if you want to remove an article from website contact us from top.

    সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম ও নিয়ত

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম ও নিয়ত পান।

    যে নামাজে বিশেষ প্রয়োজন পূরণ ও দুশ্চিন্তা দূর হয়

    ইমানের পর ইসলামের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমল হলো সালাত বা নামাজ। নামাজ ইসলামের প্রাণ। মুমিন এবং কাফেরের মাঝে বড় পার্থক্য হলো নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও নফল নামাজ পড়ার বিধান ইসলামি শরিয়তে রয়েছে।

    যে নামাজে বিশেষ প্রয়োজন পূরণ ও দুশ্চিন্তা দূর হয়

    অনলাইন ডেস্ক

    ১০ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৪৭ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ

    1.2k Shares

    ShareShareShareTweetSharePrint

    ইমানের পর ইসলামের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমল হলো সালাত বা নামাজ। নামাজ ইসলামের প্রাণ। মুমিন এবং কাফেরের মাঝে বড় পার্থক্য হলো নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও নফল নামাজ পড়ার বিধান ইসলামি শরিয়তে রয়েছে।

    হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের ঘাটতি থাকলে নফল নামাজ তা পূরণ করে দেয়। তাই তোমরা বেশি বেশি নফল নামাজ পড়।’ ফরজ নামাজের রাকায়াত সংখ্যা এবং সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু নফল নামাজের নির্দিষ্ট কোনো রাকায়াত সংখ্যা নেই এবং সময়ও নেই।

    সালাতুল হাজাত বা ‘প্রয়োজনের নামাজ’— একটি বিশেষ নফল ইবাদত। মানুষের বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়। সালাতুল হাজত একটি সাধারণ নফল নামাজ। এই নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট কোনো দিন বাধা নেই, যে এত দিন পড়তেই হবে।

    সালাতুল হাজত কী? 

    কোন হালাল চাহিদা পুরনের জন্য আল্লাহর সন্তষ্টির উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করাকে ‘সালাতুল হাজত’ বলা হয়।  (ইবনু মাজাহ, হাদিস ১৩৮৫)

    কখন পড়বেন

    কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়! আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘সঙ্গত কোনো প্রয়োজন পূরণের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর কাছে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)

    নিষিদ্ধ সময়

    সালাতুল হাজত নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতীত যেকোনো সময়েই পড়া যায়।

    নিয়ম

    সালাতুল হাজতের নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। হাজত বা প্রয়োজনের নিয়তে অন্যান্য নামাজের মতোই দু-রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন।

    স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। নামাজ শেষে আল্লাহতায়ালার হামদ ও ছানা (প্রশংসা) এবং নবী করিমের (সা.) ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হয়।

    নামাজ শেষে মুনাজাতে এই দোয়া পড়বেন-

    اَللَّهُمَّ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ-

    উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা রববানা আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র।

    অর্থ : হে আল্লাহ! হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের দুনিয়াতে মঙ্গল দিন এবং আখেরাতেও মঙ্গল দিন। জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

    لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

    উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আছআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক; ওয়া আজা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদাঅলি- জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হা-জাতান হিয়া লাকা রিজান- ইল্লা কাজাইতাহা ইয়া আর-হামার রা-হিমিন।

    অর্থ: আল্লাহ্ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অতি সহিষ্ণু ও দয়ালু, সব দোষ-ক্রটি থেকে পবিত্র তিনি। মহান আরশের প্রভু। সকল প্রশংসা আল্লাহর, তিনি সারা জাহানের রব। আপনার কাছেই আমি যাঞ্ছা করি— আপনার রহমত আকর্ষণকারী সকল পূণ্যকর্মের অসিলায়, আপনার ক্ষমা ও মাগফিরাত আকর্ষণকারী সকল কাজের বরকত, সকল নেক আমলে সাফল্য লাভের এবং সব ধরনের গুনাহ থেকে নিরাপত্তা লাভের। আমার কোনো গুনাহ যেন মাফ ছাড়া না থাকে। কোনো সমস্যা যেন সমাধান ছাড়া না রয়ে যায়। আর আমার এমন প্রয়োজন— যাতে রয়েছে আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে, তা যেন অপূরণ না থাকে। হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (তিরমিজি, হাদিস : ৪৭৯; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৪)

    দোয়ার ক্ষেত্রে হাদিস শরিফে বর্ণিত এসব দোয়া— অন্যান্য দোয়ার সঙ্গে সাধারণ নামাজের শেষেও বিশেষভাবে পড়া যেতে পারে। এই দোয়াটি পড়তেই হবে— বিষয়টি এমন নয়। আপনি আপনার মতো করে দোয়া করলেও কোনো অসুবিধা নেই।

    1.2k Shares Share

    যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

    আরও খবর

    শবেবরাতে কী করা যাবে ও যাবে না

    ওয়েলকাম টিউনে কুরআনের আয়াত বা আজান ব্যবহার করা যাবে?

    মুমিনের পরিচয়

    এক মলাটে পাঁচ মুহাদ্দিসের জীবনী

    কুরআনের প্রভাব ও শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবির চিন্তাধারা

    শবেবরাত কবে, জানা যাবে মঙ্গলবার

    শবেবরাতে কী করা যাবে ও যাবে না

    সূত্র : www.jugantor.com

    সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ত ও সঠিক সময় সম্পর্কে জানুন

    সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার মূল কারণ হচ্ছে নিজের ইচ্ছা বা প্রয়োজনের কথা আল্লাহতালার কাছে জানানো বিভিন্ন বিপদের হাত থেকে আল্লাহর কাছে রক্ষা চেয়ে প্রার্থন

    সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ত ও সঠিক সময় সম্পর্কে জানুন

    আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ড্রিম আইটিসির পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।আজ আপনাদের কাছে আমরা সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম ও সঠিক সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবো।মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন জিনিস অথবা বিভিন্ন মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।মানুষ সম্পূর্ণভাবে আল্লাহতালার সৃষ্টির উপর নির্ভরশীল।সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার মূল কারণ হচ্ছে নিজের ইচ্ছা বা প্রয়োজনের কথা আল্লাহতালার কাছে জানানো বিভিন্ন বিপদের হাত থেকে আল্লাহর কাছে রক্ষা চেয়ে প্রার্থনা করা।

    সূচিপত্রঃ সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ত ও সঠিক সময় সম্পর্কে জানুন

    সালাতুল হাজত কি

    সালাতুল হাজত নামাজ কেন পড়া হয়

    সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম কি

    সালাতুল হাজত নামাজের সঠিক সময়

    সালতুল হাজত নামাজের নিয়ত

    সালাতুল হাজত নামাজের দোয়া

    মহিলাদের সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

    সালাতুল হাজত নামাজের ফজিলত

    সালাতুল হাজত কি?

    "সালাত" অর্থ "নামাজ" তা আমরা সবাই জানি কিন্তু হাজত অর্থ কি? হাজতের অনেক গুলো অর্থ রয়েছে মুলত "হাজত" অর্থ হচ্ছে "ইচ্ছা" অথবা "প্রয়োজন"।অর্থাৎ সালাতুল হাজত অর্থ হচ্ছে, ইচ্ছা পুরন বা প্রয়োজন জন্য নামাজ।

    সালাতুল হাজত নামাজ কেন পড়া হয়?

    আমাদেরকে সকল প্রকার বিপদ-আপদ, রোগ-বালা, মুসিবতের হাত থেকে রক্ষা করার মালিক হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তায়ালা।বিপদে পড়লে বা কোন কিছুর প্রয়োজন বা ইচ্ছা পোষণ করতে চাইলে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার আশ্রয় নেয়া উচিত। আল্লাহ তালায়ার আশ্রয় চাওয়ার একটিই মাধ্যম হচ্ছে নামাজ।সালাতুল হাজত নামাজ কেন পড়া হয় ?এর একটি একটি মাত্র উত্তর হচ্ছে আল্লাহর কাছে ইচ্ছা বা প্রয়োজনের কথা জানিয়ে দোয়া করা।

    আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বান্দাকে নামাজের মাধ্যমে সাহায্য কামনার নির্দেশ দিয়েছেন। এ মর্মে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা : ১৫৩)

    এক হাদিসে আসেছে যে, নবী করিম (সা.) এর কোনো প্রয়োজন দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। অতঃপর কায়মনোবাক্যে আল্লাহ তায়ালার নিকট স্বীয় প্রয়োজনের বা ইচ্ছা সমাধানের জন্য প্রার্থনা করতেন। এটাই ছিল নবীজির প্রয়োজন মিটানোর অনুপম আদর্শ। একইভাবে নবীজি (সা.) উম্মতকে নামাজ পড়ার মাধ্যমে নিজ নিজ সমস্যা সমাধানের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার শিক্ষা দিয়েছেন।

    তাই মুসলিম উম্মাহর কর্তব্য হলো, যেকোনো বিপদের সম্মুখীন হলে প্রথমে দুই রাকাত সালাতুল হাজত পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক অথবা যেকোনো সমস্যাই হোক না কেনো,মুমিন সেই বিপদ থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে সালাতুল হাজতের পথ অবলম্বন করবে। লহ্ম্য করা যাবে সে বিপদগ্রস্ত ব্যাক্তিটি কল্পনাহীন ও অদৃশ্যভাবে সাহায্যপ্রাপ্ত হয়ে বিপদ মুক্ত হবে।

    হাদিস শরিফে সালাতুল হাজতের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক বর্ণনা রয়েছে। যেমন, হজরত হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী করিম (সা.) এর অভ্যাস ছিল, যখন গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রয়োজন সামনে আসত, তিনি সঙ্গে সঙ্গে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। (আবু দাউদ : ১৩২১)

    আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তির আল্লাহর নিকট অথবা কোনো মানুষের নিকট কোনো প্রয়োজন দেখা দেয় সে যেন উত্তমরূপে অজু করে এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ে নেয়। তারপর সে যেন আল্লাহর প্রশংসা এবং নবী করিম (সা.) এর প্রতি দরুদ পাঠ করে।’ (তিরমিজি : ৪৮১)

    সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম কি ? সালাতুল হাজত নামাজ কত রাকাত

    যদিও সালাতুল হাজত নামাজ আদায়ের কোন অন্য আলাদা নিয়ম নেই স্বাভাবিক অন্যান্য  নফল নামাজের মতই ওযুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে সূরা-ফাতেহা এবং অন্যন্য সূরা মিলিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়তে পারবেন।

    নামাজ শেষে আল্লাহ তাআলার হামদনাত ও সানা বা প্রশংসা এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি আয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ শরীফ পাঠ করে আপনার মনের কথা বা আপনার প্রয়োজনের কথা আল্লাহর নিকট দোয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন।

    সালাতুল হাজত নামজের নিয়ম হচ্ছে,ধরেন একজন ব্যাক্তির হালাল বা বৈধ ইচ্ছা (হাজত) হচ্ছে ৪টি,এবং এই ৪টি হালাল বা বৈধ ইচ্ছা গুলো পূরন হওয়ার জন্য প্রতি রাতে এশার নামাজের পর বা ঘুমানোর আগে ২ রাকাত করে সালাতুল হাজত নামাজ আদায় করে এবং নামাজ শেষে উক্ত হালাল বা বৈধ ইচ্ছা পূরন দোয়া করা।

    এই ভাবে যতদিন না আপনার ইচ্ছা বা হাজত পূরন না হবে ততদিন অবদি সালাতুল হাজত নামাজ ঘুমানোর আগে পড়তে পারেন। অন্য নিয়মও আছে সালাতুল হাজত নামাজের তবে উক্ত নিয়ম আপনি অনুসরন করতে পারেন।

    তাছারা,আবদুল্লাহ ইবনু আবী আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির আল্লাহ তা"আলার কাছে অথবা কোন আদম সন্তানের কাছে কোন প্রয়োজন রয়েছে সে যেন প্রথমে উত্তমরূপে ওযু করে পবিত্র হয়, তারপর দুই রাকাআত নামায আদায় করে, তারপর আল্লাহ তায়ালার আলার প্রশংসা করে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করে । (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৭৪৯)

    সালাতুল হাজত নামাজের সঠিক সময়। সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম ও নিয়ত

    সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই এটা আমরা আগেও জানিয়েছি কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে অন্যান্য নফল নামাজের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে,তবে সালাতুল  হাজত নামাজ এর কি নির্দিষ্ট কোন সময় আছে?উত্তরটা এই ভাবে দেওয়া যাতে পারে যে,সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই।

    অনেক হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জীবনের বিভিন্ন বিপদ-আপদ অপ্রয়োজনীয়তা আল্লাহ তাআলার সালাতুল হাজত নামাজের মাধ্যমে প্রকাশ করতেন।

    তবে অনেকের মতে সালাতুল হাজত নামাজ পড়ার সবথেকে ভালো সময় হচ্ছে এশার নামাজের পর অথবা ঘুমোনোর আগে কিংবা তাহাজ্জুদের সময়। সালাতুল হাজত নামাজ নফল নামাজ নফল তাই এই নামাজ যেকোন ওয়াক্তে পড়তে পারেন।

    সূত্র : www.dreamyitc.com

    সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

    ‘সালাতুল হাজত’ নামাজের আলাদায়ের সময় যেটি মাথায় রাখতে হবে সেটি হল স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল...

    সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

    ধর্ম ডেস্ক

    ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:৪৩ পিএম

    56 Shares

    প্রতীকী ছবি

    সালাতুল হাজাত বা ‘প্রয়োজনের নামাজ’— একটি বিশেষ নফল ইবাদত। মানুষের বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়। সালাতুল হাজত একটি সাধারণ নফল নামাজ। এই নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট কোনো দিন বাধা নেই, যে এতো দিন পড়তেই হবে।

    নিজের যেকোনো প্রয়োজনে ধারাবাহিকভাবে সারাজীবন সালাতুল হাজত পড়া যায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘সঙ্গত কোনো প্রয়োজন পূরণের জন্য বান্দা নিজ প্রভুর কাছে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)

    ‘সালাতুল হাজত’ নামাজের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। চাইলে চার রাকাতও পড়া যাবে। নামাজ শেষে আল্লাহ তাআলার হামদ ও ছানা (প্রসংসা) এবং নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করে— নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে।

    সালাতুল হাজত শেষে যে দোয়া পড়বেন

    এই নামাজ সম্পর্কে এক হাদিসে এভাবে এসেছে–

    عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ مَنْ كَانَتْ لَهُ إِلَى اللَّهِ حَاجَةٌ أَوْ إِلَى أَحَدٍ مِنْ بَنِي آدَمَ فَلْيَتَوَضَّأْ وَلْيُحْسِنِ الْوُضُوءَ ثُمَّ لْيُصَلِّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ لْيُثْنِ عَلَى اللَّهِ وَلْيُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ ﷺ ثُمَّ لْيَقُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

    আবদুল্লাহ্ ইবনু আবি আওফা থেকে বর্ণিত আছে যে- আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে বা কোনো আদম-সন্তানের কাছে যদি কারও কোনো প্রয়োজন হয়— তবে সে যেন অজু করে এবং খুব সুন্দরভাবে যেন তা করে। এরপর যেন দুই রাকআত নামাজ আদায় করে। এরপর যেন আল্লাহর হামদ করে ও রাসুল (সা.)-এর উপর দরূদ সালামের পর এই দোয়াটি পড়ে—

    আরবি :

    لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

    উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আছআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক; ওয়া আজা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদাঅলি- জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হা-জাতান হিয়া লাকা রিজান- ইল্লা কাজাইতাহা ইয়া আর-হামার রা-হিমিন।

    আরও পড়ুন : স্বামী-স্ত্রী যেভাবে নামাজ পড়বেন

    অর্থ : আল্লাহ্ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অতি সহিষ্ণু ও দয়ালু, সকল দোষ-ক্রটি থেকে পবিত্র তিনি। মহান আরশের প্রভু। সকল প্রশংসা আল্লাহর, তিনি সারা জাহানের রব। আপনার কাছেই আমি যাঞ্ছা করি— আপনার রহমত আকর্ষণকারী সকল পূণ্যকর্মের অসিলায়, আপনার ক্ষমা ও মাগফিরাত আকর্ষণকারী সকল কাজের বরকত, সকল নেক আমলে সাফল্য লাভের এবং সব ধরনের গুনাহ থেকে নিরাপত্তা লাভের। আমার কোনো গুনাহ যেন মাফ ছাড়া না থাকে। কোনো সমস্যা যেন সমাধান ছাড়া না রয়ে যায়। আর আমার এমন প্রয়োজন— যাতে রয়েছে আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে, তা যেন অপূরণ না থাকে। হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (তিরমিজি, হাদিস : ৪৭৯; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৪)

    সুতরাং দোয়ার ক্ষেত্রে হাদিস শরিফে বর্ণিত উপরোক্ত দোয়াটি— অন্যান্য দোয়ার সাথে সাধারণ নামাজের শেষেও বিশেষভাবে পড়া যেতে পারে। এই দোয়াটিই পড়তেই হবে— বিষয়টি এমন নয়। আপনি আপনার মত করে দোয়া করলেও কোনো অসুবিধা নেই।

    সালাতুল হাজত শেষে আরও যে দোয়া পড়া যায়

    নিম্নোক্ত সারগর্ভ দোয়াটিও আপনি পড়তে পারেন-

    اَللَّهُمَّ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ-

    উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রববানা আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র।অর্থ : হে আল্লাহ! হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের দুনিয়াতে মঙ্গল দিন এবং আখেরাতেও মঙ্গল দিন। জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

    আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) অধিকাংশ সময় এ দোয়াটি পড়তেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৪৫২২, ৬৩৮৯; মিশকাত, হাদিস : ২৪৮৭; মুসলিম, মিশকাত; হাদিস : ৮১৩)

    নামাজ তাহাজ্জুদ নামাজ জানাজা

    সূত্র : www.dhakapost.com

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 24 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন