if you want to remove an article from website contact us from top.

    সামাজিক ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে সামাজিক ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর পান।

    রচনা : ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা

    অনুচ্ছেদ রচনা, রচনার পয়েন্ট, roconar point, For Class 5,6,7,8,9,10,11,12, পঞ্চম শ্রেণির জন্য, অষ্টম শ্রেণির জন্য, নবম-দশম শ্রেণির জন্য, For JSC, For SSC, For HSC

    রচনা : ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা

    ভূমিকা :

    -রবীন্দ্রনাথ

    ইতিহাস স্তব্ধ অতীন নয়। ইতিহাস চির-মুখর। যুগ-যুগান্তর ধরে মানব-সভ্যতার চলমান জীবনধারাই ইতিহাস। সেই চক্রতীর্থের পথে পথে ছড়িয়ে আছে কত শত ভাঙা-গড়ার ইতিহাসের অর্ধলুপ্ত অবশেষ। কত রক্ত-রঞ্জিত দৃশ্যপটের পরিবর্তন। কত নিশীথকালে দুঃস্বপ্ন-কাহিনী। কত উত্থান-পতন, কত চেষ্টার তরঙ্গ, কত সামাজিক বিবর্তন। আজ যা বর্তমান, কালই তা অতীত। ইতিহাস ত্রি-কাল-সূত্রে গ্রথিত। ইতিহাস তো অতীতেরই সত্য-স্বরূপ উদ্ঘাটন, এক অনন্ত মানব-জীবন প্রবাহের অনির্বাণ দীপ-শিখা। ইতিহাস অতীতের অভিজ্ঞতা, বর্তমানের সাধনা, ভবিষ্যতের ইঙ্গিত। ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা মানবসমাজের শুরু থেকে তার যাবতীয় কর্মকাণ্ড, চিন্তা-চেতনা ও জীবনযাত্রার অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারি। ইতিহাসকে মানব জাতির দর্পণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    ইতিহাসের সংজ্ঞা : ঘটনার নিরন্তর সত্যানুসন্ধানই হচ্ছে ইতিহাস। একবিংশ শতাব্দীর সন্ধিক্ষণে মানবজাতি আজ সভ্যতার স্বর্ণশিখরে পদার্পণ করেছে। কিন্তু চিরঅনুসন্ধিৎসু আজকের মানুষ জানতে চায় তার পূর্ববর্তী সহস্র বছরের ইতিকথা, ঘটনা প্রবাহ। বস্তুত মানবহৃদয়ের চিরন্তন এ কৌতূহলের জবাবই ইতিহাস।

    ইতিহাসের মূল বাণীই হর চলমানতা। শুধু অতীতের স্তূপীকৃত ঘটনার আদ্যন্ত বিবরণই ইতিহাস নয়। সন-তারিখ-কণ্টকিত খণ্ড-বিচ্ছিন্ন রাজা বা রাজ্যের ভাঙা গড়ার তথা বিবৃতিও ইতিহাস নয়; নয় রাজা-মহারাজার জন্ম-মৃত্যুর নিছক তথ্য উদ্ঘাটন। ইতিহাস মানুষের ধারাবাহিক জীবন-প্রবাহ। যুগ-যুগান্তরব্যাপী অসংখ্য মানুষের ক্রম-বিবর্তনের চলচ্চিত্রই ইতিহাস। সভ্যতার যে ঊষাকাল থেকে মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং সেই যাত্রাপথে সমাজ সংস্কৃতি রাজনীতি অর্থনীতির যে ক্রম-পরিণতি, যা বর্তমানে প্রসারিত, ভবিষ্যতের পথ-নির্দেশ এবং যে চলার কেবলই নব নব উত্তরণ, তাই হলো মানুষের ধারাবাহিক ইতিহাস। ইতিহাসের মধ্যেই রয়েছে মানুষের স্বপ্ন, সাধনা এবং সিদ্ধি। ইতিহাসের কাছেই মানুষের মহাদীক্ষা। ইতিহাসই মানুষের এক মহৎ উত্তরাধিকার। মেইটল্যান্ডের ভাষায়:

    ইতিহাস স্থান ও কালের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজবদ্ধ মানব-প্রকৃতির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ। ইতিহাসকে নিয়ে কত ইতিহাসবিদ্ কতভাবে যে সংজ্ঞায়িত করেছেন তার কোনো ইয়ত্তা নেই, উনিশ শতকে জার্মান ঐতিহাসিক লিওপোল্ড ফন্ র‌্যাংকে বলেন,

    র‌্যাপসনের মতে, ই.এইচ.কার-এর মতে, চলতি অর্থে

    ইতিহাসের বিষয়বস্তু : ইতিহাসের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষ ও তার সমাজ। মানুষ ও সমাজকে কেন্দ্র করে সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশ, পরিবর্তন ও পতনের ধারাবাহিক ঘটনাবলিই ইতিহাসের মূল বিষয়বস্তু। তবে ঘটে যাওয়া সকল কর্মকান্ডই ইতিহাসে স্থান পায় না বরং যে সব ঘটনা বা বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য বা বিজ্ঞানভিত্তিক বলে মনে হয়, তা-ই ইতিহাস। ইতিহাসের বিষয়বস্তুসমূহ নিম্নরূপ:১। মানুষ, সমাজ ও তার পারিপার্শ্বিকতা : ইতিহাসের অন্যতম বিষয়বস্তু হল মানবজীবনের বিকাশের ধারাবিবরণী, অর্থাৎ মানবসমাজের বিবর্তনপ্রক্রিয়া ইতিহাসের একটি অন্যতম বিষয়বস্তু হিসেবে বিবেচিত।২। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড : জীবন্যধারণের প্রধান অবলম্বন হচ্ছে খাদ্য। কালক্রমে মানুষ প্রকৃতির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে খাদ্য নির্বাচনে অগ্রসর হয় এবং সফল হয খাদ্য উৎপাদনে। জীবিকার অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করে মানুষ উদ্বৃত্ত উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে এবং গড়ে তুলেছে গ্রাম, গ্রাম থেকে নগর, নগর থেকে রাজ্য এবং রাজ্য থেকে সাম্রাজ্য। মানুষের এ অগ্রগতিকে জয়যাত্রা এবং ব্যর্থতা সবকিছুই ইতিহাসের আলোচ্য বিষয়।৩। রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড : রাষ্ট্রের শাসন প্রক্রিয়া, শাসন কাঠামোর ধারাবাহিক উন্নতি, অবনতি সর্বোপরি রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের বিবর্তন ইতিহাসের অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু।৪। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড : সমাজে মানুষের দৈনন্দিন আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতিই হচ্ছে তার সংস্কৃতি। ইতিহাস একটি জাতির ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে। সুতরাং শিক্ষা-সংস্কৃতি ইতিহাসের মূল বিষয়বস্তু হিসেবে পরিগণিত।ইতিহাস-পাঠের প্রয়োজনীয়তা : একটি দেশের প্রতিটি সুনাগরিক তথা সচেতন লোক মাত্রই ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নিচে ইতিহাস পাঠের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় উপস্থাপন করা হল-১। মানবসভ্যতা ও সভ্যতার বিকাশ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা : ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে মানুষ সমাজের শুরু থেকে তার যাবতীয় কর্মকাণ্ড চিন্তা-চেতনা ও জীবনযাত্রার অগ্রগতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে পারে। কেননা ইতিহাসের প্রধান উপজীব্য বিষয় হয় মানবসমাজের অগ্রগতির ধারা বর্ণনা করা।২। জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে : ইতিহাস আমাদের অতীত সম্পর্কে জানিয়ে দিয়ে বর্তমানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা করে বলে, সঠিক শিক্ষা ও দিকনির্দেশনার জন্য ইতিহাস পাঠের প্রয়েঅজনীয়তা রয়েছে।৩। জাতীয় চেতনার বিকাশ : একটি জাতির ঐতিহ্য ও অতীত গৌরবান্বিত ইতিহাস ঐ জাতিকে বর্তমানের মর্যাদাপূর্ণ কর্মতৎপরতায় উদ্দীপিত করে বলে জাতীয় চেতনার উন্মেষের ক্ষেত্রে ইতিহাস পাঠের কোনো বিকল্প নেই। তাই আজ আত্মপরিচয়ের সংকটের লগ্নে ইতিহাস পাঠ আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।৪। জাতীয় পরিচয় : যে কোনো জাতীয় জাতিয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে জাতীয়তাবোধ গড়ে ওঠে যা দেশ ও সমাজের উন্নতি তথা দেশপ্রেমের জন্য একান্ত অপরিহার্য। তাই জাতীয় পরিচয়ের ক্ষেত্রে ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।৫। বর্তমান ও ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণে : বর্তমানে ঐতিহাসিক ঘটনার সঠিক আলোচনার ফলে ইতিহাস বন্ধনমুক্ত ও সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে। আর এ মুক্ত ইতিহাস আমাদের অতীত সময়ের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করে এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণে সাহায্য করে।৬। জাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মূল্যকে সংরক্ষণ করে : ইতিহাস একটি জাতির ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মূল্যকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে। সমাজ ও জাতির অগ্রগতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছুতে ইতিহাস জ্ঞান সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। একই সাথে ইতিহাস জ্ঞান আমারদের গর্বিত করে তুলতে পারে অতীত ঐতিহ্যের প্রতি। এর ফলে আমরা উদ্দীপিত হতে পারি জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যেকে সমুন্নত রাখার একান্ত প্রত্যাশায়।ইতিহাস রচনার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি : ইতিহাস যেখানে জাতির পথ-প্রদর্শক, সেখানে ইতিহাস রচনার গুরুত্ব ও দায়িত্ব অনেক বেশি। অতীতের ভুল-ভ্রান্তি ইতিহাসের মাধ্যমেই সংশোধন করে নেয় মানুষ। সংগ্রহ করে আগামী দিনের চলার পাথেয়। ইতিহাসবিহীন জাতি বিশাল তরঙ্গক্ষুব্ধ সমুদ্রে হালহীন নাবিকের মতোই অসহায়, শঙ্কিত-হৃদয়। শাশ্বত সত্য সন্ধানই ইতিহাসের লক্ষ্য। যথার্থই, যে জাতির ইতিহাস নেই তার বর্তমান খন্ডিত, ভবিষ্যৎ কুয়াশাচ্ছন্ন, সম্ভাবনাহীন। ইতিহাসকে হতে হবে তথ্যনির্ভর, যুক্তিনিষ্ঠ। ক্ষুরধার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণেই ইতিহাসের শাণিত দীপ্তি। সত্যের ছদ্মবেশে মিথ্যার বিভ্রান্তি সৃষ্টি, ইতিহাস রচনার পরিপন্থি। বাস্তব ঘটনাবলিকে নিজের মনের রঙে রঞ্জিত না করে যথাযথ উপস্থিত করাই ঐতিহাসিকের কাজ। তাই ঐতিহাসিকের দায়িত্ব অসীম। মানুষের ভাঙা-গড়া, সুখ-দুঃখের জীবনে, জাতীয় দুর্গতি ও দুর্গতি-মোচনে, পরাধীনতার দাসত্বে ও মুক্তিতে কোন্ মহা-শক্তির অঙ্গুলি নির্দেশ, ঐতিহাসিককে সেই সত্যটিই উদ্ঘাটিত করতে হবে। ইতিহাসের মধ্যেই নিহিত থাকে জাতির ভাব-সম্পদ। অথচ যে ভাব-সম্পদে ছিল একদা সমৃদ্ধ, সেই যথার্থ ইতিহাস নেই। আমরা যে ইতিহাস পড়ি তা বিদেশির রচিত ইতিহাস। ফলে, আমরা প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছি না। ঐতিহাসিকের দায়িত্ব মৃত্তিকায় বিচিত্র জীবনস্রোতে মানব মহিমার যে প্রচুর উপাদান বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো রয়েছে, তার উদ্ধার করে যথার্থ জাতীয় ইতিহাস প্রণয়ন।

    সূত্র : www.myallgarbage.com

    সামাজিক ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজনীয়তা আলােচনা কর।

    ভূমিকাঃ সামাজিক ইতিহাস পরিবর্তনশীল সামাজিক সম্পর্ক, সামাজিক অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের বিকাশ, এবং সামাজিক মূল্যবােধের পরিবর্তন ধারা নিয়ে আলােচনা করে। সামা

    সামাজিক ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজনীয়তা আলােচনা কর।

    মে ২০, ২০২২

    প্রশ্নঃ সামাজিক ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজনীয়তা আলােচনা কর।

    অথবা, সামাজিক ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজনীয়তা ও গুরুত্ব আলােচনা কর।ভূমিকাঃ সামাজিক ইতিহাস পরিবর্তনশীল সামাজিক সম্পর্ক, সামাজিক অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের বিকাশ, এবং সামাজিক মূল্যবােধের পরিবর্তন ধারা নিয়ে আলােচনা করে। সামাজিক ইতিহাসের মধ্য দিয়ে মানুষের অতীত জীবনের প্রতিচ্ছবি বর্তমানে মূর্ত হয়ে ওঠে। মানব সমাজের উষালগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সমাজবদ্ধ মানুষের আচার-আচরণ, প্রথা প্রতিষ্ঠান, আর্থ-সামাজিক সংগঠন প্রভৃতির মূর্ত প্রতিচ্ছবি সামাজিক ইতিহাসে ফুটে ওঠে।সামাজিক ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়ােজনীয়তাঃ নিম্নে সামাজিক ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরা হলােঃ(১) অতীত সমাজকে জানতেঃ সমাজ গতিশীল। বর্তমান সহসাই অতীতে পরিণত হয়। এখন যা বর্তমান ক্ষণিকের মধ্যেই তা অতীত। তাই বর্তমান সমাজ সম্পর্কিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ মুহূর্তের মধ্যেই সামাজিক ইতিহাসের মালমসলায় পরিণত হয়। তাই অতীত সমাজকে জানতে হলে সামাজিক ইতিহাস পাঠের প্রয়ােজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম।

    (২) সামাজিক পরিবর্তন ও ক্রমবিকাশ জানতেঃ মানবসমাজ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এক স্তর থেকে অন্য স্তরে বিকাশ লাভ করে। যেমন আদিম সাম্যবাদী সমাজ পরিবর্তিত হয়ে কৃষি সমাজের বিকাশ হয়। সমাজের এ পরিবর্তন ও বিকাশের ধারা সামাজিক ইতিহাসে আলােচিত হয়েছে। তাই সামাজিক পরিবর্তন ও ক্রমবিকাশ জানতে হলে সামাজিক ইতিহাস পাঠ আবশ্যক।

    (৩) সামাজিক কাঠামাে জানতেঃ আধুনিক স্তরে এসে একজন সমাজবিজ্ঞানী যখন বর্তমান সমাজকাঠামাে সম্পর্কে আলােচনা করেন, তখন তাকে বর্তমান সমাজ কাঠামাের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করতে হয়। কেননা বর্তমান সমাজকাঠামাে তথা শ্রেণি সম্পর্ক অতীতের গর্ভেই জন্মলাভ করে। তাই সমাজকাঠামাে সম্পর্কে জানতে হলে সামাজিক ইতিহাস জানতে হবে।

    (৪) অতীত জীবনধারা জানতেঃ অতীত সমাজের কোনাে একটি জাতির জীবনধারা, আচার-আচরণ, প্রথা-প্রতিষ্ঠান, ঐতিহ্য, কৃষ্টি প্রভৃতি সম্পর্কে যুক্তিনির্ভর ও তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে সামাজিক ইতিহাস। তাই অতীত সমাজের জীবনধারা সম্পর্কে জানতে হলে সামাজিক ইতিহাসের মাধ্যমে জানতে হবে।

    (৫) সমাজের পূর্ণ চিত্র জানতেঃ সামাজিক ইতিহাস বলতে সমাজস্থ মানুষের সামাজিক ধর্মীয় রাজনৈতিক ক্রিয়াকর্ম, পরিবর্তনশীল সমাজ কাঠামাে বিশ্বাস ও মূল্যবােধের যুক্তি প্রমাণনির্ভর বিজ্ঞানভিত্তিক অধ্যয়নকে বুঝায়। তাই আমরা যদি বর্তমান সমাজের পূর্ণচিত্র পেতে চাই তাহলে আমাদের সামাজিক ইতিহাসের সাহায্য নিতে হবে। কেননা বর্তমান সমাজের চিত্র অতীতের সমাজকাঠামাের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেছে।

    পরিশেষঃ পরিশেষে বলা যায় যে সমাজ গতিশীলতার মধ্য দিয়ে অতীতে রূপান্তরিত হচ্ছে। আজকের ঘটনা আগামীকাল ইতিহাসে পরিণত হচ্ছে। তাই অতীত সমাজকে অজানা রেখে তথা সামাজিক ইতিহাসের জ্ঞান অর্জন না করে আমরা। ভবিষ্যতের পথে পা বাড়াতে পারবাে না। সামাজিক ইতিহাস সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবনযাপন পদ্ধতি, পারস্পরিক সম্পর্ক প্রভৃতি তুলে ধরে। তাই বলা যায় সামাজিক ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব ও প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম।

    Tags: সমাজবিজ্ঞান নবীনতর

    সামাজিক ইতিহাস কী বিজ্ঞান? আলােচনা কর

    পূর্বতন

    সামাজিক ইতিহাসের উৎসসমূহ আলােচনা কর

    সূত্র : www.banglalecturesheet.xyz

    সামাজিক ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা কি?

    সাম্প্রতিকালে নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তা কেন? | দশম শ্রেণী | ইতিহাস

    সামাজিক ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা কি?

    Admin 11 Dec

    সাম্প্রতিকালে নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তা কেন?

    Connect With Us

    Join our Telegram Channel

    Subscribe our YouTube Channel

    Follow us on Google News

    ভূমিকা:

    আগে রাজাবলী ও রাজ কাহিনী থেকে ইতিহাসের বিষয়বস্তু সংগৃহীত হতো সমাজে সাধারন শ্রেণীর মানুষের থেকে নয়।মিশেল ফুকো তার গ্রন্থে সমাজে সাধারন মানুষের অস্তিত্বের বিষয়টিকে প্রথম তুলে ধরেন ।কাল মার্কস তার “Dus capital"গ্রন্থে সমাজে ধনীদের বিরুদ্ধে শোষিত সংখ্যাগরিষ্ট সাধারণ মানুষের শ্রেণী সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন।

    সময়কাল:

    সাধারণভাবে নতুন সামাজিক হয় ইতিহাস চর্চা শুরু হয় ১৯৬০-৭০ দশক থেকে। মার্কস ব্লক ,লাসিয়েল, লাদুরি, ব্রাদেল, প্রমুখের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত অন্যাল স্কুল গোষ্ঠী প্রথম ইতিহাস চর্চার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

    সামাজিক ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তা:

    (১) ইতিহাসের আলোচনায় শুধু রাজা, অভিজাত  বা উচ্চবর্গীয় দের দৃষ্টিকোণে ইতিহাস চর্চা না করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নানা স্তরের মানুষের আর্থ _ রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বৌদ্ধিক ইতিহাস চর্চা ও তার ইতিবৃত্ত সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা।

    (২) নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চায় স্থান পেয়েছে শ্রমিকদের নানাদিক কৃতদাস প্রথা, দাস সমাজ ইত্যাদি যা ইতিহাস রচনার ধারার পরিবর্তন ঘটায়।

    (৩) নতুন ইতিহাস চর্চায় শ্বেতাঙ্গ কৃষ্ণাঙ্গ জাতির ব্যবধান, শ্রেণি লিঙ্গ ,ধর্ম সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান লাভ।

    (৪) নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চায় নিম্নবর্গীয়দের কার্যকলাপ কিভাবে সমাজে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে তা দৃষ্টান্ত ড:রনজিত গুহ ,ড:পার্থ চ্যাটার্জি, গৌতম ভদ্র, জ্ঞান পাণ্ডে প্রমুখের ইতিহাস চর্চায় উল্লেখ রয়েছে।

    মূল্যায়ন:

    সুতরাং নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে মানব সমাজের সকল স্তরের মানুষের চর্চা সব ইতিহাসের বিষয়বস্তু হিসাবে চিহ্নিত। তাই সমাজে নতুন সামাজিক ইতিহাস চর্চার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

    Similar Questions

    উডের ডেসপ্যাচ বা উডের প্রতিবেদন কি ?

    মার্কেনটাইল মতবাদ / মার্কেন্টাইল বাদ বলতে কি বোঝায় ? এর প্রধান বক্তব্যগুলো আলোচনা করো । Class 12 History Suggestions And Important Questions Answers

    ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্ত্রীর নাম কি ছিল?

    মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে কে বিধবা বিবাহ আন্দোলন শুরু করেন?

    বিদ্যাসাগর কি জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়?

    4.6 / 847 rates

    সূত্র : www.studyquote.in

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 25 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন