if you want to remove an article from website contact us from top.

    সালাতুল তাজবি নামাজ পড়ার নিয়ম

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে সালাতুল তাজবি নামাজ পড়ার নিয়ম পান।

    সালাতুত তাসবীহ

    সালাতুত তাসবীহ

    উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

    নামাজ আদায় করছেন একজন মুসল্লী

    ইসলাম

    বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ

    দেখান বিশ্বাস ও আদর্শ দেখান চর্চা ও জীবনপদ্ধতি দেখান গ্রন্থ ও বিধিবিধান দেখান মুহাম্মাদ ও ইতিহাস দেখান সমাজ ও সংস্কৃতি দেখান অর্থনীতি ও রাজনীতি দেখান সম্প্রদায় ও গোষ্ঠী দেখান সম্পর্কিত বিষয়াবলী ইসলাম প্রবেশদ্বার দেস

    সালাতুত তাসবীহ (আরবি: صلاة تسبيح ‎‎), তাসবীহের নামাজ নামেও পরিচিত। সালাত শব্দের অর্থ নামাজ। আর তাসবিহ বলতে ‘সুবাহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’ এ শব্দগুলো বোঝানো হয়েছে। যে নামাজে এসব তাসবীহ পড়ানো হয় তা সালাতুত তাসবীহ বা তাসবীহের নামাজ হিসেবে পরিচিত। ইসলামে অনুসারীদের জন্যে এটি একটি ঐচ্ছিক ইবাদত। এটা বাধ্যতামূলক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতো নয়। ইসলাম ধর্মের নবী মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অনুসারীদেরকে এ নামাজ পালনে উৎসাহিত করছেন। জীবনে একবার হলেও মুসলমানরা যেনো এ নামাজ পড়ে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। [১] [২] [৩] (সূত্র : আবু দাউদ, হাদিস : ১২৯৭, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৭, সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস : ১২১৬, সুনানে বায়হাকি কুবরা, হাদিস : ৪৬৯৫) হাদিস সহীহ, আলবানী,ইবনে হজর সহ অনেক এ হাসান বলেছেন

    হাদীসে সালাতুত তাসবীহ[সম্পাদনা]

    রাসুল (সা.) তার চাচা হযরত আব্বাস (রা.)-কে বলেন, ‘চাচা, পারলে আপনি সালাতুত তাসবিহ নামাজ দিনে একবার তা না পারলে সপ্তাহে একবার, তাও না হলে মাসে একবার, তাও না পারলে বছরে একবার পড়বেন। তাতেও অক্ষম হলে অন্তত জীবনে একবার হলেও এ নামাজ পড়বেন। এ নামাজ দ্বারা জীবনের ছোট, বড়, স্বেচ্ছায়, অনিচ্ছায়, নতুন, পুরনো, গোপন, প্রকাশ্য সব রকম গুনাহ মাফ হয়ে যায়।’ [৪]

    নিয়ম[সম্পাদনা]

    সালাতুত তাসবীহ চার রাকাত। প্রতি রাকাতে ‘সুবাহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’ তাসবীহগুলো ৭৫ বার পড়তে হয়। চার রাকাতে মোট ৩০০ বার পড়তে হয়। [৪]

    প্রথম রাকাতে সানা পড়ার পর ১৫ বার পড়তে হবে-

    (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ )

    সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

    তারপর সূরা ফাতিহা তারপর কোরআন থেকে কেরাত পাঠ (সুরা মিলানো) সম্পন্ন হবার পর

    দাঁড়ানো অবস্থায় রুকুতে যাওয়ার পুর্বে ১০ বার।

    রুকু করবে এবং রুকু অবস্থায় দোয়ার পর (এ তাসবিহ) ১০ বার পাঠ করতে হবে।

    রুকু থেকে মাথা ওঠানোর পর সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় (রাব্বানা লাকাল হামদ পড়ার পর)এ তাসবিহ ১০ বার পাঠ করতে হবে।।

    তারপর সিজদায় যাবে এবং সিজদা অবস্থায় এ তাসবীহ ১০ বার পাঠ করবে।

    সিজদা থেকে মাথা ওঠানোর পর ১০ বার।

    পুনরায় সিজদা গিয়ে ১০ বার

    সিজদা থেকে মাথা ওঠিয়ে আবার দ্বিতীয় রাকাতে একি ভাবে তাসবিহ পাঠ করতে হবে।

    এ তাসবিহ প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার করে ৪ রাকাআত নামাজের প্রতি রাকাআতেই এক নিয়ম অনুসারে আদায় করতে হবে।[৫]

    ভুল হলে করণীয়[সম্পাদনা]

    ‘সালাতুত তাসবীহ’ নামায পড়াবস্থায় দানাদার তসবিহ হাতে গণনা করা মাকরূহ বা অনুচিত। আঙ্গুলের করগুলোতে গণনা করা যাবেনা। কিন্তু তাহরিমা বাধা অবস্থাতেই হাতের আঙ্গুল গুলা টিপেটিপে তাসবীহ গণনা করতে হবে। কোনো স্থানে তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে পরবর্তী তাসবীহ পাঠের সময় তা আদায় করে নিতে হবে। তবে ক্বওমা তথা রুকু থেকে দাঁড়ানোকালে ও দুই সিজদার মাঝখানে তাসবীহ ভুলে যাওয়া তাসবীহগুলো আদায় করা যাবে না। সূর-কেরাত পড়ার পূর্বে তাসবীহ ভুলে গেলে সূরা-কেরাত পাঠের সেটি আদায় করতে হবে। একইভাবে ক্বিরায়াতের পর তাসবীহ ভুলে গেলে রুকুতে গিয়ে আদায় করতে হবে। রুকুতে তাসবীহ ভুলে গেলে উক্ত তাসবীহ প্রথম সিজদায় আদায় করতে হবে। সিজদায় যাওয়ার পূর্বে তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে তা প্রথম সিজদাতে গিয়ে আদায় করতে হবে। প্রথম সিজদাতে তাসবীহ ভুলে গেলে তা দুই সিজদার মাঝখানে আদায় না করে দ্বিতীয় সিজদাতে গিয়ে আদায় করতে হবে। ঠিক দুই সিজদার মাঝখানের তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে তাও দ্বিতীয় সিজদায় গিয়ে পড়তে হবে। একইভাবে আর দ্বিতীয় সিজদাতে তাসবীহ ভুলে পরের রাকায়াতে সূরা-ক্বিরায়াত পাঠ করার পূর্বে পড়ে নিতে হবে। শেষ সিজদার তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে সালাম ফিরানোর পূর্বে তাসবীহ পড়ে নিতে হবে।[৬]

    আরো দেখুন[সম্পাদনা]

    তাহাজ্জুদ নামাজ তারাবিহ জুম্মা ঈদের নামাজ

    তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

    ↑ name="imam">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়ার নিয়ম ও পদ্ধতি |ইউআরএল=http://imam.gov.bd/node/2151 |ওয়েবসাইট=ইমাম বাতায়ন |সংগ্রহের-তারিখ=১১ জুন ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190126125112/http://www.imam.gov.bd/node/2151 |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ জানুয়ারি ২০১৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }

    ↑ name=":0">"Salat al-Tasbeeh - Islam Question & Answer"। (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০।

    ↑ name=":1">"সালাতুত তাসবিহ কি জীবনে একবার পড়তেই হবে?"। (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০।

    উদ্ধৃতি ত্রুটি:

    ↑ ঝাঁপ দিন:

    ট্যাগ বৈধ নয়; imam নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি

    ↑ "'সালাতুত তাসবিহ'র ফজিলত বর্ণনায় বিশ্বনবি"। জাগো নিউজ। ১৫ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৯।

    ↑ "সালাতুত তাসবীহ"। । সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৯।

    দেখান দেস নামাজ বিষয়শ্রেণী: নামাজ

    সূত্র : bn.wikipedia.org

    সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম

    নফল নামাজগুলোর মধ্যে সালাতুতু তাসবিহ নামাজ অন্যতম। সালাতুতু তাসবিহের নামাজের ফজিলতের মধ্যে অন্যতম হলো- বিগত জীবনের গোনাহ মাফ হওয়া ও...

    সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম

    ধর্ম ডেস্ক

    ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৫২ পিএম

    7 Shares

    প্রতীকী ছবি

    নফল নামাজগুলোর মধ্যে সালাতুতু তাসবিহ অন্যতম। সালাতুতু তাসবিহের নামাজের ফজিলতের মধ্যে অন্যতম হলো- বিগত জীবনের গোনাহ মাফ হওয়া ও বিপুল সাওয়াব লাভ। এ নামাজের ব্যাপারে হাদিসের একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।

    সালাতুত তাসবিহের নামাজের প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার তাসবিহ আদায়ের মাধ্যমে ৪ রাকাতে মোট ৩০০ বার তাসবিহ পড়তে হয়।

    আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিব (রা.)-কে বলেছেন, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না?...আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা পড়বেন। প্রথম রাকাতে যখন কিরাত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার বলবেন—

    سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ

    উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

    এরপর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় দোয়াটি ১০ বার পড়বেন। এরপর রুকু থেকে মাথা উঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এ হলো প্রতি রাকাতে ৭৫ বার। আপনি চার রাকাতেই অনুরূপ করবেন।

    যদি আপনি প্রতিদিন আমল করতে পারেন, তবে তা করুন। আর যদি না পারেন, তবে প্রতি জুমাবারে একবার। যদি প্রতি জুমাবারে না করেন, তবে প্রতি মাসে একবার। আর যদি তা-ও না পারেন, তবে জীবনে একবার।

    যখন দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহুদ পড়ার জন্য বসবেন তখন আগে ওই তাসবিহ ১০ বার পড়বেন, তারপর তাশাহুদ পড়বেন। তাশাহুদের পর তাসবিহ পড়বেন না। তারপর আল্লাহু আকবার বলে তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠবেন। অতঃপর তৃতীয় রাকাত ও চতুর্থ রাকাতেও উক্ত নিয়মে ওই তাসবিহ পাঠ করবেন।

    কোনো এক স্থানে ওই তাসবিহ পড়তে সম্পূর্ণ ভুলে গেলে বা ভুলে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কম পড়লে পরবর্তী যে রুকনেই স্মরণ আসুক, সেখানে তথাকার সংখ্যার সঙ্গে এই ভুলে যাওয়া সংখ্যাগুলোও আদায় করে নেবেন। আর এই নামাজে কোনো কারণে সিজদায়ে সাহু ওয়াজিব হলে সেই সিজদা এবং তার মধ্যকার বৈঠকে ওই তাসবিহ পাঠ করতে হবে না। তাসবিহর সংখ্যা স্মরণ রাখার জন্য আঙুলের কর গণনা করা যাবে না, তবে আঙুল চেপে স্মরণ রাখা যেতে পারে। (সূত্র : আবু দাউদ, হাদিস : ১২৯৭; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৭; সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস : ১২১৬; সুনানে বায়হাকি কুবরা, হাদিস : ৪৬৯৫)

    এই হাদিসকে যারা সহিহ বলেছেন তারা হলেন—

    ইমাম আবু দাউদ, হাদিস : ১২৯৭, (ইমাম আবু দাউদ হাদিস বলে চুপ থাকলে সেটি তাঁর কাছে সহিহ। ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, এর সনদটি হাসান। (আল-খিছাল : ১/৪১)

    শায়েখ নাসিরুদ্দিন আলবানি (রহ.) বলেছেন, হাদিসটি সহিহ। (সহিহুল জামে, হাদিস : ৭৯৩৭)

    বি. দ্র. : সালাতুত তাসবিহ পড়ার আরও একটি নিয়ম রয়েছে। তবে উপরোল্লিখিত নিয়মটি সহজ ও উত্তম।

    নামাজ ফজিলত সওয়াব

    সূত্র : www.dhakapost.com

    সালাতুত তাসবিহ পড়বেন যেভাবে

    অনেক ফজিলতপূর্ণ নামাজ হলো সালাতুত তাসবিহ। প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার তাসবিহ আদায়ের মাধ্যমে ৪ রাকাআতে মোট ৩০০ বার তাসবিহ পড়তে...

    ধর্ম

    সালাতুত তাসবিহ পড়বেন যেভাবে

    ধর্ম ডেস্ক

    প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, ২৫ মে ২০১৯

    অনেক ফজিলতপূর্ণ নামাজ হলো সালাতুত তাসবিহ। প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার তাসবিহ আদায়ের মাধ্যমে ৪ রাকাআতে মোট ৩০০ বার তাসবিহ পড়তে হয়।

    সালাতুতু তাসবিহ নামাজের ফজিলতের মধ্যে অন্যতম হলো- বিগত জীবনের গোনাহ মাফ এবং অনেক সাওয়াব লাভ হয়। রমজানে এ নামাজের ফজিলত সবচেয়ে বেশি। এ নামাজের ব্যাপারে হাদিসের একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।

    বিজ্ঞাপন

    হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আমার পিতা) হজরত আব্বাসকে বললেন, ‘হে আব্বাস! হে চাচাজান! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে দান করব না? আমি কি আপনাকে সংবাদ দেব না? আমি কি আপনার সঙ্গে ১০টি সৎকাজ করব না? (অর্থাৎ ১০টি উত্তম তাসবিহ শিক্ষা দেব না) যখন আপনি তা (আমল) করবেন-

    >> তখন আল্লাহ আপনার আগের, পরের, পুরাতন, নতুন, সবধরনের গোনাহ মাফ করে দেবেন।

    >> ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত গোনাহ মাফ করে দেবেন।

    >> সগিরা ও কবিরা গোনাহ মাফ করে দেবেন।

    >> গোপন ও প্রকাশ্য গোনাহ মাফ করে দেবেন।

    বিজ্ঞাপন

    আরও পড়ুন > রোজা অবস্থায় ভুলে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে যা করবেন

    (হে চাচা!) আপনি ৪ রাকাআত নামাজ পড়বেন এবং প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহা পাঠ করবেন এবং যে কোনো একটি সুরা মেলাবেন। (অর্থাৎ প্রত্যেক রাকাআতে এ তাসবিহটি ৭৫ বার করে আদায় করতে হবে।)

    সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়ম

    সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলানোর পাশাপাশি প্রত্যেক রাকাআতে (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ) অর্থাৎ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার-এ তাসবিহটি ৭৫ বার পড়তে হবে। তবে একই নিয়মে ৪ রাকাআতে মোট ৩০০ বার তাসবিহ পড়ার মাধ্যমে তা আদায় করতে হয়।

    বিজ্ঞাপন

    >> নামাজে দাঁড়িয়ে সুরা ফাতেহা পড়ার আগে এ তাসবিহ (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ) পড়ুন- ১৫ বার।

    >> সুরা ফাতেহা ও অন্য সুরা মিলানোর পর রুকুর আগে এ তাসবিহ (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ) পড়ুন- ১০ বার।

    >> রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবিহ (سُبْحَانَ رَبِّىَ الْعَظِيْم) পড়ার পর এ তাসবিহ (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ) পড়ুন- ১০ বার।

    বিজ্ঞাপন

    >> রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় এ সাতবিহ (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ) ১০ বার।

    >> সেজদায় গিয়ে সেজদার তাসবিহ (سُبْحَانَ رَبِّىَ الْأَعْلَى) পড়ার পর সেজদাবস্থায় এ তাসবিহ (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ) পড়ুন- ১০ বার।

    >> দুই সেজদার মাঝে বসাবস্থায় এ তাসবিহ (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ) পড়ুন- ১০ বার।

    বিজ্ঞাপন

    >> দ্বিতীয় সেজদায় গিয়ে সেজদার তাসবিহ (سُبْحَانَ رَبِّىَ الْأَعْلَى) পড়ার পর আবার সেজদাবস্থায় এ তাসবিহ (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ) পড়ুন- ১০ বার।

    এভাবে দ্বিতীয় রাকাআতে দাঁড়িয়ে প্রথম রাকাআতে মতো এ নামাজ আদায় করা। দুই রাকাআতের পর বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ে সালাম না ফিরিয়ে উপরের নিয়মে বাকি ২ রাকাআত আদায় করে নেয়া।

    আরও পড়ুন > বিশ্বনবি রমজানে যে কাজগুলো বেশি করতেনমনে রাখতে হবে

    তাসবিহ পড়ার সময় যদি কোনো স্থানে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কম তাসবিহ পড়া হয় তবে, পরবর্তী যে রোকনে তা স্মরণ হবে সেখানেই তা পড়ে নিলেই হবে।

    আর কোনো কারণে যদি এ নামাজে সাহু সেজদার প্রয়োজন হয় তবে এ সেজদায় কিংবা সেজদার মাঝখানে বসাবস্থায় এ তাসবিহ পড়তে হবে না।

    তাসবিহ পড়ার ক্ষেত্রে স্মরণ রাখার জন্য আঙুলের কর গণনা করা যাবে না তবে আঙুল চেপে তাসবিহ এর সংখ্যা স্মরণ রাখা যাবে।

    আরও পড়ুন > দুনিয়ার স্বচ্ছলতা ও আখেরাতের সফলতা মিলবে যে কাজে

    (অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে চাচা!) এভাবে যদি প্রতিদিন একবার এ নামাজ পড়তে সক্ষম হন; তবে তা পড়বেন। আর যদি সক্ষম না হন, তবে প্রত্যেক জুমআর দিনে একবার পড়বনে।

    তাও যদি না পারেন, তবে প্রত্যেক মাসে একবার পড়বেন। তাও যদি না পারেন তবে প্রত্যেক বছর একবার পড়বেন, আর যদি তাও না পারেন তবে আপনার জীবনে অন্তত একবার পড়বেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান মাসে সর্বাধিক তাসবিহ সম্বলিত নামাজ পড়ে উল্লেখিত ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

    এমএমএস/এমকেএইচ

    নামাজ রোজা রমজান হাদিস আমল

    পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

    আরও পড়ুন  

    তারাবিহ : রমজানের রাতের নামাজ

    বিশেষ-প্রতিবেদন

    রমজানে যে ১১ কাজ জরুরি

    রোজা

    তারাবিহ নামাজ পড়ার নিয়ম

    নামাজ

    তারাবিহ নামাজ কত রাকাআত পড়বেন?

    রমজান

    তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাআত?

    ইসলাম

    সূত্র : www.jagonews24.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 24 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন