সমাজ বিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে সমাজ বিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর পান।
সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। – TopSuggestion Bangladesh Limited
Skip to content
TopSuggestion Bangladesh Limited
All Exam Suggestion And News
ডিগ্রী সকল বইপ্রশ্নের উত্তর
সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।
January 12, 2023 sahajamal khan 0 Comments ডিগ্রী সকল বইয়ের প্রশ্নের উত্তর
অথবা, সমাজের সদস্য হিসেবে সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরা৷ ভূমিকা : সমাজবিজ্ঞান মানুষের সামাজিক কর্মকাণ্ডের বিজ্ঞান। সমাজবিজ্ঞানে মানুষের দলগত আচরণ ও পারস্পরিক কার্যকলাপ সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে পাঠ করা হয়। কিভাবে মানুষের সমাজে নানাবিধ সংঘের বিকাশ ঘটেছে এবং কিভাবে সমাজের ভিতর পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এসবই সমাজবিজ্ঞানের আলোচ্যবিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। বস্তুত গোটা সামাজিক সম্পর্কটাই সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যবস্তু ।
সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা : সমাজবিজ্ঞান যেহেতু সমাজকাঠামো তথা ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের পারস্পরিক সম্পর্ক, ভূমিকা ও কার্যাবলি সম্পর্কে সমালোচনা করে সেহেতু সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। নিম্নে সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হলো :
১. মানবসমাজ সম্পর্কিত জ্ঞানের উৎস : সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে মানুষ তার সমাজ ও সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হওয়ার সুযোগ পায়। কেননা সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গের আশপাশের বিষয়াদি হলো সমাজতত্ত্বের আলোচ্যবিষয়। সমাজতত্ত্ব হলো মানবসমাজ ও সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গের বিষয়ে যাবতীয় জ্ঞানের নির্ভরযোগ্য উৎস। এসব বিষয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সামাজিক সংগঠন, সামাজিক সমস্যা, সামাজিক রীতিনীতি, মানব সংস্কৃতি প্রভৃতি।
২. সমাজের মানুষ সম্পর্কে জানা : সমাজে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে হলে শুধু সমাজ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলে চলবে না, সমাজের মানুষ তথা তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি, আচার আচরণ, রীতিনীতি, চালচলন তথা জীবনপ্রণালী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হবে। কারণ সমাজবিজ্ঞান মানুষ এবং মানুষের জীবনপ্রণালী সম্পর্কে আলোচনা, পর্যালোচনা ও গবেষণা করে থাকে। তাই সমাজের মানুষ সম্পর্কে জানতে হলে সমাজবিজ্ঞান পাঠ অত্যাবশ্যক।
৩. সমাজের বাস্তবতা অনুধাবনে : সমাজবিজ্ঞান সমাজের বাস্তবতা অনুধাবনে সাহায্য করে। তাই এর পাঠের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কেননা যে সমাজে আমরা বাস করি সে সমাজ সম্পর্কে বাস্তব তথা পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞানভিত্তিক ধারণা ছাড়া আমাদের সামাজিক জীবন থাকবে অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ।
৪. সমাজকাঠামো জানতে : সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম মৌল প্রত্যয় বা কেন্দ্রীয় প্রত্যয় হচ্ছে সমাজকাঠামো। সমাজকাঠামোর পরিবর্তন ও বিকাশ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করতে হলে সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
৫. সামাজিক শ্রেণি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ : প্রত্যেক সমাজে বিভিন্ন শ্রেণি বা গোষ্ঠীর লোক বাস করে। সমাজের এসব গোষ্ঠী বা শ্রেণির মধ্যকার সম্পর্ক, উৎপাদন যন্ত্রের সাথে তাদের সম্পর্ক, ভূমিকা বা অবদান এবং অধিকার সম্পর্কে জানতে হলে সমাজবিজ্ঞান পাঠ করা আবশ্যক। কেননা সমাজতত্ত্বে এসব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়ে থাকে।
৬. ভাবের আদানপ্রদান বৃদ্ধিতে : সমাজবিজ্ঞান বিশ্বের বিভিন্ন সমাজ ও জাতির মধ্যে ভাবের আদানপ্রদান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কেননা সমাজবিজ্ঞান পাঠে আমরা দেশ বিদেশের বিভিন্ন সমাজ, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠী সম্পর্কে জানতে পারি। এতে পারস্পরিক ভাবের আদানপ্রদানের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
৭. সমাজের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানতে : সভ্যতার ক্রমবিকাশের মধ্য দিয়ে সমাজ সর্বদাই পরিবর্তিত হচ্ছে। এ পরিবর্তনশীল সমাজের গতিপ্রকৃতি ও কারণ সম্পর্কে অবগত হয়ে ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত জীবনে সুদূরপ্রসারী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।
৮. পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে : পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান অপরিহার্য। মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রায় ক্ষেত্রেই দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষমূলক। যেহেতু সমাজবিজ্ঞান মানব সম্পর্ক অধ্যয়নের বিজ্ঞান, সেহেতু সমাজবিজ্ঞান পাঠে আমরা মানব সম্পর্কের প্রকৃতি ও সম্পর্ক উন্নয়নের দিকনির্দেশনা পাই। অধ্যাপক বিদ্যাভূষণ ও
সচদেব এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, “Sociology had drawn our attention to the intrinsic worth and dignity of man.”
৯. সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ : সমাজতত্ত্বে মানুষের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়ে থাকে। কোন ধরনের কর্ম সম্পাদন করলে সমাজের উন্নয়ন হবে এবং কোনটা করলে ক্ষতি হবে সে সম্পর্কে সমাজবিজ্ঞানে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রদত্ত থাকে। তাই মানুষকে সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হলে
সমাজবিজ্ঞান পাঠ করা প্রয়োজন।
১০. সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে জানতে : বিজ্ঞানের উন্নতি আর প্রগতির সাথে সাথে মানবসমাজের জটিলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমাজে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ সমস্যাসমূহ জানতে হলে সমাজবিজ্ঞান পাঠ অপরিহার্য।
১১. সমাজের অস্থিরতা নিরসনে : সমাজের অস্থিরতা এবং দ্বন্দ্ব সংঘাত নিরসনে সমাজবিজ্ঞান বিশেষ অবদান রাখতে পারে। উন্নত বিশ্বে সমাজবিজ্ঞানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে Advocacy group তৈরি করা হয়। এ Group এর কাজ দ্বন্দ্ব মীমাংসায় মধ্যস্থতা করা।
১২. সামাজিক সমস্যার সমাধানে : সমাজে ক্রমবর্ধমান সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করার পরে এগুলোর সমাধান নিশ্চিতকরণের জন্য সমাজবিজ্ঞান বিভিন্ন গবেষণা পরিচালনা করে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। তাই সামাজিক
সমস্যাসমূহের সমাধানে সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার শেষে বলা যায় যে, সমাজবিজ্ঞান হচ্ছে সমাজ সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক বা “বস্তুনিষ্ঠ অধ্যয়ন। সামাজিক উন্নতি বিধানে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান অপরিহার্য। সময়ের তালে কালের বিবর্তনে সমাজ পরিবর্তিত হচ্ছে। সর্বোপরি বর্তমান সমাজের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় তথা মানুষের যাবতীয় মানবীয় আচরণ সম্পর্কে জানতে হলে সমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও উপকারিতা অনস্বীকার্য।
পরবর্তী পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে হোয়াটস্যাপ করুন: 01979786079
← সমাজবিজ্ঞান কিভাবে একটি মূল্যবোধ নিরপেক্ষ বিজ্ঞান”–? আলোচনা কর ।
সমাজবিজ্ঞানের পাঠের প্রয়োজনীয়তা কি কি, ব্যাখ্যা কর
সামাজিক, ধর্ম কেন্দিক, প্রতিষ্ঠানিক ইত্যাদি বৈষম্য সম্পর্কে জানার মধ্য দিয়ে সেই বৈষম্যগুলো কীভাবে সমাজ থেকে নিমিষ করা যায়, তা কেবল সমাজবিজ্ঞান শিখায়।
সমাজবিজ্ঞানের পাঠের প্রয়োজনীয়তা কি কি, ব্যাখ্যা কর
School Of Beginners জুলাই ৩০, ২০২২
সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যাসহ
সমাজবিজ্ঞান হচ্ছে এমন এক বিজ্ঞান যা সমাজের সাথে সম্পর্কিত সকল বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করে । যেমনঃ সমাজের উৎপত্তি, বিকাশ, ধারা, গতি-প্রকৃতি ইত্যাদি এগুলো সমাজ বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। যেহেতু সমাজবিজ্ঞান সমাজের সকল গঠনপ্রণালী নিয়ে আলাপ আলোচনা করে সেহেতু সমাজের সচেতন ব্যক্তি হিসেবে সমাজবিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সমাজের অতীত ইতিহাস, বর্তমানের গতিধারা এবং সমাজের কার্যাবলী সম্পর্কে জানতে পারে। কোন সমাজকে বুঝতে হলে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। সমাজবিজ্ঞান একজন ব্যাক্তিকে শেখায় যে সমাজের সকল মানুষের মতামত কখনও এক হয় না এবং চির সত্য বলে কিছু নেই। সমাজবিজ্ঞান বলে, এক সমাজে যেইটা সত্য অন্য সমাজে হয়তো নয়, এই যে সত্য মিথ্যার এই প্রভেদ এটা মানবসৃষ্ট, মানুষ যেটাকে সত্য বলে গ্রহন করেছে তাই সত্য। যার ফলে এক সমাজের মানুষ আরেক সমাজের মানুষদের উপর শ্রেষ্টত্যের দাবী করতে পারে না, এই সমতার বাণীই সমাজবিজ্ঞান শেখায়। একজন শুদ্ধতম মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সমাজবিজ্ঞান সাহায্য করে থাকে।সমাজবিজ্ঞান শেখায়, কি করে অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে হয়, কেনই বা করতে হয়। বর্তমান বিশ্বের, এই অসহিষ্ণু সময়ে তাই সমাজবিজ্ঞান পাঠ অতীব জরুরি।
এছাড়াও সমাজ কিভাবে ফাংশন করে, কিভাবে সমাজিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, কিভাবেই বা সামাজিক পরিবর্তন ঘটে এসব কিছুই জানা যায় সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে। সমাজে চালু থাকা Class differentiation বা শ্রেণী বিভাজন বুঝতে, এবং শ্রেণী বিভাজনের ফলে সৃষ্ট জুলুম ও বৈষম্যকে রুখতে সমাজবিজ্ঞান পাঠ অপরিহার্য।
নিজেদের চারদিকে যা কিছু ঘটছে এর mechanism টা যদি বুঝতে চান, যদি বুঝতে চান কি করে মানুষ এবং মানবীয় সংগঠন, সংস্থা, এবং মানব সৃষ্ট সিস্টেমগুলো কি করে পরিচালিত হয়, কারা এসব করে, কারা লাভবান কারাই বা এসব কিছুর যাঁতাকলে পিষ্ট হয় এসব কিছু জানতে হলে, বুঝতে হলে, পরিবর্তনের পথিকৃৎ হতে হলে সমাজবিজ্ঞানে আসতে হবে, সমাজবিজ্ঞান বুঝতে হবে, এবং অবশ্যই হৃদয়ঙ্গম করতে হবে। সমাজবিজ্ঞানের পাঠের প্রয়োজনীয়তা কি কি হতে পারে তা নিচে বর্ণনা করা হল।
সমাজবিজ্ঞান পাঠের মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়।
সামাজিক, ধর্ম কেন্দিক, প্রতিষ্ঠানিক ইত্যাদি বৈষম্য সম্পর্কে জানার মধ্য দিয়ে সেই বৈষম্যগুলো কীভাবে সমাজ থেকে নিমিষ করা যায়, তা কেবল সমাজবিজ্ঞান শিখায়।
একজন ভালো নাগরিক সমাজে গড়ে উঠার পিছনে সমাজবিজ্ঞানের পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
মানব সমাজের গঠন প্রকৃতি, নীতিমালা এবং বিবিধ তথ্য সমাজবিজ্ঞান জানায়।
সামাজিক জীবনে সমতা প্রতিষ্ঠা এবং সমতা বজায় রাখার জন্য সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান থাকে অপরিহার্য।
Related Posts:
সমাজবিজ্ঞানে সামাজিক বৈষম্য কি এবং কত প্রকার
সমাজ কি, কাকে বলে, কত প্রকার এবং সমাজের উপাদান ও বৈশিষ্...
সমাজবিজ্ঞান কি, কাকে বলে এবং সমাজবিজ্ঞানকে কেন বিজ্ঞান ...
সমাজবিজ্ঞানের উৎপত্তি ও বিকাশ এবং পটভূমি আলোচনাসহ ব্যাখ...
Tags: সমাজবিজ্ঞান নবীনতর পূর্বতন
সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধি সম্পর্কিত আলোচনা থেকে সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অনেকটাই বোঝা যায়। সমাজবিজ্ঞান যেহেতু
Sociology
সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
written by TRI September 18, 2022
সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা
সমাজবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধি সম্পর্কিত আলোচনা থেকে সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অনেকটাই বোঝা যায়। সমাজবিজ্ঞান যেহেতু সমাজকাঠামো তথা ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক, ভূমিকা ও কার্যাবলি সম্পর্কে পাঠ করে, সেহেতু সমাজবিজ্ঞান পাঠে যে কোনো কৌতুহলী পাঠক সমাজ সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করতে পারবে।
নিচের আলোচনার দ্বারা সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হলো-
সমাজ সম্পর্কে জানতে
সমাজ ছাড়া মানুষ বসবাস করতে পারে না। প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী এফ এইচ বলেন, ‘মানুষ নিয়েই সমাজ, মানুষ পরস্পরের সাথে যৌথভাবে মিলেমিশে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যদি ঐক্যবদ্ধ হয় বা কোনো সংগঠন গড়ে তোলে তবে তাকে সমাজ বলে।’ আর এ সমাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান অপরিহার্য।
সম্প্রদায় সম্পর্কে জানতে
সম্প্রদায় হচ্ছে রীতিনীতি, আচার-ব্যবহার, ধর্ম, ভাষা ও অন্যান্য সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ একই এলাকায় বসবাসকারী জনসমষ্টি। যেমন- বাঙালি সম্প্রদায়, মুসলিম সম্প্রদায়, হিন্দু সম্প্রদায় ইত্যাদি। যদিও বাংলাদেশে সম্প্রদায়ের সাথে ধর্মীয়বোধ যুক্ত তবে তা সমাজবিজ্ঞানসম্মত নয়। সমাজবিজ্ঞানীরা সামাজিক ব্যাখ্যায় সম্প্রদায়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। সমাজবিজ্ঞান পাঠের দ্বারা সম্প্রদায় সম্পর্কে গভীরভাবে জানা যায়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানের মধ্যকার সম্পর্ক আলোচনা করসংঘ সম্পর্কে জানতে
সুনির্দিষ্ট কোনো এক বা একাধিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হয়ে যখন কিছু সংখ্যক লোক সমষ্টিবদ্ধ হয় তখন তাকে সংঘ বা সমিতি বলে। যেমন- ট্রেড ইউনিয়ন, ফুটবল ক্লাব, ক্রিকেট দল, রাজনৈতিক দল, শিক্ষক সমিতি ইত্যাদি। সামাজিক মানুষ সমাজে সংঘ বা সমিতির মাধ্যমে নানা উদ্দেশ্য সাধন করে। যেমন- ফুটবল খেলোয়াড়গণ ফুটবল ক্লাবের সদস্যভুক্ত হয়ে তাদের খেলাধুলার উদ্দেশ্য সাধন করে। এ সংঘ বা সমিতির ব্যাপক আলোচনা একমাত্র সমাজবিজ্ঞানেই হয়ে থাকে।
সামাজিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে
সামাজিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি যখন পালন করা অলঙ্ঘনীয় ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তখন তাকে প্রতিষ্ঠান বলে। সমাজের বৈচিত্র্য ও জটিলতা সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামাজিক গঠনমূলক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, মনস্তাত্ত্বিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার জন্য সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান আবশ্যক।
সমাজ কাঠামো সম্পর্কে জানতে
সমাজকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার প্রয়োজনে গড়ে উঠেছে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। আর এ প্রতিষ্ঠানের দ্বারা গড়ে উঠেছে সুষ্ঠু মানব প্রক্রিয়া যাকে সমাজ বলা হয়। সমাজের এসব প্রতিষ্ঠানকে একত্রে সমাজ কাঠামো বলে। বস্তুতপক্ষে এগুলোই হচ্ছে সমাজকাঠামো যার মাধ্যমে সমাজ টিকে থাকে। এ বিষয়ে ধারণা পেতে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান আহরণ অপরিহার্য।
সামাজিক স্তরবিন্যাস সম্পর্কে ধারণা পেতে
সমাজে বসবাসরত মানুষের মধ্যে যে উঁচু-নীচু ভেদাভেদ তাই সামাজিক স্তরবিন্যাস। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী, পদমর্যাদা, সামাজিক উঁচু-নীচু ভেদাভেদ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান একান্ত জরুরি।
সামাজিক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানতে
সমাজকে সুসংবদ্ধ ও সুশৃঙ্খলভাবে টিকিয়ে রাখতে কতকগুলো রীতিনীতি ও আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজস্থ মানুষের কার্যকলাপকে পরিচালনা করতে হয়। যখন ব্যক্তি বা সমষ্টির আচার-আচরণের ওপর সমাজের এরুপ চাপ আরোপিত হয় তখন একে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বলে। এ সম্পর্কে জানার জন্য সমাজ গবেষক ও শিক্ষার্থীসহ সকলকে সমাজবিজ্ঞানের দ্বারস্থ হতে হয়।
সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে জানতে
সামাজিক সমস্য সম্পর্কে জানতেও সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের উন্নতি আর উৎকর্ষতার সাথে সাথে মানব সমাজের জটিলতা বৃদ্ধির ফলে সমাজে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সমাজবিজ্ঞানীগণ এ সকল সমস্যার কারণ প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে থাকেন- যা একমাত্র সমাজবিজ্ঞানের দ্বারাই জানা সম্ভবপর হয়।
সামাজিক পরিবর্তন এর গতি-প্রকৃতি জানতে
মানবসমাজ পরিবর্তনশীল। যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর সমাজব্যবস্থা, রীতিনীতি ও চিন্তাধারা যেরুপ ছিল আজ তার পরিবর্তন হয়েছে। অর্থনৈতিক জীবনধারা পরিবর্তনের সাথে সাথে তার সামাজিক আচারবিধি, রীতিনীতি ও চিন্তাধারারও পরিবর্তন হয়েছে। এ ব্যাপারে সূক্ষ্মভাবে জানার জন্য শিক্ষার্থীদের সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জন আবশ্যক।
সামাজিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে
সামাজিক ইতিহাস হলো একটি জাতি বা সম্প্রদায়ের অতীতের নির্দিষ্ট সময়ের সমাজব্যবস্থার পূর্ণ বিবরণ। ভবিষ্যতে সমাজকে সুষ্ঠুভাবে গড়ে তুলতে হলে অতীতের মানব গোষ্ঠীর অভিজ্ঞতা, আইন-কানুন, রীতি-নীতি জানা দরকার। তাই এক্ষেত্রে সামাজিক ইতিহাসের জ্ঞান খুবই জরুরি।
বাংলাদেশে সমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তাসমাজবিজ্ঞান পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাসমাজবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর
0 comment 0
TRI
previous post
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আলোচনা কর
next post
সুযোগ ব্যয় কি? সুযোগ ব্যয় এর উদাহরণ দাও।
RELATED POSTS
বর্তমান বিশ্বে রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রবণতা কমছে – ব্যাখ্যা...
November 14, 2022
সংবিধানের প্রস্তাবনা কি? বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা কয়টি ও কি কি?
October 29, 2022
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমস্যাগুলো কি কি? এ সরকার বাতিল করার পেছনে...
October 27, 2022
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?