নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু...

    ধর্ম

    ফজিলত ও বরকতময় শাবান মাসের করণীয় আমল

    ইসলাম ডেস্ক

    প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ০১ মার্চ ২০২৩

    ফখরুল ইসলাম নোমানী

    যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সমগ্র জগতের মালিক ও রব। আর সালাত ও সালাম নাজিল হোক আমাদের নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর যিনি সমস্ত নবীগণের সরদার ও সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। আরও নাজিল হোক তার পরিবার-পরিজন ও সমগ্র সাথী-সঙ্গীদের ওপর।

    বিজ্ঞাপন

    পবিত্র রজব মাস শেষ হওয়ার পর আকাশে-বাতাসে বরকতময় শাবান মাসের আগমন বার্তার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এখন থেকে ধর্মপ্রাণ ও আল্লাহমুখী বান্দারা পবিত্র রমজান মাসে প্রবেশের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

    পবিত্র মাহে রমজানের আগমনী বার্তা নিয়ে বিশ্ব মুসলিমের মাঝে হাজির হলো পবিত্র শাবান মাস। সর্বশ্রেষ্ঠ মাস রমজানের আগাম প্রস্তুতির তাগিদ ও শবেবরাতের উপহার নিয়ে এলো বরকতময় শাবান মাস।

    বিজ্ঞাপন

    হিজরি চান্দ্রবর্ষের অষ্টম মাস শাবান। এ মাস বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ। হিজরতের দেড় বছর পর আগের কিবলা ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস-এর পরিবর্তে মক্কা শরিফের মসজিদুল হারাম তথা কাবা শরিফ কিবলা হিসেবে ঘোষিত ও নির্ধারিত হয় এই শাবান মাসেই। তাই শাবান মাস একদিকে যেমন মুসলিম স্বাতন্ত্র ও ইসলামি ঐক্যের মাস অন্যদিকে তেমনি কাবাকেন্দ্রিক মুসলিম জাতীয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হওয়ার মাস।

    শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস এবং রমজান আমার উম্মতের মাস। শাবান মাসকে রমজান মাসের প্রস্তুতি ও সোপান মনে করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশেষ দোয়া করতেন এবং অন্যদের তা শিক্ষা দিতেন।

    উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন  নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো নফল রোজা রাখতে শুরু করলে আমরা বলাবলি করতাম তিনি বিরতি দেবেন না। আর রোজার বিরতি দিলে আমরা বলতাম যে তিনি মনে হয় এখন আর নফল রোজা রাখবেন না। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসে পূর্ণ এক মাস রোজা পালন করতে দেখিনি। কিন্তু শাবান মাসে তিনি বেশি নফল রোজা রেখেছেন।

    বিজ্ঞাপন

    অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত আছে শাবান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত অধিক হারে নফল রোজা আদায় করতেন না।

    নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরি সালের শাবান মাসের গুরুত্ব, মাহাত্ম্য ও তাৎপর্যের বিবেচনায় এ মাসে অধিক হারে নফল ইবাদত-বন্দেগি করতেন। মাহে রমজানের মর্যাদা রক্ষা এবং হক আদায়ের অনুশীলনের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসে বেশি-বেশি রোজা রাখতেন।

    এ সম্পর্কে হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন- নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো আপনার কাছে মাহে রমজানের পর কোন্ মাসের রোজা উত্তম? তিনি বললেন রমজান মাসের সম্মান প্রদর্শনকল্পে শাবানের রোজা উত্তম।

    বিজ্ঞাপন

    হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় মাসের একটি হলো শাবান। এ মাসে নফল রোজা আদায় করেই তিনি মাহে রমজানের রোজা পালন করতেন।

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব ও শাবান মাসব্যাপী এ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন-

    اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبِ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ

    বিজ্ঞাপন

    উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবি ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগ না রমাদান।

    অর্থ : ‘হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন ; রমজান আমাদের নসিব করুন।’

    মানব জীবনের সব কালিমা দূর করার বিশেষত্ব নিয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের মাস রমজানুল মোবারক আসে শাবান মাসের সমাপ্তির পরই। তাই এ গুরুত্ববহ মাস সারাবিশ্বের মুসলমানদের সুদীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে যায়।

    তাই আসন্ন মাহে রমজানের মূল সিয়াম শুরু করার আগে শাবান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কিছু নফল রোজা রাখা দরকার, যাতে করে মাহে রমজানের রোজা পালন সহজ হয় এবং লক্ষ্যও ঠিকমতো অর্জিত হয়। যারা শাবান মাসে নফল রোজা রাখতে চান তাদের মধ্যভাগেই শেষ করে ফেলা উচিত। শাবান মাসের অর্ধেকের পর বেশি রোজা আর না রাখাই ভালো। মাহে রমজানের প্রস্তুতিকল্পে ইসলামে শাবান মাসকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়।

    শাবান মাসের বিশেষ আমলসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো-বেশি বেশি নফল রোজা পালন করা। মাস জুড়ে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিয়মিত আমল প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা পালন করা। এছাড়া শুক্রবারসহ এমাসেও আইয়ামে বিজের রোজা অর্থাৎ চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ নফল রোজা পালন করা।

    রোজা রাখার পাশাপাশি এ মাস জুড়ে নফল নামাজ বেশি বেশি আদায় করা। বিশেষ করে তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত-দোহা, আওয়াবিন, তাহিয়াতুল মসজিদ, দুখুলুল মসজিদ ইত্যাদি নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া খুবই জরুরি। আর সব সময় প্রিয় নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়াটি পড়া আমাদের জন্য একান্ত কর্তব্য।

    হজরত উসামা বিন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসুল! আপনাকে শাবান মাসে অন্যান্য মাস অপেক্ষা বেশি নফল রোজা রাখতে দেখি। এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী এ মাস অনেকেই খেয়াল করেনা। এটি এমন একটি মাস যে মাসে মানুষের সব কর্মকান্ড আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করা হয়। তাই আমি চাই এমন সময়ে আমার কর্মকান্ডের খতিয়ান আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করা হোক  যখন আমি রোজা অবস্থায় রয়েছি।

    নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যখন মধ্য শাবানের রাত আগমন কর আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দাদের দিকে মনোযোগ দেন এবং মুমিনবান্দাদের ক্ষমা করেন আর হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থায় ছেড়ে দেন (যতক্ষণ না তারা তওবা করে সুপথে ফিরে আসে)।

    হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টির (বান্দাদের) প্রতি দৃষ্টি দেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেন তবে তারা ছাড়া যারা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করে এবং অপরকে ক্ষতি সাধনের বাসনা পোষণ করে।

    সূত্র : www.jagonews24.com

    শাবান মাসের গুরুত্ব ও নফল রোজা রাখার ফজিলত

    হিজরি ১৪৪৩ বর্ষপরিক্রমা বা চান্দ্র মাসের অষ্টম মাস পবিত্র শাবান মাস। শাবান আরবি শব্দ অর্থ শাখা প্রশাখা। আর শাবান মাস এলেই চারদিকে ইবাদতের সুবাতাস বইতে শুরু করে। মুমিন হৃদয় জেগে

    শাবান মাসের গুরুত্ব ও নফল রোজা রাখার ফজিলত

    ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০২২, ১২:০৯ এএম

    হিজরি ১৪৪৩ বর্ষপরিক্রমা বা চান্দ্র মাসের অষ্টম মাস পবিত্র শাবান মাস। শাবান আরবি শব্দ অর্থ শাখা প্রশাখা। আর শাবান মাস এলেই চারদিকে ইবাদতের সুবাতাস বইতে শুরু করে। মুমিন হৃদয় জেগে ওঠে। নিজেদেরকে প্রভুপ্রেমে বিলিয়ে দেন বিনীদ্র রজনীতে। ইবাদত-বন্দেগিতে কাটান দিনের বেশিরভাগ সময়। আসছে রমজানের প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে মানসিকভাবে গড়ে তোলার অপূর্ব সুযোগ শাবান মাস।এ শাবান মাস হাদিসের আলোকে বিভিন্ন বিবেচনায় একটি ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ মাস। মুসলিম উন্মাহর এ মাসে কিছু করণীয় রয়েছে। শাবান মাসের আগের মাস অর্থাৎ হিজরি বর্ষপরিক্রমায় সপ্তম মাস হচ্ছে পবিত্র রজব মাস।

    রাসূল (সা.) রজবের চাঁদ উঠলে দোয়া করতেন আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রাজাবা ওয়া শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান‘ অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন‘ এ কথার অর্থ হচ্ছেথ রমজান পর্যন্ত আমাদের জীবন দান করুন। যেন আমরা রমজান মাস পেয়ে অধিক হারে ইবাদত বন্দেগি, রোজা, তারাবি, লাইলাতুল কদরের ইবাদত, ইতিকাফ ইত্যাদির মাধ্যমে মহান পবিত্র রমজান মাসের ফজিলত লাভে ধন্য হই। এ জন্য পবিত্র রজব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর রমজানের চাঁদ দেখা পর্যন্ত উপরোল্লিখিত দোয়াটি পাঠ করা সুন্নত বা মুস্তাহাব। যেহেতু পবিত্র রমজান মাস বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ মাস, সেহেতু পূর্ব থেকেই এ মাসের ইবাদত-বন্দেগির জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটাই একজন মুমিনের কর্তব্য। হজরত রাসূল (সা.)-এর উপরোক্ত দোয়া-ই প্রমাণ করে তিনি পবিত্র রজব মাস শুরু থেকেই রমজানের জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকতেন।

    বিভিন্ন হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র রজব ও শাবানে রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। রমজানে অধিক ইবাদতের জন্য সময়-সুযোগ বের করতেন। মানসিকভাবে তৈরি হতেন। আর এ কারণেই তিনি পবিত্র শাবানের দিন, তারিখ গুরুত্বসহকারে হিসাব রাখতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূল (সা.) পবিত্র শাবানের (দিন, তারিখ হিসাবের) প্রতি এত অধিক লক্ষ্য রাখতেন যা অন্য কোনো মাসের ক্ষেত্রে রাখতেন না (সুনানে আবু দাউদ ১/৩১৮)। অনেক হাদিসেই বর্ণিত হয়েছেথ হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র শাবানের চাঁদের দিন, তারিখের হিসাব রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

    সুতরাং পবিত্র শাবান মাসের দিন-তারিখের হিসাব রাখাটাই সুন্নত এবং মুমিনদের করণীয়। পবিত্র শাবান মাসে অধিকহারে নফল রোজা রাখা উত্তম। এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হজরত উন্মে সালামা (রা,) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি হজরত নবী করিম (সা.) শাবান ও রমজান ব্যতীত দুই মাস একাধারে রোজা রাখতে দেখিনি। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি নবী করিম (সা.)কে শাবান মাসের মত এত অধিক (নফল) রোজা রাখতে আর দেখিনি। এ মাসের অল্প কিছুদিন ব্যতীত বরং বলতে গেলে সারা মাসটাই তিনি নফল রোজা রাখতেন (জামি তিরমিযী ১/১৫৫)।

    পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত, অর্থাৎ পনের শাবান রাত হচ্ছে পবিত্র শবেবরাত, ভাগ্য রজনী, এ রাতের অশেষ ফজিলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বছরের শ্রেষ্ঠ পাঁচটি রজনীর অন্যতম এ রাত। এ রাতের করণীয় সম্পর্কে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেনথ পনের শাবান রাতে (শবেবরাত) তোমরা জেগে থেকে ইবাদত কর এবং পরদিন রোজা রাখ। এ জন্য শবেবরাতে জেগে থেকে ইবাদত করা এবং পরদিন রোজা রাখা উত্তম।

    শাবান মাসে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি আমল বা কাজ সুন্নাহর আলোকে শাবান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো জেনে নেয়া খুবই জরুরি। এ মাসে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি আমল বা কাজ। যা আমলে নববি বা সুন্নাতি আমল হিসেবে বিবেচিত। রমজান মাসের আমলগুলো ঠিকভাবে উদযাপন করতে শাবান মাসে ৪টি আমল বেশি বেশি করা খুবই জরুরি। শাবান মাসে এ আমলগুলো যথাযথভাবে আদায় করতে পারলেই রমজানের ইবাদতগুলো করা সহজ হবে। পরিপূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভ সম্ভব হবে। তা হলো : বেশি বেশি রোজা রাখা।হজরত উসামা বিন যায়েদ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! শাবান মাসে আপনাকে যত রোজা রাখতে দেখি, অন্য মাসে এতো পরিমাণ রোজা রাখতে দেখিনি। অর্থাৎ আপনি কেন এ মাসে এতবেশি রোজা রাখেন?রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, এটি এমন একটি মাস। যা রজব এবং রমজানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুইটি মাসের মধ্যে পড়ে। আর অধিকাংশ মানুষ এ মাসটি সম্পর্কে গাফেল থাকে। অর্থাৎ এ মাসটি সম্পর্কে তারা বেখবর থাকে, উদাসিন থাকে। যার ফলে তারা ভালো আমল করে না। তারা ভাবে যে, রমজান তো আছেই।’ (নাসাঈ)।

    মানুষ যে সময়টিতে আল্লাহকে স্মরণ করে না, সে সময়টিতে আল্লাহকে স্মরণ করায় রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা পালন করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করতেন। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ আমলটি উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য অন্যতম শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘শাবান মাসে বেশি রোজা রাখার অন্য একটি কারণ হলো- এ মাসে আল্লাহর কাছে মানুষের আমলনামাগুলো উপস্থাপন করা হয়। আর আমি চাই রোজা থাকা অবস্থায় আমার আমলনামা আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করা হোক।’এখন প্রশ্ন থাকতে পারে যে, কখন, কিসের ভিত্তিতে মানুষের আমলনামা আল্লাহর কাছে পৌছানো হয়?হ্যাঁ, ৩ অবস্থায় মানুষের আমলনামা আল্লাহর কাছে পৌছানো হয়। আর তা হলো : দৈনন্দিন ভিত্তিতে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ফেরেশতারা প্রতিদিন এবং রাতে পালাবদল করে তোমাদের (মানুষের ) কাছে আসে। আসরের সময় এবং ফজরের সময় তারা একত্রিত হয়।

    অর্থাৎ আসরে একদল আসে আরেকদল চলে যায়। আবার ফজরের সময় একদল আসে আর আরেকদল চলে যায়। এভাবে ফেরেশতারা দৈনন্দিন ভিত্তিমে মানুষের আমল সকাল-বিকাল আল্লাহর কাছে উপস্থাপন করে থাকে। আল্লাহ তাআলা তো বান্দার সব অবস্থাই জানেন। তারপরও তিনি সকাল-সন্ধ্যার এসব ফেরেশতাকে তিনি প্রশ্ন করেন : তোমরা আমার বান্দাদের কী অবস্থায় রেখে এসেছ? তখন ফেরেশতারা বলেন, আমরা সকাল-সন্ধ্যায় গিয়ে দেখেছি বা দেখে এসেছি, তারা নামাজ পড়ে। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে। আর সাপ্তাহিক ভিত্তিতে মানুষের আমলনামাগুলো প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে আল্লাহর কাছে পৌছানো হয়। বছরের ভিত্তিতে।আর বাৎসরিক ভিত্তিতে শাবান মাসে মহান আল্লাহর কাছে মানুষের আমলনামাগুলো পৌছানো হয়।এ কারণেই মানুষের উচিত, শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা পালন করা। বিশেষ করে যদি কেউ সাপ্তাহিক ও মাসিক নির্ধারিত রোজাগুলোও পালন করে তাতেও সহজে ১০-১১টি রোজা পালন করা হয়। তাই শাবান মাসে এ রোজাগুলো গুরুত্বসহকারে পালন করা জরুরি। তছাড়া রমজন একটি ফজিলত ও মর্যাদার মাস। এ মাসজুড়ে রোজা পালন ফরজ ইবাদত।

    সূত্র : m.dailyinqilab.com

    শাবান মাসের ১০টি ফজিলত, আমল, রোজা ও গুরুত্ব

    শাবান মাসের ফজিলত ও আমল। আমাদের কাছে রমজান মাস যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমন শাবান মাসের ফজিলত ও আমল রয়েছে। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই

    শাবান মাসের ১০টি ফজিলত, আমল, রোজা ও গুরুত্ব

    শাবান মাসের ফজিলত ও আমল। আমাদের কাছে রমজান মাস যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমন শাবান মাসের ফজিলত ও আমল রয়েছে। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই শাবান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

    তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট শাবান মাসের ফজিলত ও আমল ট সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। শাবান মাসের ফজিলত ও আমল জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

    সূচিপত্রঃ শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

    ভূমিকা শাবান মাসের ফজিলত শাবান মাসের আমল

    শাবান মাসের রোজা কয়টি

    শাবান মাসের গুরুত্ব

    আমাদের শেষ কথাঃ শাবান মাসের ফজিলত ও আমল

    শাবান মাসের ফজিলত ও আমলঃ ভূমিকা

    আমরা মুসলিম হিসেবে সকলেই শাবান মাস সম্পর্কে জানি। শাবান মাস হল হিজরি বছরের অষ্টম তম মাস। এ মাসের গুরুত্ব মুসলমানদের কাছে অত্যাধিক বেশি কারণ এই মাসটিতে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ অনেক ইবাদত বন্দেগী পালন করেছেন। যেহেতু আমাদের প্রিয় নবী সাঃ শাবান মাস কে গুরুত্ব দিয়েছেন তাই শাবান মাসের গুরুত্ব থাকা স্বাভাবিক।

    আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজের নিয়ম - শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

    আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে শাবান মাসের ফজিলত ও আমল এর অংশ থেকে শাবান মাসের ফজিলত, শাবান মাসের আমল কি করবেন? শাবান মাসের রোজা কয়টি? এবং শাবান মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

    শাবান মাসের ফজিলত

    হিজরী বর্ষের অষ্টম মাস হল শাবান মাস। শাবান মাসের ফজিলত ও আমল রয়েছে। যদিও এই মাসের আমল গুলো নফল আমল নামে পরিচিত। নফল আমলের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ কিয়ামতের দিন যখন ফরজ আমলের ঘাটতি দেখা দেবে তখন নফল এর থেকে সেই ঘাটতি পূরণ করা হয়। তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচে শাবান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

    হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর স্ত্রী হযরত আয়েশা রাঃ বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ সাবানের পূর্ণ মাসই রোজা রাখতেন। তিনি সামান্য রোজা রাখতেন তবে অল্প কিছুদিন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ শাবান মাসের সবথেকে বেশি নফল ইবাদত করতেন। ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী রজব মাস হলো আল্লাহতালার মাস, সাবান মাস হলো নবীজির সাঃ এর মাস এবং রমজান মাস হল উম্মতের মাস।

    হযরত আনাস রাঃ হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাকে বলেছেন, " হে বৎস! যদি পারো এভাবে সকাল সন্ধ্যা পার কর যেন তোমার অন্তরে কারো প্রতি হিংসা না থাকে, তবে তাই করো" এরপর বলেন, " এটাই আমার সুন্নত আদর্শ, যে ব্যক্তি আমার সুন্নত অনুসরণ করল সে প্রকৃতপক্ষে আমাকে ভালোবাসলো, যে আমাকে ভালবাসল সে জান্নাতে আমার সঙ্গেই থাকবে"{ তিরমিজি শরীফঃ ৩৬}

    রমজান মাসের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে শাবান মাসের তারিখের হিসাব রাখা বিশেষ জরুরি এটি একটি সুন্নত। নবীজি সাঃ বলেন, " তোমরা রমজানের জন্য সাবানের চাঁদের হিসাব রাখো।"{ সিলসিলাতুস সহিহাহ} সম্ভব হলে নতুন চাঁদ দেখা সুন্নত, চাঁদ দেখে নতুন চাঁদের দোয়া পড়া সুন্নত, চন্দ্র মাসের তারিখের হিসাব রাখা ফরজে কিফায়া। কারণ ইসলামের বিধিবিধান গুলো চাঁদের তারিখের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

    শাবান মাসের আমল

    শাবান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জেনে থাকলে আমরা খুব সহজেই আমলগুলো করতে পারব। যদিও শাবান মাসের আমল গুলো করলে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু এই মাসের রোজা বা আমল গুলো কিন্তু ফরজ নয়। রমজান ছাড়া অন্য কোন মাসে রোজা রাখা ফরজ না। তবে এই মাসের বিশেষ কিছু নেক আমল রয়েছে যেগুলো করলে অনেক বেশি নেকি পাওয়া যায়।

    শাবান মাসে আমাদের প্রিয় নবী সাঃ নফল রোজা রাখতেন এবং সাহাবীদের নফল রোজা রাখার প্রতি তিনি উদ্বুদ্ধ করেছেন। অন্যান্য মাসের তুলনায় রাসুলুল্লাহ সাঃ শাবান মাসে সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন। যেহেতু রমজানের রোজা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ সেক্ষেত্রে রমজানের রোজা করতেন কিন্তু অন্য যে সকল মাসে তিনি নফল আমল করতেন সেগুলোর চাইতে সাবান মাসে বেশি নফল রোজা রাখতেন।

    আরো পড়ুনঃ ঈদুল ফিতর ২০২৩ কত তারিখ বাংলাদেশ - ২০২৩ সালে রোজার ঈদ

    হযরত আয়েশা রাঃ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন " নবী সাঃ শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা অন্য কোন মাসে রাখতেন না। তিনি সম্পূর্ণ সাবান মাস রোজা পালন করতেন। এবং প্রিয় নবী বলতেন, তোমাদের মধ্যে যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু নফল আমল করো কারণ তোমরা আমল করতে করতে ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা সওয়াব দান বন্ধ করেন না"

    তাহলে উপরের হাদিস থেকে আমরা জানতে পারলাম যে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ অন্যান্য সকল মাসের চেয়ে শাবান মাসে সবথেকে বেশি রোজা পালন করতেন। তাই আমাদের উচিত শাবান মাসে সবথেকে বেশি রোজা পালন করা। এছাড়া শাবান মাসের ১৫ তারিখ লাইলাতুল বরাত রাতে নফল ইবাদত পালন করে আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।

    শাবান মাসের রোজা কয়টি

    শাবান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানা হয়ে গেলে শাবান মাসের রোজা কয়টি? এ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি অসুবিধা শাবান মাসে রোজা রাখতে না পারে তাহলে সে রমজান মাসের পর রোজা রাখবে। তবে শাবান মাসে রোজা পরবর্তী মাসে পালন করার ফরজ কিংবা ওয়াজিব নয়।

    এক সাহাবী হতে বর্ণিত, নবী সাঃ এক ব্যক্তি থেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এই মাসের মধ্যভাগে কিছু রোজা রেখেছিলে? সে বলল, না। রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেন, তুমি তারপরে রমজানের রোজা শেষ করে দুইটি রোজা রাখবে। {সহিহ মুসলিমঃ ২৬৪২} রমজান মাস শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই রোজা রাখার প্রয়োজন নেই।

    এক হাদীসে মাসের অর্ধেক হলেই রোজা না রাখার কথা বর্ণিত হয়েছে। সেই দিনগুলোই রমজানের রোজার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে কোন ব্যক্তি যদি সপ্তাহের সুন্নাত রোজা পালন করতে অভ্যস্ত হয়ে থাকে তাহলে সে ধারাবাহিক রক্ষা করার জন্য রোজা পালন করতে পারে। রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, " শাবান মাসের অর্ধেক অবিবাহিত হলে তোমরা রোজা রাখবে না"{ সুনানে আবু দাউদঃ ২৩৩৭}

    শাবান মাসের গুরুত্ব

    সূত্র : www.ordinaryit.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 29 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন