if you want to remove an article from website contact us from top.

    সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম এর অর্থ কি

    Mohammed

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    এই সাইট থেকে সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম এর অর্থ কি পান।

    নামাজে আমরা যা বলি,তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা

    প্রতিনিয়ত নামাজ পরতে গিয়ে আমাদের মনোযোগ অন্য কথাও চলে যায়।নামাজে মনোযোগ দেবার অনেক উপায় আলেম-ওলামারা বলে থাকেন।তবে নামাজে আমরা যা পরি তার অনুবাদ যদি আমাদের

    ইসলাম

    নামাজে আমরা যা বলি,তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা

    Suvon Rabbi April 13, 2020 1 min read

    প্রতিনিয়ত নামাজ পরতে গিয়ে আমাদের মনোযোগ অন্য কথাও চলে যায়।নামাজে মনোযোগ দেবার অনেক উপায় আলেম-ওলামারা বলে থাকেন।তবে নামাজে আমরা যা পরি তার অনুবাদ যদি আমাদের সঠিকভাবে জানা থাকে তাহলে আশা করা যায় অন্য চিন্তা মাথায় আসবে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক নামাজে পড়া আয়াতের অনুবাদগুলোঃ

    নিয়ত করার পর, নামাজের মধ্যে আমরা কি পড়ি, তা বলছি.

    ১। নামাজে দাড়িয়েই প্রথমে আমরা বলি”আল্লাহু আকবার’’অর্থ – আল্লাহ্ মহান!

    Table of Contents

    ২। তারপর পড়ি সানা । সানায় আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি নিজের জন্য দুয়া করি।”সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারাকাস্মুকা ওয়া তা’আলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”।

    অর্থঃ হে আল্লাহ ! তুমি পাক-পবিত্র , তোমারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, তোমার নাম বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ , তুমি ছাড়া অন্য কেহ উপাস্য নাই ।৩। তারপর আমরা শয়তানের প্রতারনা থেকে আশ্রয় চাই এবং বলি,”আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রাজিম ”।অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।৪। আল্লাহর পবিত্র নাম দিয়ে আল্লাহর দয়া করুণার গুন দিয়ে নামাজ এগিয়ে নিয়ে যাই। এবং বলি,‘’বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’’অর্থঃ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি ।৪। এরপর আমরা সূরা ফাতেহা দিয়ে নামাজ শুরু করি ( ২ রাকাত / ৪ রাকাত/৩রাকাত , ফরয / সুন্নত নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়ি )৫। আমরা রুকুতে আল্লাহ্ -র উদ্দেশ্যে শরীর অর্ধেক ঝুঁকিয়ে দিয়ে মাথা নুয়িয়ে দিয়ে আল্লাহর প্রশংসা করি এবং ক্ষমা চাই,তিনবার বলি ,‘’সুবাহানা রাব্বি-আল আজিম / সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম ওয়া বিহামদিহি’’অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি ।৬। তারপর রুকু থেকে উঠে আমরা বলি –‘’সামি আল্লাহু লিমান হামিদা’’

    আরও পড়ুন >> সূরা ইখলাস ও সূরা কাহাফ পাঠের ফজিলতসমুহ

    অর্থ : আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে ।৭। তারপর পরই আমরা আবার আল্লাহর প্রশংসা করে বলি –’’আল্লাহুম্মা ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’’

    অর্থ : হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই ।

    ৮। তারপর আমরা সমস্ত শরীর নুয়িয়ে দিয়ে মাথাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়ে আল্লাহর নিকট সিজদা দেই।

    বি: দ্র: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করে, আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লেখেন ও তার একটি পাপ দূর করে দেন এবং তার মর্যাদার স্তর একটি বৃদ্ধি করে দেন।‘

    ’তিনবার বলি ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’’

    অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি৯। দুই সিজদার মাঝখানে আমরা বলি,”আল্লাহুম্মাগ ফিরলি,ওয়ার হামনী, ওয়াহদীনি, ওয়া আফিনী, ওয়ার-ঝুকনী”অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমায় মাফ কর, আমাকে রহম কর, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে শান্তি দান কর এবং আমাকে রিজিক বৃদ্ধি করো।১০। সিজদা থেকে উঠে পড়ি-‘’ আত্তাহিয়াতু’’‘’আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু, ওয়াত্ তাইয়িবাতু। আস্সালামু আলাইকা আইয়ুহান। নাবীয়ু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।। আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন। আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া। আশহাদু আননা মুহাম্মাদান আদুহু ওয়া রাসুলুহু।‘’অর্থঃ কি মৌখিক, কি দৈহিক, কি আর্থিক সকল ইবাদাত এক মাত্র আল্লাহর জন্য/সমস্ত সম্মানজনক সম্বােধন আল্লাহর জন্যে। সমস্ত শান্তি কল্যাণ ও পবিত্রার মালিক আল্লাহ। হে নবী, আপনার উপর আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত বর্ষিত হােক। আমাদের উপর এবং সল্কর্মশীল বান্দাদের উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হােক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোন ইলাহ নেই, আরাে সাক্ষ্য দিচ্ছি।

    মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।

    ১১। আত্তাহিয়াতুর পরে পড়ি-‘’দরূদে ইব্রাহীম’’‘’আল্লা-হুম্মা স্বাল্লি আলা মুহাম্মাদিউ অআলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা ইবরাহীমা অ আলা আ-লি ইব্রাহীম, ইন্নাকাহামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিউল আলা আ-লি মুহাম্মদ, কামা বারাকতা আলা ইবরাহীমা অ আলা আ-লি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।‘’অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি হজরত মুহাম্মদ ও তাঁর বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত।১২। দরূদে ইব্রাহিমের পরে পড়ি-দোয়া মাসুরা‘’ আল্লাহুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরা। ওয়া লা ইয়াগফিরু।যুনূবা ইল্লা আনতা ফাফির লী। মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা। ওয়ার হামনী।ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম।‘’অর্থঃ হে আমার আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপর অত্যন্ত যুলুম করিয়াছি, তুমি ব্যতীত পাপ মার্জনাকারী কেহই নাই। অতএব হে আল্লাহ্! অনুগ্রহ পূর্বক আমার পাপ ক্ষমা কর এবং আমার উপর দয়া কর। নিশ্চয়ই তুমি দয়াময় ও পাপ মার্জনাকারী।

    আরও পড়ুন >>  ১০০/- টাকার প্রাইজবন্ড ড্র ।। Prize Bonds Result

    Tags: ইসলাম ইসলাম শিক্ষা ইসলামের ইতিহাস কুরআন কুরআন ও হাদিস নামাজ নামাজ পড়ার ১০টি বড় ফজিলত নামাজ পড়ার ফজিলত নামাজের অর্থ নামাজের দোয়া মুসলিম হাদিস

    সূত্র : zohabd.com

    অর্থ বুঝে পড়লে নামাজে অন্য চিন্তা আসবে না

    আমরা প্রায়ই নামাজে গভীর মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হই। কিন্তু নামাজের পূর্ণতার জন্য গভীর মনোযোগ একান্ত জরুরি। নামাজে আমরা যা বলি, তার অর্থ যদি জানা থাকে, তাহলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবে না

    ইসলাম

    অর্থ বুঝে পড়লে নামাজে অন্য চিন্তা আসবে না

    ফেরদৌস ফয়সাল

    প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০৫: ৩১

    আমরা প্রায়ই নামাজে গভীর মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হই। কিন্তু নামাজের পূর্ণতার জন্য গভীর মনোযোগ একান্ত জরুরি। নামাজে আমরা যা বলি, তার অর্থ যদি জানা থাকে, তাহলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবে না। নামাজে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাকবিরে তাহরিমার সময় দৃষ্টি সেজদার জায়গায় রাখতে হবে। দাঁড়ানো অবস্থায়ও দৃষ্টি সেজদার জায়গায় রাখতে হবে। এরপর রুকু অবস্থায় দৃষ্টি পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে; পুনরায় দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার জায়গায়; সিজদা অবস্থায় দৃষ্টি নাকের আগায়; বসা অবস্থায় দৃষ্টি নাভিতে রাখতে হবে। সালাম দেওয়ার সময় দৃষ্টি কাঁধে নিবদ্ধ থাকবে। এভাবে নামাজ আদায় করলে মনোনিয়ন্ত্রণ ও আত্মনিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। নামাজের প্রকৃত উদ্দেশ্যও সফল হবে।

    নামাজে দাঁড়িয়েই প্রথমে আমরা বলি ‘আল্লাহু আকবার’—অর্থ আল্লাহ মহান! তারপর সানা পড়ি: সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তুমি পাক-পবিত্র, তোমার জন্য সমস্ত প্রশংসা, তোমার নাম বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ, তুমি ছাড়া অন্য কেহ উপাস্য নাই।’ তারপর আমরা শয়তানের প্রতারণা থেকে আশ্রয় চাই এবং বলি, ‘আউযু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম।’ অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহর পবিত্র নাম দিয়ে তাঁর দয়া–করুণার গুণ দিয়ে নামাজ এগিয়ে নিয়ে যাই। বলি, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।’ অর্থ: ‘পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।’ এরপর আমরা সুরা ফাতিহা দিয়ে নামাজ শুরু করি।

    সুরা ফাতিহায় আমরা যখন বলি, ‘আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন (সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের মালিক আল্লাহর জন্যই)।’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হামিদা নি, আবদি (আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল)।’ অতঃপর আমরা যখন বলি—‘আর রাহমানির রাহিম (তিনি পরম করুণাময় অতি দয়ালু)’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আছনা আলাইয়া আবদি (আমার বান্দা আমার বিশেষ প্রশংসা করল)।’ এরপর যখন আমরা বলি, ‘মালিকি ইয়াওমিদ্দিন (তিনি বিচারদিনের মালিক)।’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মাজ্জাদানি আবদি (আমার বান্দা আমাকে সম্মানিত করল)।’ এরপর আমরা যখন বলি, ‘ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন (শুধু আপনারই ইবাদত করি আর শুধু আপনার কাছেই সাহায্য চাই)।’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হাজা বাইনি ওয়া বাইনা আবদি (এই ফয়সালাই হলো আমার ও আমার বান্দার মধ্যে—বান্দা আমার ইবাদত ও আনুগত্য করবে, আমি তাকে সাহায্য-সহযোগিতা করব)।’ আমরা যখন বলি, ‘ইহদিনাছ ছিরাতল মুস্তাকিম, ছিরাতল্লাজিনা আনআমতা আলাইহিম, গয়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দল্লিন! (আমাদের সঠিক পথ দেখান, তাদের পথ যাদের আপনি নিয়ামত দিয়েছেন; তাদের পথ নয় যারা পথভ্রষ্ট; আর না যারা অভিশপ্ত)।’ তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘লিআবদি মা ছাআল (আমার বান্দা যা চায়, তার জন্য তা-ই)।’ (সহিহ মুসলিম, ৩৯৫)

    এরপর আমরা অন্য একটি সুরা মেলাই। আমরা রুকুতে আল্লাহর প্রশংসা করি এবং ক্ষমা চাই। বলি: সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম। অর্থ: ‘আমার মহান রবের পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি।’ রুকু থেকে উঠে বলি, ‘সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা।’ অর্থ: আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তঁার প্রশংসা করে। তারপরই আমরা আবার আল্লাহর প্রশংসা করে বলি, ‘আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’, অর্থ: হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই। তারপর আমরা সিজদায় গিয়ে বলি: সুবহানা রাব্বিয়াল আলা, অর্থ: ‘আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। এভাবে নামাজ শেষে, মধ্য (দুই রাকাত, চার রাকাত ভিত্তিতে) বৈঠক আর শেষ বৈঠকে তাশাহুদে, আল্লাহর প্রশংসা করি।’

    তাশাহুদে যা পড়ি তার অর্থ: ‘সকল তাজিম ও সম্মান আল্লাহর জন্য, সকল সালাত আল্লাহর জন্য এবং সকল ভালো কথা ও কর্মও আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি শান্তি, আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের ওপরে এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপরে শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসুল।’

    দরুদে যা পড়ি তার অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর বংশধরদের ওপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপভাবে আপনি ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের ওপর রহমত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত সম্মানিত।’

    দোয়া মাসুরায় যা পড়ি তার অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আমার ওপর অত্যধিক জুলুম করেছি, গুনাহ করেছি এবং তুমি ব্যতীত পাপ ক্ষমা করার কেউ নেই। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। ক্ষমা একমাত্র তোমার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আমার প্রতি রহম কর। নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল দয়ালু।’

    দুই কাঁধে সালাম দিয়ে আমরা নামাজ শেষ করি।

    ফেরদৌস ফয়সাল প্রথম আলোর হজ প্রতিবেদক

    afef 78@gmail.com ইসলাম থেকে আরও পড়ুন ইসলাম ধর্ম মন্তব্য করুন

    ইসলাম ধর্ম নিয়ে আরও পড়ুন

    আজ পবিত্র শবে বরাত

    রমজানে পবিত্র কোরআনের ১০ লাখ কপি বিদেশে বিতরণ করবে সৌদি

    মাদ্রাসায় ঐতিহাসিক সাতই মার্চ যেভাবে পালিত হবে

    রমজানের প্রস্তুতির জানান দেয় শবে বরাত

    সূত্র : www.prothomalo.com

    নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ ও মনোযোগ বাড়ানোর উপায়

    somewhere in... blog, also called বাঁধ ভাঙার আওয়াজ, is the first and largest bangla blog community in the world. the main attraction is the phonetic keyboard that makes it too-easy to write bangla on web, even if you don't know how to type bangla. other attractions are the front page displaying all the incoming posts and the group blog service. since the simple start 16th december 2005, somewhere in... blog has grown to become the trend setter for bangla blogging.

    নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ ও মনোযোগ বাড়ানোর উপায়

    নামাজে আমরা যা বলি তার অর্থ ও মনোযোগ বাড়ানোর উপায় ০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০২

    নিয়ত করার পর, নামাজের মধ্যে আমরা যা পড়ি, বা বলছি..

    ১। নামাজে দাড়িয়েই প্রথমে আমরা বলি ”আল্লাহু আকবার’

    অর্থ – আল্লাহ্ সবচেয়ে বড় !

    ২। তারপর পড়ি সানা । সানায় আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি নিজের জন্য দুয়া করি।

    সানা : “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারাকাস্মুকা ওয়া তা’আলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”

    অর্থঃ হে আল্লাহ ! তুমি পাক-পবিত্র , তোমারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, তোমার নাম বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ , তুমি ছাড়া অন্য কেহ উপাস্য নাই ।

    ৩। তারপর আমরা শয়তানের প্রতারনা থেকে আশ্রয় চাই এবং বলি,

    আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রাজিম ।

    অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

    ৪। আল্লাহর পবিত্র নাম দিয়ে আল্লাহর দয়া করুণার গুন দিয়ে নামাজ এগিয়ে নিয়ে যাই। এবং বলি,

    ’বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’

    অর্থঃ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি ।

    ৫। এরপর আমরা সূরা ফাতেহা দিয়ে নামাজ শুরু করি ( ২ রাকাত / ৪ রাকাত , ফরয / সুন্নতের নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়ি )

    ৬।আমরা রুকুতে আল্লাহ্ -র উদ্দেশ্যে শরীর অর্ধেক ঝুঁকিয়ে দিয়ে মাথা নুয়িয়ে দিয়ে আল্লাহর প্রশংসা করি এবং ক্ষমা চাই,

    তিনবার বলি , সুবাহানা রাব্বি-আল আজিম / সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম ওয়া বিহামদিহি

    অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি ।

    ৭। তারপর রুকু থেকে উঠে আমরা বলি -

    > সামি আল্লাহু লিমান হামিদা

    অর্থ : আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে ।

    তারপর পরই আমরা আবার আল্লাহর প্রশংসা করে বলি -

    >আল্লাহুম্মা ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’

    অর্থ : হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই ।

    ৮। তারপর আমরা সমস্ত শরীর নুয়িয়ে দিয়ে মাথাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়ে আল্লাহর নিকট সিজদা দেই।

    বি: দ্র: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করে, আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লেখেন ও তার একটি পাপ দূর করে দেন এবং তার মর্যাদার স্তর একটি বৃদ্ধি করে দেন।‘

    তিনবার বলি ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’

    অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

    ৯।দুই সিজদার মাঝখানে আমরা বলি,

    ”আল্লাহুম্মাগ ফিরলি,ওয়ার হামনী, ওয়াহদীনি, ওয়া আফিনী, ওয়ার-ঝুকনী”

    অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমায় মাফ কর, আমাকে রহম কর, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে শান্তি দান কর এবং আমাকে রিজিক দাও ।

    ১০।এভাবে নামাজ শেষে , মধ্য ( ২ রাকাত , ৪ রাকাত ভিত্তিতে ) বৈঠক আর শেষ বৈঠকে তাশাহুদে, আল্লাহর প্রশংসা করি । রাসুল (সাঃ) এর প্রতি দুরুদ পেশ করে নিজেদের জন্য দুয়া করি। তারপর দুআ মাসুরা পড়ি।

    তাশাহুদ:

    ‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু, ওয়াত্ তাইয়িবাতু। আস্সালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন। আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্হাদু আননা মুহাম্মাদান আদুহু ওয়া রাসুলুহু।

    অর্থঃ “সকল তাযীম ও সম্মান আল্লাহর জন্য, সকল সালাত আল্লাহর জন্য এবং সকল ভাল কথা ও কর্মও আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপানার প্রতি শান্তি, আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের উপরে এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল।”

    দুরুদ :

    আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ,

    আল্লাহুম্মা বারিক 'আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়া 'আলা আলি মুদাম্মাদিন। কামা বারাক্তা 'আলা ইবরাহীমা ওয়া 'আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুমন মাজীদ।

    অর্থ: “ হে আল্লাহ! আপনি নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ও উনার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপভাবে আপনি ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত সম্মানিত।”

    দুআ মাসুরা :

    আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি যুলমান কাছিরা, ওয়ালা ইয়াগ ফিরূজ যুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম ।

    অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার উপর অত্যাধিক অন্যায় করেছি গুনাহ করেছি এবং তুমি ব্যতীত পাপ ক্ষমা করার কেউ নেই । সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও । ক্ষমা একমাত্র তোমার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আমার প্রতি রহম কর । নিশ্চই তুমি ক্ষমাশীল দয়ালু ।

    ১১।২ কাঁধে সালাম দিয়ে আমরা নামাজ শেষ করি ।

    ১২। মুসলিম উম্মাহ এর জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া।

    ব্যস্ততার কারনে হোক বা তাড়াহুড়োর কারনে হোক, বা যে কোন কারনেই হোক আমরা সব সময় নামাজে গভীর মনোযোগ দিতে ব্যার্থ হই। কিন্তু সব সময় না পারি মাঝে মাঝে তো আমরা মনোযোগ দিতে পারি । তা-ই না ?

    এই মনোযোগ বিষয়টা কাজ করবে, যখন আমরা বুঝব যে, নামাজে আমরা কি বলছি। যখন আমরা নামাজে ব্যবহৃত শব্দ বাক্যগুলোর অর্থ বুঝব বা অনুভব করব তখন মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ঘটবে এবং আমাদের সাহায্য করবে নামাজ কে আরও বেশি সুন্দর ও খাটি করতে। এর জন্য যে সম্পুর্ন অর্থ মুখস্ত করতে হবে তাও নয়। যদি শুধুমাত্র জানা থাকে এই কিছু অর্থ তাহলেই তা কাজ করবে অসাধারণ ভাবে, ইনশা আল্লাহ।

    ৬ টি +৩/-০

    সূত্র : m.somewhereinblog.net

    আপনি উত্তর বা আরো দেখতে চান?
    Mohammed 22 day ago
    4

    বন্ধুরা, কেউ কি উত্তর জানেন?

    উত্তর দিতে ক্লিক করুন