সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত পান।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত বর্ণনা করেছেন বিশ্বনবী
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত - সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত, সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত, সালাতুত তাসবিহ নামাজ জামাতে পড়া যাবে কি,
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত বর্ণনা করেছেন বিশ্বনবী
3.7k Views0 SHARES Share Tweet
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত বর্ণনা করেছেন বিশ্বনবী
‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ এই তাসবিহটি যে নামাজে বার বার পড়া হয়
সেই নামাজকেই সালাতুত তাসবিহ নামাজ বলা হয়। রাসুল সাঃ এই সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত – রাসুল সাঃ তাঁর চাচা আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এই সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
‘হে আব্বাস, হে আমার প্রানপ্রিয় চাচা! আমি কি আপনাকে দান করব না? আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে সুসংবাদ দেব না?,
আমি কি আপনার সাথে ১০ টি সৎকাজ করব না? (মানে ১০টি উত্তম তাহবিহর কথা বলা হয়েছে)
যখন আপনি এই তাসবিহগুলো আমল করবনে আল্লাহ্ আপানর পরের আগের পুরাতন নতুন সকল প্রকার গুনাহ মাফ করে দিবেন।
এবং আপানর দ্বারা ইচ্ছাকৃত অনিচ্ছাকৃত সগিরা কবিরা এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সবগুনাহ মাফ করে দিবেন’।
হে চাচা, আপনি যদি চান আল্লাহ্ আপনার সব গুনাহ মাফ করে দিকতাহলে আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন।
প্রথম রাকাতে সানা পড়ার পর ১৫ বার (سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ )
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার পড়তে হবে।
সুরা ফাতিহা এবং অন্য একটি সুরা কোরআন থেকে পড়া শেষ হলে রুকুতে যাওয়ার আগে দাড়িয়ে ১০ বার পড়তে হবে
তারপর রুকুতে যেতে হবে। সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম পড়া শেষ হলে রুকুতে থাকা অবস্থায়ই ১০ বার তাসবিহ পড়তে হবে
রুকু থেকে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাড়িয়ে রাব্বানা লাকাল হামদ পড়ার পর আবার ১০ বার এই তাসবিহ পড়তে হবে
তারপর সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়ার পর আবার ১০ বার পড়তে হবে
সিজদা থেকে মাথা উঠানোর পর ১০ বার পড়তে হবে
আবার সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা পড়ার পর ১০ বার এই তাসবিহ পাঠ করতে হবে
এই তাসবিহ প্রতি রাকাতে ৭৫ বার পড়বেন এবং একইভাবে বাকি রাকাতগুলোতে পড়বেন।
এইভাবে যদি পারেন প্রতিদিন এই সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়বেন।
আর যদি তাতে আপনি সক্ষম না হয় তাহলে জুমার দিনে এই সালাতুত তাসবিহ নামাজ আদায় করবেন।
(এখানে রাসুল সাঃ সপ্তাহে একবার সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়ার কথা বলেছেন)
তাও যদি না পারেন মাসে একবার হলেও এই নামাজ আদায় করবেন।
তাও যদি না পারেন তাহলে বছরে একবার সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়বেন।
আর যদি তাও পড়তে আপনি সক্ষম না হন তাহলে সারাজিবনে একবার হলেও এই নামাজ আদায় করবেন।
(তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)উপরের এই দীর্ঘ হাদিসটি থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
জীবনে অন্তত একবার হলেও এই সালাতুত তাসবিহ নামাজ আদায়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
আর এই নামাজ আদায়ের উত্তম টাইম হল পবিত্র রমজান মাস।
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উত্তমদের জীবনে একবার হলেও
এই নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন, আমীন। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে। আমীন।
আমাদের সামাজিক মাধ্যমগুলো
টুইটার ফেসবুক আরও পড়ুন
চিনি দিয়ে রূপচর্চা এবং ত্বককে করুন ২ শেড ফর্সা
Behind the scenes of Mia Khalifa
টোনার ব্যবহার করা কি জরুরি? এত এত দামী টোনার কোনটা রেখে কোনটা দিব?
সালাতুত তাসবিহ নামাজের ফজিলত
MORE FROM: RELIGION
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ | জানা অজানা তথ্য
জে কিম এর ইসলাম গ্রহণ কিন্তু কেন?
Popular
7.7k Viewsস্বামী স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক দোয়া
‘সালাতুত তাসবিহ’র ফজিলত বর্ণনায় বিশ্বনবি
যে নামাজে বার বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ তাসবিহটি পড়া হয়, ওই নামাজকে সালাতুত তাসবিহ...
ধর্ম
‘সালাতুত তাসবিহ’র ফজিলত বর্ণনায় বিশ্বনবি
প্রকাশিত: ০৫:০৮ এএম, ১৫ জুন ২০১৭
যে নামাজে বার বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ তাসবিহটি পড়া হয়, ওই নামাজকে সালাতুত তাসবিহ বা তাসবিহ-এর নামাজ। এ নামাজের ফজিলত বর্ণনা করেছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যা তিনি তাঁর চাচা হজরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বর্ণনা করে শুনান। দীর্ঘ হাদিসটি তুলে ধরা হলো-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদিন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আমার পিতা) হজরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবকে বললেন, ‘হে আব্বাস, হে চাচাজান! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে দান করব না? আমি কি আপনাকে সংবাদ দেব না? আমি কি আপনার সাথে দশটি সৎকাজ করব না? (অর্থাৎ দশটি উত্তম তাসবিহ শিক্ষা দেব না)
বিজ্ঞাপন
যখন আপনি তার (তাসবিহ) আমল করবেন তখন আল্লাহ তাআলা আপনার আগের, পরের, পুরাতন, নতুন, সব প্রকার গোনাহ, ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত গোনাহ, সগিরা গোনাহ, কবিরা গোনাহ, গুপ্ত ও প্রকাশ্য গোনাহ গোনাহ মাফ করে দেবেন।
আপনি চার রাকাআত নামাজ পড়বেন এবং প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহা পাঠ করবেন এবং যে কোনো একটি সুরা মেলাবেন।
বিজ্ঞাপন
>> প্রথম রাকাআতে যখন কেরাত পাঠ (সুরা মিলানো) সম্পন্ন করবেন; তখন আপনি দাঁড়ানো অবস্থায় বলবেন- سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ
(সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার) ১৫ বার।
>> অতঃপর রুকু করবেন এবং রুকু অবস্থায় (এ তাসবিহ) ১০ বার পাঠ করবেন।
>> তারপর রুকু থেকে মাথা ওঠাবেন (সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় এ সাতবিহ) ১০ বার পাঠ করবেন।
বিজ্ঞাপন
>> অতঃপর সিজদায় মাথা নত করবেন এবং সিজদা অবস্থায় (এ তাসবিহ) ১০ বার পাঠ করবেন।
>> তারপর সিজদা থেকে মাথা ওঠাবেন এবং (বসা অবস্থায় এ তাসবিহ) ১০ বার পাঠ করবেন।
>> অতঃপর পুনরায় সিজদা করবেন এবং সিজদায় গিয়ে ১০ বার এবং
বিজ্ঞাপন
>> পুনরায় সিজদা থেকে মাথা ওঠিয়ে ১০ বার এ তাসবিহ পাঠ করবেন।
এ তাসবিহ প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার করে ৪ রাকাআত নামাজের প্রতি রাকাআতেই এভাবে আদায় করবেন।
এভাবে যদি প্রতিদিন একবার এ নামাজ পড়তে সক্ষম হন; তবে তা পড়বেন। আর যদি সক্ষম না হন, তবে প্রত্যেক জুমআর দিনে একবার পড়বনে।
বিজ্ঞাপন
তাও যদি না পারেন তবে প্রত্যেক মাসে একবার পড়বেন। তাও যদি না পারেন তবে প্রত্যেক বছর একবার পড়বেন, আর যদি তাও না পারেন তবে আপনার জীবনে অন্তত একবার পড়বেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
উল্লেখিত দীর্ঘ হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনে একবার হলেও তাসবিহ নামাজ আদায়ের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করেছেন। আর পবিত্র রমজান মাসই সাতাতুত তাসবিহ বা তাসবিহ-এর নামাজ আদায়ের উত্তম সুযোগ ও সময়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান মাসে তাসবিহ নামাজসহ যে কোনো নামাজ এবং ইবাদত-বন্দেগি যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর বিশেষ-প্রতিবেদন
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
আরও পড়ুন
রোজা মানুষের পাপ মোচনকারী
বিশেষ-প্রতিবেদন
সাদকাতুল ফিতর কী ও কেন?
বিশেষ-প্রতিবেদন
রমজানে যে আমলগুলো সফলতা লাভের উপায়
বিশেষ-প্রতিবেদন
সালাতুত তাসবীহ
সালাতুত তাসবীহ
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নামাজ আদায় করছেন একজন মুসল্লী
ইসলাম
বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ
দেখান বিশ্বাস ও আদর্শ দেখান চর্চা ও জীবনপদ্ধতি দেখান গ্রন্থ ও বিধিবিধান দেখান মুহাম্মাদ ও ইতিহাস দেখান সমাজ ও সংস্কৃতি দেখান অর্থনীতি ও রাজনীতি দেখান সম্প্রদায় ও গোষ্ঠী দেখান সম্পর্কিত বিষয়াবলী ইসলাম প্রবেশদ্বার দেস
সালাতুত তাসবীহ (আরবি: صلاة تسبيح ), তাসবীহের নামাজ নামেও পরিচিত। সালাত শব্দের অর্থ নামাজ। আর তাসবিহ বলতে ‘সুবাহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’ এ শব্দগুলো বোঝানো হয়েছে। যে নামাজে এসব তাসবীহ পড়ানো হয় তা সালাতুত তাসবীহ বা তাসবীহের নামাজ হিসেবে পরিচিত। ইসলামে অনুসারীদের জন্যে এটি একটি ঐচ্ছিক ইবাদত। এটা বাধ্যতামূলক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মতো নয়। ইসলাম ধর্মের নবী মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অনুসারীদেরকে এ নামাজ পালনে উৎসাহিত করছেন। জীবনে একবার হলেও মুসলমানরা যেনো এ নামাজ পড়ে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। [১] [২] [৩] (সূত্র : আবু দাউদ, হাদিস : ১২৯৭, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৭, সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস : ১২১৬, সুনানে বায়হাকি কুবরা, হাদিস : ৪৬৯৫) হাদিস সহীহ, আলবানী,ইবনে হজর সহ অনেক এ হাসান বলেছেনহাদীসে সালাতুত তাসবীহ[সম্পাদনা]
রাসুল (সা.) তার চাচা হযরত আব্বাস (রা.)-কে বলেন, ‘চাচা, পারলে আপনি সালাতুত তাসবিহ নামাজ দিনে একবার তা না পারলে সপ্তাহে একবার, তাও না হলে মাসে একবার, তাও না পারলে বছরে একবার পড়বেন। তাতেও অক্ষম হলে অন্তত জীবনে একবার হলেও এ নামাজ পড়বেন। এ নামাজ দ্বারা জীবনের ছোট, বড়, স্বেচ্ছায়, অনিচ্ছায়, নতুন, পুরনো, গোপন, প্রকাশ্য সব রকম গুনাহ মাফ হয়ে যায়।’ [৪]
নিয়ম[সম্পাদনা]
সালাতুত তাসবীহ চার রাকাত। প্রতি রাকাতে ‘সুবাহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’ তাসবীহগুলো ৭৫ বার পড়তে হয়। চার রাকাতে মোট ৩০০ বার পড়তে হয়। [৪]
প্রথম রাকাতে সানা পড়ার পর ১৫ বার পড়তে হবে-
(سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا اِلهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ )
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।তারপর সূরা ফাতিহা তারপর কোরআন থেকে কেরাত পাঠ (সুরা মিলানো) সম্পন্ন হবার পর
দাঁড়ানো অবস্থায় রুকুতে যাওয়ার পুর্বে ১০ বার।
রুকু করবে এবং রুকু অবস্থায় দোয়ার পর (এ তাসবিহ) ১০ বার পাঠ করতে হবে।
রুকু থেকে মাথা ওঠানোর পর সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় (রাব্বানা লাকাল হামদ পড়ার পর)এ তাসবিহ ১০ বার পাঠ করতে হবে।।
তারপর সিজদায় যাবে এবং সিজদা অবস্থায় এ তাসবীহ ১০ বার পাঠ করবে।
সিজদা থেকে মাথা ওঠানোর পর ১০ বার।
পুনরায় সিজদা গিয়ে ১০ বার
সিজদা থেকে মাথা ওঠিয়ে আবার দ্বিতীয় রাকাতে একি ভাবে তাসবিহ পাঠ করতে হবে।
এ তাসবিহ প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার করে ৪ রাকাআত নামাজের প্রতি রাকাআতেই এক নিয়ম অনুসারে আদায় করতে হবে।[৫]
ভুল হলে করণীয়[সম্পাদনা]
‘সালাতুত তাসবীহ’ নামায পড়াবস্থায় দানাদার তসবিহ হাতে গণনা করা মাকরূহ বা অনুচিত। আঙ্গুলের করগুলোতে গণনা করা যাবেনা। কিন্তু তাহরিমা বাধা অবস্থাতেই হাতের আঙ্গুল গুলা টিপেটিপে তাসবীহ গণনা করতে হবে। কোনো স্থানে তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে পরবর্তী তাসবীহ পাঠের সময় তা আদায় করে নিতে হবে। তবে ক্বওমা তথা রুকু থেকে দাঁড়ানোকালে ও দুই সিজদার মাঝখানে তাসবীহ ভুলে যাওয়া তাসবীহগুলো আদায় করা যাবে না। সূর-কেরাত পড়ার পূর্বে তাসবীহ ভুলে গেলে সূরা-কেরাত পাঠের সেটি আদায় করতে হবে। একইভাবে ক্বিরায়াতের পর তাসবীহ ভুলে গেলে রুকুতে গিয়ে আদায় করতে হবে। রুকুতে তাসবীহ ভুলে গেলে উক্ত তাসবীহ প্রথম সিজদায় আদায় করতে হবে। সিজদায় যাওয়ার পূর্বে তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে তা প্রথম সিজদাতে গিয়ে আদায় করতে হবে। প্রথম সিজদাতে তাসবীহ ভুলে গেলে তা দুই সিজদার মাঝখানে আদায় না করে দ্বিতীয় সিজদাতে গিয়ে আদায় করতে হবে। ঠিক দুই সিজদার মাঝখানের তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে তাও দ্বিতীয় সিজদায় গিয়ে পড়তে হবে। একইভাবে আর দ্বিতীয় সিজদাতে তাসবীহ ভুলে পরের রাকায়াতে সূরা-ক্বিরায়াত পাঠ করার পূর্বে পড়ে নিতে হবে। শেষ সিজদার তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে সালাম ফিরানোর পূর্বে তাসবীহ পড়ে নিতে হবে।[৬]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তাহাজ্জুদ নামাজ তারাবিহ জুম্মা ঈদের নামাজ
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
↑ name="imam">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সালাতুত তাসবিহ নামাজ পড়ার নিয়ম ও পদ্ধতি |ইউআরএল=http://imam.gov.bd/node/2151 |ওয়েবসাইট=ইমাম বাতায়ন |সংগ্রহের-তারিখ=১১ জুন ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190126125112/http://www.imam.gov.bd/node/2151 |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ জানুয়ারি ২০১৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }
↑ name=":0">"Salat al-Tasbeeh - Islam Question & Answer"। (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০।
↑ name=":1">"সালাতুত তাসবিহ কি জীবনে একবার পড়তেই হবে?"। (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১০।
উদ্ধৃতি ত্রুটি:↑ ঝাঁপ দিন:
ট্যাগ বৈধ নয়; imam নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি↑ "'সালাতুত তাসবিহ'র ফজিলত বর্ণনায় বিশ্বনবি"। জাগো নিউজ। ১৫ জুন ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৯।
↑ "সালাতুত তাসবীহ"। । সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৯।
দেখান দেস নামাজ বিষয়শ্রেণী: নামাজ
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?