সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম
Mohammed
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?
এই সাইট থেকে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম পান।
সিম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম
সিম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম, সিম কার নামে নিবন্ধন, আপনার নামে কয়টি সিম নিবন্ধন আছে, বিস্তারিত জানুন এই পোস্ট থেকে
সিম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম এই পোস্টে অনাকাঙ্ক্ষিত রবি সিম সহ অন্যান্য সিম নিবন্ধন এর মত ঘটনা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন সেই বিষয়টি তুলে ধরা হবে। অনেক সময় আমাদের ব্যবহারকৃত মোবাইলটা চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে সেই সিম টি কেউ ব্যবহার করতে পারে যদি আপনি সেই সিম টি পুনরায় উত্তোলন না করেন। এছাডা আমাদের অনেকটা সময় এমন একটা অবস্থায় হয় যে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আমাদের অজান্তেই অন্য কেউ একজন একটি সিম নিবন্ধন করে সেই সিম ব্যাবহার করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় কিভাবে আমরা সিম রেজিস্টার বাতিল করবো বা সিম নিবন্ধন বাতিল করার সেই নিয়ম জানা আমাদের জন্য জরুরী।অনাকাঙ্ক্ষিত আমাদের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে নিবন্ধিত সিম দ্বারা একজন ব্যক্তি যা খুশী তাই করতে পারে । অনেকটা সময় বড় বড় ক্রাইম এবং মার্ডার বা অন্যান্য মামলার পিছনে সিম নাম্বার জড়িত থাকে। উক্ত মামলায় সিম কার্ডটি ব্যবহার করে আমাদের যেকেউ ফাসিয়ে দিতে পারে দিতে পারে। বড় বড় অনাকাঙ্খিত ঘটনা এবং খারাপ কাজ করতে পারে।
আর এর সকল দায় কিন্তু আপনাকে বা আমাকে বহন করতে হবে। এমন কি সেই ব্যক্তি কোনো অন্যায় করে ফেললেও তার দায় পুরোপুরি আমাদের ঘাড়ে এসে পড়তে পারে। যার ফলে তার উল্টে আমাদের মামলা খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সাথে জেল, জরিমানা অ হতে পারে।আর সেজন্যই আমাদের সব সময় এ বিষয়টির উপর খেয়াল রাখতে হবে।
দূর্ঘটনাবশত কেউ যদি আমাদের আইডি কার্ড দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করে ফেলে তাহলে আমাদের কি করা উচিত ?আসলে যে সিমটি আপনার বা আমাদের নামে আমাদের অজান্তেই রেজিস্ট্রার করা হয়েছে তা আবার আন রেজিস্টারড বা আমাদের নিবন্ধিত সিমটি বাতিল করা যাবে ।কিভাবে আমরা আমাদের নিবন্ধিত সিম বাতিল করব অথবা সিম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম দেখবো । রবি সিম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম
এই পোস্টের সার সংক্ষেপ
কিভাবে একাধিক সিম নিবন্ধন হয় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আমাদের অজান্তে
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে শুধু ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সিম কেনার সম্ভব নয়, এর সাথে আইডি কার্ড ধারী ব্যক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি দরকার পড়ে। আপনি যখন কোন নতুন সিম নিবন্ধন করতে যাবেন অথবা সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করতে যাবেন অথবা হারানো সিম উত্তোলন করতে যাবেন তখন আপনাকে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে সেটি করতে হবে। এর দ্বারা বুঝা যায় যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেউ আপনার আইডি কার্ড দিয়ে সিম নিবন্ধন করতে পারবেনা।
এরপরেও হরহামেশা আমরা দেখতে পাই যে আমাদের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে অনেক সিম নিবন্ধন হয়ে গেছে অথচ আমরা একটুও টের পাইনি। একটা প্রধান কারণ হতে পারে হতো আমরা কোথাও ফিঙ্গার দিয়েছি অথবা ডকুমেন্ট দিয়েছি সেখান থেকে আমাদের বায়ো ডাটা চুরি করে অথবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট চুরি করে কেউ সিম নিবন্ধন করেছে। কারন মানুষ এখন অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।
এছাড়াও এমন হতে পারে জরুরী প্রয়োজনে আমরা কোন আত্মীয় স্বজনকে আমাদের আইডি কার্ড দিয়ে সিম রেজিস্টার করে দিয়েছি। এই ভাবেই আমাদের অজান্তে অথবা আমাদের জানাশোনা মধ্যেও অনেক সিম নিবন্ধন হয়ে যায় যেটি আমাদের জন্য অনেকটা ক্ষতিকারক
আপনার নামে কয়টি সিম নিবন্ধন আছে | সিম কার নামে নিবন্ধন
আপনার নামে কয়টি সিম আছে অথবা সিম কার নামে নিবন্ধন এটা জানার জন্য আপনাকে আপনার সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করতে হবে। কেউ আপনার নামে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে সিম নিবন্ধন করে চালাচ্ছে কিনা সেটি যাচাই করার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আপনার যদি রবি সিম হয় তাহলে রবি সিম থেকে করতে পারবেন, অন্যান্য থেকেও করতে পারবেন আলাদা আলাদা নিয়মে তবে সবক্ষেত্রে কিছুটা একই নিয়ম রয়েছে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করার জন্য।
আপনার বাংলালিংক এবং রবি , এয়ারটেল সিম থেকে ফোনের ডায়াল অপশন থেকে ডায়াল করুন *16001# এটা ডায়াল করার পরে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের শেষ 4 ডিজিট চাওয়া হবে । সেখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের শেষ 4 ডিজিট প্রদান করুন।
গ্রামীণফোন সিম থেকে আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন চেক করার জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশন থেকে info লিখে send করুন 4949 নম্বারে। অথবা গ্রামীণফোন থেকে Reg 17 Digit NID numbers লিখে send করুন 4949 নম্বারে।
টেলিটক নাম্বার হলে আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনএ গিয়ে টাইপ করুন info এবং সেন্ড করুন 1600 নাম্বারে।
উপরোক্ত সিম কোম্পানির আলাদা আলাদা অপারেটর জন্য কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। আপনার সিম নিবন্ধন নাম্বার চেক করার জন্য উক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। পরবর্তীতে আপনাকে একটি ম্যাসেজ দিয়ে আপনার নামে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেটি জানা যাবে। এর মধ্য থেকে যে কয়টি সিম কার্ড আপনার অপরিচিত মনে হবে ওই কয়টি কে চিহ্নিত করুন। এবং নোট করে রাখুন।
আপনার সিম কার নামে রেজিস্টার করা আছে অথবা আপনার আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি সিম নিবন্ধন আছে সেটি বিস্তারিত জানুন এই লিঙ্ক এ ক্লিক করে।
সিম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম
আপনার অজান্তে আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে যদি একাধিক সিম নিবন্ধন হয় তাহলে সেটি আপনার সিম অপারেটরের নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার অফিসে সরাসরি গিয়ে আপনার ভোটার আইডি কার্ড সহ যাবতীয় তথ্য সাবমিট দ্বারা অভিযোগ করতে পারবেন। এবং আপনার নামে সিম নিবন্ধন গুলো বাতিল করতে পারবেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই কাজগুলো খুবই সতর্কতার সাথে অনুসরণ করুন
আপনার নামে সিম নিবন্ধিত বাতিল করতে হলে আপনার নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার (আপনি যে অপারেটর এর সিম ইউজ করবেন সেই অপারেটর এর কাস্টমার কেয়ারে ) চলে যান ।
আপনার সাথে অবশ্যই আপনার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিবন্ধন এনআইডি কার্ড সাথে নিয়ে যাবেন । যদি সম্ভব হয় নিবন্ধিত সিম এর কাগজপত্র ও নিবন্ধিত সিম নিয়ে যাবেন ।
আর এই কাজটি করতে আপনাকে অবশ্যই স্ব-শরীলে কাস্টমার কেয়ার এ উপস্থিত থাকতে হবে
এভাবেই আপনি আপনার নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার থেকে আপনার নামে নিবন্ধিত সিমের রেজিস্ট্রেশন বাতিল কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন । আর কাজটি সুন্দরভাবে করতে পারলে আপনি ঝুঁকি থেকে এড়িয়ে যেতে পারবেন
সর্বশেষ কথা | সিম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম
আজকের আলোচনা থেকে আমরা জেনেছি যে, কিভাবে একটি সিম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম। তাই দেরি না করে উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করে আপনার নামে নিবন্ধিত সিমের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করুন তা না হলে আপনি অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন বড় ধরনের কোনো ক্রাইম এর সাথে জড়িয়ে যেতে পারে ।
সিম রেজিস্ট্রেশন চেক এবং রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম
সিম রেজিস্ট্রেশন চেক ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার সকল নিয়ম কানুন নিয়ে এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ জানতে আর্টিকেলটি পুরো পড়ুন।
সিম রেজিস্ট্রেশন চেক এবং রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম
সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল বা সংক্ষেপে SIM হচ্ছে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। আজকে সিম রেজিস্ট্রেশন চেক ও সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম কানুন সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
সিম কার্ডের মাধ্যমে আমরা ফোন কল, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও স্ট্রিমিং ইত্যাদি করতে পারি। সিম কেনার সময় রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হয়। নতুন নিয়ম অনুসারে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম কিনতে পারেন।
তাই ১৫ টি সিম ইতিমধ্যেই আপনার নামে থাকলে আপনি আর কোনো সিম নিতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে সিম রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। কিভাবে করবেন জানতে চাইলে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
এক নজরে সম্পূর্ণ পোস্ট
সিম নিবন্ধন যাচাই
অনেকেরই প্রশ্ন থাকে, আমার নামে কয়টি সিম আছে? তাই সিম নিবন্ধন যাচাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার নামে কয়টি সিম রেজিষ্ট্রেশন করা আছে।
সিম রেজিস্ট্রেশন দেখার নিয়ম মূলত ২ টি।
মোবাইলে কোড ডায়াল করে
কাস্টমার সেন্টারে গিয়ে
Nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে
আপনার Nid দিয়ে কয়টি সিম রেজিস্ট্রেশন হয়েছে সেটা জানতে খুবই ছোট্ট একটি কাজ করুন।
*16001# ডায়াল করুন
প্রথমে আপনার নিজের একটি সিম থেকে ডায়াল করুন *16001# । এই কোডটি ডায়াল করার পর পরের ধাপে আপনার NID কার্ডের নম্বরের শেষ ৪ টি ডিজিট লিখে send করুন।
ফিরতি ম্যাসেজে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নামে কয়টি সিম নিবন্ধন করা আছে, সেগুলো কোন কোন অপারেটরের। একইসাথে নম্বরগুলোর প্রথম ৩ ডিজিট ও শেষ ৩ ডিজিটও দেখতে পাবেন।
কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে
মোবাইল অপারেটরদের কাস্টমার কেয়ারে গিয়েও সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে যে কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে যাবেন তারা শুধুমাত্র সেই কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সিমের তালিকা আপনাকে দিবে।
এক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ারে গেলে রবি সিমের ব্যাপারে জানতে পারবেন না। আবার রবিতে গেলে বাংলালিংক সিমের রেজিস্ট্রেশন তথ্য পাবেন না। অর্থাৎ আপনার NID দিয়ে সর্বমোট কয়ট সিম রেজিস্ট্রেশন করা সেটি জানতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে একটি সুবিধাও আছে। *16001# ডায়াল করে মোট কয়টি সিম রেজিষ্ট্রেশন করা আছে সেটি জানা গেলেও সম্পূর্ণ সিম নম্বর দেখতে পারবেন না। তবে কাস্টমার কেয়ারে গেলে তারা সম্পূর্ণ নম্বরটি আপনাকে দেখাবে।
সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন
সিম রেজিস্ট্রেশন তো চেক করলেন। এবার যদি আপনার ব্যবহৃত সিমটি আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা না থাকে বা নিজের নামে অন্য কাউকে সিম কিনে দিয়ে থাকেন তাহলে খুব দ্রুত সিমের মালিকানা পরিবর্তন করুন।
কারণ অন্যের নামে সিম ব্যবহার করা অবৈধ। একই সাথে আপনি আইনী ঝামেলায়ও পড়তে পারেন।
সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করা খুবই সহজ। যেই ব্যক্তির নামে সিম রেজিস্ট্রেশন করা ও যেই ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করা হবে তারা উভয়ই নিজেদের আইডি কার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে।
কাস্টমারে থাকা সদস্যরা ১০-২০ মিনিটে সিম রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করে দিবেন।
সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার নিয়ম
আপনার নামে যদি অতিরিক্ত সিম নিবন্ধন হয়ে যায় তাহলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার দরকার হয়। অথবা আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম যদি অন্য কেউ চালায় তাহলে দ্রুত সেটি বন্ধ করুন। এজন্য নিচের নিয়মটি ফলো করুন।
দুই পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যায়।
হেল্পলাইনে কল করে
কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে সরাসরি গিয়ে
হেল্পলাইনে কল করে
এই পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য সিমটি আপনার কাছেই থাকতে হবে। অন্য কারো কাছে থাকলে হবেনা।
প্রথমে আপনার অপারেটরের হেল্পলাইনে কল করুন। তারা আপনার কাছ থেকে কিছু তথ্য জানতে চাইবেন। যেমনঃ লাস্ট রিচার্জ এমাউন্ট, সর্বশেষ কোন নম্বরে কল করা হয়েছে, বর্তমান সিমের ব্যালেন্স ইত্যাদি।
এই তথ্যগুলো দিতে পারলেই হেল্পলাইন থেকে সিমটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বা রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
সিমটি যদি আপনার কাছে না থাকে বা তথ্যগুলো আপনি না দিতে পারেন তাহলে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য অবশ্যই কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে।
কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে
আপনার আইডি কার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যান। তাদেরকে বলুন আপনি সিম রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে চান। তারা ১০-২০ মিনিটে কাজটি করে দিবে।
শেষ কথা
নিজের নামে সিম রেজিস্ট্রেশন করে আইনী ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। নিজে রেজিস্ট্রেশন করে সেই অন্যকে ব্যবহার করতে দিবেন না। এক্ষেত্রে সে কোনো অপরাধ করলে তার জন্য আপনাকেও ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।
তাই সিম রেজিস্ট্রেশন চেক করুন। অযথা সিম রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল করুন। নিরাপদে থাকুন আর ট্রিক ব্লগ বিডির সাথেই থাকুন।
Related Posts:
১লা অক্টোবর থেকে বন্ধ হলো সকল অবৈধ ফোন | রেজিস্ট্রেশন করার…
বিটিসিএল থেকে কিভাবে .com.bd ও .বাংলা ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন…
ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করার পর বানান ভুল হলে করণীয়
এক সিম থেকে অন্য সিমে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করার নিয়ম
সিম নিবন্ধন বাতিল করবেন যেভাবে?
কখনো কি এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন যে আপনার আইডী কার্ড দিয়ে আপনার অজান্তেই অন্য কেউ একটি সিম নিবন্ধন করে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে। হয়তো বা। এমতাবস্থায় কীভাবে সিম
সিম নিবন্ধন বাতিল করবেন যেভাবে?
by বখতিয়ার হোসাইন
কখনো কি এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন যে আপনার আইডী কার্ড দিয়ে আপনার অজান্তেই অন্য কেউ একটি সিম নিবন্ধন করে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে। হয়তো বা। এমতাবস্থায় কীভাবে সিম নিবন্ধন বাতিল করবেন সেটা জানা জরুরী।
তবে জানেন কি এই অনিবন্ধিত সিম দ্বারা সে আপনার নামে করা সিম দ্বারা যা ইচ্ছা তাই করতে পারে? আর এর সকল দায় কিন্তু আওঅঅনাকে বহন করতে হবে। এমন কি কোনো অন্যায় করে ফেললেও তার দায় পুরোপুরি আপনার ঘাড়ে এসে পড়তে পারে। ফলশ্রুতিতে, জেল হাজত সব হয়ে যেতে পারে বিনামূল্যে।
সেজন্যই আপনাকে সব সময় এ বিষয়টির উপর একটু নজড় দিতে হবে। কিন্তু জিনিসটা যদি হয়েই যায় তাহলে কি করবেন? আপনি কি ভাবছেন সব শেষ? না মোটেও না। আপনি জেনে খুশি হবেন যে, যে সিমটি আপনার নামে আপনার অজান্তেই রেজিস্ট্রার করা হয়েছে তা আবার আন রেজিস্টারড বা আপনি আপনার নিবন্ধিত সিমটি বাতিল করতে পারবেন।
আর আমাদের আজকের আলোচনা উক্ত বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই হতে যাচ্ছে। হ্যা, আমরা আজকে জানব কিভাবে আপনি আপনার অজান্তেই নিবন্ধিত সিম বাতিল করবেন অর্থাৎ সিম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম।
চলুন তবে জেনে আসা যাক আমাদের আজকের মূল বিষয়-কীভাবে সিম নিবন্ধন বাতিল করবেন
টপিক সূচি
আপনার নামে সিম নিবন্ধন করে কেউ চালাচ্ছে কি না তা কি করে জানবেন?
হ্যা, প্রথমেই আপনাকে অবশ্যই খুজে বের করতে হবে যে আপনার নামে আদৌ কোনো সিম নিবন্ধিত রয়েছে কি না। কেননা তা না করেই আপনি বলে ফেলতে পারেন না এই সেই। তাই একজন প্রকৃত বুদ্ধিমান হিসাবে পরিচয় দিতে হলে প্রথমেই খুজে বের করুন আপনার নামে কোন কোন নাম্বার নিবন্ধিত রয়েছে।
আপনার নামে সিম নিবন্ধন চেক করতে যা করবেন তা হলো-
এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই আপনার এন আই ডি এর শেষ চারটি ডিজিট বা সংখ্যা জানতে হবে। আর বলে রাখছি এ জন্য কোনো চার্জ কাটা হবে না।
এরপর যা করতে হবে তা হলো-
প্রথমেই আপনার ফোনের যে কল অপশনটি রয়েছে সেখানে চলে যান।
কলে অপশনে আসার পর আপনাকে নিমোক্ত কোডটি ডায়াল করতে হবে-
কোড- *16001#
এরপর পরই আপনার কাছে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের শেষ চার ডিজিট এর কথা জিজ্ঞেয়া করা হবে যা আপনাকে ওখানে আসা স্থানে টাইপ করতে হবে। এন আই ডি এর শেষ ডিজিটগুলো অবশ্যই মনে রাখবেন।
আপনি আপনার এন আই ডি এর চার ডিজিট টাইপ করার পর একটি মেসেজ আসবে।
আপনার কাজ শেষ!!!
আপনার যে মেসেজটি এসেছে সেখানে আপনি দেখতে পারবেন আপনার নামে কতটি প্রি-পেইড বা পোস্ট পেইড সিম রয়েছে। কোন কোম্পানির কতটা সিম ব্যবহার করছেন তাও দেখতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ
ফ্রিতে ছবি সাজানোর সেরা ৭টি সফটওয়্যার- বিস্তারিত জানুন!!সিপিএ মার্কেটিং কী? সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?২০২১ সালে প্রয়োজনীয় ১০টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস2021 সালে অনলাইনে আয় এর সবচেয়ে সহজ উপায়অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা বেশি, ১৫ টি কাজের তালিকাআর এর মধ্য থেকেই আপনার যে নাম্বারটি অপরিচিত মনে হয় তা বের করুন। এটাই হয়তো আপনার অজান্তেই রেজিস্ট্রার বা নিবন্ধন করা সে সিম।
এটা আদৌ কি সম্ভব আপনার আইডি কার্ড দিয়ে আপনার অজান্তেই সিম নিবন্ধন করা?
প্রথমে আমরা একটু এ বিষয়টির দিকে তাকাই। একটু ভেবে দেখুন, আমরা কিন্তু এখন শুধু ভোটার আইডি কার্ড বা এন আই ডি কার্ড নিয়ে গেলেই সিম নিবন্ধন সম্ভব হয় না। এর জন্য আমাদের আরো কিছু বাড়তি বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফিঙ্গারপ্রিন্ট। যা ছাড়া সিম নিবন্ধন কখনোই করা সম্ভব নয়। আর এই ব্যবস্থাটি এখন সব সিম অপারেটররাই চালু করেছেন। সেক্ষেত্রে দেখতে গেলে আপনার এন আই ডি থাকলেই কেউ সিম নিবন্ধন করতে পারবে না। কেননা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়া এটা অসম্ভব।
তার মানে দাড়াচ্ছে যে কেউ চাইলেই সিম নিবন্ধন করতে পারবে না শুধুমাত্র আপনার এন আই ডি দ্বারা। সেক্ষেত্রে আপনি সস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেন।
তবে একটা কথা কি জানেন ব্যতিক্রম সব জায়গায় হয়েই থাকে না হলে আপনার এন আই ডি দ্বারা অন্য কেউ কেন সিম নিবন্ধন করতে যাবে। কাহিনীটা কিছুটা এমন হতে পারে যে আপনি কোনো জায়গায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছিলেব তা থেকেই হয়তো সেই দোষী লোকটি তা সংগ্রহ করে আপনার এন আই ডি দ্বারা সিম নিবন্ধন করেছে। যদিও বিষয়টা অনেক বিরল তারপরও এটা কিন্তু ঘটেই যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে কেউ আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে সিম নিবন্ধন করলে আপনাকে ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে। তবে তার সমাধানও কিন্তু আমাদের কাছে রয়েছে। হ্যাঁ, যদি উক্ত ঘটনাটি ঘটে যায় তবে কি করবেন তা একটু পরেই বলছি।
সিম নিবন্ধন বাতিল করার নিয়ম-
এত কিছুর পরও যদি আপনার নামে অজান্তেই সিম রেজিস্ট্রার হয়ে যায় তাহলে তো আসলেই কিছুই করার নেই। যাই হোক আমরা এই সিমটি কিন্তু নষ্ট করে ফেলতে পারি। অর্থাৎ আমার সিম নিবন্ধন টি বাতিল করতে পারি। যার ফলে আমাদের আর সেই দায় ভার নিতে হবে না কোনো ভাবেই। তো কিভাবে করবেন সেই প্রশ্ন এখন নিশ্চয় আপনার মনে ঘুর ঘুর করছে তাই না?
আর অপেক্ষা করতে হবে না। এ পর্যায়ে আমরা এই নিবন্ধিত সিম বাতিল করার নিয়ম সমন্ধেই জানব।
আরও পড়ুনঃ
2021 সালে 10টি জনপ্রিয় পদ্ধতিতে অনলাইনে আয় [ছাত্র অবস্থায়]ব্লগে Page View বৃদ্ধি ও Visitor ধরে রাখার ১৫ টি দুর্দান্ত কৌশলফ্রিল্যান্সিং কী? কীভাবে শুরু করবেন? সেরা ১০ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসডিজিটাল মার্কেটিং কি? কিভাবে শুরু করবেন?ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়আর আপনার কাজটি সম্পাদনের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। সেই সাথে নিচের স্টেপগুলো খুবই সতর্কতার সাথে অনুসরণ করুন-
সিম নিবন্ধন বাতিল অর্থাৎ নিবন্ধিত সিম টি বাতিল করতে হলে আপনাকে আপনার অপারেটর এর নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার এর শরণাপন্ন হতে হবে। তাই শুরুতেই আপনি চলে যান নিকটস্থ কোনো কাস্টমার কেয়ারে।
আপনার সাথে আপনার নামে অজান্তেই নিবন্ধিত সিমটি নিয়ে যান। তবে সেটি যদি আপনার কাছে না থেকে থাকে তবে প্রয়োজনীয় কাগজগুলো যেমন- এন আই ডি কার্ড অবশ্যই সাথে নিয়ে যাবেন। আর সাথে থাকবে নিবন্ধিত সিম এর কাগজ পত্র ।
বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?