if you want to remove an article from website contact us from top.

    শিশুদের চাহিদা সমূহ কি কি

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে শিশুদের চাহিদা সমূহ কি কি পান।

    শৈশবে শিশুর চাহিদা গুলি উল্লেখ করো

    শৈশবে শিশুর চাহিদা গুলি উল্লেখ করো 4 + 4 উত্তর: শৈশবকালীন বিকাশমূলক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শিশুর মধ্যে মােটামুটিভাবে তিন প্রকারের চাহিদা দেখা যায় — (1) জৈবিক চাহিদা, (2) মানসিক চাহিদা এবং (3) সামাজিক চাহিদা। এই চাহিদাগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল। জৈবিক চাহিদার মধ্যে উল্লেখযােগ্য চাহিদাগুলি হল : [1] খাদ্যের চাহিদা : শিশুর দ্রুতগতিতে দৈহিক বৃদ্ধি হওয়ার

    শৈশবে শিশুর চাহিদা গুলি উল্লেখ করো

    September 22, 2022 by Chiranjit Das

    শৈশবে শিশুর চাহিদা গুলি উল্লেখ করো 4 + 4উত্তর:

    শৈশবকালীন বিকাশমূলক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী শিশুর মধ্যে মােটামুটিভাবে তিন প্রকারের চাহিদা দেখা যায় — (1) জৈবিক চাহিদা, (2) মানসিক চাহিদা এবং (3) সামাজিক চাহিদা। এই চাহিদাগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হল।

    Table of Contents

    জৈবিক চাহিদার মধ্যে উল্লেখযােগ্য চাহিদাগুলি হল : 

    [1] খাদ্যের চাহিদা : শিশুর দ্রুতগতিতে দৈহিক বৃদ্ধি হওয়ার জন্য খাদ্যের চাহিদা অত্যন্ত প্রকটভাবে দেখা যায়।[2] ঘুমের চাহিদা ; এই বয়সে যেহেতু সঞ্চালনমূলক বৃদ্ধি খুব বেশি হয় তাই ঘুমের চাহিদা দেখা যায় প্রবলভাবে।।[3] নিরাপত্তার চাহিদা : এই বয়সে শিশুরা যেহেতু সর্বদা পিতামাতার সান্নিধ্যে থাকে সেহেতু তাদের মধ্যে এই চাহিদা সৃষ্টি হয়।[4] সক্রিয়তার চাহিদা : শিশুরা এই সময়ে স্বাধীনভাবে দৌড়ানাে, নড়াচড়া, ঘােরাফেরা করে, এই কাজে বাধা পেলে। এইরূপ চাহিদার সৃষ্টি হয়।[5] পুনরাবৃত্তির চাহিদা : একই কথা বারবার বলা, একই কাজ বারবার করার প্রবণতা থেকে এই চাহিদা সৃষ্টি হয়।

    মানসিক চাহিদার মধ্যে উল্লেখযােগ্য চাহিদাগুলি হল :

    [1] অনুকরণের চাহিদা : শিশু এই সময়ে পিতামাতা, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অনুকরণ করে। ফলে এই চাহিদার উদ্রেক ঘটে।[2] জানার চাহিদা : জগতের বস্তু, ব্যক্তি ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারণা গড়ে ওঠে না সেজন্য সে যা যা পর্যবেক্ষণ করে। সেগুলি সম্বন্ধে জানার কৌতূহল তীব্র হয়। যেমন—কোনাে খেলনা দিলে তা তৎক্ষণাৎ ভেঙে টুকরাে করে তার ভেতরে কী আছে তা জানতে চায়।[3] কল্পনার চাহিদা : এই সময়ে শিশুরা অবাস্তব রূপকথার রাজ্যে বিচরণ করে।[4] আধিপত্যের চাহিদা: এইসময়ে শিশুর মধ্যে আপন-পর এই ধারণা থাকে না, ফলে সে সব কিছুকেই নিজের অধিকারে আনতে চায়।

    সামাজিক চাহিদার মধ্যে উল্লেখযােগ্য চাহিদাগুলি হল : 

    [1] দলবদ্ধ হওয়ার চাহিদা : এই বয়সে শিশু কখনােই। একা থাকতে চায় না। তাই এই চাহিদা দেখা যায়।[2] প্রতিদ্বন্দ্বিতার চাহিদা : সমবয়স্ক শিশুরা একে অপরকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে। অনেক সময়ে সমবয়সি ভাই-বােনের মধ্যেও এই চাহিদা দেখা যায়।।[3]সহযােগিতার চাহিদা : এইসময়ে যেহেতু শিশু নিরাপও হীনতা অনুভব করে, তাই সবসময় সকলের সহযােগিতা পেতে চায়। উপরে বর্ণিত চাহিদাগুলির পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, শৈশবকাল। হল এক অনুভূতিপ্রবণ সময়কাল এবং পরবর্তী জীবনের যাবতীয় সু-অভ্যাসের স্ফুরণ এই সময়েই ঘটে। তাই শৈশবকালীন এই চাহিদাগুলি পুরণে পরিবার এবং সমাজ যদি ব্যর্থ হয় তবে শিশুর জীবনে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় শিশু নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করতে করতে একাকিত্বতায় অগ্রস। হয়। অর্থাৎ শিশুর মধ্যে তখন আর প্রাণােচ্ছলতা দেখা যায় না। এই আচরণ সঞ্চালনমুলক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।

    শিশুদের মধ্যে জানার চাহিদা যদি তৃপ্ত না-হয় তবে অনেক সময় জানার চাহিদাকে তৃপ্ত করতে আক্রমণাত্মক আচরণ করে। অন্যতম চাহিদা হিসেবে শিশুর জীবনে ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক চাহিদাগুলি। এই চাহিদাগুলির অতৃপ্তিতে ভবিষ্যতে স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক এক নাগরিকে পরিণত হতে পারে যা সমাজ ও দেশের পক্ষে কখনােই মঙ্গলকর নয়। এ ছাড়া, ব্যক্তিগতভাবেও শিশুর মধ্যে সমবেদনা, সহানুভূতি এই প্রক্ষোভগুলি গড়ে উঠবে না। ফলে পরিবার ও শিশুর চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হবে, যা ভবিষ্যতে সমাধান করা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠবে।

    Post Views: 441

    Note: এই আর্টিকেলের ব্যাপারে তোমার মতামত জানাতে নীচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করতে পারো। ধন্যবাদ।

    সূত্র : wbshiksha.com

    ‘ প্রতিটি বিশেষ শিশুর চাহিদা আলাদা, তাদের শেখানোর ধরনও ভিন্ন’

    সারা বিশ্বের মতো দেশেও বাড়ছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর সংখ্যা। এখন দেশে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে চারজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু। অটিজমে আক্রান্ত এসব শিশু সাধারণ শিশুদের চেয়ে ব্যতিক্রম, একেবারেই পৃথক তাদের শিখন কৌশল। ফলে তাদের চাহিদাটা বোঝা এবং আচরণের অস্বাভাবিকতাগুলো দূর করে সাধারণ...

    ‘ প্রতিটি বিশেষ শিশুর চাহিদা আলাদা, তাদের শেখানোর ধরনও ভিন্ন’

    জাকিয়া আহমেদ

    ০২ এপ্রিল ২০১৭, ২২:০৫

    বিউটিফুল মাইন্ড স্কুলে বিশেষ শিশুদের রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তী উদযাপন

    সারা বিশ্বের মতো দেশেও বাড়ছে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর সংখ্যা। এখন দেশে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে চারজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু। অটিজমে আক্রান্ত এসব শিশু সাধারণ শিশুদের চেয়ে ব্যতিক্রম, একেবারেই পৃথক তাদের শিখন কৌশল। ফলে তাদের চাহিদাটা বোঝা এবং আচরণের অস্বাভাবিকতাগুলো দূর করে সাধারণ শিশুদের সঙ্গে তাদের স্বাভাবিক মেলামেশার চেষ্টা করানোটা বিশাল চ্যালেঞ্জের। বিশ্ব অটিজম দিবসে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিখন কৌশল এবং তাদের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে এ মন্তব্য করেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের স্কুল বিউটিফুল মাইন্ড-এর সিনিয়র স্পেশাল এডুকেটর সাবরিনা মুস্তারী।

    ‘আমরা প্রতিটি শিক্ষক সংগ্রাম করে যাচ্ছি যেন এসব শিশুর প্ল্যাটফর্ম শক্ত হয়, ওদের অধিকারগুলো যেন ওরা অর্জন করে নিতে পারে; সাধারণ শিশুদের সঙ্গে যেন তারা মেলামেশা করতে পারে, তাদের সঙ্গে খেলতে পারে, স্বাভাবিক আচরণ করতে পারে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা,’ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন তিনি।

    বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৪ সালে রাজধানীর উত্তরায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিউটিফুল মাইন্ড স্কুল। এই স্কুলটিতে শুরু থেকেই কেবলমাত্র বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকদের কাছে এই বিদ্যালয়টি অত্যন্ত সুপরিচিত এর শিক্ষকদের শিখন কৌশলের কারণে।

    বিউটিফুল মাইন্ড স্কুলের প্রবেশ মুখ

    ১৫০ জনের ওপরে শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুলটির যাত্রা শুরু। বিশেষায়িত এই স্কুলটিতে বিশেষভাবে শিক্ষাদান পদ্ধতিসহ ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, ভোকেশনাল ট্রেনিং এবং তাদের পরিবারগুলোকে সব ধরনের সাপোর্ট দিয়ে থাকে।

    বিদ্যালয়টির শিক্ষাদান পদ্ধতি অন্যসব বিদ্যালয় থেকে একেবারেই আলাদা জানিয়ে সাবরিনা মুস্তারী বলেন, ‘যেহেতু স্কুলটি বিশেষায়িত শিশুদের জন্য তাই এই স্কুলে আমাদের শিক্ষাদানের পদ্ধতি প্রতিটি বিশেষ শিশুকেন্দ্রিক। যেহেতু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমস্যা বা সংকটগুলো একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম তাই ক্লাসরুমে একত্রে বসানো হলেও প্রতিটি শিশুর জন্য তার সমস্যা অনুযায়ী উপযোগী শিখন কৌশল প্রয়োগ করতে হয় আমাদের।’

    স্কুল ভবন ও মাঠ

    তিনি বলেন, ‘ আমরা প্রতিটি বিশেষ শিশুকে আলাদা ভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। প্রত্যেকের প্রতি শিক্ষকদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হয় এবং খুব ধীরে ধীরে তাদের কোনও একটি বিষয় শেখাতে হয়। এমনও ঘটনা আছে কাউকে হয়তো একটা অভ্যাস বা বিষয় শেখাতে লেগে যেতে পারে দুই তিন বছরও। কিন্তু, আমরা কখনোই হাল ছাড়ি না।’

    বিশেষ শিশুদের একটি নাচের দৃশ্য

    এই স্পেশাল এডুকেটর বলেন, সাধারণ বিদ্যালয়গুলোতে যেভাবে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে তা থেকে একেবারেই ভিন্ন ধরনের শিখন পদ্ধতি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্ষেত্রে । চাপ দিয়ে শেখানো বা পড়তে বা বলতে বাধ্য করানো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে একেবারেই যায় না। সাধারণ শিশুদের বুঝিয়ে পড়ানোর যে সুযোগ থাকে বিশেষ শিশুদের ক্ষেত্রে সেটাও নেই। এসব শিশুর বেশিরভাগই আপন খেয়ালে থাকে। তাদের বেশিরভাগই সেনসরি জনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে, অন্য কারও সঙ্গে দৃষ্টি বিনিময়ও (আই কন্টাক্ট) করতে পারে না। এমন শিশুদের কিভাবে কিছু শেখাবেন, খাওয়াবেন, কিছু বলবেন তা নিয়ে তাদের অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন থাকেন। কারণ, যথাযথ কৌশল না জানলে তাদের উন্নতি ঘটানো অত্যন্ত কঠিন।

    এই স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ডা. শামীম মতিন চৌধুরী একজন মনোবিদ। অভিজ্ঞতা থেকে যিনি জানেন এসব বিশেষ শিশুদের সঙ্গে কীভাবে মিশতে হয়, তাদের শিক্ষাদান পদ্ধতি কেমন হবে। এ কারণে এই স্কুলের প্রতিটি শিক্ষক এই শিখন কৌশল সম্পর্কে সচেতন। তাদের সবার এ বিষয়ে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ রয়েছে বলে জানান স্কুলটির ভাইস প্রিন্সিপাল মমতাজ সুলতানা। তিনি বলেন, ‘ এই স্কুলের স্পেশাল এডুকেটররা এই অসম্ভব কঠিন কাজটাই করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন, সাধারণ চোখে যাকে আপনার কোনও কাজ বলে মনে হবে না সেটাই হয়তো এমন কোনও একটি শিশুর জন্য শিখন কৌশল, যা শেখাতে একজন স্পেশাল এডুকেটর লেগে থাকছেন দিনের পর দিন।’

    মমতাজ সুলতানা বলেন, এত পরিশ্রমের পর কোনও বিশেষ শিশুকে যখন কিছু শেখানো যায় তার যে তৃপ্তি সেটা আমাদের শিক্ষকদের সঙ্গে শুধু তার অভিভাবক ও স্বজনরাই বুঝতে পারেন। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে অটিজম ইস্যুটিকে প্রাধান্য দেওয়াসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এসব শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে সমাজেও ধীরে ধরে বিশেষ শিশুদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা কমে আসছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    তিনি বলেন, এসব শিশু যাতে স্বাভাবিক শিশুদের মতোই সব কিছু শিখতে পারে সেজন্য আমাদের স্পেশাল এডুকেটররা প্রচণ্ড শ্রম দিয়ে থাকেন। আর সে কারণে তারা লেখাপড়া শেখার পাশাপাশি নাচ, গান অভিনয়ও শিখছে। এমনকি স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পুরস্কৃতও হচ্ছে।

    জাতীয় শিশু দিবসে নৃত্য শাখায় চ্যাম্পিয়ন হয় বিউটিফুল মাইন্ড স্কুলের চার শিক্ষার্থী

    এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, গত ১৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানে সব জেলার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে তার স্কুলের বিশেষ শিশুদের একটি দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এছাড়াও গতমাসে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ফ্লোর হকি চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ টিম রানার্সআপ হয় যেখানে এই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ছিল, যার নাম জুনায়েদ ইসলাম।

    সূত্র : www.banglatribune.com

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু

    somewhere in... blog, also called বাঁধ ভাঙার আওয়াজ, is the first and largest bangla blog community in the world. the main attraction is the phonetic keyboard that makes it too-easy to write bangla on web, even if you don't know how to type bangla. other attractions are the front page displaying all the incoming posts and the group blog service. since the simple start 16th december 2005, somewhere in... blog has grown to become the trend setter for bangla blogging.

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৩

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু

    সমাজে অগ্রগতি ও পুর্ণতা নির্ভর করে সমাজের বসবাসকারী সকলের সার্বিক কল্যানে এবং উন্নতির মাধ্যমে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের শিশুরা দারিদ্রতার কারণে অবহেলিত। পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষের জন্ম পূর্ববর্তীতে মায়ের অসতর্কতার কারণে বা জন্ম পরবর্তী কোন কারণে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু হয়ে জন্মে।

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু একটি ব্যাপক অর্থ নির্দেশক শব্দ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর গড় মান সাধারন মানুষের থেকে বেশী হয় আবার কমও হয়। অর্থাৎ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলতে বুদ্ধির দিক থেকে মেধাবী এবং গুরুতরভাবে প্রতিবন্ধী শিশু উভয়কে বুঝায়। এই দুই ধরনের শিশুর ক্ষেত্রে বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

    'বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু' সংজ্ঞা:

    যে সকল শিশুর ইন্দ্রিয় ক্ষমতা বুদ্ধি বা শারীরিক ক্ষমতা এতটাই ভিন্ন যে কারণে তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা বা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রয়োজন হয়। সেই সকল শিশুকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলে।

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলতে সেই সব শিশুদের বুঝায় সমবয়স্কদের তুলনায় যাদের বুদ্ধি সংবেদন, শারীরিক বৈশিষ্ট্য, ভাব বিনিময় ক্ষমতা ও সামাজিক দক্ষতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাত্রার কম বা বেশী হয় তাকেই ব্যতিক্রমী শিশু বলে আখ্যায়িত করা হয়। অর্থাৎ যারা সাধারণর বাইরে তারাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ।

    বুদ্ধাংকের দিক থেকে বলা যায় যাদের বুদ্ধাংক ৭৫ এর নিচে এবং ১২০ এর উপরে বা বাইরে তারাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু।

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু লক্ষনাবলী :

    ১। বুদ্ধি :

    সাধারন শিশুদের তুলনায় বুদ্ধিমত্তা গড় মানের চেয়ে কম বা বেশি হয়।

    ২। সংবেদনঃ

    সংবেদন ক্ষমতার পার্থক্য হয়, এর মধ্যে যেমন চোখ ও কান প্রধান আবার তেমন শোনার ও দেখার পার্থক্য হয়।

    ৩। ভাববিনিময়ঃ

    ভাববিনিময় করার ক্ষেত্রে পার্থক্য হয়।

    ৪। আচরনগত পার্থক্যঃ

    আচরনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী শিশুর মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।

    ৫। শারীরিক ক্ষমতাঃ

    শারীরিক নড়াচড়া অর্থাৎ অঙ্গ সঞ্চালন দক্ষতার অক্ষমতা। ইচ্ছামত নড়াচড়া করতে পারে না।

    ৬। সামাজিক দক্ষতাঃ

    সামাজিক দক্ষতার ক্ষেত্রে অক্ষম হয় বা পার্থক্য দেখা যায়।

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বৈশিষ্ট্য :

    ১। অনগ্রসর শিশু প্রধানত পরীক্ষায় কম নম্বর পায়। শ্রেণীতে চুপচাপ থাকে এবং সাধারণ সংশোধনের ব্যাপারেও ধীরগতি প্রদর্শন করে।

    ২। মানসিক ভাবে অনগ্রসরদের অভিযোজন ক্ষমতা কম হয়। নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কোন সক্রিয়তা থাকে না।

    ৩। সাধারন ভাবে কোন পাঠ শিখতে যতটুকু সময় লাগার কথা তার চেয়ে বেশী সময় লাগে অথচ কিছু না বুঝলে অপরের সাহায্য গ্রহনেও ততটা আগ্রহ দেখায় না।

    ৪। ব্যতিক্রমী ছেলে-মেয়েরা সাধারন ও স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠে। তবে একটু বড় হবার সাথে সাথে অপরের তুলনায় তাদের গ্রহন ক্ষমতা, কর্মক্ষমতা, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা কম হতে দেখা যায়।

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর প্রকারভেদ :

    বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন -

    (১) প্রতিভাবান শিশু,

    (২) প্রতিবন্ধী শিশু।

    নিচের চার্টের মাধ্যমে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর শ্রেনী বিভাগ তুলে ধরা হলো :

    শিশুর আইকিউ

    ‘ইন্টেলিজেন্ট কৌশেনট’কে সংক্ষেপে ‘আইকিউ’ নামে অভিহিত করা হয়। জার্মান সাইকোলজিস্ট উইলিয়াম স্টার্ন ১৯১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন। কারও বুদ্ধির মাত্রা নিরূপণের জন্য আইকিউ স্কোর নির্ণয় করা হয়। এ জন্য নানা ধরনের মানসম্মত টেস্ট আছে। এর যেকোনো একটি ধরে আইকিউ স্কোর করে নেওয়া হয়। আসলে একটি ফর্মুলার ভিত্তিতেই আইকিউ মাপা হয়।

    আইকিউ: ১০০ – মন-বয়স/স্বাভাবিক বয়স

    তবে সারা জীবন একই আইকিউ বহাল রেখে একজন জীবন কাটাতে পারবে এর কোনো স্থির নিশ্চয়তা নেই।

    শিশুর বুদ্ধি বিকাশে নানা প্রভাব:

    আইকিউ নির্ধারণে যেসব ফ্যাক্টর ভূমিকা রাখে:

    *সাধারণ বুদ্ধিমত্তা*মানসিক প্রতিবন্ধিত্ব*বংশগত*পারিবারিক প্রতিবেশ*গর্ভাবস্থায় শিশুভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশের সুবিধা-অসুবিধা*পুষ্টি*লিঙ্গ*জাতিগোষ্ঠী প্রভৃতি।

    শিশু কীভাবে দক্ষতা অর্জন করে:

    শিশু যখন কোনো বিষয়ে নৈপুণ্য অর্জন করে, তা নানা ধাপ বেয়ে তবেই অর্জিত হয়। যেমন, ১. কৌতূহল থেকে নতুন কিছু চেনা। ২. নতুন চেনা থেকে নতুন আবিষ্কার। ৩.আবিষ্কার করে আনন্দ।৪. আনন্দ পুনঃপুনঃ কর্ম-প্রচেষ্টায় উদ্দীপনা আনে। ৫.পুনঃপুনঃ সম্পাদনা নিয়ে আসে দক্ষতা ও পারঙ্গমতা। ৬. পারঙ্গমতা নতুন দক্ষতার সূত্রপাত ঘটায়। ৭. নতুন দক্ষতা জন্ম দেয় আত্মবিশ্বাসের। ৮. আত্মবিশ্বাস নিজেকে পরখ করার, যাচাইয়ের সুবিধা এনে দেয়। ৯. নিজের ওপর আস্থা ও নিরাপত্তার ভিত খুঁজে পায়। ১০. এ ধরনের নিরাপত্তা, সুরক্ষা আরও সৃজনশীলতা এবং আরও নতুনের খোঁজে উদ্যম আনে। ১১.নিজের নতুন সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে ওঠে শিশু, বেড়ে ওঠে সে বিকাশের উচ্ছল প্রাণরসে।

    নার্সারি বয়সের শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত না হলে সে এসবে পারদর্শিতা দেখাতে পারে:

    ১.নিজের নাম বলতে পারে। বলতে পারে পরিবারের সদস্যদের নাম।

    ২.উচ্চারণে ও ভাবভঙ্গি নিয়ে ছড়া আবৃত্তি করতে সক্ষম।

    ৩. শিশু গানে ও ছড়ার সুরে কণ্ঠ মেলাতে পারে।

    ৪. নিয়মনীতি মেনে খেলাধুলার আনন্দে অংশ নেয়।

    ৫. শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম জানাতে পারে।

    ৬. বিভিন্ন ছবির দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে গল্পের কাঠামো গড়ে নেয়।

    ৭. নিজের মতো করে নানা গল্প রচনা করে।

    ৮. প্রকৃতি বর্ণনায় সিদ্ধ; যেমন, ফুল, ফল, পাখি, পশু, গাছপালা চেনে এবং এসব সম্পর্কে বলতে পারে।

    ১০. অঙ্ক করার পূর্বধাপ হিসেবে ছোট-বড়, কম-বেশি—এসব বোঝাতে সক্ষম।

    ১১. ১ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা গুনতে পারে।

    ১২. সহজ প্রশ্নের উত্তরদানে সমর্থ, তা যদি তার পরিচিত ভুবনের হয়।

    ১৩.ছোটখাটো নির্দেশনা মেনে চলতে সমর্থ।

    ১৪.নিজে নিজে কাজ করে সৃষ্টিশীলতা প্রদর্শনের চেষ্টা করে।

    ১৫,কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়, তা শিখে যায়।

    ১৬.খেলা শেষে খেলার সরঞ্জাম গুছিয়ে রাখতে সক্ষম।

    ১৭.কতগুলো সামাজিক আচার-ব্যবহার শিখে নেয়; যেমন অভ্যর্থনা জানানো, বড়দের সম্মান দেখানো, ধন্যবাদ জ্ঞাপন ইত্যাদি।

    ১৮.রাগ, আনন্দ-বেদনা—এসব ভাবাবেগের অনুভূতিও প্রকাশ করতে পারে শিশু।

    সূত্র : www.somewhereinblog.net

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 26 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন